এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • পাকবিড়রা --সহস্রাব্দ প্রাচীন মন্দির ও রাঢ়বঙ্গে জৈনধর্ম

    Sharmistha Das লেখকের গ্রাহক হোন
    ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ | ১১৬৪ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • পদ্ম পাপড়ি দু একটি স্খলিত । প্রস্তরকলসের গাত্রে মহাকালের দংশনচিহ্ন । এইপ্রকার ভগ্ন অর্ধভগ্ন কলসগুলি সারিবদ্ধভাবে ভূমিতে দন্ডায়মান ।  পরস্পর শুধু নিম্নস্বরে আলোচনা করে  একদা মন্দিরশীর্ষে শোভিত হবার প্রাচীন গৌরবস্মৃতি । অযত্ন লালিত ধুলিধুসরিত অগণিত প্রস্তর আমলক ।  মন্দিরদ্বারের ঊর্ধ্বস্তরের নির্মাণে প্রয়োজন হত । 


    যতদূর দৃষ্টি প্রসারিত হয় ধু ধু প্রান্তর । কে বলবে ইতিহাস ? ক্ষুদ্র দুচারটি শিশু শুধু সংরক্ষণাগারের দ্বার খুলতে সক্ষম । সত্যি ইতিহাস কে বা জানে !  কত নিগন্থ কত আজীবকের প্রয়াস ব্যর্থ হল । কতবার সভা বসল --পাটলিপুত্রে , গুজরাতের বল্লভীতে । কত 'অঙ্গ' রচনা হল । বার বার হারিয়ে গেল । কতবার নিহ্বান --বিভাজন । বহুশ্রুত মত আটবার ।


    শুধু থেকে গেল 'জিন' --জয়ী হও --সর্ব আসক্তি, আকাঙ্ক্ষা, ক্রোধ, অহংকার, লোভ জয় কর হে শ্রমণ । তবেই তুমি জৈন । 


    মন যে আমার  এইসব জয়ের ঠিক বিপরীতগামী  । ভ্রমণ আসক্তি কমে না । পুস্তক আসক্তি, বন্ধু আসক্তি কমেনা ।  পুরুলিয়াগামী প্রধান  রাজপথ থেকে যে শীর্ণ  ধুলিপথ পায়রাচালি গ্রামে প্রবেশ করছে-- শকট সেপথে চলল । গন্তব্য --সে পরে বলবখন । হাতিখেদা --শীর্ণ গ্রামীন পথ শেষ হল । রাঢ় বঙ্গের এইসব অঞ্চলে পরিব্রজন করেছিলেন মহাবীর বর্ধমান । জন্ম যাঁর রাজবংশে , লিচ্ছবি নাম ।  পিতা সিদ্ধার্থ , মাতা ত্রিশীলা । বৈশালী নগরীর কুন্ডলগ্রাম । ২৩ তম পার্শ্বনাথের পর  তিনি ২৪তম তীর্থঙ্কর ।  যীশুখ্রীষ্ট জন্মগ্রহণের ঢের দেরী --তা প্রায় সাড়ে পাঁচশো বছর । রোগ , দারিদ্র্য, মহামারী জর্জরিত বঙ্গভূম । বেদেরও আগে কাউকে পেয়েছিল । কেউ কাছে ডেকে বলেছিল ---অহিংসা --কারো প্রাণহানি কোরো না , মানুষ অথবা না-মানুষ , এমনকি জীবজন্ত, কীট পতঙ্গ , বৃক্ষ লতা কারো না । বৃক্ষমূল ভক্ষণ পর্যন্ত  নিষিদ্ধ কারণ এর ফলে বৃক্ষহনন হয় । নিজের অজান্তেও কারো প্রাণহানি না হয় সজাগ থেকো, শুধু আত্মরক্ষার্থে প্রাণহানি পাপবহির্ভূত ।  অনেকান্তবাদ --মুক্তমনস্ক হও , সব মতকে সম্মানজ্ঞাপন কর । অপরিগ্রহ--নির্লোভ হও । ছিন্ন কৌপীন আর ক্ষুধাসম্বল মানুষগুলোর কাছে এসব বাণী যেন ক্ষীণ  মৃচ্ছকটিক শিখা । তাঁরা শরণ নিল ।  দুই ও অর্ধসহস্র বৎসর অতিবাহিত ।  আজো  সাক্ষী রাঢ় বঙ্গের  গ্রামে গ্রামে  জৈনস্থাপত্যের ভগ্নস্তূপ । 


    1872 সালে জে ডি বেগলার সাহেব পুরুলিয়াতে খুঁজে পেলেন চব্বিশটি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ । পাকবিড়রা !! অদ্য গন্তব্য । তিনটি মন্দির মূল স্থাপত্য বজায় রেখে মেরামত করা সম্ভব হয়েছে । 


    সম্পূর্ণ  মনুষ্য কলরব বিহীন অঞ্চলে পদচারণাকালে  বিভ্রম ঘটতে থাকল । ওই  যে প্রবেশ তোরণের দক্ষিণ দিকে কালো পাথরের পদ্মপ্রভুর নগ্ন মূর্তি । কায়োৎসর্গ ভঙ্গিমা । ভূমিতে নিবদ্ধ নিম্নমুখী দৃষ্টি থেকে  কিছু কথা ভেসে আসছে । বুঝতেও পারছি । কি আশ্চর্য । কিন্তু আমি যে অর্ধমাগধী জানিনা একবর্ণ । এমন আশ্চর্য অনেক ঘটে --জনৈক গ্রামবাসী বলেছিল । গ্রামবাসীর কাছে তিনি ভৈরবনাথ । পদ্মপ্রভু তো সর্বত্যাগী , এমনকি লজ্জাও তিনি ত্যাগ করেছেন । তাই তাঁর মূর্তির মস্তক কোনো আচ্ছাদন গ্রহণ করেন না । যতবার ছাউনি করা হয়--ভেঙে পড়ে । এখনো তাকে ঘিরে শুধু চারটি ব্যর্থ ঔদ্ধত্যের স্তম্ভ । 


    ঠিক মনের মতো কথাটি বললেন পদ্মপ্রভু --জগত নিত্য , কালচক্র ঘুর্ণায়মান, কোনো ঈশ্বর নেই , ঋষভনাথ পথ প্রদর্শক  , বিশ্ব চিরদিন ছিল আছে । জৈনরা বলেন --পঞ্চসহস্র বৎসর পূর্বেও তিনি ছিলেন । ঋগ্বেদের ১০ম মন্ডল ১২শ অনুবাক ১১৬ঋক  --"ঋষভনাথের মতো দেবতা দাও হে রুদ্রদেব " । সুতরাং  আদিনাথ ঋষভনাথ বেদ পূর্ব সময়ে ছিলেন । হরপ্পা খননে মেলে কায়োৎসর্গ নগ্ন পুরুষমূর্তি , ঋষভনাথের বৃষ প্রতীক । 


    প্রাক আর্য আলোবলয় ঘুরপাক খায় পাকবিররা মিউজিয়ামে । ওই তো আদিনাথ--প্রস্তর ফলকের কেন্দ্রে উপবিষ্ট । তাঁকে ঘিরে ৩৫৬ তীর্থঙ্কর । অনেকাংশে ভগ্ন । আদিনাথের মূর্তি  আটটি ভঙ্গিতে । হাতের তালুতে , টেবিলে স্থাপন করা যাবে এমন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কত প্রস্তর মন্দির । পরিকর সহ কত তীর্থঙ্কর । অম্বিকা মূর্তি ।  কার ছেনি হাতুড়ির কাজ জানার কোনো উপায় নেই । পাকবিড়রা গ্রামে খননকার্যে পাওয়া গেছে সব । এসব মূর্তি ও মন্দির  নবম দশম শতাব্দীতে সৃষ্টি তা প্রমাণিত  কিন্তু প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কোনো ফলক চোখে পড়ল না । প্রাচীর বেষ্টিত প্রান্তরে ছড়িয়ে থাকা ভগ্ন মূর্তি খন্ড তস্কর অনায়াসে  ঝোলায় পুরতে পারে ।  


    প্রথম ও দ্বিতীয় মন্দির ওড়িশি ধাঁচের রেখদেউল । উত্তরমুখী । যথেষ্ট তফাতে তৃতীয় মন্দিরটি পূর্বমুখী । সব সবুজাভ ক্লোরাইট প্রস্তর নির্মিত। চূড়ায় পদ্মকলস ।  এইস্থানে এই প্রস্তর বিস্ময় জাগ্রত করে । মন্দিরে গর্ভগৃহস্থিত  মহাবীর বর্ধমান বাঙ্ময়  -- বিস্ময়কর কিছু নয় --চতুর্মাস যাপন করেছি রাঢ়ে , অন্তর দিত্থি জাগ্রত কর । কত শত শেটঠির যাতায়াত । ভালো করে কান পাতলে  শোনা যাবে অষ্টম নবম দশম শতাব্দীর বাণিজ্য কোলাহল । দ্বারকেশ্বর , সুবর্ণরেখা, কংসাবতী, দামোদর, শিলাই নদী তখন  যৌবনোচ্ছল স্রোতস্বিনী । আজকের শীর্ণধারা অথবা মৃত নদীখাত দেখে কল্পনা করাও কঠিন , কি গভীর ছিল তাদের  নাব্যতা । সব শাখানদী উপনদী মিলে মিশে রাঢ়বঙ্গের নদীজালিকা --ছিল  বণিকদের কাছে অতি আকর্ষণীয় জলপথ ।  তৈলকম্পী প্রধান বন্দরশহর । রাঢ় বঙ্গে ব্যবসাবাণিজ্য করেন উত্তর মধ্য ভারতের শ্রেষ্ঠীরা । বাণিজ্যতরনীর গতায়াতে একদা  মুখর ছিল এই ধু ধু রুক্ষ প্রান্তিকভূমি ।  ধাতুদ্রব্য কাপাস বস্ত্র পশম আদানপ্রদান হত ।  অগন্থ ভদ্রবাহুর শিষ্যত্ব নিয়েছিলেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্য । এই ভদ্রবাহু মহাবীর বর্ধমানের নির্বাণের  দুইশত বৎসর পর তাঁর জীবনী  লিপিবদ্ধ  করলেন-- "কল্পসূত্র" । মহামেঘবাহন বংশের রাজা উদয়গিরির হাতিগুম্ফায় শিলাখোদিত করছেন জৈনলিপি । নৃপতিগন যেপথে করে গমন -- বহু ধনীজন জৈনধর্ম গ্রহণ করেছিলেন । তাঁরা আসা যাওয়ার পথে  অগণিত জৈন মন্দির নির্মাণ করেছিলেন রাঢ়বঙ্গে  । অধিকাংশ কালগহ্বরে নিমজ্জিত, প্রতি গ্রামে মেলে  জৈনস্তুপ । বাঁকুড়ার ধরাপাট , বহুলাড়া , দেউলভিড়া মন্দির এখনো অক্ষত । পুরুলিয়ায় চেলিয়ামা , দেউলভিটা , তেলকূপী । পাঞ্চেত বাঁধের ঔদ্ধত্যে তেলকূপীর অজস্র মন্দির সলিলসমাধিতে নিদ্রিত । এই মুহূর্তে  ভগ্ন একটি মন্দির -- অর্ধবক্রাবস্থায়  ।। তারও মৃত্যু আসন্নপ্রায় । 


    পাকবিড়রা মন্দির প্রাঙ্গণে বাধা দেবার  কেউ  নেই । পায়ে পায়ে অন্ধকার  গর্ভগৃহে প্রবেশ করি ।  ধূপ ধুনো অগুরু  । পুষ্প চন্দন কুসুমমাল্য --সমকাল অতিক্রম করে সেই আদিকালের সুগন্ধ ।  সব তীর্থঙ্কর  মূর্তির  দুই পার্শ্বে খর্বকায় পরিকারদ্বয়ের সেবা উন্মুখ ভঙ্গি । পদ্মস্থিত পদদ্বয় । আমার বেয়াদপ নচিকেতা হঠাৎ প্রশ্ন করে বসল--  আদিনাথ --পুজাগ্রহণ করতেন কেন ? সর্ব স্পৃহা সর্ব আসক্তি জয় করলেন--কিন্তু ভক্তের সমর্পনমুদ্রা , ভক্তিনিবেদন , পুজা । অষ্টপ্রকার পূজা প্রাপ্য তীর্থঙ্করদের  --জলপূজা, চন্দনপূজা, পুষ্পপূজা, ধূপপূজা, দীপকপূজা, অক্ষতপূজা, নৈবেদ্যপূজা ও ফলপূজা । এসব দ্বারা নিজে  উচ্চাসনে বিচ্ছিন্ন থাকার এক আসক্তি সৃষ্টি হল না কি ? সাধনা দ্বারা নিজেকে বিশিষ্ট ভাবার আসক্তি  ? 


    সহসা ঠক ঠক ঠক ঠক । সম্মুখে প্রাচীন বৃক্ষগাত্রে এক অর্বাচীন  কাষ্ঠকুট্ট পক্ষী ।


    ওরে --কোনো কিছুর  চূড়ান্ত বলে কিছু নেই ।  যে চতুর্যামের কথা বলেছি , তার এক শতাংশ মান্য করলে ধরাধাম অন্যধারা হত । 


    পাকবিড়রা গাইড , ভ্রাতা দেবাশিস মুখোপাধ্যায় স্থিরচিত্রযন্ত্র হাতে উধাও হয়েছিল । ফিরতেই ফের শকট অভিমুখে যাত্রা  --ঘোরে  বিড় বিড় করি অগমা--দ্বাদশঅঙ্গ--আচরণসূত্ত-কল্পসূত্ত-- 


      


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • জয়ন্ত ভট্টাচার্য | 117.201.120.107 | ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ ০৯:৫২101442
  • অপূর্ব! ভাষার মায়ায় অতীতচারী হয়ে গেলাম।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন