এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • নাগরিকপঞ্জি -- শেষ প্রহর

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ২৩৯৩ বার পঠিত
  • জানা কথা

    সবাই জেনে গেছেন, তবুও তথ্যের খাতিরে বলা যাক। আসামে নাগরিকপঞ্জির শেষ তালিকা বেরিয়ে গেছে। ১৯ লক্ষ মানুষ নাগরিকপঞ্জি থেকে বাদ গিয়ে কার্যত রাষ্ট্রহীন হয়েছেন। সঠিক হিসেব না পাওয়া গেলেও, যা জানা যাচ্ছে, প্রত্যাশামাফিক এর বেশিরভাগ (সম্ভবত প্রায় পুরোটাই) জাতিগতভাবে বাঙালি। এবং তারও বেশিরভাগ অংশটি ধর্মীয়ভাবে হিন্দু। এ নিয়ে বিশেষ সন্দেহের অবকাশ থাকার কথাও না, কারণ নাগরিকপঞ্জির পুরো কার্যক্রমটিই চালু হয়েছে এবং চলেছে তথাকথিত 'অবৈধ বাংলাদেশী' বিতাড়ন নামক লক্ষ্যকে সামনে রেখে, সঙ্গে যোগ হয়েছে অসমীয়া জাতিসত্ত্বার তথাকথিতভাবে সংখ্যালঘু হয়ে যাবার 'আতঙ্ক'। দুয়ের যোগফলে বাঙালি নামক একটি জাতিসত্ত্বাই যে আক্রমণের লক্ষ্য সে নিয়ে কোনো সন্দেহের একেবারেই কোনো অবকাশ নেই। খুব নিখুঁতভাবে হিসেব-নিকেশ করে একটি জাতিসত্ত্বাকে বিতাড়িত এবং কোনঠাসা করে দেবার এই নীতির সঙ্গে গত শতকের তিরিশের দশকে হিটলারের ইহুদি-বিতাড়নের নীতির বিস্তর মিল। এবং বস্তুত হিটলারের রণকৌশলের সঙ্গে পদ্ধতিগতভাবে মোদী সরকারের কাজকর্মের প্রবল সাযুজ্য। জার্মানির 'ব্লিৎসক্রিগ' নামক  রণকৌশলটির বৈশিষ্ট্যই ছিল শত্রুর ফ্রন্টের নানা জায়গায় অতর্কিত এবং দ্রুত আক্রমণ চালিয়ে লাইন ভেদ করে বহু জায়গায় আচম্বিতে শত্রুর এলাকায় ঢুকে পড়া। শত্রু চমকে প্রতিক্রিয়া জানানোর আগেই তাকে বহুধাবিভক্ত এবং ছিন্নভিন্ন করে ফেলা। শুধু যুদ্ধক্ষেত্রে নয়, সামাজিক ক্ষেত্রেও বহুবার নাৎসিরা এই পদ্ধতি ব্যবহার করেছে। বৃহত্তর ভারতবর্ষের ক্ষেত্রেও এই একই পদ্ধতির ছায়ানুসরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সমগ্র কাশ্মীরকে অন্ধকারে ডুবিয়ে রেখে, সামরিক বাহিনীতে মুড়ে দেবার মাত্র কয়েকদিন পরেই ঘোষিত হল ১৯ লক্ষ মানুষকে রাষ্ট্রহীন করার সিদ্ধান্তের উপর চূড়ান্ত সীলমোহর। দুটি সিদ্ধান্তই ব্যতিক্রমীরকম দক্ষিণপন্থী এবং চরমপন্থানুসারী। কিন্তু তীব্র প্রতিক্রিয়া আসার আগেই এদের সেরা ফেলা হচ্ছে এবং হয়েছে চটপট। মানুষ বিমূঢ় হয়ে, প্রতিক্রিয়াহীন হয়ে, কিছু বোঝার আগেই মেনে নিচ্ছেন পুরোটা। বিস্ময়ে, আতঙ্কে, নতুন কিছু দেখার চমকে। এবং অত্যন্ত দ্রুতগতিতে পশ্চিম এবং পূর্বপ্রান্তের দুটি জাতির অস্তিত্ব ধ্বংসের সিদ্ধান্তের উপর চূড়ান্ত ছাপ্পা পড়ে যাচ্ছে।

    ক্ষয়ক্ষতি

    হিটলারের ইহুদি বিতাড়ন নীতির ফলে রাষ্ট্রচ্যুত হয়েছিলেন লাখে-লাখে মানুষ। বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে সমস্ত ইহুদি বুদ্ধিজীবিরা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। স্বয়ং আইনস্টাইন চলে যান আমেরিকায়। কিন্তু এর বাইরেও ইউরোপের দেশে-দেশে নেমেছিল রাষ্ট্রহীন উদ্বাস্তুদের দল। তাদের কোনো পরিচয়পত্র ছিলনা। লুকিয়ে-চুরিয়ে এই দেশ থেকে ওই দেশ, নদী পাহাড় জঙ্গল টপকে বে-আইনী অস্তিত্ব নিয়ে কেটে গেছে সেই সব হতভাগ্যদের জীবনের বহু বছর। রেমার্কের 'ফ্লটসাম' উপন্যাসে ধরা আছে নাগরিকত্বহীন উদ্বাস্তু জীবনের সেইসব মর্মন্তুদ গলিঘুঁজি। ২০১৯ এর নাগরিকপঞ্জির বয়ান বস্তুত সেই রাস্তায়ই হাঁটছে। ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে ডিটেনশন ক্যাম্প, এর মধ্যেই তৈরি হয়েছে রাষ্ট্রহীনদের তালিকা। পথে-পথে ঘুরে বেড়ানো, ডিটেনশন (পড়ুন কনসেন্ট্রেশন) ক্যাম্পে বাঙালির সদলবল অন্তর্ভুক্তি কেবল সময়ের অপেক্ষা। 

    এ কথা ঠিক, যে, সবাইকে এখনই ধরে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছেনা। ট্রাইব্যুনালে অ্যাপিল করার সুযোগ এখনও আছে, অন্তত তত্ত্বগতভাবে। কিন্তু তার খরচ বিপুল। ইতিমধ্যেই আর্থিক বিচারে ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গেছে প্রবল। 'রাইটস অ্যান্ড রিস্কস অ্যানালিসিস গ্রুপ' এর একটি সমীক্ষা দেখাচ্ছে, রাষ্ট্রহীনের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসতে শুনানি, যাতায়াত সব মিলিয়ে একেকটি মানুষের খরচা হয়েছে গড়ে ১৯,০০০ টাকা। সব মিলিয়ে খরচটি আনুমানিক ৭৮৩৬ কোটি টাকা (না, সংখ্যাটা ভুল পড়ছেন না )। এই টাকা খরচ করেছেন, করতে বাধ্য হয়েছেন, ভারতবর্ষের একটি দরিদ্রতম রাজ্যের মূলত দরিদ্রতম মানুষরা। আশ্চর্যর কিছু নেই, দলে-দলে বাঙালি আত্মহত্যা করেছেন এই প্রক্রিয়া চলাকালীন। এবং শেষ তালিকা বেরোনোর সঙ্গে সঙ্গেই আসছে আরও আত্মহত্যার খবর। এ মূলত এক রাষ্ট্রীয় হত্যাকান্ড প্রকল্প। আপনি আপাতত তালিকার বাইরে আছেন না ভিতরে আছেন, আসামে আছেন না পশ্চিমবঙ্গে, তা দিয়ে কিচ্ছু যায় আসেনা। আন্দাজ করা যাচ্ছে, এর পরেও ধাপে-ধাপে একই প্রক্রিয়া চলবে, শুধু আসামে নয়, গোটা দেশেই, পশ্চিমবঙ্গেও। আপনি একদিনের নোটিসে ট্রেকার ভাড়া করে আলিপুরদুয়ার থেকে বহরমপুর কিংবা তমলুক থেকে বারাসাত দৌড়বেন নথিপত্রের তাড়া নিয়ে, হাজারে হাজারে টাকা খরচা এবং উপরি অপমান সহ্য করবেন স্রেফ নিজেকে নিজের দেশের নাগরিক প্রমাণ করতে, এবং তারপরেও যে নতুন করে 'নাগরিক' হয়ে উঠতে পারবেন, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই, এ দিন খুব দূরে বলে মনে হচ্ছেনা। 

    এবং পুরোটাই, এখনও যা হয়েছে, এবং আন্দাজ করা যায় সর্বত্রই হতে চলেছে, তা স্রেফ জাতিগত, ভাষাগত পরিচয়ের কারণে। বাংলাভাষী হলে আপনাকে প্রমাণ করতে হবে, বা অন্যের দয়ায় থেকে শংসাপত্র জোগাড় করতে হবে, আপনি বাংলাদেশী নন।  প্রসঙ্গত, আসামের অসমীয়াভাষীদের এই অবর্ণনীয় যাত্রার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়নি। তাঁদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা ছিল। একে স্রেফ বৈষম্য বললে বিষয়টাকে খাটো করা হয়। বস্তুত 'বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ' নামক একটি আতঙ্ক তৈরি করে গোটা বাংলাভাষী জাতিগোষ্ঠীকেই ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বিপর্যয়ের দিকে। তার চেয়ে এ জিনিস কম কিছু নয়।  

    অনুপ্রবেশের জুজু

    এই যে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ নামক জুজুটি দেখিয়ে গোটা বাঙালি জাতিকেই অভাবনীয় এক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, সেই জুজুটি কতটা ঠিক? হিটলারের জার্মানির সঙ্গে এখানেও মোদীর ভারতের অদ্ভুত মিল। পুরো জুজুটাই তৈরি করা হয়েছে গুলগল্পের ভিত্তিতে। ২০১১ সালের জনগণনার বহুপ্রতীক্ষিত অভিবাসন সংক্রান্ত তথ্য অনেক টালবাহানার পর সদ্য প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ভারতবর্ষ মোটেই বাংলাদেশ থেকে আগত বে-আইনী অনুপ্রবেশকারীতে ছেয়ে যাচ্ছেনা। আইনী-বেআইনী মিলিয়ে ২০১১ সালে ভারতবর্ষে বাংলাদেশ থেকে আগত মানুষের সংখ্যা ছিল ২৩ লক্ষ। মনে রাখতে হবে, এটা শুধু 'বে-আইনী' অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা নয়। বহুসংখ্যক মানুষ আইনী পদ্ধতিতেই ভারতবর্ষে বসবাস করছেন, যাঁদের একটা বড় অংশ আইনসঙ্গত উদ্বাস্তু (সেই সংখ্যাটা বিরাট, যদিও স্বাভাবিক মৃত্যুর কারণেই সংখ্যা ক্রমশ কমে আসছে)। তার মধ্যে একটা বড় অংশেরই বাস পশ্চিমবঙ্গে। ফলে আসামেই ১৯ লক্ষ বে-আইনী বাংলাদেশী অভিবাসী এসে বসে আছেন, এ একেবারেই অবিশ্বাস্য ব্যাপার। 

    আরও মজার ব্যাপার হল ভারতবর্ষে বাংলাদেশ থেকে আগত মানুষের সংখ্যা ক্রমশ কমছে। বাড়ছেনা। ২০০১ সালে সংখ্যাটা ছিল ৩০ লক্ষ। ২০১১তে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৩ লক্ষে। ফলে জুজুটি সম্পূর্ণই কল্পনা। অবশ্যই বিশেষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কল্পনা। কারণ জনগণনার হিসেব যদি ভালো করে দেখা যায়, তো দেখা যাবে, বাংলাদেশ থেকে আগত মানুষের সংখ্যা ক্রমশ কমলেও, ভারতবর্ষে অন্য একটি দেশ থেকে আগত অভিবাসীদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। মোটামুটিভাবে ২০০১ সালে নেপাল থেকে আগত মানুষের সংখ্যা ছিল ৫ লক্ষের মতো, ২০১১ সালে সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ৭ লক্ষের মতো। এর একটা অংশ পশ্চিমবঙ্গে (মূলত উত্তরবঙ্গে) এসে বাসা বাঁধেন। কিন্তু সেই সংখ্যাবৃদ্ধি নিয়ে কারো কোনো মাথাব্যথা লক্ষ্য করা যায়না। অভিবাসনবিরোধী সমস্ত যুক্তিই কেবলমাত্র 'বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ'এ সীমাবদ্ধ। যদিও, নেপালের মানুষরা খাওয়াদাওয়া করেননা, কাজকর্ম করেননা আর বাংলাদেশের মানুষরা দানবের মতো খান, একাই দশজনের কাজ নিয়ে নেন, এ একেবারেই নয়। ফলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছাড়া এর আর অন্য কোনো কারণ থাকা সম্ভব নয়। 

    রাজনৈতিক দলগুলির অবস্থান

    বিজেপি এবং তার সহযোগী দলগুলির অবস্থান এ ব্যাপারে খুব পরিষ্কার। তারা যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশী হটাও স্লোগানটাকে বাস্তবায়িত করতে চায়। আসামের বিজেপি নেতা গতকালই স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, ভারতবর্ষ 'ধর্মশালা নয়'। তাতে দেশজুড়ে 'হিন্দুত্ব'কে জাগিয়ে তোলা যাবে। এবং সেই কারণে বিশ-তিরিশ-পঞ্চাশ লাখ- এক কোটি বাঙালি গোল্লায় গেলে তাদের কিছু যায় আসেনা। বস্তুত সহনশীল সেকুলার বাঙালি এমনিই তাদের দুচোখের বিষ। হিন্দি বলয়ের গরু হনুমান রাম এবং অসহিষ্ণুতাকে বাংলায় প্রতিষ্ঠিত করাই তাদের এক ও একমাত্র লক্ষ্য। এ ব্যাপারে তাদের কোনো অস্পষ্টতা নেই। হতাশাজনক হল বাম এবং মধ্যপন্থীদের আচরণ। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে বাম এবং মধ্যপন্থীরা যে বিষয়গুলিতে একমত, তার মধ্যে একটি হল 'বে-আইনী অনুপ্রবেশ'। একটি দেশে অনুপ্রবেশকারীরা বে-আইনী ভাবে ঢুকলেও একটা সময়ের পর তাঁদের স্থায়ী বসবাসকারী হিসেবে গণ্য করতে হবে, এটাই সাধারণভাবে বাম ও মধ্যপন্থীদের অবস্থান। দক্ষিণপন্থীদের খাস তালুক আমেরিকাতেও বাম এবং মধ্য ডেমোক্রাটরা স্পষ্ট ভাষায় এই কথা ঘোষণা করতে দ্বিধাবোধ করেননা। যদিও ভারতবর্ষের মতো গায়ের জোরে দেশ খন্ড করার ইতিহাস তাঁদের নেই। আর টুকরো দেশ এবং উদ্বাস্তুদের স্রোতের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ভারতীয় বাম ও মধ্যপন্থীরা এখনও এই স্পষ্ট কথাটি স্পষ্ট করে বলার সাহস অর্জন করে উঠতে পারেননি। তাঁদের মূল দাবী, এখনও এই ২০১৯ সালের আগস্ট মাসের শেষ দিনেও মোটামুটি এই, যে, "কোনো ভারতীয় নাগরিককে নাগরিকপঞ্জির বাইরে রাখা যাবেনা"। ভাবের ঘরে চুরি এবং মানুষকে কিঞ্চিৎ টুপি দেওয়া ছাড়া কথাটার আর কোনো মানে নেই। আরও বিপজ্জনক ব্যাপার হল, দক্ষিণপন্থীদের সঙ্গে এই অবস্থানের বিশেষ কোনো তফাতও নেই। এমনকি নাগরিকপঞ্জিতে পদ্ধতিগতভাবে শিকার করা হচ্ছে বাঙালি জাতিকে, এই 'বাঙালি জাতি' শব্দদ্বয় উচ্চারণেও তাঁদের প্রবল অনীহা। এটা বস্তুত সমস্যাটাকে এড়িয়ে যাবার পদ্ধতি। ফলে সমাধানের কোনো ইচ্ছে তাঁদের নেই, বলাই বাহুল্য। 

    ফলত দেশভাগের মতো আরেকটি সংকটের মুখে বঙ্গজাতি। সম্ভবত সংকটটি বৃহত্তর, কারণ দেশভাগের হোতা ছিলেন নেহরু এবং জিন্না। আর এবারের নেতা নরেন্দ্র মোদী। বাঙালি এবং তার অধিকার রক্ষার সংগঠনগুলি রুখে না দাঁড়ালে এই সংকট মোকাবিলা করা অসম্ভব। তাই, যদি নথিপত্র নিয়ে নিজেকে নাগরিক প্রমাণের জন্য হাজার হাজার টাকা খরচা করে দরজায় দরজায় ঘুরতে না চান, অবিলম্বে আওয়াজ তুলুন। লিখুন, পড়ুন, লেখালিখি, বার্তা ছড়িয়ে দিন সর্বত্র। আপনাকে আমাকেই এসব করতে হবে। কারণ এই সংকটের মূহুর্তেও দেশভাগের সময়ের মতই বঙ্গনেতা ও নেত্রীরা যথারীতি মুখে কুলুপ এঁটেছেন এবং ব্যস্ত আছেন বড় বড় ব্যাপারে। দক্ষিণপন্থী নেতা ও নেত্রীরা বিশ্বহিন্দুত্বের সাধনা করছেন। বাম ও মধ্যপন্থীরা ভজনা করছেন বিশ্বমানবতা ও পবিত্র ভারতীয় সার্বভৌমত্বের। এসবের চক্করে চির-উদ্বাস্তু কোটি-খানেক বাঙালি আবার উদ্বাস্তু হলে কার কীই বা এসে যায়?   


    সূত্রঃ 
    ১। 'রাইটস অ্যান্ড রিস্কস অ্যানালিসিস গ্রুপ' সমীক্ষাঃ http://www.rightsrisks.org/press-release/the-economic-cost-of-draft-nrc-poor-made-extremely-poor/ 
    ২। অভিবাসন সম্পর্কিত জনগণনার বিশদ বর্ণনা জনগণনার ওয়েবসাইটে পাবেন। কিন্তু এখানে বিশ্লেষণের মূল সূত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে এই লেখাটিঃ https://www.livemint.com/news/india/india-is-not-being-overrun-by-immigrants-1564334407925.html । ব্যবহৃত চিত্রটিও এই লেখা থেকেই নেওয়া।  


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ২৩৯৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | 237812.68.454512.186 (*) | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:২২78019
  • এ মোটামুটি সেই নেকড়ের গল্প তুই করিস নি তোর বাপ করেছে এবার তুই ফল ভোগ কর। বিজেপী আর AASU তো ইতিমধ্যেই অনাগরিকএর সংখ্যা 'এত কম' হওয়ায় হতাশা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

    একটা মজা হল এরা বাংলাভাষাটাকেই টেরোরিস্টদের ভাষা বলে দাগিয়ে দিচ্ছে। অথচ মুম্বাই হামলার হামলাকারীরা বা এদের আরেক প্রধান টার্গেট পাকিস্তান থেকে আসা লোকজন কিন্তু হিন্দিভাষী। সেই হিসেবে অধিকাংশ টেরোরিস্ট অ্যাটাক হিন্দিভাষীরা করেছে এটা কিন্তু কখনো উল্লেখ করা হয় না। মনে করিয়ে দিলে অনেকেই আমতা আমতা করে এড়িয়ে যায়।
  • কল্লোল | 237812.69.563412.51 (*) | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:১৬78016
  • লেখটা সর্বত্র চোঋয়ে দেওয়া হোক। সামাজিক/অসামাজিক সব মাধ্যমে।
  • দেব | 236712.158.786712.167 (*) | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:৫৫78020
  • ইহুদিদের সাথে তুলনাটায় আপত্তি আছে। ইহুদিদের কোনো 'হোমল্যান্ড' ছিল না। অসমিয়ারা যে কথাটা বলেন - বাঙালিদের নিজস্ব একটা গোটা দেশ এবং একটা গোটা প্রদেশ আছে - সেটা বাস্তব। ত্রিপুরা ধরলে দু'টো প্রদেশ। মোট জনসংখ্যা ২৭ কোটি বনাম ২ কোটি অসমিয়া। অসমিয়াদের ভয় পাওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।

    দুই - বাঙালি বলে কোন জিনিসের এখানে অস্তিত্ব নেই - দুর্ভাগ্য। কারণ বাঙালি হিন্দু বাঙালি মুসলিমদের সাথে একজোট হওয়া তো দুরের কথা, নিজেরাই তাদের খেদাতে ব্যস্ত। পশ্চিমবঙ্গের মেজোরিটি হিন্দু বাঙালি সম্পূর্ণ অজ্ঞান। এবং তাদের একটা বড় অংশ উচ্ছ্বাসে তালি দিচ্ছেন "আমাদের এখানেও এন আর সি চাই" বলে। আর আসাম? সেখানে হিন্দু বাঙালিরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন কারণ বিজেপি হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেবে বলেছে।

    দ্যাট ব্রিংস আস টু দা নেক্স্ট পয়েন্ট। বিজেপি বাঙালি বিরোধী নয়। মুসলিম বিরোধী। নইলে আসামের হিন্দু বাঙালিরা বিজেপিকে ভোট দিতেন না। কারণ আসামে অঙ্কটা পু-উ-রো আলাদা। সেখানে হিন্দু অসমিয়াদের হাত থেকে বাঁচতে তারা বিজেপির আশ্রয়ে গেছেন। তালেই বুঝুন। বিজেপি নাগরিকত্ব বিল পাশ ঠিকই করিয়ে দেবে। অসমিয়া হিন্দুরা তাতে খুশি হবেন না। কিন্তু দিল্লির সাথে তো আর টক্কর দেওয়া যায় না। তো মোদ্দা কথা বিজেপি আদ্যন্ত বাঙালি বিরোধি, এটা দাঁড়াচ্ছে না। হ্যাঁ বিভিন্ন বিষয়ে হিন্দিভাষী গোবলয়ের মেজরিটরিয়ান গায়ের জোর ফলানো আছে, 'কেন্দ্রের বঞ্চনা' ও আমাদের কল্পনা নয়। কিন্তু সে অন্য জিনিস এবং বাঙালি একাই সে সমস্যার ভোগী নয়।

    তো এই গেল আসামের ব্যপার। পশ্চিমবঙ্গে কি এন আর সি হবে। সহজ উত্তর, এখানে বিজেপি ক্ষমতায় না এলে হবে না। হ্যাঁ এবার ভোটে এটা ইস্যু হবে। এবং হিন্দু বাঙালি যদি সে টোপ খেয়ে বসেন তাহলে শাস্তি পেতে হবে। কিছু করার নেই। কিন্তু শেষ কথা - হিন্দু বাঙালি যদি নিজে না চায়, তাহলে তাহলে তার (এবং পবর মুসলিম বাঙালিরও) ভয় নেই। একই কথা অন্যান্য রাজ্যের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

    সবশেষে - আসামে যে ১৯ লক্ষ মানুষ বাদ পড়লেন, তাদের মধ্যে আনুমানিক ১০-১২ লক্ষ যে মুসলিম রয়েছেন তাদের কি হবে? বিজেপি নিশ্চুপ। বাংলাদেশ কাউকে ফেরত নেবে না। এত লোককে বন্দি করাও সম্ভব নয়। ভোটাধিকার চলে যাবে। কিন্তু তারপর? উত্তর জানি না।
  • S | 890112.162.674523.52 (*) | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৫:০৮78021
  • কিন্তু অসমে তো এনারসি হলো সেই ১৯৭১ না কবেকার একটা চুক্তি অনুযায়ী, যখন সুপ্রিম কোর্ট বললো যে সেটা ইমপ্লিমেন্ট করতে হবে তখন। পবে সেরকম কোনও চুক্তি নেই, তাই সেখানে এনারসি কেন হবে?
  • Du | 237812.69.0178.112 (*) | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৫:১৬78022
  • সেই চুক্তি অনুযায়ী আগেও এককালে এন আর সি করা হয়েছিল। আমারও ছিল। এখন দেখা গেল সেই এনারসির কোন দাম নেই।
  • দেব | 237812.68.674512.61 (*) | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৫:২১78023
  • @S

    এক্জ্যাক্টলি। আসামের ব্যাপারটা স্পেশাল। ওখানে একটা বিশেষ ইতিহাস আছে। পবয় এরকম কোন দাবী কস্মিন কালেও ছিল না। ইদানিং কিছু আওয়াজ উঠছে।

    দেশভাগে পরের দুই দশকে ১০-১৫ লক্ষ মুসলিম ওপারে চলে যান/তাড়ানো হয় (জয়া চ্যাটার্জির হিসেব)। সেই সাথে ঘেটোকরন। আজ পরিস্থিতি মোটের ওপর থিতিয়ে এসেছে। চোরা স্রোত আছে সেটাই ভয়ের। (সাচার কমিটির রিপোর্ট ছেড়ে দিলাম)

    হ্যাঁ বিজেপি এখন দাবীটা তুলবে, তার নিজের অঙ্ক আছে। কিন্তু শেষ অবধি সিদ্ধান্তটা পবর হিন্দু মেজরিটির হাতে। নিজে যদি তারা এখন খাল কেটে কুমির ডেকে আনেন তালে...
  • দেব | 236712.158.676712.56 (*) | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৫:৩১78024
  • @S

    আর ঐ চুক্তিটা ৭১এর নয়। ৮৫র। ৭০-৮০র দশকে অসমিয়া হিন্দুদের আন্দোলন থামাতে রাজীব গান্ধী চুক্তিটা করেন - আসাম অ্যাকর্ড। এখন বাকি দেশে ১৯৫১ থেকেই নাগরিকত্বের দলিল ধরা হয়, আসামে ১৯৭১ থেকে ধরা হচ্ছে। কেন? কারণ রাজীবের (বা বলা ভাল তার পরামর্শদাতাদের) এটুকু বুদ্ধি ছিল যে কেলো হতে চলেছে। তো রাজীব আসুর প্রতিনিধিদের সাথে টানাহ্যাঁচড়া করে ওটাকে ১৯৭১ অবধি টেনে আনতে সফল হন।

    অসমিয়া হিন্দুরা এখনো কান্নাকাটি করেন এই নিয়ে।

    @Du

    এবারে আর পেঁয়াজি করা মুশকিল আছে। কেন্দ্রে বিজেপি। রাজ্যে বিজেপি। সুপ্রিম কোর্টের জজসাহেব নিজে অসমিয়া হিন্দু - রঞ্জন গগৈ। এরপরে আর বলার কি আছে। লোকে বিরক্তির শেষ সীমায় পৌঁছে গেছে। আর গেম খেলা সম্ভব নয়। এটা এখানেই থামবে। রুদালি চলবে, চলুক।
  • S | 890112.162.674523.148 (*) | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৫:৩৪78025
  • বিজেপি শেষে বোধয় হিন্দুদের জায়্গা করে দেবে। মোদি বহুদিন আগের বরখাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সে কথা বলেই দিয়েছিলো যে পৃথিবীর যেকোনও প্রান্তের হিন্দু (বলেছিলো ভারতীয়, কিন্তু আসল মানে হিন্দু, আর বলে দিয়েছিলো যে পাকিস্তান কিন্তু বাদ) যদি ভারতে আশ্রয় চায়, তাহলে সেই ব্যবস্থা করে দেবে।

    বাঙালীদের (হিন্দু সহ) খেদালে বা বেকায়্দায় ফেললে যদিও বাকি ভারতের বেশ কিছু জায়্গার লোকেরা খুশি হয়ে মিটি মিটি হাসবে, তবে পবে বিজেপির সমর্থন আবার ৫-১০%এ চলে যাবে। ভোট বেশি হতে পারে, কিন্তু বেসটা নষ্ট হবে। এমনিতেই মাছ্মাংস খাওয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা আর ঠাকুর-দেবতা নিয়ে বাড়াবাড়ি করে বেশ কিছু ভোট হারাবে।

    বামেরা বা অন্য দলগুলো দেশোদ্রোহী তকমা পাওয়ার ভয়ে একদম গুটিয়ে গেছে। কালকেও অমিত শাহ বলেছে When Rahul Gandhi Speaks, Pakistan Cheers. বিজেপির স্মীয়ার ক্যাম্পেনে সকলে একদম তটস্থ হয়ে রয়েছে। অথচ রাহুল গান্ধী কিন্তু বলতেই পারত যে আমি কাশ্মীরি পন্ডিত, তুই ব্যাটা কাশ্মীর সম্বন্ধে কিস্যু জানিস না।

    অথচ এখনই এই দলগুলোর মরালিটি দেখানোর সময় ছিলো। এমনিতেই ভোট নেই, সীট নেই। দে হ্যাড নাথিং টু লুজ। অন্তত আইডিওলজিকালি তো ঠিক থাকতে পারতো। সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোর কিছু লোকজন অন্তত সাহস পেতো। এমনিতেই লোকজন প্রচন্ড ইনসেন্সিটিভ হয়ে গেছে। আপনর পাশের বাড়ির লোকেদের নাম না উঠলে আপনি হয়তো বাইরে আহা উহু করছেন, কিন্তু মনে মনে লোকসংখ্যা কমবে আর আরো বিভিন্ন স্বার্থের কথা ভাবছেন।

    একটাই ভরসা যে এইসব বড় প্রজেক্টের দায়িত্বে রয়েছে মোদি-শাহ। এরা যে দায়িত্ব নিয়ে ছড়িয়ে লাট করবে, সেটা নিস্চিত। এই যে ১৯ লক্ষ লোকের নাম বেড়লো, এতে হিন্দু বাঙালী, মুসলমান হিন্দু, অসমীয়া, পাহাড়ী উপজাতিরা, এমনকি বিজেপি নিজেও অখুশি। পবেও এই একই অবস্থা ঘটবে। এমনিতেই এখানে সেরকম কোনও চুক্তিই নেই। ফলে কোর্টেই ব্যাপারটা থমকে যাবে। আর্বিট্রারিলি একটা টাইম ধরে কাজ করতে গেলে ঝামেলা বাড়বে বই কমবে না। তখন আইটি সেলও কম পড়বে।
  • S | 890112.162.674523.148 (*) | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৫:৩৯78026
  • * এই যে ১৯ লক্ষ লোকের নাম বেড়লো না, এতে হিন্দু বাঙালী, মুসলমান বাঙালী, অসমীয়া, পাহাড়ী উপজাতিরা, এমনকি বিজেপি নিজেও অখুশি।
  • রৌহিন | 237812.68.674512.199 (*) | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৬:১৩78017
  • এটা পরিষ্কার যে সমস্যাটা ধর্মনিরপেক্ষ বহুত্বপ্রেমী বাঙালি। সে সংখ্যা অবশ্য গত কয়েক বছরে হু হু করে কমেছে। যারা বাকি আছি, আয় আরো হাতে হাত রেখে / আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি
  • | 237812.69.453412.170 (*) | ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১০:৫৭78018
  • অ্যাবাউট এক লাখ গোর্খা র নাম নেই বলে একটা খবর বেরিয়েছিল ২০১৮ র অগাস্টে, সেই রিয়েলিটি বদলেছে বলে খবর নেই।

    এক বছর আগের হিন্দুঃ
    https://www.thehindu.com/news/national/other-states/nrc-fallout-gorkhas-of-assam-feel-left-out/article24574952.ece

    এবারের বিষয়ে মমতা র স্টেটমেন্ট
    https://timesofindia.indiatimes.com/india/shocked-to-see-1-lakh-gorkha-people-excluded-from-nrc-mamata-banerjee/articleshow/70933463.cms


    এবং গোর্খা সংগঠন এর স্টেটমেন্ট/পর্যবেক্ষন

    https://scroll.in/latest/935837/nrc-final-list-gorkha-body-says-over-one-lakh-people-belonging-to-the-community-excluded

    স্বরাজ্য পত্রিকার পাতা ওল্টালে বোঝা যাবে, গোর্খারা যে এন আর সির মূল টার্গেট নন সেটা পরিষ্কার করার একটা চেষ্টা থাকছে, আবার বিজেপির নেতা কর্মী দের মধ্যেই একটা বিতৃষ্ণা, রা জ্য বিজেপির উন্মাদনা কিন্তু ত্রিপুরা সম্পর্কে নীরবতা ইত্যাদি ঢ্যামনামির মধ্যে যেটা বেরিয়ে আসছে সেটা হল, এই এন আর সি টা গোটা টাই বাংলাভাষী আর অহম্যা ভাষী ব্রিটিশ আমলে মৈমন সিংহের আবাদী মিঞা বিরোধী, সমাজের মধ্যে শুধু না নাগরিকতায় ভাগ আনাটাই উদ্দেশ্য।

    সৈকত (প্রথম-র) অনেক রাজনৈতিক লেখাই রেখে দেওয়ার মত , লোককে ডেকে পড়ানোর মত, এটাও তার ব্যত্যয় নাই। থ্যাংক্স ওস্তাদ।
  • বিজেপির ধর্ম | 237812.68.674512.199 (*) | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৫:২৬78030
  • বিজেপির কাছে দিনের শেষে ধর্মই ফ্যাক্টর হবে, ভাষা হয়ত নয়। অন্তত ভোটের খাতিরে।

    "হিমন্তবাবু বললেন, এন আর সি কোয়ার্টার ফাইনালও নয়, খেল আভি বাকি হ্যায় দোস্ত। বে-আইনি অনুপ্রবেশকারীদের এন আর সি'তে নাম উঠিয়ে ফূর্তি করতে বারণ করলেন। কাদের বললেন বোঝাই যাচ্ছে, হিন্দুরা তো ওদের মতে বে-আইনি অনুপ্রবেশকারী নয়। বর্ডার পুলিশ আগামী দিনে এন আর সি'র অন্তর্ভুক্ত লোকেদের সমন পাঠাবে ইঙ্গিত দিলেন। "

    https://www.facebook.com/watch/?v=2340311819620590
  • ভাষা না ধর্ম | 237812.68.454512.144 (*) | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৮:৩০78027
  • এই দ্বন্দ্ব ও তার কিছু উত্তর বুলবুলভাজার এই লেখায় পেলাম
    https://www.guruchandali.com/default/2019/09/01/1567328624776.html
  • | 236712.158.895612.214 (*) | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৮:৪৯78028
  • দিল্লুর একটা ভিডিও দেখেছিলাম তাতে বেশ কনফিডেন্টলি বলছে 'মরবে কিছু হিন্দু মরবে তাতে কি?'

    আর দিকে দিকে রবীন্দ্রনাথ, সুকান্ত, বিদ্যাসাগর ক্ষুদিরাম ইত্যাদির মূর্তি ভেঙে চলেছে বিজেপীর লোকজন। তো তাতে খুব কাউকে কিছু তো বলতে দেখছিনা, মানে রাজনৈতিক দল বা একটু নামী মানুষেরা। এই আমাদের মত নামহীন লোকজনেরাই যেতুকু যা চেঁচাচ্ছেন।
  • | 237812.68.674512.61 (*) | ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১১:৩৫78029
  • এখানে থাক

  • বিপ্লব রহমান | 237812.68.454512.144 (*) | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৫:১৭78032
  • "এ মূলত এক রাষ্ট্রীয় হত্যাকান্ড প্রকল্প।"

    এপারে আমরা মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত ১১ লাখ রোহিঙ্গার ভাড়ে ন্যুব্জ, তারপরও যদি ১৮-১৯ লাখ লোককে ঠেলে এপারে পাঠানো হয়, দরিদ্র দেশটির কি দশা হবে!

    রোহিঙ্গারা তাও এপারে রিফিউজির মর্যাদায় দেশি-বিদেশি ত্রাণ সাহায্য পেয়েছেন, কিন্তু আসাম বা পশ্চিম বংগ থেকে যদি বিপুল পরিমাণ মানুষকে এপারে জোর করে ঠেলে পাঠানো হয়, তাহলে এই মানুষগুলোর উপায় কী হবে?

    বিজেপির উস্কানিতে জাতিগত দাংগা না বাধে আবার!
  • Du | 890112.162.122323.214 (*) | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১২:২০78033
  • ভ্রম বা সন্দেহের কোন সমাধান নাই। পুরো প্রসেসটাতে যা খুশি হওয়া সত্ত্বেও কেউ ইন্টারফিয়ার করেনি - তাও তেনারা সন্তুষ্ট হলেন না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে প্রতিক্রিয়া দিন