এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা

  • সরকার সমস্ত ইচ্ছুক নাগরিককে বিনামূল্যে টীকা দেবেন না কেন?

    ডাঃ সিদ্ধার্থ গুপ্ত
    আলোচনা | ১০ মে ২০২১ | ২৯৪৩ বার পঠিত | রেটিং ৩ (২ জন)
  • ২৭/০৪/২০২১ তারিখে সংবাদপত্রের একটি শিরোনামে বলা হয়েছে প্রতিরক্ষা বরাদ্দে রাশিয়াকে টপকে ৩ নম্বরে উঠে এসেছে ভারত। আগে শুধু আমেরিকা ও চীন। পরে সংবাদে আরো বলা হয়েছে, ২০২০ সালে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, সে বছর আমেরিকার মোট প্রতিরক্ষা বরাদ্দ ছিল ৭৭,৮০০ কোটি মার্কিন ডলার। যা ভারতীয় মুদ্রায় ৫৮ লক্ষ কোটি টাকা। চীনের ২৫,২০০ কোটি ডলার যা প্রায় ২৩ লক্ষ কোটি আর ভারতে ৭২৯০ কোটি মার্কিন ডলার যা প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ কোটি টাকার সমান। গত কয়েক বছর ধরেই আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া এবং ইজরায়েলের কাছ থেকে ভারত সরকার হাজার হাজার কোটি ডলারের যুদ্ধাস্ত্র কিনেছে চীন ও পাকিস্তানকে ঠেকানোর জন্য। এর মধ্যে বছর দুয়েক আগে কেনা ফরাসি রাফায়েল যুদ্ধবিমান ও সেইসংক্রান্ত চুক্তি ঘিরে ভারতের রাজনীতি ও সংসদ বারেবারে উত্তাল হয়েছে। ৩৬ টন যুদ্ধবিমানের দাম পড়েছে ৫৮ হাজার কোটি টাকা যা প্রায় ৮৮০ কোটি ইউরো। অভিযোগ উঠেছে উক্ত বিমানগুলির এক একটির জন্য ৭১৫ কোটি টাকা অথচ দাম বাড়িয়ে তা কেনা হয়েছে প্রতিটি ১৬০০ কোটি টাকা দরে, প্রায় ১০০ কোটি টাকা ঘুষের অভিযোগও উঠেছে। কিন্তু তা নিয়ে কোনো তদন্ত হয় নি। সকলেই জানেন গত বছর(২০২০) ডিসেম্বর থেকে করোনার আক্রমণ,তত্পরবর্তী লকডাউন হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক সহ লক্ষ মানুষের কর্মচ্যুতি, চাকরি, ছোট ব্যবসা সবকিছুর অন্তর্জলী যাত্রা দেশকে এক মহা সর্বনাশের দিকে নিয়ে গেছে। গতবছর নভেম্বর মাসের পর করোনার প্রকোপ কিছুটা কমলে বিজ্ঞানী ও চিকিত্সকরা বারবার হুঁশিয়ারি দিচ্ছিলেন জিন পরিবর্তিত বা মিউট্যান্ট প্রজাতিকে সওয়ার করে করোনার ঢেউ অচিরেই ফিরে আসবে যেমন এসেছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। কিন্তু তাতে কেন্দ্র সরকার কর্ণপাত করেনি বরং বরং কেন্দ্রীয় শাসক দল উন্মত্ত ছিল ৫টি রাজ্যে যেকোনোভাবে ভাবে জয়লাভ করে একাধিপত্য বিস্তারে। পশ্চিমবঙ্গে গত দুমাসে করোনার যে তান্ডব বহু বিশেষজ্ঞদের মতে ৮ দফা ভোটপর্বের সঙ্গে এবং অন্যান্য রাজ্য থেকে হাজার হাজার পার্টিকর্মী এবং সুরক্ষাবাহিনী আসার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। একই ঘটনা ঘটেছে কেরালা ও তামিলনাড়ুতে। আরো একটি অসমর্থিত খবরে প্রকাশ যে কুম্ভমেলা প্রত্যাগত তীর্থযাত্রীদের ৯০ শতাংশই করোনায় আক্রান্ত। এবং তারা সারা ভারতবর্ষে শহর, গ্রাম এবং মফঃস্বলে নির্বিচারে ছড়িয়ে পড়েছেন। যখন এই কুম্ভমেলা হচ্ছে তখন আমাদের দেশ দু'কোটির বেশি সংক্রমণ সহ ভারতসভায় শ্রেষ্ঠ আসন লাভ করেছে। মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় আড়াই লক্ষে ছুঁয়েছে, দৈনিক সংক্রমণ প্রায় ২ লক্ষ। বিশ্বের প্রায় ১২টন দেশ ভারতের সঙ্গে বিমান সংযোগ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে । প্রায় ১৭ বছর পর ভারতবর্ষ বাধ্য হয়েছে ৪০টন দেশের কাছ থেকে নানাধরণের সাহায্য যেমন ঔষধ, ভেন্টিলেটর, চিকিত্সার নানা সরঞ্জাম, অক্সিজেন প্রভৃতি আমদানি করতে। এরমধ্যে চিরশত্রু চীনও আছে আরবদেশগুলি এবং বাংলাদেশও আছে। ভারতবর্ষ চীনের রাষ্টদূত সান ওয়েডন জানিয়েছেন যে গত দুসপ্তাহে তারা ৬১ টি বিমান বোঝাই করে ৫০০০টি ভেন্টিলেটর , ৩৮০০ টন মেডিসিন, এবং ২১,৮৬৯ টি অক্সিজেন জেনারেটর ভারতবর্ষে পাঠিয়েছেন। আজকে ভারতে অক্সিজেনের সংকট অথচ গতবছরও যখন করোনা পুরোদমে চলছে তখন কেন্দ্রীয় সরকার কূটনীতির নামে ১০০০০ টন অক্সিজেন এবং কয়েকহাজার টন মেডিসিন বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে দেশের মানুষকে বঞ্চিত করে এবং ব্যবসায়ীদের খুশি করতে।

    এবার আমি ভ্যাকসিনের প্রসঙ্গে। প্রায় সকলেই জানে যে আমাদের দেশে অক্সফোর্ডের কোভিশিল্ড ( উৎপাদক সেরাম ইন্সটিটিউ ) এবং আইসিএমআর  ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন এই দুটি দেওয়া হচ্ছে। অনেক ঢাক পিটিয়ে এই ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ আরম্ভ হলেও ভ্যাকসিনের অভাবে অধিকাংশেই মুখ থুবড়ে পড়ছে। যে সরকার কেবলমাত্র নানা ধরনের চমক ও জুমলায় বিশ্বাস করে, টিকাকরণের সার্টিফিকেটে ভাবে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছাপায়, তারা দেশের মানুষকে টীকা দেবার দায়দায়িত্ব থেকে নিজেদের মুক্ত করে দিতে চাইছে এবং পুরোটাই ছেড়ে দিতে চাইছে বাজারের হাতে। শুধু প্রফিট নয়, সুপার প্রফিটের সন্ধানে ভ্যাকসিন উৎপাদক সংস্থাগুলি ঘোষণা করেছে যে ভ্যাকসিন তারা কেন্দ্রীয় সরকারকে ২০০ টাকা দামে বিক্রি করেছে তা রাজ্য সরকারকে কিনতে হবে ৪০০ টাকায় (পরিবর্তিত দর ৩০০ টাকা)  এবং প্রাইভেট হাসপাতালগুলিকে কিনতে হবে ৬০০ টাকায়। একই ভ্যাকসিনের বিভিন্ন দর সম্বন্ধে সুপ্রিম কোর্টের মাননীয় বিচারপতি চিত্রচূড়ের, নাগেশ্বর রাও ও রবীন্দ্রভাটের ডিভিশন বেঞ্চ তীব্র আপত্তি করেছে এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে ভর্ৎসনা করেছেন।

    কলকাতায় যে কর্পোরেট হাসপাতালগুলি  এই ভ্যাকসিন কিনে মানুষকে দিচ্ছেন তারা বিপুল লাভ রেখে প্রতি ডোজ পিছু ৮৫০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত কানমুলে আদায় করে নিচ্ছেন। ভ্যাকসিন নিয়ে এই "কালোবাজারি"র মূলে হচ্ছে এই অত্যাবশ্যকীয় ও প্রাণদায়ী ওষুধ বিনা পয়সায় দেবার দায়িত্ব পুরোপুরি ত্যাগ করে তা ব্যবসার জন্য তুলে দেওয়া। বহু * সাহায্যে ঘোষণা করে দেওয়া হল ১ লা মে থেকে ১৮ থেকে ৪৫ বয়সীদের, ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সব বয়সসীমার মানুষকে টিকাকরণের আওতায় নিয়ে আসা হবে, এই জন্য টীকা উৎসবও পালন করা হল। অথচ পাশাপাশি পরিস্কার ভাবে জানিয়ে দেওয়া হল এই বয়সসীমার মধ্যে মানুষদের টীকা হয় রাজ্যসরকারগুলিকে কিনতে হবে অথবা উপভোক্তাদের খোলা বাজারের দারস্থ হতে হব। এই ভয়ঙ্কর অতিমারীর ক্রমবিকাশে মানুষের যন্ত্রণা ও হাহাকার থেকে কিভাবে মুনাফা নিষ্কাষন করতে হয় তা সত্যি এই সরকারের কাছ থেকে শিক্ষনীয়। আমাদের নবগঠিত রাজ্যসরকার ঘোষণা করেছেন, তারা ঐ দুটি কোম্পানি থেকে নির্ধারিত দামে টীকা কিনে সমস্ত নাগরিকদের বিনাপয়সায় দেবে। ৬ মে পর্যন্ত ৩ কোটি ডোজ টীকার জন্য অগ্রিম ৪৮ কোটি টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে কিন্তু ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী নাগরিকদের জন্য কোনো টীকা রাজ্যে আসেনি। ৪৫ ঊর্ধ্ব মানুষদের টীকার জন্য মাত্র ৫ লক্ষ ডোজ এসেছে। ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী নাগরিকদের মধ্যে ৫ কোটি ১৭ লক্ষ জন এর মধ্যেই নাম নথিবদ্ধ করেছেন এবং টীকা পেয়েছেন ২% এরও কম, প্রায় ৭ লক্ষ মানুষ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব * জানিয়েছেন কেবলমাত্র ১২ টি রাজ্যে এই বয়সীদের টীকাকরণ আরম্ভ হয়েছে। অন্য রাজ্যগুলিতে  এ বিষয়ে কোনো খবরই নেই। পশ্চিমবঙ্গে শিশুদের ( ১৮ বছরের নীচে) বাদ দিয়েও প্রায় সাড়ে ৭ কোটি নাগরিকের মধ্যে ১ টি ডোজ পেয়েছেন ৮৪ লক্ষ এবং দুটি ডোজ মাত্র ১৯ লক্ষ। বহু মানুষ দ্বিতীয় ডোজের সময় হয়ে গেলেও পান নি।

    চারিদিকে হাহাকার। এর মধ্যে শুধু ঝড়ের গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে "কেন্দ্রীয় ভিস্তা প্রকল্প" ---- জরুরি পরিষেবা হিসাবে। প্রায় নতুন রাজধানী, সংসদ ভবন এবং সাতশো ঘরবিশিষ্ট প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন তৈরি হচ্ছে যুদ্ধকালীন তত্পরতায় প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা খরচ করে। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্টের 'এয়ারফোর্স ওয়ান' এর অনুকরণে প্রধানমন্ত্রীর জন্য সাতশো কোটি টাকার বিলাশ বহুল বিমান কেনা হয়েছে।

    প্রশ্ন হল সরকার সমস্ত ইচ্ছুক নাগরিকদের বিনা পয়সায় টীকা দেবে না কেন? প্রাথমিক পর্যায়ে কোভ্যাকসিনের তিনপর্যায়ের পুরো পরীক্ষা সম্পূর্ণ না করেই বাজারে নিয়ে আসা হয়েছিল। সে নিতে বহু বিতর্ক হয়। একধরনের সবজান্তা ষড়যন্ত্রপ্রেমী মানুষ (কিছু চিকিত্সকও ছিলেন এর মধ্যে) টীকার বিরুদ্ধে নানা আজগুবী যুক্তি হাজার করেন সামাজিক মাধ্যমগুলিতে কিন্তু নানা দেশে প্রমাণ হয়েছে করোনার পরীক্ষা, রোগীর উন্নত চিকিত্সা ও টীকাকরণই অতিমারী ঠেকাবার একমাত্র কৌশল। ইজরায়েল ১০০% টীকাকরণ সমাপ্ত করে ঘোষণা করেছে, ফাইজার টীকায় প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রায় 94%। অন্যদের ক্ষেত্রেও, টীকা নেওয়ার পরেও যদি রোগ হয় তার তীব্রতা বা প্রাণ যাওয়ার আশঙ্কা ০.৫% একই কম।[5/9, 7:43 PM] Unknown: আমেরিকায় ৪০% টীকাকরণ সমাপ্ত, যুক্তরাজ্যে প্রায় ৪৮%। ভারতে? ১৫% এরও কম। ৪৫বছরের উর্দ্ধে এবং নানা অগ্রাধিকার তালিকাভুক্ত মানুষের সংখ্যা যেখানে ৪২ কোটি, সেখানে টীকা পেয়েছেন মাত্র ১৫ কোটি।

     টীকা শুধু ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নয়। সংক্রমণ হওয়া আটকানোর জন্যও প্রয়োজন। টীকা না নিলে নিজে সংক্রমিত হবার ও অন্যকে সংক্রমণ করার ঝুঁকি ষোলো-আনা। একে বলে externality. করোনার টীকা কোনো ভোগ্যপণ্য নয়। গণস্বাস্থের সঙ্গে জড়িত। আপনার যদি মধুমেহ থাকে এবং তার ঔষধ না থাকে অথবা কিনতে না পারেন, তবে শুধু আপনিই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কিন্তু করোনার টীকা না নেওয়া সামাজিক ক্ষতি। আপনার না রোগ না হয়েও সুপারস্প্রেডার হতে পারেন। এমন একটি বিষয় কেন্দ্রীয় সরকার বাজারের হাতে ছেড়ে দেয় কী করে?
     
    করোনা প্রতিরোধের নাম করে মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিলকে এড়িয়ে খোলা হয়েছিল " PM Care Fund"- যার পরিচালক মন্ডলী শাসকদলের কার্যকর্তায় ভর্তি। উঠেছে ৩৫ হাজার টাকা। ব্যবসায়ীরা কর ছাড়ের জন্য ঐ তহবিলে ঢেলে অনুদান দিয়েছেন। সে টাকা কোথায় গেল?

    ভারতের ১৩৮ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় ৪০% এর বয়স ১৮- এর নীচে। বাকি রইলো ৮৪ কোটি নাগরিক। ১৫০টাকা (বর্তমান বিক্রয়মূল্য?) করে ডোজ দিতে খরচ হয় ২৫,২০০ কোটি টাকা। এই টাকা কি ভারত সরকারের নেই!  ২০২১ শে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বাজেটে মোট বরাদ্দ প্রায় ২.২০ লক্ষ কোটি টাকা। তার মধ্যে ৩৪ হাজার কোটি কোভিড টীকার জন্য। P. M. Care এ আরো ৩৫ হাজার কোটি। এই সত্তর হাজার কোটি টাকা থেকে ২৫ হাজার কোটি বার করা কি অসম্ভব? 

    আরও আশ্চর্যের বিষয় নিধিরাম সর্দার রাজ্যগুলির দিকে দায়িত্ব পুরো ঠেলে দেওয়া হল, তাদের সরাসরি একটা বেসরকারি সংস্থার থেকে টীকা কিনে নিতে বলা হলো অগ্রিম অর্থ দিয়ে। অথচ টীকার সামগ্রিক উত্পাদন ও বন্টনে রাজ্যের কোনো হাত নেই। বর্তমানে যে হারে দুটি ভ্যাক্সিন উত্পাদন হচ্ছে, তাতে সবাইকে টীকা দিতে গেলে দেড় বছর সময় লেগে যাবে। তার মধ্যে তৃতীয়( বুস্টার) ডোজের দরকার হবে কিনা কে জানে ! প্রথমে কেন্দ্রীয় সরকার ৬০০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন যা নাগরিকদের করের টাকা। যুক্তি ছিল জনস্বার্থ। এখন পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য আদার পুনাওয়ালা আবার সাহায্য চাইছেন। অথচ মানুষ টীকা কিনবে সাত থেকে দশগুণ দামে (যদি ক্ষমতায় কুলোয়)। এরা কি সাধারণ ভারতবাসীকে দিয়ে লাশবিপণি খুলে বসেছেন?

    শোনা যায় সংবিধান মোতাবেক ভারতবর্ষের কাঠামো নাকি যুক্তরাষ্ট্রীয়( federal)। তা এক অদ্ভুত খামখেয়ালিপনার মধ্য দিয়ে চলছে। নোটবন্দী, জি. এস. টি, গতবছরের আকস্মিক কঠোর লকডাউন। কেন্দ্রের একের পর এক আধিপত্যবাদী একতরফা সিদ্ধান্ত! এখন যখন টীকা উত্পাদন ও বন্টনের প্রশ্নটি খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, যা একটি কেন্দ্রীয় সরকারই ঠিকমত করতে পারে, তখন কেন্দ্র হাত ধুয়ে ফেলছে। চমৎকার। সবচেয়ে মজার কথা প্রধানমন্ত্রী ভোটে জেতার পুরস্কার হিসাবে রাজ্যবাসীকে বিনা পয়সায় টীকা দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। রাজ্যবাসী সেই উৎকোচ গ্রহণ করেন নি।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১০ মে ২০২১ | ২৯৪৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • আশিস নবদ্বীপ | 2401:4900:3a04:dca7:ca9b:6431:8747:3599 | ১০ মে ২০২১ ২২:৫১105837
  • খুব ভালো। সময়োপযোগী। 

  • | ১০ মে ২০২১ ২৩:০৯105839
  • ভারত ছাড়া আর একটাও দেশ তার নাগরিকদের টীকার জন্য চার্জ করছে কি?  ভারত কেন করছে তাহলে? এর সাথে ১লা এপ্রিল থেকে সিস্টেমে ঢোকা ইলেক্টোরাল বন্ডের কোন সম্বন্ধ আছে কি? 


    এই দুষ্কালের মধ্যে ভারত ছাড়া আর কোন দেশের প্রধান  বিলাসবহুল প্রাসাদ বানাচ্ছে কি? 

  • শেখর সেনগুপ্ত | 2402:3a80:a68:1a4a:39fa:afe9:32ba:f91e | ১০ মে ২০২১ ২৩:১১105840
  • তথ্যপূর্ণ ও সময়োপযোগী লেখা। লেখাটার প্রচার হওয়া দরকার। 

  • Raja Bhattacharyya | ১০ মে ২০২১ ২৩:২৭105841
  • "প্রশ্ন হল সরকার সমস্ত ইচ্ছুক নাগরিকদের বিনা পয়সায় টীকা দেবে না কেন? প্রাথমিক পর্যায়ে কোভ্যাকসিনের তিনপর্যায়ের পুরো পরীক্ষা সম্পূর্ণ না করেই বাজারে নিয়ে আসা হয়েছিল। সে নিতে বহু বিতর্ক হয়। একধরনের সবজান্তা ষড়যন্ত্রপ্রেমী মানুষ (কিছু চিকিত্সকও ছিলেন এর মধ্যে) টীকার বিরুদ্ধে নানা আজগুবী যুক্তি হাজার করেন সামাজিক মাধ্যমগুলিতে..." 


    মোক্ষম কথা বলেছেন লেখক। এই সবজান্তা ষড়যন্ত্রপ্রেমী মানুষগুলোর (কিছু চিকিত্সকও ছিলেন এর মধ্যে) জন্য অকারণ কতগুলো দিন নষ্ট হয়েছে। 

  • ভ্যাকসিনসন্ধানী | 117.194.37.66 | ১১ মে ২০২১ ০১:৫০105844
  • আমি টিকাকরণের পক্ষে। 


    তবু কটা জায়গা নিয়ে খটকা আছে। এক পর্যাপ্ত ট্রায়াল না হওয়ার পরেও কেন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার যথেষ্ট ভাল করে মনিটরিং আর স্বচ্ছ রিপোর্টিং হল না? যে কটি মৃত্যু হল সেগুলো নিয়ে সরকারি রিপোর্ট কোথায়? 


    দ্বিতীয়ত যতটা জেনেছি দুটো ভ্যাকসিন দু রকমের ।  দুধরনের ভ্যাকসিনের যেটুকু ট্রায়াল হয়েছে তাতে আলাদা করে নারী স্বাস্থ্যের উপর এদের প্রভাব থাকা বা না থাকা নিয়ে কোন  স্টাডি হয়েছে কি? সেই নিয়ে যখন কথা উঠেছে, তখন ডাক্তার রা বলেছেন এসব গুজব, ফালতু কথায় কান দেবেন না। কিন্তু কি যুক্তিতে বলছেন গুজব সেটার কোন ব্যাখ্যা পাই নি। আমার জানা কম হতেই পারে, হয়ত স্টাডি হয়েছে আমি জানি না। কিন্তু তবু স্টাডির রেফারেন্স পেলে বিশ্বাস করতে ভরসা হয় বেশি। মুখের কথা বড্ড পাল্টে পাল্টে যায়। 


    তৃতীয়ত এমন কোন ডেটা আছে কি যাতে প্রত্যেকটা ভ্যাকসিনের একটা এবং দুটো ডোজ নেওয়ার পর সংক্রমণের, hospitalisation এবং মৃত্যুর হার জানা যায়? এমনি ক্যাজুয়াল ভাবে বলা আনুমানিক কথা না, প্রমাণিত কোল্ড হার্ড সায়েন্টিফিক ডেটা। 


    টিকা ভাল জিনিস। আর এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘ ট্রায়ালের সময়ও ছিল না। কিন্তু ইমপ্লিমেন্টেশন পর্ব টাও ভরসাযোগ্য করার দায় ছিল ICMR এর। সেটাও কি ঠিকমত হল? 


    আর এই ফাঁক দিয়েই বিভিন্ন কনস্পিরেসি থিওরিস্ট রা  ঢুকে পড়েন। 


    তবে সবকিছুর পরেও ভ্যাকসিন নিয়ে আলোচনা বৃথা। কারণ সে তো ঈশ্বরের মতন। তাকে দেখা যায় না। তবু তিনি আছেন বলে মানতে হয়। 

  • Anindita Roy Saha | ১১ মে ২০২১ ১০:২৭105854
  • দেশব্যাপী এই অন্যায় নীতি ও টীকাকরণের অব্যবস্থার মধ্যেও সানন্দে জানাতে চাই দিল্লীর কেজরিওয়াল সরকার এই কাজটি দক্ষভাবে পরিচালনা করছে। শহরের সরকারি স্কুলভবনগুলি (যা গত কয়েক বছরে যথেষ্ট উন্নত হয়ে উঠেছে) টীকা কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কমবয়সী ছেলে মেয়েরা অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করে মাত্র ৪০-৪৫ মিনিটের মধ্যে সুশৃঙ্খলভাবে টীকা নিয়ে ফিরে আসছে। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। 

  • chaitali chattaraj | ১১ মে ২০২১ ১৮:৪৫105868
  • ১৮ বছরের  নিচে ভ্যাকসিন  যায়  তা তো পরীক্ষিতই নয়।..??? 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন