এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  খবর  টুকরো খবর

  • জনসন্ত্রাসের রাজধানী

    সুমন মান্না লেখকের গ্রাহক হোন
    খবর | টুকরো খবর | ৩০ মার্চ ২০১৯ | ৬৯০২ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • আজকাল সকালে অফিসে ঢুকি, একটা কফি নিয়ে ঘরে আসি, তা শেষ হতে না হতেই সিস্টেমে লগ-ইন হয়ে যায়। তারপর থেকে প্রায় যন্ত্রের মতো কাজকর্ম চলতে থাকে। চারটে পেন্ডিং কাজ থাকে, যা শেষ করব ভাবি, নতুন পাঁচটা কাজ চলে আসে “আর্জেন্ট” তকমায়। তার মধ্যে ফোন বাজে, লোকে তাগাদা দেয়, স্কাইপে তে ভেসে আসে কেউ কাজের মাঝখানে, তার কাজের তদবির নিয়ে। মাঝে মধ্যে বাইরের হাওয়া খেতে নামি, ওইটুকু সময়ে একটু “গুরু” খোলা, ফেসবুক করা।

    এর মধ্যেই পেট্রল পাম্পগুলিতে পেট্রল ডিজেলের দাম আর প্রধাণমন্ত্রীর মুখ সমানুপাতে বাড়তে দেখি। বিশ্বকর্মা পুজো, সরস্বতী পুজো, গণেশ পুজো আরও সব নানা ধর্মীয় বিসর্জনের সময়ে বড় বড় ট্রাকে ডিজি ও ডিজের যুগপৎ তান্ডবে জ্যামে ফেঁসে থাকা জানলা মোড়া গাড়ির মেঝে কাঁপে। যাদের তান্ডব যত বেশি তাদের ট্রাকে তত বড় ভারতের পতাকা। এও সমানুপাতিক।

    খুব একটা কথাবার্তা হয় না অফিসের বাকি লোকজনের সঙ্গে। ২০১৪ র আগে তাও হ'ত। পিজে -টিজে বলতামও, মাঝে মধ্যে প্যান্ট্রিতে দাঁড়িয়ে চা বা কফি নিয়ে গল্পগাছাও চলত। তা বন্ধ একদিনে হয় নি। এক একটা দলের কাছে গিয়ে দাঁড়ালে দেখেছি তাদের কথা থেমে গেছে, এক এক করে সরে পড়ছে। এটা বোঝা যায়। মানুষের কাছে এলে, কাছাকাছি মানুষ থাকলে কোনও শব্দ উচ্চারণ না করেও তাকে বোঝান যায়, সে অপাঙ়্ক্তেয়।

    সব নষ্টের মূল ওই ফেসবুক। কলকাতাতেও অফিস করেছি (অবশ্য সে গত শতাব্দীর ঘটনা), সেখানে চুটিয়ে আড্ডা হ'ত অফিসের নিচে চায়ের দোকানে। সিপিএম-কংগ্রেস-তৃণমূল, মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল একে অপরের সিগারেট জ্বালিয়ে এন্তার বাজে বকত। ঝগড়াও। কিন্তু “ওই লোকটা আলাদা” এমন ভাবে দাগিয়ে দিতে দেখিনি। তা যা বলছিলাম, ফেসবুকে দুর্গাঠাকুরকে হাবিবের পার্লারে যেতে দেখে অযাচিত ভাবে কেউ কেউ এসে জ্ঞান দিতে গিয়ে যুক্তির উপদ্রব দেখে পালিয়ে বাঁচেন। ব্যাপারটা বিরক্তির মাত্রা ছাড়য়েছিল বলে সেই দু-একজন কে সামনা সামনি হয়ে গেলে নড করা বন্ধ করেছিলাম। তাদের সঙ্গে এর বেশি সম্পর্ক ছিলও না।

    এদের হিসেবে খুব একটা জটিলতা নেই। একে মাছ-মাংস খায়, তার ওপর সিগারেটও ফোঁকে। তার ওপরে দুর্গা-ঠাকুরকে মুসলমানের দোকানে পাঠাল — নেহাৎ কলিযুগ নয়ত কবে বজ্রাঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়! ছিঃ!

    পুলাওয়ামা ঘটনার পর “দেশপ্রেম” আচমকা বেড়ে গেল সবার। তারিখটা আবার প্রেমের দিবসেরও। যাতে এইবার কেন জানি না “ভগৎ সিং এর ফাঁসি” ঠিক হয়ে ওঠেনি। তা, এই ঘটনার পর দেশের প্রধাণমন্ত্রী তো ভাষণে ফাটিয়ে দিতে থাকলেন। এক সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পর বাইরে থেকে আওয়াজ পেয়ে বারান্দায় এসে দেখি মিছিল চলছে জনা পঞ্চাশ লোক, মোমবাতির বদলে হাতে মোবাইলের ফ্লাশলাইট। স্লোগান শুনলাম একবার “ভারতমাতা কি জ্যায়” পিছু পাঁচবার করে “পাকিস্তান মুর্দাবাদ”। বলা বাহুল্য পড়শী দেশের উল্লেখের সময়ে তাদের “জোশ” যেন ফেটে ফেটে বেরোচ্ছিল। পরে শুনি এই মিছিল ছোট ছোট করে সারা দেশে বেরিয়েছে, কলকাতাতেও। যেন রাস্তার ধারে পাকিস্তান বসে বিড়ি বাঁধছে বলে খবর, এরা খুঁজে বেড়াচ্ছে।

    দেখেছি এই ইন্ধন সত্ত্বেও দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি করা যায় নি। তাই বোধ হয় পাইন মারতে প্লেন ছোটান হয় পুলাওয়ামা ঘটনার তেরো দিনের মাথায়। সেদিন তো দেশপ্রেমের হদ্দমুদ্দ। অফিসের প্যান্ট্রি তে, লাঞ্চের পর অফিসের বাইরে ছোট ছোট জটলায় মানুষ উদ্ভাসিত। একজন তো সেদিনের হীরো। তার নিজের এক বন্ধু গিয়েছিল সে বিমান হানায়। বোম মেরে ভোরবেলা ঘরে ফিরেই এই ছেলেটিকে ফোন করেছে। এই ছেলেটা তাকে তখন কী খিস্তি মারল তা অবধি পুরোটা উচ্চারণ করল। তখন সেই পাইলট বন্ধু বলে - টিভি খোল। তবে সে দেখল কী ঘটনা। তারপর সে বিমানহানার নিখুঁত বিবরণ, যেন সে পাশেই বসে, একটা পর একটা জঙ্গী দের বাড়ি গুঁড়িয়ে যাচ্ছে, জঙ্গীরা তাদের ঠিকুজি কুষ্ঠী লিখে বুকে সেঁটে পরলোকে যাচ্ছে, সে একেবারে বিরাট কেলো। হোয়াটস্যাপে কী সব ভিডিও আসছে এক একটা মিসাইল তো লোকের পিছু পিছু ধাওয়া করে দৌড় করিয়ে মারছে!

    একদম! এর একচুল বাড়িয়ে বলা নয়।

    যে দিন উইং কমান্ডার অভিনন্দন বিমান হানা প্রতিহত করতে গিয়ে পাকিস্তানে ধরা পড়েন, সেদিন অফিসে যাই নি। অন্য কাজ ছিল। হোয়াটস্যাপে কিছুটা জেনেছিলাম ভারতীয় পাইলটের “নিখোঁজ” হওয়ার খবর। তার পরে তাকে মারধর বা রক্তাক্ত অভিনন্দন এর নানা ভিডিও র একটা দেখেছি কি দেখিনি ফোনের চার্জ শেষ। বাড়ি ফিরে দেখি “ডন” এর পোস্ট করা একটি ভিডিও যাতে অভিনন্দন চা খাচ্ছেন, তাকে করা প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন দৃঢ়তার সঙ্গে। যা তথ্য দিতে পারবেন না সেটাও পরিষ্কার বলছেন। ভালো লাগল, দেশের পাইলট সুস্থ আছেন জেনে। “ডন” পাকিস্তানের নামকরা সংবাদমাধ্যম। তা, সেই ভিডিও শেয়ার করি।

    অবব্যহিত পরেই অফিসের এক প্রাক্তন (দশ বছর আগে এক বছরের জন্য একসঙ্গে একই ডিপার্টমেন্টে একই প্রোজেক্ট এ কাজ করেছিলাম) সহকর্মী স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে জানালেন “আর্মির জওয়ানদের নিয়ে এমন ভিডিও শেয়ার করা ঠিক নয়”। — “ কেন” প্রশ্ন করায় জবাব আসে “এটা ফেকও তো হতে পারে।” তাকে বলি “ডন” কোনও ভুঁইফোঁড় ফেসবুক পেজ নয়, দ্বিতীয়তঃ এই ভিডিওতে আমাদের উইং কমান্ডার কে খুব দৃঢ় ও আত্মপ্রত্যয়ী দেখাচ্ছে, আর সবচেয়ে বড় কথা দুই পড়শী দেশের সেনাবাহিনীর লোক একসঙ্গে চা খেতে খেতে কথা বলছে - এতে তো মানব সভ্যতা ও ইতিহাসের কোনও খারাপ দিক দেখায় না। দুই দেশ পরস্পরের শত্রু হ'লে তো এই ভিডিও শেয়ার করা উচিৎ আরও বেশি করে।

    সে বোঝে না। তাকে একটু উপদেশ দিই, বলি, তোমার যদি এই ভিডিও নিয়ে আপত্তি থাকে বা এটা ফেক মনে হয় তাহলে বরং তুমি “ডন” এর সম্পাদক মণ্ডলীর কাছে আপত্তি জানাতে পার বা অনুযোগ করতে পার। তারা এই ভিডিও পাবলিক করেছে। আমার কাছে এইটা “হিউম্যান ভ্যালুর” এর একটা দৃষ্টান্ত মনে হয়েছে। আমি শেয়ার করেছি।

    সে খুশি হয় না। বুঝি। বুঝি গত দশ বছরে একবারও সাড়াশব্দ না করা ফেসবুক “বন্ধু” কীসের তাড়নায় এসে আমার ফেসবুক পোস্টের নিচে লিখতেই থাকে, লিখতেই থাকে।

    পরের দিন ইমরান খান ঘোষণা করেন উইং কমান্ডার কে নিঃশর্তে ছেড়ে দেওয়া হবে। খবরটা পেয়ে খুব খুশি হই। একজন প্রাক্তন ক্রিকেটার এখনও ক্রিকেটটাকে “জেন্টলম্যানস গেম” হিসেবে রাখতে চাইছেন মনে হল। মনে পড়ল পুলাওয়ামা কাণ্ডের পর ইমরান খানের প্রতিক্তিয়ার কথা যাতে স্পষ্ট বলেছেন “বুঝি, ভারতে নির্বাচন আসছে…”।

    পরের দিন ছাড়া পাবেন অভিনন্দন। অফিসে নিউজ চ্যানেলগুলো খোলে না। কাজের ফাঁকে বাইরের হাওয়া খেতে গিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ দেখি, ফেসবুকে দেখি যদি ছাড়া পাওয়ার খবর আসে। সন্ধে হয়ে যায়। বাড়ি ফিরে টিভি চালাই। সব টিভি চ্যানেল একযোগে পাকিস্তানের তুলোধনা করে, কোথাও দেখান হয় না, বলা হয় না যে পাকিস্তানেও লোকজন অভিনন্দনের মুক্তি চেয়ে পথে নেমেছেন। বড় বড় তাবড় রাজনীতিক, বিরাট সব সমর বিশারদ কেউ একবারও বলেন না কীভাবে পাকিস্তানের মতো এক কট্টর দেশের প্রধাণমন্ত্রী হয়ে তাদের মিলিটারিকে বুঝিয়ে এত দ্রুত ভারতের উইং কমান্ডার অভিনন্দনের মুক্তি ঘোষণা করতে পারেন! বিশেষত যে দেশের গত বেশ কয়েকজন প্রধাণমন্ত্রী গদি থাকে নামার পরেই সোজা জেলখানা চলে যান বা রহস্যজনক ভাবে মারা পড়েন।

    এক সময়ে অভিনন্দন ছাড়া পান। ওয়াঘা বর্ডারে তাকে নিতে আসা দুই ভারতীয় সেনার একজন তার পাকিস্তানী কাউন্টারপার্টকে একটা আলগা স্যালুট ছুড়ে দেন। ভাল লাগে সেটা দেখতে, তবু সেটার উল্লেখ কাউকে করতে দেখি না।

    কিন্তু আমি হাঁফ ছেড়ে বাঁচি। “মেনি থ্যাঙ্কস ইমরান খান” লিখে পোস্ট করি ফেসবুকের দেওয়ালে। অমনি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক শুরু হয়ে যায়। অফিসের একজন বলেন - “এটা কি নিজের পরাজয় স্বীকার করার জন্য?” তাকে বোঝাতে চাই বা বোঝাতে যাই যুদ্ধ-পরিস্থিতি না থাকা সত্ত্বেও যে এত তাড়াতাড়ি উইং কমাণ্ডার কে ছেড়ে দেওয়া হল তাতে ইমরান খান এর বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতা দেখতে পাই, সেসব না বলে একটা থ্যাঙ্কস জানাতে দোষ কীসের - যখন আমাদের উইং কমান্ডার মোটামুটি সুস্থ ও সসম্মানে ফিরে এসেছেন। জবাব আসে — পাকিস্তান যে কত ভারতীয় মেরেছে! বলি - সেইজন্যই তো আরও বেশি থ্যাঙ্কস দেওয়া উচিৎ।

    ফিরে আসেন আগের বার চা -খাওয়ার ভিডিও তে কমেন্ট করা প্রাক্তন সহকর্মী, গত দশ বছরে দ্বিতীয়বার ঠিক তিনদিনের মাথায়।

    তিনি আরব এমারেটসে থাকেন কাজের সূত্রে, তার উল্লেখ করে জানান — “এতে ইমরান খানের কোনও কৃতিত্বই নেই, পাকিস্তানের ওপর আমেরিকা সমেত প্রতিটি আরব দেশের সাংঘাতিক চাপ ছিল, যা এখানকার খবরের কাগজগুলিতে সরাসরি না লিখলেও ‘'বিট্যুইন দ্য লাইন” জানিয়েছে। শুধু ভারতের মিডিয়াই নাকি ইমরান কে মাথায় তুলে নাচছে। তুমি দেখ, যে মুসলিম দেশগুলো পাকিস্তানের বন্ধু ছিল, তারা আজ ভারতের বন্ধু। পৃথিবীর একটা দেশও বলে নি ভারত কিছু ভুল করেছে বলে। ভারতের আগ্রাসনের নিন্দা কেউই করে নি, তারা শুধু ভারত পাকিস্তান - এই দুই দেশকেই সংযত হতে বলেছে। এই পরিস্থিতিতে যা খুবই স্বাভাবিক উপদেশ। ভারতের এটা সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক জয়। একজন ভারতবাসী হিসেবে এটা আমাদের বোঝা উচিৎ ও স্বীকার করা উচিৎ।”

    বলা যেত অনেক কিছুই। যেমন, কীভাবে খবরের কাগজের রিপোর্টে ঠিক বিপরীত অর্থ প্রকাশ পায়। জিজ্ঞেস করা যেত - কোন ভারতীয় মিডিয়া ইমরান খানের প্রশংসা করেছে - আমি তো খুঁজে পাই নি। তবু, তাঁকে সবিনয়ে জানাই যে আমাদের মিডিয়াপ্রসূত হাজার সাফাই সত্ত্বেও আমি যখন দেখি পাকিস্তান দিনের শেষে আমার আমার দেশের একজন উইং কমান্ডার সসম্মানে বাড়ি ফিরে এসেছেন, আমি খুশি হয় ও আমার কৃতজ্ঞতা জানাই। আর আমার কাছে আমার নিজের দেশকে ভালোবাসার অর্থ কিন্তু অন্য দেশকে ঘৃণা করা নয়। তুমি যেভাবে তোমার সাফাই তে সন্তুষ্ট আছ, আমার কাছে আমার যুক্তিটাই যথেষ্ট তাকে থ্যাঙ্কস জানানর জন্য।৷

     আরও একজন, একটু বিনয়ী, দেখা সাক্ষাৎ হ'লে দাদা বলে। বলল - “দয়া করে থ্যাঙ্কস দেবেন না দাদা”। তাকে বলি খেলার শেষেও দুই পক্ষ একে অপরের সঙ্গে হাত মেলায় আর এ ক্ষেত্রে ওনার সিদ্ধান্তে আমাদের উইং কমান্ডার সসম্মানে ফিরে আসেন দেশে অবিশ্বস্য দ্রুততায়। এই ধন্যবাদ তার প্রাপ্য।

     ঘটনাচক্রে এও দেখি যিনি আগে বলেছিলেন “নিজের পরাজয় স্বীকার করার জন্য কি এই ধন্যবাদজ্ঞাপন?” আর যিনি এটা ভারতের অন্যতম সেরা “কূটনৈতিক সাফল্য” হিসেবে দেখেন তারা নিজেরা সহমত হ'ন যে আর যাই হোক “মেনি থ্যাঙ্কস ইমরান খান” লেখাটা নাকি আমার ঠিক হয় নি। এমনকি ওই লেখাটির উল্লেখ করে জানান, দেখ, কেমন পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে জলের মতো যে ভারতের কত বড় জয় হল এতে। সারা বিশ্ব অবাক। একে একে অন্যান্য বিদেশি খবরের কাগজের লিঙ্ক তুলে দিই। কিছু অন্য বন্ধুরা খুঁজে দেন। তবে এরা আর কথা বলেন না।

    আর একজন (ইনি আবার বঙ্গসন্তান) প্রশ্ন তোলেন এই থ্যাঙ্কস কি অনেক ভারতীয় কে মারার জন্য? তাঁকে জিজ্ঞেস করি কাকে কবে মারলেন ইমরান খান? সে বলে - কেন আজকেও তো ডিফেন্স এর লোক মারা গেছে। এও জুড়ে দেয় ও তারা আবার ডিফেন্সের লোক, সাধারণ ভারতীয় তো নয়! তার সঙ্গে কথা চালাতে ভাল লাগে না। বলি তা আমাকে তো বলে লাভ নেই, বরং ৫৬” কে বলো, যদি কিছু করেন।

    অফিসে ফের আসি যাই। বাইরে হাওয়া খেতে বেরোনর সময়ে আরও একজন সামনাসামনি হয়ে “ক্যা চল রহা হ্যায়” বলে কথা থামিয়ে দেন না। একটু জিজ্ঞাসু চোখে প্রশ্ন রাখেন - আপনি নাকি আজকাল খুব ঝগড়া করছেন ফেসবুকে?

    বলি, ইমরান খান কে একটা ধন্যবাদ দেওয়া যাবে না - এটা কোন দেশী নিয়ম? সে শুরু করে, আপনি বুঝছেন না দাদা, জানেন….

    থামিয়ে দি। বলি একটা ধন্যবাদের এত সাফাই দরকার পড়ে না। আপনার যুক্তি আপনার কাছে রাখুন।

    টিভির নিউজ চ্যানেল দেখি না, সেদিন অভিনন্দন ফিরবে বলে চালিয়ে রেখেছিলাম। আমি এই মুহূর্তে এই দেশ কে বিশ্বের অন্যতম জন-সন্ত্রাসী দেশ বলতে দ্বিধাবোধ করি না। অফিস যাই, কাজ করি, বাইরে হাওয়া খেতে যাই মাঝে মাঝে, দরজা বন্ধ করে লাঞ্চ করার সময়ে স্ত্রী কে ফোন করি।

    প্রধাণমন্ত্রী যখন বলেন “দেশ বদলে গিয়েছে” - আমি জানি এই কথাটাই তাঁর বলা একমাত্র সত্যি কথা। কুড়ি বছর ভিনরাজ্যে বসবাস করার পরে এখন, গত কয়েক বছরে আমি বুঝি, কীভাবে ঘেন্নার দৃষ্টি আমাকে ছুঁয়ে যায়, আচমকা এক একটা দলের সামনে পৌঁছে গেলে প্যান্ট্রিতে কফি নেওয়ার সময়ে, তাদের কথা বার্তার তাল কেটে যায়। বিভেদ কীভাবে মানুষকে আলাদা ঘেটোয় আটকে রাখে দেখেছি। এই দেশ আমার অচেনা, টিভি ও সোশ্যাল মিডিয়ার যুগপৎ হানায় একটা বিরাট অংশ এখন একটা মব। শুধু বিপক্ষকে ঘৃণার ভিত্তিতে তৈরি হওয়া তাদের বন্ধুত্ব এই রাজধানী সন্নিহিত অংশের এক বড় অংশকে কট্টর সন্ত্রাসী করে তুলেছে। তাদের নিজের কোনও আলাদা ভাবনা -চিন্তা নেই, যা টিভিতে দেখছে তাই বিশ্বাস করছে। যেন এক মারাত্মক নেশায় বুঁদ।


    এইভাবেই দেখি, ক'দিন চলে, কীভাবে চলে। অপেক্ষায় আছি।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • খবর | ৩০ মার্চ ২০১৯ | ৬৯০২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব রহমান | 340112.231.126712.75 (*) | ০১ এপ্রিল ২০১৯ ০৬:২৮79153
  • বিভেদ কি ভয়ঙ্কর একেকটি এক চক্ষু দানব তৈরী করে! এই পারেও দেখি, অন্ধরাই এখন হ্যারিকেন এর দোকানদার।

    দীর্ঘশাস!
  • ( | 457812.254.563412.189 (*) | ০১ এপ্রিল ২০১৯ ০৯:২৩79154
  • নিঃশ্বাস
    প্রশ্বাস
    দীর্ঘশ্বাস
  • সিকি | 562312.19.4534.88 (*) | ০১ এপ্রিল ২০১৯ ০৯:৪৯79148
  • :)
  • Amit | 9003412.218.01.9 (*) | ০১ এপ্রিল ২০১৯ ১০:১০79149
  • দারুন লেখা । সত্যি দেশ বদলে গেছে। শান্তিকামী দেশ বদলে এখন জঙ্গি, মিলিটারি দেশ তৈরী হচ্ছে।
  • Amit | 9003412.218.01.9 (*) | ০১ এপ্রিল ২০১৯ ১০:২৪79150
  • লোকের শিক্ষা বা পেশা তুলে কথা বলতে খুব বাজে লাগে। কিন্তু একটা অক্সফোর্ড এ শিক্ষিত লোক আর একটা চাওয়ালার নাম করা গুন্ডার ডিফারেন্স এখন পুরো দুনিয়া দেখতে পাচ্ছে, এক্সসেপ্ট বিকিয়ে যাওয়া ইন্ডিয়ান মিডিয়া।
  • | 453412.159.896712.72 (*) | ০১ এপ্রিল ২০১৯ ১০:৫৬79151
  • উঁহু সত্যিকারের চাওলা হলে\ও হত। কিন্তু এই মিথ্যেবাদী মেগালোম্যানিয়াক খুনীটা তো চা-বিক্রি নিয়েও মিথ্যে কথা বলেছে।
  • Ela | 015612.107.0112.8 (*) | ০১ এপ্রিল ২০১৯ ১১:৪৩79152
  • সুমন, সাবধানে থাকবেন, অবস্থা সত্যিই ভাল নয়। মেরুদণ্ডবিহীন হয়ে থাকা যায় না, কাউকে থাকতে বলিও না। কিন্তু চেনা অচেনা যে যেখানে আছে, সকলের জন্যই চিন্তা হয়।

    কলকাতাও অনেক পালটে যাচ্ছে, আর তা মোটেই ভালর দিকে নয়।
  • এলেবেলে | 230123.142.0189.3 (*) | ০২ এপ্রিল ২০১৯ ০১:১৩79169
  • শুধু রঞ্জন রায় নামটা দেখে এই টইটা খুললাম এবং পড়লাম। এতদিন কোথায় ছিলেন? ইয়ে আমার চোখ একদমই পাখির নীড়ের মতো নয়, যথেষ্ট কুতকুতে।
  • de | 4512.139.9001212.172 (*) | ০২ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৩২79170
  • পাখীর নীড়ের মতো চোখ খুবই হিজিবিজি দেখতে হবে - মানে দৃশ্যতঃ সাদৃশ্য হলে আর কি!

    গুরুতে একটা পাখীর নীড় আছে, আশ্রয় বা ভরসা -

    সেখেনে রঞ্জনদা ফিরে এসেছেন দেখে ভালো লাগলো - এই সময়ে আপনার লেখা খুব দরকারী - লিখুন!
  • pi | 785612.51.7856.73 (*) | ০২ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:২৫79171
  • হ্যাঁ, ছত্তিশগড়ের আঁখো দেখা হাল বিস্তারে চাই।
  • pi | 785612.51.1223.235 (*) | ০২ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:৪২79155
  • সত্যি!!

    আজ এটা পড়তে গিয়ে আবার এই লেখা মনে পড়ল। তোমাদের আশেপাশের অন্চলই হবে, তাই না? হয়তো আরেকটু গ্রাম।
    অফিসের এই সব লোকজনই বোধহয় এখানে গেলে এসব কাজও করতে পারেন।

    Suddenly, nine men in their 20s arrived on three motorcycles, their faces smeared with Holi colours. They seemed intoxicated. Unprovoked, they insulted the boys, calling them mullas, a slur for Muslims, and threateningly asked them to go to Pakistan. One of the older boys got into an argument, and the men roughed him up. Frightened, the boys pleaded, “We will stop playing. We will never play here.”

    সবচে ভয়াবহ হচ্ছে এই ট্রেন্ড,

    As in almost every case of hate crime, the police filed a criminal complaint against the victims. They are now utterly broken

    .https://scroll.in/article/918410/new-justice-of-new-india-the-mob-attack-on-gurugram-muslim-family-follows-a-sickening-pattern?fbclid=IwAR2kbuGocsjpN_psBfC2XHVjPGuBypeh8wnIf9UU9aLLhJN8fDHYfzAerU4

    আর কাল এখানে বিজেপি র সভা( প্রার্থী,মুখ্যমন্ত্রী সহ) শুনে মনে হল, এই পাকিস্তান রেটোরিকই হল এদের এবারের মূল, বা একমাত্র অস্ত্র। তবে এখানে তেমন খাচ্ছেনা লোকজন, সেটাও মনে হল।
  • Suman Manna | 12.38.45.15 (*) | ০২ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:৩৩79156
  • পাই,
    যে ঘটনা তুমি উল্লেখ করলে, এই লেখা তার তিন চার দিন আগে লিখে পাঠিয়েছিলাম। এখন যা পরিস্থিতি, তা এইরকম ঘটনার জন্য অনুকূল। ভোটের আগে এমন আরও হবে, যদিও চাই না তা হোক।

    কথা হ'ল, এখনও আমায় কেউ সামনে এসে ভয় দেখায় নি, দু'একটা মন্তব্য কানে এসেছে হয়ত। তাতে মনে হতে পারে এই লেখায় যে জন-সন্ত্রাসের ছবি আঁকতে গেছি, তা হয়ত অনেকটাই আমার মনগড়া, আমার নিজস্ব বিজেপি-বিরোধিতা লোকের মধ্যে চাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা।

    কিন্তু যতটা অনুভব করেছি তার মধ্যে অতিরঞ্জন রাখিনি। শুধু কমন ঘেন্না দিয়ে তৈরি হওয়া সমর্থককূল সেই ঘেন্নার নাম রেখেছে "দেশপ্রেম"। এর চেয়ে ভয়ানক কিছু আছে কি না, জানি না।

    এর মধ্যে আরও এক দুঃখজনক সত্যি হ'ল যে আমি জীবিত অবস্থায় গৌরী লঙ্কেশ, ওয়াশিকুর বাবু, কালবুর্গি - এদের নাম জানতাম না। স্বীকার করি সেই অজ্ঞানতা। খোঁজ রাখিনি, জানতাম না বলে এড়িয়ে যাওয়া যে ঠিক নয়, তা এখন বুঝি। রোজ খবরের কাগজ আর টিভি যা যুগিয়ে যাচ্ছে আর বদলে দিচ্ছে মানুষের ভাবনা চিন্তা তার প্রভুর নির্দেশ অনুযায়ী - এই কথা সিরিয়াসলি নেওয়ার দরকার প্রত্যেকের।

    এখন দেখছি সেদিন দক্ষিণের একশো সিনেমা-করিয়েরা একসঙ্গে বলেছেন বিজেপি কে ভোট দেওয়া উচিৎ নয়। গতকাল দেখলাম দু'শো জন লেখক একসঙ্গে বলেছেন এ কথা।

    যারা পড়লেন, মতামত রাখলেন, সাবধানে থাকতে বললেন তাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি সাবধানতা অবলম্বন করি। আরও সাবধান হতে হবে। হবও।

    আশা রাখি। এখনও।
  • ন্যাড়া | 1278.202.5634.85 (*) | ০২ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:৪৫79157
  • এখন বিশ্বজুড়ে রাইট উইঙের মাতামাতি। চলবে আরও কিছুদিন।
  • dc | 232312.164.013423.223 (*) | ০২ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:০৩79158
  • লেখাটার সাথে একমত। চারপাশের অবস্থা খুব খারাপ, আর সবচে অদ্ভুত হলো, যতো উচ্চপদস্থ বা উচ্চশিক্ষিত লোকজনেরই যেন বেশী করে এই উন্মাদনার দিকে ঝুঁকে পড়ছে। আমি ফেবুতে নেই, কিন্তু হোয়াতে বধুকালের পরিচিত সব লোকেরা আর বন্ধুরা এমন সব কথা বলছে যে অবাক হয়ে যাচ্ছি। সবাই হয়তো তেড়েফুঁড়ে "মার ব্যাটাদের" বলে হাঁক পাড়ছে না, কিন্তু বহু লোক প্রচ্ছন্ন সমর্থন করছে। কিছুদিন আগে হোয়াতে বাংলায় একটা মেসেজ পেলাম, কলকাতার থেকে এক আত্মীয় পাঠিয়েছে। সেটায় আরো অনেক হ্যাজের সাথে লেখা, বাংলাদেশ যুদ্ধের আগে বীর জেনারাল (নাম উল্লেখ নেই) নাকি প্রধান মন্ত্রী কে বলেছিলেন, আপনার কাজে আমি বাধা দিই না, তাই আমার কাজেও আপনি বাধা দেবেন না, আমি বাংলাদেশে সৈন্য পাঠাবো। আত্মীয়কে চেপে ধরলাম, বললাম এটা ফেক নিউজ কারন ইন্ডিয়ার কোন জেনারাল কোন প্রধান মন্ত্রীকে এরকম কিছু বলতে পারে না, কারন আমরা ডেমোক্রেসি, এখানে প্রধানমন্ত্রীর রাইট আর অবলিগেশান আর্মিকে কন্ট্রোলে রাখা। আত্মীয় খানিক পর আমার কথা মেনে নিলেন, কিন্তু আমি যখন জিগ্যেস করলাম তুমি এরকম একটা মেসেজ ফরওয়ার্ড করলে কি করে, তখন সে চুপ।

    তবে সাউথে বোধায় এই উগ্র হিংসা একটু কম। ভারত মাতা মিছিল চেন্নাইতে এখনো অবধি দেখিনি, এমনকি গাছ মরার পরেও না, তবে প্রচ্ছন্ন গর্ব একটা আছেই।
  • dc | 232312.164.013423.223 (*) | ০২ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:০৮79159
  • আর অমিতবাবুর পোস্টটাও খারাপ লাগলো। অক্সফোর্ড বা চাওয়ালা সত্যিই কোন ইস্যু না, কথা হলো কে কেমন মানুষ। আর ইমরান খান কিন্তু মিডল স্টাম্প উড়িয়ে দিয়েছেন উনি অক্সফোর্ডে পড়েছেন বলে না, উনি একজন ওয়ার্ল্ড ক্লাস স্পোর্ট্সম্যান ছিলেন বলে। এটা আগেও অন্য কোন টইতে লিখেছিলাম, ক্যাপ্টেন কিন্তু এমনি এমনি হয়না। ইমরান, লয়েড, স্টিভ ওয়, আমাদের দাদা, এরা প্রত্যেকে এমন ক্যাপ্টেন ছিলেন যাদের জন্য টিম মেম্বাররা জান লড়িয়ে দিতো। একটা সামান্য খুনে দাঙ্গাবাজের থেকে এদের যে কেউ অনেক বেশী ব্যালেন্সড আর সেন্সিবল হবে, তাতে সন্দেহ কি?
  • lcm | 900900.0.0189.158 (*) | ০২ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:১৪79160
  • যাদা চিন্তা মত্‌ করো, সব ঠিক হো জায়েগা বেটা !
  • dc | 232312.164.013423.223 (*) | ০২ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:১৬79161
  • তা ঠিক, আশা করি সেলফ কারেক্টিং মেকানিজম নিজের কাজ করবে।
  • | 453412.159.896712.72 (*) | ০২ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:২৬79162
  • ডিসির 'বধুকাল' সম্পর্কে আরেট্টু ডিটেলোস পাওয়া যায়? :-p
  • dc | 232312.164.013423.223 (*) | ০২ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:৩০79163
  • ইকস!

    বহুকাল ঃ-)
  • de | 4512.139.9001212.172 (*) | ০২ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:৪৭79164
  • কি আর বলি! এমনই তো হচ্ছে চারপাশে - আমার সাথেও লোকে "ঐ এলেন সেকুলার দিদি" বলে আওয়াজ দিয়ে কথা শুরু করে - আইসোলেটেড হয়ে যাওয়াটা টের পাই -

    আজকে টাইমস অব ইন্ডিয়ায় দুটো খবরঃ

    ১) মোদী বলেছেন হিস্ট্রি ঘাঁটলে দেখা যাবে কোন হিন্দু কোনকালে টেররিস্ট ছিলো না -

    ২) আরেকটা ওমর আবদুল্লার কথা - কাশ্মীরের জন্য আলাদা পি এম চাই -

    কোনটাই ভালো খবর নয় -
  • amit | 340123.0.34.2 (*) | ০২ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:৪৯79165
  • ডিসি-র পয়েন্ট ভ্যালিড।

    চা ওয়ালা দের গালি দেওয়াটা একেবারেই উদ্দেশ্য ছিল না, ওটা জাস্ট তুলনা করতে গিয়ে বলা হয়ে গেছে। যখন দেখি চেনা শোনা সাধারণ লোকজন এভাবে চাড্ডি দের দলে মিশে যাচ্ছে, জ্ঞানে বা অজ্ঞানে, তখন হতাশা থেকে এরকম সব বেরিয়ে আসে আর কি।
  • সিকি | 670112.223.8956.60 (*) | ০২ এপ্রিল ২০১৯ ০৬:৫৮79166
  • সেই জেনারেলের নাম মানেকশ। গল্পটা অবশ্যই ফেক।
  • রঞ্জন রায় | 232312.162.232312.190 (*) | ০২ এপ্রিল ২০১৯ ১০:৪০79167
  • সাবধান হবেন, সতর্ক হবেন। কিন্তু হতাশ হবেন না ।
    ছত্তিশগড়ের ভিলাই ও রায়পুরে " যুদ্ধোন্মাদনার ও উগ্র জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে শান্তির আহবান " ব্যানারে (হিন্দিতে) গান, কবিতা, নাটক ইত্যাদির সফল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    হিন্দি রবীন্দ্রসংগীতটি ছিল 'হিংসায় উন্মত্ত পৃথ্বী'র অনুবাদ।
    কোলকাতা থেকে অসীম গিরি এসেছিলেন।
    আওয়াজ উঠছে।
    বরখা দত্তের ( প্লাস করণ থাপার) নতুন ইংরেজি চ্যানেল 'তিরঙ্গা ' দেখুন।
    পত্রিকায় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
    হোয়াটস আপ গ্রুপ (হিন্দি)' সিজি বাস্কেট' দেখুন।
  • | 453412.159.896712.72 (*) | ০২ এপ্রিল ২০১৯ ১১:৩৫79168
  • আরে রঞ্জনদা!
    ওয়েলকামব্যাক। লিখুন দেখি ছত্রিশগড়ের চোখে দেখা হাল নিয়ে।
  • amit | 340123.0.34.2 (*) | ০২ এপ্রিল ২০১৯ ১১:৪৩79172
  • অরে রঞ্জনদা, ওয়েলকাম ব্যাক। ভালো লাগলো অনেক দিন পরে দেখে।
  • Du | 7845.184.4556.246 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৯ ০১:০৫79173
  • রঞ্জনদাকে দেখে খুব ভালো লাগলো।

    লেখাটা কি আর বলবো, আমাদের সবার কথা। একা হয়ে যাচ্ছি আর এইসব সঙ্গ সহ্যও করতে পারছি না।
  • pi | 785612.51.78.190 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৯ ০১:২৮79174
  • কিন্তু রন্জনদা, তিরঙ্গা ্যানেল দেখতে গিয়ে দেখি ব্লকড, যদিও এটা নাকি ফ্রি! মনে পড়ল, কোলকতার দুটো জায়গায় পুজোর সময় দেখেছিলাম কেবলে এন ডি টি ভি আসেনা! যাহোক, ইঙ্গ্রিজির আর কত রি, হিন্দি চ্যাএল আর একটাও দেখার মত আছে? একটাও? পোস্ট পুলওয়ামা এন ডি টি ভিও গন কেস, রভিশ কুমার ছাড়া।
    এরা ভোটে প্রভাব ফেলবেনা!! চ্যানেল।লিস্টের গোড়াতেই নমোটিভি!
    এবার তো মনে হয় আইটি সেলের বরাদ্দ কমিয়ে মিডিয়ায় ঢেলেছে! আর এর প্রভাব পড়বেনা? বাংলাতেও তখন তথৈবচ, ঐ কাশ্মীর কাণ্ডের পর। সারাদিন লোকে এই শুনছে, অন্য অপশনই নেই!
    সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তান কিছু পেজ আর ডন থেকে অভিনন্দনের ক্লিপ, পাকিস্তানিদের যুদ্ধবিরোধী, প্রো অভিনন্দন ক্লিপ, ছবিগুলো না ছড়ালে কী হত ভাবতেও ভয় লাগে!!
    একটা অল্টারনেট অডিও ভিশ্যুয়াল মিডিয়া খুব দরকার, ইংরাজি বাদেও।

    আর মিডিয়ার এই দশা নিয়ে ভাল ্খাপত্তর আসা খুব দরকার। বহু লোকে তো বুঝছেনই না মুরগি হচ্ছেন। এবার ছগল মুরগি হলে আর কী এমন ক্ষতি এমন তত্ত্ব কেউ আনবেন নির্ঘাত!
  • Du | 7845.184.4556.246 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৯ ০২:১৪79175
  • ইন্ডিয়ান নিউজ চ্যানেল দেখা বন্ধ করলাম।
  • রঞ্জন রায় | 238912.69.122312.46 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:৪৬79177
  • হিন্দিতে 'স্বরাজ এক্সপ্রেস', ইংরেজিতে 'মিরর ভিউ' -- অধিকাংশ মহিলা রিপোর্টার ও অ্যাঙ্কর। সবসময়ে সোশ্যাল ও পলিটিক্যাল প্রাসংগিক ইস্যু তুলে ধরে।
    টাটা স্কাইয়ে 'তিরঙ্গা' দেখা যাচ্ছে। রাত আটটায় করণ থাপার ও নটায় বরখা দত্ত।
    আর হতাশ হবেন না ।
    'এ আমার এ তোমার পাপ'! লম্বা লড়াই। অনেকটা নিজেদের মধ্যে, নিজের সঙ্গে ও।
    যার যার মন খারাপ হবে মোবাইলে ইউ টিউব খুলে স্ট্যান্ড আপ কমেডি দেখুন।
    বরুণ গ্রোভার, ' বহুত হুয়া সম্মান', রহমান, কামরা আরও অন্ততঃ পনের জন। অন্ততঃ একশ'টি। নতুন নতুন আপ্লোড হচ্ছে। রাজনৈতিক ব্যঙ্গ , এমন খোলাখুলি! এমন চোখা।
    বরুণ শুরুই করে এই বলে -- আমার প্রগ্রামের ভিডিও করুন, আসুন-- সবাই একসাথে জেলে যাই।
    ক্ষমতাসীনদের এমন করে খিল্লি করতে অনেক বুকের পাটা লাগে। একটু গালি টালি থাকে বটে, কিন্তু মানিয়ে যায়।
    শ্রোতাদের রেসপন্স দেখুন। আমি ভোরে ঘুম ভাঙলে অন্ততঃ দু'ঘন্টা শুনি।
    ওদের থেকে শিখতে পারি।
    ইংরেজি [পত্রিকায় হিন্দু ও এ এন আই।
    অনলাইন খবরে প্রিন্ট, আউটলুক ও আরও কয়েকটা।
    আসলে পয়সায় প্রয়োজিত এবং ভয় দেখিয়ে চুপ করানো দেখে ধোঁকা খাবেন না। হিন্দি বলয়ে পরস্থিতি অত খারাপ নয়।
  • dc | 232312.174.9001212.73 (*) | ০৩ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:০৩79176
  • এবার এটা দেখুন ঃ-)

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন