এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পরীক্ষা ব্যবস্থা কে অর্থকরী -লাভজনক করে তুললে কেমন হয় ?

    Ekak
    অন্যান্য | ২৭ এপ্রিল ২০১৪ | ১০৫৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ekak | 24.99.117.180 | ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ১৮:৫৩640436
  • পরীক্ষা দেব অথচ কোনো পয়সা পাবোনা এটা আমার কিরকম কিরকম লাগে । ইনসেনটিভ শুধু পাশ ফেইল হতে পারেনা । ফেইল করলুম বয়েই গ্যালো । কিন্তু যদি পয়সা পেতুম ? তাহলে ? অবজেক্টিভ টাইপ এর ক্ষেত্রে এটা প্রয়োগ করা সবচে সহজ ।
    শুধু ভাবুন আপনার সামনে একটা ভেন্ডিং মেশিন ।
    ৩ কে পাঁচ দিয়ে গুন করলে কত হয় ? ১৫ লিখলেই ঝন করে এক টাকার একটা কয়েন পড়ল !

    বা যে পরতেই শেখেনি ভালো তাকে দিয়ে প্যাটার্ন ম্যাচ করানো

    বা যে সবে সবে পড়তে শিখছে তাকে দিয়ে অক্ষর চেনানো

    মোট কথা যা করবে ঝন ঝন পয়সা পর্বে ,।

    কেমন হত ? সাবসিডি তো সেই যাচ্ছেই জাস্ট চ্যানেল টা ঘুরিয়ে দিলে ? আমাদের মত দেশে যেখানে একটা বাচ্চা পাঁচ গুনতে শেখার আগে পাঁচ টাকার কয়েন চিনতে শেখে ।
  • aka | 34.96.239.132 | ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ১৯:০৭640447
  • টাকাটা দেবে কে? গৌরি সেন?
  • তাপস দাশ | ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ১৯:১২640457
  • সব জায়গায়? শুরু হবে কোথা থেকে? যে বাচ্চারা ইস্কুলে যাওয়ার সময় ভালো টিফিন নিয়ে যায় তাদের বাড়ির লোক এই ইনসেনটিভ প্রয়োজনীয় নয় মনে করবে । আর অন্যদিকে যেখানে মিড ডে মিলের জন্যেই বাচ্চারা স্কুলে যায় বা বলা ভালো পাঠানো হয় - তাদের অভিভাবকরা এ প্রস্তাব লুফে নেব । কিন্তু মিড ডে মিল বন্ধ করে যদি এই নগদ কারবার হয় - সে ক্ষেত্রে বাড়ির লোক নগদ নিয়ে নেবে - এবং সে পয়সায় বাচ্চাদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়াবে না । সংসারের অন্য কাজেও লাগাবে । তাদের দিক থেকে সেটাই স্বাভাবিক । আর মিড ডে মিল ও বই এবং নগদ - সব চালু রাখতে গেলে ভর্তুকি প্রচুর বাড়াতে হবে ।
  • Ekak | 24.99.117.180 | ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ১৯:১৭640458
  • গৌরী সেন তো অলরেডি দিচ্ছে । এটলিস্ট খাতায় কলমে তো এডুকেশনে সাবসিডি কম না । বিশাল টাকা । গ্রামের স্কুলেও একটা দুটো হলেও কম্পিউটার পৌছচ্ছে । কিন্তু আমি কেন পরীক্ষা দেব এর কোনো পরপর মানিটারি ইনসেনটিভ নাই । ওসব পাশ -ফেইল প্রেস্টিজ দিয়ে বাচ্চারা ভোলেনা ওসব অনেককেই আকর্ষণ করেনা । কিন্তু ক্লাসরুমের পাশে একটা কাপ-কযেক মেশিন মনে করুন দাঁড়িয়ে আছে । টুক করে কয়েকটা গুন আর ভাগ করে দিতে পারলেই গরম গরম কাপ কেক টিফিনবেলা । বা যেরকম বললাম পরীক্ষার ক্ষেত্রে ।ডিরেক্ট মানি । মাথাপিছু যে সাবসিডি দিয়েও শিক্ষার্থী কে শিক্ষায় টেনে আনা যাচ্ছেনা সেটাই জাস্ট সেইটুকুই খুচর ইনসেনটিভ হিসেবে হাতে পেলে আসবে । প্রথম প্রথম হয়ত একজন আরেকজনের গুন ভাগ করে দেবে । কিন্তু সেত এখনো পরীক্ষায় টোকাটুকি হয় । আমরা আটকাতে পেরেছি ? ফিআর দিয়ে নয় পয়সা ম্যাটার হয়ে দাঁড়ালে এমনি ই কেও কাওকে উত্তর বলে দেবেনা কদিন বাদে ।

    আরেকটা ব্যাপার । প্রথমে সব্দিদী কে চ্যানেল করে শুরু করলেও পরে আসতে আসতে এই মডেল কে অর্থকরী করা যায় । আগামী বিশ বছরে লক্ষ লক্ষ ডকুমেন্ট স্ক্যান হবে অনলাইন ডেটাবেস এর জন্যে । তাদের রিক্যাপচা ? আরও কাজ আছে যা অর্থকরী মানে ওই পরীক্ষা নেওয়ার ছলেই । বিশাল কিছু না কিন্তু এক্তাবাচ্চার কাছে অনেক ।
  • Ekak | 24.99.117.180 | ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ১৯:২২640459
  • দেখুন বাবা-মা বাচ্চার পয়সা কেড়ে নেবে ইস জাস্ট এনাদার ফর্ম অফ বর বউ এর রোজগার কেড়ে নিচ্ছে । এটা একটা সোশাল সমস্যা । রোজগার পদ্ধতির না ।
    আর তাছাড়া বাচ্চারা ওই টাকা দিয়েই স্কুলের থেকে খেলনা কিনতে পারে ছবির বই কিনতে পারে খেলার বল কিনতে পারে । মূলকথা ওই মানি সেন্স টা ইন্গ্রেইন করে দেওয়া ।
  • pi | 24.139.209.3 | ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ১৯:৩৬640460
  • এই প্রস্তাবটা একেবারেই পছন্দ হল না। পরীক্ষায় ভাল করতে হবে, সেজন্য শিখতে হবে এটাই একমাত্র লক্ষ্য হয়ে গেলে তো মুশকিল।

    শিক্ষা খাতে সরকার প্রচুর ব্যয় করছে, এমনটা কী ? অনিওয়ে শিক্ষা খাতে টাকা বাড়ানো হোক, সেটা চাই। কিন্তু সেই টাকা আগে ত স্কুলের পরিকাঠামো, পড়াটাকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য নানাকিছু, আরো শিক্ষক এসবের পিছনে ব্যয় করা হোক। বা, যেসব অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বা মিড ডে মিল সংক্রান্ত কাজে শিক্ষকদের এত সময় ব্যয় করতে হচ্ছে বলে তাঁরা পড়াতে পারছেন না বলে অভিযোগ, সেগুলোর জন্য অন্য লোক নিয়োগ করুক। এগুলো অনেক বেশি জরুরি।
  • Ekak | 24.99.117.180 | ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ১৯:৪৩640461
  • ওই ক্লাসিকাল সেন্সে "শিক্ষার গুরুত্ব " কী ওই নিয়ে জাবর কেটে তো অনেকদিন গ্যালো । ওটা বুঝতে গেলে যে ম্যাচুঅরিতি লাগে সেই অবধি পৌছানোর আগেই বেশি লোক হাল ছাড়ে । আমি যার গুরুত্ব বুঝি তাই যদি আমার ইনসেনটিভ হয় তাহলে এটলিস্ট অন্য গুরুত্ব বোঝার জায়গায় যাবার একটা রাস্তা তৈরী হয় । পরিকাঠামো -পড়া আকর্ষনীয় এগুলোর তো বিরোধিতা করছি না । কিন্তু সেগুলো চাহিদা থেকে অতমেতিকালি আসবে । একজন চাষী কবে ইস্কুলে গিয়ে আঙ্গুল তুলে বৈলবে যে আমার ছেলে মেয়ে এখনো যোগ ভাগ করতে শিখল না কেন ? সেদিন ই বলবে যেদিন দেখবে ছেলে মেয়ে অলরেডি পয়সা পাচ্ছে কিছু বা পাচ্ছে না । ওই পাচ্ছে না থেকে চাপ সৃষ্টি । চাপ থেকে পরিকাঠামো পরিবর্তন । একজায়গায় বসে পাঁচশালা পরিকল্পনার ভাটে আমি বিশ্বাস করিনা । ভ্যালু সেন্স টাকে তারই পরিচিত টার্মে ধরিয়ে দিলে চাহিদার চাপে যোগান হবে ।
  • pi | 24.139.209.3 | ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ১৯:৫১640462
  • 'একজন চাষী কবে ইস্কুলে গিয়ে আঙ্গুল তুলে বৈলবে যে আমার ছেলে মেয়ে এখনো যোগ ভাগ করতে শিখল না কেন ? সেদিন ই বলবে যেদিন দেখবে ছেলে মেয়ে অলরেডি পয়সা পাচ্ছে কিছু বা পাচ্ছে না ।'
    ------
    দুটো পয়েন্টে এটা ঠিক লাগছেনা।
    এক। ঐ যুক্তি ধরে তাহলে বলতে হয়, শিক্ষার জন্য পয়সা নেওয়া হলে আরো বেশি করে আঙুল তোলা উচিত, আমি পয়সা দিচ্ছি, কিন্তু ছেলেমেয়ে যোগ বিয়োগ শিখছে কী ? কিন্তু নিজেরা না খেতে পরে থেকেও গরীব মানুষ পয়সা খরচ করে বেসরকারি স্কুলে বাচ্চাদের পাঠাচ্ছেন। কিন্তু ছেলেমেয়ে কেন কিছু শিখছে না, সেই নিয়ে কোন প্রশ্ন তুলছেন না। বেশিরভাগ সময়েই 'ইংরাজী' শিখছে , তাতেই খুশি থাকছে, এটাকে কী বলবি ?

    দুই। পরীক্ষায় বসলেই পয়সা পেয়ে গেলে তো সাপ ব্যাং কী শিখলো তাই নিয়ে আরো মাথাব্যথা থাকবেনা।
  • pi | 24.139.209.3 | ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ১৯:৫৪640463
  • ওহো, পরীক্ষায় ঠিক লিখলে তবে পয়সা পাবার কথা লিখেছিস। সেতো অলরেডি প্রাইজ সিস্টেম আছে। যদিও সেটা নিয়ে আমার আপত্তি আছে।
  • pi | 24.139.209.3 | ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ১৯:৫৯640438
  • আর চাহিদা থেকে আসার কথাই যদি হয়, তাহলে পড়াটাকে আরো আকর্ষণীয় করে তুললে, চাপ কমালে আকর্ষণীয় হবে না কেন ? বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পড়ায় আগ্রহ না থাকার কারণ এই দুটো।

    তবে, ড্রপ আউটের কারণ নিয়ে আমার অন্য কিছু বক্তব্য আছে। রাণার লেখার তলায় লিখছি।
  • hu | 12.133.32.100 | ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ১৯:৫৯640437
  • পয়সা দেওয়াটা ঠিক ইন্সেন্টিভ লাগছে না। খাবার দেওয়া তো আরোই নয়। তবে ইন্সেন্টিভের দরকার ভীষনভাবেই। 'শিক্ষার গুরুত্ব' জাবর কেটে সত্যিই আর চলবে না।
  • hu | 12.133.32.100 | ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ২০:০২640439
  • র‌্যাঙ্কিং নয়, কিন্তু একটা নির্দিষ্ট নম্বর, ধরা যাক ৯০%-এর বেশি পেলে যদি রেকগনাইজ করা হয়, প্রাইজের মাধ্যমে বা অন্য কোন ভাবে, তাহলে সেটা খারাপ কেন হবে? সেটা তো ভালো করে পড়াশোনা করতে এনকারেজ করবে।
  • hu | 12.133.32.100 | ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ২০:০২640440
  • চাপ কমানো মানে কি? পাশ-ফেল তো নেই। চাপ তো একেবারেই নেই।
  • একক | 24.99.117.180 | ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ২০:০৫640441
  • প্রাইজ একটা গোলা গোলা সিস্টেম । যে ভালো করে পড়তে শেখেনি তাকে ফার্স্ট প্রাইজ ধরিয়ে দিলো সঞ্চয়িতা । স্টেপ বাই স্টেপ ইনসেনটিভ দিতে হবে তো এন্ড দ্য ইনসেনটিভ মাস্ট বী কন্সিউমেব্ল ।

    ধর তোকে যদি বলি আরামাইক শিখলে মরিশাসে একমাসের ট্রিপ পাবি ।
    তুই আইদার আরামাইক শেখার জন্যে শিখবি ট্রিপ পাওয়ার জন্যে নয় নইলে মরিশাসের মত ভাটের জায়গায় যাওয়ার জন্যে আরামাইক শেখার চাপ নেওয়া যাচ্চেনা বলে কাটিয়ে দিবি । কিন্তু তোর যদি হাতে গরম নিড থাকে যে দশ লাখ টাকা হলে ধরা যাক একটা ভালো কাজে ব্যয় করা যায় এবং আরামাইক শিখলে ওই দশ লাখ পাবি তাহলে চেষ্টা করেও দেখতে পারিস । দ্য গিভ এন্ড টেক শুড কানেক্ট সামহয়ার । ইট মাস্ট।

    শিক্ষার প্রাইমারি লেভেলে এমন অনেক কিছু শেখানো হয় -দরকার হয় যার কোনো হাতে গরম ইউটিলিটি নেই । আবার পাশ-ফেইল - মেডেল প্রাইজ এসব দিয়ে একটা ছোট্ট অংশের বাইরে নিড জাগানো সম্ভব না । এখনকার ব্যবস্থা টা এরকম যে বাড়িতে শিক্ষার চল আছে -শিক্ষার মূল্য জানে তারাই শুধু ওই ভার্চুয়াল "ভ্যালু" টা ইনজেক্ট করে । ঠিক যেভাবে বড়লোক আরও বড়লোক হয় সেইভাবে শিক্ষিত পরিবার আরও শিক্ষিত হচ্ছে । কাজেই ওই সুদূরপ্রসারী কাহিনী তে পরে থাকলে চলবে না ।
  • pi | 24.139.209.3 | ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ২০:০৯640442
  • ধুত্তেরি। আবার ঐ ব্লগের লেখার তলায় কমেন্টের বাক্সোটা আসছে না। কেউ একটু এটা ওখানে তুলে দেবে(ন)?

    রাণা লিখেছিল, শিশুশ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে বই কমছে না। আর সেটা ড্রপ আউটের একটা বড় কারণ।
    ঠিক।
    কিন্তু তারও পিছনে কারণগুলো দেখার আছে বোধহয়।
    মনে আছে, অনিল সদগোপাল যখন টক দিয়েছিলেন, এই প্রসঙ্গটাই তুলেছিলেন। তার কিছুদিন আগেই মুম্বই এর ভিটি থেকে বোধহয় বেশ কিছু শিশুশ্রমিককে উদ্ধার করে কোন একটি এনজিও। সম্ভবতঃ প্রথম ই । সেটা খবরের বেশ শিরোনামে ছিল ও স্বাভাবিকভাবেই প্রশংসিত হয়েছিল। কিন্তু ওঁর প্রশ্ন ছিল, এই শিশুশ্রমিক তো আকাশ থেকে পড়েনি। বাবা -মায়েরাই স্কুল ছাড়িয়ে কাজে লাগিয়ে দিয়েছেন। এখন, সেটা করেছেন তো বাধ্য হয়েই। তো, সেই কারণটা কেন দেখবো না, যে কোন পরিস্থিতিতে বাবা মা কে এরকম বাধ্য হতে হচ্ছে। সার্বিকভাবে প্রচণ্ড দারিদ্র্য থাকবে, বৈষম্য থাকবে আর সেই হতদরিদ্র বাবা মা উপার্জনের একটা পথ বন্ধ করে ছেলেমেয়েকে পড়তে পাঠাবেন, সেটা খুব বেশি দুরাশা নয় কি ?
  • একক | 24.99.117.180 | ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ২০:১২640443
  • আমিও ও তাই বলি :)
  • pi | 24.139.209.3 | ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ২০:১৩640445
  • পাশ ফেল ছাড়া চাপ হয়না নাকি ? ইভ্যালুয়েশন সিস্টেম তো আছেই। কন্টিনিউয়াস ইভ্যালুয়েশন সিস্টেম। ইউনিট টেস্ট, স্পট টেস্ট ইঃ।

    হু এটা দেখতে পারে। http://www.wbbpe.org/evaluation.aspx
  • একক | 24.99.117.180 | ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ২০:১৩640444
  • আর আমিতো সংগঠিত শিশু শ্রমের পক্ষে । স্কুল শুড বী আ আর্ন এন্ড লার্ন ইউনিট ।
  • pi | 24.139.209.3 | ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ২০:১৫640446
  • হ্যাঁ, কিন্তু তার সমাধান স্কুলে পরীক্ষায় ঠিক লিখলে হাতে টাকা গুঁজে দেওয়া হতে পারেনা।
  • hu | 12.133.32.100 | ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ২০:১৮640448
  • এই ইভ্যালুয়েশনের মূল্য কি? প্রতিটা ইউনিট টেস্টেই আমি ফেল করলাম। কিন্তু সেটা আমার পরের ক্লাসে ওঠার প্রতিবন্ধক হল না। তাহলে আমি কেন ইউনিট টেস্ট পাশ করতে চাইব?
  • hu | 12.133.32.100 | ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ২০:২২640450
  • শিক্ষা শুধু শিক্ষার্থীর আগ্রহে হতে পারে না, শুধু শিক্ষকের আগ্রহেও হতে পারে না। শিক্ষক আর শিক্ষার্থী দুইপক্ষের কোঅপারেশন চাই। শিক্ষকের শেখানোর একটা উদ্দেশ্য হতে পারে চাকরী টিকিয়ে রাখা। যদি শিক্ষকের নিয়মিত ইভ্যালুয়েশন হয় এবং তাতে খারাপ করলে চাকরী যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পাশ-ফেলহীন সিস্টেমে শিক্ষার্থীর শেখার উদ্দেশ্য কি?
  • একক | 24.99.117.180 | ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ২০:২২640449
  • আরে আমি ইব্যলুএশোন সিস্টেম এক্সেপ্ট করব ক্যান ? কম টু দ্য বেসিক পয়েন্ট :) আমাদের স্কুলেও প্রচুর ইব্যলুএশোন হত ।এবং আমি জানলা দিয়ে মিশনের পুকুরের মাছ ধরা দেখতুম । আমি পাচ্ছি কী যে পরীক্ষা দেব ? পরীক্ষায় বেটার করলেই বা এক্সট্রা কী পাচ্ছি ?
    এই জায়গাটায় দুনিয়াশুদ্ধু একাডেমির লোক মাথা নেড়ে বলে "তুমি শিক্ষা পাচ্ছ " । চূড়ান্ত ভাটের কথা । আমি একজন ভবিষ্যত কনসিউমার হতে যাচ্ছি যাকে তুমি নিজের স্বার্থে গড়তে চাইছ । যাতে আমি আরও আরও বেশি সার্ভিস এভেইল করতে পারি । নাথিং এলস । কাজেই মাল্লু ছাড় , শিখতে রাজি আছি । ইটস আ ডীল হওয়াত উই মিস ।
  • hu | 12.133.32.100 | ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ২০:২৫640451
  • স্কুলে আসার একটা ইন্সেন্টিভ তো দেওয়া হয়েছিল। মিড ডে মিল। সেটা ভালোই কাজ করেছে। কাজের শেখার জন্য আরো কিছু ইন্সেন্টিভ যদি দেওয়া হয় সেটাও হয়তো কাজ করবে। কিন্তু সেটা টাকা হলে দুর্নীতি হবেই। টাকা ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে হবে।
  • একক | 24.99.117.180 | ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ২০:৩২640452
  • টাকা থেকে কী আদৌ দুর্নীতি হয় । বরং টাকার সেন্স সবার কাছে ক্লিয়ার না বলে কিছু লোক দুর্নীতি করে বাকিরা আঙ্গুল চোষে । আমি তাহলে দুর্নীতি দূর করতে ওই কিছু লোক কে চোর ধরে বেড়াবো নাকী সবাকার লাভ ক্ষতির সেন্স কে টনটনে করে দেবার প্রয়াস নেব ? আমি দ্বিতীয়টা তেই বিশ্বাস করি । কারণ এই সেন্স ছোটবেলা থেকে ইন্গ্রেইন্দ না হলে হাতে টাকা ধরাই বা পাকা আম আলটিমেটলি অন্যে কেড়ে খাবে ।
  • | 69.152.5.5 | ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ২০:৩৮640453
  • হ্যাঁ, পরীক্ষার রেজাল্টের উপর ইন্সেন্টিভ হিসেবে অল্প টাকার ভ্যারিয়েবল স্টাইপেন্ড দেয়া যায়। শিক্ষকদেরও তাদের ছাত্রদের পারফরমেন্স হিসেব করে একটা বোনাস দেয়া যায়।

    তবে এটা কঠিন কাজ। ফান্ড এর এভেইলিবিলিটি বাদ দিলেও অনেক পেপারওয়ার্ক, প্যাডিং, ওভারইনভয়েসিং এর ব্যাপার ঘটতে পারে।
  • Tim | 12.133.32.100 | ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ২০:৪৭640454
  • পরীক্ষায় খারাপ করলে বা ফেল করলে কাজ কম্ম করে খাওয়া কঠিন বা ক্ষেত্রবিশেষে অসম্ভব হবে, এটা ইনসেনটিভ হিসেবে কম হলো? ভারতের মত দেশে, এককের কথা মতই, অলরেডি পয়সা বেসড শিক্ষা চালু আছে। তাতে যা হয়েছে তা তো দেখাই যাচ্ছে।
  • hu | 12.133.32.100 | ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ২০:৫৭640455
  • সেটা কোথায় চালু আছে? টিম মধ্যবিত্ত শ্রেনীর কথা ভাবছে মনে হয়। ভারতের ওয়ার্কফোর্সের কত শতাংশের রোজগার পরীক্ষার রেজাল্টের ওপর বা নিদেন পক্ষে স্কুলে যাওয়ার ওপর নির্ভর করে?
  • Tim | 12.133.32.100 | ২৭ এপ্রিল ২০১৪ ২১:০৬640456
  • সেটা আমি জানি। কিন্তু আমি স্রেফ ইনসেনটিভের কথাটা বললাম। সবার জন্য একই ইনসেনটিভ সেকথা বলিনি তো। বা সবাই এতে লাভবান হচ্ছে সেটাও।
    সবাই পড়তে চাইবে (বা আরো এগিয়ে, শিখতে চাইবে) এটা নির্দিষ্ট করার জন্য শর্ট এবং লং টার্ম ইনসেনটিভ দরকার। নইলে লাভ নাই। এবার, কি ইনসেনটিভ? না কেরিয়ার অপশন্স। যে পরিবার থেকে প্রথম কেউ স্কুলে যাচ্ছে, যাতে সেও সচ্ছল হওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারে। সম্ভব হলে মা/উমার পর, মোটামুটি পড়ালেখা করেই। বি-ই/এম এ/ পিহেইচডি গাঁতিয়ে নয়। সেসব না করে স্রেফ কুমীরছানা দেখালে কেউ পড়তে চাইবেনা। যে যেটা করে কোনক্রমে সার্ভাইভ করছে সেটাই করবে। সেটাই তাদের কাছে লেসার ইভিল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন