এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • নামিবিয়ার নোমাডদের আশ্চর্য মনঃসংযোগ 

    Mani Sankar Biswas লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১২ নভেম্বর ২০২১ | ১৫০৬ বার পঠিত | রেটিং ৪ (২ জন)
  • উত্তর-পশ্চিম নামিবিয়ার লম্বা ঢেউখেলানো ঘাসের উপর ছোট্ট যে শহরটির নাম ওপুয়ো (Opuwo), তার জনসংখ্যা মাত্র ১২ হাজার। শহরটা এত ছোট যে একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে, গাড়িতে দু'এক মিনিটের ভিতর পৌঁছে যাওয়া যায়। দুটো স্কুল, একটা হসপিটাল, পোস্ট অফিস, সরকারি কয়েকটি দপ্তর, গোটা কতক সুপার মার্কেট ও পেট্রল-পাম্প, ব্যাস এই নিয়েই ওপুয়ো শহর। উপত্যকায় বসবাসকারী অনেক মানুষের কাছেই এই ছোট্ট শহরটি কিন্তু আধুনিক নগর সভ্যতার প্রথম আস্বাদন। হাজার হাজার বছর ধরে উপত্যকায় বসবাসকারী হিম্বা নামক প্রাচীন জনগোষ্ঠীটির একদম প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই শহর। এই সেমি-নোমাডিক উপজাতির মানুষজন মূলত পশুপালন করে জীবিকা নির্বাহ করে। তবে আধুনিক ভাবে গড়ে ওঠা ওপুয়ো শহরের অবস্থান, হিম্বাদের অতি-নিজস্ব স্বাভাবিক জীবনযাপন পদ্ধতির উপর প্রভাব ফেলছে। হিম্বাদের নতুন প্রজন্ম এই প্রথম ইটের বাড়ি, মোটর গাড়ি, আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে। এই প্রথম লেখাপড়া বা আধুনিক মানুষের বৌদ্ধিক জগতের সঙ্গেও পরিচিত হচ্ছে হিম্বারা। বিজ্ঞানীরাও তাই হিম্বাদের উপর মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়ে বুঝে নিতে চাইছেন আধুনিক সভ্যতা আমাদের মনকে কীভাবে পরিবর্তিত করেছে। এই প্রাচীন জনজাতির মানুষের আধুনিকতার দিকে যাত্রাপথের শুরুকে বিজ্ঞানীরা খুব যত্নসহকারে খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করে বুঝে নিতে চাইছেন ঠিক কীভাবে আধুনিকতার বিভিন্ন অভিনবত্বের সঙ্গে মানব-মন মোকাবিলা করে। সোজা কথায় আধুনিকতা ঠিক কীভাবে মনকে পরিবর্তিত করে। এবং বিজ্ঞানীরা যতটুকু বুঝতে পেরেছেন তা খুবই চিত্তাকর্ষক। আমরা, 'আধুনিক মানুষেরা' আমাদের চারপাশকে যেরকম দেখি, হিম্বারা সেভাবে দেখে না।

    আধুনিকতা আমাদের বাস্তব-বোধ ও দৃষ্টিভঙ্গিকে সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছে এমন ইঙ্গিত আমরা প্রথম পাই ভিক্টোরিয়ান যুগের নৃতাত্ত্বিক ডবলু এইচ আর রিভার্সের (WHR Rivers) পরীক্ষানিরীক্ষা থেকে। বিশ শতকের একদম শুরুর দিকে তিনি অস্ট্রেলিয়া এবং পাপুয়া নিউগিনির মধ্যবর্তী টরেস স্ট্রেইটের দ্বীপগুলিতে যেসব উপজাতি বসবাস করে, তাদের ভিতর নানারকম 'সেন্সরি টেস্ট' পরীক্ষা করে দেখেন। এই টেস্টগুলির মধ্যে ছিল, অতি বিখ্যাত মুলার লাইয়ার ইলিউশান ( Muller-Lyer illusion)। একবার নিজেরাই পরীক্ষা করে দেখা যাক।



    বাস্তবে A এবং B সরলরেখা দুটির দৈর্ঘ্য একেবারে সমান। বেশিরভাগ মানুষ, আমাদের মতো যারা, অর্থাৎ আধুনিকতার সুযোগ-সুবিধাপ্রাপ্ত, দ্বিতীয় লাইনটিকে (B) বড় মনে করে। এমনকি পশ্চিমী সভ্যতা দ্বারা প্রভাবিত মানুষ দ্বিতীয় লাইনটিকে ২০% দীর্ঘ মনে করে। অথচ টরেস আইল্যান্ড সমূহের উপজাতীয়েরা কিন্তু এই দৃষ্টিবিভ্রম দ্বারা বিভ্রান্ত হয় না, বিজ্ঞানী রিভার্স লক্ষ্য করেছিলেন। ওখানকার প্রায় প্রতিটি মানুষ দুটি সরলরেখাই যে সম-দৈর্ঘ্যের তা বলতে পেরেছিলেন। পরবর্তীকালে এই একই এক্সপেরিমেন্ট দক্ষিণ ভারতের টোড়া উপজাতির মানুষদের মধ্যেও করা হয় এবং কী আশ্চর্য, এখানেও পরীক্ষার ফল পাওয়া গেল একই। অর্থাৎ এই উপজাতীয় সবাই বলতে পারছে সরলরেখা দুটি একই দৈর্ঘ্যের। অন্যান্য আরও বেশকিছু প্রাচীন জনগোষ্ঠীর ভিতর এই পরীক্ষা করে অনুরূপ ফল পাওয়া গেল।

    এটা একটা অসম্ভব শক্তিশালী আবিষ্কার। ছোট্ট এই পরীক্ষার ফলাফল আমাদের বুঝিয়ে দেয়, যে সবচেয়ে সাধারণ ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য ধারণাগুলি, যা আমরা মনে করি আমাদের মস্তিষ্কে অনাদিকাল ধরে একদম গেঁথে আছে, সেই ধারণাগুলিও বস্তুত আমাদের দৈনন্দিন জীবন-যাপন ও সংস্কৃতি প্রভাবিত। এই দৃষ্টিবিভ্রমটি সম্পর্কে একটা তত্ত্ব হল যে, আধুনিক মানুষ ঘর জাতীয় 'কার্পেন্টেড কর্নার'-এ বেশিরভাগ সময় অতিবাহিত করে। এইরকম পরিবেশে যদি কোনো বস্তুর প্রান্তের কোনাগুলি বাইরে থাকে তবে বস্তুটি দূরে আবার প্রান্তের কোনগুলি যদি ভিতরের দিকে থাকে তবে বস্তুটির এই প্রান্তটি দর্শকের কাছাকাছি থাকে (চিত্র ২)।



    আমরা যখন কোনো ঘরের ভিতর ঢুকি, মস্তিষ্ক ঘরের ভিতর বা কোনো কাঠামোর ভিতর রাখা বিভিন্ন বস্তুর দূরত্ব, খুব দ্রুত ক্যালকুলেশন করে ফ্যালে। এর জন্য মস্তিষ্ককে 'ভাবতে' হয় না। এক্ষেত্রে কিন্তু এই প্রক্রিয়াটি ব্যাকফায়ার করেছে। ফলে একই দৈর্ঘ্যের দুটি রেখাকে একটিকে প্রশস্ত এবং অন্যটিকে সঙ্কুচিত করেছে। এটা একটা উদাহরণ। কিন্তু এই উদাহরণ থেকেই বোঝা যায়, আধুনিক সভ্যতা কীভাবে আমাদের অনুধাবিত জগতকে বদলে দিয়েছে।

    বিভিন্ন দিক থেকে তাই হিম্বাদের জীবন এবং পারিপার্শ্বিক জগতকে দেখা আমাদের থেকে একদম আলাদা, কখনো বা বিপরীত। কেননা হিম্বারা মূলত ছোট ছোট দলে কাঠ দিয়ে বানানো কুড়ে ঘরগুলিতে বাস করে। কুড়েগুলি হয় একটা পবিত্র আগুনকে ঘিরে। মনে করা হয়, এই পবিত্র আগুনের দ্বারাই হিম্বারা তাদের পূর্বপুরুষের সঙ্গে আধ্যাত্মিক যোগসূত্র রক্ষা করেন। দৈনন্দিন জীবন বলতে, আগেও বলেছি পশুপালন ও পশুচারণ। ফলে এরা প্রায়ই নতুন নতুন চারণক্ষেত্রের দিকে সরে সরে যায়। নির্দিষ্ট ঠিকানা, বাড়ি, জমিজিরেত নেই, সত্যি বলতে কী, এ আমরা ভাবতেও পারি না।

    বিজ্ঞানী জুলস ডেভিডফ (Jules Davidoff) ও তাঁর দল হিম্বাদের জীবনযাত্রার প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল থেকে হিম্বাদের জীবনযাপন প্রত্যক্ষ করেছেন। হিম্বাদের গ্রামপ্রধানের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে ওঁদের উপর মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়েছিলেন। এইসব পরীক্ষা সাধারণত ক্রালের (ক্রাল— ছোট ছোট দলগুলি একত্রে যে ঘেরা জায়গাতে বসবাস করে তাকে ক্রাল বলা হয়।) বাইরে করা হত। ডেভিডফ পরে জানিয়েছিলেন যে তাকে একবার ক্রালের ভিতর আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তিনি লক্ষ্য করেছিলেন যে এঁদের কুটিরগুলিকে অনায়াসে প্রস্তর যুগের বলে মনে হয়। কিন্তু তাই বলে এঁদের কোনো অভাব-অনুযোগও নেই। মোটামুটি সবাই স্বাস্থ্যবান। ডেভিডফ পরে মন্তব্য করেন, অনেক দিক থেকেই এঁদের জীবন ভীষণ সুন্দর, স্বাভাবিক ও পরিপূর্ণ। খুবই সংবেদনশীলতার সঙ্গে ডেভিডফ যে সব পরীক্ষা বা সেন্সরি টেস্ট করেছিলেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হল, এবিংহউস ইলিউশান (Ebbinghaus Illusion)।



    আধুনিক সভ্যতা দ্বারা প্রভাবিত মানুষ আমরা, প্রথম ছবির কেন্দ্রীয় কমলা রঙের বৃত্তটিকে দ্বিতীয়টির কেন্দ্রীয় কমলা রঙের বৃত্তটি অপেক্ষা ছোট দেখি, যখন কিনা দুটি বৃত্তই সমান আকারের। ডেভিডফ এবং তাঁর টিমের সদস্যরা কিন্তু অবাক হয়ে লক্ষ্য করেন যে হিম্বারা এই ধরণের দৃষ্টিবিভ্রম দ্বারা বিভ্রান্ত হয় না। প্রায় সকলেই বলে দিতে পারে দুটি বৃত্তই একই আকারের।

    এই পরীক্ষার ফল আমাদের বলে দেয় যে ছোটছোট ডিটেইলসের প্রতি হিম্বাদের মনঃসংযোগ আমাদের থেকে অনেক যত্নবান ও নিখুঁত। এর পরে আরও জটিল কিছু পরীক্ষা করেও দেখা গেছে, হিম্বারা অনেক সহজে পারিপার্শ্বিকের বিক্ষিপ্ততা বা ডিস্ট্রাকশন উপেক্ষা করতে পারে এবং ছোট ছোট ডিটেইলসগুলির উপর মনোযোগ দিতে পারে।

    হিম্বাদের বিস্ময়কর মনোযোগের একটা ব্যাখ্যা হল, পশুচারণের সময় ও প্রতিপালনের সময় প্রতিটি পশুকে নিখুঁত ভাবে চিহ্নিতকরণ এবং সেইমতো আগলে রাখা। এছাড়া বিস্তীর্ণ চারণভূমির ভিতর পশুগুলিকে চরাবার মতো আপাতদৃষ্টিতে বৈচিত্রহীন কাজটি, দীর্ঘসময় করবার অনুশীলনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কিন্তু কারণ যাই হোক এইসব পরীক্ষানিরীক্ষা দ্বারা একটা কথা খুব স্পষ্ট যে হিম্বারা তাদের পারিপার্শ্বিক জগতকে অনেক নিরপেক্ষ ও নৈর্ব্যক্তিক ভাবে দেখে এবং আধুনিক সভ্যতার সুবিধেগুলি যে বিক্ষিপ্ততা তৈরি করে, সেইসব হিম্বাদের মনোযোগকে ক্ষুণ্ণ করে না। আধুনিক সভ্যতার ভোক্তা মানুষ হিসেবে আমরা আর কোনোদিনই এই অবিচলন অর্জন করতে পারব না। হিম্বারা বা অন্যান্য যে সব এখন পর্যন্ত আনটাচড উপজাতিয় জনগোষ্ঠীর মানুষ এখনো টিকে আছে, তারাও আধুনিক সভ্যতায় এই বিরল গুণটি ক্রমে খুইয়ে ফেলবে এবং 'বাস্তবতা' অনুধাবন করবার স্বাভাবিক আধ্যাত্মিকতা থেকে দূরে সরে যাবে।
    কৃতজ্ঞতাঃ https://www.bbc.com/future/article/20170306-the-astonishing-focus-of-namibias-nomads  (অনুসরণে)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১২ নভেম্বর ২০২১ | ১৫০৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন