এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  রাজনীতি

  • নন্দীগ্রামের সেই রাত

    সৌমিত্র বসু, সম্পাদক, অন্যস্বর
    আলোচনা | রাজনীতি | ১৭ মার্চ ২০০৭ | ১৪০৮২ বার পঠিত | রেটিং ১ (১ জন)
  • গুরুর সমস্ত লেখার মতোই, এর মতামতও লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র নয়। নন্দীগ্রামে পুলিশি নির্যাতনের অব্যবহিত পরে এই লেখাটি প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদনটি যিনি লিখেছিলেন তিনি যে সূত্রের উপরে নির্ভর করেছিলেন, তাদের বয়ানে অতিকথন থাকা সম্ভব। যাঁরা পড়ছেন, তাঁরা সেটুকু মাথায় রেখেই পড়ুন।
    এটা সেই রাতের ঘটনা। ১৪ই মার্চ রাত। দিনের বেলার "অপারেশন নন্দীগ্রাম" শেষ হবার পর রাতে সিপিএম স্থানীয়ভাবে একটি বারো ঘন্টার বন্‌ধ ডাকে। এই রকম একটি প্রত্যন্ত এলাকায়, যেখানে লোকজন এমনিতেই সন্ধ্যা হলেই ঘরে ঢুকে পড়ে, সেখানে এরকম একটি বন্‌ধ ডাকার অর্থ কি? দিনের আলোয় প্রথম পর্বের পুলিশি আক্রমণের পর, যখন খবর আসছিল, ৬০ জনের মতো মানুষের মৃত্যু হয়েছে, মানুষের মৃত্যুতে আমরা শিহরিত, আতঙ্কিত হচ্ছিলাম, তখনও জানা ছিলনা, এই গণহত্যার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর পর্বটি এখনও বাকি থেকে গেছে। ঠিক তখনই, মহাকরণে আমাদের প্রিয় মুখ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, মুখ্য সচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিব এই দ্বিতীয় এবং ভয়ঙ্করতম পর্বটির পরিকল্পনা করছিলেন। সেই পরিকল্পনাকে কাজে পরিণত করতে বন্‌ধ এবং রাতের অন্ধকারের প্রয়োজন ছিল তো বটেই।

    রাত নামছিল নন্দীগ্রামে আর মৃত্যু নিয়ে সংখ্যার খেলা ততক্ষণে যথেষ্ট ধূম্রজাল সৃষ্টি করে ফেলেছিল। সেই ধূম্রজাল পরেও কাটেনি। দৈনিক স্টেটসম্যান জানাচ্ছে ৩১ জন মৃত, বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলি জানাচ্ছে ১৮ জন মারা গেছেন। তারা টিভির গৌরাঙ্গ, যাকে পুলিশ দিনের বেলায় আটক করে সিপিএম বাহিনীর হাতে তুলে দেয়, এবং প্রকাশ্য টিভিতে যাঁকে সিপিএম বাহিনীর হাতে আক্রান্ত হতে শোনা গেছে, তিনি তাঁর "অফ-দা-রেকর্ড" বক্তব্যে মৃতের সংখ্যা ১০০+, এবং অন-দা-রেকর্ড বক্তব্যে "অগুন্তি" বলে জানাচ্ছেন। তারা টিভির সংবাদদাতা সুব্রত, মমতার সঙ্গে ছিলেন, তিনি জানাচ্ছেন, মৃতের সংখ্যা "অসংখ্য", কারণ কারোর পক্ষেই সঠিক সংখ্যা জানা বা বলা সম্ভব নয়। মহান রাজ্য সরকার এবং তার মুখপাত্র শ্রী ভোরা জানাচ্ছেন, মৃতের সংখ্যা ৬। এই সংখ্যাটাই তাঁকে জানানো হয়েছে, এবং তিনি প্রেসকে পরে আরও জানাবেন।

    সংখ্যা, এভাবেই কমছিল বাড়ছিল, যেন মানুষ নয়, সংখ্যার খেলা হচ্ছে। ইতিমধ্যে নন্দীগ্রামে বন্‌ধ ও সন্ধ্যা নেমেছিল যথাসময়ে। তারা টিভির সুব্রত এবং গৌরাঙ্গ ঘটনাস্থলে ছিলেন। রাতের সেই ভয়ঙ্করতম ঘটনার তারা প্রত্যক্ষদর্শী। এই বিবরণ মূলত: তাদেরই বিবরণ। ঘটনার বর্ণনার আগে সেই প্রত্যক্ষদর্শীর মুখ থেকে শুনে নেওয়া যাক, সেই সেন্সরশিপের কথা, যা, সে নিজেই নিজের উপর আরোপ করেছে। "আমি যা দেখেছি, আমার যা বলা উচিত, আমি মিডিয়াকে সেসব বলছিনা, কারণ মানুষ বা আমাদের দর্শকরা সেসব বিশ্বাস করবে না। মানুষের বিশ্বাসের একটা সীমা আছে, লোকে আমাকে পাগল বলবে। আমি যা দেখেছি, শুনেছি, যার মধ্যে দিয়ে গেছি, নিজেই নিজেকে সেসব বিশ্বাস করাতে পারছিনা। দু:স্বপ্নের রাতের মতো যদি যা দেখেছি, শুনেছি, সেগুলো সত্যিই যদি প্রলাপ হত... "

    গৌরাঙ্গ এবং সুব্রত জানাচ্ছেন, না, থ্রেট বা মারধোরের কারণে নয়, সেই রাতে তাঁরা যা দেখেছেন, তার পর হোটেলের ঘরে ফিরে তাঁদের সত্যিই অনেকবার বমি করতে হয়েছে।

    "ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রাইফেল্‌স আর কম্যান্ডোদের নিয়ে সিপিএম বাহিনী প্রত্যেকটা পাড়ায়, প্রত্যেকটা গ্রামে ঢোকে। পুরুষদের টেনে বার করে আনা হয়। ওরা কাউকে আটক করছিল না। কোনো বন্দী নেই, কোনো সাক্ষী নেই, ওরা গুলি করছিল, পেটে বেয়নেট ঢুকিয়ে নাড়িভুঁড়ি বার করে আনছিল, শরীরগুলো ভাসিয়ে দিচ্ছিল খালে, সেখান থেকে মোহনা আর সমুদ্রে। তারপর কমবয়সী মেয়েদের টেনে আনা হচ্ছিল, তাদেরকে ফাঁকা জায়গায় একসঙ্গে জড়ো করা হয়, ক্রমাগত ধর্ষণ করে চলা হয়, যতক্ষণ না একেকজন কোলাপ্স করে যায়, তারপর, একদম আক্ষরিক অর্থে, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ছিঁড়ে আনা হয়, কাউকে কাউকে একদম টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলা হয়, তারপর হলদি নদী কিংবা তালপটি খালে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। এসবের কোনো সাক্ষী টিকে নেই। থাকলেই বা কি,যদি কেউ বেঁচেও থাকে, মেদিনীপুরের কোন মেয়েই বা নিজের উপরে অত্যাচারের গল্প ফলাও করে বলবে, আর বললে বিশ্বাসই বা করবে কে? তাছাড়া কেউ বললে তাকেও তো একই জিনিস করে খুন করা হবে।

    এইসব শেষ হবার পর, সিপিএম আর পুলিশ তারপর গোটা এলাকা লাল ব্যানার আর পতাকা দিয়ে ঢেকে দিচ্ছিল। মানে, এলাকা এখন নিরাপদ আর শুধু তাদের রাজত্বই চলবে। যারা গ্রাম থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিল, তারা প্রায় সবাই ধরা পড়ে গ্রামের কিনারায় বা আশেপাশে। তাদের কি হয়েছে, কেউ জানেনা। আমরা শুধু তাদের কথাই শুনতে পেয়েছি, যারা মাঠ আর জঙ্গল পেরিয়ে পালাতে পেরেছে। সেটাও খুব কঠিন। এখন মাঠ শুকনো। ফসল কাটা হয়ে গেছে। মাঠের উপর দিয়ে গেলে যে কেউ দেখতে পাবে।

    অসংখ্য ধর্ষণ হয়েছে। সরকারি ভাবে ধর্ষণের সংখ্যা ৬, কারণ, এই কজনই নিজেদের গল্প বলার জন্য টিকে আছে। এরা সবাই মধ্যবয়সী, সেই কারণেই হয়তো কেটে কুচিকুচি হবার হাত থেকে কোনোভাবে বেঁচে গেছে। গ্রামের পর গ্রামে এই জিনিস চলেছে। রাত পেরিয়ে সকালেও চলেছে। সমস্ত সাংবাদিকদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। দৈনিক স্টেটসম্যানের সাংবাদিক সুকুমার মিত্র বুলেটবৃষ্টির মধ্যে কোনোরকমে পালিয়েছেন। ওনাকে নাম ধরে, বিশেষ করে খোঁজা হচ্ছিল, কোনো কায়দায় উনি পালাতে পেরেছেন। আক্রমণকারীরা এতো হিংস্র, যে স্থানীয় কোনো লোক কারো কাছে মুখ খুলতে চাইছে না। ভয়কে একটা অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আতঙ্ককে ব্যবহার করা হচ্ছে সামাজিক সেন্সরশিপের একটা পদ্ধতি হিসাবে।

    পাশেই হরিপুর সাবডিভিশান। যেটা নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য চিহ্নিত। সেখানেও প্রতিবাদ হয়েছে। সেখানকার লোকেরা মূলত: মাছ ধরে। তাদের মাছ ধরা এখন বন্ধ করতে হয়েছে দুটো কারণে। এক, খাঁড়ি আর সমুদ্র মৃতদেহে ভরে আছে। দুই, আরও খারাপ যেটা, হাঙর, কুমীর আর ঘড়িয়ালরা তাজা রক্তের লোভে সুন্দরবন থেকে এইদিকে চলে আসছে। এরা মানুষের শরীর তো খাচ্ছেই, সঙ্গে সমস্ত মাছও খেয়ে নেবে এরকম একটা আশঙ্কা। মাছ ধরতে গেলে জালে কুমীর আর হাঙর উঠে আসছে। এরকম চলতে থাকলে হরিপুরের মানুষ আগামী সপ্তাহখানেক কাজ করতে পারবেনা। স্থানীয় লোকেদের বিশ্বাস, হরিপুরকে শিক্ষা দেবার জন্য এটা প্রশাসন আর সিপিএমের পূর্বপরিকল্পিত। হরিপুরে কেন্দ্রীয় দল, এমনকি আরও বড়ো পুলিশ বাহিনী ঘুরে গেছে। নন্দীগ্রাম আর হরিপুরকে একসাথে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।

    মৃতদেহের কোনো চিহ্ন কখনও পাওয়া যাবেনা,ধর্ষণের কোনো প্রমাণ থাকবেনা, এটাই এখন ওদের মডেল। সত্যিই কতজন মারা গেছে জানা যাবে তিন মাস পরে, তাও যদি এলাকায় শান্তি ফিরে আসে, যদি বাসিন্দারা আদৌ ফিরে আসতে পারে, যদি তারপর নিখোঁজ মানুষজনের সংখ্যা গোণা হয়। কিন্তু সিপিএম এখন এই এলাকাগুলোকে "মুক্ত", "স্বাধীন" করেছে, এর পরে মনে হয়না এলাকাছাড়াদের ফিরে আসতে দেওয়া হবে, আর এদের সম্পত্তি দিয়ে দেওয়া হবে কেশপুর গড়বেতা থেকে সিপিএমের যে লোকজন এসেছে, তাদেরকে। নন্দীগ্রাম আর হরিপুরকে পরবর্তী নির্বাচনের জন্য নিরাপদ এলাকা বানিয়ে তারপর পুরোটা গুটিয়ে ফেলা হবে।''

    এই সেই গল্প, যা দেশভাগের গল্পের চেয়েও ভয়াবহ। সাংবাদিকরা সবাই এই সব জানেন, কিন্তু কেউই বলতে এগিয়ে আসবেননা। বললে তাদেরকে খুঁজে বার করা হবে, এবং লোপাট করে দেওয়া হবে। যে সমস্ত সাংবাদিক এবং বুদ্ধিজীবীরা বিপক্ষে গেছেন, তাঁদের ভয় দেখানো তো শুরু হয়েই গেছে।

    আমাদেরই তাই লিখতে হবে বিকল্প ইতিহাস। অন্য কোনো বিকল্প নেই। আমি জানিনা, কে কতটা বিশ্বাস করলেন, তবে নাম-ধাম-সূত্র সবই দেওয়া রইল আগ্রহী মানুষ, ইতিহাসকার এবং ভবিষ্যতের জন্য। যদি কেউ চান, তিনি যাচাই করতে পারেন। খুঁড়ে বার করতে পারেন। এ ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প আছে কিনা আমার জানা নেই।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৭ মার্চ ২০০৭ | ১৪০৮২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Kumir chana | 193.116.235.59 | ১৪ মার্চ ২০২৩ ১৬:০৬517387
  • তো ডেথ কাউন্ট এর রাফ আন্দাজ পাওয়া গেলো শেষ অব্দি ? হিরোশিমা র পরেই থাকবে মনে হয়। 
  • :-) | 2620:7:6001::159 | ১৪ মার্চ ২০২৩ ১৭:৪৫517388
  • আরে  সিবিবাবু  যে। অমিতচাড্ডির সাথে খানাদানা চলছে ভাল?
  • Ps Mukherjee | 2405:201:8001:7d3c:c943:6ae6:7d15:61bc | ১৫ মার্চ ২০২৩ ১০:০৯517414
  • নয়া উদারবাদের দালালরা এই ধরনের লেখা লিখে ঠিক কত টাকা, কার কাছ থেকে দালালি হিসেবে পেতে, এ সব‍ই একদিন ইতিহাসের আস্তাকুঁড় খুঁড়ে আগামী প্রজন্ম নিশ্চ‌য়‌ই বার করবে। 
  • Amit | 121.200.237.26 | ১৫ মার্চ ২০২৩ ১০:২৮517415
  • ১৭:৪৫ কে:  
    হ্যা রে। জব্বর চলছে। এই তো কদিন আগেই তোর বাবার বিয়েতে খেয়ে এলাম। 
  • দীপ | 2402:3a80:196f:c47a:f68a:4df4:5e9:3069 | ১৫ মার্চ ২০২৩ ১৭:৫০517427
  • কোথাও কিচ্ছু হয়নি! সব বিরোধীদের চক্রান্ত! 
    মহাশ্বেতা দেবী, শঙ্খ ঘোষ, শাঁওলি মিত্র, জয় গোস্বামী; সবাই টাকা খেয়ে অপপ্রচার করত! 
    এদিকে পোষ্য সারমেয়কুল ফেসবুকে খাপ বসিয়েছে!
  • | 2406:7400:63:e1f7::102 | ১৫ মার্চ ২০২৩ ১৯:০৪517431
  • যত বুড়ো ভাম সিপিএম আর তাদের বাচ্চা গুলো আছে সবকটা কে ধরে পেছুনে একটা ​​​​​​​করে ​​​​​​​লালপতাকা ​​​​​​​গুঁজে ​​​​​​​দেওয়া ​​​​​​​দরকার ​​​​​​​|
    এখন এই লালুবাচ্চা গুলো আবার ভালো ভালো কথা বলছে |
  • সুতীর্থ চ্যাটার্জি | 2409:4060:211c:f97d:201a:cbbc:66ff:ece3 | ১৬ মার্চ ২০২৩ ০৫:৩২517451
  • এইভাবেই কি হলদি নদীর নিরামিষাশী কুমীর গুলো,মাংস খেতে শিখল??
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন