এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  পরিবেশ

  • বাঁধরক্ষা এবং কিছু নিবিড় স্বার্থের গল্প

    সীমান্ত গুহঠাকুরতা
    আলোচনা | পরিবেশ | ১৯ জুন ২০২১ | ৩৯০৬ বার পঠিত | রেটিং ৪.৮ (৫ জন)
  • ছেলেবেলায় পাঠ্যবইতে হান্সের গল্প পড়েছিলাম আমরা। হল্যান্ডের সেই বাচ্চা ছেলেটি সারারাত সমুদ্রের বাঁধের গর্তে হাত ঢুকিয়ে বসে থেকে তাদের গ্রামকে রক্ষা করেছিল। একইভাবে, সম্প্রতি ইয়াস ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন সুন্দরবনের একদল মানুষের গলাজলে দাঁড়িয়ে পিঠ দিয়ে বাঁধের ভাঙন ঠেকানোর ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বলাই বাহুল্য, সেই ছবি দেখে লড়াকু মানুষগুলির প্রতি আমাদের মন সহানুভূতিতে আর্দ্র হয়ে উঠেছে।

    অথচ আমরা একবারও ভেবে দেখিনি যে, হান্সের সেই গল্পের সময় থেকে এতদিনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে কয়েক হাজার মাইল এগিয়ে গেছি আমরা। তবে কেন এখনও সুন্দরবনের মানুষকে আক্ষরিক অর্থেই দুহাতে আঁকড়ে ধরে বাঁধ বাঁচাতে হবে? গড়ে প্রতি দুই বা তিন বছর অন্তর একটি করে বিধ্বংসী ঝড় দেখতে অভ্যস্ত সুন্দরবন। আর প্রতিবছরই বর্ষায় এদিক-ওদিকে খুচরো ভাঙন তো গা-সওয়া ব্যাপার। প্রতিবার দুর্যোগের পর সরকারি-বেসরকারি ত্রাণের হিড়িক ওঠে, ভেঙে পড়া ভিটেবাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে দুহাত পেতে চাল-ডাল নেওয়া বুভুক্ষু মানুষের ছবি ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়, সরকারি ক্ষতিপূরণ নিয়ে আকচা-আকচি চলে, বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের গাফিলতি নিয়ে দুচার কলম লেখালিখি হয়, তারপর আবার সবকিছু চলে যায় বিস্মৃতি অতলে।

    অনেকেই হয়তো জানেন না, পৃথিবীতে মাত্র দুটি অঞ্চল আছে, যার প্রায় পুরো বসতিটাই সমুদ্রতল থেকে অনেকখানি নীচে – একটি হল হল্যান্ড আর অন্যটি আমাদের সুন্দরবন। সমুদ্রের খুব কাছে হওয়ায় জোয়ার-ভাটায় সুন্দরবনের নদীগুলিতে জল ওঠানামা করে কুড়ি থেকে পঁচিশ ফিট। তাই সুন্দরবনের সে সমস্ত দ্বীপে ম্যানগ্রোভের জঙ্গল, জোয়ারের সময় সেগুলো সবই চলে যায় জলের নীচে, জেগে থাকে শুধু গাছপালার মাথা। আর যে দ্বীপগুলোতে মানুষের বাস, জোয়ারের জল যাতে সেই দ্বীপগুলোকে ডুবিয়ে দিতে না পারে, সেই কারণেই প্রতিটি দ্বীপকে চারপাশে বেড় দিয়ে রাখে দেড় মানুষ বা দু-মানুষ সমান উঁচু বাঁধ। জোয়ারের জলের প্রবল চাপ ধারণ করে রাখে সেই বাঁধ। অতএব বোঝাই যাচ্ছে, একবার কোনো জায়গায় সেই বাঁধ ভাঙলে নোনাজল ঢুকে বেশ কয়েকটি গ্রাম আর কয়েকশো একর জমিকে ডুবিয়ে দেয়। এই কারণেই নদীবাঁধগুলোকে বলা হয় সুন্দরবনের লাইফ-লাইন বা জীবন-রেখা।

    সুন্দরবনের এই মাটির নদীবাঁধগুলোকে কংক্রিটের চাদরে মুড়ে দেওয়ার ব্যাপারে পরিবেশবিদরা সবসময়েই মৃদু আপত্তি তুলে থাকেন। এতে নদী ও জনবসতির বাস্তুতান্ত্রিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে তাঁদের আশঙ্কা। সেই আশঙ্কা অমূলক নয়। তবু, সাম্প্রতিক এই ঘনঘন ঘূর্ণিঝড়ে যে বিপুল ক্ষতি সুন্দরবনের মানুষজনের হচ্ছে, তার তুলনায় বাস্তুতন্ত্রের ওপর পড়া সেই চাপটুকু সয়ে নেওয়া যেতে পারে বলেই মনে হয়। তবে কংক্রিটের বাঁধ তৈরি করার কিন্তু বিকল্পও আছে। কোথাও কোথাও সেই বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহার করে সুফলও পাওয়া গেছে। সে রকমই একটি বিকল্প হল চিরচারিত মাটির বাঁধগুলোকেই দ্বিগুণ উচ্চতা ও আয়তনের বাঁধে পরিণত করা। স্থানীয় লোকজন এইরকম বাঁধের নাম দিয়েছেন হাতি-বাঁধ। এই রকম বাঁধ তৈরি প্রচুর খরচসাপেক্ষ কাজ। এতে সময় এবং লোকবলও লাগে অনেক। কিন্তু একবার বানিয়ে ফেলতে পারলে অনেক বছরের জন্য নিশ্চিন্ততা আর এই রকম বাঁধের রক্ষণাবেক্ষণের খরচও অনেক কম।

    প্রশ্ন জাগে মনে, সরকার বা প্রশাসনের কথা না হয় বাদই দিলাম, সুন্দরবনের যে মানুষগুলো এত ঘনঘন দুর্বিপাকের শিকার হন, তাঁরা নিজেরাই বা কীভাবে তাঁদের ওই ‘জীবন-রেখা’-র বিষয়ে বছরের অন্য সময়গুলোতে এতখানি উদাসীন থাকেন? কেন সমস্ত বাঁধগুলোকে কংক্রিটের চাদরে মুড়ে দেওয়া অথবা হাতি-বাঁধে পরিণত করার ব্যাপারে চাপ তৈরি করা হয় না সরকারের ওপর? এতদিনে এই নিয়ে তো রীতিমত গণ-আন্দোলন তৈরি হয়ে যাবার কথা ছিল। এ বছর ‘ইয়াস’ ঘূর্ণিঝড়ের পর অবিশ্যি কোথাও কোথাও মানুষজন ‘ত্রাণ চাই না, কংক্রিটের বাঁধ চাই’ ইত্যাকার দাবি লেখা পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে, তবে তাও প্রয়োজনের তুলনায় নেহাতই নগণ্য।

    সত্যিটা হল, চাপ তৈরি তো দূরস্থান, উলটে যখনই সুন্দরবনের কোনো এলাকায় এই রকম কংক্রিটের বাঁধ তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়, স্থানীয় মানুষজনেই নানা ছলছুতোয় সেই কাজ আটকে দেন। জমি অধিগ্রহণের জটিলতা, ক্ষতিপূরণ নিয়ে মতান্তর এসব অজুহাত তো রয়েইছে। কোনও সুনির্দিষ্ট কারণ না দেখিয়ে শুধু স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বের তরফে প্রভাব খাটিয়ে কাজ আটকে দেবার ঘটনাও ভুরি ভুরি। এর কারণ অনুসন্ধান করতে গেলে কিন্তু কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে আসবে। তাই এ নিয়ে বেশি চর্চা বা লেখালিখি কখনোই হয় না। সেই কেউটের নাম মাছের ভেড়ি, সুন্দরবনের যা সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা। ২০০৯ সালে আয়লার পর থেকে এই ব্যবসার রমরমা হয়েছে। আয়লায় প্লাবিত হয়েছিল প্রায় গোটা সুন্দরবন, নোনা জল ঢুকে হাজার হাজার বর্গমাইল কৃষিজমি নষ্ট হয়ে যায়। চাষের জমিতে একবার নুন দাঁড়িয়ে গেলে অন্তত বছর তিনেক সেই জমিতে আর চাষ করা যায় না। বিকল্প থাকে একটাই, জমির চরিত্র বদলে তাকে নোনাজলের ভেড়ি বানিয়ে ফেলা। এর ফলে সারা বছরই সেই জমি থেকে বাগদা, গলদা, পার্শে, ভেটকি ইত্যাদি মাছের ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়। এবং বলাই বাহুল্য, অত্যন্ত লাভজনক এই ব্যবসার অধিকাংশই কুক্ষিগত থাকে রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের হাতেই। মাছের ভেড়ির দখল নিয়ে খুন-খারাপিও তাই ওই অঞ্চলের নিত্য-নৈমত্তিক ঘটনা।

    কিন্তু এই জাতীয় ভেড়িগুলোর সমস্যা হল, সারা বছরই তাতে নোনাজলের জোগান অব্যাহত রাখতে হয়। এই জল আনা হয় পার্শ্ববর্তী নদী থেকে, সরু নালা কেটে। বস্তত, নদীর সঙ্গে নিয়মিত যোগসূত্র না থাকলে নোনাজল-নির্ভর এই ব্যবসা চালিয়ে যাওয়াই সম্ভব নয়। সুন্দরবনের নদীবাঁধগুলোকে কংক্রিটে মুড়ে দিতে না চাওয়ার এটাই প্রধান কারণ। কংক্রিটের বাঁধ হোক বা হাতিবাঁধ – তাতে ওরকম ছিদ্র করে পার্শ্ববর্তী নদী থেকে নোনা জলের প্রবাহ অক্ষুণ্ণ রাখা অসম্ভব। বছর কয়েক আগে, হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের সাণ্ডেলের বিল অঞ্চলে কয়েক কিলোমিটার নদীবাঁধ সংস্কার করে দ্বিগুণ উচ্চতার হাতিবাঁধে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। এর ফলে আমপান বা ইয়াসে ওই অঞ্চলের কোনোরকম ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, কিন্তু বেশ কয়েকটি সচল মাছের ভেড়ি চিরতরে বন্ধ হয়ে গেছে। ফলস্বরূপ ওই অঞ্চলে অবশিষ্ট নদীবাঁধগুলোর উচ্চতাবৃদ্ধির কাজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। বস্তুত, সুন্দরবনের বাসিন্দাদেরই একটা প্রভাবশালী অংশ এও চান যে, আরও আরও এলাকা বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হোক। কোনোক্রমে যদি একবার চাষের জমিতে নোনাজল ঢুকিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে সরকারি স্তরে প্রভাব খাটিয়ে সেই জমির ‘চরিত্রবদল’ করা তো কয়েকদিনের মামলা।

    গতবছর আমফানের পর হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকে কালিন্দী নদীর ধারে ছোট সাহেবখালি গ্রামে গিয়ে এমনই এক কাণ্ড দেখেছিলুম। ঝড়ের অন্তত দিন চারেক পর সেখানে গিয়ে নৌকো থেকে নেমে দেখা গেল, দ্বীপের দক্ষিণভাগে একাংশে কয়েকমিটার বাঁধ ভেঙেছে। প্লাবিত হয়েছে খান তিনেক গ্রাম আর কয়েক একর কৃষিজমি। বিগত চারদিন ধরে বাঁধের সেই ভাঙা অংশ একই রকম রয়েছে, তার কোনো মেরামতি হয়নি। ফলে প্রতিদিন জোয়ারের সময় নতুন করে নোনাজল ঢুকছে এবং নতুন নতুন গ্রামে ছড়িয়ে পড়ছে প্লাবন। সুন্দরবনের ভূগোলটা যাঁরা জানেন, তাঁরা বুঝবেন যে এমনটা আদৌ হবার কথা নয়। এখানে একবার বাঁধ ভাঙলে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেই বাঁধ মেরামতি করাই দস্তুর। স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফেই তা করা হয়। সরকারের ‘আঠারো মাসে বছর নীতি’ অন্তত এক্ষেত্রে কখনোই অনুসরণ করা হয় না। সরকারের তরফে দেরি হলে অনেক সময় স্থানীয় মানুষজনই হাতে হাত লাগিয়ে যেটুকু সম্ভব মেরামতি সেরে রাখেন। কারণটা সহজবোধ্য, প্রতিবার জোয়ার আসবে এবং প্রতিবার নতুন করে প্লাবিত হবে গ্রামগুলি। তাই ছোট সাহেবখালির সেই বাঁধ চারদিন ধরে ভাঙা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে যারপরনাই আশ্চর্য হয়েছিলাম। প্রাথমিক বিস্ময়টুকু কেটে যাবার পর অবশ্য বুঝতে দেরি হয়নি যে, যত্ন করেই সেই ভাঙনকে ‘অক্ষত’ রাখা হয়েছিল এবং ধীরে-সুস্থে নোনাজল ঢোকানো হচ্ছিল গ্রামে। যত নোনাজল, ভবিষ্যতে তত টাকার মাছের কারবার। এদিকে গ্রামের বানভাসি দশা দেখিয়ে শহুরে বাবুদের কাছ থেকে ত্রাণও আদায় হচ্ছিল যথেষ্টই।

    এই ভেড়ির ব্যবসাদারদের পাশাপাশি আরও একটি চক্র সুন্দরবনে সক্রিয় আছে, যারা কিছুতেই নদীবাঁধ সংক্রান্ত সমস্যার স্থায়ী সমাধান হোক সেটা চায় না। এই চক্রটিতে সামিল কিছু স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, বাঁধ মেরামতির কাজে নিযুক্ত ঠিকাদার এবং সেচ-দপ্তরের কিছু অসাধু আধিকারিক। বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ প্রতি বছরই সরকারি তরফে প্রচুর টাকা বরাদ্দ হয়। বলাই বাহুল্য, কাজ হয় অতি অল্পই। বাকি টাকা এই তিন দলের মধ্যে ভাগ বাঁটোয়ারা হয়ে যায়। ভেড়ির ব্যবসাদারদের মত এই চক্রটিও চায় আরও আরও নদীবাঁধ ভাঙুক, কারণ যত ভাঙন, তত কন্ট্রাক্ট এবং ততই কাটমানি। তাই রক্ষণাবেক্ষণে ইচ্ছাকৃত ঢিলেমি দেওয়া হয়, ভেড়ি-মালিকরা বাঁধের গায়ে ছিদ্র করলে অন্ধ সেজে থাকা হয় আর বাঁধ ভাঙলেও এমনভাবে মেরামতি করা হয় যাতে আবার কিছুদিন পরেই সামান্য জলের চাপে তা আবার ধ্বসে যায়।

    ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড়ে চর্তুদিক প্লাবিত সুন্দরবনের যে ছবি আমরা দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি, সেই ছবি আমূল বদলাতে হলে, সুন্দরবনের মানুষকে ত্রাণ-নির্ভর জীবনযাপন থেকে মুক্ত করে স্বাবলম্বী করে তুলতে হলে প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের এই দুষ্টচক্র দমন করা অবিলম্বে দরকার। আগেই বলেছি, গোটা সুন্দরবনটা ভৌগোলিকভাবে সমুদ্র-সমতলের অনেকখানি নীচে অবস্থিত, ওই দুষ্টচক্র যদি একইরকম সক্রিয় থাকে, তাহলে তার অতলে তলিয়ে যেতেও আর বেশি সময় লাগবে না।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৯ জুন ২০২১ | ৩৯০৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ramit Chatterjee | ১৯ জুন ২০২১ ০০:০৮495060
  • ভীষন প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ লেখা। অনেক অনেক ধন্যবাদ লেখাটির জন্য। 

  • শ্রীরূপা বন্দ্যোপাধ্যায় | 2409:4060:e8b:4211::b6c8:d407 | ১৯ জুন ২০২১ ১১:৩৭495073
  •  মাছের ভেড়ির ব্যাপারটা জানতাম না। নতুন তথ্য দিয়ে সমৃদ্ধ করলেন। ধন্যবাদ।

  • arjun dasgupta | 2409:4060:2e87:f277:f829:3493:6c34:7436 | ১৯ জুন ২০২১ ১২:২৩495075
  • খুব গুরুত্বপূর্ণ লেখা 

  • Somenath Guha | ১৯ জুন ২০২১ ১৫:০৭495082
  • ত্রাণের ব্যবস্থা না করে পঞ্চায়েত এবং সরকারি সব অফিস ঘেরাও করে উচিত। স্থায়ী সমাধান চাই। ভালো expose করেছেন।

  • মিত্রা চৌধুরী | 223.223.138.243 | ১৯ জুন ২০২১ ১৫:২২495084
  • অনেক তথ্যসমৃদ্ধ লেখা। ভালো লাগলো

  • Anindita Roy Saha | ১৯ জুন ২০২১ ১৫:২৩495085
  • প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তা ও ভ্রষ্টাচার এবং নাগরিক সমাজের সচেতনতার অভাব আসলে উন্নয়নের অভাবেরই দ্যোতক। পিছিয়ে পড়া অথবা উন্নয়নশীল দেশে তাই বারে বারে দেখা যায়। উন্নয়নশীল দুনিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ইকোনমিক্স  অফ করাপশন এখন একটি প্রতিষ্ঠিত তত্ব। 

  • সুদীপা শাসমল | 2402:3a80:1152:15fe::1a8e:272b | ১৯ জুন ২০২১ ১৭:৩০495092
  • সুন্দরবনের এক নদীর পাশের বাসিন্দা হওয়ার কারণে এই বিষয়গুলি খুব লক্ষ্য করি, বিশেষত মাছের ভেড়ির রমরমা ব্যবসা টা।


    খুব প্রাসঙ্গিক একটা লেখা, ধন্যবাদ।

  • Prof. Shasanka Kumar Gayen | 2402:3a80:116a:f348::1a6b:9d45 | ২০ জুন ২০২১ ০৮:৩৬495107
  • খুবই প্রাসঙ্গিক  কথা,  কিন্ত  যত  দিন সুন্দরবনের মানুষ এটা না বুজবেন,  তত দিন তাদের এ যন্ত্রণা  থেকে    মুক্তি  পাওয়া    মুশকিল l


    Prof. Shasanka Kumar Gayen 

  • Anirban Datta | 157.43.139.3 | ২০ জুন ২০২১ ০৯:৫৯495109
  • পড়ে অনেককিছু জানলাম

  • Kallol Dasgupta | ২০ জুন ২০২১ ১২:৩৫495116
  • একটা বিষয় জানতে চাই। যেসব জমিতে ভেড়ি হচ্ছে, সেই জমির মালিক ও তার ভাগচাষী-কৃষিমজুরদের কি হচ্ছে। তারাও কি ভেড়িতে কাজ পেয়ে যাচ্ছে ? না কি স্রেফ উদ্বৃত্ত হয়ে উচ্ছেদ হচ্ছে। ভেড়ি নিয়ে আমার কোন ধরনের কোন ধারনাই নেই। তাই লেখকের কাছে অনুরোধ, এই বিষয়টায় যদি একটু লেখেন। 

  • রাজন ধর | 2405:205:c889:c593:984b:e426:f28d:f3fe | ২০ জুন ২০২১ ১৩:০৬495118
  • খুবই প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেছেন।এটা নিয়ে আলোচনা ও মুক্তির পথ খুঁজে পাওয়া জারুরি। অনেক ধন্যবাদ।

  • চণ্ডাল | 2409:4070:4893:ca77:e5b8:89ee:a4b0:8d1c | ২০ জুন ২০২১ ১৬:৩৬495126
  • জলের নিচে তলিয়ে যাক সুন্দরবন - যত তাড়াতাড়ি যায় যাক। ওটা মানুষের বসবাসের এলাকা নয় - ওটা বনভূমি। আর বাঁধ মেরামতির জন্য ফালতু ফালতু টাকা ঢালা বন্ধ করুক সরকার।

  • শুদ্ধসত্ত্ব দাস | ২১ জুন ২০২১ ০৩:৫৫495147
  • খুব জরুরি খবর পেলাম। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর গোছানী আর বিষদ লেখাটার জন্য

  • ইন্দ্রাণী | ২১ জুন ২০২১ ১৪:৩০495162
  • খুবই ভালো লেখা।
    বেশ কিছু প্রশ্ন থাকে মনে। উত্তর পেলাম।

  • Tirthankar Bhattacharya | ২৩ জুন ২০২১ ১৯:৩০495235
  • এই ব্যাপারটা জানা ছিল না। এটা রূঢ় বাস্তব। বস্তুতঃ এটা যে কৃত্রিম বিপর্যয় বা ইচ্ছাকৃত বিপর্যয় তা বোঝা যায় পুনরাবৃত্তি দেখে। স্বার্থের টানাপোড়েন এইভাবে কাজ করে সেটা শহুরে মানুষের অজানা। জুন ২০২১ দেশ সংখ্যায় সুন্দরবনের নদীবাঁধ আর দীর্ঘমেয়াদী এবং স্বল্পমেয়াদী উভয়  পরিকল্পনা নিয়ে বৃহৎ একটি প্রবন্ধ প্রকাশ হয়েছে। তাতে ঐ অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি, ম্যানগ্রোভ বনভূমির হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তন মৃত্তিকাক্ষয় প্রভৃতি কারণের কথা লেখা আছে। কিন্তু এই অসাধু অচেতন চক্রের কার্যকলাপের ওপর আলোকপাত বিশেষ নেই। এ শুধু পারেন ভূমিজনরাই। তবে ঐ প্রবন্ধে বিকল্প নদীবাঁধের কথা বলা আছে সমাধান স্বরূপ বিশদভাবে।

  • Ramit Chatterjee | ২৮ জুন ২০২১ ০৮:৪৯495385
  • এই প্রসঙ্গে আরো একটি মূল্যবান লেখা। আজকের এই সময় -এ প্রকাশিত।


  • চিন্ময় বসু। | 2409:4060:e81:66b1:2126:26d5:a7:4928 | ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ২৩:৫৪525294
  • অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ধন্যবাদ উপস্থাপনের জন্য। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন