এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • মেয়েদের কিছু তুচ্ছ কথা 

    Bandana Mitra লেখকের গ্রাহক হোন
    ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ১৭৯৮ বার পঠিত
  • আমরা ইঞ্জিনয়ারিং পাস করেছি ১৯৮৬ সালে, মানে আজ থেকে ৩৪ বছর আগে। সেই অর্থে ধরতে পারি আমরা হচ্ছি প্রথম প্রজন্মের মহিলা প্রযুক্তিবিদ। এর আগে নিশ্চয় অনেক মহিলা ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন, তবে তাঁরা শতকরা হিসাবে সংখ্যায় এতই কম যে তাঁদের ঠিক প্রজন্ম বলে ধরা যায় না, বরং ব্যতিক্রম বলে ব্যক্তিগতভাবে বাহবা দেওয়া যেতে পারে। আমাদের সময় শিবপুর বিই কলেজে সব মিলিয়ে পড়ুয়া ছিল ১২০০ জন, তার মধ্যে সাকুল্যে ১২০ থেকে ১৫০ জন মেয়ে – মানে মাত্র ১০%। সেই বছর আমরা সাতজন মেয়ে মেটালারজি নিয়ে ভর্তি হলাম। সেই সময় মেয়েরা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে শুনলে শুভানুধ্যায়ী জনগণের প্রথম রিঅ্যাকশন হত – “মেয়ে ইঞ্জিনিয়ার! বিয়ে হবে না তো! ছেলে খুঁজে পাওয়া যাবে না।” এদিকে কলেজে, ক্লাসের ছেলেরা উঁচু গলায় এবং স্যারেরা নিচু গলায় বলতেন – মেটালার্জীতে মেয়েদের চাকরী কোথায়? সারাজীবন বেকার থাকতে হবে! তো আমরা কজন শুরু থেকেই এহেন অপূর্ব ভবিষৎবাণী নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলাম। তখন মেয়েরা অনেকেই শাড়ি পরতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করত, সালোয়ার কামিজ কলকাতা চত্বরে এলেও সকলের ওয়ার্ডোবে কায়েমি হয় নি। তার ওপর অত ছেলেপুলের মাঝখানে আমরা টিমটিম করছি কটি মেয়ে, মাঝে মাঝেই উড়ে আসত রসভরা টিপ্পুনী, অজ্ঞাতকুলশীল রসিকজনের থেকে। শাড়ি পরেই ক্ষান্ত দিয়েছিলাম বোরখা পরার বায়না ধরি নি, এই যথেষ্ট। আজ ভুলে গেছি কি ল্যাব ছিল, স্মিদি কি ফাউন্ড্রি – ললিত লবঙ্গলতা শাড়ি পরিহিতা সদ্য তরুণীদের দেখে পুলকিত হওয়ার বদলে স্যার লাগালেন আচ্ছা ধমক – “এই শাড়ি টাড়ি ল্যাবে চলবে না, কাল থেকে অন্য কিছু পরে আসবে!”।

    তখন অপরিচিত, অর্ধপরিচিত, সদ্যপরিচিত নিজের ইয়ারের ছেলেদের উঁচু গলায় “তুই” করে ডাকতে গিয়ে বিষম খাচ্ছি – কি করব, এটাই নাকি কলেজের নিয়ম। তবে আমার কিন্তু খুব ভাল লাগতো, জেন্ডারের বেড়াটা এখানেই প্রথম ভাঙা হল, এরপর চালাও পানসী বেলঘরিয়া – যত চাও আড্ডা মারো – সাহিত্য, রাজনীতি, সামাজিক ঘটনা, হাসি ঠাট্টা, এমন কি নিজের মনের কথা, নিজস্ব কথা – কোন ছেলের সঙ্গে মনখুলে গল্প করতে গেলে তার প্রেমে পড়তে হবে এমন বিধান আবার কোন শাস্ত্রে লেখা আছে!

    কলেজের চার বছর তেমন বিরাট কোন বৈষম্যের স্বীকার হতে হয় নি। তবে আমরা মেয়েরাও যে ভাল একটা চাকরি পাওয়ার ব্যাপারে ছেলেদের মতই উৎকণ্ঠায় আছি, আমরাও যে একটা করপোরেট কেরিয়ার গড়তে চাই, এটা শিক্ষক মহাশয়রা ঠিক বিশ্বাস করতে চাইতেন না, সিরিয়াসলি নিতেন না আমাদের। শিক্ষার অর্থকরী দিকটাতে মেয়েদের প্রবেশটা একটু অনধিকার চর্চা বলে ধরে নেওয়া হত। প্রায়ই ক্লাসের কিছু ছেলে অভিযোগ করত যে মেয়েদের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া মানে একটা সীট নষ্ট করা ! ওদের বক্তব্য ছিল যে মেয়েরা নিজেরাও চাকরি করবে আবার বিয়েও করবে চাকরি করা ছেলেকে। সে ক্ষেত্রে একটা ছেলে চাকরি পেলে একটা পুরো পরিবারের দায়িত্ব নেয়, বেকার এক বউ সহ। ওদের কথায় মনে হত যেন আমরা ছেলেদের হকের একটা চাকরী ছিনিয়ে নিচ্ছি। কেউ কেউ একধাপ এগিয়ে বলত ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য অর্থনৈতিক ভাবে ভাল জায়গায় আছে সেই সব মেয়েদের এক একটি বেকার ছেলের দায়িত্ব নেওয়া উচিত। অঙ্কের থিওরি হিসাবে ঠিকই ছিল, কিন্তু বিয়ে তো শুধু অঙ্কের হিসাবে অর্থনৈতিক দায়বদ্ধতা নয়, সামাজিক প্রথাও বটে। মেয়েরা চাকরি করে নিয়মকরে বেকার ছেলে বিয়ে করলে অনেক পুরনো সামাজিক প্রথার পরিবর্তন চাইতে পারে, সেই সব নিয়ম বদলাতে ছেলেরা কি রাজি হবে? রোল রিভার্সাল করতে চাইবে কি তারা? এখন তো প্রায় সব পরিবারে স্বামী স্ত্রী দুজনেই কাজ করে, সংসার দুজনের রোজগারেই চলে। সামাজিক অবস্থান কিন্তু মেয়েদের একই রয়ে গেছে। বিয়ের পরে মেয়েরা তার নিজস্ব রোজগারে নিজের বাবা মায়ের দেখাশোনা করলে অনেক ক্ষেত্রেই আপত্তি ওঠে, সে বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে হলেও ওঠে। আর বৃদ্ধ বাবা মাকে নিজের কাছে এনে রাখা – এখনও খুবই ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত, বাড়ির লোণের ভার সমান ভাবে বহন করা সত্বেও, বাবা মায়ের নিজের বাড়ি না থাকলেও, বাবা মা অসুস্থ, দেখার কেউ না থাকলেও – মেয়ে জামাইয়ের বাড়ি এসে থাকলে এখনও “কথা ওঠে”। ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে, আমি সাধারণত যা হয় সেই কথা বলছি। পুত্রবধূকে ভিলেন বানিয়ে বৃদ্ধাশ্রম সংক্রান্ত প্রচুর গল্প উপন্যাস পড়ি, কিন্তু মেয়েটির নিজস্ব রোজগার থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র সামাজিক চাপে প্রয়োজনের সময় বাবা মার পাশে দাঁড়াতে না পারার অসহায়তা নিয়ে খুব একটা লেখালিখি চোখে পড়ে নি।

    যাই হোক কলেজে সমস্যায় পড়লাম ফোর্থ ইয়ারে চাকরি খোঁজার সময়। ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে দেখি প্রাইভেট ফার্মে অলিখিত নিয়ম আছে মহিলা রিক্রুট করা হবে না। এক নামকরা মাল্টিন্যশনল অ্যালুমিনিয়ম কোম্পানি জানালো, মহিলাদের নেওয়া যাবে না, ওদের ফ্যাক্টরিতে লেডিস টয়লেট নেই! আরেক জায়গায় আমাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল – মেয়েদের চাকরি দিলে মেটার্নিটি লিভে চার মাস যে ম্যান আওয়ার নষ্ট হবে, সেটা কি ভাবে পুষিয়ে দেব? আমি উত্তর দিয়েছিলাম, বাচ্চাটা তো একা মায়ের নয়, পুরো দেশেরও তো নাগরিক। যদি বড় হয়ে একটা কেউ কেটা হয় তখন তো সমস্ত দেশ তখন এগিয়ে আসবে “আমাদের ছেলে” বলে তার কৃতিত্বে ভাগ বসাতে। তাহলে দেশ একটু না হয় ম্যান আওয়ার ইনভেস্ট করলোই বাচ্চাটির ওপর। আমার এ হেন যুক্তি তাদের পছন্দ হয় নি, আমি চাকরিটা পাই নি।

    এখন তো সময় অনেক বদলেছে, আমরা যে যে অসুবিধার মুখোমুখি হয়েছিলাম তার অন্তত কিছুটা সমাধান করা গেছে। তবে এখনও, কর্পোরেটে মেয়েদের সংখ্যা অনেক বাড়লেও, কোম্পানির উঁচুথাকে তাদের উপস্থিতি খুবই কম। পরিবার সংক্রান্ত সুযোগ সুবিধা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি এটা নিয়েও কথা বার্তা হত, যে কোম্পানির বোর্ড রুমে মেয়েদের সংখ্যা এত কম কেন? শুধুই কি যোগ্যতার অভাব? মেয়েদের সাধারণতঃ কেন উল্লেখযোগ্য, চোখে পড়ার মত দায়িত্ব দেওয়া হয় না? যাকে বলে leading from front. যোগ্যতা নেই? কোন একটি মেয়ের ব্যর্থতাকে মহিলাজাতির ব্যর্থতা হিসাবে তুলে ধরা হয়, ছেলেদের ক্ষেত্রে তো কই তা হয় না!

    আমাদের দেশে আইনত, শিক্ষিতা, কর্মরতা মেয়েদের কোন বৈষম্যের সম্মুখীন হওয়ার কথা নয়। কিন্তু মুশকিলটা কি হয়, আমি বরাবর দেখে আসছি, মেয়েদের কি সে ভাল হয় সেটা মেয়েরা নিজে ছাড়া আর সবাই জানে। বেশির ভাগ সময় শুভানুধ্যায়ী ওপরওয়ালারা তাদের চারদিকে লক্ষণের গণ্ডী কেটে দেয়, তাদের হয়ে সিদ্ধান্তটা নিয়ে নেয়। হয়তো ভাল ভেবেই। আগে যেমন মেয়েদের সুরক্ষার নামে অসূর্যম্পশ্যা করে রাখা হত, শোনা যায় তাদের ভালর জন্যই, কিন্তু কালক্রমে দেখা গেল এতে ভালর চেয়ে খারাপই বেশি হয়েছে। লক্ষণের গণ্ডী ক্রমে পরিণত হয় করপোরেট গ্লাস সিলিং এ। এই বিষয়ে অন্য আরেক দিন লেখা যাবে। ব্যতিক্রম কিন্তু সবজায়গায় আছে এবং থাকে, তবে নিজেদের প্রাপ্যটুকু বুঝে নিতে মেয়েদের বড় বেশি ঘরে বাইরে যুদ্ধ করতে হয়, বেশির ভাগ সময় যুদ্ধে হার হবে জেনেও।

    কিন্তু সব যুদ্ধই শেষ হয় আরেকটা যুদ্ধের সূচনা করে। পরের বার যারা আসে তারা আগের পরাজিত সৈনিকদের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নেয়, স্ট্র্যাটেজি ঠিক করে, তাদের যুদ্ধটা অনেক সহজ হয়ে যায়। এখনকার মেয়েদের ঝকঝকে আত্মবিশ্বাসী হার না মানা মুখগুলো দেখে খুব ভাল লাগে। অফিস করছে, সংসার করছে, মা বউ মেয়ে পুত্রবধূ, দায়িত্বশীল কর্মী, কেরিয়ার সচেতন উচ্চাকাঙ্ক্ষী এক্সিকিউটিভ – এতগুলো রোল প্লে করার পর নিজেকেও খুঁজে পেতে চাইছে – এদের কাছে জীবনযাপনের কোন সহজপাঠ নেই। কখনও ঠিক ঠাক এগোচ্ছে, কখনও ভুল হচ্ছে। তা হোক, থেমে না গেলেই হল।

    তাই বলি, প্রতিটি মেয়ের এক গোপন নিজস্ব যুদ্ধ আছে, যা তাকে রোজ নিয়ম করে সকলের চোখের আড়ালে লড়তে হয়। সেই যুদ্ধের সব ক্ষত সব রক্তপাত যত্নে লুকিয়ে হাসিমুখে পৃথিবীর মুখোমুখি হতে হয় রোজ। প্রতিটি মেয়ে জানে রোজ কত অপমান, অবিচার, তাচ্ছিল্য উপেক্ষা করে তাকে রেসের শেষ ফিতেটা আঙুলে ছুতে হয় – দৌড়টা কিন্তু তাকেই প্রাণপণে ছুটতে হয়, কেউ তার হয়ে ছুটে দেয় না।

    প্রতিটি মেয়ের প্রাণ ভোমরা লুকোনো থাকে তার স্বপ্নের মধ্যে, সংসার সেই ভোমরাকে ছুঁতে পারে না। যেখানে যতটুকু ভাঙাচোরা, ছেঁড়াখোঁড়া সুখ ও আনন্দ লুকোনো আছে তাকে লড়াই করে, যুদ্ধ করে, লুট তরাজ করে মেয়েদের সুখী হওয়া, আনন্দে থাকা। সে লোকাল ট্রেনে সন্ধেবেলা বাড়ি ফিরতে ফিরতে গল্পের বই পড়া হোক, বা দিনের শেষে এক কলি গান, একটা কবিতা, নিদেন একটা সেলফি - ফেসবুকে আপলোড করা হোক।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • π | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:২৭97444
  • বেশ লাগল @Bandana Mitra. 


    এরপরে চাকরির অভিজ্ঞতাও লিখুন না!  


    কিন্তু এত বছর পরেও কি খুব কিছু বদলেছে? 


     "এখন তো প্রায় সব পরিবারে স্বামী স্ত্রী দুজনেই কাজ করেসংসার দুজনের রোজগারেই চলে। "

    - কোথায় আর?  পরিসংখ্যান তো বলছে, শিক্ষিত মেয়েদের চাকরি করা কমছে! 

  • Guruchandali | 136.228.209.53 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২০:২৭97509
  • যাঁরা খেরোর খাতায় নতুন লেখালিখি করছেন, গুরুচণ্ডা৯-র টেকনিকাল ফীচারগুলো তাঁদের কাছে ব্যাখ্যা করার জন্য আগামী শনিবার ভারতীয় সময় রাত ৮-১০টা আমরা একটা ওয়েবিনার করছি গুগল মীট-এ। ইচ্ছে আছে আগামী কয়েক সপ্তাহ জুড়ে প্রতি শনিবার ঐ নির্দিষ্ট সময়ে ওয়েবিনার করার। আপনাদের কী কী অসুবিধে হচ্ছে লিখতে বা একটা সামাজিক মাধ্যম হিসেবে গুরুচণ্ডালির পূর্ণ স্দ্ব্যবহার করতে, সেটাও আমরা নোট করব, যাতে এটাকে আরও উন্নত করা যায়, প্রযুক্তিগতভাবে। সম্ভব হলে থাকবেন। শনিবার রাত আটটায় নিচের লিংকে ক্লিক করেই মীটিং এ জয়েন করা যাবে। 


     https://meet.google.com/ydz-ekww-see

  • kaktarua | 208.66.2.38 | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২০:৪৬97532
  • ভালো লাগলো 

  • nandiniandujjal chakravartty | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৮:৫২97772
  • খুবই ভালো লাগলো...প্রতিটি কথা অক্ষরে অক্ষরে সত্যি  

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন