এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • সবার জন্য বিনামূল্যে অত্যাবশ্যক ও জীবনদায়ী ওষুধ চাই

    পুণ্যব্রত গুণ লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ | ১১০৯ বার পঠিত

  • ১৯৭৭-এ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘২০০০ সালের মধ্যে সবার জন্য স্বাস্থ্য’-এর লক্ষ্য স্থির করেছিল। সবার জন্য স্বাস্থ্য-এর জন্য চাই সবার জন্য ওষুধও। ৮০-র দশকের প্রথমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রথম অত্যাবশ্যক ওষুধের তালিকা প্রকাশ করে। ওষুধের যুক্তিসঙ্গত ব্যবহারের সপক্ষে দেশে দেশে প্রয়াস শুরু হয়। কোনও কোনও দেশে তা কার্যকরও হয়। যদিও পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে সর্বজনীন স্বাস্থ্যের লক্ষ্য আজও অধরা রয়ে গেছে।
    ভারত ১৯৭৭-এ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঘোষণায় অংশীদার ছিল। কিন্তু লোক দেখানো লোক ঠকানো কিছু ঘোষণা ছাড়া কাজের কাজ কিছু এ লক্ষ্যে হয়নি বললেই চলে। ৯০-এর দশকের পর থেকে আবার শুরু হয়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে সরকারের সরে আসা এবং বেসরকারী পুঁজির রমরমা।
    দ্বাদশ পরিকল্পনার আগে যোজনা কমিশন সর্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবার লক্ষ্যে যে উচ্চস্তরীয় বিশেষজ্ঞ দল গড়েছিল তাদের সুপারিশ না মেনে সরকার দেশের মানুষের স্বাস্থ্যরক্ষার ভার তুলে দিতে চলেছে বীমাকোম্পানিগুলোর হাতে। ইতিমধ্যে আবার এক লোকঠকানো ঘোষণা—অত্যাবশ্যক ৩৪৮টা ওষুধের সর্বোচ্চ মূল্য বেঁধে দিতে চলেছে সরকার।
    এমন সময় দাবী উঠুক—সবার জন্য বিনামূল্যে সমস্ত জীবনদায়ী ও অত্যাবশ্যক ওষুধ চাই, সে দায়িত্ব নিতে হবে সরকারকেই।

    ওষুধ একটা পণ্য
    ওষুধ একটা পণ্য, ওষুধ-কোম্পানী ওষুধ তৈরী করে মুনাফার জন্য। কিন্তু অন্য পণ্যের সঙ্গে এ পণ্যের ফারাক হল ক্রেতা (অর্থাৎ রোগী) পণ্যটাকে নির্বাচন করেন না। রোগীর হয়ে পণ্যটাকে নির্বাচন করে দেন অন্য কেউ অর্থাৎ ডাক্তার।

    ওষুধ একটা রাসায়নিক
    যার ব্যবহারঃ
    •    রোগ নিরাময়ে (যেমন—ব্যাক্টেরিয়া-সংক্রমণে এন্টিবায়োটিক)
    •    রোগের কষ্ট কমানোয় (যেমন—উচ্চ-রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসে)
    •    রোগ-প্রতিরোধে (যেমন—টীকাগুলো)
    •    রোগ-নির্ণয়ে (যেমন—এক্স-রে বা সিটি স্ক্যানে অনেক ক্ষেত্রে রঞ্জকের ব্যবহার)
    •    স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়া পরিবর্তনে (যেমন—জন্মনিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত ওষুধ)।

    সব ওষুধ কিন্তু দরকারী নয়
    ১৯৭৫-এ ভারতের এক সংসদীয় কমিটি বলেছিল ১১৭টা ওষুধ দিয়ে সে সময়ের ভারতের অধিকাংশ মানুষের অধিকাংশ মানুষের অধিকাংশ অসুখের চিকিৎসা সম্ভব। ১৯৭৭-এ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রথম যে অত্যাবশ্যক ওষুধের তালিকা বার করে তাতে ছিল ২০৮টা ওষুধ। অথচ সে সময়ে ভারতের ওষুধ বাজারে প্রায় ৬০হাজার ওষুধ।
    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক অত্যাবশ্যক ওষুধের তালিকায় আছে ৩৭৪টা ওষুধ। ভারতের জাতীয় তালিকায় ওষুধের সংখ্যা ৩৪৮। অথচ ভারতের বাজারে ওষুধ ফর্মুলেশনের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে।
    এত ফর্মুলেশন তাহলে কেন? একই ওষুধ আলাদা আলাদা কোম্পানী বাজার-জাত করে আলাদা আলাদা নামে। তারপর আছে একাধিক ওষুধের নির্দিষ্ট মাত্রায় মিশ্রণ, যার অধিকাংশই অপ্রয়োজনীয়। এছাড়া আছে অপ্রয়োজনীয় অনেক ফর্মুলেশন, যেমন—কাফ সিরাপ, হজমী ওষুধ, টনিক...।

    প্রচুর ওষুধ, মানুষের জন্য ওষুধ নেই...
    আমাদের দেশ পৃথিবীর বৃহত্তম ওষুধ উৎপাদক দেশগুলোর মধ্যে একটা। ২০০৯-২০১০ সালে ৬২,০৫৫ কোটি টাকার ওষুধ বিক্রি হয়েছে দেশের বাজারে আর ৪২,১৫২ কোটি টাকার ওষুধ রপ্তানী হয়েছে। উৎপাদিত ওষুধের আয়তনের হিসেবে ভারত পৃথিবীতে তৃতীয়, মোট দামের হিসেবে পৃথিবীতে ১৪ নম্বর। এই ফারাকের কারণ হল আমাদের দেশে ওষুধের দাম অনেক দেশের তুলনায় কম তাই মোট আয়তন বেশী হলেও মোট দাম কম।
    এত উৎপাদন সত্ত্বেও অবশ্য আমাদের দেশের অধিকাংশ নাগরিক ওষুধ কিনতে পারেন না। চিকিৎসার মোট খরচের একটা বড় অংশ (৭০ থেকে ৮০%) জুড়ে থাকে ওষুধের দাম। চিকিৎসার খরচ যোগাতে দারিদ্রসীমার নীচে নেমে যায় রোগীর পরিবার।
     
    ওষুধের মূল্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ নেই বললেই চলে
    স্বাধীনতার ৩২ বছর পর ১৯৭৯-এই প্রথম ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারী ভূমিকা দেখা যায়। সব ওষুধগুলোকে বিন্যস্ত করা হয় চারটে শ্রেণীতে এবং লাভের সীমা স্থির করে দেওয়া হয়।

    শ্রেণী     কী ধরনের ওষুধ?             লাভের হার
    প্রথম     জীবনদায়ী                            ৪০%
    দ্বিতীয়    জীবনদায়ী ও অত্যাবশ্যক        ৫৫%
    তৃতীয়    অন্যান্য                               ১০০%
    চতুর্থ     নতুন ও বাকী সব ওষুধ          লাভের কোন উর্ধসীমা নেই

    ভাবা হয়েছিল এই শ্রেণী বিভাগের ফলে জনসাধারণ জীবনদায়ী ও অত্যাবশ্যক ওষুধ কম দামে পাবেন। আর প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর ওষুধ উৎপাদনে ওষুধ কোম্পানিগুলোর যে কম লাভ হবে তা তারা পুষিয়ে নেবে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীতে। কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল ওষুধ কোম্পানীগুলো জীবনদায়ী ও অত্যাবশ্যক ওষুধ তৈরী কমিয়ে দিয়ে তৈরী করতে লাগল টনিক-কাশির সিরাপের মত অপ্রয়োজনীয় ওষুধ। যক্ষ্মা-কুষ্ঠের ওষুধের মত দরকারী ওষুধ অমিল হতে থাকল।
    ’৯০-এর দশকের শুরুতে শুরু হল অর্থনীতির উদারীকরণ, শিল্পে লাইসেন্সিং প্রথা অবলুপ্ত হল, ওষুধ শিল্প সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বিদেশী পুঁজি বিনিয়োগ অনুমোদিত হল। কোন ওষুধকে মূল্য নিয়ন্ত্রণের আনা হবে তা ঠিক করা হতে লাগল বাজারে ওষুধের মোট বিক্রিতে বিভিন্ন কোম্পানীগুলোর অংশের ভিত্তিতে। এই জটিল হিসেবটা না বুঝে জেনে নেওয়া যাক একটা তথ্য—বর্তমানে ৭৪টা ওষুধের কাঁচা মাল বা বাল্ক ড্রাগ এবং সেগুলো থেকে তৈরী ১৫৭৭টা ফর্মুলেশন মূল্য নিয়ন্ত্রণের আওতায়।
    সম্প্রতি উচ্চতম ন্যায়ালয়ের নির্দেশে সরকার ২০১১-র অত্যাবশ্যক ওষুধের জাতীয় তালিকায় থাকা ৩৪৮টা ওষুধকে মূল্য নিয়ন্ত্রণের আওতায় নিয়ে এসেছে। কোনও ওষুধের যে ব্র্যান্ডগুলোর বাজারে বিক্রি, সে ওষুধের বাজারে মোট বিক্রির ১% বা তার বেশী, সেই ব্র্যান্ডগুলোর দামের গড় করে ঠিক হবে সে ওষুধের সর্বোচ্চ মূল্য। তাতে ওষুধের দাম কমার বদলে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। বেশী দামী ব্র্যান্ডগুলোর দাম কিছুটা কমবে বটে, কিন্তু কমদামী ব্র্যান্ডগুলোর দাম বেড়ে যাওয়ার আশংকা।

    যোজনা কমিশনের ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য-বিষয়ক উচ্চ-স্তরীয় বিশেষজ্ঞ দল কি বলছে-
    বিশেষজ্ঞ দল হিসেব করে দেখিয়েছেন স্বাস্থ্যখাতে খরচ জিডিপি-র ০.৫% বাড়ালেই সমস্ত নাগরিককে বিনামূল্যে অত্যাবশ্যক ওষুধগুলো দেওয়া সম্ভব।
    তাঁদের মতে নির্ভরযোগ্য ও কার্যকরী ওষুধ সরবরাহ ব্যবস্থার মূল বৈশিষ্ট্যগুলো এমন হওয়া উচিত—
        স্বাস্থ্যখাতে সরকারী খরচের অন্তত ১৫% হোক ওষুধের জন্য, অত্যাবশ্যক ওষুধের তালিকায় থাকা ওষুধগুলো সরকারকেই কিনতে হবে।
         আয়ুর্বেদ, উনানী, সিদ্ধ, হোমিওপ্যাথির আলাদা অত্যাবশ্যক ওষুধের তালিকা করতে হবে, রাজ্যস্তরে তা কেন্দ্রীয় ভাবে কিনতে হবে।
         প্রামাণ্য চিকিৎসা বিধি (Standard Treatment  Guidelines) অনুযায়ী প্রেসক্রিপশন ও ডিসপেন্সিং করতে হবে।
         স্বচ্ছ টেন্ডার পদ্ধতির মাধ্যমে ওষুধ কিনতে হবে।
         ভাল গুণমানের জেনেরিক ওষুধ নিশ্চিত করতে হবে।
         প্রত্যেক জেলায় গুদাম থাকবে।
         ওষুধ, টীকা ও পরীক্ষার সরজ্ঞাম কেনার জন্য স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা চাই।
         ওষুধের গুণবত্তা পরীক্ষার ল্যাবরেটরী নথিভুক্ত করতে হবে।
         দ্রুত দাম মেটানোর ব্যবস্থা চাই।

    তাঁদের মতে ওষুধ, টীকা ও কারিগরী নাগালে আনতে
        ওষুধের যুক্তিসঙ্গত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
        জাতীয় ও রাজ্যস্তরে ওষুধ সরবরাহ কর্পোরেশন স্থাপন করতে হবে।
        ওষুধ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা মজবুত করার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রককে ক্ষমতা দিতে হবে।
        ফার্মাসিউটিকাল দপ্তরকে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনে দেওয়া হোক।

    জেনেরিক নামে সব ওষুধ তৈরী হোক
    মানুষের নাগালে ওষুধকে আনতে হলে জেনেরিক নাম অর্থাৎ আন্তর্জাতিক অব্যবসায়িক নাম ছাড়া গতি নেই।
    •    কেবল জেনেরিক নামই চিকিৎসাবিজ্ঞানের বইপত্রে-পড়াশুনায় ব্যবহৃত হয়।
    •    বাজারে একাধিক ওষুধের মিশ্রণে তৈরী প্রচুর ফর্মুলেশন পাওয়া যায়, যেগুলোর অধিকাংশই অযৌক্তিক ও অপ্রয়োজনীয়। জেনেরিক নাম ব্যবহার চালু হলে ওষুধ কোম্পানীগুলো বেশী সংখ্যায় একক ওষুধের ফর্মুলেশন উৎপাদন করতে বাধ্য হবে।
    •    ওষুধের নাম দেখেই সেটা কোন ধরণের ওষুধ বোঝা সহজ হবে। একই ওষুধের নানান ব্র্যান্ড নামে মিল থাকে না, ফলে বিভ্রান্তি তৈরী হয়। এই বিভ্রান্তিও হবে না।
    •    দেখা যায় জেনেরিক নামের ওষুধগুলোর দাম সাধারণভাবে সেই ওষুধেরই ব্র্যান্ডগুলোর চেয়ে অনেকটা কমদামী।
    •    কেবল জেনেরিক নাম ব্যবহার করা হলে ডাক্তারদেরও অল্প কিছু নাম মনে রাখলেই হবে, একগাদা ব্র্যান্ড নাম মনে রাখতে হবে না।
    •    কেবল জেনেরিক নাম চললে ব্র্যান্ডের প্রচার-প্রসার করতে হবে না, খরচ কমবে, ওষুধের দামও কমবে।

    ওষুধ-শিল্পে পুঁজির শোষণ বন্ধ হোক
    হাতি কমিটি ১৯৭৫-এ প্রকাশিত রিপোর্টে সুপারিশ করে রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্র যেন ওষুধ উৎপাদনে মুখ্য ভূমিকা নেয়। দেশীয় ওষুধ-কোম্পানীগুলোর বিকাশের জন্য কিছু ওষুধ-উৎপাদন কেবল দেশীয় কোম্পানীগুলোর জন্য সংরক্ষিত রাখার কথা বলা হয়। ওষুধ-শিল্পে বহুজাতিক কোম্পানীগুলোর ভূমিকার নিন্দা করে কমিটি, ওষুধ-কোম্পানীগুলোতে বিদেশী বিনিয়োগের মাত্রা তৎক্ষণাৎ কমিয়ে ৪০% করা এবং তারপর কমিয়ে ২৬% করার কথা বলা হয়, এমনকি বিদেশী ওষুধ-কোম্পানীগুলোর জাতীয়করণের পক্ষে ছিল হাতি কমিটি।
    তা হয় নি, বরং বিদেশী বিনিয়োগ বাড়তেই থাকে। আসুন আমরা দাবী তুলি হাতি কমিটির সুপারিশগুলো কার্যকর করার।

    ওষুধের দাম প্রকৃত অর্থে নিয়ন্ত্রিত হোক
    কাঁচা মালের দাম, উৎপাদন খরচ, মোড়কের খরচ, প্রচার খরচের ওপর ১০০% লাভ রেখে ওষুধের দাম নির্ধারিত হোক—যেমনটা প্রস্তাব ছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রকের। (আশ্চর্যের বিষয় আমাদের দেশে ওষুধশিল্পকে নিয়ন্ত্রণ করে রসায়ন ও পেট্রোকেমিক্যাল মন্ত্রক, স্বাস্থ্য মন্ত্রক নয়)।

    সরকার সবার জন্য বিনামূল্যে অত্যাবশ্যক ওষুধের যোগান দিক
    যেমনটা সুপারিশ করেছেন উচ্চ-স্তরীয় বিশেষজ্ঞ-দল। সরকারতো দান-খয়রাতি করেছে আমাদের কাছ থেকে নেওয়া করের টাকার যথাযথ ব্যবহার করে কিভাবে এমনটা করা সম্ভব তা হিসেব করে দেখিয়াছেন তাঁরা।

    সর্বজনীন স্বাস্থ্যের লক্ষ্যের দাবিতে কাজ করে যাওয়া সংগঠন ও ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে এই পিটিশনটি পাঠানো হচ্ছে। আপনিও চাইলে এই দাবীর অংশীদার হতে পারেন।
    https://secure.avaaz.org/en/petition/pshcimbngge_atyaabshykiiy_348_tti_ossudh_binaamuulye_prdaan_kraa_hok/
     


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ | ১১০৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • amaderprayas.org | 106.24.79.18 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৫:৪৬75226
  • ভালো প্রস্তাব। এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের এর জন্য আপনাদের একটি কমিটি আছে নিশ্চয়। বর্তমান জগতে সরকারগুলো ভেক গণতান্ত্রিক কাঠামোর আড়ালে প্রকৃতই বৃহত ব্যবসায়ী পুঁজি স্বার্থ রক্ষাকারী সংগঠন। তাই বিভিন্ন স্তরে জনপ্রতিনিধিদের উপর সাধারণ নাগরিকদের জারী করা চাপ চালু রাখার জন্যই কমিটি জরুরী বলে মনে করি।
  • একক | 125.115.139.226 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৬:৫৪75227
  • প্রথমেই যদি ধরে নি যে সরকার সমস্ত মাল্টিন্যাশনাল কে বাধ্য করবে কিছু নিয়মবিধি মেনে চলতে এবং সেই ধরে নেওয়ার ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী দাবি সাজায় তাহলে সবচে বড় সমস্যা হলো এই চেইন তার একটা পয়েন্ট ফেইল করলে পরের সবকটা করবে ।
    বরং ধরে নেওয়া যাক যে ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট এ পুরোপুরি জেনেরিক হবেনা কারন তাতে মাল্টিন্যাশনাল এর স্বার্থ ক্ষুন্ন হবে এবং সরকার তাই সেরকম কোনো স্টেপ নেবেনা ।
    তাহলে করনীয় কী ?
    আরেকটা ব্যাপার । বাইরের দেশে ওষুধের দোকানে ফার্মাসিস্ট থাকা বাধ্যতামূক । ইন্ডিয়া তেও খাতে কলমে তাই কিন্তু বাস্তবে কী হয় সবাই জানেন । মাস গেলে কোনো ফার্মাসিস্ট কে কিছু থোক টাকা বুঝিয়ে দিয়ে অসুধের দোকান গুলো চলে । বেসিক্যালি পুরো দালালি । এই জায়গা থেকে জেনেরিক ড্রাগ এর ইম্প্লিমেন্টেশন কতটা সাফল্য আনবে সেটাও বোঝা দরকার ।
  • aranya | 78.38.243.161 (*) | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৩:১০75228
  • ভাল কাজ করছেন, পুণ্যব্রত গুণ ও তার সঙ্গীরা
  • Dr. J. Sil | 127.194.69.186 (*) | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৫:৫০75229
  • হোমিওপ্যথি, আয়ুর্বেদ, উনানি, ইত্যাদি অবইগ্গ্যনিক লোক ঠকানো জনবিরোধি ব্যব্সকে প্রতিরোধ ক্রর ক্থাও বলা দরকার। এই মিথ্যাকে মেনে নিয়ে যুক্তিবাদী থাকা যায়্না।
    জেনেরিক ওষুধের বিষয়ে তাত্বিক দিক নিয়ে মতবিরোধ নেই কিন্তু সমস্যা তার গুণ ও মাণের বিশ্বাস যোগ্যতা নিয়ে। অব্শ্য ব্র্যন্ডেড ওষুধের জন্যও সমভাবে প্র যোজ্য - বিশেষতঃ য্খ্ন এক ই ওষুধ এক ই মাত্রায় দুই নামী কোম্পানী দশ্গুণ ব তর বেশি দামে বেচে অথচ কেউ কোনো প্রতিবাদ করেনা। উদহরণ - লেট্রোজোল-আডাই মিগ্রা, বায়োকেম=৯৯টাকা; নোভর্টিস=১৮১৫ টাকা। ক্লোপিডোগ্রেল ৭৫ মিগ্রা, জাইডাস=৭৮ টাকা; সনোফি=১০২০টাকা। গুণ ও মাণের বিশ্বাস যোগ্যতার প্রশ্নের সমাধন ও দাবী কোর্তে হবে।
    নিবেদক - ডাঃ গ্যন শীল।
  • ranjan roy | 24.97.56.119 (*) | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০১:৫৪75230
  • হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদ, ইউনানি--- অবৈজ্ঞানিক জনবিরোধী ব্যবসা? আর আকুপাংচার?
    বিকল্প পদ্ধতির জন্যে মনের জানলা খুলে রাখলে যুক্তিবাদী থাকা যায় না? মাই ওয়ে অর হাই ওয়ে?
  • j | 230.227.106.153 (*) | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৪:৫৬75231
  • রঞ্জনদা - এই যুক্তিতে তো তুকতাক , ঝাঁড়্ফুক , মারণ-উচাটনকেও লিগালি স্পেস দিতে হয়

    মানে , ঝাঁড়ফুকওয়ালা রোগীকে নিজমতে চিকিৎসা করে বলবে 'দিস ইজ মাই ওয়ে"
  • siki | 131.243.33.212 (*) | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১০:০২75232
  • হোমিওপ্যাথি আয়ুর্বেদ নিয়ে গুরুতে এক সময়ে লম্বা লম্বা টইতে আলোচনা হয়ে গেছে, কিন্তু ফলাফল বেরোয় নি। এগুলোকে কি এক কথায় অবৈজ্ঞানিক বলা যায়? তা হলে সরকারি উদ্যোগে এখনও হোমিওপ্যাথি ডিগ্রি দেওয়া হয় কী করে? আয়ুর্বেদ তো মিনিস্ট্রি অফ হেলথ থেকে বিশেষ ভাবে প্রোমোট করা হচ্ছে।
  • | 24.97.101.114 (*) | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১০:৩৬75233
  • মহারাষ্ট্রে দেখছি আয়ুর্বেদ ডাক্তারদের (BAMS ডিগ্রীপ্রাপ্ত) রেজিস্ট্রেশান নাম্বার থাকে, তারা অ্যালোপ্যাথি ওষুধ প্রেসক্রাইব করেন এবং সোনোগ্রাফি ইত্যাদি করতেও দেন।
  • ranjan roy | 132.168.111.53 (*) | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১১:০৫75234
  • কি কও রাজদীপ!
    সল্ট লেক এর হোমিও কলেজ দ্যাখছ নি?
    স্বর্গতঃ জ্ঞান মজুমদার অ্যালোপ্যাথির ডিগ্রি প্রাপ্ত হোমিও চিকিৎসক। কমিউনিস্ট পার্টির উঁচুস্তরের মেম্বার।
    অ্যালোপ্যাথির সার্জারি ও প্যাথোলজির কুন বিকল্প নাই।
    আইজকাল অনেক হোমিও রেডিওলজি ও প্যাথোলজির রিপোর্ট দেইখ্যা ও তারই সঙ্গে রোগীর ব্যক্তিগত লক্ষণ মিলাইয়া হোমিও মতে ওষুধ দেন।
    এই নিয়া অনেক কথা আছে।

    আমাদের পিটিদা কেমিস্ট্রির বড় স্কলার,ব্যক্তিগত আলাপে আয়ুর্বেদ ও হোমিও নিয়া সন্দেহ প্রকাশ করছেন।

    আবার মাও সে-তুং প্রাচীন চিনা পদ্ধতির উৎকর্ষ সাধনে বিশ্বাসী। ডঃ বিজয় বোস অ্যালোপ্যাথির ডাক্তার। কিন্তু যুদ্ধের সময় চিনা কমরেড দের থেইক্যা আকুপাংচার শিখ্যা শরত বোস রোডে দি হেল্থ নামে চেম্বার খুইল্যা রোগীদের ইত্যাদি, ইত্যাদি।
  • pi | 118.12.164.190 (*) | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১১:৪৫75235
  • আকুপাংচার, আকুপ্রেশার, আয়ুর্বেদ ইঃ নিয়ে তো এখন পিয়ার রিভিউড জার্নালেই গুচ্ছ পেপার বের হয়। চীনে তো এখন এই নিয়ে রীতিমত 'সায়েন্টিফিক' স্টাডি হচ্ছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন