এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  সিনেমা

  • শহরে সিনেমা-ত্রিবান্দ্রম

    প্রগতি ও শমিত
    আলোচনা | সিনেমা | ১৫ ডিসেম্বর ২০০৬ | ৮২৭ বার পঠিত
  • প্রগতি ( 15 Dec 2006 ):
    শহরে একটি সিনেমা-উৎসব চলছে।
    এই শহরের সিনেমা-পাগল মানুষ উপছে পড়ছেন থিয়েটারে।
    কাল ছিলো সরকার-সমর্থিত বন্ধের দিন--রাস্তা-ঘাট শুনশান। পেদ্রো আলমোদোভার এর 'ভোলভার' এর দ্বিতীয় শো এও জায়গা পেলাম না। সিট ছাপিয়ে মাটি তেও বসে পড়েছে সবাই।
    অন্য থিয়েটারে দেখতে গেলাম একটি সিংহলা সিনেমা, প্রসন্ন জয়াকোডি'র 'সঙ্কারা'

    আসলে, এটি একটি সিনেমা নয়--একটি বৃষ্টিবিন্দু'র মতন লিরিক্যাল শিল্প।

    প্রসন্ন জয়াকোডি'র ডেবু ফিল্ম।

    সঙ্কারা:

    বৌদ্ধ সামগান আবহগীতের মতন ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায় দিগন্তের দিকে, আখের ক্ষেতের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলা গেরুয়া মাটি'র রাস্তার সমান্তরাল।
    বৌদ্ধ ভিক্ষু আনন্দ এইখানেই থাকেন, একটি ছোট্ট বৌদ্ধ বিহারে-- টিলার ওপর। এই ক্ষুদ্র বিহারটি তে থাকেন আরেক বর্ষীয়ান ভিক্ষু।
    বিহার এর দেওয়ালে অপরূপ ভিত্তিচিত্র, জাতকের গল্পমালিকা: শাক্যমুনি বলছেন," আত্মা কে মারের অধীন কোরো না, দূরে থাকো .. দূরে থাকো ... সুন্দরী নারী'র পেলবতা থেকে, ওষ্ঠ থেকে, স্তন থেকে, জঘন থেকে, .. '

    ভিক্ষু আনন্দ বিহারের প্রায়-মলিন, কালাক্রান্ত ম্যুরাল-ছবি'র পুনর্নির্মাণের এর কাজে নিযুক্ত .. অজন্তা চিত্রমালিকা'র মতন এই অনুপম চিত্রমালায় নতুন রঙের প্রলেপ লাগান,সারাদিন .... প্রায়ান্ধকার কুঠুরি এ একটি বর্শা-ফলাকা'র মতন সূর্যরশ্মি প্রবেশ করে।

    বিহারের সোপান শ্রেণী'র নীচে একটি তরুণী থাকে ... সে আখের ক্ষেতে কাজ করে, মাউথ অর্গ্যান বাজায়, কুকুর ছানা নিয়ে খেলা করে। তার ফুল-ছাপ ফ্রকের মাঝে মাঝে হাওয়া'য় ওড়ে, স্নানের পর তার কালো আঙ্গুরের থোকার মতন চুল থেকে জল পড়ে টুপটাপ বিহারের ঠাণ্ডা পাথরের মেঝে তে ....

    ভিক্ষু আনন্দ কুড়িয়ে পান একটি চুলের ক্লিপ ... তরুণী টির।

    এর পর সিনেমা চলে এক অলীক বৃত্তের পরিধি ধরে ধরে ... ভিক্ষু আনন্দ, তার অল্টার ইগো, শ্যামল বরণী- থোকা-চুলের, মৃগনয়নী তরুণী, বৃদ্ধ ভিক্ষু, কুকুরছানা, রাতের বৃষ্টি- শব্দ, বিহারের পাথরের দীপস্তম্ভ,সূর্যাস্তের রঙ--সব কিছু স্পর্শ করে ক্যামেরা।

    বুদ্ধবচনে'র পার্থিব মোহজাল শেষ হয়ে যাওয়া বৃষ্টিবিন্দু'র মতন ভিক্ষু আনন্দে'র আঙ্গুলে ঝরে ...

    একদিন বিহারের রেস্টোরেশনের কাজ শেষ হয়, পরের দিন ম্যুরাল ছবির'র দেওয়ালে একটি লম্বা ক্ষতরেখা দেখা দেয়,
    ভিক্ষু আনন্দ যেতে পারেন না বিহার ছেড়ে, আবার,আবার রঙ-তুলি .. ছবি তে প্রলেপ পড়ে।

    এই ভাবেই ভিক্ষু আনন্দ আটকে পড়েন চুলের ক্লিপে,হাওয়া-ওড়া ফ্রকে, মাউথ অর্গ্যানে, সূর্যাস্তের রঙে,জাতক-গল্পমালায় বিবৃত মোহজালিকায়।

    হে শাক্যমুনি, ঐ দেখ,
    পীত চীবর হাওয়ায় দুলে উঠছে ...

    Sankara: Sri Lanka /2006/35mm/Colour/Sinhala
    Direction, Screenplay: Prasanna Jayakody.

    পরের সিনেমা দেখলাম:

    Kiss me not on the Eyes
    Lebanon-Egypt-France/2005/35mm/Colour/112'/Arabic
    Direction: Jocelyn Saab

    মেয়েটি দুনিয়া, সে নাচ শেখে। সে আরবী প্রেমের কবিতা'র মধ্যে খুঁজে বেড়ায় তার কায়রো'র এক কামরা'র ফ্ল্যাটে,ইউনিভারসিটি'র চত্বরে বেঁচে থাকা কে ... তার ভীষণ রকমের চিত্তপ্লাবক নারী-বোধ কে।
    আরব-দুনিয়া'র একটি মেয়ের নাম 'দুনিয়া'। সিনেমা তাকে নিয়ে।

    তার সঙ্গে ফ্রেমবন্দী হয় ইউনিভার্সিটি'র নন-কনফর্মিস্ট,আরবী সাহিত্যের অধ্যাপক ... কায়রো'র রাস্তায় ট্যাক্সি-চালক মহিলা .... নুন-মরিচ চুলের ফরাসী ইন্টেলেকচ্যুয়াল এর মতন দেখতে নৃত্যশিক্ষক ... কায়রো'র ফুটপাথের কিশোর লঁজেরে-হকার, সাদা স্কার্ফে ঢাকা ছাত্রী'র মুখ ....

    পরিচালক জোসিলিন সাব আরব-দুনিয়া'র ই মেয়ে। লেবাননের। প্রোটাগোনিস্ট 'দুনিয়া' আরব-দুনিয়া'র অবরুদ্ধ নারী-যৌনতা'র প্রতিবাদী প্রতিমা। প্রেমের আলপথ দিয়ে সে এগিয়ে যেতে চায় সেনস্যুয়ালিটি'র সেই নির্জন মায়াজালের রাজ্যে- নারী কিম্বা পুরুষ সবাই যেখানে একা হয়ে যায় এক সময়।

    সিনেমা'র একটি মর্ম-বিদারক দৃশ্য: চকচকে ব্লেডের ধারে বালিকা ইয়াসমিনে'র ভগাঙ্কুর ( ভগাঙ্কুর? কিসের অঙ্কুর?)ছেদন। তার দু উরু'র নীচে পাতা সাদা ছোট্ট রুমাল রক্তে ভিজে ওঠে।

    সিনেমা শেষ হবার পর পর্দা'য় লেখা ফুটে ওঠে ঈজিপ্টে ৯৭% বালিকা FGM , ( Female Genital Mutilation ) এর শিকার।
    ' Kiss Me ...' সিনেমা'র ইংরেজী নাম।
    'দুনিয়া' সিনেমা'র আরবী নাম। সেই মেয়েটি'র নামে। যে নাচে, বেলী- ডান্সিং এর স্টেপ প্র্যাকটিস করে, কায়রো'র বাজারে এক একা ঘুরে বেড়ায়, বিয়ে'র সাদা স্যাটিনে'র গাউনে কালো কালি তে মায়াবী আরবী অক্ষরে কবিতা লেখে।

    ঈজিপ্ট এ বসে এই ধরণের সাহসী, সৎ সিনেমা করতে পেরেছেন, জোসিলিন সাব। অসাধারণ।

    শমিত:
    কেরালা চলচ্চিত্র উৎসবের দর্শক আমাকে অবাক করেছে । তাদের প্রতিভার ঝলকানিতে বহু স্ক্রীনিংএই নানাবিধ secondary text খুঁজে পেয়েছি । দিনে ২-৩টির বেশি নিলে ব্যাথা লগে ব'লে সাত দিনে গুটি ১৪-১৫ নিতে পেরেছি । ভালো লেগেছে কিম-এর the Bow , tsai -Hl i don't want to sleep alone , পনাহির offside । অখাদ্য ও চরম কুৎসিত লেগেছে মখমালবাফের scream of the green ants যেটা এ বছর ভারতে বসে বানিয়েছেন । ভালো লেগেছে অন্ধকার হলে দর্শকদের অবিরল মোবাইলের আলোঝলমল কলধ্বনি । ভালো লেগেছে থাম্পানোর বাস স্ট্যান্ডের ধারে ঘোরানো কফি হাউস । ভালো লেগেছে মনি কাউল আর তাঁর সিদ্ধেশ্বরী । ভালো লেগেছে পরোটা আর বীফ ফ্রাই । ইডিআপ্পাম বীফ কারি । sissaco ভালো লেগেছে । uzbek দেশ থেকে এসেছিলেন কামারা কোমালোভা। এক সুন্দর ছোটোখাটো বৃদ্ধা - ছবির নাম Road under the heavens । দেখে pradajanov -এর কথা মনে পড়ে। আলাপ করি। উনি paradjanov -এর সহকারী ছিলেন।

    Volver দেখেছি , ভীড়ের মধ্যেই প্রায় মাটিতে বসে । আলমোদাভার যেমন হয় আর কি! নিটোল টানটান । পস্ট ও সর্বজনবোধ্য গপ্পও আছে - একটি নিখুঁৎ কুলপির মতো । একই রকম মুচে মুচে কানাডার C.R.A.Z.Y । Bohdan Slama l something like happiness খারাপ লাগে না তবে থমকে দাঁড় করিয়েও দেয় না । বরং অনেক বেশি হাঁ হয়ে যাই Hou Hsiao Hsien -এর Three times দেখে যদিও দর্শকরা আমাদের খুব বকেছিলো আর দরজা খুলে দিয়েছিলো বারংবার । খুব ভালো লাগে street kids দের নিয়ে বানানো hana polak -এর ডকু Children Of Leningradsky । ঠিক ততটাই বাজে লাগে একই বিষয় নিয়ে বানানো M Venukumar -এর Ode to Alley Kids যা দেখে ফিল্মস ডিভিসনের বানানো তথ্যচিত্রের মতো একটি ছবির কথা মনে হয় যা ডেভেলপমেন্ট সেক্টরের এন জি ওদের পয়সায় বানানো হয়েছে । সিনেকু বলে একধরনের 'অ আ ক খ - ত থ দ ধ ' লেভেলের ছবি দেখলাম যেন একটা ধাড়ি খোকা ইকিড়মিকিড় খেলছে ওলিম্পিকে মেডেল পবে বলে ।

    প্রগতি:
    শেষ হয়ে গ্যালো ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। সেরা ছবি'র পুরস্কার পেয়েছে তুর্কী ছবি অশফনর'ড় ঊতরর আর বাংলাদেশে'র ছবি, আবু সঈদ পরিচালিত,'নিরন্তর'। দুটি সিনেমা ই আমার না-দেখা।
    সব সিনেমা দেখা খুব মুশকিল, বিশেষত প্রতিযোগিতা'র সিনেমা হলে তো কথা ই নেই। মানুষে মানুষে ছয়লাপ।কত দূর দূর থেকে সবাই এসেছে, ওভার নাইট ট্রেন-জার্নি করে সেই কান্নুর-কোড়িকোড থেকে। তারপর একটা কিটব্যাগ কাঁধে সকাল থেকে রাত্তির পর্যন্ত ঘুরে বেড়ানো।
    ত্রিবান্দ্রম সিনেমা উৎসবের একটা মজার দিক আছে। এখানে আম-জনতা ভালো সিনেমা'র একটা খোরাকী পায়, ডেলিগেট পাসে'র জন্য কোনো রকম সরকারী তাঁবেদারী না করেই। এক সপ্তা আগে থকতে পাস-বিলি শুরু। দু'শো টাকা দাও, একটি রঙ্গীন ছবি দাও--তক্ষুণি কেরালা চলচ্চিত্র আকাদেমী'র কর্মী পাস ধরিয়ে দেবে হাতে। ছ'হাজার পাস-বিলি হয়েছিলো শুনেছি।

    নায়ি নেরালু: ( In the Shadow of the Dog )
    নির্দেশনা : গিরীশ কাসারাবল্লি
    ২০০৬/৩৫লল/ইষরষয়ক্ষ/১৩২'/ঔতশশতধত

    আদ্যকথন:
    এই সিনেমা'য় কোনো কুকুর নেই। সারমেয়-ছায়া ও নেই। নামকরণ সিম্বলিক্যাল। কুকুর এখানে মহাভারত এর স্বর্গারোহণ পর্বের কুকুর। মানুষের ভালো/মন্দ কাজের কায়িক রূপ এই কুকুর। কুকুর- ছায়া মানুষ এর প্রতি পদক্ষেপ মেপে যায়।

    মধ্যকথন:
    সিনেমা'র গল্প টি বেশ পুষ্ট। সিনেমা'র খাতিরে নয়, গল্পের খাতিরেই দৃশ্য থেকে দৃশ্যান্তরে যাওয়া .... কাসারাবল্লি এই দৃশ্যপট গুলি গুছিয়েছেন ভালো ই। স্বাধীনতা-পূর্বের দক্ষিণ কানারা'র একটি ব্রাহ্মণ পরিবার। এখানে অছেন সদাশীল শ্বশুরমশাই--আচ্চানাইয়া, ঘন রঙের দক্ষিণী শাড়ি তে শাশুড়ী-মা--নাগলক্ষ্মী,দক্ষিণের বিধবা'র রক্তলাল শাড়ি তে নিরাভরণা,কেশমুণ্ডিতা পুত্রবধু- ভেঙ্কটলক্ষ্মী, ভেঙ্কটলক্ষ্মী'র বছর কুড়ি'র মেয়ে রাজলক্ষ্মী। এছাড়া আরেকজন ও আসে, বছর বাইশের বিশ্বেশ্বরাইয়া। তাকে একদিন বাড়ী তে আনা হয় আচ্চানাইয়া'র পুনর্জন্মিত পুত্র হিসেবে। বিশ্বেশ্বরাইয়া একটি নিরাসক্ত/পাগলাটে যুবক। কালক্রমে ভেঙ্কটলক্ষ্মী এই যুবকটির দ্বারা গর্ভিণী হয়। এই ভাবেই গল্প চারিয়ে যায় গোটা সিনেমায়।
    সব চরিত্র ই শেষ-মেশ নিজেদের ভালোকাজ/মন্দকাজের সারমেয়-ছায়ায় পথ হাটতে থাকে ..

    অন্তকথন:
    ক্যামেরা অসম্ভব ভালো। দক্ষিণ কানাড়া'র গ্রাম/ গাছগাছালি/ঘর-দুয়োর/ সকাল-বিকেল-- খুব শিক্ষিত ক্যামেরায় তোলা।
    আরও ভালো ডিটেলের আনুপুঙ্খিক সত্যচারিতা। '৪০ এর দশকের কানাড়া মেয়ের গয়না/শাড়ি-ব্লাউস, গৃহসজ্জা,রান্নাঘরের বাসনপাতি-- সব নিঁখুত। কাসারাবল্লি এই ক্ষেত্রে খুব যত্নশীল। শেষ পর্যন্ত কিন্তু সিনেমা টি 'গল্প' থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না। শেষের দিকের চেষ্টাকৃত, মধুপ্রলেপিত সমাধান সুবিধের মনে হয় নি। অনাবশ্যক ভাবে দীর্ঘ হয়েছে সিনেমা। অভিনয়ে অনন্যা কাসারাবল্লি'র রাজলক্ষ্মী শ্রিঙ্গেরী রামানা'র আচ্চানাইয়া খুব চেষ্টা করেছে। কিন্তু পবিত্রা লোকেশে'র ভেঙ্কটলক্ষ্মী কে একটু ক্লান্ত,নিস্তরঙ্গ লাগলো।

    শেষের লাইন: সিনেমা'র শুদ্ধ, দার্শনিক নামটি সিনেমা'র থেকে বেশী ভালো লেগেছে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৫ ডিসেম্বর ২০০৬ | ৮২৭ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    ঢেকুর  - Tanima Hazra
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে প্রতিক্রিয়া দিন