এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • একতরফা প্রেম 

    Mousumi Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৪ নভেম্বর ২০২০ | ৬৯৪ বার পঠিত
  • হ্যাঁ মানে যে প্রেম এ আপনার নিজের চিরাচরিত আচরণের এর বাইরে আপনি নিজেকে পাল্টে ফেলেছেন।কিন্তু কোনো চাহিদা ছাড়াই!


    কিন্তু অদ্ভূত ব্যাপার হলো এখানে আপনি কাউকে প্রেম নিবেদন করতে পারবেন না, না দেখতে পাবেন তাকে না বলতে পারবেন আপনার মনের কথা।না তাকে স্পর্শ করতে পারবেন।


    শুধু মাত্র আপনার অতীত এর স্মৃতি আপনার জমাপুঁজি,পুরোনো কিছু গোচ্ছিত ছবি একমাত্র সম্বল আপনার। আপনি সেই স্মৃতির ওপর ভরসা করে নিজের হৃদয়ে আগুন জেলে রেখেছেন।অতৃপ্ত আশায়।


    আজ গল্প বলছি এই রকমই এক ব্যার্থ কিন্তু দামাল প্রেম এর। যেখানে প্রেম থেকে শুরু হয়ে পরিণত হয়েছে ব্যার্থ এক তরোফা ভালোবাসায়।


    গল্পটা বলতে গেলে যেতে হবে বেশ কয়েক বছর পিছনে। সুমের আর মিয়া আলাদা আলাদা শহরে থাকে। সুমের বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যায় মিয়ার শহরে। সেখানে সুমের এর কিছু বন্ধুরা থাকতো সেই বন্ধুরা আবার মিয়ার ও কমন বন্ধু। হঠাত করেই তাদের আলাপ হয়। যাকে বলে লাভ এট ফার্স্ট সাইট। দুজন এই প্রেম এ পরে দুজন এর।


    সময়ের সাথে প্রেম পড়িনত হয় ভালোবাসায়, যেখানে ভালোবাসার পাশাপাশি চলতে থাকে অদম্য প্যাশন। দুজন দুজন এর এতটাই পরিপূরক হয়ে ওঠে যেখানে তাদের মধ্যে অন্য কেউ ঢোকার কথা চিন্তা করতে পারে না।


    আলাদা দুই শহরে তারা থাকলেও হৃদয় এর গভীরতা এতটাই ছিল যে দুই শহরের হাজার মাইল ট্রাভেল করাটা তাদের জন্য কোনো সমস্যা ছিল না। বেশ ভালো কাটছিল তাদের কিন্তু বিপদ হয়ে দাঁড়ালো তাদের এই দুরত্ব আর তার মাঝে এসে দাঁড়ানো দ্বিতীয় এক মহিলা।


    মেহুল আসে সুমের এর জীবনে, যেখানে সেই সময় দুরত্বের কারণে দুটো মানুষ নিজেদের ভালোবাসার পরীক্ষা দিতে কাট গোড়ায় ওঠে ঠিক সেই সময় মেহুল সুমের এর জীবনে আসে এক ঝড়ো হাওয়ার মতোন। ভাদ্র মাসে ভরা দুপুরে সূর্যের আলোর ভিতরে হঠাত কালো মেঘ এসে এক পশলা বৃষ্টি ঘটালে যে রকম টি ঘটে ঠিক সেই রকম।এ বৃষ্টি সুখের নয় আসন্ন বড় ঝড়ের।সুমের আঁচ করতে পারলেও আটকানোর ক্ষমতা হচ্ছিল না।


    ওদের মনের গাছের কৃষ্ণচূড়া আর রাধা চূড়া ফুল গুলো ঝড়ে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে পড়ে যায়।সুমের এগিয়ে যায় মেহুল এর সাথে।


    কিন্তু অল্প কিছু দিনের মধ্যেই সে বুঝতে পারে সে কি হারিয়ে ফেলেছে,মিয়া সুমের কে শিখিয়েছিল ভালো বাসতে, বিশ্বাস করতে যে কোনো বিপদে কারোর পাশে দাঁড়াতে, সর্বোপরি হাসতে।


    মেহুল এসে সেই সুমের কে তৈরি করলো বদ্ধ উন্মাদে,তার বিশ্বাস এর সীরদারাকে ভেঙে গুরিএ দিয়ে গেলো।তিন মাস এই ভাবে কাটার পর
    সুমের চেষ্টা করেছিলো মিয়ার কাছে ফেরার, কিন্তু ততদিনে অনেক দেরি হয়ে গেছে মিয়া অন্য একটি সম্পর্কে মুভ অন করে গেছে।


    সুমের এর চোখের সামনে দিয়ে চলে গেলো তার মিয়া। তার পর থেকে শুরু হল এক অদ্ভূত অভিনয়
    এর ভালো থাকার।সেটা যেভাবে হোক।


    মিয়া কোনো দিন জানতেও পারল না আর আজ ও সুমের মিয়ার জন্য ওয়েট করে আছে। কিছু কথা সত্যি বোঝানো যায় না, আর না বলা যায়,


    মিয়া ভালো আছে, সুখে ঘর করছে এখন।ওর ভালোবাসার মানুষ ওকে খুব ভালোবাসে। সুমের সেটা তেই হ্যাপি।


    সুমের আজ ও ততোটাই ভালো বাসে মিয়া কে। কিন্তু দূর থেকে, সে মনে মনে এটাও বিশ্বাস করে যে মিয়া তার উপর যতোই অভিমান করুক সেও সুমের কে আজ ও ততোটাই ভালোবাসে।


    কিন্তু ওই যে সব ভালোবাসার যে শেষে মিল হতেই হবে এই রকম কোনও মানে নেই। কিছু মানুষ থাকে ই এক তরোফা ভালো বাসার জন্য।জ্বল জ্বল করে থেকে যাক সুমের আর মিয়ার না হওয়া ভালোবাসা।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন