এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • নেট নিউট্রালিটিঃ পক্ষে ও বিপক্ষে

    Arpan
    অন্যান্য | ২৩ এপ্রিল ২০১৫ | ৪৮৮৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Sayantani | 126.202.192.156 | ২৪ এপ্রিল ২০১৫ ২০:৫৩673950
  • টিচার ও রিসার্চার হিসেবে আমি খুবই আশংকিত যে নেট নিউত্রালিতী না থাকলে আমার পিডিএফ ডাউনলোড করা, jstor জাতীয় সাইট চেক করা কিভাবে এফেক্তেদ হবে! মানে ঐগুলো র প্রতিটার জন্য আলাদা চার্জ দিতে হলে, এদেশে অন্তত খুবই সমস্যা হবে পড়াশুনো! যা শুনলাম এই নতুন সিস্টেম চালু হলে, পরবর্তীকালে সেটা কম্পিউটার এর ক্ষেত্রেও চালু হবার সম্ভাবনা প্রবল!
  • cm | 127.247.114.217 | ২৪ এপ্রিল ২০১৫ ২১:০৬673951
  • ব্যবসায়ীরা এদ্দিনে অক্সিজেনের দখল নেয়নি দেখে আমিতো অবাক!
  • cm | 127.247.114.217 | ২৪ এপ্রিল ২০১৫ ২১:০৮673952
  • jstor চেক করা লো প্রায়রিটি দুদিনে একটি পেপার ডাউনলোড হবে হয়ত। ফেসবুকে ভাট অত্যন্ত হাই প্রায়োরিটি ঝড়ের গতিতে চলবে।
  • 4z | 208.231.20.20 | ২৪ এপ্রিল ২০১৫ ২১:১৭673953
  • dc, open source মানে ফ্রীতে software ডাউনলোড করা নয়। ডিটেলস জানতে আপাতত এটা দেখুন

    http://en.wikipedia.org/wiki/Open_source

    বাকিটা অজ্জিতদা বুঝিয়ে দেবে। উইন্ডোজের সোর্স কোড ওপেন করে দেওয়ার কথা হচ্ছে।
  • Div0 | 132.167.114.93 | ২৪ এপ্রিল ২০১৫ ২১:১৯673954
  • ত্যাঁদোড় নাম্বার ওয়ান এয়াট্টেলের ভয়েসটাও আসুক -

    "Clearing the Misconceptions around Airtel Zero

    Over the last few days you may have seen a lot of conversation on our toll free platform Airtel Zero. It has been painted as a move that violates net neutrality and we have been very concerned at the incorrect information that has been carried by some quarters in the media as well as in social media. I wanted to take this opportunity to clear the air and reiterate that we are completely committed to net neutrality. Let me clarify.

    Our vision is to have every Indian on the internet. There are millions of Indians who think that the internet is expensive and do not know what it can do for them. We believe that every Indian has the right to be on the internet. We know that if we allow them to experience the joys of the internet they will join the digital revolution.

    Airtel Zero is a technology platform that connects application providers to their customers for free. The platform allows any content or application provider to enroll on it so that their customers can visit these sites for free. Instead of charging customers we charge the providers who choose to get on to the platform.

    Our platform is open to all application developers, content providers and internet sites on an equal basis. The same rate card is offered to all these providers on a totally non discriminatory basis.

    There is no difference between this and toll free voice such as 1-800. When a company selling an insurance product enrols into the toll free voice platform, customers who call the number are not charged but when they call a normal number they are charged. Calls are not blocked or given preferential treatment else our whole business would be jeopardized. Toll free voice helps the business owner engage with their customer. At the same time it provides the customer the benefit of reaching the business for free. Toll free voice is not a product or a tariff plan, it is merely a technology platform. We are simply taking the same concept of toll free voice to the world of data. As a result it is for the application developer and their customer to decide how data charges will be paid for. If the application developer is on the platform they pay for the data and their customer does not. If the developer is not on the platform the customer pays for data as they do now. Companies are free to choose whether they want to be on the platform or not. This does not change access to the content in any way whatsoever. Customers are free to choose which web site they want to visit, whether it is toll free or not. If they visit a toll free site they are not charged for data. If they visit any other site normal data charges apply.

    Finally every web site, content or application will always be given the same treatment on our network whether they are on the toll free platform or not. As a company we do not ever block, throttle or provide any differential speeds to any web site. We have never done it and will never do it. We believe customers are the reason we are in business. As a result we will always do what is right for our customers.
    There has been a deliberate effort by some quarters to confuse people that we will offer differential speeds or differential access for different sites. This is untrue. After all we earn revenues from data. If there are more customers who are on the Internet the better it is for our business. Our revenues are not dependent on which sites they visit because we charge on the basis of consumption of mega bytes not which site they visited.

    In sum our platform is a technology platform and is open to all application developers and their customers. Our platform only provides a choice of how the data that is consumed is paid for by any of the two - the application provider or their customer. Whether any application provider enrolls on the platform or not is entirely their choice. All we have is a technology. We do not have a product or tariff plan that we have launched. We simply have a platform. And every application developer and their customer is free to choose in an entirely neutral way what they want to do.

    In conclusion, we stand fully committed to net neutrality to ensure the goals of the Prime Minister`s vision of digital India are met.

    Regards,
    Gopal Vittal
    MD & CEO
    Bharti Airtel Ltd.
    India & South Asia"
  • dc | 132.164.239.47 | ২৪ এপ্রিল ২০১৫ ২১:২২673955
  • 4z ধন্যবাদ, পড়ে দেখি।
  • Abbe Plumpness Calm | 195.26.182.40 | ২৪ এপ্রিল ২০১৫ ২১:৪৩673956
  • ফ্রীডম অফ নলেজ/ইনফরমেশনে যদি বিশ্বাস না করেন তাহলে ফ্রী সফটওয়্যার মুভমেন্ট আর ওপেন সোর্স পড়ে লাভ নেই।
  • Sayantani | 126.203.200.115 | ২৪ এপ্রিল ২০১৫ ২১:৪৯673957
  • ইয়ে, আমার তো jstor ও FB দুটি লাগে!! ওদিকে আরো অনেক সাইট লাগে, যেহেতু ওই ফ্রিডম অফ নলেজ এর ফলে অনেক কিছুই অনলাইন পাব যায়! আমি তো একটা জায়গা এ দেখলাম dropbox এ ইনফরমেশন শেয়ারিং এও পয়সা বেশি লাগবে!!!!
  • সিংগল k | 212.142.118.41 | ২৪ এপ্রিল ২০১৫ ২১:৫৬673958
  • এই গোপাল বিঠল সায়েব আওয়ার প্ল্যাটফর্ম আওয়ার প্ল্যাটফর্ম করে মরেছে কেন? আওয়ার প্ল্যাটফর্মটা কি ইন্টারনেট নয়? ই্ন্টারনেটটা কি করে বিঠল সায়েবদের সম্পত্তি হয়? ছলে বলে কৌশলে ইন্টারনেট কুক্ষিগত করার চেষ্টা ছোটবড় নানা কোম্পানীই করেছে। কদিন আগেই কোন একটা টইতে তাই নিয়ে ব্যাপোক মতামত বিনিময় করলুম না? কোন টই সেটা বিলকুল ভুলে গেছি। সেই যে একটা GNU/Linux এর চমত্কার শতপুষ্প বিকশিত হোক মার্কা লিঙ্ক দিলুম। তাতেই তো এ নিয়ে কথা হয়েছিল।
    এয়ার্টেলের অত বড় বড় কথা কিসের রে বাপু, দিস তো লাস্ট মাইল কানেক্টিভিটি। তার আবার আওয়ার প্ল্যাটফর্ম! এসব উল্টো পাল্টা বকার এখুনি মুখের মত জবাব না দিলে সেই ডাটা ক্যাপের মত অবস্থা হবে। কিনব দু জিবিপিএস লাইন অথচ তাতে থাকবে পাঁচশ এমবির ডাটা ক্যাপ। বিঠল সায়েবরা তার গালভরা নাম দেবেন "ফেয়ার ইউজ পলিসি"।
  • dc | 132.164.239.47 | ২৪ এপ্রিল ২০১৫ ২২:০২673841
  • Calm, এটুকু বুঝি যে বিনে পয়সায় মধ্যাহ্নভোজন হয়না। ফ্রি সফটওয়ার, নেট নিউট্রালিটি এসব তাহলে কাটিয়ে দেওয়াই ভালো। এমনিতেও আমার কম্পু নিয়ে তেমন কোন ওপিনিয়ন নেই, যারা এসব ভালো বোঝে তারা নেট নিউট্রলিটি বানাক। আমি প্রোডাক্ট বেচতে পারলেই খুশী।
  • সিংগল k | 212.142.118.41 | ২৪ এপ্রিল ২০১৫ ২২:১২673842
  • দু জিবিপিএস লাইনে পাঁচশ এম বি ডাটা ক্যাপ লাগিয়ে তার বেশী ব্যাবহারকে আনফেয়ার ইউজ বলা কি হাস্যকর নয়। পুরো স্কীমটাই জামাই ঠকানো স্কীম।

    ঠিক সেরকম এয়ারটেল জিরো তে এই এপ্লিকেশন প্রোভাইডারদের চার্জ করা আর ইউজারদের চার্জ করা মিশিয়ে ফেলার উদ্দেশ্যটাই অসত। লোক ঠকানো। সার্ভিস প্রোভাইডারদের ব্যান্ডউইথ কি এয়রটেল দিচ্ছে নাকি? দিচ্ছে তো লাস্ট মাইল কানেক্টিভিটি। তার জন্যে সে কনটেন্ট প্রোভাইডারদের চার্জ করবে কোন মুখে। ইউজাররাই কি এয়ারটেলের কেনা গোলাম নাকি। যে তারা শুধু কনটেন্ট এয়ারটেল দিয়েই অ্যাক্সেস করবে? না করলে প্রোভাইডাররা এয়ারটেলকে পয়সা দেবে কেন? কারচুপি তো একটা আছেই।

    এয়ারটেল জিরোতে বিনি পয়সায় নেট করা যায় হুজুগ উঠলে নেটজ্ঞানহীন জনতা জিরোতে ঢুকে নন ফ্রী সাইট ব্রাউজ করে এয়ারটেলের মুনাফা বাড়াবে আর কি!
  • k | 212.142.118.41 | ২৪ এপ্রিল ২০১৫ ২২:২৩673843
  • ডিসিদা, জ্ঞানী লোকেদের কথায় দুকখু পাবেন না। ওরা ভারী উল্টোপাল্টা বকে হাবভাবও তেম্নি, এই আরকিমিডিসকেই দেখুন কি কান্ডটাই না করেছিল সামান্য এটা জিনিস একটুখানি বুঝতে পেরে।

    আপনি প্রোডাক্ট বেচতে পারলেই খুশী বুঝলাম। আমিও তাই। ধরা যাক ব্যাবসার খাতিরে একটা প্রোডাক্ট তৈরী করলাম - আপনার জীবন। মানে আপনার জীবন তো আপনার আছেই। আমি না ইন্টারফিয়ার করলে আরো বহুদিন আপনারই থাকবেও। কিন্তু যাতে তা না থাকে তার সমস্ত ব্যবস্থা করে মানে গলার কাছে আমাক ছুরিটি ধরে আমি আপনাকে আপনার জীবনের নিরাপত্তা বেচব। আমার ছুরিতে ধার থাকলে দুদিনে বিজনেসে লাল হয়ে যাব।
  • Ishan | 214.54.36.245 | ২৪ এপ্রিল ২০১৫ ২২:২৮673844
  • হ্যাঁ, এইটা ভালো ব্যাপার। আমি একটা কোং বানাব, যারা ভাইরাস বানায় আর অ্যান্টিভাইরাস বিক্কিরি করে। শুধু কম্পুর কথা ভাববেন্না। ধরুন নতুন ধরণের প্লেগের জীবাণু বানাব, যাতে আমার টীকা না নিলে অব্যর্থ মৃত্যু। মরবেনই। টীকা না কিনে যাবেন কোথায়। আর কিনলেই সর্বসুখ। আপনার বাঁচাও হল, আমার দু-পয়সাও হল। তাপ্পর আমার বিজনেসের নাম দেব লাইফ প্রোভাইডার সার্ভিস।

    এখানেই সেশ না অবশ্য। তাপ্পর টীকা প্রোডাকশনে কুলিয়ে উঠতে না পরলে একটা প্রিমিয়াম সার্ভিসও চালু করব। বেশি টাকা দিলে তাড়াতাড়ি টীকা পাবেন। নইলে ওয়েটিং টাইম আছে। HHB :-)।
  • dc | 132.164.239.47 | ২৪ এপ্রিল ২০১৫ ২২:৩৭673845
  • রাগ করিনিকো ঃ-) নেট নিউট্রালিটি জিনিষটা সত্যি তেমন কিছু বুঝতে পারছিনা, ইন্টারনেটে তেমন আলাদা কোন ইন্টারেস্টও নেই যে মন লাগিয়ে পড়বো। আমার কেমন যেন মনে হচ্ছে যে বাকি পৃথিবীতে যা হয়, আপনারা চাইছেন ইন্টারনেটে সেরকম না হোক। অনেকে যেমন বলছেন যে মিডলম্যান যেন টাকা না পায়, অলিগোপলি যেন না হয়, কোন কার্টেল যেন ইন্টারনেটকে কুক্ষিগত না করে ফেলে। এরকম চাওয়া ভালো, আমার কোন আপত্তি নেই। আমি এইটুকুই বলতে চাইছি যে রিয়েল লাইফে যেসব আনএথিকাল বিজনেস প্র্যাক্টিসেস হয়, শেষে হয়তো ইন্টারনেটেও তাই হবে। কারন ব্যবসার পলিসি সব জায়গাতেই সেম। যদি না হয়, তো খুব ভালো। আর যদি ইনটারনেটও অন্য সব ব্যবসার মতোই হয়ে যায়, তো আমি খুব একটা হাহুতাশ করবো না।

    আর আমার গলার কাছে ছুরি ধরে আমার জীবন তো আমাকে অনেকদিন ধরেই বেচা হচ্ছে - মেডিক্লেম! আমি কি মেডিক্লেম কিনতে খুব একটা আপত্তি করি? মুর্গি হচ্ছি জেনেশুনেই কিনি। ইন্টারনেট যদি এরকম না হয় তো খুব ভালো। আর যদি এরকমই হয়ে যায় তো খুব একটা হাহুতাশ করবো না।
  • Div0 | 132.167.114.93 | ২৪ এপ্রিল ২০১৫ ২২:৫১673846
  • বিভিন্ন আইএসপি'র এই FUP জিনিসটাকে নিয়ে প্রশ্ন আছে। আইএসপি-বিশেষে এর রকমফের হয়। এটা সেন্ট্রালি (TRAI) রেগুলেটেডও নয়। আবার রেন্টাল বেশী দিলে FUP'র ক্যাপ বেড়ে যায়। মানে ফেয়ারনেস বৃদ্ধি করতে হলে গাঁটের কড়ি বেশী খসান। এই খচড়ামিগুলো বন্ধ হওয়া দরকার। আর গোপাল ভিট্টল'এর চিঠিটাকে গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই। ওটা ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা ছিল। ড্যামেজ অনেকটাই হয়ে গেছে।
  • Arpan | 125.118.164.5 | ২৪ এপ্রিল ২০১৫ ২২:৫৪673847
  • কিন্তু আপনারা কি জানতেন বাবাজবস নামেও একটা জব সাইট আছে? ভাগ্যিস জুকারবার্গ ছিল।
  • একক | 24.99.11.207 | ২৪ এপ্রিল ২০১৫ ২৩:১৪673848
  • এবার একটু কিবোর্ড ধরা যাক ।
    প্রথমেই বলা ভালো যে এই সাবজেক্ট এ স্টেটমেন্ট তিনটে লেয়ারে রাখতে পছন্দ করবো । প্রথমে একটু ইতিহাস ,তারপর কোনটা আইডিয়াল । তারপর এই মুহুর্তে ভারতের বাজারে কোনটা মোর একসেপটেবল ।হ্যা ,বাজার অর্থনীতি আসবে ।একটু বেশি করেই আসবে ।যাঁদের পোষাবেনা পড়বেননা :)

    পূর্বপরিস্থিতি:
    -------------
    কথায় কথায় পৃথিবীকে গ্লোবাল ভিলেজ বলার চল হলেও ভারতীয় অর্থনীতি-রাজনীতির আলোচনায় সেগুলোই এবং সেই সময়েই আসে যেগুলো আমাদের কালেক্তিভিস্ট এবং স্টেটিস্ট রাজনীতিতে বিশ্বাসী সমাজপ্রভু/বিদ্বজন দের দ্বারা গেলানো হয় । পুরোটা আসেনা । ইন্টারনেট ফ্রিডম নিয়ে চেঁচামেচি শুরু হয় দুহাজার নয় সাল নাগাদ । নেটনিউট্রালিটি শব্দটা তখনও ছিল । রাইট লিবারটেরিয়ান রা বহুদিন ধরেই আমেরিকায় এনএসে এ দৌরাত্ম ,টেলিভিশন -ইন্টারনেট এর ওপর খবরদারি এর বিরুদ্ধে বলে আসছেন । স্টিফেন কিনসেলা একটি ছোটো কলাম লিখে জনতার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন যে তথাকথিত নিউট্রালিটির নামে স্টেট ইন্টারভেনশন কে আরও বেশি জোরদার করা হচ্ছে এ নিয়ে সবাই সতর্ক হোন । কিন্সেলার এই কলাম লেখার পেছনে অবশ্য একটি কারণ ছিলো ম্যাককেইন এর "ইন্টারনেট ফ্রিডম একট" এর প্রস্তাব পাশ করাতে না দেওয়ার ঘটনা। ম্যাককেইন সরাসরি প্রস্তাব করেছিলেন ইন্টারনেট এবং সার্ভিস প্রভাইডার দের ওপর সরকারী খবরদারি বন্ধ হোক । এফসিসি র ছদ্মবেশে এনেসে কে কন্ট্রোলিং পাওয়ার দেওয়ার নোংরামি বন্ধ হোক ।কিন্তু সেই সময় একদিকে এনেসে-র নিজস্ব লবি বিশাল শক্তিশালী ছিলো আরেকদিকে সোশালিস্ট-লেফট লিবেরাল দের "লিবার্টি" সম্বন্ধে ভ্রান্ত ধারণা যে স্টেট পাওয়ার কে শক্তিশালী করলেই "স্বাধীনতা বন্টন" করা যায় ,এই জায়গায় দাঁড়িয়ে "ইন্টারনেট ফ্রিডম একট ২০০৯" প্রস্তাবনার পরে আটকে যায় । ২০১২ সালে আবার একদফা চেঁচামেচি শুরু হয় রাইট লিবার্তেরিয়ান কংগ্রেসম্যান রান্ড পল ও ইউএস সেনেটর রন পল এর উদ্যোগে ।যাঁরা আন্তর্জাতিক রাজনীতির খবর রাখেন তাঁরা জানবেন এই সেই রান্দ পল যিনি রাইট লিবারটেরিয়ান হয়েও দুবার রিপাবলিকান দের হয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন এবং যে রাইট লিবার্তেরিয়ান রা একসময় মনে করত যে সরাসরি রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার চে বাজার অর্থনীতির ইম্প্লিমেন্টেশন কে বাইরে থেকে প্রভাবিত করা বেশি কাজের ,তাদের কে তিনিই বোঝান হাতে কলমে কাজ করতে গেলে ক্ষমতায় যাওয়া দরকার আছে । এই সেই রান্ড পল যিনি রিপাবলিকান দের টিকিট নিয়ে দাঁড়িয়ে ওপেন স্টেজে আমেরিকান যুদ্ধের বিরুদ্ধে এবং রিপাবলিকান নীতির বিরুদ্ধে আঙ্গুল তোলেন । ওপেনলি বলেন দক্ষিনপন্থী রাজনীতির নাম করে রিপাবলিকান রা আসলে স্টেটিস্ট ক্ষমতায়ন করছে , আরও বেশি স্টেটিস্ট রেগুলেশনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে , ফ্রেডরিক হায়েক এবং রথবার্ড এর পথ থেকে যা বহু দুরে ।
    রান্ড ও রন পলের ক্যাম্পেনের কিছু অংশ তুলে দিলুম ।
    "
    Technology revolutionaries succeeded not because of some collectivist vision that seeks to regulate “fairness”, “neutrality”, “privacy”or“competition” through coercive state actions,or that views the Internet and technology as a vast commons that must be freely available to all, but rather because of the same belief as America’s Founders who understood that private property is the foundation of prosperity and freedom itself.Technology revolutionaries succeed because of the decentralized nature of the Internet,which
    defies government control.As a consequence, decentralization has unlocked individual self-empowerment,entrepreneurialism, creativity, innovation and the creation of new markets in ways neverbefore imagined in human history "
    [ NB : ওই প্রাইভেট প্রপার্টি পার্ট টা বুঝতে হলে প্রাইভেট প্রপারটি বলতে কী বোঝায় একটু পড়ুন । ক্লাসিকাল লিবেরাল দের,হায়েক এর লেখা বা ইন আ নাটশেল রথবার্ড এর প্রাইভেট প্রপার্টি নিয়ে লেখা পড়লে ক্লিয়ার হবে ।নইলে বারংবার প্রপার্টি এবং লিবার্টি কেন একসঙ্গে উচ্চারিত হচ্ছে বুঝতে ফাঁক থাকবে ।অতি অবস্যই জন লক পড়া দরকার। লক না পড়ে আমেরিকান কন্সটিটিউশন বুঝতে যাওয়া একেবারেই পারম্পর্যহীন। ]

    এখন এইখানটায় এসে বিপুল ঝামেলা লেগে যায় ! রাইট লিবার্তেরিয়ান রা খুব কোর থেকে কান্ট্ পন্থী হলেও ইম্প্লিমেন্টেশন এর জায়গায় লক কে মেনে চলেন ।রান্ড পল রা লড়ছিলেন প্রাইভেট প্রপার্টির গ্রাউন্ডে । একজন সার্ভিস প্রভাইডার যে সার্ভিস জেনেরেট করে সেটা তার প্রপার্টি । কাজেই এটা কিভাবে বিক্রি করবে সেটাও তার রাইট টু প্রপার্টি এন্ড লিবার্টি এস ওয়েল । একজনের প্রাইভেট প্রপার্টি কিভাবে বিহেভ করবে সেটা অন্যজন কখনই বলে দিতে পারেনা । লক এর ভাষায় :"the natural liberty of man is to be free from any superior power on earth, and not to be under the will or legislative authority of man " লক সেকেন্ড ট্রিটিস অফ সিভিল গাভমেন্ট ,চ্যাপ্টার ফাইভ এ "প্রাইভেট" এবং "কমন" কে বিশদে ব্যাখ্যা করেছেন । ঘনঘন কোটেশন এড়াতে ছোটো করে বলি : সমুদ্রের ধারে নারকেল গাছে নারকেল হয়ে আছে সেটা "কমন" । আপনি কোমরে ব্যথা নিয়ে হাঁচর পাঁচর করে সেটি পেরে আনলেন সঙ্গে সঙ্গে ওটা "প্রাইভেট" ।মানে সোজা কথায় যার সঙ্গে আপনার লেবার -বুদ্ধি-ক্ষমতা বা যেকোনো লেভেলের ব্যক্তিগত ইনভেস্টমেন্ট/ইনভলভমেন্ট যুক্ত হয়েছে।"ফেলো-কমনার্" দের কিন্তু কোনো অধিকার নেই ওই ডাবের জলে । ঠিক যেকারণে ন্যাচেরাল ওয়াটার "কমন" কিন্তু মাটি খুঁড়ে তুললে বা প্ল্যান্ট বসালে ,বটলিং করলেই "প্রাইভেট" । নিজের খোঁড়া কুওর জল প্রাইভেট ।কিন্তু আমার প্রাইভেট প্রপার্টি আমার প্রপার্টি হলেও সেটা নিয়ে কী আমি যা খুশি করতে পারি ? এমনভাবে তাকে পাল্টে ফেলতে পারি যাতে "কমন ল্য অফ নেচার" ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কমনার্স রা অসুবিধে তে পরে ? লক ন্যাচেরালি ইন্টারনেট নিয়ে বলছেন না কিন্তু প্রপার্টি ম্যানিফেস্তেষণ এর ইন ইনহেরেন্ট ভালনারেবিলিটি নিয়ে বলছেন
    "
    Before the appropriation of land, he who gathered as much of the wild fruit, killed, caught, or tamed, as many of the beasts, as he could; he that so imployed his pains about any of the spontaneous products of nature, as any way to alter them from the state which nature put them in, by placing any of his labour on them, did thereby acquire a propriety in them: but if they perished, in his possession, without their due use; if the fruits rotted, or the venison putrified, before he could spend it, he offended against the common law of nature, and was liable to be punished; he invaded his neighbour's share, for he had no right, farther than his use called for any of them, and they might serve to afford him conveniencies of life."

    রান্ড পলের বিরোধীরা এই অংশ টা তুলে ধরলেন ।তাঁরা বললেন : সার্ভিস প্যাকেজিং কখনই এমন হওয়া উচিত না যাতে কিনা সার্ভিস নেচার টাই বিকৃত (খুব সন্দেহজনক শব্দ) হয়ে যায় । কাজেই ইন্টারনেট সার্ভিস স্টেট রেগুলেট করা ভয়ানক বাজে ব্যাপার এটা যেমন ঠিক তেমনি বিগ কর্প এর হাতে পরে সার্ভিস নেচার বিকৃত হবেনা এটা কীকরে এনসিওর হলো ? দুহাজার দশ-বারো সাল থেকে এই তর্ক টা নানান কাগজে হয়েই চলেছে । "ডিউ ইউস " কাকে বলবো ? তার স্কোপ কী ? সার্ভিস কে প্রোডাক্ট হিসেবে ট্রিট করা যায় কী আদৌ এইসব ।মোটামুটি স্টেটিস্ট লেফট রা ছাড়া সকলেই একমত যে স্টেট রেগুলেশনের হাতে ইন্টারনেট রাখা শুধু অনুচিত নয় ভবিষ্যত পৃথিবীতে টেকনিকালি অসম্ভব যেখানে ডোমেস্টিক লেভেল স্যাটেলাইট অবধি এসে গ্যাছে এবং প্রাইভেট রকেট ও তৈরী হচ্ছে সেসব কক্ষপথে রেখে আসার জন্যে ।বরং কিভাবে স্টেট রেগুলেশন তুলে দিয়েও সার্ভিস নেচারটা কনসিউমার ও মার্কেট ফ্রেন্ডলি রাখা যায় সেটাই ভাবা ভালো । কিন্তু ওনারা এখনো পরিস্কার সিদ্ধান্তে পৌছতে পারেন নি । টেকনোলজি থেমে থাকবেনা । সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি । আটকাচ্ছে কোথায় ? তাহলে একটু দেখা যাক ........সার্ভিস এস আ প্রোডাক্ট ভাবলে তাত্ত্বিক অসুবিধে কী ।

    আইডিয়াল সিচুএশন ,কী হলে কী হত:
    --------------------------------------
    একটু লক্ষ্য করলেই বোঝা যাবে মূল ঝামেলাটা প্রথমেইপেকেছে তাত্ত্বিক জায়গায় । সার্ভিস কী প্রপার্টি ? লক মেনে চল্লে যেখানে ট্রান্সফারেবল ওনারশিপ জেনেরেট করছে সেখানে ওনারশিপ অফ সার্ভিস অবস্যই ওনারশিপ অফ প্রপার্টি ।তাহলে আপনি সার্ভিস সাব-রেন্ট বা রি-সেল করতে পারেননা ক্যানো ? আমি যে ব্যান্ডউইথ ,পীক রেঞ্জ কিনে নিচ্ছি সার্ভিস প্রভাইডার এর থেকে সেটা বাজারে খাটানোর রাইট তো আমার থাকা উচিত । বাস্তবে তা নেই ।যদি এরকম থাকত তাহলে আমরা ওপেন মার্কেট ইন্টারনেট দেখতে পেতুম ।এর মানে আপনি কোনো জায়গায় গিয়ে দেখলেন পাঁচজন প্রাইভেট ওনার এর নেটওয়ার্ক দেখাচ্ছে আপনার মেশিনে । তাদের অফার ও দেখাচ্ছে ।যেটা সুবিধেজনক মনে হলো ক্রেডিট কার্ডে পেমেন্ট করে ইউস করলেন (এরকম এপ বেরিয়েছিল ,আম্রিকা সরকার ব্যান করে দিয়েছে)। যেই মুহুর্তে আপনি সার্ভিস কে রি সেল করতে পারছেন প্রপার্টির মত তখনি অসংখ্য ছোটো ছোটো সার্ভিস প্রভাইডার (একচুয়ালি সাব-প্রভাইডার ) জন্ম নিচ্ছে যারা আরও মিক্স এন্ড ম্যাচ করে বাস্কেট সার্ভিস দিতে পারছে এবং আপনি যেমন ব্যবহার করছেন তেমন বিলিং হচ্ছে । এটা হলে বড় কোম্পানিরা নিজেদের রেগুলেশন /স্পেশালিটি এনজয় করতে পারে আবার ছোটো ছোটো এন্টারপ্রেনীয়র রা নিজেদের বাস্কেট বানিয়ে বেচতে পারে । বাস্তবে হয় কী ? হয়না । কারণ সার্ভিস কে সেল করা যাবেনা এই চুক্তি কনসিউমার ও বিগ সার্ভিস প্রভাইডার এর মধ্যে থাকে । সরকারও বড় কোম্পানিকে পাইয়ে দেওয়ার স্বার্থে এটা আটকাতে আইন বানিয়ে রেখেছে । কাজেই রিটেইল শপ এর মত মাল্টিপল ব্র্যান্ডেড ,নন ব্র্যান্ডেড সব মিলিয়ে বিক্রিবাটার সুযোগ টাই নেই ।এটাকে বেঁধে রাখা হয়েছে । তার মানে এমনকি তাত্ত্বিক জায়গা থেকেও সার্ভিস একটি সিউডো-প্রপার্টি যার ওনারশিপ বিভক্ত হয়ে আছে পার্সোনাল কনসাম্পসন ও ট্রানস্ফারেবিলিটি এই দুই ভাগে । প্রথমটার রাইট আপনি কিনছেন দ্বিতীয়টা নয় । সার্ভিস ওনারশিপ এর জায়গাটা যে তাত্ত্বিক রাইট লিবার্তেরিয়ান দের কাছেও একটা ইভল্ভিং ফীল্ড এবং এখানে অনেক ক্ল্যারিফিকেসনের দরকার আছে ভবিষ্যতে আশা করি বোঝাতে পারলুম । আইদার আমাদের স্বীকার করতে হবে সার্ভিস নিজেই ট্রু প্রপার্টি নয়তো এটাকে কমন্স রেখেই আলোচনা চালাতে হবে । তাত্ত্বিক জায়গাতেই ফাঁক থাকলে এপ্লিকেশন তো ঝামেলার হবেই জানা কথা । আর এটা ক্লিয়ার হলে "ডিউ ইউস" এর নেচার নিয়ে অত নিউসপ্রিন্ট খরচা করার ও দরকার পরবে না ।

    এপ্লায়েড ওয়ার্ল্ড
    ---------------------------------
    আম্রিগা কোথায় ?

    আমেরিকার পরিস্থিতি খুব মজার । যদিও প্রচুর ক্লাসিকাল লিবেরাল হনু গিজগিজ করছেন তবু আমেরিকাতে এখন যেটা চলে সেটাকে খুব বেশি হলে পোস্ট কিনিসিয়ান জমানার মার্কেট স্টেটিসম বলা যায় । ফার রাইট এনার্কো ক্যাপিটালিস্ম তো দুরের কথা , হায়েক স্কুল কেও বিগ কর্পোরেশন রা যমের মত ভয় পায় এবং চেষ্টা করে ভেতরে স্টেটিস্ট কিন্তু বাইরে ক্যাপিটালিস্ট মার্কেট এর ভান করে একটা লিবার্টির ধ্বজা উড়িয়ে রাখার । লিবার্তেরিয়ান দের ক্ষমতায় আসা এই কারণেই কঠিন কারণ বিগ কর্প রা কেও মার্কেটপন্থী না , হায়েক এর পথ মেনে চললে অধিকাংশ বিসনেস টাইকুন কে চরম প্রতিযোগিতার মুখে পরতে হবে যাতে তাদের সিম্পলি ধোয়া বেড়িয়ে যাবে । মার্কেট থিওরির কোনো দায় নেই কারো প্রতি । কোনো সাম্যের ভরং নেই । পৃথিবীর সর্বর্ত্রই মানুষের নেচার হলো নিজের জন্যে কলা-মুলো বাগানো এবং দুর্বলতা ঢাকতে কালেকটিভ বাবার শরণ নেওয়া ।এই জিনিস উস্কে রাবেল রাউসিং বলুন বা বিপ্লব সেসব করা সহজ । মার্কেট হাঁটে অন্যদিকে ।এক কে অপরের বিরুদ্ধে লড়িয়ে দেওয়া যাতে বেস্ট কম্পিটিশন বেড়িয়ে আসে । কনফ্লিক্ট বাড়ে। কারণ এটা না করলে স্টেট এর আধিপত্য থেকে পরিত্রান নেই ।ভেড়াগুলোকে খুঁটি পাকাতে দিলেই স্টেট এর হাত শক্ত করবে । রিপাবলিকান রাও কিন্তু স্টেটিস্ট ।তবে মোর বিসনেস মাইন্ডেড তাই লিবার্তেরিয়ান রা আপাতত তাদের সঙ্গে জুড়েছে । রান্ড পল এর মত লোক কয়েকজন আগামী ভোটে ক্ষমতায় এলে নেট নিউট্রালিটি নিয়ে ওবামার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে খানিকটা সরে আসা যাবে ।ইন্টারনেট ফ্রিডম একট পুরোপুরি কার্যকর না হলেও কিছুটা হবে ।ওবামার আসল উদ্দেশ্য এনেসে-র ক্ষমতা আরও জোরদার করা যাতে এফসিসি কে সামনে রেখে ইন্টারনেট এর ওপর স্টেট এর খবরদারি চালানো যায় । ইন্টারনেট ফ্রিডম একট কার্যকর হলেই বাজারের দাবি মেনে একাধিক ছোটো ছোটো আইএসপি কোম্পানি তৈরী হবে যারা কম ভাড়ায় সার্ভিস দেওয়ার ক্ষমতা রাখে কারণ তাদের লোড রেগুলেসন নিজেই করতে পারছে । কাজেই লিমিটেড কনসিউমার এও লাভ বেশি । বাজারে কম লগ্নিতে টেঁকা সহজ। বুটিক এর দোকান খুলে লিমিটেড কনসিউমার নিয়ে টিঁকে থাকার বাজার ভাবুন ,বুঝতে পারবেন ।কিন্তু মোদ্দা কথা এই যে ইন্টারনেট ফ্রিডম নিয়ে এই লড়াই টা দীর্ঘ লড়াই যেটা চলার পথে আমেরিকান রাইট লিবারটেরিয়ান দের নিজেদের মধ্যেই অনেক দ্বন্দ কাটাতে হবে ।যেটা আগেই আলোচনা হয়েছে , সার্ভিস এস প্রোডাক্ট কিভাবে ডিফাইন হবে সেটা ভবিষ্যত পৃথিবীর সামনে ক্লিয়ার হওয়া দরকার । এটা ক্লিয়ার করতে না পারলে শুধু প্রাইভেট প্রপার্টি রাইটের কথা ওপর ওপর বলে লড়াই জেতা যাবেনা ।

    ভা ভা ভারত
    --------------
    ভারতের পরিস্থিতি আরেক কাঠি সরেস । ইন্ডিয়াকে বলা হয় রেডি লঞ্চিং প্যাড অফ এনার্কো ক্যাপিটালিস্ম । একটা আপাদমস্তক করাপশনে ডুবে থাকা দেশ যেখানে ভুলভাবে যা যা হয় বজ্র আঁটুনি দিতে গিয়ে , মার্কেট ওপেন করলে সেগুলোই ঠিকভাবে হতে পারে ।এমনকি আমেরিকার চেও বেটার হতে পারে । এরকম একটা সিচুএশোনে ইন্ডিয়ান আইএসপি রা সরকারকে চাপ দিচ্ছে তাদের নিজের বিসনেস যাতে তারা নিজেই রেগুলেট করতে পারে সেই ক্ষমতার জন্যে । এটা শুনতে হাস্যকর কারণ যার ব্যবসা সে কন্ট্রোল করবে না তো করবে কে ? আরেকদিকে এদেশের সোশালিস্ট রা যারা চিরকালই স্টেট এর হাত শক্ত করার জন্যে লড়েছে তারা হটাত এমন ভাব করছে যেন যার সার্ভিস তাকে রেগুলেশনের অধিকার না দিয়ে স্টেট এর হাতে সেই অধিকার তুলে দিলেই সব দুশ্চিন্তা শেষ হবে । এখানেও এনএসএ-র চাপ রয়েছে কারণ স্টেট এর আধিপত্য কমে গেলে ইন্ডিয়া কে নজরে রাখা মুশকিল হবে ।অতএব পেইড একটিভিস্ট দের লেলিয়ে দিয়ে ফলস সেন্স অফ লিবার্টি গ্রো করাও যাতে সবাই স্টেট রেগুলেশন কে মেনে নেয় । সেই "স্বাধীনতা বন্টন" এর থিওরি ।

    কিন্তু এর একটা অন্য সাইড ও আছে । নেট নিউট্রালিটি উঠে গেলে কি কোনো ক্ষতি হবেনা ? হবে।একশোবার হবে ।মার্কেট কবে বলেছে সে সবাইকে সাম্য ও গ্যারানটেড লাভ এর ছোলাভাজা বিলোতে বেরিয়েছে ? প্রচুর ছোটো সাইট আছে যারা খুব কড়া ট্যাকল এর মুখে পরবে । পাবলিক ইন্টারেস্ট গ্রুপ যারা চালায় তারা এতদিন ফ্রি তে নাটক করছিলো । এবার হল ভাড়া করে নাটক করতে হবে ।বিনাপয়সায় রাস্তা জুড়ে পথনাটিকা করা যাবেনা । প্রতিযোগিতা বাড়লেই একটা প্রবণতা হবে মনোপলি তৈরীর । সেখানে ছোটো প্রতিযোগী মার খাবে ।স্টার্ট আপ রা অসুবিধেয় পরবে মার্কেট পেনিত্রেত করতে । এগুলো হবে ,কোনো সন্দেহ নেই ।

    এবার একে একে আসি ।ভারতে নেট নিউট্রালিটি নিয়ে সবচে বেশি নাচছে দুদল । এক হলো যারা নিজেরাই বিগ কর্প কিন্তু ঝাড় খেতে পারে প্রতিযোগিতায় নেবে ।আরেক হলো ব্যাগরাবাবু রা । এনাদের পুরো ফান্ড আসে আমেরিকা-ইউরোপ থেকে । একেবারেই ক্রিমি লেয়ার ।ওয়েবস্পেস ভাড়া করতে যেমন পয়সা দিতে হয় সেরকম একটু স্পীডি চ্যানেল ভাড়া করতে আরও দু-পয়সা খসাতে এনাদের অসুবিধে হওয়ার কথা না । কিন্তু সেসব চাপা দিতে নানান যুক্তি দেওয়া শুরু করেছেন ।ধরুন এনারা বলছেন নেট নিউত্রালিতি না থাকলে আপনি কোনো ওষুধের ক্ষতিকর দিক সম্বন্ধে বিরূপ ইনফরমেশন জানতেই পারবেন না । এরচে বড় ঢপ আর হয়না । সমস্ত ওষুধ কোম্পানির কম্পিটিটর রা পয়সা খসিয়ে একে অন্যের কাছা খোলে । মার্কেটে বসে কেও কারোর দিকে আঙ্গুল তুলছে(এবং সেই আঙ্গুল আপনার কাছে ভিসিবল,মিডিয়া কভারেজ পাচ্ছে) মানে সেখানে কোনো না কোনো ইনভেস্টর আছে ।ওষুধ জিনিষটা চালভাজা নয় । যারা বানায় এবং তাদের যারা কম্পিটিটর তারা সকলেই বিগ হাউস । আপনি জানতে চান এই মুহুর্তে আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশন কোন কোন ড্রাগ কে ব্ল্যাক লিস্টেড করেছে ? আপনি জানতে চান ডায়াবেটিক এসোসিয়েশন কী বলছে কিনওয়া রাইস এর উপযোগিতা বা আদৌ উপকার আছে কিনা তাই নিয়ে ? আটকাচ্ছে কে ? এরা প্রত্যেকে পয়সাওয়ালা ! আর ফ্রি বই ? আপলোড করা সিনেমা ? ওই সাইট গুলো এতকাল নিজের মত চলত এবার ক্রলার সাইট এর আন্ডারে চলে আসবে । একটাই এপ বা সাইট খুললে আপনি সবার তথ্য পাবেন । এমনকি এই হাজারে হাজারে হাউসিং ,রেস্টরানট ,দোকান এর সাইট কমন এপ এর আন্ডারে চলে এলে ভিসিবিলিটি বাড়বে বই কমবে না ।
    হ্যা ,ব্যাগরাবাবু দের একটুউউউ অসুবিধে হবে ।হয় কী ,বিদেশী টাকা ঢুকেই একটা মাত্র প্রজেক্টে ব্যায় হয়ে গেল ওরকম তো হয়না । প্রচুর সাব-উইং থাকে । যত সাব উইং তত কাঁচা বিল ,তত অডিটে এদিক -ওদিক ,যদিও মেইন অডিট একদম ঝকঝকে। তাছাড়া প্রচুর রাজনৈতিক উস্কানি একটিভিটি এনারা করেন যেগুলো মূল সাইটে/নামে স্বীকার করতে অসুবিধে । দেখা যায় মাথার ওপর একটা বড় সাইট আর তাকে ঘিরে একশোটা ছোটো সাইট এলায়েড । এবার সেগুলোর ও ট্যাহা গুনে দিতে হবে । নইলে কার্য্যক্ষেত্রেও অস্বীকার করতে হবে ।এই জায়গা টাতেই ওনারা ক্ষেপে গ্যাসেন ।
    আর কিছু ভালো দিক আছে সরকারী রেগুলেশন তুলে দেওয়ার । যেগুলো রাজনীতিনির্বিশেষে সকলেই মানবেন বা বুঝবেন। ধরুন আমি একটা স্টুডেন্ট স্পেশাল ট্যাব বের করলুম ।যেখানে একেবারে ওয়ান থেকে টেন ,গ্র্যাড লেভেল এরকম ধরে ধরে সার্ভিস প্যাক দেব । সেখানে কিছুটা উইকিপিদিয়া ,কিছু আরও এডুকেশনাল সাইট সব জুড়ে একটা সার্ভিস প্যাকেজ দিলুম । আপনি এই ট্যাব টা নিশ্চিন্তে আপনার সন্তানের হাতে তুলে দিতে পারেন । আপনি জানেন তাকে কী দিয়েছেন । নেট নিউট্রালিটি না থাকলে উইকিপিডিয়া বা ইন্টারনেট ক্লাসরুম উঠে যাবে এ একেবারেই অসার কথা ।বরং ধরুন আজকে রাজস্থান বা আবুঝ্মার বা ঝারখন্ডের প্রত্যন্ত গ্রামে আমি যখন এই ট্যাব পৌছে দেব আমি অবস্যই চাইবো আমার ট্র্যাফিক রুটে অন্য আবোল-তাবোল সাইট না ঢুকুক । কারণ তাতে আমার বিসনেস ফোকাস নস্ট হবে ,কনসিউমার কে অপটিমাম স্পিডে সার্ভিস দিতে পারবনা ।আবার একটা আইএসপি যখন একটা ভার্জিন বেল্টে গিয়ে ইনফ্রাস্ট্রাকচার এক্সপ্যান করবে অপটিমাম ইউস ধরেই তো করবো। এডুকেশনাল ট্যাব কিনে তাতে কেও অন্য ভিডিও দেখবে বলে নয় ।কাজেই আমার বিসনেস ফোকাস বেটার হলে সার্ভিস বেটার হবে । কনসিউমার ঠিক যেজন্য পয়সা দিচ্চ্ছে সেটাই পাবে । একই কথা মেডিকেল ডিভাইস ,মেডিকাল এপ এর ক্ষেত্রেও খাটে ।খুব দ্রুত সারা ভারতে এগুলো ছড়ানো দরকার । যত বেশি প্যাকেজ বেসড মডেল আসবে তত আমরা এরকম বেটার প্যাকেজ বাস্কেট পাবো । আজ ভারতবর্ষে আইএসপি কোম্পানিরা কোটি মিলিয়ন রোজগার করে এটা যেমন সত্যি তেমনি এটাও সত্যি যে এদের বিসনেসটা লঙ্গরখানা মডেলে চলে এবং সার্ভিস জঘন্য । আজ অবুঝমারে আমি (একটা আইএসপি) হিসেবে ধরা যাক স্মিত্স্ক্লায়ন -এর সঙ্গে জয়েন্ট ভেনচার করে খুব স্পিডি ইন্টারনেট পৌছে দিলুম । মেডিক্যাল -ট্যাব দেবে স্মিত্স ,আমি দেব ইন্টারনেট । এটাই বোঝাপড়া । কো-ইনভেস্টমেন্ট এ প্রজেক্ট ।এবার আমার চ্যানেল টা ডেডিকেতেদ না করে কমন রাখলে কোনদিনই ওই স্মিত্স -এর মেডিকাল এপ কে ম্যাক্সিমাম সার্ভিস দিতে পারবোনা ।অন দি আদার হ্যান্ড , খদ্দের যদি জানে যে সে মেডিক্যাল ট্যাব এর জন্যেই স্পেসিফিকালি পে করছে তাহলে সার্ভিস খারাপ হলেই চেপে ধরতে পারবে ।যে সুযোগ টা এখন নেই । "অমুক সাইট ডাউন আছে" বলে পাশ কাটিয়ে যায় । সেটাই হয়ত আপনার কাজের সাইট । এইযে ক্লারিটি বিটুইন সেলার এন্ড কনসিউমার এটা তখনি সম্ভব যখন প্রপার প্যাকেজ থাকে । আজকের ইন্টারনেট দুনিয়াটা কিন্তু আর "ওয়েবসাইট" সীমাবদ্ধ নয় । ডিভাইস বেসড একটা দুনিয়া যেখানে সেলফ পেইড কাসটমায়সড কনসিউমার রাই ভবিষ্যত এর মার্কেট । কাজেই স্টেট রেগুলেশন তুলে দিলে এবং প্রাইভেট কে নিজের মত প্যাকেজিং এর স্বাধীনতা দিলে আখেরে অনেক লাভ ও হবে । যাঁরা গ্রামে গঞ্জে এডুট্যাব বা মেডিট্যাব ইউস করবেন তাঁদের ওই সার্ভিস টা ভালো করে দরকার । যে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা জেরিয়াত্রিক ডিভাইসের জন্যে মাস গেলে সাবসক্রিপ্ষণ গুনবেন তাঁর শুধু ওই সার্ভিস টাই দরকার ।তিনি হয়ত "কম্পিউটার" চালাতে জানেন ই না । আমি স্মিত্স এর জায়গায় থাকি বা আইএসপি , প্যাকেজ বেসড না হলে রুরাল এরিয়াতে বিসনেস পেনিত্রেসনের জন্যে এত মিলিয়ন ইনভেস্ট করব কেন ? আলটিমেটলি সেইজন্যেই কেও করছেনা এবং রুরাল এরিয়ার মানুষ ওয়েব-বেসড সার্ভিস মডেল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ।

    ভালোয় -মন্দয় একটাই কথা বলার । চেঁচাবার আগে সবদিক দেখুন । কোনো "শেষ কথা" বলে এই দীর্ঘ্য লেখা শেষ করা সম্ভব না ।মার্কেট "শেষ কথা" য় বিশ্বাস করেনা । একই জিনিস সবার জন্যে ভালো হতে পারেনা । সবাইকে প্রতিযোগিতায় নাবার একটা সুযোগ করে দিতে পারে বড়জোর । আর প্রতিযোগিতা মানেই অসম । স্টেট এর হাতে রেগুলেটিং পাওয়ার তুলে দিয়ে সেটা কোনদিন হবার নয় । বরং যেটা জরুরি তা হলো মার্কেটে প্রচুর ডিসরাপটিভ আইডিয়া একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়ার । সেটা হয় যখন একটা ডিসরাপটিভ ইনভেশন এসে সবাইকে চাপের মুখে ফেলে লড়াই তে বাধ্য করে ।পরস্পর লড়াই ।কালেকটিভ কাঁথা সেলাই নয় । আর আমাদের দেশের বাজার নিয়ে আমাদেরকেই ভাবতে হবে ।ওবামা কী বলেচে নয় ।সস্তার স্লো ইন্টারনেট থাকুক । দামী হাই-স্পিড চ্যানেল ও থাকুক । কনসিউমার কোনদিকে কতটা ঝোঁকে দেখাই যাক । সবার আলাদা মার্কেট আছে । শপিং মল হয়ে পাড়ার দোকান বন্ধ হয়না ।বেকার প্যানিক ছরাবেন্না । আর অন্যদিকে ইন্টারনেট ফ্রিডম -সার্ভিস ডেফিনিশন নিয়ে রাইট লিবার্তেরিয়ান দেরও অনেক রাস্তা চলা বাকি আছে ।টেকনোলজি থেমে থাকবেনা ।"রাষ্ট্র" সীমা টা ক্রমশ ভার্চুয়াল হয়ে যাচ্ছে ।তাই চিন্তাভাবনা জরুরি । স্টেট ইন্টারভেনশন দিয়ে ভেড়াপালনের দিন এটলিস্ট টেকনোলজির জগতে আর বেশিদিন নেই ।
  • S | 160.148.14.8 | ২৪ এপ্রিল ২০১৫ ২৩:৩৭673849
  • র‌্যান্ড পল। একক ভাল লোককেই বেছেছেন। ২০১০ সালে যখন র‌্যান্ড পল সেনেটর হবার জন্যে লড়ছিলেন, র‌্যাচেল ম্যাডোর সঙ্গে এক ইন্টার্ভিউতে অনেক বেফাঁস কথা বলে ফেলেছিলেন। র‌্যান্ড পলের বাজারনীতি অনুসারে ক্যাফেটেরিয়া ওনারের অধিকার আছে সে কালো লোকেদের অ্যালাও করবে কিনা। একেবারে প্রাইভেট প্রপার্টির পরাকাষ্ঠা। সেই ইন্টার্ভিউ এর ধাক্কায় কেন্টাকির মত রেড স্টেটেও সেনেট ক্যাম্পেন প্রায় ডিরেল হতে যাচ্ছিল। যাই হোক, ঠেকে শিখেছেন। এতদিন বলতেন আমেরিকার ওয়ার্ল্ড পোলিসিং বন্ধ করবেন এদিকে আবার প্রেসিডেনশিয়াল প্রাইমারির জন্যে ক্যাম্পেন করতে গিয়ে ওবামাকে গাল দিচ্ছেন আইসিসের মোকাবিলা করার জন্যে কমব্যাট ফোর্স কেন পাঠানো হচ্ছে না। কাজেই র‌্যান্ড পলের কথাবার্তা একটু ঝাড়াই বাছাই করে নেবেন। উইথ আ পিঞ্চ অফ সল্ট।
    তবে নেট নিউট্রালিটি নিয়ে আরো লিখুন, পড়ছি।
  • dc | 132.164.239.47 | ২৪ এপ্রিল ২০১৫ ২৩:৪২673850
  • মার্কেট কবে বলেছে সে সবাইকে সাম্য ও গ্যারানটেড লাভ এর ছোলাভাজা বিলোতে বেরিয়েছে ?

    এইটে আমার মনের মতো কথা। কম্পিটিশন ইজ নট ফেয়ার, লাইফ ইজ নট ফেয়ার। নেট নিউট্রালিটির তর্কে এটাই মনে হচ্ছিল যেন ইন্টারনেটকে আইডিয়াল একটা কিছু বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে যেখানে আনএথিকাল ব্যাপারস্যাপার নেই, কম্পিটিটরের পেছনে ছুরি মারা নেই। সেইজন্যই বলছিলাম যে ব্যাবসার নীতি সব জায়গাতে এক, তাই এই চেষ্টা সফল নাও হতে পারে।
  • একক | 24.99.11.207 | ২৪ এপ্রিল ২০১৫ ২৩:৫০673852
  • যেটা নিয়ে কথা হচ্ছে সেটা নিয়ে লিখুন না । ওরকম একশো একটা টপিক আছে প্রাইভেট প্রপার্টি নিয়ে প্রশ্ন তোলার । প্রপার্টি সেন্স থাকলে কনফ্লিক্ট ও থাকবে । আর রাইট লিবার্তেরিয়ান রা কামারাদারি তে বিশ্বাসী নয় । পরস্পর পরস্পরের কথাকে পুরোপুরি সন্দেহের সঙ্গে নেয় । "একটু" না ।
  • k | 212.142.118.41 | ২৫ এপ্রিল ২০১৫ ০০:২২673853
  • আপনাদের গুরুগম্ভীর নেট নিউট্রালিটির মধ্যে অন্য একটা গল্প বলে যাই। সি এম বলেছেন ব্যবসায়ীরা অক্সিজেনের দখল নেয় নি।

    ব্যবসায়ীরা অক্সিজেনের দখল নেয় নি কে বলল? নিয়েছে তো। টোকিও ফোকিও তে তো শুনতে পাই লোকে ক্যানে করে অক্সিজেন কিনে শোঁকে।
    অক্সিজেন তো তবু বেশ একটা মৌলিক পদাত্থ হল। কিন্তু এই যে মশাই শ্বাসবায়ু তা নিয়েও তো রমরম করে বিজনেস চলছে। এটা একটা ফ্যাক্ট যে কলকাতা শহরে ব্রিদিং এয়ারের ভারী অভাব।

    ব্যাপারটা খুলেই বলি তাহলে। গাড়ীর চাকার কথা ভাবছেন তো? হাওয়া চেক করে হাওয়া ভরতে দশ টাকা নিয়ে নেয়। তাই না?
    সে হাওয়া নয়, সে নিতান্তই বিষাক্ত জীবানুপূর্ণ পচা হাওয়া। শ্বাসবায়ু হবার যোগ্যতা তার নেই। শ্বাসবায়ু বা ব্রিদিং এয়ার হল অত্যন্ত বিশুদ্ধ শুষ্ক খাঁটি বাতাস। তাতে প্রাণভরে নিঃশ্বাস নেওয়া চলে। প্রাণের ভয় থাকে না। এমন নয় যে পচা হাওয়ার বদলে গাড়ীর চাকায় শ্বাসবায়ু ব্যাবহার করলে মহাভারত অশুদ্ধ হবে, কিন্তু গাড়ীর চাকা হল মানুষের জুতোর সমতুল্য জিনিস। তাতে কে আর মূল্যবান শ্বাসবায়ু ব্যাবহার করে।
    গাড়ীর চাকার হাওয়া ভরার কম্প্রেসার তো দেখেইছেন। ঠিক তেমনি শ্বাসবায়ু বোতলজাত করার আলাদা কম্প্রেসর কিনতে পাওয়া যায়। ব্রীদিং এয়ার কম্প্রেসর বলে সার্চ মেরে দেখতে পারেন। চাকার হাওয়ার কম্প্রেসরের দাম যদি পঞ্চাশ হাজার টাকা হয় তো একই শক্তির ব্রীদিং এয়ার কম্প্রেসরের দাম অক্লেশে আড়াই লাখ ছোঁবে। একই শক্তি মানে বায়ুমন্ডলের কতগুন চাপে কোন কম্প্রেসর হাওয়া কম্প্রেস করতে পারে তা দিয়ে তার শক্তিবিচার হয়। ইম্পিরিয়াল মতে পি এস আই আর মেট্রিক মতে বার হল তার একক।
    এককদা একবার বলেছিলেন না, যে কোথায় যেন এঁদো পুকুরে স্কুবা ডাইভ করায়। তো সেই রিক্রিয়েশনাল ডুবুরীরা হল এই ব্রিদিং এয়ারের সবচেয়ে বড় খরিদ্দার। এর পরেই বোধহয় আসে বন্দুকবাজরা। কম্পিটিশনের সমস্ত এয়ার রাইফেলে/পিস্তলে এই ব্রিদিং এয়ার ব্যবহার হয়। ওগুলোকে বলে প্রি চার্জড নিউম্যাটিক রাইফেল/পিস্তল বা সংক্ষেপে পিসিপি। (অতিরিক্ত জানকারীর জন্য হুঁকোদার শরণ নিন)
    পিসিপি এয়ার আর্মসে এবং ডুবুরীর ট্যাঙ্কে সাধারনতঃ ৩০০ বার প্রেশার অব্দি ব্রিদিং এয়ার ভরা যায়। ৩০০ বার প্রেশার তোলার হাই প্রেশার লো ভল্যুম কম্প্রেসার অত্যন্ত দামী কারন এগুলো মাল্টি স্টেজ কম্প্রেসর। গাড়ীর চাকায় হাওয়া ভরার মেশিনের মত সাদামাটা চীজ নয়কো। কাজেই ব্রিদিং এয়ার ফিল করতে খরচা পড়ে বেশ। তা গাড়ীর চাকার পাঁচগুনই ধরুন।

    বললাম না কলকাতা শহরে ব্রীদিং এয়ারের ভারী অভাব। সেটা অবশ্য নিতান্ত ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। পুরোপুরি ঠিক নাও হতে পারে। কোথাও হয়ত গড়াগড়ি যায় কিন্তু আমি জানি না তাও হতে পারে। তবে ওই অভাবের ধারনাটা হল কিকরে সে সম্পর্কে আমার অভিজ্ঞতাটি শেয়ার করতে পারি আপনাদের সঙ্গে।

    আমাদের কেলাবে দু দুটি ক্যাপাপী কোম্পানীর হ্যান্ড পাম্প আছে রাইফেলে হাওয়া ভরার জন্য। এগুলো ঠিক সাইকেলে পাম্প দেবার পাম্পের মত দেখতে কিন্তু আদতে এগুলোও মাল্টি স্টেজ। আপনি যখন হাতলটা ওপরে টানছেন এবং যখন নিচের দিকে ঠেলছেন, দু সময়েই এরা কিন্তু হাওয়া কমপ্রেস করে। ফলে ফাইন্যালি চাপ অনেক বেশী হয় সাইকেলের হাত পাম্পের তুলনায়। তাও মনে করবেন না কেউ হ্যান্ড পাম্প দিয়ে ২০০ বার প্রেশার তুলতে পেরেছে রাইফেলে। মেরেকেটে দেড়শো । তিনশো তো স্বপ্ন। মোটামুটি একশ বার প্রেশার তুললেও শ খানেক গুলি ছোঁড়া যায়। প্রেশার যতই কমে আসে ততই গুলি টার্গেটের নিচের দিকে নেমে যায়।
    তা বহুদিন আগে একবার দু দুটো পাম্পই বসে গেল। সাইকেলের পাম্পের মত সস্তা তো নয়, পনের থেকে পঁচিশ হাজারের মধ্যে দাম হয় এক একটার। এদিকে বাচ্চারা বসে আছে গুলি ছুঁড়তে পারছে না। সকলের তো আর নিজের পাম্প নেই, কেলাবের পাম্পই ভরসা। ক্লাব পেসিডেন জানতেন যে আমি একটি আন্ডারওয়াটার কেলাবের পেসিডেন। উনি আমাকে দায়িত্ব দিলেন ডুবুরীর শ্বাসবায়ু ছিনিয়ে এনে ওনাকে অক্সিজেন দেওয়ার, নইলে ওনার পদটি যায় যায়। আমিও আর কি করি, পেসিডেনরা পেসিডেনদের না দেখলে আর কে দেখবে। মনে মনে শুটিং পেসিডেনের মুন্ডুপাত করতে করতে শ্বাসবায়ুর খোঁজে বেরিয়ে পড়লাম।
    আপনারা ভাবছেন আমার আর চিন্তা কি, আমার ডুবো কেলাব থেকে তো চাইলেই বোতল বোতল হাওয়া শুটিং কেলাবের দিকে পাঠিয়ে দিতে পারি। কিন্তু চুপি চুপি বলে রাখি, আমাদের ক্লাবটি তো নিতান্ত কাগুজে, জল হাওয়ার সঙ্গে তার বিন্দুমাত্র সম্পক্কো নেইকো। মাছের সঙ্গে একেবারে সম্পর্ক নেই বলব না, কারন কফি হৌসে তার আসর বসে আন্ডার ওয়াটারের অনারে আন্ডার সঙ্গে প্রচুর মত্সাঙ্গুলি অর্থাত ফিশ ফিঙ্গার সেবন করা হয়। মেম্বারে মেম্বারে তীব্র মতানৈক্য হলে কখনো সখনো কোন কোন এজিএমে ফিশ্ ফ্রাইও অর্ডার করা হয়েছে। তাতে মন্ত্রের মত কাজ হয়।
    কিন্তু শুটিং কেলাবের পেসিডেনকে তো ফিশ ফ্রাই এ কাবু করা যাবে না, কিছু কাজ করে দেখাতে হবে। প্রথমে ভাবলাম সেনাবাহিনীর কাছে যাই। একটু ভয়ও করল কারন হাওয়া বন্দুকের হাওয়া চাইতে গেলে যদি ওরা আগুনে বন্দুকের স্কোয়াডের সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়। সাত পাঁচ ভেবে পিনাকীদার সী এক্সপ্লোরারেই যাওয়া ঠিক করলাম। ওরা শুনেটুনে বললেন, আপনাকে আর কি বলব, আমরা ১৫ লিটারের সিলিন্ডার ২০০ বার প্রেশারে এক সিলিন্ডার হাওয়ার দাম নেই ৬০০ টাকা আপনার কাছে আর কি নেব। নাহয় ৪০০ টাকাই দেবেন। রাইফেল ক্লাব আমাদের কাছে সরাসরি এলে ৮০০ টাকা চাইতাম পার সিলিন্ডার। শুনে আমার তো উল্টে পড়ার যোগাড়। বলে কি! ২০ টাকার হাওয়া, মেরেকেটে ৩০ টাকা, বলে কি চারশো। আমি তো কোনরকমে বাড়ি ফিরে এলাম। আমাদের ক্লাব পেসিডেন হাওয়ার দাম শুনে হার্ট ফেল করতে বাকি রেখেছিলেন। তিন দিনের মধ্যে ক্যাপাপীর মূষিকদুটো ঠিক হয়ে গিয়েছিল।

    কলকাতা শহরে ব্রীদিং এয়ারের এখনো প্রায় একই অবস্থা। পরে বাবলস এন্ড ফান বলে একটা রিক্রিয়েশনাল ডাইভশপ খুলেছিল। তাদের সঙ্গে কিঞ্চিত পরিচয়ও আছে। কিন্তু হাওয়ার দাম আলাদা করে জিজ্ঞেস করতে আর সাহস পাই নি। ঠিক করেছি বুড়ো বয়সে কলকাতায় শ্বাসবায়ু বেচব। নিজে না বানাই মিডলম্যান হব। পার বোতল দুশো টাকা কমিশন মারে কে। জল হাওয়া দিনের আলো, জলের ওপর আলোর ঝিকিমিকি সব নিয়েই বিজনেস চলে।
  • একক | 24.99.180.196 | ২৫ এপ্রিল ২০১৫ ০০:৪৩673854
  • কাস্টমাইসড ব্রিদিং এয়ার তো একশবার প্রাইভেট প্রপার্টি । ঘটনা হচ্ছে "শুদ্ধ ব্রিদিং এয়ার" এর পারামিটার ঠিক্করা বেশ মুশকিল । গ্যাস-এরোসল থেকে শুরু করে আপনার জেনেরাল ইমিউনিটি লেভেল ঠিক রাখার জন্যে ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি কতটা কী থাকবে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ । যদি ব্যাপারটা নিয়ে সিরিয়াস হন তাহলে বিভিন্ন রকম এইলমেন্ট কন্ডিশনে আইডিয়াল বৃদিং এয়ার কী হতে পারে সেটা আগে জেনে কিছু প্যাকেজ সেট করে ফেলুন । খুবই ভালো ব্যবসা :)
  • k | 212.142.118.41 | ২৫ এপ্রিল ২০১৫ ০০:৪৮673855
  • হ্যাঁ এককদা আপনার লেখাতেও দেখলাম তো। একবার বটলিং করে ফেলতে পারলেই প্রাইভেট প্রপার্টি। আমার পোস্টের ও ওই একই বক্তব্য। :)
  • | ২৫ এপ্রিল ২০১৫ ১০:০২673856
  • সেই নেসলেবাবু যেমন জল নিয়ে বলেছিলেন, জল কারো অধিকার নয়, ওয়াঁরা বোতলে ভরে বেচবেন, সেই অধিকার দেওয়া হোক।
  • dc | 132.164.14.213 | ২৫ এপ্রিল ২০১৫ ১০:১৭673857
  • অন্য টই থেকে বিপ বাবুর একটা পোস্ট এখানে কপি করে দিলামঃ
    -----------------
    নেট নিউট্রালিটি নিয়ে বাজারে প্রচুর আওয়াজ! মজার ব্যপার হলো, বর্তমান ইন্টারনেটেই নেট নিউট্রালিটি নেই । না সব বাইট ইক্যুয়াল না । গুগল বা আমাজনের বাইট -আপনি সবার আগে পাবেন। কারন কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক, পেয়ারিং, ডিস্ট্রিবিউটেড প্রসেসিং এবং ডেটাবেসের দৌলতে-বা এদের কম্বাইন্ড এফেক্টে গুগল, ফেসবুক, আমাজন এদের বাইট সবার আগে আসবে আপনার কাছে-যদি চান অফকর্স। সব থেকে বড় কথা-এই যে ফেবুকার এক্টিভিস্ট গুলো এত বড় বড় কথা বলছে -ফেসবুকের বাইটকে অগ্রাধিকার না দিলে বা তার ব্যবস্থা না করলে -এই যে রিয়াল টাইমে ডিসকাসন , চ্যাটিং-সেগুলোর ক্ষেত্রে প্রেমিকাকে একটা চুমু দেওয়ার পরে, তার চ্যাট মেসেজ আসতে দশ মিনিট দেরী হলে, আপনি কি ফেসবুককে আর ভালোবাসবেন ?

    গুগল, ফেবুক, আমাজন যা পারফর্মান্স দেয়-সেটা ওই ইউটোপিয়ান নেট নিউট্রালিটি মডেলে সম্ভব না -টেকনিক্যালি পসিবল না ।

    বেসিক্যালি সমস্যাটা সেখানে না । টেলিকম বিজনেসের একটা স্যাড, খুব দুঃখজনক দিক থেকে এই নয়েজটা আসছে। এই যে ধরুন আপনি মাসে ১০০০ টাকা ইন্টারনেট বিল দিচ্ছেন- বা ১২০০ টাকাতে ডেটাপ্ল্যান নিয়েছেন-এই টাকাটা কে পায়? এটা কি ভারতে এয়ারটেল আর আমেরিকাতে ভ্যরাইজেন পাচ্ছে? ওপর থেকে সেটা দেখতে মনে হয় কারন-টাকাটা ওরাই নিচ্ছে। কিন্ত বাস্তবে ওই টাকার বড় অংশ চলে যায় ফাইবার অপ্টিক্সে রিয়ালস্টেট ফি, স্পেক্ট্রাম লাইসেন্স ফি দিতে। ফলে ক্যারিয়ারা বিজনেস বাড়াতে পারছে না খুব বেশী। এতে ইকুইপমেন্ট ম্যানুফাকচারারা পাতি শুয়ে গেছে। আমি আমার চাকরি জীবনের ৭০% এই টেলিকম ইকুইপমেন্টে কাটিয়েছি। বর্তমানে সেখানে আবিস্কারের গতি একদম থেমে গেছে।

    অথচ পৃথিবীতে গত দুই দশকে সব থেকে চমকপ্রদ আবিস্কার এবং প্রগতি হয়েছে টেলিকমে যার দরুন পৃথিবীটাই বদলে গেছে। কিন্ত যাদের আবিস্কার এবং গবেষনার জন্য এগুলো সম্ভব হল, তারা এর থেকে কিস্যু পায় নি। টাকা লুঠেছে এবং লুঠছে যারা মাটির মধ্যে ফাইবার অপটিকের কেবল পুঁতেছে। আর গুগল, ফেসবুকের মতন কোম্পানী যারা এই ইন্টারনেট পরিশেবা ব্যবহার করে বিশাল হয়েছে। টেলিকম ক্যারিয়াররা নামেই রেভিনিউ বাড়িয়েছে। লাভ খুব বেশী হয় না ক্যারিয়ার বিজনেস থেকে।

    অনেকের ধারনা, তারা ইন্টারনেটের বিল পে করেন -এতেব ইন্টারনেটের বাইট বহনের সব খরচ, তারাই বহন করেন। এটা বিরাট ভুল ধারনা। তারা শুধু বাইটটির লাস্ট মাইলের বিল পে করেন। ইনফ্যাক্ট একটা সার্ভার থেকে একটা বাইট যখন আপনার কম্পিঊটারে পৌছাচ্ছে, আপনি তার ২০% বিল মোটে পে করছেন। বাইটগুলো লংডিসটান্স ট্রাভেলের বিলটি কিন্ত সেই ফেসবুক বা ওয়েবসাইটটিই পে করছে। ব্যাপারটা এমন -একটা প্যাকেট মুম্বাই থেকে মেমারীতে আসছে। মুম্বাই থেকে কোলকতার ফেয়ারটা বিক্রেতা কোম্পানী দিচ্ছে। বাকীটা দিচ্ছে ক্রেতা।

    ফলে টেলিকম ক্যারিয়াররা লবি করবেই-যাতে তারা আরোবেশী করে লিগ্যালি আরো সহজে আমাজন বা ফেসবুকের মতন ফাস্ট লেইন তৈরী করতে পারে। আমার মতে সেটা ভাল । কারন সেক্ষেত্রে বরং আমাজন বা গুগলকে প্রতিযোগিতা দেওয়ার মতন কোম্পানী তৈরী হবে। নেট নিউট্রালিটি বেসিক্যালি গুগল বা ফেসবুকের মতন কোম্পানীগুলো দাবী করে। কারন এতে তাদের সুবিধা। তারা অনেক কম খরচে বেশী বাইট পাঠাতে পারছে। লাস্ট মাইলে। নেট নিউট্রালিটি উঠে গেলে, ইউটিউব সবার আগে বন্ধ হবে। কারন ইউটিউব প্রায় সর্বত্র ব্যান্ডউইথের ৭৫% খায়, অথচ তার জন্য গুগলকে এক্সট্রা পে করতে হয় না । এতে অন্যান্য পরিশেবার ক্ষতি হয়। বর্তমানে আই ও টি আসছে। এই ভেঙে পড়া ইন্টারনেট ইনফ্রাস্ট্রাকচারের ওপরে মেশিন ডাটা জুরে দিলে, সব কিছু বসে যাবার চান্স আরো প্রবল। কারন মেশিন ডাটা হিউমান জেনারেট ডেটার থেকে আরো বেশী হবে।

    প্রযুক্তির মধ্যে রাজনীতি ঢোকানো উচিত না । এতে প্রগতির আরো দুর্গতি হবে।
  • Bhagidaar | 218.107.71.70 | ২৭ এপ্রিল ২০১৫ ০৫:৩৩673858
  • তুললাম
  • শ্রী সদা | 113.19.212.22 | ২৭ এপ্রিল ২০১৫ ১৭:২০673861
  • পাইদি কে ট্যাগালুম। সরকারী হাতে টেক সংস্থা থাকলে কী হয় :P
  • Sayantani | 126.203.169.163 | ২৮ এপ্রিল ২০১৫ ০৪:৩০673863
  • আমার মতে ট্রাই ইচ্ছে করেই করেছে!!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন