এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • দরকার এই যুদ্ধব্যবসায়ীদের কষে বাটাম দেওয়া

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৭ অক্টোবর ২০২১ | ১৯৭৭ বার পঠিত | রেটিং ৪.৮ (৬ জন)
  • কুমিল্লার ঘটনায় এবং তার পর বাংলাদেশে পুজোর সময় বহু মন্ডপ আক্রান্ত। সবাই জানেন। যেটা জানা নেই, সেটা হল, হিন্দু 'ভির'রা কী করছেন? নিন্দায় ফেটে পড়েছেন? মিছিল-টিছিল করেছেন? বাংলাদেশ দূতাবাসে ডেপুটেশন দিয়েছেন? নিদেনপক্ষে নিন্দে করে একটা বিবৃতি? ছাপ্পান্ন ইঞ্চি কি একটা চিঠিও লিখেছেন? নাঃ। বালাই ষাট। বরং উল্টোটা। তথাগত রায় বলেছেন, বাংলাদেশে হিন্দুরা ভালো আছেন। সে হয়তো হাসিনার আমলে হিন্দুরা সব মিলিয়ে ভালই আছেন, কিন্তু কুমিল্লার ঘটনার পর, নিন্দা নেই, হুঙ্কার নেই, স্রেফ মিনমিন করে বলা, হিন্দুরা তো ভালই আছেন। ভাবতে পারছেন? এই নাকি হিন্দু 'ভির'? 
     
    ওদিকে বাংলার মুসলমানের মুক্তিসূর্য আব্বাস কী বলেছেন? হেবি হুঙ্কার  ঝেড়েছেন। হনুমানের পায়ের কাছে কোরান? হালুম। যা শুনে  টের পাওয়া গেল, ভোটে হেরেও উনি বাংলায় আছেন। নুসরতকে গাছে বেঁধে পেটাতে পারেননি, তাই দ্বিগুণ জোরে ইসলাম রক্ষার্থে চিল্লাচ্ছেন। এই নাকি মুক্তিসূর্য, তাগদে শৌর্য, পেশিতে বীর্য, ভাবতে পারছেন? তার উপরে তথাগত আর আব্বাসের কী মিল কী মিল। সাধে কি আর কাজি নজরুল লিখেছিলেন, মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম, হিন্দু মুসলমান আরেসেস তার নয়নমনি আব্বাস তার প্রাণ।
     
    তো, মোদ্দা কথাটা হল, এরা দুইটিই ভাই-ভাই। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এরা কেউই চায়না। সমস্যার সমাধান কেউই চায়না। চায় স্রেফ ফায়দা লুটতে। সাম্প্রদায়িক গোলমাল বাংলার বুকে বৃটিশদের উপহার। তার ফয়দা বৃটিশরা চলে যাবার পরে, এরা লুটে চলেছে। দুই পারেই। এরা চায় ঝামেলাটা থাকুক। ওপারে 'ইছলাম বিপন্ন' বলে সম্পত্তি লুটবে, আর এপারে 'হিন্দু খতরে মে' বলে বিএসএফ লেলিয়ে দেবে ( ইতিমধ্যেই সীমান্তের ৫০ কিলোমিটার  পর্যন্ত বিএসএফএর বাটামের ব্যবস্থা হয়ে গেছে)। ব্যস। এর খুব ভালই জানে, কোথায় কোন হনুমানের কোলে কোরান দুললে ইসলাম বিপন্ন হয়না। মন্দিরে গোমাংস ঠেকিয়ে দিলেও হিন্দুত্ব গোল্লায় যায়না। এতই ঠুনকো হলে এতদিনে এসব উঠে যেত। অবশ্য ধর্মগুলো এত ঠুনকো হয়ে  এরকম করেই উঠে গেলে ভাল হত কিনা, সে অন্য কথা। কিন্তু মোদ্দা ফান্ডা হল যুদ্দু চাই। বেশি না, অল্প অল্প করে। যাতে ফায়দা লোটা যায়। 
     
    পঁচাত্তর  বছর হতে চলল, এই ফায়দা লোটা চলছে। এবার বন্ধ হওয়া দরকার। এবং আর দরকার এই যুদ্ধব্যবসায়ীদের কষে বাটাম দেওয়া।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 49.37.39.36 | ১৭ অক্টোবর ২০২১ ১০:৪৬499685
  • পিপিপি, কংগ্রেস, আর আওয়ামী লিগ এবং ব্বিভিন্ন গোত্রের বামপন্ন্থী পার্টি , এই পার্টি গুলো ক্রেডিবিলিটি নষ্ট হওয়ায়, আমরা সংখ্যাগুরু রা ভাবছি, ভীষণ ফেডেরালিজম হচ্ছে, ভীষণ স্থানীয় বিবিধ জাতি নির্মাণ হচ্ছে, আঞ্চলিক অ্যাসপিরেশন তার নেগোশিয়েটিং পাওয়ার বাড়াতে পারছে, অথচ অন্য দিক থেকে দেখলে, তিনটে দেশের সংখ্যালঘুদের অবস্থা খারাপ হয়েছে।  এবং অর্থনৈতিক অসাম্য ও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। এবং রেজিস্টান্স ও সহাবস্থান দুটোর ধারণার ই বারোটা বাজানো হয়েছে। 
     
  • | ১৭ অক্টোবর ২০২১ ১০:৫৯499686
  • আমি যা যা জানলাম সেসব এত ডিস্টার্বি....  দাঁড়াও একটা পুরো লেখার চেষ্টা করছি।
  • | ১৭ অক্টোবর ২০২১ ১১:০০499687
  • *ডিস্টার্বিং
  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 49.37.39.36 | ১৭ অক্টোবর ২০২১ ১১:০৬499688
  • অ্যাকচুয়ালি যুদ্ধ তে কারো আগ্রহ নেই, পয়সা খেয়ে যুদ্ধাস্ত্র কেনাই যেখানে রীতি, সেখানে সিরিয়াস সমর সজ্জাটা কোন উদ্দেশ্যই না। ডিফেন্স রিসারচ , ম্যানুফ্যাকচারিং হলে তো তাও  দুইটা চাগরি হয়, বিজ্ঞান হয়। 
    মানে সেটা অন্তত এই যা চলছে, তার থেকে বেশি ট্রান্সপেরেন্ট এবং এবং অপেক্ষাকৃত কম শঠতায় পরিপূর্ণ। এদের যুদ্ধু যুদ্ধু ভাবে আগ্রহ বেশি, পাড়ার মস্তানি, যে যেখানে দুর্বল তাকে কোনঠাসা করা, তার সম্পত্তি অধিকার করা, তাকে প্রকোষ্ঠে ঢোকানো, তার পাবলিক ভিসিবিলিটি টাকেই প্রশ্ন চিহ্নের মুখে ফেলা, তাকে দেখতে গিয়ে মূলধারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এই সব ধুয়ো তোলা ,  এই অব্দি দৌড়। যুদ্ধে যে ন্যুনতম বীরত্ত্ব লাগে তার বিন্দুমাত্র রেশ নাই। গোটাটাই অসম্ভব বিরক্তিকর সিনিকাল বাল প্রকল্প। পুজোর সময়ে হিন্দুদের উপরে গত কয় বছরে অত্যাচার বাংলাদেশে জাতীয় ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। 
    হ্যা দেখতে ভালো ই লাগে, হাসিনা কড়া স্টেটমেন্ট দিচ্ছে, পুলিশ অনেক কে অ্যারেস্ট করছে, (ফেক নিউজ বাদ দিয়েই) কারণ আমরা তো আবার দাঙ্গার পরে পাগড়ি (মুজফ্ফরনগর) ও ফুল (গুজারাট) উপহার দেখতে অভ্যস্ত, সিভিল রাইটস ওয়ার্কার দের জেল (দিল্লী) দেখতে অভ্যস্ত। কিন্তু বাংলাদেশে হিন্দু দের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে সে দেশের সরকারকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যক্তিগত ভাবে আমাদের যে সব আত্মীয়রা আছেন, তাদের এলাকায় র‌্যাব দিয়ে ঘিরে পুজো হয়েছে। 
     
    ফ্র‌্যাংকলি এটা বিশ্বাস করা কঠিন,, এক্জন বাংলাদেশী কোণঠাসা হিন্দু বিশ্বাসী লোকের সাহস হবে, নিজের বা পাশের পাড়ার পুজোয় গিয়ে কোরাণ নিয়ে ছেলে খেলা করার। সুতোরাং এটা অ্যামেচার জব যদি হয় খুব অবাক হব। এটা সিনিকাল কোন শক্তির কাজ বলেই মনে হয়, বা অন্তত একটা ঘটনা ঘটার পরে প্রচুর কো অর্ডিনেশন করে কাজ হচ্ছে এটা পরিষ্কার।
    বাংলাদেশি কাগজ গুলোর মধ্যে ডেইলি স্টার এ রিজনেবল  রিপোর্টিং দেখলাম। 
     
    আর আমি সত্যি ই খানিকটা অবাক, তৃণমূল এই বি এস এফ এর জুরিসডিকশন বাড়ানো টা নিয়ে চেঁচামেচি মামলা করছে না কেন, এটা রাজ্য সরকারের এক্তিয়ার এবং বেসিক কনসেপ্টের উপরে সবচেয়ে বড় আঘাত। হয়্তো ছুটি খুললে করবে। 
    যদিও বিষয়টা একেবারেই আলাদা। 
  • বিপ্লব রহমান | ১৮ অক্টোবর ২০২১ ০৭:২১499732
  • পশ্চিমবঙ্গে ভোটের বাজারেই বলেছিলাম, ভাইজানকে যারা মডারেট মুসলিম বলে ভাবছেন, তারা পুরোপুরি ভুল করছেন। পীরজাদা আসলে অর্ধশিক্ষত জিহাদী তালেবান ছাড়া কিছু নন, টাইগার বাম বা ঝান্টু বামের মাথায় লবণ রেখে বড়ই খেতে তিনি খুবই ওস্তাদ! 
     
    নইলে পবিত্র কোরআনের অপমান এতই সহজ? তার মান সন্মান এতই ঠুনকো? 
    তাছাড়া বাংলাদেশের হিন্দুরা আর যাই হোক, এতটা বোকা নন যে, কোরআনের অবমাননা করে দেশজুড়ে দুর্গা পূজা বানচাল করতে চাইবেন!
     
    চতুর আব্বাস এই নেপথ্য ও সস্তা ছকটিকে উন্মোচন না করে বরং আরও মুরিদ টানতে এই হট ইস্যুকেই কাজে লাগলেন। এইবার পুরোপরি খোলস ছেড়ে কল্লা নামানোর কথা বললেন তিনি! (বলুন, নারায়ে তাকবীর!) 
     
    এই নব্য সাঈদী লইয়া আমরা কী করিব? 
     
     
  • bodhisattvagc dasgupta | ১৮ অক্টোবর ২০২১ ১১:২৯499745
  • এই দুটো স্টেটমেন্ট ও সোশাল মিডিয়া তে ঘুরছে। আব্বাস সিদ্দিকী র ভিডিও যদি ইন‌ এনটায়ারিটি সত্যি হয় , তাহলে প্রথম স্টেটমেন্ট টি ড্যামেজ কন্ট্রোল। দ্বিতীয় টি টেম্পার্ড এবং আশানুরূপ।
     
    তবে বিতর্কিত ভিডিওটির মধ্যে একটি বিষয় আছে,  পবিত্র গ্রন্থের অপমান যে করেছে তার চরম শাস্তির দাবী ইত্যাদির মধ্যে কোথাও বলা নেই সেই শাস্তি শুধু অমুসলমান এর প্রাপ্য কিনা। স্টেটমেন্ট টিতে সেটাকেই ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কোরাণের অপমান জিনিসটার প্রিমাইস কে নিয়ে আলাদা করে কিছু বলা হয় নি।
     
     
     
  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 49.37.39.36 | ১৮ অক্টোবর ২০২১ ১২:৪২499748
  • কতগুলি বিষয় বস্তু ক্লিয়ার করে বলি ঃ 
    ১- ইউরোপীয় বামপন্থী দের ক্লাসিকাল অবস্থান হল, ধর্মাচার বিরোধী। কারণ ইউটিলিটারিয়ান দের চিন্তায় এবং এনলাইটেনমেন্ট এর পিরিয়ডে  চার্চের সর্বময় কতৃত্ত্ব কে চ্যালেণ্জ করার বিষয় ছিল।  রাষ্ট্র এবং ক্যাপিটালিজম দুটো কেই  ধর্মের তুলনায় অন্তত প্রোগ্রেসিভ ফোর্স বলে ধরা হয়েছে এই মতে। 
    রাজনীতি করতে গেলে একটু যোগ করতে হয়, পোল্যান্ডে সোভিয়েত রেজিমের বিরুদ্ধে যে রেজিস্টান্স গড়ে ওঠে, সেটার অনেকটা জুড়ে চার্চ ছিল। লেচ ওয়ালেসার সলিডারিটি আন্দোলনে,  ভ্যাটিকানের ভূমিকা নিয়ে প্রচুর লেখা লিখি পরে পশ্চিমেই হয়েছে। আমরা ৮৬-৮৯ পশ্চিমবঙ্গে বসে, আন্না আখতামোভার স্পিরিচুয়ালিটি নিয়ে শুভরঞ্জন দাশগুপ্ত র এখা পড়েছি, পাশাপাশি, আনন্দবাজার গোষ্ঠীর ও আন্তর্জাতিক মেডিয়াতে সোভিয়েত পতনের উল্লাস প্রত্যক্ষ করেছি। ধর্মজীনতার পাপের ফল ইত্যাদি ও শোনা গেছে।   সাধারণ ভাবে বলতে গেলে আমরা যারা ভারতীয় উচ্চবর্ণ লিংগ এবং ধর্মীয় সংখ্যাগুরু, আমরা বুঝি নি, ঠাকুর দেবতার চর্চা ব্যক্তিগত ভাবে করলে দেশের কি সমস্যা। জ্যাঠা বাবা কাকা রা কমিউনিষ্টি গুষ্টি হওয়ায়  সিপিএআই সিপিএম বা নকশালরা প্রত্যেকেই বাড়িতে পুজোয় অংশগ্রহণ করেছেন দেখেছি, আবার কংগ্রেসী দের মত বারোয়ারি পুজোর উদ্যোক্তা হন নি তাও দেখেছি, যে মূল্যবোধ গুলো এখন হাস্যকর বলেই মনে করা হয়। অথচ ভারতে সংখ্যাগুরুর ভ্যান্টেজ অবস্থান থেকেই করা হয়, খুব বিশাল চিন্তায় মুক্তু এসেছে বার্লিন ওয়াল ভেঙ্গে গিয়ে এমন কিসু না।   
     
    ২ - এই মডেল কলোনীতে অনেক সময়েই চলে নি, কারণ আর কিছুই না, রেজিস্টান্স অনেক সময়েই চার্চের হাত ধরেও হয়েছে। খোদ ইউরোপেও ফ্যাসিস্ট আমলে ইটালিতে রেজিস্টান্স এর সমর্থন করেছে লোয়ার ক্লার্জি। এটার ই নিজস্ব রূপ দেখা গেছে লাতিন আমেরিকায়, নিকারাগুয়া বিপ্লবে এবং ব্রাজিলে অন্য অনেক জায়্গায়।  
     
    আধুনিক সিরিয়াস মেডিয়াভালিস্ট রা , এটাও দেখিয়েছেন, চার্চের কবলে পড়া অন্ধকার ইউরোপের মধ্যেও, নানা পরবর্তী কালে য গুলোকে সেকুলার চর্চা বলা যায়, তার ধারা অব্যাহত ছিল। 
     
    ৩। ইসলামিক ওয়ার্ল্ডে বাড়তি যেটা সমস্যা সেটা দুটো - সেটা হল, ইতিহাসের ইউরোপীয় পিরিয়ডিক স্ট্রাকচারে মধ্যযুগের যে সময় টাকে অন্ধকার যুগ বলা হয়েছে এবং সারা পৃথিবীর হিস্টোরিওগ্রাফিতে কলোনিয়াল এক্সপ্যানসনের পরেও ব্যবহার করা হয়েছে, সেখানে ধরুন্ণ একাদশ শতাব্দী থেকে পঞ্চদশ শতাব্দী অব্দি যখন ক্রিশ্চিয়ান জগতে ইনকুইশিজন এর, ক্রিশ্চিয়ান জিহাদী স্পিরিট এর বাড়াবাড়ি চলেছে, সেই সময়েই ইসলামিক ওয়ার্ল্ডেই নানা জ্ঞানবিঞানের চর্চা হয়েছে।  
     অন্য দিকে কলোনিয়াল এক্সপ্যানসন নানা ধরণের কনজারভেটিভ ইসলামের স্ট্র‌্যান্ড কে ব্যবহার করা হয়েছে। 
     
    মিডল ইস্ট , আফগানিস্তান সর্বত্র এই জিনিস হয়েছে। 
     
    ৩। ১৯৮৯ এর পর থেকে মাল্টিইকালচারাল ওয়েলফেয়ার স্টেট মডেল যেটা এমার্জ করেছে , সেটাতে প্রোগ্রেসিভ ইনক্লুশন er ব্যাপার রয়েছে, ব্যক্তিগত ধর্মচর্চা শুধু না, কমিউনিটি রিপ্রেজেন্টেশন এ ভারতের মতই বিশ্বাসী ছাড়া আর কারো জায়্গা সঙ্কুচিত হয়েছে। 
     
    তেমন ই, সেই স্টেট কে নানা কনজারভেটিভ গ্রুপ দখল করার চেষ্টা করেছে, পজিটিভ ডিসক্রিমিনেশন এর ক্যাটিগোরি গুলিকেও ব্যবহার করেছে। 
     
    ৪। বাংলাদেশের সিভিল ওয়ারের একস্পেরিয়েন্স রয়েছে, সেদেশের সেকুলার রা তাদের রাষ্ট্র চরিত্রকে নতুন করে উদ্ধার করতে চেয়েছে, অন্যদিকে সমাজে রক্ষনশীল দের প্রভাব বেড়েছে। 
     
    ৫। পশ্চিমবঙ্গে , যেখানে একদা রজানীতিবিদের ধর্মাচরণের স্বতসিদ্ধটি ছিল, কংগ্রেসী দের বারোয়ারি পুজো আর তার সোশাল অ্যাকসেপটান্স, তেমনি বামরা বারোয়ারি পুজো করেনা বলেই সামাজিক ভাবে জনপ্রিয় না ইত্যাদি মতামত ও প্রচুর দেখা গেছে এখনো যায়। অন্যদিকে এটা ছিল হিন্দু পাবলিক ধর্মাচারের আভ্যন্তরীন বিতর্ক। 
     
    ২০০৭-২০০৮ এ সাচার কমিটির রিপোর্ট এই ডিনামিক টা কে খানিকটা বদলায়। মুসলমান দের রিপ্রেজেন্টেশন সরকারী কাজে না থাকায় , বামফ্রন্ট সরকার সমালোচিত হয়। এর আগে তসলিমা বিতর্ক ঘটে। আরো নানা ঘটনা ঘটে। এবং ১৯৮৪ তে আর ১৯৯২ তে পশ্চিমবঙ্গে বড় কিছু ঘটেনি সকলেই ভুলে যায়। ১৯৬৭ র পর থেকে বড় কোন সাম্প্রদায়িক উশ্কানি ঘটানো যায় নি সেটাও ভুলে যায়। 
    এর পরে মমতা পোলিটিকাল ইসলাম এর ভারতীয় চেহারার কিছু লোক জনকে রাজনীতিতে আনেন, সেই মমতা যিনি এন ডি এ r সঙ্গে অ্যাকচুয়ালি সরকারে থেকেছেন। তো মেডিয়ার আশীর্ব্বাদে সেটিও অনেকদিন চলে। এর পরে বিজেপির নতুন উত্থানে নতুন অ্যাগ্রেসনে মমতার দলের রাজনীতিবিদ রা নানা রকম কান্ড শুরু করেন। দল বদল ছাড়াও, পুরোহিত ভাতা, খোল কর্তাল প্রদান, পুরুষোত্তম উতসব ইত্যাদি শুরু হয়। যে গভরনান্স মডেল টা মেডিয়ার সমর্থন পেতে শুরু করে সেটা স্টেটাস কুয়োর রাজনীতি, মুসলমান কনজারভেটিভ রা সামাজিক  প্রকোষ্ঠে থাকুন , রাজনীতিতে মমতার সঙ্গে থাকুন, আর হিন্দু পোলিটিইইকাল কনজারভেটিভ র বিজেপি করুন বা তৃণমূলেই থাকুন বা গতায়াতের মধ্যে থাকুন। ইত্যাদি। 
    এবং এর পরে পঞ্চায়েতের দুর্ণীতি , সাউথ বেঙ্গলে আম্ফান ইত্যাদির পরে নানা রকম দুর্নীতির ঘটনায় আব্বাস সিদ্দিকীর উত্থান ঘটে। দুর্ণীএতি কিছু যদি নাও ঘটতো, তাহলেও বুঝতে হবে, তৃণমূল বিকেম টু বিগ আ চার্চ , এবং নানা ধরণের অ্যাসপিরেশন কে বা গভরনান্স ফেইলইওর কে অ্যাড্রেস করা জন্য নেতা আসতো ই, সিদ্দিকুল্লা এবং তহা সিদ্দিকীর পোলিটিকাল ক্রেডিবিলিটি তাঁরা নিজেরাই ধরে রাখেন নি, অথচ ওনারা পাওয়ারফুল নেতা। 
     
    আই এস এফ কি ভাবে চলবে, তার আদৌ কোন জেনেরাল ক্রেডিবিলিটি থাকবে কিনা  , নাকি এ আরো প্রকোষ্ঠিকৃত হবে তার ব্যাপার। তবে মালটিকালচারালিজম , যেটাকে আধুনিক ওয়েলফেয়ার স্টেটের ফ্লড কিন্তু ওয়ার্কিং মডেল বলে ধরা হয়, সর্বত্রই, আমাদের দেশে বাংলাদেশে ইত্যাদি, তার মধ্যে দুইটা বড় গলতা , এক হল, ক্লাস রিপ্রেজেন্টেশন ভাঙ্গতে গিয়ে কমিউনিটির রিপ্রেজেন্টেশন কে বেশি গ্রহণযোগ্য করতে গিয়ে কনজারভেটিভ লিডারশিপ কে সেন্টার স্টেজ ছেড়ে দেওয়া, অন্যদিকে অর্থনৈতিক বিষয়ের অসাম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গুলিকে পুরোনো রাজনীতির রেলিক হিসেবে দেখা , আর ইনভেস্টমেন্ট এর জন্য ক্রোনি ক্যাপিটাল এর উপরে নির্ভরশীলতা , এই অমস্যা থাকবে। এবং আই এস এফ উঠে গেলেও, তৃণমূল বা কংগ্রেস একাই সমস্ত পশ্চিম বঙ্গ বা ভারতের সমস্ত বিশাবী মুসলমানের রাজনৈতিক সংগঠন হয়ে কখনৈ উঠবে না। সংখ্যালঘুরা যঅতই প্রকোষ্ঠীকৃত হোক, তাতে কনজারভেটিভ ল্বেরাল সব রকম ভয়েস ই নানা স্ট্রেংথে থাকবে। 
    আব্বাস সিদ্দিকী ভোটের আগে বলেছিলেন ভাতা চাই না, শিক্ষা চাই, চাকরি চাই, তাই একটা সিট পেয়েছিলেন, বামেদের সমর্থন পেয়েছিলেন। তৃণমুলী বাহুবলীদের এলাকাতেও । সেটা না বললে শুধু ইসলামের বিশুদ্ধতা রক্ষার কথা বললে সিট পেতেন কিনা সন্দেহ। 
     
      
  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 49.37.39.36 | ১৮ অক্টোবর ২০২১ ১২:৫৭499750
  • ঠিক একি কারণে সিদ্দিকুলারা সিট পেয়েছিলেন। এবং মজাটা হল, সিদ্দিকুল্লা, সিদ্দিকী গণ সবার ছায়াতেই নতুন করে যেটা হয়েছে , এবং স্বল্পালোচিত , সেটা হল, জমির রাজনীতিতে যেখানে ভূমিক সংস্কারে জোতদার মুসলমান দের জমি গেছিল সেটা নতুন করে কন্সোলিডেটেড হয়েছে , বীরভূমে এটা কমন এস্কপেরিয়েন্স, এবং কৃষিতে রিটার্ন অফ ইনভেস্টমেন্ট না থাকায়, সেখানকার জমি ও ক্যাপিটাল নানা ভাবে অন্য ইমারতি, বালি খাদান পাথর সাপ্লাই বা টুরিজম বা ট্রান্সপোর্ট এবং লো লেভেল ইঞ্যীনিয়ারিং এর ব্যবসায় আসছে। 
     
    আমাদের দেশে কৃষি জমির হোল্ডিং এর ডেটা নিয়ে আকাডেমিক কাজ হয়েছে, কিন্তু জমির ট্রান্সফর্মেশন এর লোয়েস্ট লেভেল র ডেটা নিয়ে ছোটো অঞ্চলের কাজ , কম্পুটেশন কে কাজে লাগিয়ে বেশি হয়েছে কিনা জানি না। ধরুন পিকেটিরা যেরকম ওয়েল্থ ইন্কাম ডেটাবেসের কাজ করেছেন, সেরকম বীরভূমে হলে খুব ই ইন্টারেস্টিং হত, শুধু জমির মিউটেহ্সন ডেটা, লীজ হোল্ডিং ডেটা দেখলেই হত। রাজনীতির অনেক প্রশ্নের উত্তর ই সেখানে। 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:405a:8dce:198f:e63a | ১৯ অক্টোবর ২০২১ ০০:২৮499781
  • আব্বাসের স্পীচের প্রথমেই শুনলাম, ধর্ম, রসুল ইঃ দের অবমাননা করলে ধড় থেকে কল্লা আলাদা করার আহ্বান । 
    এনার সম্বন্ধে আর কিসু কওনের নাই।  পরিস্কার মানুষ খুনের ডাক দিচ্ছেন, গ্রেপ্তার করা উচিত 
  • একক | ১৯ অক্টোবর ২০২১ ০৩:২৮499783
  • কষে বাটাম খেয়ালি পুলাও। 
     
    গনতন্ত্রের মধ্যে থেকে যেটা করা যায় তা হল ঘোষিতভাবে এথনরিলিজিয়াস ক্লিঞ্জিং এর এগেইন্সট স্ট্যান্ড নেওয়া। যা বিদেশে ঘটচে তার জন্যে বিদেশ মন্ত্রকের উপর চাপ সৃষ্টি করা। আভ্যন্তরীণ ক্লিঞ্জিং এর ক্ষেত্রে দেশের সরকারের ওপর। 
     
    এই দুটো একসঙ্গে করলে বিরোধীদের একটা গ্রহনযোগ্যতা আসবে। তবে ত বাকিসব। যে মালটা নিজে ভিক্টিম সে হেঁদু হোক বা মোল্লা,  তার প্রটেকশন সবার আগে। পরে অন্য জ্ঞান। 
  • বিপ্লব রহমান | ১৯ অক্টোবর ২০২১ ০৩:৫৩499785
  • "আব্বাসের স্পীচের প্রথমেই শুনলাম, ধর্ম, রসুল ইঃ দের অবমাননা করলে ধড় থেকে কল্লা আলাদা করার আহ্বান । 
    এনার সম্বন্ধে আর কিসু কওনের নাই। পরিস্কার মানুষ খুনের ডাক দিচ্ছেন, গ্রেপ্তার করা উচিত"
     
    অরণ্য,  
     
    এ ক ম ত। এপারে এরকম উস্কানিমূলক ফৌজদারী ও বিভ্রান্তিকর ওয়াজ নসীহত করায় সম্প্রতি বেশ কিছু ছুপা রুস্তম জিহাদী মোল্লাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে,  যার শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার পর। 
     
    অবশ্য এর আগে হেফাজত ইসলামসহ  তাবত্  মোল্লাগোষ্ঠীকে   সরকার ভোটের বাজারে বেশ খানিকটা অস্কারাই দিয়েছে। আর এখন সম্ভাব্য ভোটটুকু নিশ্চিত হতেই বোধহয় এই বাটাম! 
     
    বাঘে ধরলে নাকি নিস্তার নিদান আছে, আওয়ামী লীগ ধরলে নাকি তাও নাই! 
     
  • | 2406:7400:63:42db::100 | ১৯ অক্টোবর ২০২১ ০৬:৫৫499795
  • এই ছাগু টা সোজাসুজি মানুষ খুন করার ডাক দিচ্ছে আর আপনি ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বক্কা দিয়ে যাচ্ছেন | ইউরোপ থেকে শুরু করে বাঁকুড়া সব নিয়ে আসলেন , কিন্তু এটা বলতে পারলেন না যে আব্বাস আর তার খেলার সাথি লালটু দের বাটাম দেওয়া উচিত কিনা | 
  • ওফ | 2001:910:1410:600::1 | ১৯ অক্টোবর ২০২১ ০৮:০৮499798
  • একদম পোস্কার করেই লিকেছে। মাথা থেকে পোঁদ অবধি গোবর ভর্তি থাকলে একটা ছোট্ট লেখা পড়েও মানে বুজতে অসুবিস্তা হয়। ইদিকে যুদ্ধের জিকিরও অন্যে দিয়ে দেবে আর এঁয়ারা শুদু আঁচ পোয়াবেন।
    চাড্ডিছাগু ভাইভাই
  • | 2406:7400:63:dd6e::100 | ১৯ অক্টোবর ২০২১ ১২:৩৮499802
  • ওফহো , সব সময় মাথায় পোঁদ নিয়ে ভাবনা চিন্তা ..:)
  • R Ghosh | 223.223.148.52 | ১৯ অক্টোবর ২০২১ ১৫:২০499816
  • ৫৬ ইঞ্চি চুপ ও তার পার্টি চুপ , এর একটাই কারণ, হিন্দু মুসলমান ঐ সব নয়। এরা basically বাঙালী বিদ্বেষী । গত ভোটের বাটামটাই এরা এখনও সামলে উঠতে পারেনি। তাই বাংলাদেশ তো কি হল আরে বাবা বাঙালীতো সব কটা, বাঁচুক মরুক দেখার দরকার নেই, এই হোল মানুষ রূপী গরু-হনুমানদের মানসিকতা।
     
  • DM | 103.42.173.67 | ২০ অক্টোবর ২০২১ ১৬:৫১499884
  • ভাইজান যা বলেছেন একই রকম কথা যদি একজন বাংলাদেশী সংখ্যালঘু বলতেন তারপর কি হতে পারত?
    একদল বাংলাদেশী সংখ্যালঘু যদি এক রেল কামরা সংখ্যাগুরু জ্বালিয়ে দিতেন তারপর কি হতে পারত?
    একদল বাংলাদেশী সংখ্যালঘু ওখানকার পার্লামেন্টে আক্রমণ করলে কি হতে পারত?
    এগুলো কল্পনা করুন শুধু.... 
     
  • | 2406:7400:63:6841::100 | ২০ অক্টোবর ২০২১ ১৭:৫৬499889
  • এই সব ভাবতে বল্লেই পটকা আঁতেল রা পোঁদ নিয়ে কমেন্ট করতে শুরুকরে .
  • | 2406:7400:63:6841::100 | ২০ অক্টোবর ২০২১ ১৮:০০499890
  • এরা আসলে ইনডিরেক্টলি বিজেপির ন্যারেটিভ কে হাওয়া দেয় |  এই সব লালুর দল গিয়ে বিজেপিকে ভোট দেয় |
  • | 2605:6400:30:eccd:5217:b718:cb4e:989f | ২০ অক্টোবর ২০২১ ১৮:০৫499891
  • হ্যাঁরে তোদের ফরেন চোদী কিছু বলেছে? নাকি অরুণাচল আর লাদাখে চীনের অগ্রগতি দেখে ভয়ে শুকিয়ে গেছে? আহা এখন আর ফসসা ট্রাম্পও নেই সৌদির বৌদিও ঢুকতে দিচ্ছে না যে ঘপাৎ করে জড়িয়ে ধরবে।
     
    সেঙ্গার সায়েব যা কয়েছেন তার কিছু বিলিবেবস্তা হল?
    দিলুগরু যা কয়েছেন তার কিছু হল? 
  • | 2406:7400:63:6841::100 | ২০ অক্টোবর ২০২১ ২০:২৭499894
  • না ফরেন চোদি মুখে ছিপি এঁটে বসে আছে | দিলু গরুর কান্ডকারখানা জানতে গেলে তাকে ফলো করতে হবে | 
     
  • | 2406:7400:63:6841::100 | ২০ অক্টোবর ২০২১ ২০:৩০499895
  • তবে লালু দের @&$ মারলে সে চাড্ডি হয় না , তুই বুঝবি না | কারন তুই লালু 
  • বোধিসত্ত্ব দাশগুপ্ত | 49.37.39.86 | ২২ অক্টোবর ২০২১ ১৩:০৮500042
  • যে কথাটা সেদিন তালে গোলে বলা হল না, বিপ্লব কে , সেটা মূলতঃ এরকম। 
     
    আমি এর আগে যা বলেছি, সেটার অনেকটাই আরুজ আলি মাতুব্বার এর স্টাইল কে অনুসরণ করে। কিন্তু মূল কেস টা হল, ভারত আর বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতা কোনদিন ই খুব মৌলিক ভাবে একরকম হওয়া মুশকিল, যদি না, মালটিকালচারাল ওয়েলফেয়ার স্টেটের ওয়ার্কিং মডেল কেই গ্রহণ করা হয় আবার অন্যদিকে সেই মডেলের মূল সমস্যা হল, কমুনিটি লিডারশিপ গুলোতে কনজারভেটিভ নেতৃবর্গ থাকবেই। 
     
    এবার তাইলে দুইটা দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা আলাদা ধরণের হইলে ক্ষতি কি, ক্ষতি নাই, সেটাই স্বাভাবিক , উত্তেজনার  বশে সেটা সব সময়ে সকলের মনে থাকে না সরকার গুলার ও না। 
     
    মেন বিষয় টা হল, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যে এত রক্তের মূল্যে এসেছে, তার লড়াই টা ভাষার এবং ধর্মনিরপেক্ষতার লড়াই, এবং এটা আধুনিক জাতি ও রাষ্ট্র ফর্মেশনের লড়াই। এবার ই লড়াই য়ে দীর্ঘ সিভিল ওয়ার , সিভিল ওয়ার বাংআদেশে মাঝে মাঝে মনে হয় কখনো থামে নি। চলছে তো চলছেই। এবং এটা বাংলাদেশের শুধু না, সিভিল ওয়ার লম্বাই হয়, লেবানন, স্পেন, লাতিন আমেরিকার কিছু দেশে , এক বালকান ওয়ার কসোভো ফর্মেশন এর পরে কিছুটা থেমেছে বলা যায়। এবার এটা বাংলাদেশে সেকুলার এস্টাবলিশমেন্ট এর পক্ষে কড়া হাতে দেখা ছাড়া রাস্তা সম্ভবত রাস্তা নাই । প্রকৃত অর্থে ইনক্লুসিভ ডেমোক্রাসি বাংলাদেশের মডার্ন স্টেট ফর্মেশন এর পথ প্রশস্ত করবে কিনা আমি নিশ্চিত নই। এর মধ্যে দুইটা পার্ট আমি আপনাদের দেশের ইতিহাস বুঝি না বলে জানি না সে কথায় আসছি। শুধু এটুকু বলে নেই , আপনাদের দেশে ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষার লড়াই মূলতঃ আধুনিক সিভিল ওয়ার রেটোরিকের যে আইডিওলোজিকাল স্পেস তার মধ্যে ডিফাইন্ড, যারা ধর্মনিরপেক্ষতা বিরোধী, তাদের গল্প ও তাই, এবং এটাকে আমি আধুনিক স্টেট ফর্মেশন এর সমস্যাই বলব। 
    আমাদের ক্ষেত্রে, ভারতে পার্টিশন ই স্টেট ফর্মেশন এর ভিত্তি হলেও, ধর্ম ও রাজনীতি সংক্রান্ত বিতর্কের ভিত্তি শুধুই আধুনিক স্টেট ফর্মেশনের ঘটনাটির মধ্যে সীমিত না, তার আগে পরে সামাজিক ইতিহাসের দীর্ঘ গল্প আছে। আমাদের ধর্মনিরপেক্ষতার লড়াই শুধু ভায়োলেন্ট হলে চলবে না, এটাই সর্বধর্মসমন্বয়্যের গান্ধিয়ান এবং তাঁর ই নিয়ে আসা ভক্তি আন্দোলনের রেফারেন্স। সেই কারণেই পোস্ট সোভিয়েত মালটিকালচারাল সেকুলার স্টেটের মডেল পশ্চিমে যে রকম সোভিয়েত পতন ও ইমিগ্রেশন এর ফলে তৈরী হয়েছে, আমাদের সে গল্প নাই, আমাদের দেশেই এই মডেল জন্ম নিয়েছে। 
     
    ভারতের রাজনীতিতে, দক্ষিন পন্থী হিন্দুত্ত্ববাদীদের রেটোরিক er তিনটে হিস্টোরিকাল রেফারেন্স । 
     
    ক - প্রথম টা হল, ভারতের আদি গ্লোরি, সেটা একেবারে আদি থেকে মৌর্য্য , গুপ্ত ইত্যাদি  থেকে প্রায় একাদশ শতক অব্দি বিস্তৃত। এর মাঝে সাউথ ইন্ডিয়া , ইস্ট ইন্ডিয়া এক একটা আলাদা ক্যাটিগোরি। কিন্তু এই আর্যাবর্তের গল্প ক্যানোনাইজ্ড হয়ে আমাদের ন্যাশনালিস্ট ট্র‌্যাডিশনে এমনকি সেকুলার ট্র‌্যাডিশনে ইনক্লুডেড। এটাতে শুধু তিনটি চারটি ফোসকা, একটা হল আদি তে নানা সময়ে ক্লাস ফর্মেশনের থিয়োরী , দর্শন চর্চায় মেটেরিয়ালিজম, প্যান্থিয়োন চর্চায় লোকায়ত দর্শন, ক্ষুধা ও  ভায়োলেন্স এর ইতিহাস (সুকুমারী ভট্টাচার্য্য ও উপিন্দার সিং), এছাড়া সেকুলার টেক্স্ট হিসেবে কামসূত্র এবং অর্থশাস্ত্র র নতুন রিডিং (দাউদ আলি) আর আদি কোর্টকালচার হর্টিকালচার ইত্যাদির মধ্যেকার আধুনিক অর্থে সেকুলার গভরনেন্স এর আইডিয়া, স্ক্রিপচার এর পতন ও উত্থান এর রেফারেন্সে। 
     
    খ - এর পরে কলোনিয়াল হিস্টোরিওগ্রাফি, মূলতঃ ব্রিটিশ রাজকে কে ডিফেন্ড করার জন্য বিতর্ক টা কে তথাকথিত অন্ধকার মধ্যযুগে আনছে। এটার কম্ব্যাট ভারতের একটু অন্যরকম হিস্টোরিয়ান রা করার আগে বা শুরুর পরে পরেই, গান্ধী করছেন, মধ্যযুগ টাকে মূলত ভক্তি আন্দোলনের যুগ হিসেবে তুলে ধরছেন, সে কারণে কন্টেস্ট টা ভৌগোলিক স্পেস এর থেকে স্পিরিচুয়াল স্পেসে খানিটা সরে আসচে, এবং এই ভাবেই উনি হিস্টোরিকাল কনটেস্টেশন টা ম্যানেজ দিচ্ছেন, ভক্তি আন্দোলনের মূল কথা, যে কোনো ডিসপেন্সেশনেই, ঈশ্বর এর সঙ্গে সরাসরি ব্যক্তি ভক্তের যোগাযোগ, এটাকেই  উনি কলোনীর আনা মডার্নিস্ট স্টেট এর যে এক্স্প্যানসনিস্ট অ্যাগ্রেসন এবং ক্যাপিটালিস্ট প্রোডাকশনের মডেল, তার বিরুদ্ধের ভারতীয় কমিউনিটি লাইফ এর মডেল হিসেবে আনছেন। এইটেই ওনাকে সাধারণ মানুষের কাছে ঋষি করে তুলছে, বিশেষ করে ছোটো শহরে। বোলপুরে গান্ধী একাধিক বার এসেছেন, সব সময়ে শান্তিনিকেতনেই আসেন নি, এবং সেটা বিহার বাংলার প্র‌্যাকটিকালি রেল লাইন ধরে গান্ধীর জনপ্রিয়তার জোয়ার। এবার এটা আধুনিক স্টেট ফর্মেশন er পক্ষে যতরকম অ্যাসপিরেশনাল মডেল কংগ্রেস এর মধ্যেই ছিল, প্রত্যেকটার সঙ্গে একেক সময়ে ক্ল্যাশ করেছে, উনি নিজে চরম মূল্য দিয়ে কম্প্রোমাইজ করেছেন, কখনো নিজের চরম মূল্য, কখনো দেশের মানুষের জন্য। ইত্যাদি। 
     
    গ - এর পরে রাইট উইং রেটোরিকাল রেফারেন্স স্বাভাবিক ভাবেই, পোস্ট ইন্ডিপেন্ডেন্ট ভারত। তার সঙ্গে কনটেস্টে যা যা এসেছে, সেগুলি এরকম ঃ এবার এটা পোলিটিকাল স্পেস হলেও স্টেট ফরমেশনের পরে, ভূমি পুত্র মুভমেন্ট হয়ে, অথবা সাম্প্রদায়িকতা থেকে সরে এসে ভাষা ভিত্তিক মুভমেন্ট গুলো যে স্টেট ফর্মেশন করছে, তাতে মুসলমানের কোন যায়গা নেই। অর্থাৎ এই সরে আসা টা ধর্মনিরপেক্ষ হয়েছে ঠিক ই, প্রোগ্রেসিভ ও হয়েছে, এবং বর্ণমাদ কে ম্যানেজ দেবার জন্য যে পজিটিভ ডিসক্রিমিনেশন এর যে স্টেট স্ট্রাকচার তৈরী হয়েছে, তাতে মুসলমানের , গরীব বড় লোক নিরপেক্ষে বিশেষ পোলিটিকাল স্পেস নাই, সেই জন্য তাদের পোলিটিকাল বার্গেন আঞ্চলিক শক্তি গুলোর রেফারেন্সে আগু পিছু করে রয়েছে। এটার আবার একটা ভালো দিক এর উত্তর দক্ষিন নাই, এটি ই সর্বত্র। সুতরাং মুসলমানের পক্ষে আমাদের দেশে , গান্ধীর ভক্তিবাদী কমিউনিটি মডেলেই সময়ের অনুপাতে বিষয়ট পুরোনো হলেও তাতে খানিকটা থাকা ছাড়া গতি নাই। সেইটেই আমাদের শোলের একে হাঙ্গল er মত কমিউনিটি মডেল, মাঝে মাঝে শুধু ইতনা সান্নাটা কিউ ইত্যাদি। 
     
    এই দুই ও তিন নং টির সঙ্গে আপনাদের দেশের কোন মিল নাই, কারণ আডিয়োলূজিকাল স্পেস টা সময়টা আলাদা। তাই এবার আপনাদের দেশের ধর্ম নিরপেক্ষতার দুটো জিনিস আমাদের দেশের সেকুলার রা চট করে বুঝবে না, আপনারাও আমাদের দুই ও তিন নং তেমন বুঝবেন না, সেটা যথাক্রমে এই ঃ 
     
    - অপুলার স্পেসে সেকুলার হিস্টরি এবং সোশাল থিয়োরী রাইটিং এ আপনাদের দেশে এমনকি একেবারে তরুন দের ও যে স্টাইল, সেটা ফ্র‌্যাংকলি , ১৯৬৮ পূর্ববর্তী বামপন্থী থিয়োরেটিকাল রাইটিং এর ঐতিহ্য বহন করে। এটা অন্য মুসলিম মেজরিটি দেশেও এমনকি বাম পন্থীদের মধ্যেও এখন আর করে না।  আরুজ আলি মাতুববর এবং আধুনিক কমেন্টেটর দের পড়েই বলছি। আমি জানি না আকাদেমিক হিস্টরি রাইটিং এর চেহারা টা কেমন , তবে আকাদেমিক হিস্টরিয়ান দের থেকে ডিরেক্ট এঙ্গেজমেন্ট ই লোকে বেশি পড়বে। এই কথাটা আমি শাহবাগ আন্দোলনের সময়েও বলেছিলাম। 
     
    এবার তাইলে দুইটা দেশের ধর্মনিরপেক্ষরা কি করে কোলাবরেট করবে, তার তাত্ত্বিক প্রিমাইস টা কি হবে। এটার একটা উত্তর আমাদের দেশের ভাষা ন্যাশনালিস্ট রা দেন, কিন্তু সেটায় সারা দেশের ধর্মীয় ও ভাষিক সংখ্যালঘু দের উপকার নাই, উল্টে অপবাদের সমস্যা, যদিও আবেগ টি শ্রদ্ধা করার মত এবং শুধু তাই না, নিপীড়নের উত্তর অনেক সময়েই এইটেই।  কিন্তু তবু এটা যদি সব রকমের সংখ্হ্যালঘুর সর্বত্র অংশীদারিত্ত্বের বিষয় থাকে, সেটাকে এটা অ্যাদ্রেস করতে পারবে না। 
    আরেকটা পন্থা হল, সোভিয়েট স্টাইলে সেই ১৯৬৮ র পূর্ববর্তী , ধর্মের নিকুচি করেছে তে ফিরে যাওয়া, সেই নিয়েই লেখালিখি করা, যেটা খুব সহজেই মেজরেটারিয়ান চেহারাও নিতে পারে, বা স্টেট রিপ্রেসন এর চেহারা নিতে পারে, তার কোন মাত্রার কোন উদার পার্থক্য নাই। 
    আরেকটা পন্থা হল, সোশাল হিস্টরি রাইটিং e বর্ডার জিনিসটা কে জাস্ট তুলে দেওয়া। (যেমন ধরুন একটা উদা আমি প্রায় ই দেই। ভাসানি পস্চিম পাকিস্তানে যে কৃষক সম্মেলনে বক্তৃতা করতে গেছিলেন, এটা আমি পাকিস্তানের বামপন্থী ঐতিহাসিক দের লেখা থেকেই জেনেছি। ) 
    মানবতাবাদী , মাইগ্রেশন এর টার্ম্স এই ইতিহাস লেখা , এবং প্রতিরোধের ইতিহাসে তিনটে দেশেই সমসাময়িকতার উপরে জোর দেওয়া। ইত্যাদি। এটা আমার মনে হয়, আসাম, ত্রিপুরা, বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের সেকুলারিস্ট দের কোলাবরেশন এর তাত্ত্বিক ভিত্তি হতে পারে, যেটা শুধুই স্মৃতিকথা দিয়ে ম্যানেজড হবার না, শুধুই সিভিল ওয়ারের বিশুদ্ধতায় ফিরে যাওয়ার বিষয় না, এবং সবচেয়ে বড়কথা , এই আসাম মডেলের জঘন্য প্যারোকিয়ালিজম এবং অমলেন্দু বাবু যেটা কে বলছেন, রিজিওনাল শভিনিজম কে খানিকটা প্রতিরোধ করার একটা সুদূর প্রসারী উপায়।
    আর  তৃতীয়টির সাফল্যের শর্ত হল, অর্থনৈতিক একস্প্লয়েটেশন এর বিরুদ্ধে আন্দোলন, ইত্যাদি।  
     
    এই সব বলবো বলে শুরু করে সেদিন সময় ও হল না, নানা পাড়ার নানা নেড়ি এসে চেচিয়েও গেল। ইত্যাদি। 
     
     
  • | 2406:7400:63:6841::100 | ২২ অক্টোবর ২০২১ ১৩:১৪500043
  • এই লালু টা কত জ্ঞানী , কত্ত ভালো ভালো কথা বলে | কিন্তু আব্বাস কে সন্ত্রাসবাদী বলতে পারে না || আমি নিশ্চত ব্যাটা বাড়িতে লক্ষী পুজো করে |
  • | 2406:7400:63:6841::100 | ২২ অক্টোবর ২০২১ ১৩:১৬500044
  • আর লুকিয়ে লুকিয়ে বিজেপি কে ভোট দেয় .....:)
  • bodhisattvagc dasgupta | ২৩ অক্টোবর ২০২১ ১৯:০৯500119
  • এক বন্ধুর সঙ্গে সাম্প্রতিক পোস্ট বিনিময় : 
     
    বন্ধু : আংশিক উদ্ধৃতি (প্রসঙ্গে র সীমায়)  : "বাম/লিবারেল/নানা মতের রাজনীতিসচেতন মানুষদের মধ্যে আইডেন্টিটি পলিটিক্স নিয়ে বিবিধ আপত্তি দেখি। সেগুলো কখনও ঠিক লাগে, কখনও ভুল। ..."
    আমি: 
    তোমার মূল‌ পোস্ট টা দেখলাম। বিষয়টা শুধু আইডেন্টিটি পলিটিক্স না। বিষয়টা হল‌ স্টেট ও সোসাইটি। সেক্যুলার স্টেট আর ইনক্লুসিভ সোসাইটি এটা সবসময় হয়ে ওঠেনা। আজ যেগুলারে সফল স্টেট বলি সেগুলো তো সামান্য কয়েক দশকের ইমিগ্রেশনে হেগে পেঁদে অস্থির । আর অসফল গুলি সিভিল‌ ওয়ারে। আমি বিষয়টা এভাবে দেখতে প্রস্তাব করছি যে ফরাসী চার্চ স্টেট সেপারেশনের যেটা সাফল্য সেটা তো ইমিগ্রেশনে ছারখার , এতটাই যে সোশালাইজিং লিবেরাল ডেমোক্রাসির মডেল হয়ে উঠেছে আন্টি ইমিগ্রান্ট পলিটিক্স । অন্য দিকে যারা ইমিগ্রেশন‌ করিয়েই অর্থনৈতিক প্রাযুক্তিক  সাফল্য পেলো তারা  আবার পোলিটিকাল স্পেসটা ছাড়েনা। ইত্যাদি। তো ওয়েলফেয়ার স্টেটের ফাইন টিউনিং করতে গিয়ে , আইডেন্টিটি পলিটিক্স একটা মান্যতা বা‌ নেগোশিয়েটিং  পাওয়ার যোগাড় করেছে । ভারতে ভক্তি আন্দোলনের কমুনিটি মডেল দিয়ে গান্ধী একাধারে কলোনীর অল্টারনেটিভ প্রস্তাব করেছিলেন ক্যাপিটালিস্ট উৎপাদন বিরোধিতা করেছিলেন আর মেডিয়েভাল এর যে কমিউনাল কনটেস্টেশন সেটাকে ম্যানেজ দিয়েছিলেন এক ই সঙ্গে আর্লি ন্যাশনালিজমের ডিসকোর্সটাকে প্রাচীন যুগ থেকে মধ্যযুগে এনে ফেলেছিলেন যেটা অপেক্ষা কৃত ইনক্লুসিভ। ইত্যাদি, এটা নানা কারণে কংগ্রেসের মধ্যে কার ই অন্যান্য আধুনিক রাষ্ট্রের ভিসনের সঙ্গে খাপ খায় নি। কিন্তু ঘটনা হল ভাষা ভিত্তিক স্টেট ফরমেশন ,কাস্ট পলিটিক্স বা রিজার্ভেশনের তৈরি করা যে সমসাময়িক  রাজনৈতিক পরিসর তাতে স্বাধীন ভারতে মুসলমানদের পোলিটিকাল স্পেস নাই , বড় দলের বা বড় রিজিওনাল দলের মাইনরিটি সেল হ ওয়া ছাড়া, এবং সংখ্যা গুরু রাও এটাতেই অভ্যস্ত তাই অংশীদারিত্বের দাবি এত কানে লাগে। আরেকটা জটিলতা ও আছে , প্রি কলোনি য়াল ইসলামিক আর্বানিটি র যে প্লুরালিটি তাকে কলোনি য়াল রাজনীতি ও তৎপরবর্তী রাজনীতি ও ইতিহাস দুজনেই অস্বীকার করেছে , শুধু হাভেলি আর আশরাফী সংস্কৃতি আর উর্দু ভাষায় খানিকটা তার রেলিক ছিল সেটাও বিপন্ন,  অন্যদিকে রুরাল চাষা মুসলমানদের যে অংশ বাংলায় আর আসামে তাদের সংস্কৃতি র ট্রাডিশন ও বার বার গড়তে হয় , কারণ এর মধ্যে যেটা সিরিয়াস সেক্যুলার ইতিহাস চর্চা বা সমাজ গঠন সেটা তো বাংলাদেশে অনেকটা চলে গেছে, আমাদের এখানে বাকিটা , মানে নতুন পোলিটিকাল‌ আর্টিকুলেশন মানুষ কে তৈরি করতে হচ্ছে। সেটা আপাতত কখনো সফল কখনো ব্যর্থ  ইত্যাদি , একটু ভেবো , চাইলে বড় করে ভেবো। নতুন গতি পত্রিকার মতাদর্শের যে যাত্রা ওভার দ্য ইয়ার্স সেটা কেস স্টাডি হতে পারে।
  • | 49.207.193.10 | ২৩ অক্টোবর ২০২১ ২১:৩১500123
  • জ্ঞান জ্ঞান কত্ত জ্ঞান | লালুর পেটে গজগজ করছে জ্ঞান | 
  • | 2406:7400:63:2152::101 | ২৪ অক্টোবর ২০২১ ১৯:০৮500159
  • বাজারে নতুন লালুর আগমন হয়েছে | আগে বল ত্রিপুরাতে লোক বিজেপির উপর ক্ষেপে গ্যাছে তাও লালু শু।বা দের সাপোর্ট করে না কেন ? এডিসি তে বিজেপি গো হারান হেরেছে কিন্তু লালু শু ।বা দের কেউ ভোট দেয়নি কেন ? এডিসি তে একটাও সিট লালু রা পায় নি | 
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন