এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • achintyarup | 69.93.197.207 | ১৬ জুন ২০১৪ ০৩:৩৪642289
  • খুঁটিনাটি সব ভুলে যাওয়ার আগে এখানে লিখে রাখি বাবা! বলা তো যায় না, কখন টপ করে কী হয়ে যায়। তখন হয় তো চেষ্টা করেও কিচ্ছুই মনে পড়বে না। আসলে, সব কথা তো সব জায়গায় বলা যায় না। খবরের কাগজে লিখতে গেলে যেমন একেবারে সব মেপেজুপে, জায়গা হিসেব করে, যেখানকারটা ঠিক সেখেনে, বাড়তি কথা, গুলগল্পগুজব সব ছেঁটে, কেজো মতো লিখতে হয়। সে খুব একটা আনন্দের ব্যাপার নয়। দু চাট্টে বাজে কথা বলতে তো ইচ্ছেই হয় মাঝে মাঝে। সব লোক তো আর এক রকম হয় না। কেউ কাজের কথা বলে, কেউ বাজে কথা বলে। সংসারে কেউ আসে বেচতে, কেউ আসে কিনতে, আর কেউ আসে খামোখা চারটে ফালতু বকবক করতে। দেখো দেখি, এখানে সেখানে কত কিছু কুড়িয়ে পাওয়া যায়। আগের লাইনখানা আমি পেয়েছিলুম গাঁয়ের এক লিখতে পড়তে না-জানা মানুষের কাছ থেকে। নদীর ধারে, চড়া রোদ্দুরে গাছের একটুকখানি ছায়া ভাগ করে দাঁড়িয়ে। সেই লাইন এখানে সেখানে কতবার লিখলুম। তাও সুযোগ পেলেই আবার লিখতে ইচ্ছে করে।
  • achintyarup | 69.93.197.207 | ১৬ জুন ২০১৪ ০৪:৪৯642300
  • ভাবতে বেশ মজা লাগছে এখন। টেনশনে চক্রবর্তীদার মেজাজ একেবারে সপ্তমে। আমার ততটা তাপ-উত্তাপ নেই কিন্তু। শুধু মেজাজটা একটু খিঁচড়ে আছে। আর স্টিয়ারিং ধরে গজগজ করে যাচ্ছেন চক্রবর্তীদা। এই তো অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে, আরও কতটা যেতে হবে কে জানে। এই অন্ধকারে গিয়ে তো ছবিই তুলতে পারবেন না আপনি। এই জন্যেই বলে শালা ইউপি।

    বলছেন আর এবড়ো খেবড়ো রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছেন। খানিক পর থেমে থেমে লোককে জিগ্যেস করা হচ্ছে, আচ্ছা, দওণ্ডিয়া খেড়া কত দূরে? কেউ বলছে, এই তো, সামনে, আর পাঁচ কিলোমিটার। কেউ বলছে, সে তো অনেক দূর! এখনও অনেক সময় লাগবে।

    কানপুর-লখনৌ হাইওয়ে ছেড়ে ডানদিকে যখন বাঁক নিয়েছিলুম, তখনও বেশ বিকেল। মোড়ের খানিক আগে রাস্তার ধারে গাড়ি সারানোর ছোট্ট গ্যারাজে বলেছিল, এই তো সামনে, বেশি দূরে নয়। কত কিলোমিটার হবে, জিগ্যেস করাতে বলেছিল, কত আর হবে, সেখানে যাইনি কখনো, বড়জোর কিলোমিটার নয়েক। দশ নয়, আট নয়, ন কিলোমিটারই কেন বলেছিল কে জানে। কিন্তু তার পর থেকে প্রায় তিরিশ কিলোমিটার রাস্তা পার হয়ে এসেছি। এক গ্রাম থেকে আর এক গ্রাম, গঞ্জ থেকে বাজার, যাকেই প্রশ্ন করি, ঠিক করে বলতে পারে না কেউই। রাস্তার ধারে মাঝে মাঝে দোকান দেখতে পেয়ে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন চক্রবর্তীদা। ও দাদা, বিয়ার নেবেন বলেছিলেন যে! ওই তো লেখা আছে, ভয়ঙ্কর ঠাণ্ডি বিয়ার। বলি, ফেরার সময় নিয়ে নেবখন। তখন কি আর জানি, কী লেখা আছে কপালে।

    চক্রবর্তীদা কিন্তু দমেন না। পরের গঞ্জটায় এসেই আবার বলেন, ও দাদা, এই যে এখানে বোর্ডে লেখা, ঘনঘোর ঠাণ্ডি বিয়ার। তাঁকে নিরস্ত করি। বলি, কাজে যাচ্ছি কিনা, তাই এখন নয়, ফেরার পথেই কিনে নেব। দোকান তো আর উঠে যাচ্ছে না। দাদা বাঁকা হাসেন। বলেন, সে জায়গায় পৌঁছন তো আগে! তার পরে তো ফেরার কথা।

    চক্রবর্তীদার গাড়ি আমি ভাড়া নিয়েছি দিল্লি থেকে। সেখান থেকে আলিগড় হয়ে, ঝাঁসি হয়ে, ফতেপুর হয়ে, কানপুর-বেহমাই-উন্নাও-রায়বেরিলি-আমেঠি হয়ে লখনৌ... দু হপ্তার ধাক্কা। আজ তার চতুর্থ দিন। ভোর ছটায় কানপুর থেকে রওয়ানা হয়ে কানপুর দেহাত-বেহমাই ঘুরে, সারা দুপুর সেখানে যমুনাপারের বিহড়ের ধুলো খেয়ে এখন যাচ্ছি দওণ্ডিয়া খেড়ায়।
  • lobenchush | 118.36.241.24 | ১৬ জুন ২০১৪ ০৭:৫৮642309
  • হ্যাঁ হ্যাঁ ভুলে যাবার আগেই চট্পট সব লিখে রাখা ভাল, যা সব দিনকাল - এই রোদ তো এই না-রোদ।
  • sosen | 127.194.192.49 | ১৬ জুন ২০১৪ ০৯:০২642310
  • তাপ্পর, তাপ্পর?
  • a x | 138.249.1.206 | ১৬ জুন ২০১৪ ২২:৫৩642311
  • আর কতক্ষণ ধরে যাবে রে বাবা!
  • kumu | 52.104.24.2 | ১৭ জুন ২০১৪ ০৯:৪৩642312
  • অগর ইস টই ভী নটবরগতি প্রাপ্ত হুয়া তো মুঝসে বুরা কোঈ নেহী হোগা।
  • quark | 24.139.199.12 | ১৭ জুন ২০১৪ ১১:২১642313
  • সত্যি! ছোটবেলায় দাদুর পাশে শুলে গল্প বলত। বলতে বলতে যখন ঘুম পেত তখনই রাজকুমারের ঘোড়ায় চড়ে কোথাও একটা যাওয়া দরকার হ'ত। তারপর - "এখন যাচ্ছে, ঘুমিয়ে পড় দাদুভাই, আগে পৌঁছক তারপর আবার কাল"।
  • nina | 78.37.233.36 | ১৮ জুন ২০১৪ ০৩:৪৭642314
  • চিন্টুবাবুর লেখা নটবর গতি প্রাপ্ত হবেই হবে--কেউ আটকাতে পারবেনা--শুরু হবে শেষ না হওয়ার জন্যেই--ব্যাস গালে দিয়ে বসে থাক সবে----------
  • achintyarup | 69.93.247.143 | ১৮ জুন ২০১৪ ০৪:২৫642315
  • গরম যথেষ্ট। কিন্তু একটানা তো গাড়ির এসি চালিয়ে রাখা যায় না। সিগারেট খেতে হয়, জানালা খুলতে হয়। আর সেইটুকুতেই ধুলোয় ভরে যায় মাথা-মুখ। ঘামে ভিজে যায় জামা। ফের এসি চললে গলার কাছে নুন জমে। হাত দিলে খড়খড়ে লাগে।

    রাস্তার অবস্থা না বলাই ভাল। প্রায় চষা ক্ষেতের মতো। তার ওপর দিয়ে গাড্ডা বাঁচিয়ে চলার চেষ্টা করছেন চক্রবর্তীদা। কুড়ি থেকে তিরিশ কিলোমিটার স্পিডে চলছে গাড়ি। পাশ দিয়ে মোটরসাইকেল ভটভট করে চলে যায়। দওণ্ডিয়া খেড়া কতদূরে? মাথা নাড়েন মোটরসাইকেল চালক। জানা নেই তাঁর। রাস্তা ঘেঁষে সার দেওয়া গাছ। কতকালের পুরোনো কে জানে। দুধারে যতদূর চোখ যায় গেঁহু ক্ষেত। ফসল কাটা শুরু হয়েছে। এই সন্ধের মুখে অবশ্য মাঠে কেউ নেই। একটা দুটো গ্রাম চোখে পড়ে দূরে দূরে। টিমটিম করে একটা দুটো আলো। ছোট্ট দোকান, কুণ্ডলী পাকানো কুকুর, ঝুপসি গাছ, একটা মন্দির। মন্দিরগুলো একটু অন্য রকম এখানে। চূড়োটা নক্সা-কাটা শঙ্কুর আকারের। খাড়াই উঠে গিয়ে শেষ হয়েছে একটা ত্রিশূলে। মূল চূড়োটাকে ঘিরে ধাপে ধাপে আরও অনেকগুলো ছোট্ট ছোট্ট চূড়ো। বেশ দেখতে।

    টিমটিমে আলো-জ্বলা গাঁ-গঞ্জগুলোকে দেখতে দেখতে মনে হয় সেপাই যুদ্ধের সময় দারুণ ঝড় সইতে হয়েছে এই জায়গাগুলোকে। আমার চোখের সামনের এই মাঠ পেরিয়ে চাপাটির মধ্যে করে খবর চালাচালি হয়েছে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে, যে পথ দিয়ে আমি যাচ্ছি, হয়তো সেই পথেই ফিরিঙ্গি সেনাদের ঘোড়া খটাখট খুরের শব্দ তুলে ছুটে গেছে। মনে হয়, চক্রবর্তীর গাড়ির জানালা দিয়ে মুখ বাড়ালেই এক্ষুণি দেখতে পাব গোরা সৈনিকের লাল টিউনিক, তার ঘামে ভেজা ঘোড়ার ফুলে ওঠা নাকের পাটা। চলার তালে তালে উঠছে পড়ছে চামরের মতো ঝাপুর ঝুপুর লেজ।
  • kiki | 122.79.39.77 | ১৮ জুন ২০১৪ ১২:২৫642290
  • চিন্টুবাবু দমাস করে থেমে যাসনে, নিঃশ্বাস চেপে বসে আছি। ঃ)
  • nina | 78.37.233.36 | ২০ জুন ২০১৪ ০৫:২৫642291
  • আর থেমে যাসনি---নটবর গতি প্রাপ্ত হয়ে গেল বোধহয় :-((((
  • achintyarup | 24.99.94.174 | ২১ জুন ২০১৪ ০৪:১৯642292
  • পথ চলেছে পথের মনে। আমরা তাকে ফলো করি। আলো কমে এসেছে, হেডলাইট জ্বালাতে হয়। এক গাঁয়ে ফের জিজ্ঞাসা করা হয়, কোন দিক দিয়ে যাব গো দওণ্ডিয়া খেড়া? ওই যে সেই গাঁ, যেখানে সোনার জন্য খোঁড়াখুঁড়ি হয়েছিল, সেই গাঁয়ে যেতে চাই আমরা। নির্বিকল্প মুখে বৃদ্ধ এক হাত দিয়ে ইশারা করেন। যেদিকে আমরা যাচ্ছি, সেইদিকেই। বলেন সামনে খানিক দূর গেলেই ডানদিকে এক বাঁধানো নহর পড়বে। সেই নহরের পাড় বরাবর গেলেই দওণ্ডিয়া খেড়া। কিন্তু সে বাপু অনেক দূরের পথ। লম্বা রাস্তা। তা হোক। যেতে তো হবেই। এত দূরে এসে তো আর ফিরে যাওয়া যায় না। ঝকাং ঝকাং করতে করতে গাড়ি চলে। পাকা নহর যাতে নজর না এড়িয়ে যায়, গাড়ির ডানদিকের জানালা দিয়ে গলা বাড়িয়ে রাখি তাই। চলতে চলতে অবশেষে এক জায়গায় এসে গাছ-গাছালি ফাঁকা হল যেন খানিকটা। মনে হল একটা সরু খাল দেখা যাচ্ছে। গাড়ি ডাইনে বাঁক নেয়।

    খাল পাকা, সন্দেহ নেই, কিন্তু খালের পাশ বরাবর যে রাস্তা সে আদৌ পাকা নয়। সত্যি কথা বলতে কি রাস্তাই নেই কোনো। আলপথ বলাই ভাল। খাল কাটার সময় পাশে যে মাটি তুলে রাখা হয়েছিল, তার ওপর দিয়েই টলমল করে চলেছে গাড়ি।

    বলতে ভুলেছি, দিনের আলো নিভে গিয়েছিল বটে, কিন্তু একখানা আধখাওয়া চাঁদ উঠেছিল গগনে। তার ফ্যাকাশে আলোয় চারদিক আরও অন্ধকার লাগে। ভূতুড়ে চেহারা নিয়ে চেয়ে থাকে আশেপাশের ঝোপঝাড়। যেন এই ঝোপগুলির পরে আর কিছু নেই, এখানেই শেষ হয়ে গেছে পৃথিবী। আছে শুধু সামনের এই ভাঙাচোরা পথ, আর কোথাও অনেক নিচে এক পাক্কি নহর-- যাকে দেখা যায় না, শুধু কলকল আওয়াজটুকু কানে আসে।

    রাস্তা এমনই যে উল্টোদিক থেকে একখানা সাইকেল এলেও পাশ দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। গাড়ি তো আর পথ ছেড়ে নামতে পারে না, সাইকেল চালককেই রাস্তার পাশের ঢাল দিয়ে খানিক নেমে পাশ কাটিয়ে যেতে হয়। যাওয়ার আগে সে বলে যায়, এই দিক দিয়ে গেলে বহুক্ষণ লাগবে পৌঁছতে। তার চেয়ে আগে একটা সরু সাঁকো আছে। সেইটে পেরিয়ে ডানদিকে গাঁ-গেরামের ভেতর দিয়ে যাওয়াই ভালো। খানিক দূর এগোলে এমনকি পিচ রাস্তাও পাওয়া যাবে, এমনই সে আশ্বাস দিল।
  • kiki | 122.79.37.72 | ২১ জুন ২০১৪ ১০:৫৮642293
  • কিন্তু , ইয়ে, চাঁদকে কে খেয়ে ফেললো রে?
  • kumu | 52.104.27.172 | ২১ জুন ২০১৪ ১১:২৬642294
  • বাবা কী জায়গা!!খাওয়াদাওয়া কখন হবে?অ চিন্টুবাবু!!
  • kiki | 122.79.37.72 | ২১ জুন ২০১৪ ১১:২৯642296
  • দেখো টা দেখি হয়ে গেলো। ধুস!!
  • kiki | 122.79.37.72 | ২১ জুন ২০১৪ ১১:২৯642295
  • এমনকি বিয়ার ও কেনেনি। :P , ওরে চাট্টি কেক বিস্কুট কিনেছিলিস? জল? খালের জল কি খাওয়া যায়! দেখি দিকি কুমু!

    ঐ ওঠ ঘুম থেকে, এগ্গাদা মানুষকে চিন্তায় ফেলে....................
  • sosen | 111.63.161.146 | ২১ জুন ২০১৪ ১৩:৩১642297
  • ছবিগুলো দিলে মন্দ হয়না------সাথে সাথে
    এতটুক করে ল্যাখেন ক্যান? হ্যাঁ?
  • nina | 78.37.233.36 | ২১ জুন ২০১৪ ২১:৩৪642298
  • সত্যি চিন্টুববু এমন দুম করে থেমে যায়----ওরে বল তাপ্পর কি হল---
  • achintyarup | 69.93.243.58 | ২২ জুন ২০১৪ ০২:৩৯642299
  • আজ আর লেখার শক্তি নাই, তাই সেদিন দুপুরে যেখেনে গিয়েছিলুম, সেখানকার গল্প লেখা লিঙ্ক রেখে যাই। এ গল্প খবরের কাগচের জন্য লিখেছিলুম।

    http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=10796&boxid=142543921
  • kiki | 122.79.37.145 | ২২ জুন ২০১৪ ১১:০৭642301
  • ঃ(
  • nina | 78.37.233.36 | ২৩ জুন ২০১৪ ০১:১৫642302
  • চিন্টুববু
    ধন্যযোগ এই লিংকটি দেবার জন্যে---পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল---এই এত আধুনিক সময়ের মাঝে কি অতল অন্ধকারে ডোবা কত কিছু -- হায় !
  • kumu | 52.104.26.24 | ২৯ জুন ২০১৪ ১৯:০৭642303
  • তুলে রাখি।
  • achintyarup | 127.99.44.230 | ২৯ জুন ২০১৪ ২১:২৪642304
  • লেখা আসে না যে কুমুদিদি :(
    মন বড় অবাধ্য
  • achintyarup | 69.93.254.4 | ০৬ জুলাই ২০১৪ ০১:১৬642305
  • দুপুরে যেখানে গিয়েছিলাম, বেহমাইয়ে, সেখান থেকে ঘণ্টা দেড়েকের পথ ছিল বাইরি সওয়াই। যাওয়া উচিত ছিল। সেখানে শোভন মন্দির। তবে গেলেই যে সে মন্দিরের মহারাজ দেখা করবেন, তার কোনও স্থিরতা নেই। গান্ধী সিং বললেন, আগে থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার একটা চেষ্টা করা যেত জানা থাকলে। আমি আসলে ভাবিইনি শোভন সরকারের সঙ্গে দেখা করার কথা। সন্ত শোভন সরকার। বাবাজির সঙ্গে আলাপটা হয়ে গেলে মন্দ হত না। তিনি স্বপ্ন দেখার পরেই কিনা সরকার মাটি খুঁড়ে হাজার টন সোনা বের করার চেষ্টা করেছিল দওণ্ডিয়া খেড়ায়।

    বাবাজিকে নিয়ে গল্পের শেষ নেই। সোনার স্ব্প্ন দেখা মনে হয় ভদ্রলোকের স্বভাব। গত বছরের অক্টোবরে এগারো দিন ধরে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে যখন খোঁড়াখুঁড়ি করছিল দওণ্ডিয়া খেড়ারতে, সেই সময়েই ফের স্বপ্ন দেখলেন বাবাজি। বললেন, এবার জেনেছেন ফতেপুর জেলার আদমপুর গাঁয়ে সোনা আছে মাটির তলায়। আড়াই হাজার টন। ধানবাদের ইন্ডিয়ান স্কুল অব মাইনস আর আইআইটি কানপুর নাকি প্রিলিমিনারি সার্ভে করে তার প্রমাণও পেয়েছে। বাবাজি সেখানে নিজের খরচে মাটি খোঁড়াতে চান। এলাহাবাদ হাইকোর্টে দরখাস্ত করে বললেন, কোর্ট যেন উত্তরপ্রদেশ সরকারকে সে খোঁড়াখুঁড়ির অনুমতি দেওয়ার নির্দেশ দেয়। আদালত এ সংক্রান্ত অর্ডার রিজার্ভ রেখেছে। কিন্তু রাতারাতি সেখানকার গঙ্গার ঘাটের শিবমন্দিরের মেঝেতে চার ফুট গভীর গর্ত খুঁড়ে ফেলেছিল চোর-ডাকাতরা। মন্দিরের কাছে এক কুঁড়েতে থাকেন মহান্ত মোহনদাস। চোর ধরতে গিয়ে বন্দুকের মুখে পড়তে হল তাঁকে। কোথাও কোথাও খবরের কাগজে বেরোল এসব গল্প, কোথাও বেরোল না। ভারতের হৃদয়স্থল এমনি ইন্টারেস্টিং জায়গা, সেখানে যে কত গল্প রোজ তৈরি হয়, আবার রোজ চাপা পড়ে যায়, কে তার হিসেব রাখে।

    এই যেমন শোভন সরকারের কথাই ধর। ভদ্রলোককে চোখে দেখিনি, ছবিতে দেখেছি, ইয়া লম্বা-চওড়া, বুকের ছাতির মাপে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে পাল্লা দেন, মাথায় জটা, লম্বা সাদা দাড়ি, সহজে গিয়ে দেখাই করা যায় না তাঁর সঙ্গে। ২০০৩ সালে তাঁর আশ্রমে তিন তিনটে লোক যখন বেমালুম খুন হয়ে গেল, পুলিশ এমনকি এফআইআর পর্যন্ত নিলে না। কেউ কিচ্ছু করতে পারল? পারল না। পরে যখন মিডিয়াওয়ালারা খোঁজ করতে গেল, পুলিশ বলল, আরে মশাই, এসব পুরোনো মড়া ঘেঁটে কী করবেন? তারপরের কথা আমি আর শ্যামলালকে জিগ্যেস করিনি।

    আর এখন তো খুবই মুশকিল বাবাজির দেখা পাওয়া। ভদ্দরলোকের নিজের মা আর ভাই পর্যন্ত একবার দেখা করতে গিয়ে ফিরে এসেছিলেন। ছিয়াশি বছরের মা এখনও বেঁচে, তাঁদের শুক্লনপুখা গ্রামের বাড়িতে। কানপুর থেকে কিলোমিটার পঁচিশ দূরে। সেই গাঁয়েই কৈলাশ নারায়ণ তিওয়ারির বাড়িতে জন্মেছিলেন বাবাজি। তখন তাঁর নাম ছিল সূর্যভান। ইস্কুল-কলেজেও গিয়েছিলেন। মন্ধনা ইন্টার কলেজে বারো ক্লাস পর্যন্ত পড়াশুনো করেছেন। কিন্তু পড়ায় তাঁর মন ছিল না। কলেজে গিয়েও সেখানকার এক মন্দিরে বসে থাকতেন সারাদিন। ভগবানের কথা ভাবতেন। ফলে কলেজের গণ্ডী পেরোনো যখন আর হয়ে উঠল না, শেষমেশ গৃহত্যাগই করলেন। দওণ্ডিয়া খেড়ার কাছে এক জায়াগা আছে, বক্সার। কেউ বলে, আসল নাম বাগসর, লোকের মুখে মুখে পাল্টে গিয়ে বক্সার হয়েছে, কেউ বলে রাজা রাও রাম বক্স সিং-এর নামেই সে জায়গার নাম বক্সার। (সেই বক্সার চওকে প্রায় মধ্যরাতে হেডলাইটের আলোয় দেখেছি রাজা রাম বক্সের কালো পাথরের মূর্তি, গলায় গাঁদাফুলের মালা।) যাই হোক, শুক্লনপুখা থেকে বক্সারে এসে দীক্ষা নিলেন সূর্যভান, দীক্ষাদাতা গুরু তাঁর নাম দিলেন উদয়ভান। তারপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বারে বারে পাল্টে গেছে নাম। বাইরি সওয়াইয়ে এসে শোভন মন্দিরে এসে ঘাঁটি গেড়ে যখন বসালেন, তখন তাঁর নাম হল শোভন সরকার। দেশ বিদেশের লোক নাম জানার পর এখন তিনি দোর্দণ্ডপ্রতাপ সাধু।
  • kiki | 127.194.69.221 | ০৬ জুলাই ২০১৪ ০৮:০৮642306
  • বোঝো!
  • sosen | 125.241.26.35 | ০৬ জুলাই ২০১৪ ১১:০৭642307
  • হ্যাঁ , সত্যিই "বোঝো" ! আর আমি ভাবলুম শোভন সরকার বুঝি বাঙ্গালী।
    এইটুকুন করে লেখেন কেন মশাই, বড্ড কিপটে তো!
  • achintyarup | 69.93.244.57 | ০৭ জুলাই ২০১৪ ০২:২৭642308
  • একটা পুরোনো গল্প বলি। গল্পটা সবার জানা, গুগলে সার্চ দিলে কয়েক লক্ষ পাতা ফুটে উঠবে কম্পুটারের স্ক্রিনে, তাও একবার বলতে ইচ্ছে হয় এখানে। মার্কিন দেশের ক্যালিফোর্নিয়ার গল্প। সেখানকার সাক্রামেন্টো ভ্যালিতে একটা করাতকল বানানোর কাজ করছিল ছত্তিরিশ বছর বয়সী জেমস মার্শাল। আমেরিকান নদীর একেবারে পাশেই কাজ হচ্ছিল। কোলোমা গাঁয়ে। দিনের কাজ শেষে প্রতিদিন খাত কেটে নদীর স্রোতের ধারা একটু ঘুরিয়ে দিয়ে যেত মার্শাল, যাতে ঝড়তি পড়তি কাঠকুটো সব জলে ভেসে যায়, সাফসুতরো থাকে কাজের জায়্গাটা। এমনি চলছিল। হঠাৎই, জানুয়ারি মাসের এক সকালে বদলে গেল সবকিছু। আগের দিন যে খাত দিয়ে নদীর জল বইয়ে দিয়েছিল, মার্শালের চোখে পড়ল সেই খাতের মাটির মধ্যে হলদেটে ধাতুর মতো কী যেন চিকচিক করছে। প্রথম দর্শনেই মনে হল সোনা, কিন্তু নিঃসন্দেহ হতে চাইল মার্শাল। ছোট একটা টুকরো নিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে দেখল অভ্র কিম্বা ওই রকম কিছুর মতো ভেঙ্গে টুকরো হয়ে গেল না সেটা, চেপ্টে গেল। সোনা আবিষ্কার হল ক্যালিফোর্নিয়ার মাটিতে। সেদিন ছিল ২৪ জানুয়ারি, ১৮৪৮ সাল।

    মাস দুয়েক চাপা ছিল খবর। তারপর সান ফ্রান্সিসকো থেকে ছাপা কাগজ, দ্য ক্যালিফোর্নিয়ান, মার্শালের আবিষ্কারের কথা লিখে দিল। ছোট্ট শহর তখন সান ফ্রান্সিসকো। কুল্লে সাড়ে চারশো লোকের বাস। তাদের মধ্যে কটা লোকই বা খবরের কাগজ পড়ে? তাও হুহু করে ছড়াল সোনা পাওয়ার খবর। এমনই ছিল সে খবরের জোর, যে তা ছাপা হওয়ার দু সপ্তাহের মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়ান কাগজই বন্ধ করে দিতে হল। কারণ সাংবাদিক থেকে শুরু করে ছাপাকলের কারিগর-- সকলেই কাজ ছেড়ে চলে গেছে সোনা খুঁজতে। যেদিন বন্ধ হয়ে গেল কাগজ, সেদিনের এডিশনে লেখা হল, The whole country, from San Francisco to Los Angeles...resounds with the sordid cry of Gold! Gold! Gold! while the field is left half-planted, the house half-built, and everything neglected but the manufacture of picks and shovels. ভাব একবার!

    ফাস্ট ফরোয়ার্ড করে সিনেমা চালিয়ে দিলে যেমন দেখতে লাগে, তারপরের দৃশ্য খানিকটা তেমন। দলে দলে লোক আসতে শুরু করল সোনার খোঁজে। কয়েক মাসের মধ্যে সান ফ্রান্সিসকোর জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল বিশ হাজারে। এক বছরের মধ্যে আশি হাজার লোক এসে জড়ো হল ক্যালিফোর্নিয়ায়। তাদের আর্ধেক আমেরিকান, বাকি আর্ধেক দুনিয়ার নানা দেশ থেকে। ব্রিটেন থেকে, জার্মানি থেকে, ফ্রান্স থেকে, ল্যাটিন আমেরিকা থেকে, এমনকি চিন থেকে পর্যন্ত। দলে দলে প্রসপেক্টররা এল। ডাঙাপথে বন জঙ্গল-পাহাড়-নদী ডিঙ্গিয়ে এল, জলপথে এল, জাহাজ-টাহাজ যেখানে যা ছিল ফেলে রেখে দৌড়োল সোনা খুঁজতে। সান ফ্রান্সিসকো বে-তে গড়াগড়ি যেতে লাগল অন্তত পাঁচশো খালি জাহাজ। আধা-ঘুমন্ত ক্যালিফোর্নিয়া রাতারাতি হয়ে গেল ওয়াইল্ড ওয়েস্ট। হাজার জায়গার হাজার জাতের মানুষ সেখানে গিজগিজ করছে, শুধু সান ফ্রান্সিসকোতেই খুলে গেছে পাঁচশোর বেশি পানশালা, হাজারের বেশি জুয়ার ঠেক, মুখের কথা খসার আগে বন্দুকের গুলি ছোটে চলে সেখানে, প্রতিবাদ করতে এলে স্রেফ পিটিয়েও মেরে দেওয়া হয় মানুষকে। ১৮৫০ সালের শুরুতেই এক হাজার লোক খুন হয় সান ফ্রান্সিসকোতে, শাস্তি হয় মাত্র একটি ঘটনায়। ১৮৪৯ সালে যারা সোনা খুঁজতে এল, তাদের বলা হত ফর্টি-নাইনার, স্থানীয় ইন্ডিয়ানদের শিকারের আনন্দে গুলি করে মারত তারা।

    হু হু করে বেড়ে গেল জিনিসপত্রের দামও। এক একটা টুথপিক বিকোতে লাগল ৫০ সেন্টে। এক ডজন ডিমের দাম বেড়ে দাঁড়াল চার ডলারে। ১৮৪৭ সালে সান ফ্রান্সিসকোর যে জমি বিক্কিরি হয়েছিল সাড়ে ষোল ডলারে, পরের বছরে তার দাম হল ৬,০০০ ডলার, সেই বছরই আবার তা বেচা হল ৪৮,০০০ ডলারে।

    এ সব অব্শ্য বেশিদিন চলেনি। বছর সাতেকের মধ্যে বড় বড় কোম্পানিরা এসে গেল বাজারে, বিশাল বিশাল যন্ত্রে মাটি খোঁড়া হতে লাগল, ড্যামের পর ড্যাম বানিয়ে নদীর তলা পর্যন্ত চেঁছে ফেলা হল, পাহাড়ের গায়ে গর্ত করে চলল সোনার খোঁজ। গাঁইতি-কাঁধে একা প্রসপেক্টর রয়ে গেল গল্প আর লোককথা আর সিনেমার বিষয় হয়ে।

    এখানেই শেষ হতে পারত গল্প, কিন্তু জেমস মার্শালের কী হল, একটু বলতে ইচ্ছে করে। ওই সোনা আবিষ্কারই সার হল তার, নাম রয়ে গেল ইতিহাসে-- ওই পর্যন্তই। খুঁজে পাওয়া সোনার প্রপার্টি রাইটস নিয়ে খানিক হল্লা করেছিল সে, দু-এক জন বোকা-সোকা প্রসপেক্টর কিছু টাকাপয়সা দিয়েওছিল, কিন্তু বাকিরা কেউ কোনও পাত্তাই দিল না। বেশি দরদাম করতে গিয়ে শেষমেশ তাকে পালিয়েই যেতে হল কোলোমা ছেড়ে। মার্শালের নিজের কথায়, I was soon forced to again leave Coloma for want of food. My property was swept from me, and no one would give me employment. I have had to carry my pack of thirty or forty pounds over the mountains, living on China rice alone. If I sought employment, I was refused on the reasoning that I had discovered the goldmines, and should be the one to employ them; they did not wish the man that made the discovery under their control….Thus I wandered for more than four years.

    ১৮৭২ সালে সরকার থেকে মাসে ২০০ ডলারের এক পেনসনের ব্যবস্থা করা হল তার জন্য। সেই টাকা নিয়ে কোলোমার কয়েক মাইল পুবে কেলসি-তে গিয়ে এক কামারশালা খুলল মার্শাল। সেখানেই ইউনিয়ন হোটেলে থাকত সে। কামারশালা কোনও রকমে চলত, কিন্তু ১৮৭৬ সালে বন্ধ করে দেওয়া হল পেনসন। এটা-সেটা কাজ আর পঞ্চাশ সেন্টে কার্ডে অটোগ্রাফ করে কোনও রকমে চলত রুটি আর মদের খরচ। শেষ পর্যন্ত ১৮৮৫ সালে খুবই দারিদ্র্যের মধ্যে মারা গেল ক্যালিফোর্নিয়ার চেহারা পালটে দেওয়া জেমস ডব্লু মার্শাল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে প্রতিক্রিয়া দিন