এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • মার্কসীয় চোখে শিল্প

    Sumit Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১০ জুলাই ২০১৮ | ৩২৬৬ বার পঠিত
  • (আজকের এক জায়গার আলোচনার প্রত্যুত্তরে লেখা... এখানে সংরক্ষণ করে রাখলাম...)

    মার্কসীয় দর্শন বস্তুবাদী শিল্পতত্ত্ব বস্তুবাদী ভাবধারায় প্রবর্তিত। মার্কসবাদ শিল্প বিষয়ক আলোচনায় সর্বপ্রকার ভাববাদী ধারণা বর্জন করে। এই মতাদর্শ অনুসারে শিহিক্কল্পের সৃজন, মূল্য তথা শিল্পের উপভোগ, প্রচলন সবই বস্তুবাদী নীতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ঐতিহাসিক বস্তুবাদি দৃষ্টিতে মার্কসবাদ ইতিহাসের যে ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেছে সেখানে শিল্পের উৎপত্তিও চিত্রিত হয়েছে মানুষের বস্তুগত জীবনের প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ হিসেবে। এঙ্গেলস দেখান যে মানুষের সেই আদিম কাল থেকেই শিকার কৃষিকাজ ইত্যাদি বাস্তব জীবনমুখী কর্মকাণ্ডের সহায়ক হিসেবে বিজ্ঞানের ও শিল্পের উদ্ভব ঘটেছে। এঙ্গেলস বলেন, "with each generation labour itself become different, more perfect, more diversified. Agriculture was added to hunting and cattle breeding, then spinning, weaving, metal working, pottery and navigation, along with trade and industry their appeared finally Art and Science."

    মার্কসবাদী নন্দনতত্ত্ব অনুযায়ী সামাজিক বাস্তবতাই শিল্পকে নিয়ন্ত্রণ করে। আর সামাজিক বাস্তবতা মূলত সংশ্লিষ্ট সমাজের উৎপাদন প্রক্রিয়া তথা অর্থনৈতিক অবস্থা দ্বারা পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়। শিল্প সম্পর্কে মার্কসের একটি বিখ্যাত উক্তি হল, শিল্প হল সমাজ চেতনার একটি রূপ (Art is a form of social consciousness)- A contribution to the critique of political economy. ভাববাদী শিল্পতাত্ত্বিকগণ অনেকেই শিল্পকে মানুষের কল্পনার ফসল হিসেবে চিহ্নিত করেন এবং এই কল্পনাকে অতীন্দ্রিয় জগতের ভাবের উপর নির্ভর করাতে চান। কিন্তু মার্কসবাদী দর্শন অনুযায়ী কোন অতীন্দ্রিয় ভাবজগত থেকে শিল্পীর কল্পনা বা শিল্পচেতনা নির্ধারিত বা নিয়ন্ত্রিত হয় না, বরং সমাজের বাস্তবতাই কল্পনা তথা সকল মানসিক অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই শিল্পভাবও সামাজিক বাস্তবতার ফসল। শিল্পচেতনা থেকে শুরু করে সকল চেতনাই মার্কসীয় তত্ত্ব অনুসারে সমাজের বাস্তবতা দ্বারা নির্ধারিত। একই গ্রন্থে মার্কস এর ভাষায়, it is not the consciousness of men that determine their being, but on the contrary their social being that determines their consciousness"। অর্থাৎ মানব সত্তা বা মানব প্রকৃতি কোন চেতনার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বা নির্ধারিত হয় না বরং মানুষের সামাজিক সত্তাই তাদের চেতনাকে নির্ধারণ বা নিয়ন্ত্রণ করে। শিল্পের ক্ষেত্রে তাই কোন শিল্পীর সামাজিক অবস্থা তার শিল্পচেতনা ও শিল্পের ধরন নির্ধারিত ও নিয়ন্ত্রিত করে থাকে। একজন শিল্পী কোন ধরনের শিল্প সৃজন করবেন তা তার সংশ্লিষ্ট সামাজিক অবস্থার উপর নির্ভরশীল। অর্থনৈতিক বাস্তবতা দ্বারা নির্ধারিত যে সামাজিক অবস্থায় শিল্পী অবস্থান করছেন তার উপরই তার শিল্পকর্ম নির্ভর করে। শিল্পের চাহিদাও শিল্প সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। মার্কস তার The German Ideology নামক গ্রন্থে বলেছেন, রাসেল এর মত একজন শিল্পী তার শিল্প প্রতিভাকে কিভাবে বিকশিত করবেন তা নির্ভর করে সমাজের চাহিদার উপর। মানুষ যে ধরনের শিল্প পছন্দ করে, যে ধরনের শিল্প ও সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ, সে ধরনের শিল্প তৈরিতে শিল্পী আগ্রহী হন।

    মার্ক্সবাদ মনে করে অর্থনৈতিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে দ্বান্দ্বিক গতিতে সমাজ বিবর্তিত হয়, অর্থনৈতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে শ্রেণী দ্বন্দ্বের মাধ্যমে সভ্যতার বিবর্তন ঘটে। নতুন নতুন উৎপাদনের মাধ্যমে সমাজের মানুষের চেতনাও বিবর্তিত হয়। শিল্পীর চেতনাও উৎপাদন ব্যবস্থা ও বিভিন্ন ধরনের পণ্যের দ্বারা শোভিত, সভ্যতাকে সাহচার্য দ্বারাই এটি নির্ধারিত হয় অতি সুচারুভাবে। Economic Manuscripts এর ভূমিকা অংশে মার্ক্স বলেন, "রেলপথ বিদ্যুৎ বা টেলিগ্রাফের বিকাশের এই দিনে প্রাচীন গ্রিক সাহিত্যের কিছু রচনা এখন আর হয়ে উঠবে না। ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হবার পর আর 'ইলিয়াড' এর মত কোন কিছু রচনা হতে পারে না। বন্দুক আবিষ্কারের পর আর 'একিলিস' এর মত চরিত্র সৃজন শোভনীয় নয়।"

    উপরের কথাগুলোয় মনে হচ্ছে, মার্কসবাদ অনুসারে কেবল অর্থনীতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সামাজিক বাস্তবতায় শিল্পের একমাত্র নিয়ন্ত্রক। কিন্তু মার্কসীয় তত্ত্বে একে একমাত্র নিয়ন্ত্রক হিসেবে অস্বীকার করার কথাও রয়েছে। মার্কসবাদ অর্থনৈতিক অবস্থা নির্ভর সামাজিক বাস্তবতাকে শিল্পের মূল কাঠামো বা skeleton হিসেবে মনে করেছে। এর সাথে সামাজিক সম্পর্ক, সাংস্কৃতিক জীবন, রুচিবোধ ইত্যাদি সংক্রান্ত বাস্তবতাকেও শিল্প সৃজনের ক্ষেত্রে নিয়ামক শক্তি হিসেবে এখানে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। যেমন the German ideology গ্রন্থে, মার্কস বলেছেন, "As regards art, it is well known that some of its peaks by no means correspond to the general developments of society; nor do they, therefore, to the material substructure, The skeleton as it were of its organisation"।

    মার্কস এর এই উক্তি তার পূর্ববর্তী উদ্ধৃতি, যেখানে সামাজিক সত্তাকে মানুষের চেতনার নিয়ন্ত্রক বলা হয়েছে, তার সাথে বিরোধপূর্ণ বলে মনে হতে পারে। কারণ রুচি, সামাজিক সম্পর্ক, সংস্কৃতি - এগুলো তো মানুষের চেতনারই ফসল। আর চেতনা যদি সমাজ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় আর সমাজ যদি অর্থনীতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তাহলে শিল্পও পরোক্ষভাবে অর্থনীতি দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হবে, অর্থনৈতিক কারণই একমাত্র নিয়ামক হয়ে উঠবে। আসলে অর্থনৈতিক কারণকেই মার্কসবাদ মূল ভিত্তি (base) বলে মনে করে। মার্কস তার a contribution to the critique of political economy এর ভূমিকায় বলেন, "the mode of production of material life conditions the social political and intellectual life process in general."

    মার্কসবাদ যেকোনো সামাজিক সম্পর্ক কেউ কোনো না কোনোভাবে অর্থনৈতিক সম্পর্কের আদলে ব্যাখ্যা করতে চায়। তাই সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণের সাথে আলাদা হিসেবে শিল্পের ক্ষেত্রে সামাজিক সম্পর্ক, রুচি, সাংস্কৃতিক জীবন- এগুলোর সমন্বয় করার প্রচেষ্টা মার্কসীয় ভাবনার মূল চেতনার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ বলে মনে হয় না। বিষয়টি আরো স্পষ্ট করার জন্য একই গ্রন্থে মার্কসের এই উক্তিটি লক্ষ্য করা যেতে পারে, "In the social production in their life, men enter into definite relations that are indispensable and independent of their will, relations of production which correspond to a definite stage of development of their material productive forces. The sum total of these relations of production constitutes the economic structure of society, the real foundation, on which rises a legal and political superstructure and to which correspond definite forms of social consciousness." অর্থাৎ, "জীবনের সমাজগত উৎপাদনের প্রক্রিয়ায় মানুষ তাদের ইচ্ছার পরিধির বাইরে এমন কিছু নির্দিষ্ট এবং অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কের গন্ডিতে প্রবেশ করে; এমন কিছু উৎপাদন সম্পর্কের মধ্যে তারা নিপতিত হয় যা তাদের উৎপাদনের বস্তুগত উপায় বিকাশের বিশেষ স্তরের অনুরূপ। এই উৎপাদন সম্পর্কের সমগ্রতাই সমাজের অর্থনৈতিক কাঠামো- যেটা হলো আসল ভিত্তি; আর এই ভিত্তির উপর গড়ে ওঠে আইনগত ও রাজনৈতিক উপরিকাঠামো; এবং এরই অবিকল অনুরূপ হয়ে থাকে সামাজিক চেতনা।"

    আসলে মার্কসবাদে শিল্পকে, রাজনীতিকে যতই উপরিকাঠামো বা superstructure বলা হোক না কেন, এগুলো এর base বা মূল কাঠামো তথা অর্থনৈতিক অবস্থা দাঁড়ায় যে পরোক্ষভাবে হলেও নিয়ন্ত্রিত হয় বলে এই মতবাদ মনে করে, তাতে কোন সন্দেহ নেই। অন্যদিকে শিল্পকে রাজনীতির বাইরে বিবেচনা করা অথবা শিল্পের জন্য শিল্প এমন মত পোষণ করার তীব্র বিরোধিতা করেন মার্কস ও এঙ্গেলস।

    মার্কসবাদ শিল্পীর স্বাধীনতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অথচ বিতর্কিত মতবাদ প্রদান করে। বিশ্বের অধিকাংশ শিল্পতাত্ত্বিক শিল্পীর স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দিয়েছেন। অনেকেই শিল্পীর স্বাধীনতাকে স্বীকার করেছেন এবং শিল্প সৃষ্টিতে এই স্বাধীনতাকে কেউ কেউ আবশ্যক বলেও মনে করছেন। কিন্তু মার্কসবাদে শিল্পীর স্বাধীনতা স্বীকৃত নয়। এই মতবাদ অনুযায়ী পুঁজিবাদী এমনকি সাম্যবাদী উভয় প্রকার সমাজ ব্যবস্থায় শিল্পী পরাধীন থাকেন বলে মনে করা হয়। পুঁজিবাদী সমাজে শিল্পী পুঁজিপতিদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হন এবং সাম্যবাদী সমাজের গণ মানুষের স্বার্থে নিবেদিত হয়ে শিল্পী তার নিজের স্বাধীনতাকে হারিয়ে ফেলেন। মার্কসবাদ দেখায় যে পুঁজিবাদী সমাজে সবকিছুই পুঁজির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। পুঁজিবাদী মানসিকতায় সকলেই ব্যক্তিবাদী। মার্কস-এঙ্গেলস তাদের The Manifesto of Communist Party-তে পুঁজিবাদী সমাজের সব কিছুকে আত্মগততার বরফ জলে নিমজ্জিত (...in the icy water of egoistical calculation) বলে মন্তব্য করেছেন। এ সমাজে সকলেই আত্মস্বার্থ অনুযায়ী হিসাব করে। তাই এই সমাজে কোন শিল্প সমাদৃত হয় মূলত ভোগবাদী মানসিকতা দ্বারা। আত্মস্বার্থের বিবেচনায় মানুষ শিল্প ও সৌন্দর্যকে দেখতে চেষ্টা করে। অন্যদিকে শিল্পের পৃষ্ঠপোষক দল তাদের নিজেদের উন্নতির জন্য, অর্থনৈতিক স্বার্থের জন্য শিল্পীকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেন। পুঁজিবাদী তথা বুর্জোয়া সমাজের লেখকদের উদ্দেশ্য করে একবার লেনিন তার Party Organization and Party Literature গ্রন্থে বলেছিলেন, "বুর্জোয়া লেখকগন! আপনারা যে অবাধ ব্যক্তিস্বাধীনতার কথা বলেন, সেটা ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছুই নয়। যে সমাজ ব্যবস্থায় অর্থই শক্তি, যেখানে অসংখ্য শ্রমজীবী মানুষ দুঃসহ দারিদ্র্যের কষ্টে নিমজ্জিত, অন্যদিকে মুষ্টিমেয় ধনী পরগাছার মত জীবন যাপন করে, সে সময় যে 'সত্য' ও 'স্বাধীনতা' বলে কিছু থাকে না। আপনারা কি আপনাদের বুর্জোয়া প্রশাসকদের নিকট স্বাধীন, যারা আপনাদের কাছ থেকে উপন্যাসের নামে পর্নোগ্রাফি আশা করেন?"

    লেনিন এখানে যা বলতে চান তা হলো: শিল্পীও মানুষ, তিনিও শিল্প চর্চার মধ্য দিয়ে জীবিকার সংগ্রহ করে থাকেন। তাই তাদের অর্থ ও সুবিধা দিয়ে শিল্প নিয়ে ব্যবসা করে এমন বুর্জোয়ারা বা পুঁজিপতিগণ তাদের অনাকাঙ্খিতভাবে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতে পারে। একই গ্রন্থে বুর্জোয়া সমাজের লেখকদের তথাকথিত স্বাধীনতা সম্পর্কে লেলিন বলেন, "[it] is simply masket (or hypocritically masket) dependence on the money-bag, on corruption, on prostitution."

    পুঁজিবাদী সমাজে শিল্পীর স্বাধীনতা নেই বলে মার্কসবাদ নিশ্চিত করে বলে থাকলেও প্রশ্ন ওঠে সাম্যবাদী সমাজ নিয়ে। সাম্যবাদী সমাজে কি শিল্পী স্বাধীন? আমরা জানি মার্কসীয় সাম্যবাদ সর্বহারার একনায়কতন্ত্র বা dictatorship of the proletariat এর ধারণায় বিশ্বাসী। এই একনায়কতন্ত্র একটি নিরঙ্কুশ সর্বাত্মকবাদ। এখানে সর্বহারার শাসক ছাড়া কেউই স্বাধীন নয়। তাই কবি, সাহিত্যিক, ভাস্কর, চিত্রকর, নাট্যকার কোন ধরনের শিল্পী স্বাধীন নয় সাম্যবাদী সমাজ বা রাষ্ট্রে। এমনকি এই ব্যবস্থায় সাংবাদিকতা তথা মিডিয়ারও স্বাধীনতা থাকে না। পুঁজিবাদী সমাজে পুঁজিপতি হয়তো অর্থের মোহে শিল্পীকে প্রভাবিত করতে পারেন কিন্তু সাধারণত কোনো প্রকাশক বা শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী কোন শিল্পীকে কোন কিছু করতে বাধ্য করেন না বা করতে পারে না। কিন্তু সাম্যবাদী রাষ্ট্রের শিল্পীকে বাধ্য করার ব্যবস্থা রয়েছে। এই রাষ্ট্রে শিল্পীকে সর্বহারা শ্রেণীর পক্ষে কাজ করার বা শিল্প কর্ম করার নির্দেশনা দেয়া হয়।

    তবে সাম্যবাদীরা যে শিল্পকে একান্তভাবে তাদের রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার করে থাকেন তা নয়। যদি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সাম্যবাদীদের হাতে থাকে তাহলে তারা তাদের মতাদর্শের বিরোধী শিল্পকে তারা প্রতিহত করে থাকেন। এছাড়া সাধারণভাবে শিল্পক্ষেত্রে মার্কসীয় দৃষ্টিভঙ্গি কেবল এই নয় যে, একান্তভাবে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে পারলেই তা যথার্থ শিল্প হবে। মার্কসবাদীদের মতে যে শিল্পের মধ্যে শৈল্পিক গুণের অভাব, তা যদি রাজনৈতিক দিক থেকে প্রগতিশীল সমাজতান্ত্রিক ভাবধারা পুষ্ট হয় তবুও তাকে যথার্থ শিল্প বলা চলে না। এখন প্রশ্ন হলো শিল্পগুণ বলতে মার্কসবাদে কী বোঝানো হয়েছে? শিল্পমূল্য বলতে কখনো কখনো ভালোলাগার উপাদান, সৌন্দর্য সৃজনের যোগ্যতা, এমনকি কোথাও কোথাও সৌন্দর্যের নিয়মানুসারে কাজ করার কথা বলা হয়েছে।

    মার্কসবাদ শিল্পকে বস্তুনিষ্ঠ হবার কথা বলে। মার্কসবাদে সেই শিল্প উন্নত বাস্তবভিত্তিক। কল্পনা নির্ভর অবাস্তব শিল্পকে মার্কসবাদ যথার্থ শিল্পের মর্যাদা দিতে আগ্রহী নয়, তবে কেবলমাত্র বাস্তবের বর্ণনা তুলে ধরলে শিল্প শিল্পের যথার্থ ভূমিকা পালন করা হয়ে যায় না বলে মার্কসবাদ মনে করে। বাস্তবতাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ বাস্তবতাকে তুলে ধরাও শিল্পীর কাজ হবে বলে মার্কসবাদে মনে করা হয়। সাহিত্য তথা শিল্পের যথার্থ বাস্তবতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে এঙ্গেলস তার ১৮৮০ সালে লেখা এম. হার্কনেসকে পাঠানো একটি চিঠিতে বলেছিলেন, এটা হবে, "... reproduction of typical characters under the circumstances"।

    মার্কসবাদ অনুসারে শিল্পকে জ্ঞানভিত্তিক হতে হবে। আমরা জানি শিল্প অনেকটাই কল্পনা নির্ভর হয়ে থাকে। তবে মার্কসবাদও কল্পনা কে অগ্রাহ্য করে না। একাদশ পার্টি কংগ্রেসে লেলিন বলেছিলেন, "কল্পনা কেবল শিল্প ক্ষেত্রে নয়, বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও জরুরি; তবে এই কল্পনা অবাস্তব বা আজগুবি কল্পনা নয়। কল্পনা হবে জ্ঞানভিত্তিক। এ কল্পনার সাথে জ্ঞানের কোন পার্থক্য থাকবে না।" মার্কসবাদ রোমান্টিকতারও বিরোধী নয়, তবে এক্ষেত্রে সেই রোমান্টিকতাকেই শিল্পে কাম্য বলে মনে করা হয় যা হবে বাস্তবভিত্তিক। এ বিশেষ ধরনের রোমান্টিকতাকে মার্কসবাদে "বিপ্লবী রোমান্টিকতা" বলেও আখ্যায়িত করা হয়েছে।

    মার্কসবাদী শিল্প তত্ত্বের যে বর্ণনা এবং আলোচনা উপরে উল্লেখ করা হলো তার থেকে দুটো দিক স্পষ্ট। একটি হলো এক ধরনের বিজ্ঞানভিত্তিক বর্ণনা উপস্থাপনের প্রচেষ্টা, এবং অন্যটি হলো এক ধরনের আদর্শমূলক মন্তব্য। উল্লিখিত বিজ্ঞানভিত্তিক বর্ণনায় মার্কসবাদ শিল্প কেমন, শিল্পের বাস্তবতা কী, কিভাবে শিল্প সৃষ্টি হয়, ও শিল্পের বিবর্তন ঘটে তা তুলে ধরার চেষ্টা করে। অন্যদিকে আদর্শনিষ্ঠ পর্যালোচনায় শিল্প কেমন হওয়া উচিত, শিল্পের মূল্য কিসের উপর নির্ভর করে, আদর্শ শিল্পের প্রকৃতি বা ধরন কেমন হবে ইত্যাদি বিষয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করা হয়েছে মার্কসবাদে। তবে অনেকেই মনে করেন, এই উভয় চেষ্টাই অনেক ক্ষেত্রেই ভ্রান্তিপূর্ণ। কোনো চূড়ান্ত সত্য বা যথার্থ আদর্শ নয়। তাদের মতে, মার্কসবাদ মূলত রাজনৈতিক অভিপ্রায় থেকে শিল্পকে বিচার করতে গিয়ে এরকম তাত্ত্বিক জটিলতায় নিপতিত হয়েছে। তাদের মতে, যেভাবেই বলা হোক না কেন মার্কসবাদী শিল্পতত্ত্ব বা নন্দনতত্ত্ব মূলত একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-নিয়ন্ত্রিত মতবাদ। স্টুয়ার্ট সিম তার Marxism and aesthetics গ্রন্থে লিখেছেন, "Marxism is the prime example of a politically motivated aesthetic theory and it is a theory which accordingly lays great stress on the didactic role of the arts. Of all aesthetic theories Marxism is the one most explicitly tied to a political programme. Value is probably the area of greatest contention in Marxist aesthetics, but despite the arguments of competing schools on the issue there is general agreement that, at some point, the arts must be considered to be subsidiary to politics."
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১০ জুলাই ২০১৮ | ৩২৬৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • DP | 2345.110.784512.54 (*) | ১৪ জুলাই ২০১৮ ০১:২৪65139
  • লেখাটা পড়ার পর এটা নিয়ে ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। তারপর স্বপ্ন দেখছি একজন সৌমদর্শন শিক্ষক ক্লাসে দাঁড়িয়ে 'মার্ক্সীয় চিন্তার আলোকে শীল্প' বোঝাচ্ছেন, আর সবাই মুগ্ধ হয়ে শুনছে। শিক্ষকের বর্ননায় সবাই মোহিত। এমন সময় পিছনের বেঞ্চ থেকে এক বেয়ারা ছাত্র প্রশ্ন করে বসল- "স্যার পুঁজিবাদী সমাজে শীল্পী ততক্ষণই কারো দ্বারা প্রভাবীত হতে পারে যতক্ষণ সে নিজের সৃষ্টিকে অন্যের সাহায্যে বাজারজাত করতে চায়। কিন্তু ধরুন যদি কেউ নিজেই প্রদর্শীত করে? বা ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে? তখন? ইনস্টাগ্রাম, ফ্লিকার, ইউটিউব এগুলোর মাধ্যমে তো বহু শীল্পী উঠে এসেছেন? সেখানে মার্ক্সবাদ তো শীল্পীকে কার্যত ক্রিতদাসে পরিনত করছে!"
    শিক্ষক বললেন "ইন্টারনেট সম্পর্কে মার্ক্স কিছু বলেন নাই। আর বুর্জোয়া ইন্টারনেটে সবাই বুর্জোয়াদের অধীন। যদি প্রলেতারিয়েতের ইন্টারনেট হয় তখন তারা প্রলেতারিয়েতের অধীন হবে। আর মার্ক্সীয় রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রনে থাকা মানে সর্বোত্তম ব্যবস্থা। যারা মার্ক্স বিরোধী তারাই একে স্বাধীনতা হারানো বলে থাকে। অতএব তুমি তাদের কথায় কান দিওনা।"
    এই উত্তরে সকলে আরও মুগ্ধ হয়ে শিক্ষকের দিকে তাকিয়ে রইল। কিন্তু বেয়ারা ছাত্রটি "ধূর বা*! এ তো সেই আমিই সবজান্তা মার্কা মাল!" বলে অশ্লীল আচরন করে ক্লাস থেকে বেরিয়ে গেল। শিক্ষক বললেন "দেখো, বুর্জোয়া অপসংস্কৃতির প্রভাব! শিক্ষকে বেরিয়ে যাও বলার সময়টুকুও দিল না!"
  • সিকি | 342323.190.8989.207 (*) | ১৪ জুলাই ২০১৮ ০৩:১৩65140
  • সংক্ষেপে বলিতে গেলে, হিং টিং ছট।
  • h | 230123.142.01900.46 (*) | ১৫ জুলাই ২০১৮ ০১:৩০65152
  • মোটামুটি একমত। তবে পোলিটিকাল অপারেটিভ রা এবং সাহিত্যচর্চার কাসাব্লাংকা গণ ( একটু রুড হল, বিরাট মহত আর্টিস্ট দের সম্পর্কে, কিন্তু সময়ে সময়ে এরকম ই মনে হয়েছে) নানা সমস্যা নিজেরাও করেছেন। শুধু এক্সপেরিমেন্ট করতে গিয়েই করেছেন বা বলা যেতে পারে ক্লস্ট্রোফোবিক হিউম্যান কন্ডিশন কে বোঝাতে গিয়ে নানা সমস্যা করেছেন। আমি যেহেতু ডেলিবারেটলি উদাহরণের পক্ষে, কয়েকটা উদাহরণ দি, উইটোল্ড গোম্ব্রো-উইচ, উনি মনেই করতেন না, অ্যাসেকসুয়াল কোন হিউম্যান অ্যাকশন সম্ভব, এটা আমার কাছে অ্যাবসার্ড। ডরিস লেসিং উপন্যাস লিখেছেন, পুরুষ চরিত্র ই নেই, সেই পৃথিবী তে, এই ফেমিনিজম এর কোন অর্থ হয় না। অ্যাআপারথাইডের আমলে কোয়েটজি উপন্যাস লিখছেন, শ্বেতাংগ অধ্যাপক এর একাকিত্ত্ব নিয়ে, যেটা ইতিহাসের সম্পূর্ণ একটা আলাদা সময় কে বেস করেও লেখা যেত, বহুমিল হ্রাবাল, কে ইস্ট ইউরোপিয়ান অথরিটির ক্রিটিক হিসেবে দেখার সময়ে তাঁর অ্যান্টি সেমিটিজম এর জন্য এক লাইন ও থাকবে না, এই আলোচনা পদ্ধতি আসলে পররাষ্ট্র নীতির দ্বারা ইনফর্ম্ড।
    আরালোচক রাও সমস্যা করেন, পুতুল নাচের ইতিকথা ফ্রয়েডিয়, আর উত্তরকালের মানিক মার্ক্সবাদী এবং শুধুই মার্ক্সবাদী এসব বাজে আলোচনা পদ্ধতির কোন মানেই হয় না।
    হ্যাঁ গ্রেট আর্টিস্ট দের নিয়ে আমরা কোথাকার কে, দুটো কথা বললাম তাতে তাঁদের কিসু এসে যায় না, কোন মার্ক্স বাদী তারাশংকরের মত গ্রাম সমাজএর অথেন্টিসিটি করতে পারেন নি, তাই বলে তাঁরা খারাপ লেখক ছিলেন না, শুধু মতাদর্শএর জন্য পারেন নি, তাও নয়, এলেম সকলের সমান হয় না। এই যে শীর্ষেন্দু এত অপছন্দ করি, এক লাইন লিখতে পারবো, যেটা লক্ষ মানুষ পড়বে? আমরা পাকাচো* তাই নানা কথা বলি।

    আরেকটা কথা, স্তালিন এর ডিকটেটরশিপ এর মতাদর্শগত ব্যাখ্যা হয় কিনা আমার সে জায়্গায় সন্দেহ আছে। শস্তাকোভিচ, যিনি সিম্ফনিক মুভমেন্ট এর ধারণা বদলে দিচ্ছেন, এবং ঊনবিংশ শতকের ক্লাসিকাল মিউজিক কে বিংশ শতকের মিউজিক করছেন, তাকে ১৯৩৭ এর পারজের আমলে কাজ করতে দেওয়া টা আর্টিস্টিক অ্যাপ্রিসিয়েশন, না জাস্ট তখনকার আর্বান ইনটেলেকচুয়াল দের একটা অংশ কে হাতে রাখার চেষ্টা কে জানে, কিন্তু শস্তাকোভিচ এর সঙ্গে অন্তত সোশালিস্ট রিয়ালিজম এর সম্পর্ক ক্ষীণ। বিধাতার মত আচরণ করেছেন, একটা গোটা প্রজন্মকে কে ভোর রাতে কড়া নাড়ার ভয়ে নিমজ্জিত করেছেন। ক্ষমা করাই মুশকিল, অথচ, গোর্কি কে ফেরত আনছেন, বুলগাকভ বাঁচিয়ে রাখছেন, তাঁর আমলেই এশিয়ান সোভিয়েতে নানা ট্রান্সলেশন হচ্ছে, যেটা শুধু মুখে ব্যালাডিক গান ছিল। সত্যি ই বিধাতা, কারন পোলিশ জেনেরাল দের অমান্য করে জুকভ কে মার্শাল করছেন, জিনি অর্ধশিক্ষিত বললে কম বলা হয়, আনুগত্য তৈরী তে মন দিচ্ছেন, কিন্তু যুদ্ধ টা জিতে যাচ্ছেন, এবং নিজেকে নিয়ে মুগ্ধ হচ্ছেন। সেই পার্ট টায় চার্চিল এর সঙ্গে মিল পাচ্ছি, ক্যাপিটালিস্ট আমেরিকা রিপাবলিকান রুজভেল্টের নেতৃত্ত্বে প্রোগ্রেসিভ কাজ করছেন, কিন্তু রুজভেল্ট ডেকে ডেকে শস্তাকোভিচ শুনছেন, এরকম কোন এভিডেন্স নেই। ইত্যাদি। ইনি একজন সর্ব অর্থে ডিক্টেটর শুধু নন, সর্ব অর্থে স্বইরাচারি বাঘা ইনটেলেকচুয়াল দের থিয়োরাইজেশনের মুখে তাঁকে টেঁকার জন্য নানা কাজ করতে হয়েছে। অবশ্যই খুন সহ।
  • h | 230123.142.01900.46 (*) | ১৫ জুলাই ২০১৮ ০১:৫৩65153
  • "হোয়ট ইট শুড বি" র তর্ক , উইদাউট দ্য ব্যাকিং অফ স্টেট রিপ্রেশন অনেক মূল্য পেয়েছে, যেটা সব সময়ে ডিজারভিং ছিল কিনা জানি না। কডওয়েল, লুকাচ এর কথা বলেছি। জাঁ ককতো কে কি কেউ স্তালিনিস্ট হিসেবে মনে রেখেছে? কামু কে কি কেউ রেসিস্ট সাম্রাজ্যাবাদের কোলাবরেটর হিসবে মনে রেখেছে, নুট হামসুন কে কি কেউ ফ্যাসিস্ট সিম্প্যাথাইজার হিসেবে মনে রেখেছে? তাঁদের সময়কার আর্টিস্টিক বিতর্কে অমূল্য কন্ট্রিবিউটর হিসেবে মনে রেখেছে। আমার মনে হয় এরা সকলেই ট্র্যাপ্ড ইন টাইম, কমিউস্ট দের বেলায় যেটা হয়েছিল মনে হয়, মোনার্কি বা ক্রিশ্চিয়ান চার্চের বিরাট ক্ষমতা থেকে ক্যাপিটালিজম এর উত্থানের সময়ে ক্ষমতার ভারসাম্যের এমন সব পরিবর্তন দেখছেন, যে নিজেরা সোশাল চেঞ্জ এর বড় প্রোগ্রাম নিয়ে ফেলছেন। জীবনের সব ধরণের এক্সপ্রেশনে নাক গলাতে চাইছেন। ভাবছেন পরের চেঞ্জ আমাদের জীবদ্দশাতে ই আমরা করেই ফেলব। এই করতে গিয়ে ছড়াচ্ছেন। অমাদের লিবেরাল পজিশন অনেকটাই স্টেটাস কুয়ো তে আমরা সুবিধাভোগী বলে, বার্লিন ওয়াল পতন পরবর্তী স্থিতিশীলতার পক্ষে, কিন্তু আমরা কিসুই জানি না, কোথায় কোন ধরণের সাহিত্য মানুষের কথা সত্যি করে বলতে পারবে। আমরা একটু লম্বা করে বোঝার চেষ্টা করতে পারি মাত্র।
  • h | 230123.142.01900.46 (*) | ১৫ জুলাই ২০১৮ ০৪:২৪65141
  • ডিপি যে প্যাঁক দিতে পারলেন এবং সিকি যে প্যাঁক দিলেন না প্যাঁক কে প্যাঁক দিলেন বোঝা গেল না, তার কারণ টা হল, সুমিত উদাহরণ এবং সোর্স জিনিসটা খুব কম ব্যবহার করেছেন। সংস্কৃতি বিশেষতঃ ম্যাস কালচার নিয়ে প্রথম দিকে আর্ন্স্ট ফিশার (necessity of art, শুরু হচ্ছে জাঁ ককতোর একটা উক্তি দিয়ে, Poetry is indispensible if I only knew what for), বা গিওর্গে লুকাচ এর উপন্যাস এর থিয়োরির উপরে কাজ যেগুলো, সেগুলো কিন্তু প্রথম থেকেই চ্যালেঞ্জড হচ্ছে, ফ্র্যাংকফুর্ট স্কুলের কাজ দিয়ে (আদোর্নো,হরকহাইমার,মারকিউজ) , জার্মানি তে এবং যুদ্ধের আগে পালিয়ে আসার পরে আমেরিকায়। বা প্রথাগা শিক্ষার বাইরে থাকা ক্রিস্টোফার কডওয়েল এর কাজ দিয়ে, যিনি স্প্যানিশ সিভিল ওয়ারে অংশগ্রহণ করছেন এবং মারা যাচ্ছেন, এঁরা প্রত্যেকেই গ্রামশি সহ নিজেদের মার্ক্সবাদী আলোচনার পরিসর কে অস্বীকার করছেন না, কিন্তু ক্লিয়ারলি মার্ক্স এর কনসার্ন গুলো আলাদা ছিল , রাশিয়ার সংস্কৃতি তত্ত্বালোচনার ইতিহাসে, গোর্কি, আইজেন্স্টাইন, বাখতিন কো একসিস্ট করছেন, অফ অল পিপল স্তালিন মানডেলস্টাম এর হত্যার পরেও, পাস্তেরনাক, বুলগাকভ এবং শস্তাকোভিচ কে কেন বাঁচিয়ে রাখছেন সেটাও ক্লিয়ার হচ্ছে না, তারা নিজেদের মত কনট্রিবিউট করছেন। যে বুলগাকভ কে মাস্টার এবং মার্গারিটার জন্য, স্তালিন এবং রাষ্ট্র বিরোধিতার দিক চিহ্ন বলে ধরা হচ্ছে, তিনি ই কান্ট্রি ডকটর ডায়রি ইত্যাদি লিখছেন, বা যুদ্ধের সময়ে অসম্ভব পার্টিজান এবং জাতীয়তাবাদী গল্প লিখছেন। (এর একটা আমি ভাষা বন্ধনের জন্য অনুবাদ করে দিয়েছিলাম, অনেক দিন আগে, নাবারুণ বেঁচে থাকতে, সেটা পড়ার দরকার নেই, তবে ডরিস লেসিং এর বুলগাকভ এর সারভাইভাল ইনস্টি'ম্কট নিয়ে হিলারিয়াস প্রবন্ধ আছে, পড়ে দেখতে পারেন। রাশিয়ান আর্কাইভসা বেরোনোর পরে দেখা যাচ্ছে, ৫০স এ কি পরিমান আনডারগ্রাউন্ড গে কালচার ছিল মস্কো তে বা পিটারসবার্গে।

    সুতরাং যেটা বুঝতে হবে, ওয়েস্টার্ন লিবেরাল লেফট পজিশন যেটা (লুইঅ আরাগঁঅ মিলান কুন্দেরা কে প্যারিসে পালিয়ে আসার পরে বই ছাপাতে সাহায্য করছেন), সেটা যদি নাও ধরা হয় , তাহলেও আর্বান সেন্টার গুলো তে , এমন কি নিঃশ্বাস বন্ধ করা অথরিটারিয়ান রুলের মধ্যেও, ব্যক্তিগত এবং গ্রুপ ভিত্তিক বিকল্প চর্চা থাকছে, এবং ডিসিডেন্ট রা, সকলেই প্রখর পার্টি বিরোধি হলেও, শিল্পীর স্বাধিনতার নামে ঠিক ট্র্যাশ লিখছেন না। এবং শিলা ফিটজপ্যাট্রিক দের কাজ থেকে দেখা যাচ্ছে, ১৯০৫ অনওয়ার্ড মস্কো তে বিচিত্র কিশ গোছের লিটারেচার এর একটা বাজার থাকছে, যেটা মহৎ সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি চলছে। সুতরাংঅ সম্স্কৃতির দর্শন শুধুই একটা পরিচিত শিবির দ্বন্দ্বের বিষয় না, যদিও কোন মুর্খই দাবী করবেন না, প্রতি মুহুর্তে মরার ভয় নিয়ে ভিষণ ফুর ফুরে বসন্তের বিকেলের মৃদুমন্দের মত, সংস্কৃতি আলোচনা হচ্ছে। সাংহাই য়ে যেমন কালচারাল রিভোলিউশনের আমলেও, আনডারগ্রাউন্ড কালচার বাড়ছে, এবং সেটা কলোনিয়াল আর্বান কালচারের কন্টিনিউয়েশন হিসেবেই হচ্ছে, সেরকম, ভাবেই ইউরোপে , রাশিয়ায় , আমেরিকায় (ম্যাকার্থি আমলে), দক্ষিন আমেরিকায় (ডিকটেটরশিপ গুলোর সময়ে), দক্ষিন আফ্রিকায় (অ্যাপারথাইডের সময়ে) হচ্ছে। আরবানিটি র নেচার ই হল রেজিস্টান্স এর ধারক হিসেবে কাজ করা, এটা ইন্দোনেশিয়া ইজিপ্ট, টার্কি তে প্রচুর হচ্ছে। সম্প্রতি অফ অল প্লেসেস, তাইঅওয়ানের এক লেসবিয়ান ঔপন্যাসিকের প্রেমের গল্প পরহলাম, ন্যাশনালিস্ট পার্টির দমবন্ধ করা দেশপ্রেমের মধ্যে লেসবিয়ান প্রেম। এন ওয়াই আর বি ক্লাসিস্ক্স বের করেছে।
    তত্ত্বালোচনা কে প্যাঁক রেজিস্টান্ট করতে গেলে রিয়াল উদা লাগবেঃ-))) সোশালিস্ট রিয়েলিজম বনাম আর্ট ফর আর্ট্স সেক শুধু মাত্র এই দ্বন্দ্বে বিংশ শতাম্বির মধ্যভাগের সংস্কৃতি চর্চা সীমাবদ্ধ না।
  • h | 230123.142.01900.46 (*) | ১৫ জুলাই ২০১৮ ০৪:৩৯65142
  • এবং আর দুটো জিনিশ খেয়াল করতে হবে। ভিক্টর সার্জের মেমোয়ার যদি পড়েন, দেখবেন ১৯১৭ র আগে কার বলশেভিক পার্টির মধ্যেকার যে নানা আইডিয়ার প্রতিযোগিতামূলক সহাবস্থানের একটা ইতিহাস আছে, এবং সেটা ঊনাবিংশ শতকের সোশালিস্ট আনার্কিস্ট নিহিলিস্ট ট্র্যাডিশন গুলোর কন্টিনিউয়েশন। আরেকটা কথা বুঝতে হবে, সোলঝেনেত্সিন, আখতামোভা, মান্ডেলস্টাম, গ্রোস ম্যান, ইলিয়া এরেনবুর্গ, আর কাদারে, কুন্দেরা, হ্রাবাল দের অ্যান্টি অথরিটারিয়ানিজম টার ফোকাস আলাদা আলাদা। সকলের কল্পনাই বুর্জোয়া গণতন্ত্র ই শ্রেষ্ঠ সমাধান, ইত্যাদি তে পৌচ্ছে না, কীউ কেউ সমাধান এ কনসেন্ট্রেট করছেন ই না। কেউ কেউ নিজের সময়ে বাঁধা পড়ে যাচ্ছেন। হ্রাবাল যেমন অসাধারণ হিউমরিস্ট হওয়া সত্ত্বেও পূর্ব ইউরোপের ট্র্যাডিশনাল অর্থডক্সি অনুযায়ী অ্যান্তি সেমিটিজম থেকে বেরোতে পারছেন না। তো এই সব নানা দিক আছে। সবটাই ঠিক ১৯৪৫ এর জর্মানি ভাগ থেকে, বার্লিন ওয়াল পতন অব্দি দেওয়ালের এপার ওপারের শিবির বিভাজন না। ফোকাস আলাদা আলাদা, সোলঝেনেত্সিন সবাই কে এম্ব্যারাস করে পুতিন এর মধ্যে মহান রাশিয়া কে দেখতে পাচ্ছেন। পোলিটিকাল তাত্বিক আলোচনায় কালচরাল হিস্টরি না থাকলে বিপদ। মনে রাখবেন, সাংঘাতিক এবং জাস্টিফায়েড ভাবে, সোভিয়েত বিরোধী হওয়া সত্ত্বেও পশ্চিমের ঐতিহাসিক রা ১৯৭৪ থেকেই (১৯৮৯ অব্দি অপেক্ষা না করে), সোভিয়েট স্টাডিজ বিষয়টার নাম বদলে দিয়ে পররাষ্ট্রনীতির নিগড় থেকে বের করে, সোভিয়েত হিস্টরি বলে একটা বিষয় তৈরী করছেন, তাঁদের কাছে এই সত্য প্রতিভাত হচ্ছে, যে ডিকটেটরশিপের মধ্যে সোসাইটি বলে একটা বস্তু থেকে যাচ্ছে, গোটাটাই একসিকিউশন অর্ডারের তালিকা না। এ বিষয়ে শিলা ফিট্জপ্যাট্রিকের লেখা পড়ে দেখতে পারেন। সোভিয়ে প্রসঙ্গে আলোচনা য় আর্কাইভস খোলার পরের আলোচনা গবেষণার ছাপ এখনো না থাকলে মুশকিল।
  • T | 340112.211.0123.194 (*) | ১৫ জুলাই ২০১৮ ০৫:৩০65143


  • :)
  • h | 230123.142.01900.46 (*) | ১৫ জুলাই ২০১৮ ০৫:৩৫65144
  • ট, ডেথ অফ স্তালিন দেখলি?
  • h | 230123.142.01900.46 (*) | ১৫ জুলাই ২০১৮ ০৬:৫৭65145
  • মস্কোতে, ৫০স এর আন্ডারগ্রাউন্ড আরবান কালচার নিয়ে নানা কাজ হয়েছে, উপন্যাস ফর্মে যদি পড়তে চান ওলগা গ্রুশিন এর ড্রিমস অফ মিস্টার সুখানভ পড়তে পারেন, একেবারে অল্পবয়সী ঔপন্যাসিক।
    যেটা বোঝা দরকার অ্যান্টি অথরিটেরিয়ান কালচারের সবটাই ডিসিডেন্ট স্পেক্টাকল হয় নি। আসল প্রতিরোধ আয়রন ওয়ালের ভেতোরে ও ছিল। আর শৈলী বা আঙ্গিক যদি দেখা হয় তাহলে তো বৈচিত্রের পরিধি বাড়বে বই কমবে না
  • :( | 6745.183.891223.199 (*) | ১৫ জুলাই ২০১৮ ০৮:৫৩65146
  • বোধিবাবু এক কিলোমিটর দূরের হামিং বার্ডের ছানা দেখতে পান। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা হাতির দল, হাতির বাচ্চা আর হাতির লাদির পাহাড় দেখতে পান না এইটা ক্ষুব দুক্ষজনক!

    কথাটা হচ্ছে মার্ক্স সাহেব, এংগেলস সাহেব ও বলশেভিক ফ্যাকশন কান্ডারি লেনিন, ফার্স্ট পলিটবুরো, ট্টটস্কি, স্টালিন, ডিস্টালিনাইজেশনের পরে ক্রুশ্চেভ,ব্রেজনেভ, আন্দ্রোপভ, চেরনেনকো এবং পাশাপাশি মাও ও মাওপরবর্তীরা (আফ্টার দ্য থ, আফ্টার হাংগেরি) এরা কী শিল্প কাকে বলে? শৈল্পিক প্রেষণা কীভাবে আসে? শিল্পীর 'কর্তব্য' (?) কী? রাস্ট্রের শিল্পীর কর্মকান্ডের হস্তক্ষেপ করার রাইট আছে কিনা থাকলে কতদূর? সর্বপরি 'সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজম নামের জিনিসটির চাপিয়ে দেবার নায্যতা ও ওর শিল্পমূল্য কী হতে

    অর্থাৎ ডায়েলেক্টিক্সের মশাল আবিস্কারক ও বাহকরা থিওরাইজেশন ও প্র্যাক্টিস কেমন করেছেন?
  • π | 7845.29.894512.13 (*) | ১৫ জুলাই ২০১৮ ০৯:৩১65147
  • দেবাশিস হালদারের পোস্ট।

    ট্রু কলারে যাঁর নাম দেখাচ্চে, দেখে সত্যিই হুব্বা হয়ে গেলাম!

    'অনশনকারী অসুস্থ ডাক্তারি পড়ুয়া আপন সামন্তের বাড়িতে পুলিশ গেল। থ্রেট মারল যে আপনার ছেলে অনশন করছে জানেন? কি হতে পারে জানেন?

    কাকু কাকিমা বললেন জানি, আমার ছেলে ন্যায্য কারণে লড়ছে। প্রয়োজনে আমরাও অনশন করব। তাতে পুলিশ একটা নাম্বার দিয়ে বলে, এই নাম্বারে ফোন করে কথা বলুন, সব জানতে পারবেন।

    তো সেই নাম্বার টা আমরা ট্রু কলার এ দেখলাম এবং হোলি শিট! নাম টা নিজেরাই দেখুন। সক্কলে দেখুন। নোংরামি দেখুন।

    পারলে সব্বাই যাচাই করুন। কতটা নোংরামি চলছে সেটা দেখুন।

    #MCKisFighting
    #ShameOnAuthority
  • π | 7845.29.894512.13 (*) | ১৫ জুলাই ২০১৮ ০৯:৩৩65148
  • সরি। ভুল জায়গায় পোস্ট।
  • h :-(( | 230123.142.01900.46 (*) | ১৫ জুলাই ২০১৮ ১১:৫৮65149
  • গোমড়ামুখো বাবু যেটা ডেলিবারেটলি এড়িয়ে যাচ্ছেন, সোভিয়েত স্টেটের ক্রিমিনালিটি, বিষেশতঃ শিল্প চর্চায় সোশালিস্ট রিয়ালিজম এর চোখ রাঙানি, অস্বীকর করার কোন জায়্গাই আমার অন্তত নেই। মনেই করি না, প্রগতি প্রকাশনি র বুক লিস্ট বা ডিসিডেন্ট লিটারেচার বুকলিস্ট (স্টেট ক্রাইম এর কথা বলা হচ্ছে না) কোনোটাই রাশিয়ান ইনটেলেকচুয়াল ট্র্যাডিশনের পূর্নাংগ পরিচয় পাওয়া সম্ভব। আমি শুধু এটাই বলছি , সোভিয়েত ইউনিয়নে র সমস্ত সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চাকেই শিবির বিভাজন দিয়ে দেখা মুশকিল। একটু এগিয়ে বলছি, রাশিয়ান রোমান্টিক ন্যাশনালিজম এর ট্র্যাডিশন কে ব অর্লি অ্যান্টি জারিস্ট পজিশন কে , স্তালিন রা যত সহজে কো অপ্ট করছেন, (পাস্তেরনাক কে প্রায় গৃহবন্দী রাখলেও, মেরে ফেলা হচ্ছে না), নতুন আর্বান ইন্টালেকচুয়াল দের কে স্টেট বেশি ভয় পাচ্ছে, ইন ফ্যাক্ট অসিপ মান্ডেলস্টাম হত্যার পরে স্তালিন নাকি বার বার খোঁজ নিতেন এর প্রভাব আর্বান ইন্টেলেকচুয়াল দের মধ্যে কিরকম। বুলগাকভ যে কারণে বেঁচে থাকছেন, মান্ডেলস্টাম হয়তো বেশি থ্রেট হিসেবে সেই কারণেই মারা যাচ্ছেন। আর শিল্পের আঙ্গিক এর প্রয়োজন, তার রাজনৈতিক ব্যবহার, ও পোলিটিকাল এক্সিজেন্সি অনুযায়ী বদলাচ্ছে। যেমন এশিয়ান সোভিয়েত রিপাবলিকে নানা ধরণের অনুবাদ ট্রান্সলেশন হচ্ছে, তাতে স্থানীয় জাতীয়তাবাদ কে প্রশ্রয় না দেওয়া হলেও, লুকোনো মুশকিল হচ্ছে। এবং এটা র সঙ্গে মার্কস এর আর্ট সম্পর্কে পজিশন এর সম্পর্ক খুব ই দুর্বল। এটা ক্রিমিনাল স্টেট এর ব্যাপার। মার্ক্স বা এঙ্গেল্স হিউম্যান ইনটেলেকচুয়াল এন্ডিভর কে দার্শনিক ইনকোয়ারির অ্যাঙ্গল থেকে দেখে কিছুটা থিয়োরাইজ করছেন, কিন্তু কালচার অ্যাজ অ্যান ইনডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন, এই জিনিসের ধারণা অনেক পরে আসছে, তাঁদের এক্সপেরিয়েন্সে এ জিনিস ছিল ই না।
    আর ফাইনালি, রিয়েলিজম এর নিগড় থেকে বেরোতে অন্তত মহৎ সাহিত্য কে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে, শুধু সোশালিজম কে তাড়িয়ে বা নিন্দে করে সুবিধা হয় নি।

    পুরোনো বিতর্কের সমস্যা হল, উত্তর ও তো জানা শুধু না, লোকের মেরিট অফ আর্গুমেন্ট না দেখে, লোকের নিক দেখে একটা কিছু বলে দিয়ে লোকে ফুর্তি পান। সুমিত রায় এর প্রবন্ধের যেটা সম্ভাব্য দুর্বলতা সেটাই উল্লেখ করেছিলাম, উদাহরণ এবং সোর্স ব্যবহার করেন নি বেশি। দর্শন্চর্চা সম্পর্কে , মানব সমাজে আর্ট ক করে এলো গোছের থিয়্রাইজেশন থেকে, ক্ষমতার দম্ভের জাস্টিফিকেশন তৈরী করেছিল সোভিয়েত স্টেট, এত কাজের পরেও, এক ই কাজ যদি সমালোচক ওকরেন কিসু বলার থাকে না। তাই আমার পোস্টে সেটাই সাপ্লাই করা হয়েছে। সৃষ্টি প্রসঙ্গের থিয়োরাইজেশন কালচারাল হিস্টরির উদাহরণ ছাড়া সম্ভব না। ক্রিস্টোফার কডওয়েল যাদের মনে আছে, তাতে সুকান্ত বা কাসাব্লাংকা সুলভ মরাল হাই পজিশন কিছু কম নেই, লুকাচ এর লেখা পড়লে মনে হবে সেটা ঐতিহাসিক উপন্যাস সম্পর্কে আপারাতচিক দের মিটিং এর রিজোলিউশন। কিন্তু এঁরা স্টেট ক্রিমিনালিটির অংশ ছিলেন না বলে ইন্ডিপেন্ডেন্ট থিংকার হিসেবে সম্মান পেয়েছেন।

    এই জন্যেই টই তে আর তর্ক করতে ভালো লাগে না, মেরিট অফ দ্য আর্গুমেন্ট দেখার অভ্যেস, আর্গুমেন্ট দেওয়ার অভ্যেস সব ই মৃতপ্রায়, নিক দেখে ব্যান্টার চলছে। আস্তে আস্তে ডিকটেটরশিপ অফ দ্য গোমড়ামুখো হবার চান্স, সকলের ই এই নিক গ্রহণ করা উচিত।
  • h | 230123.142.01900.46 (*) | ১৫ জুলাই ২০১৮ ১২:০৬65150
  • *কালচার অ্যাজ ইনডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন, অথবা ইউজ অফ ক্লাসিসিটি অর কন্টেম্পোরারিটি ইন লিটেরেচার অ্যাজ আ ক্লেইম ফর পোলিটিকাল লেজিটেমিসি এটা বিংশ শতাব্দীর স্টেট প্রোজেক্ট।
  • :( | 568912.107.45900.233 (*) | ১৫ জুলাই ২০১৮ ১২:৩১65151
  • সরি ফর দ্য প্রিভিয়াস আউটবার্স্ট

    ইনডিভিজুয়ালের পার্সোন্যাল স্পেস আছে এবং সেটা স্যাক্রেড, এবং আর্টিস্টিক জেনেসিসে এই পার্সোন্যাল স্পেসএর একটা বিরাট অবদান আছে।

    এবং এই ক্রিয়েশন প্রসেসকে ডাইলেক্টিক্স, ইকনোমিক্স, বা সাইকোল্যাজিক্যাল কোনো অ। এনকমপ্যাসিং থিওরি দিয়ে ব্যাখ্যা করা অণুচিত । সে যতোই সাইন্টেফিং তকমা লাগাই না কেন। এবং এইজন্যই আর্ট সম্বন্ধে 'হোয়াট ইট ইজ' এই ব্যাখ্যা ও 'হোয়াট ইট শুড বি' এই প্রেস্ক্রিপশন, প্রথম ভুল ও দ্বিতীয়টা আউটরাইট ক্রিমিনালিটি মনে হয়

    এবং এটা আমার মনে হয় লেনিন যদি লুনাচার্সকি প্রোলেকাল্টদের এরকম হতচ্ছেদ্দা না করতেন, তাহলে শুরুতে বাজে উদাহরণগুলো কম হতো। যেগুলো স্টালিন ঢাল হিসেবে দেখিয়েছেন ।
  • কল্লোল | 342323.191.1223.201 (*) | ১৬ জুলাই ২০১৮ ০৩:০৫65154
  • হনু। টইটাকে পাঠযোগ্য করার জন্য, ধন্যবাদ। লেখ, আরো লেখ। ক্ষমতার উল্টোবাগে যে শিল্প ফোটে তা প্রায়শই অন্তসলিল। মজা হলো সোভিয়েতে ক্ষমতা মার্ক্সবাদী, তার উল্টোদিকেও অনেক সময় মার্ক্সবাদী। ফলে কোনটাকে
  • কল্লোল | 342323.191.1223.201 (*) | ১৬ জুলাই ২০১৮ ০৩:০৬65155
  • মার্ক্সবাদী শিল্প বলবো টসি নিয়ে বুজভূমবুল অবস্থা।
  • DP | 2345.110.784512.54 (*) | ১৬ জুলাই ২০১৮ ০৭:২৬65156
  • h এর বক্তব্যটি কী? আমার হিউমার নিয়ে, নাকি আমার মত নিয়ে? মার্ক্সীয়ান বা অন্য যে কোন অথরিটারিয়ান রেজিমেও আন্ডারগ্রাউন্ড সাহিত্য চলে ঠিকই, কিন্তু রাষ্ট্র সেটাকে সাপ্রেস করতে চায়। আমার আপত্তি এখানে। শীল্পের উদ্দেশ্য রাষ্ট্র ঠিক করে দিতে পারেনা, বা তা কেমন হওয়া উচিত সেটাও রাষ্ট্র ঠিক করে দিতে পারেনা। কেন শীল্পীর সৃষ্টি সাবস্ট্যান্ডার্ড বা ট্র্যাশ কিনা সেটাও ভীষণই আপেক্ষিক। আমি আমাজনে দেখেছি লোকজন মেটামরফোসিসকে বোরিং, আজগুবি ইত্যাদী বলছে, অ্যানিম্যাল ফার্মকে বাচ্চাদের গল্প বলছে! বিষয় হল একজন ইন্ডিভিজুয়ালের ট্র্যাশ সৃষ্টির স্বাধীনতা আছে, আনার একজন ইন্ডিভিজুয়াল হিসেবে পাঠকের তাকে রিজেক্ট করারও স্বাধীনতা আছে। আর সর্বেপরি ইন্ডিভিজুয়ালের স্বাধীনতা সর্বাধীক হলে তবেই উৎকর্ষের সৃষ্টি হয়। কোনও অথরিটারিয়ান রেজিমে কী মেনস্ট্রিমে একটাও পিস অব এক্সেলেন্স তৈরী হয়েছে?
  • h | 340123.99.121223.133 (*) | ১৭ জুলাই ২০১৮ ০১:৩৬65160
  • একটা পয়েন বলা যেতেই পারে, যেখানে কমিউনিস্ট রেজিম আসে নি, সেখানে, এই শিল্পের এজেন্সীর বিতর্ক (ট্রানজিশন না একেবারে তেড়ে ফুড়ে বিতর্ক) এসেছে কিনা, আমাদের দেশেই তো এসেছে। পরিচয় পত্রিকার বিতর্ক। ট্রানজিশন প্রেমেন্দ্র মিত্র , অচিন্ত্য সেনগুপ্ত দের হাত ধরে তো হচ্ছিল ই , কিন্তু প্রপার বিতর্ক হচ্ছে, মাণিক বাবু পার্টিসিপেট করছেন তো পরিচয় এ।
    একটা কথা বোঝা দরকার, আর্বান বা গ্রামীন সাধারণ মানুষের রিয়ালিটির শুধু প্রতিনিধিত্ত্বমূলক আসা না, একেবারে তাদের বিষয় টাই মূল বিষয় হয়ে উঠবে এটা অনেকেই বলছিলেন, কিন্তু শিল্পী রাজনৈতিক মতাদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে, শুধু এরকম ই লিখবেন, নইলে ৪৬ নং ধর্মতলা স্ট্রীটে তিনি জায়গা পাবেন কিনা বলা যাচ্ছে না, এই উত্তেজনা পূর্ণ শিবির দ্বন্দ্ব এই সব বিতর্ক কেন্দ্র করেই হচ্ছে, ১৯৭১ এ নতুন বিভাজন শুরু হচ্ছে, লিবারেশন ওয়ার এর বাংআলি জাতীয়তবাদী অবস্থান এর সঙ্গে, দেশের রাষ্ট্রের ক্রিটিকের ট্র্যাডিশন এর একটা অবস্থানগত সংঘর্ষ আসছে। একে ধরেই আস্তে আস্তে সামাজিক/সাধারণ বনাম রাজনৈতিক/দূরগত/বেশি নিরীক্ষামূলক/তত সাধারণ না ইত্যাদির একটা বিভাজন আসছে, অন্তত কথা সাহিত্যের শৈলী তে। এবং আশ্চর্য্যের বিষয় হল, আঙ্গিকের নিরীক্ষা/ভাষার নিরীক্ষা/জেন্ডার ভয়েসের নিরীক্ষা সারা পৃথিবীর উলটো দিকে হেঁটে, আমাদের বাংলায়, শিবিরের প্রশ্নে, রাজনৈতিক মতাদর্শ দ্বারা অনুপ্রাণিত সামাজিক দায়বদ্ধতা ভিত্তিক কাজের সঙ্গে একাত্ম হতে পারছে না। এসব কথা আমার নানা মহান পোবোন্ধে, যেগুলো আমার বেড়াল ছানা ছাড়া কেউ পড়ে নি, তাতে আছে, তারা এসব পড়ে হুলো হয়েছে, আপনারাও হবেন ঃ-)))))
    এবং এইটা পস্চিমের রিয়ালিজম/সোশালিস্ট রিয়ালিজম/পোলিল্টিকাল ফিকশন ইত্যাদি বনাম মহত শিল্প ইত্যাদির বিতর্কের তুলনায় আমাদের এখানকার বিতর্ক টা অন্য রকম।
    বয়স হয়েছে বলে এক ই কথা কানে ময়লা না জমা অব্দি বার বার বলি, মাইন্ড করবেন না।
  • | 342323.191.3423.234 (*) | ১৭ জুলাই ২০১৮ ০৪:৫৫65161
  • h | 340123.99.121223.133 (*) | ১৭ জুলাই ২০১৮ ১১:০৫65157
  • ডিপি (17 July 2018 00:56:46 IST 2345.110.784512.54 (*) র পোস্ট নিয়ে আমার বক্তব্য যা সন্দেহ করা গেছে ঠিক তাই ঃ-))))

    - হিউমর টা অসাধারণ। মানে সত্যি। খুব ই ভালো লেগেছে।
    - মূল বক্তব্য সুমিতের প্রবন্ধটা নিয়ে, আমার ওনার লেখা পূর্ণাংগ প্রবন্ধ ভালো ই লাগে, এই এখানেই যা পড়েছি, তবে এই লেখাটা তে কোন উদা/সোর্স কিসু না থাকায়, বিংশ শতকের মাঝের দশক গুলোয়, ধরা যাক ১৯১৭-১৯৪৫, এবং ১৯৪৫-১৯৮৯ এই সময়টায়, রাশিয়া সহ, পূর্ব ইউরোপে সাহিত্য চর্চায়, সোশালিস্ট রিয়ালিজম বনাম রেস্ট অফ দ্য ওয়ার্ল্ড গোছের একটা মারামারি হচ্ছে। দমবন্ধ কর পরিস্থিতিতে আনফরচুনেটলি সেটা হচ্ছে না। আমি যুদ্ধের আগের(শস্তাকোভিচ/পাসতেরনাক)/যুদ্ধের সময়কার অল্প পরে (বুলগাকভ) উদা দিয়েছি। যুদ্ধের অনেক টা পরের উদাও দিতে পারি প্রয়জনে। ভাসিলি গ্রোসম্যান, এঁর নাজি কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প সম্পর্কিত রিপোর্ট, ইলিয়া এহ্রেনবুর্গের সঙ্গে লেখা ব্ল্যাকবুক ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালে ব্যবহৃত হচ্ছে, এর লেখা সম্পূর্ণ সোশালিস্ট রিয়েলিজম এর আঙ্গিকে বাঁধা। এবং ইনি সোভিয়ে দেশপ্রেমী, ইহুদী ইনটেলেকচুয়াল, কিন্তু রাষ্ট্রের ইনটারনাল পলিসির তীব্র বিরোধী। পার্সোনালিটি হিসেবে দেখলে স্তালিন এবং ট্রটস্কি বিরোধী। লাইফ অ্যান্ড ফেট , এভর্থিং ফ্লোজ পড়ে দেখতে পারেন। অতএব, ক্লিয়ার করেই বলছি, সোশালিস্ট রিয়ালিজম মানেই, আপারতচিক শিল্প , রাষ্ট্রের প্যারাসাইট হেঁহেঁ বাদী শিলপ, তা না।
    এরেনবুর্গ আরেকটু বেশি কলপনা র ব্যবহার করেছেন। ওয়েস্টে বা সো কল্ড তৃতীয় বিশ্বে, রিয়ালিজম এর নিগড় থেকে বেরোনো কম কঠিন ছিল না। সুমিত শুনলে খুশি হবেন, এই একই ধরণের তাড়াহুড়ো করেছিলেন, জোর্জ স্টাইনার, লাইফ অ্যান্ড ফেটের ভূমিকা লেখার সময়ে, সম্ভবত ম্যানাসক্রিপ্ট হাতে আসার পরে পরেই ছাপার তাড়ায় বা বার্লিন ওয়াল পতনের খুশি তে। সোশালিস্ট রিয়েলিজম কে ডিকটেটরের আঙ্গিক ধরে নিন্দে করে গ্রোসম্যান কে উচ্ছসিত হওয়া প্রায়, চর্বি কে খারাপ বলে আমাকে ভালো সিন্ধুঘোটক বলার মত বিচিত্র ;-)

    আবার কয়েকটা উদাহরণ দি। জে জি বালার্ড দের মত কালজয়ী সায়েন্স ফিকশন রাইটার রা না এলে (ইনি এম্পায়ার/টোরি পন্থী, রাজনৈতিক ভাবে আমার প্রিয় নন) ব্রিটিশ ফিকশনে রিয়ালিজম কাটতো কিনা বলা মুশকিল। কবিতা যেখানে ডিলান থমাস পাচ্ছে, সেখানে গদ্যের তিরিশ থেকে ৬০ এর দশকের মধ্যে, দার্শনিক ফিকশন , লাইট রিডিং, নইলে পপুলার থ্রিলার এসব চলছে।
    আমাদের দেশে ইংরেজিতে মুলকা রাজ আনন্দ থেকে একেবারে রোহিনতন মিস্ট্রি পর্যন্ত টানা কড়া রিয়েলিজম এ ভরতী। দেশীয় ভাষায় তাও এটা ওটা হচ্ছে (ইউ আর অনন্থমুর্থি/মনোজ দাস)। ও বি ভিজয়ন (খসক টেল্স) আর রাশদি উজ্জ্বলের থেকেও উজ্জ্বল ব্যতিক্রম।
    রোহিন মিস্ত্রী প্রায় ডিকেনসিয়ান রিয়ালিস্ট, কিন্তু ফাইন ব্যালান্স এর মত ভালো ইমারজেন্সীর বা রাষ্ট্রের ক্রিটিক কোন ভাষাতেই হয়েছে কিনা সন্দেহ আমাদের দেশে।

    আরব লিটারেচার, শুধু নাগিব মেহফোজ এর মত রিয়ালিস্ট কিসু লিখবো না, বলে একদল লেখক তৈরী হচ্ছে , তায়েব সালিহ (সিজন অফ ইমিগ্রেশন টু নর্থ , একটা আফ্রিকান লোকের সেকসুয়াল এক্সপ্লয়েটস), এলিয়াস খৌরী (গেট অফ দ্য সান, পুরোটাই একজন কোমাটোজ বিপ্লবীর সঙ্গে এক মেল নার্স এর বিলাপ), আলা আল আসওয়ানি (ইয়াকুবিয়ান বিল্ডিং, কমেডি জিনিয়াস একটা বিল্ডিং এর বিচিত্র সব প্রতিবেশী র অনসম্বল)

    এই আসপেকট গুলো সুমিতের প্রবন্ধে আসে নি, যেটা ওনার প্রবন্ধে নর্মালি আশা করা যায়। পরে দেখলাম, পরে রেফার করার জন্য নোট মাত্র এটা, পূর্ণাংগ প্রবন্ধ না, এগুলো এলে , একেবারে উদাহীন থিয়োরী হওয়ায়, নতুন নিক 'এঃ কচকচি' বলে নিন্দে পেলেন না বটে, তবে প্যাঁক খেলেন, এসব উদা এলে, আপনার খাটনি একটু বাড়তো আর কিসু না।
    এমনি বক্তব্য তো ওভারল ঠিক ই কাকস্য পরিবেদনা ইত্যাদি ঃ-)
  • h | 340123.99.121223.133 (*) | ১৭ জুলাই ২০১৮ ১১:১৮65158
  • *গ্রোসম্যান কে নিয়ে
    * *একটাও পিস অফ এক্সেলেন্স ......- গ্যাছে, প্রচুর উদা আছে, একটাই দি। বহুমিল হ্রাবাল ক্লোজলি ওয়াচ্ড ট্রেন এ চেক রেজিসটান্সের কথা লিখে চেকোস্লোভাকিয়া র জাতীয় পুরস্কার ও পেয়েগেছিলেন সম্ভবত, তার পরেই লোকে ওনার আসল আনডারগ্রাউন্ড প্রকাশ গুলোর কথা জানতে পেরে যায়, তার পরে উনি ও আরো অ্যাসারবিক হয়ে ওঠেন, পাবলিশ করতে ব্যর্থ হন, ম্যানাসক্রিপট বাজেয়াপ্ত হয়েছিল কিছু স্মাগল করা গেছিল। অথচ দুটো পর্যায়েই দুর্দান্ত লেখক, প্রববলি, যারোস্লাভ হাসেকের একমাত্র যোগ্য উত্তরসূরী, এবং কুন্দেরার মত অকারণ কায়দা ও নেই। এগুলো খেয়াল করে দেখতে পারেন।
    একটা শৈলীর সঙ্গে একটা রেজিমের এর সম্পর্ক একটা হিস্টরিকাল কো ইনসিডেন্স, শৈলী নিজে ক্রিমিনাল না, এবং তার সঙ্গে স্টেট পলিসির সঙ্গে সম্পর্ক কম। জোর্জ অরওয়েল এর একটা মেমোয়ার আছে, ১৯৩৬ এর সিভিল ওয়ারের সময়কার বারসিলোনা, সেখানে কমিউনিস্ট, ওয়ার্কার্স কালচার, আনার্কিস্ট দের এত দাপট অ্যাপারেন্টলি, মহিলারা দামী কোট লুকিয়ে রাখতেন, পুরুষেরা ওয়ার্কার্স ওভারল পরে ঘুরে বেড়াতেন, অরওয়েল এর খুব স্বাভাবিক ভাবেই এটা কে মেকি পনা মনে হয়েছিল। কিন্তু দুটো ইসু, এই সিটি বেসড ন্যাশনালিজম এর সমর্থক লোরকা খুন হয়েছিলেন, হুয়ান মিরো সারা শহর জুড়ে মুরাল করেছিলেন, কাউকেই ঠিক রাশিয়ান সোভিয়ে প্রভাবিত সোশালিস্ট রিয়ালিস্ট বলা যাচ্ছে না, অথব কডওয়েল এক ই সময়ের বাচ্চা ইনটারন্যাশনাল ব্রিগেডের ভলান্টিয়ার, তিনি বেশ রক্ষনশীল ভূমিকা নিচ্ছেন, তত্ত্বালোচনায়, অথচ কমপ্লিট অটো ডাইডাক্ট, আকাদেমিয়ার প্রোডাক্ট না। এই আমলেই নিজেকে তৈরী করছেন ইপি থমসন, ম্যাসিডোনিয়ায় রেজিস্টান্স ও লড়েছেন, যিনি সংস্কৃতির থিয়োরাইজেশন করছেন, মার্কস বাদ কে এনরিচ করছেন, লেজেন্ডারি কাজ আছে। র‌্যাডিকাল থিয়োরি সিরিজ পড়তে পারেন।
    আমার বক্ত ছিল , থিয়োরাইজ তো অবশ্যই করবেন, আপনি, আমি সুমিত সকলেই করব, কিন্তু ফিল্ড কম্প্লেকসিটি একেবারে কমিয়ে নিলে থিয়োরি হবে, কিসের থিয়োরি হবে সেটা কারো খ্যাল থাকবে না।
  • h | 340123.99.121223.133 (*) | ১৭ জুলাই ২০১৮ ১১:৫৫65159
  • অবশ্যই কোন ভাবে রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রন মানা যায় না। নানা উদা দিতে গিয়ে আবার একটা থিয়োরাইজ করতে ভুলে গেছি ঃ-))

    টলস্টয় প্রিন্স কাউন্ট বা মার্শাল কসাক দের নিয়ে লিখছেন, কিন্তু দস্তয়েভস্কি, তুগেনেভ, চেকভ সেটার থেকে সরে আসছেন, সম্পূর্ণ ভিন্ন ভাবে হলেও।

    এটা পোলিটিকাল সিস্টেমের ইভোলিউশনের সঙ্গে জড়িত। চেকভ যে মধ্যবিত্ত কনসার্ন গুলো নিয়ে মিষ্টি গল্প গুলো লিখছেন, সেগুলো জনপ্রিয়তায় তো ফাটিয়ে দিচ্ছে, সোশালিস্ট রিয়ালিজম এর (প্রগতি প্রকাশনার লিস্ট অনুযায়ী) আমরা প্রথম পড়ছি গোর্কি। এটা সাহিত্যের ডেমোক্রাটাইজেশনের প্রসেস। মলিয়ের বোদলেয়ার ম্বা বালজাক কি হুগো তো হোমার পড়েছেন, লিখছেন, তো সমসাময়িক সাধারণ মানুষ দের নিয়ে, তার মধ্যে ভালো ফ্যামিলির ইনটেলেকচুয়াল রাও আছেন, কিন্তু দেশ বাঁচানো কাল বাঁচানো তো তাদের চরিত্র দের কনসার্ন না। অতএব একটি গিয়ে এও বলা যেতে পারে, বলশেভিক রিভোলিউশন না হলেও, হয়তো শিল্পের এজেন্সীর এই পরিবর্তন কনজামপশন প্যাটার্ন সহ বদলাতো , এভরিথিং এল্সে রিমেনিং সেমঃ-)
  • Sumit Roy | 340112.244.3412.59 (*) | ২১ জুলাই ২০১৮ ০৬:২৯65162
  • h, ব্যস্ততার জন্য এখানে এর মধ্যে আসতে পারিনি। ব্যস্ততা অবশ্য এখনও যায় নি। আপনার কিছু কমেন্ট পড়েছি, যেগুলো আমাকে সমৃদ্ধই করেছে। আপনি এখানে একটা কথা বলেছেন, "স্তালিন এর ডিকটেটরশিপ এর মতাদর্শগত ব্যাখ্যা হয় কিনা আমার সে জায়্গায় সন্দেহ আছে।" হ্যাঁ মতাদর্শগত ব্যাখ্যা হয়না ভেবেই আমি স্ট্যালিন সহ সোভিয়েত ইতিহাস নিয়ে আমি এখানে লিখতে চাইনি। তবে আপনি যখন শুরু করছেন তখন চেষ্টা করব কিছু বলতে, কিন্তু এই ব্যাস্ততার মধ্যে সেদিকে যেতেও আমার সময় লাগবে। অন্যেরা যারা মন্তব্য করেছেন, তাদেরকেও অনেক ধন্যবাদ।
  • h | 232312.160.3456.157 (*) | ২১ জুলাই ২০১৮ ০৬:৩৬65163
  • মন্তব্য গুলি লক্ষ্য করার জন্য ধন্যবাদ। আপনার একটা নোট বাঁচিয়ে রাখার টই তে আমি অনেক পাকা পাকা কথা বলে ফেলেছি মাপ কারবেন। মোদ্দা বক্তব্য হল, আমরা আপনার কাছ থেকে সাধারণত পূর্ণাংগ প্রবন্ধ পেতে অভ্যস্ত, আপনি এই বিষয়েও সেই কাজটি করে ফেলুনঃ-)) পরম করুণাময় আশীর্বাদ করবেন, এবং শ্রীমতি পাই এবং পাঠক বর্গ কৃতজ্ঞ থাকবেন।
  • তালিব বাশার নয়ন (লেখক ছদ্ম নাম | 340112.80.1278.202 (*) | ২১ আগস্ট ২০১৮ ০৫:৫৯65164
  • প্রিয় সুমিত রায়
    ”মার্কসীয় চোখে শিল্প” নিবন্ধটি আপনার নোট তা জানিয়েছেন। আমি মনে করি অসম্পন্ন লেখা পোস্ট করা হলে পাঠক বিভ্রান্ত হয়। অসমাপ্ত লেখায় সার কথা হারিয়ে যায় - বোধের করতলে ধরা যায় না। লেখাটি নিয়ে বহু গুণিজন মন্তব্য করেছেন - বহুভাবে পাঠ প্রতিক্রিয়াও প্রতিফলিত হয়েছে। আপনার লেখাটি পুনলেখন প্রয়োজন কালের আয়নায় ধরে এবং মার্ক্স এর পাঠাভ্যাসটিও মাথায় নিয়েই পুনলেখন জরুরি।তত্ত্ব নির্মানে মার্ক্স বালজাক পাঠকে উপেক্ষা করতে পারেন নি। আমাদের বন্ধু মুন্সি প্রেমচন্দ ‘সাহিত্যের উদ্দেশ্য’ বিষয়ে যে নিবন্ধটি পাঠ করেছিলেন তা এখনো সমকালীন বলে বিবেচ্য হতে পারে। আপনার মত বিদগ্ধজনকে আমরা শিল্পীরা দেখতে চাই একই সঙ্গে মুক্তবোদ্ধা ও সংবেদনশীল এক মানুস হিসেবে। এস এম সুলতান (লাল ভাই) তাঁর লক্ষ্য কী তা জানতেন এবং আমৃত্যু অবিচল ছিরেন; পিকাশো জানতেন না বোধ করি শিল্প চর্চার লক্ষ্য কী - তবু সেই তিনিই কালের ধ্বনিকে উপেক্ষা করতে পারেন নি বলেই সংবেদশীল শিল্পী ’গেয়ের্নিকা’ এঁকে যুদ্ধবাজদের মুখে থুতু ছিটিয়ে দিয়েছিলেন, সন্ত্রস্ত করেছিলেন। আসলে সংকটকালে প্রকৃত অর্থেই সংবেদশীল প্রতিভা কোন জুজুর ভয়কে তোয়াক্কা করে না।
    আপনার শুভকানায় নয়ন তালুকদার
    বাংলাদেশ
  • বকুল | 236712.158.786712.149 (*) | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৭:৪০65165
  • ড. মো. শওকত হোসেনের নন্দনতত্ত্ব নামক বইয়ে মার্কসীয় শিল্পতত্ত্ব শিরোনামে হুবহু এই লেখাটাই দেখছি। বইটার প্রথম প্রকাশ ২০১৭ তে।এই লেখাটা ১৮ সালের।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে প্রতিক্রিয়া দিন