এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • মতানৈক্যের সংস্কৃতি

    ওয়াক্কাস মীর লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১৯ জুলাই ২০১০ | ৬৩৩ বার পঠিত
  • সপ্তাহে কাজের দিনগুলোর থেকেও ছুটির দিনে আমার খাটনি বেশি হয় জানেন তো? শনি-রোব বারে আমাকে তিন তিনটে শহরে যেতে হয়। যদি শহর থেকে শহরে যাবার জন্য কেউ টাকাকড়ি দিতো তাহলে এদ্দিনে আমি কোটিপতি হয়ে যেতাম! রাস্তায় যতটা সময় কাটে বাড়িতে ব'সে কোনো একটা মানুষের সাথে ততখানি সময় কাটাতে পারিনা। বড় একলা লাগে, নিজেকে। আবার এও ঠিক যে লোকজনের সাথে ঠিক পটেনা আমার। হয় আমার কথায় লোকে রেগে ওঠে, কিম্বা তাদের কথায় আমার মেজাজ বিগড়ে যায়। গল্পের উকিল অ্যালান শোরের মত আমারও বলতে ইচ্ছে করে 'মানুষজনের কথা জানিনে বাপু, তবে কথা....কথারাই হলো আমার বন্ধু।'
    কথা। শব্দ। একটা শব্দ বহুদিন থেকেই আমাকে খুব ধাঁধায় ফেলে। শব্দটা হলো 'রেভোল্যুশন'। ছোটবেলা থেকেই 'বিপ্লব' কিম্বা 'রেভোল্যুশন' ব্যপারটা ঠিকমতো বুঝতে পারতামনা। মনে হতো খুব গ্রামভারী কথা। ভাবলাম রাজনীতি সম্পর্কে জানলে পরে হয়তো বোঝা যাবে এই 'রেভোল্যুশন' জিনিষটা কী। কিন্তু আমাদের ড্রাইভার কাকু তখনই আমায় RPM এর কথা বলেছিলো। আমার মনের মধ্যে আবার সব ঘেঁটে গেছিলো। বোকা ছিলাম তো ছোটবেলায়? অবশ্য বড় হবার পরেও আমার মধ্যে সেই বোকা ছোট ছেলেটা কোথাও একটা রয়ে গেছে। তাই এসব কথা শুনলে সত্যি লাগে মনে ধাঁধা।
    গত সপ্তাহেই দু দু'বার এই 'রেভোল্যুশন' এর সামনাসামনি পড়লাম। দুখানা ফিল্মে। একটা হলো 'Der Baader-Meinhof Komplex" (জার্মানীর সিনেমা সম্ভবত), আরেকটা 'Persepolis " (ফ্রান্সের)।
    প্রথমে জার্মান ফিল্মটি নিয়ে কথা বলা যাক। সিনেমাটা 'আন্দ্রেয়াস বাডাহ্‌' আর 'উলরিক্য মাইনহফ' নামে দু'জন কমিউনিস্ট বিপ্লবীকে নিয়ে। পশ্চিম জার্মানীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্যে যে কর্ম-পরিকল্পনা চলেছিলো এঁরা তার বিপক্ষে ছিলেন। নিজেদের দেশের এই ক্ষমতা হারানো, যুক্তরাষ্ট্রের দাদাগিরি আর ইজরায়েলের প্রতি তাদের পক্ষপাত এইসব ব্যপারের বিরুদ্ধে এঁরা দু'জন অনেক লেখালেখি করেছেন,প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ওঁরা আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদ, পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন; ভিয়েতনামের মতই নানা যুদ্ধে আমেরিকার নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতেন। ওঁদের মতে তখন 'নতুন এক নৈতিকতার' জন্মের দরকার ছিলো। ওঁদের বক্তব্য ছিলো 'সমাজকে চ্যালেঞ্জ জানাতে হবে, দরকার হলে তাকে ছুঁড়ে ফেলতে হবে'। কথাগুলো চেনাচেনা লাগছে না? আচ্ছা, আরেকটু বিশদে বলি : ক্রমে এই 'বাডাহ্‌-মাইনহফ বিপ্লব' হিংস্র সন্ত্রাসের চেহারা নেয়। ব্যাংক লুট,অপহরণ, বোমাবাজি, সরকারি কর্মচারীদের খুন করা কোনটাই বাদ থাকেনা। এইসব 'ছোটখাটো' রক্তপাত বিপ্লবের দাম ছাড়া কিছু নয়, এই ছিলো ওঁদের মত। না মশাই, তালিবানদের নিয়ে লিখতে বসিনি, ব্যাপারটা তার থেকে আরো বেশি।
    এই বিপ্লব শেষ অব্দি সফল হয়নি, কিন্তু এতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিলো প্রচুর। অবশ্য তার মধ্যে মানসিক ক্ষতি হয়তো তত বেশি ছিলোনা, কাজেই তার জের কাটিয়ে ওঠা খুব কঠিন কাজ নয়। এইখানেই এবার এসে পড়ছে 'পার্সিপোলিস',দ্বিতীয় সিনেমাটি। ইরানের বিপ্লব আর এক অল্প বয়সী মেয়ের জীবনে তার প্রভাব, এই নিয়েই গল্প। এই বিপ্লব কিন্তু সফল হয়েছিলো, কাজেই আদর্শের ওপর বিপ্লবের ক্ষয়ক্ষতির বহরটা খুব কম নয়।
    দুটো সিনেমাই আমার মনের ওপর কিছুটা চাপ ফেলেছে। আসলে আমি এই 'বিপ্লব' জিনিষটার ভক্ত কোনোকালেই নই। দেখুন,ইতিহাসে আমি তেমন পাকা নই, তবে বাস্তব আর সিনেমা দু'জায়গাতেই বিপ্লবের যেটুকু দেখেছি আমার মনে হয়েছে যে বিপ্লেবর ঝোঁকে মানুষ মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলে। হ্যাঁ, সমাজে বদল আনা খুবই ভালো ব্যাপার, স্বীকার করছি। কিন্তু তার জন্য যা কর্তব্য তার সীমাটা কোথায়? সমাজে বদল আনা আর সমাজকেই ছুঁড়ে ফেলা দুটোর মধ্যে কি কোনো তফাৎ আছে? তফাৎ আছে কিনা আজকের পাকিস্তানের পটভূমিকায় সেটা খুব প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন।
    বিপ্লবীদের যে জিনিষটা আমাকে খুব দুশ্চিন্তায় ফেলে তা হলো বিপ্লব যে কোন রাস্তায় আনা হবে তার কথা কেউই ভাবেনা। একবার যখন কেউ ঠিক করে নেয় যে শেষে ফলটা কি হবে তখন সেই শেষের দিকে লক্ষ্য করে ছুটে চলাটাই মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়। এই জন্যই যখন কেউ বলে যে কোনো নেতা বা কোনো মাধ্যম বা কোনো আইন একটা বিপ্লব নিয়ে আসবে, আমার মনে অশান্তি জেগে ওঠে।

    এই বিপ্লব আনার সক্রিয়তা কতদূর যেতে পারে? সমাজের অনেক কিছুই খারাপ, বদলানো দরকার আমি মানি, কিন্তু তার দায় কার কতখানি? সবচেয়ে বড় কথা হলো যে যেকোনো আন্দোলনই যিনি বা যাঁরা নেতৃস্থানীয় তাঁদের কাছে কি জরুরী তার ওপর ভিত্তি করে চলে। সমাজের কিছু নিয়ম তা সে যতই ভুলভাল হোক না কেন,আমাদের একটা রাস্তায় নিয়ে যাচ্ছে। এই হামেশাই যে 'স্বাধীন', 'মুক্ত','বৈপ্লবিক' ইত্যাদি কথাগুলো শোনা যায় তার মানে কি ঐ নিয়মগুলো থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে যাওয়া? এই যে সমাজ এখন রয়েছে তারই কিছুটা উন্নতি যদি করা যায় তো সেটা একটা সম্পূর্ণ নতুন সমাজ গড়ার থেকে খারাপ সমাধান কিনা তাই বা কে বলতে পারে? যে সমাজে আমরা এখন বাস করছি তা নিয়ে কথা বলার চাইতে 'নতুন সমাজ গড়তে হবে' এই স্লোগান দেওয়াটা বেশি সহজ মনে হয়। তাছাড়া এই সমাজের কথা বলতে গেলে অনেক খানি আত্ম-বিশ্লেষণ ও দরকার। মুশকিল হলো যে সব আয়না গুলোই ধরা হয় শুধু সরকারের সামনে। আর কারুর যেন কোনই দায় নেই।
    সুপ্রীম কোর্ট থেকে মানুষের সুবিধার জন্য চিনির দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু তার ফল কি হলো? ভাংচুর আর আগুন জ্বালানো, তাও কমিয়েই বললাম। ন্যাশনাল রিকন্সিলিয়েশনের বিচারের জন্য ইসলামের দোহাই দেওয়া হলো। কেউ যদি সাহস করে কোর্টের সমালোচনা করলেন তো বৈদ্যুতিন মাধ্যম তাঁকে 'ষড়যন্ত্রকারী' বলে দাগিয়ে দিলো। কোর্টের এই আদেশের ফলে 'ওভার রিচিং' হবে, বাজারের মূল্যবৃদ্ধি দেখা দেবে, এতে তো কোর্টেরই বদনাম। কিন্তু মজাটা তো সেখানেই, বদনামে কোর্টের কিছু যায় আসেনা। প্রচার মাধ্যমগুলো কোর্টের পেছনে রয়েছে,কোর্টের সাথে এক হয়ে এরা কাজ করে। আমি বলছিনা যে পাকিস্তানে প্রচার মাধ্যমের কোনো স্বাধীনতা নেই। আছে তো নিশ্চয়ই। তবে সবাইই বিশেষ একটা রাজনৈতিক রঙের দিকে ঝুঁকে রয়েছে, এসসিও তার ব্যতিক্রম নয়। এই জুড়িটা সত্যিই যেন 'মেড ইন হেভেন', সত্যি যদি 'হেভেন' ব'লে কিছু থেকে থাকে। ভগবানও যদি "ডান' দিকেই ঝুঁকে থাকেন তো আমি ডুবলাম। যদি উনি মাঝামাঝি জায়গায় থাকেন, কি একটু বাঁদিক ঘেঁষে, তাহলে নয় তাও কিছু আশা আছে।
    আগের কথায় ফিরে আসি। প্রচার মাধ্যম আর আদালত এ ব্যাপারে কি করছে, আর কেনই বা? আমার যা মনে হয়, মাধ্যম বা বিচারকেরা কেউই রাজনীতিবিদদের মত গণতান্ত্রিক সীমার পরোয়া করেননা, কোন কোন ক্ষেত্রে আশু ব্যবস্থা নেবার দরকার সে নিয়ে তাঁরা মাথাও ঘামাননা। অর্থাৎ প্রচার মাধ্যমই বলুন, বা আদালত, এঁরা কেউই গণতান্ত্রিক নন। লক্ষ্য করুন আমি কিন্তু বলিনি যে এঁরা 'অগণতান্ত্রিক'। দুটোর মধ্যে তফাৎ আছে। তো, এই দুটো ইনস্টিটিউশনকে আমরা রাজনীতিকদের সাথে এক করে দেখতে পারিনা। কারণ এঁরা নিজেরাই নিজেদের জনমত, জনতার চাপ, ব্যালট বা রি-ইলেকশন ইত্যাদির বাইরে মনে করেন। এঁরাই বারবার বিপ্লবের কথা ব'লে ব'লে আম জনতার মধ্যে ঢুকিয়ে দেবার দায়িত্বটা নিজেদের ঘাড়ে তুলে নিয়েছেন।
    সামাজিক ব্যবস্থার মধ্যে এঁরা খুঁতগুলো খুঁজে বার করেন, তারপরে তাকে এমন ভাবে দুর্নীতি বলে পেশ করেন যাতে সবার মনে হয় যে এত বেশি গোঁড়া সমাজে বদল আসাই অসম্ভব। কিন্তু, যেকোনো ব্যবস্থায় কিছু কিছু রক্ষণশীলতা থাকা কি জরুরী নয়?

    আমি মনে করি জরুরী। যেকোনো সমাজ-ব্যবস্থা, বিশেষ করে পুঁজিবাদের মত ব্যবস্থায় কিছু রক্ষণশীলতা থাকার দরকার আছে। যেকোনো কিছুকেই জোর খাটিয়ে চ্যালেঞ্জ জানানোর মাত্রাছাড়া স্বাধীনতা থাকলে সেটা এই ব্যবস্থার বিপক্ষে যায়। ব্যবসা ও বিনিয়োগ ব্যবস্থার স্বাধীনতার মধ্যেও এমন কিছু শর্ত থাকা উচিৎ যা আইনানুগ। মুদ্রা, আদালত আর এক্সচেঞ্জ রেট পারস্পরিক সহাবস্থানে থাকা উচিৎ। আমরা যারা নিজেদের অধিকার চাই তাদেরও এতে লাভই হবে, কারণ একটা প্রতিষ্ঠিত ব্যবস্থার দাম ও সুফল পাওয়া যাবে। অনিশ্চয়তার হাত থেকে বাঁচা যাবে। কারুর বা কিছুর ওপর আস্থা না থাকলেই তাকে সরিয়ে ফেলা এই ব্যাপারটা ব্যালটের মধ্যেই চলে। রোজকার জীবনে নয়। জানি, এর ফলে নতুন যুগ আসবে কিনা তা হয়তো আমরা সবাই দেখে যেতে পারবনা। কিন্তু চেষ্টা করতে ক্ষতি কি? সত্যি বলতে কি আমাদের সমস্যার সমাধান কোনো প্রতিষ্ঠানই করতে পারবে। কাগজে প্রবন্ধ লিখে বা টেলিভিশনে বক্তৃতা দিয়ে তো আর সেগুলো সমাধান করা যাবে না? তার ওপরে আবার এই সব প্রবন্ধ বা বক্তব্য আদালতেরই লাগামের আওতায় পড়ে!
    সে যে প্রতিষ্ঠানই বিপ্লব করুন না কেন তা নিয়ে কথা বলার স্বাধীনতা, আলোচনা করার স্বাধীনতা আমাদের ছেড়ে দেওয়া উচিৎ নয়। সাধারণ মানুষ আর তাঁদের প্রতিনিধিদের হাতেই এই নিয়ে যেকোনো বিতর্কের ভার থাকা উচিৎ। আমি মানছি এই জিনিষটা বাস্তবে আসতে সময় লাগবে। কিন্তু তা লাগুক। সময় নিয়ে যদি কোনো কাজের কাজ হয় তো তাতে ক্ষতি নেই কোনো। উল্টে হঠকারীতার বশে ভুল পথে এগোলে ক্ষতির সম্ভবনা প্রচুর।

    ছোটবেলায় আমাদের শেখানো হতো রাস্তা পার হবার আগে দু'দিক ভালো করে দেখে নিতে হবে। আপনি যদি পাকিস্তানের রাস্তায় চলেন তো দেখবেন রাস্তা দিয়ে তিনটে গাড়ি ছুটে আসছে। একটা গাড়িতে কোনো রাজনীতিক, একটায় একজন সাংবাদিক আর একটায় একজন ক্ষমতাশালী বিচারক। এর মধ্যে হয়তো মাত্র একটাই গাড়ি আপনি হাত দেখালে থামবে। বাকি দুজন গাড়ি ছুটিয়ে চলে যাবেন, ফিরেও দেখবেন না যে আপনি চাপা পড়লেন কিনা, বা অন্য কোথাও কেউ ধাক্কা খেলো কিনা। এঁরা তার পরোয়া করেননা, কেননা তাতে এঁদের কিছু যায় আসেনা। অনেক তো হলো এইভাবে, এখন আর এরকম চলতে দেওয়া যায় না।

    অনুবাদ : সুদেবী রায়
    ১৯ শে জুলাই, ২০১০

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৯ জুলাই ২০১০ | ৬৩৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন