এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ক্লাস সিক্স, কর্পোরেট ষড়যন্ত্র, আর আমার দুঃখটা....

    Anupam Bhattacharjee লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ০৬ মে ২০১৪ | ২৫৮১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | 24.139.209.3 | ০৭ মে ২০১৪ ০৭:০৭639627
  • এটা বোধহয় লেখক কোনো কারণে এখানে পোস্ট করতে না পেরে ভাটে করেছিলেন।
    রইলো।
    ----------
    name: Anupam Bhattacharjee mail: country:

    IP Address : 192.74.108.2 (*) Date:06 May 2014 -- 11:31 AM

    একটা ব্যাপার খেয়াল করলাম – বেশ ভাবাচ্ছে, হতাশও লাগছে। একটা গভীর ষড়যন্ত্র, একটা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা – ছবিটা ধীরে ধীরে চোখের সামনে ফুটে উঠছে – কিন্তু কিছু করতে পারছি না (কেউ হয়তো বলবেন করতে চাইছি না)।

    কর্পোরেট দুনিয়া কি চায়? চায় প্রচুর, প্রচুর শিক্ষিত, উচ্চ শিক্ষিত highly skilled labours (euphemized as professionals)। সাপ্লাই লাইনটা অবশ্যই মধ্যবিত্ত (কম্যুনিস্টরা অবশ্য এই পরজীবী শ্রেনীটি সম্পর্কে সততই সন্দিগ্ধ, তার কারণও বিস্তর; পুঁজিপতির বাচ্চা তো নিজেই ইন্ডাস্ট্রি চালাবে, তার আর চাকরীর দরকারটা কোথায়? নিম্নবিত্ত বাঁচতে হলে গতর খাটাবে)। এইসব জ্ঞানগম্যির কেজো, মানে knowledge workers শুধু মালিকের জন্যে খাটবে, খাটবে, আর খেটেই যাবে। বিনিময়ে তাদের দেয়া হবে আপাতদৃষ্টিতে লোভনীয়রকম মোটা মাইনে। বিনিময়ে অবিশ্যি যাবে তাদের রাতের ঘুম, উপরি পাওনা হিসেবে মিলবে অনন্ত টেনশন, নিত্যদিনের সঙ্গী হবে সব পেয়ে খোয়ানোর দুঃস্বপ্ন, চল্লিশের আগেই শরীরে বাসা বাঁধবে রাজ্যের লাইফস্টাইল ডিজিজ , সাময়িক মুক্তির জন্যে এরা শরণ নেবে নেশার তা সে হোক না কেন দিনে তিরিশটা কিংসাইজ ৫৫৫ বা সোনার দামে বিকোনো সোমরস – আর শেষ পর্যন্ত early burnout। শুধু নিশ্চিত করতে হবে এটা যে এরা যেন কোনো প্রশ্ন না করে। কি করছি, কেন করছি, এতে সমাজের লাভ কোথায়, বা, এর পরিণতি-ই বা কি – এসব জিজ্ঞাসা যেন কখনো প্রাণে না জাগে। মাইনে, জৈবিক সুখ, এবং social prestige-এর চক্করে ঘানি টানতে টানতে এরা যেন একটা অলীক জগতে বিচরণ করে, কাজ করে একটা intellectual vacuum-এ। অফিসে gym থাকা সত্বেও, Fitness বা স্বাস্থ্যের শর্তগুলো জানা সত্বেও এদের gym যাওয়ার ফুরসত বা মানসিকতা থাকবে না, হাতের সামনে সমস্ত তথ্য পরিসংখ্যান থাকা সত্বেও collective good-এর ভাবনা, বিচার এদের বিচলিত করবে না। সব মিলিয়ে KAP (Knowledge, Attitude, Practice).gap-এর অনন্তশয্যায় শায়িত থাকার জীবনভর গ্যারান্টী। কেউ যেন ভুলেও এডওয়ার্ড স্নোডেন না হতে চায় (আমিও ছাই চাই না কি?)।

    কিন্তু এগুলোকে নিশ্চিত করা যায় কিভাবে? গুলিয়ে দাও শিক্ষা (Education) আর বৃত্তিমূলক শিক্ষার (Vocational training) ফারাকটাকে। তালগোল পাকিয়ে দাও শিক্ষা আর প্রশিক্ষণ (training)-এর উদ্দেশ্যকে (a man can be educated while a dog can only be trained)। হাত করা চাই স্কুল পাঠক্রমের সিলেবাস-প্রণেতাদের, দখল নিতে হবে শিক্ষাব্যবস্থার। কাজটা সোজা নয়, সময়সাপেক্ষ তো বটেই। তাই চার-পাঁচ দশক ধরে আস্তে আস্তে গোটা শিক্ষাব্যবস্থাটাকে কুক্ষিগত করা হলো। সর্বত্র। এমন সিস্টেম তৈরী করা হলো যাতে ছাত্র-অভিভাবক সবাই একসাথে বলে কেজো শিক্ষা চাই, শিক্ষা হোক চাকরীমুখী।

    ছেলেকে পড়াতে বসে বুঝতে পারি কি সাংঘাতিক চালটাই না ওরা খেলেছে মেঘের আড়াল থেকে ইন্দ্রজিত মেঘনাদের মতো। অজস্র সাবজেক্ট, অল্পবয়েস থেকেই মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি। ক্লাস ফাইভ-এর সায়েন্সে ফিজিওলজি-অ্যানাটমির বহর দেখলে ডাক্তারীর ছাত্রের কম্পজ্বর আসবে। কম্প্যুটারের সিলেবাস বিকিরণকারী আবর্জনায় ভরা। ইংরিজি গ্রামারের পাঠ্যসূচী দেখলে বুক ধড়ফড় করে। কিন্তু অঙ্ক? না, অঙ্ককে করা হয়ে চলেছে সহজ থেকে আরো সহজ। ক্লাস ফাইভ-সিক্সে এরা যে ধরণের অংক করছে তা দেখলে হাসতে হাসতে চোখে জল এসে যায়। অংকের ভিতকে কাঁচা রেখে দাও। তার কারণ অংক তো শুধু একটা বিষয় নয় – অংক একটা অ্যাটিচিউড, যুক্তিবাদী চিন্তাধারার সবচেয়ে মজবুত থাম। আপনার মাথায় ঢুকবে না কি করে মাদার সায়েন্স অংককে দুয়োরাণী রেখে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি এসবের কঠিন ধারণাগুলোকে বোঝানো যায়। এত কঠিন করে বাকি সবের সিলেবাস তৈরির নিগূঢ় উদ্দেশ্য – পৃথিবীকে, সমাজকে শিক্ষার আলোয় যেন বিচার না করতে শেখে, কার্য্যকারণ খুঁজতে যেন না চায়। “কি”টা জানলেই হলো, ভুলেও “কেন”র ভূত যেন মাথায় না চাপে – চাপলেই কর্পোরেটের বিপদ – আবিশ্ব ধোঁকাবাজি ধরা পড়ে যেতে পারে। আইনস্টাইন গণিতবেত্তা হয়েও প্রতিবাদ করেছিলেন আণবিক বোমা তৈরী/ব্যবহারের। সেরকমটি আর হতে দেওয়া তো যায় না।

    আরো আছে। ভাষা যোগাযোগের মাধ্যম। ভাষা দিয়ে মনের ভাব প্রকাশ আর মতের বিনিময় ভালো করে করতে পারলে ঐ আপাত সর্বশক্তিমানদের মূর্তিতে দড়ির টান লাগার ঝুঁকি থেকে যায়। অতএব ভাষাশিক্ষাটাকে এমনি ঘেঁটে দাও যেন এই প্রজন্ম টেকনিক্যাল বক্তব্য ব্যতীত অন্যত্র ভাষার ব্যবহারে পদে পদে হোঁচট খায়। কল্পনাপ্রবণতা potentially বিপজ্জনক - ওটার বিনাশ করো অঙ্কুরেই। সাহিত্য মানুষকে সংবেদনশীল করে তোলে। ছোট্টো বয়েস থেকেই এমন গুরূতর ধরণের সাহিত্য পড়াও যাতে ভীতি তৈরী হয়, ইশকুলের গণ্ডী পার করে যেন পড়ার বইয়ের বাইরে কোনো সাহিত্য-ফাহিত্য না পড়তে যায়। কবিতা, গদ্য, নাটক – পাঠ্যবইতে যা আছে তার কোনোটাতেই ভুলেও যেন মজা, আনন্দ না পায়। কিন্তু, কোনো শালা কিচ্ছুটি বলতে পারবে না – বললেই বলে দেবো “এই তো কতো বড়ো বড় লেখকের কতো বন্দিত লেখা পড়াচ্ছি (পড়ে বদহজম হলে দায় কর্তৃপক্ষের নয়)” – সাপও মরবে, লাঠিও ভাঙ্গবে না। বি এ-র পাঠ্য আর ক্লাস সিক্সের পিস-এ ফারাক নেই। সমস্ত বিষয়-কেই এমনভাবে পড়ানোর আয়োজন যেন পরীক্ষার খাতায় উগরে দিয়ে আসাতেই ভালোমন্দের সব বিচার হয়ে যায়। ইতিহাস আর রসায়নের কোনো আলাদা মানে নেই, ভূগোল আর হিন্দীতে নেই কোনো প্রভেদ।

    কি চমৎকার জাল বিছানো হয়েছে ভেবে দেখুন। আর মাঝের থেকে ছেলেকে আমার মতো করে পড়াতে গিয়ে আমি হচ্ছি তার চোখে সবচেয়ে বড়ো ভিলেন, পড়ার টেবিলে বাঁধছে ধুন্ধুমার, আর ছেলের মা-এর কাছে শুনছি বাছাই বিশেষণ-এর অমৃতভাষণ – পাগল, ইমপ্র্যাক্টিক্যাল। কি করি বলুন তো? আমি সত্যি-ই চন্দ্রাহত।

    পুনশ্চঃ ছেলে ঐকিক নিয়ম, আর শতকরা দু’টোই শিখেছে আগের ক্লাসে । আঁক কষাতে গিয়ে প্রশ্ন দিয়েছিলাম “উসেইন বোল্ট যে দূরত্ব ১৮ সেকেন্ডে দৌড়োয় সেই একই দূরত্ব দৌড়োতে অর্কদ্যুতির সময় লাগে ৩০ সেকেন্ড। উসেইন বোল্টের তুলনায় অর্কদ্যুতি কতো শতাংশ ধীরে দৌড়য়?” আর দিয়েছিলাম – একজন শাড়ী বিক্রেতা একটি শাড়ীর দাম এমন করে স্টিকারে লিখলো যাতে ২৫% ডিস্কাউন্ট দেবার পরেও মূল দামের ওপর ২৫% লাভ থেকে যায় বিক্রীর পরে। স্টিকারে লেখা দাম মূল কেনা দামের তুলনায় শতকরা কত বেশি? এমন অংক দেওয়ার ফলে আমার রাতের মিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। না পড়ালে বলবে আমি ছেলের দায়িত্ব নিই না, আর পড়ালে ভুখা রেখে দেওয়া হবে। আমি যে কোনদিকে যাই?
  • pi | 24.139.209.3 | ০৭ মে ২০১৪ ১৭:৪০639629
  • * এস ই
  • pi | 24.139.209.3 | ০৭ মে ২০১৪ ১৭:৪০639628
  • আই সি এস সি র ক্লাস ফাইভ সিক্সের ভূগোল দেখছিলাম। উফ্ফ, কী নেই মাইরি ! কিন্তু থেকে লাভ ? এই এত্ত এত্ত তথ্য জানা , জেনে ক'দিন বাদে ভুলে যাওয়া কোন কাজে লাগবে বা লাগে ?
  • Ekak | 24.96.26.63 | ০৭ মে ২০১৪ ১৭:৫৮639630
  • পরে ভুলে গেলেও ক্ষতি নেই । আসলে এইগুলো আস্তে আস্তে খাপছাড়া ভাবে ইমপ্লিমেন্ট হচ্ছে বলে এমন লাগছে । ছাত্রাবস্থায় যতটা সম্ভব ইনফরমেশন গেলানো দরকার যাতে তাদের দিয়ে ম্যাক্সিমাম মেশিন ট্রেইনিং এর কাজে কাগিয়ে নেওয়া যায় । পরে তারা ভুলে গেলেও মেশিন মনে রাখবে । দ্যাট ইস দ্য ফিউচার মডেল । অঙ্ক এমনিতেই মেশিন করতে পারে । সবাই না শিখলেও চলবে । সমস্ত কিছুর সামনে মেশিন কে রেখে ভাবলেই বোঝা যায় কী হচ্ছে কেন হচ্ছে ।
  • byaang | 120.224.221.97 | ১০ মে ২০১৪ ১৮:০৮639631
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন