এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • রিটার্ন অফ দ্য ফ্যাতাড়ু

    অধীশা সরকার লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ | ৭২০ বার পঠিত

  • ওরা থাকে ওপাশে। সত্যি-মিথ্যের ওপাশে, স্মৃতি-বিস্মৃতির ওপাশে, হাসি-কান্না, গান-রান্নার ওপাশে। গভীর রাত ফুটো করে ফ্যাঁত-ফ্যাঁত সাঁই-সাঁই উড়ান, কিন্তু আবার আশে-পাশেই থাকে ওরা, একাকী ছেড়ে যায় না অসময়ে। আর সেটাই ভরসার কথা। যে, ফ্যাতাড়ুরা আছে। মরে যায়নি সবাই মিলে, এক্সটিংক্ট হয়ে যায়নি একেবারে। এই সিনিকাল মহাবিশ্বে, বোমা-বারুদে, রোদে-জলে গোকুলে বেড়েছে এতদিন। নবারুণ ভট্‌চাযের বইয়ের পাতায় সমাধি হয়নি ওদের। মলাটের ফাঁক-ফোকর গলে বেরিয়ে পড়েছে ফ্যাতাড়ু দের দু-এক জন। তাদের মধ্যে একজন কে নিয়ে এখন আমেরিকায় বাজার বেশ সরগরম। নাম: জুলিয়ন আসাঙ্গে।


    কাজ: Wikileaks নামে এক নটোরিয়াস ওয়েবসাইটের চালানো, যার বেশ সোজা-সরল এজেন্ডা - To help people who are vulnerable, and to crush the bastards। কে vulnerable? আর কেই বা bastard? এসব যুক্তি-তক্কের ধারকাছ দিয়েও না গিয়ে সোজা আমেরিকান আর্মির গুপ্ত ফাইলপত্তর ফাঁস করে বসল লোকটা। Afghanistan War Logs। যাতে আফগানিস্তানের যুদ্ধের 'ওপাশ'-টা দেখা গেল - যে পাশটা পাবলিকের চোখে পড়লে হীরক রাজার কিঞ্চিৎ অসুবিধে আছে। ব্যাস। লেগে গেল ভেলকি। আর সেটাই হল গিয়ে গপ্প।


    যা পাবলিকের জানতে নেই, তা পাবলিককে জানিয়ে দিলে বেশ বড়সড় রকমের গন্ডগোল বাধে। আর সেই গন্ডগোলের ডেফিনিশন দেওয়াও বেশ মুশকিল হয়ে পড়ে। কেন জানবে না জনসাধারণ, তাদেরই তৈরী করা সরকার তাদের জন্য কী ভাবছে, কী করছে? কিসের এই লুকোচুরি, এই ঠারেঠোরে কথা ঘোরানো, প্রবোধবাক্য? যেন নাছোড় প্রেমিকার প্রশ্নবানের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য হয়রান প্রেমিকের ইতি-উতি চাওয়া। এমন খেলা সব সরকার-ই খেলে অল্পবিস্তর তাদের vote bank-এর সঙ্গে। শুধু আমেরিকাকেই বা রঙ্গিলা বলা কেন। তবে Afghanistan এর যুদ্ধ নিয়ে পাবলিকের সাথে এই মধুর মান-অভিমান যেন বড় বেশীই করুণরসের উদ্রেক করছিল ইদানিং। বলা কথা গুলোর চেয়েও না বলা কথাগুলো-ই যেন হয়ে উঠছিল অনেক বেশী বাঙ্ময়। ইশারায় চলছিল কিছু গোপন আভাস চালাচালি, যেন sign language-এ কথা বলছে বোবা পৃথিবী। না, ঠিক বোবা নয়, ফিশ্‌ফাশ ছিল কিছু। কিছু কিছু হঠাৎ চিৎকার। কিন্তু সে এমন কিছু নয় যে রাজপ্রাসাদের দেওয়াল ভেদ করা যাবে। মাঝে মাঝে কিছু আশ্বাসবাক্য, কিছু সুমধুর সংলাপ, এসব নিয়েই কেটেও তো যাচ্ছিল বেশ দিন। তবে কিনা, মিডিয়া যা বলছে এবং যা বলছে না, White House যা বলছে এবং যা বলছে না, রাম-শ্যাম-যদু-মধু এবং শান্তি-পুরস্কার প্রাপ্ত ব্যারাক হোসেন ওবামা যা বলছে এবং যা বলছে না, তার বাইরেও কিছু বলার আছে। আছে একটা অন্য দুনিয়া, অন্যান্য জল-বাতাস। সেই জলে কোথাও না কোথাও চোরা ঢেউ উঠছিল, হাওয়ায় ছিল গোপন দীর্ঘশ্বাস আর ততোধিক সঙ্গোপনে খুলছিল আর বন্ধ হচ্ছিল কয়েকটা মুঠো।


    তার মধ্যে একটা মুঠো ছিল Bradley Manning নামে এক সৈনিকের।

    Intelligence-এ কাজ করত সে। হাতে আসত "highly sensitive" কাগজপত্র, যা থেকে বোঝা যায় যে দেশের ও দশের ভালোর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ কিছু ভালো-খারাপের হিসেব আছে। আছে যুদ্ধক্ষেত্রে অর্জুন-কর্ণ-যুধিষ্ঠির। অথচ কৃষ্ণ কে খুঁজে পাওয়া যায় না কোথাও। বেতারে মাঝে মাঝে শোনা যায় প্রেস কনফারেন্সের চোখ ধাঁধানো টেলিকাস্ট থেকে ভেসে আসা ভগবত গীতার শ্লোক।


    মানুষকে পড়তে শেখানোর কিছু ডাউনসাইড আছে। সরকারী নোটিস যে পড়তে পারে, সে পড়তে পারে বিপ্লবী প্যামফ্লেটও। আর সরকারের পরম গুপ্ত ফাইলপত্র যার হাতে পড়ে রেগুলার, তার মগজ-ধোলাইয়ে যদি কোনো ফাঁক থেকে যায় বাই চান্স, সে তখন সেই সব 'নীরস' টেকনিকাল ডাটার মধ্যেও খুঁজে পায় নিষ্ঠুর কিছু রসিকতা। সে পড়ে ফেলে যাবতীয় ভালো-মন্দর লেনদেনের হিসেব, আর তার শত্রু-মিত্র গুলিয়ে যেতে থাকে অনবরত। এমনটাই হল Manning এর ক্ষেত্রেও। সে বেচারা আর ভালো থাকতে পারল না ঠিক।
    এমত জ্বরাগ্রস্ত Manning এর একটা ধামাকার প্রয়োজন ছিল। একটা সফল ধামাকা। যা রাজপ্রাসাদের অন্তরমহল অবধি পৌঁছবে। কিন্তু সে সামান্য সৈনিক। তার ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই। ফলে সে মাধ্যম খুঁজল, এবং পেয়েও গেল, যেটা বেশ আশ্চর্যজনক। সে পেয়ে গেল Wikileaks। একটা ছায়াময় ওয়েবসাইট। ততোধিক ছায়াময় তাদের কাজকর্ম। রাজবাড়ির গোপন খবর ফাঁস করে দেওয়াটাই এই ওয়েবসাইটের মূল কাজ। গত বেশ কিছু বছর ধরে এটাই করে আসছে তারা। তাদের সাইটে রয়েছে হাজার হাজার 'গুপ্ত' ডকুমেন্ট, কোত্থেকে এল, কিভাবে, তা জানে না কেউ। এই সাইটের কর্ণধার আরো ছায়াময়। অনেকটা ঈশ্বরের মত। আছে এমন শোনা যায়, অথচ তাকে কেউ চেনে না। কায়াময়ের মায়ার খেলায় বাগ্‌ড়া দিতে Manning এই ছায়াময়কেই বেছে নিয়েছিল। দ্য রেস্ট ইজ, ঐ যাকে বলে, হিস্ট্রি।


    লোকটা আসলে কে? নকলেই বা কে? নামটা জানা, আর কাজ তো বটেই, যে কাজের ঠেলায় FBI-এর প্রাণ ওষ্ঠাগত, Pentagon পরেশান। কিন্তু তা ছাড়া আর বিশেষ কিছু বলা মুশকিল। আফগানিস্তান কাণ্ডের গুরুত্ব বোঝাতেই হয়ত, এই প্রথমবার আসাঙ্গে মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার সাহায্য নিল গোপন ফাইলপত্র ফাঁস করার কাজে। এতে ধামাকাটা হল আরো জোরে। এবং এতে করে, এই প্রথমবার, আসাঙ্গেকে সচক্ষে দেখল পৃথিবী। সাদা চুল, ফ্যাকাশে, দোহারা মানুষ। হাসিটা তীক্ষ্ণ আর চোখদুটো বেশ খতরনাক। জানা গেল, আসাঙ্গের কোনো পার্মানেন্ট ঠিকানা নেই, কম্প্যুটর ব্যাগে ভরে সে ঘুরে বেড়ায় এ দেশে-ও দেশে, থাকে কখন হোটেলে, কখন বন্ধুদের সোফায়। এই যাযাবরটির অনেক বন্ধু, যারা শুধু আশ্রয়ই দয় না, দেয় ইন্‌ফর্মেশন। আসাঙ্গে এই "volunteer" দের সাহায্যে গড়ে তুলেছে বেশ তুখোড় এক গুপ্তচর-নেটওয়ার্ক। গোপন ফাইলপত্র হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গে পাচার হয়ে যায় লুকোনো সার্ভার ধরে anonymous মেইলবক্সে। কে-কোথায়-কিভাবে-কেন বার করা প্রায় অসম্ভব। মূল ঘাঁটি আইসল্যান্ডে, যেখানকার সরকার তাদের কাজে-কর্মে নাক গলায় না। জুলিয়ন আসাঙ্গের কান্ডকারখানা দেখে আমেরিকার সরকারের ওপর খানিক মায়াই হয়। বেচারারা information technology যে এত বড় বুমেরাং হতে পারে, তা বুঝতে কিঞ্চিৎ বেশী সময় নিয়েছে। আসাঙ্গের গোটা প্রতিষ্ঠানটাই চলে ইন্টারনেটে। এমনকী, জনশ্রুতি এমনই, যে Wikileaks-এর কোর টিম অনেকসময় এটাও জানে না যে তাদের গুপ্তচররা কারা। তারা খুব যে জানতে চায় এমনও নয়। ফ্যাতাড়ুদের পরিচয় নামে নয়, কাজে। একে অপরকে তারা ঠিকই চিনে নেয় ফ্যাঁত-ফ্যাঁত সাঁই-সাঁই ইশারায়। দু-চারটে কোডওয়ার্ড, কিছু সিগনাল, ব্যাস। Manning-ও তো ঠিক এভাবেই চিনে নিয়েছিল ওদের।

    Pentagon প্রথমে কাকুতি-মিনতি ও পরে হুমকি, সবই ট্রাই করে ফেলেছে। আসাঙ্গে দুষ্টু হেসেছে একটু। এরপর আর কিই বা করার থাকে, তাকে মার্ডারার বলা ছাড়া? স্টেট বেশী জানে, বেশী বোঝে। পাবলিককে অত জানিয়ে দিলে তারা কি অতটা বুঝবে? বিপদ হতে পারে না কি? কাকে কাকে বিপদে ফেলল আসাঙ্গে? সে কি জানে, তার হাত রক্তাক্ত কিনা?


    কিন্তু যার কোনো ঘর নেই, শিকড় নেই, দায় নেই, তাকে ভয় দেখানো বেশ শক্ত, দায়িত্বের জুজু দেখানো-ও। ফ্যাতাড়ু আসাঙ্গের হাতে রক্তের দাগ আছে কি নেই সে আলোচনা ততক্ষণ অবান্তর যতক্ষণ স্টেটের নিজের দুহাত রক্তাক্ত। পাবলিককে স্বাবলম্বী হতে দিলে রাজার প্রাসাদে চিড় ধরতে পারে, তাই Pentagon-এর কাছে National security শব্দটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। না, আসাঙ্গে বড় একটা দায়িত্বশীল নয়। সে পাবলিকের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করে। কিন্তু পাবলিক তো আর একটা হোমোজেনিয়াস মাস নয়। যে পাবলিক ছি-ছি করছে আফগানিস্তানে আমেরিকার কার্যকলাপ নিয়ে, সেই পাবলিকই ভোট দিচ্ছে, সেই পাবলিকই বোমা বানাচ্ছে। কে কাকে বিশ্বাস করবে? সবারই হাতে লাই ডিটেক্টর। সবাইকেই ফলো করছে CCTV। তবে আসাঙ্গের ছেলেমানুষী ভয় পাইয়েছে স্টেটকে। ভয় পাইয়েছে United States of America-কে, যে দানবের নির্ভীক সিংহনাদে এতদিন থরহরিকম্প ছিল এ মহাবিশ্ব।


    দু-একজন আসাঙ্গে কে ধিক্কার দিচ্ছে শোনা যায়। এ আবার কি? চোরের ওপর বাটপাড়ি করা কি ভাল? পাবলিক আর সরকারের শোয়ার-ঘরের ঝগড়ায় তোমার এত নাক গলানো কি হে? যা সিক্রেট তা তো সিক্রেট থাকতে দেওয়াই ভালো। তাতে শান্তিতে থাকা যায়। যে কোনো দাম্পত্যেই কিছু কথা কখনই বলতে নেই। তাই সেগুলো highly sensitive। না বলে কয়ে গুপ্ত কাগজপত্র ছাপিয়ে দিলেই কি বাহাদুরী হল? হল কিনা, কি যে হল আসলে, তা বলা কঠিন। তবে শোয়ার-ঘরে উঁকি-ঝুঁকির প্রসঙ্গ উঠলে মনে পড়ে CIAএর এতদিনকার নির্লজ্জ গোয়েন্দাগিরি, প্রেমপত্র থেকে ধোপার হিসেব - শোয়ার-ঘর কেন, এমনকি বাথরুমেও ঢুকতে বাকি রাখেনি তারা। এ ছাড়াও আছে USA-র ওয়েলউইশার কিছু বেসরকারি ওয়েবসাইট, যারা ইন্টারনেটে পাওয়া যাবতীয় আকাউন্ট হ্যাক করে সমস্ত পার্সোনাল-ইমপার্সোনাল তথ্য পাচার করে FBI কে। ঠিক এই কাজটাই করে আসাঙ্গেও। গুপ্তচরবৃত্তি এতদিন ছিল স্টেটের এককাট্টা অধিকার। স্টেটের দাওয়াই তারই ওপর প্রয়োগ করেছে আসাঙ্গে। ঘুরিয়ে দিয়েছে খেলাটা।


    কার জন্য, কেন - এসব নিয়ে ভাবছে এখন দুনিয়া। স্রেফ মজার জন্য নয় তো? পাবলিসিটি? হোক না, তাই হোক। যে জন্যই হোক, ফ্যাতাড়ুদের তো পাওয়া গেল ফিরে? ফ্যাতাড়ুরা এত ভাবে কি? তারা গেরো লাগিয়ে দেয় শুধু। সেই গেরো ছাড়াতে গিয়ে অনেক কিছু বেরিয়ে আসে গভীর থেকে। কেঁচো, সাপ, ইত্যাদি। তা বেরোক না। চলতে থাকুক খনন। ফ্যাতাড়ুদের দরকার রাজাকে তার সিংহাসনের আসল ছবিটা মাঝে মাঝে দেখিয়ে দেওয়ার জন্য। এটাও মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য যে কোনো কিছুই অবিনশ্বর নয়।


    আসাঙ্গে হারিয়ে যাবে কিছুদিনের মধ্যেই। ফ্যাতাড়ুরাও গা ঢাকা দেবে হয়তো আবার। আজকের পৃথিবীতে মনে রাখা বড় কঠিন। ভুলে যাওয়ার হাজার উপকরণ। তবে চোখ-কান খোলা রাখলে বাসে-ট্রামে, রাস্তায়ঘাটে, ধর্মতলায় বা যোধপুরপার্কে কখনো না কখনো আবার দেখা যাবে ওদের। ওরা থাকে ওপাশে। বাস্তব আর অবাস্তবের মাঝামাঝি কোথাও একটা। মাঝরাতে ফোন বেজে উঠলে কান পাততে হবে সাবধানে। ব্ল্যাংক কল অথবা রং নাম্বার। ওরা শুনছে।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ | ৭২০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন