এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  গান

  • এলোমেলো ভাবনাগুলো

    nyara
    গান | ০৪ নভেম্বর ২০১০ | ৩৭০৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | 72.83.80.136 | ১০ নভেম্বর ২০১০ ১২:১৯458457
  • অজ্জিতদা, শিল্পীর ইচ্ছেমতন মীড় লাগাতে মানা আছে ?
  • Arijit | 61.95.144.122 | ১০ নভেম্বর ২০১০ ১২:৩১458458
  • নোটেশনের বাইরে যাওয়া স্ট্রিক্টলি মানা, অন্তত: শিক্ষার্থী পর্যায়ে। বড়রা কি করেন জানা নেই। কারণ আমার শিক্ষার্থী পর্যায় কখনো শেষ হয়নি।
  • Arijit | 61.95.144.122 | ১০ নভেম্বর ২০১০ ১২:৪২458459
  • অল্প কিছু ক্ষেত্রে কাস্টমাইজ করেছি, তাও মূল নোটেশন মেনেই। ফর এগজাম্পল (বেহালার ক্ষেত্রে), কোথাও হয়তো রয়েছে G-A-C-B, নর্মালি এটা বাজবে ডি স্ট্রিং-এর জি নোট, এ স্ট্রিং-এ ওপেন এ, সি, বি নোট। যদি এই এ নোটটির ওপর 4 লেখা থাকে, তখন বুঝতে হবে এটা পোজিশনে বাজানো, মানে ওই ডি স্ট্রিং-এই ফোর্থ ফিঙ্গারে এ নোট। তবে কিছু ক্ষেত্রে কোনো কিছুই লেখা থাকে না, অথচ থার্ড পোজিশনে বাজালে শুনতে একটু মিষ্টি লাগে - তখন পোজিশনে বাজিয়েছি।

    কিন্তু দুটো নোট - ধরো A আর D যদি ডিসক্রীট থাকে, তাহলে দুটো আলাদাই বাজবে। এর মধ্যে B, C-কে ছুঁয়ে যাওয়ার কথা নয়।
  • Samik | 122.162.75.167 | ১০ নভেম্বর ২০১০ ১৬:০৩458460
  • কলাবতী রিসেন্টলি আমার মেয়ে শিখল। আনুষঙ্গিক গান হিসেবে ওকে দেওয়া হয়েছে "অথ স্বাগতম শুভ স্বাগতম' গানটা; যেটা ছাব্বিশে জানুয়ারির প্যারেডে বাজানো হয় রাষ্ট্রপতি এলে। এটা বানিয়েছিলেন রবিশঙ্কর, এশিয়াড গেম্‌সের সময়ে, কলাবতীর ওপর বেস করে।

    এর বেসটা হচ্ছে :

    স গ প ধ ণ র্স ।। র্স ণ ধ প গ স
  • de | 59.163.30.2 | ১০ নভেম্বর ২০১০ ১৭:১২458461
  • শিবরঞ্জিনীও বেশ কমন!
  • nyara | 122.167.249.219 | ১০ নভেম্বর ২০১০ ২২:৪৬458462
  • হিন্দি ছবির গানে শিবরঞ্জনী যতটা জনপ্রিয়, বাংলা গানে কি ততটা? আমার তো একটা ছাড়া শিবরঞ্জনীতে কোন বাংলা গান মনেই পড়ছে না।
  • ranjan roy | 122.168.206.232 | ১০ নভেম্বর ২০১০ ২৩:০৬458463
  • মনে পড়ে গেল বরানগর রামকৃষ্ণ মিশনে
    ডানলপ থেকে এসে বীরেশ্বরদা শেখাতেন ""
    ভাবছ কি পাষাণী আমায় ঢেউ দেখিয়ে ভয় দেখাবে?"
    বল্লেন--- এটি শিবরঞ্জনী। নামটা ভাল লেগে গেল।

    অ্যাই অভ্যু! নরেন্দ্রপুরে তোমার শেখা শিবরঞ্জনী নিয়ে কিছু বল। নইলে শ্বশুরের
    কাছে নালিশ করব।
  • Abhyu | 97.81.74.1 | ১১ নভেম্বর ২০১০ ০৬:২২458464
  • নরেন্দ্রপুরে আমি যে কিছুই শিখি নি, সেটা রঞ্জনদা সবাইকে না জানিয়ে ছাড়বেন না - ফোঁস্‌
  • de | 203.197.30.2 | ১১ নভেম্বর ২০১০ ১৩:৫৭458465
  • না, হিন্দী ফিল্মেই বল্লাম -- অবশ্য এক্‌খুনি একখান নজরুলগীতি মনে পল্লো -- হে পার্থসারথী, বাজাও,বাজাও, পাঞ্চজন্য শঙ্খ!
  • lcm | 69.236.169.74 | ১৩ নভেম্বর ২০১০ ১৩:৪৭458467
  • http://chandrakantha.com/raga_raag/film_song_raga.html

    এই লিস্টে ভৈরবী, পাহাড়ী ... বেশী । কলাবতী বা শিবরঞ্জনী সে তুলনায় কম।
  • pi | 128.231.22.87 | ১৭ নভেম্বর ২০১০ ০৬:৩২458468
  • রঞ্জনদার ঐ নামটা ভালো লেগে গ্যালো শুনে মনে পড়ে গেলো, নজরুলের তৈরি রাগগুলোর কথা। সব ভালো লেগে যাওয়ার মত নাম একেকখান। গানগুলো ও তেমনি সুন্দর। আর গানের সাথে মিলিয়ে মিলিয়েই রাগের নাম।
    পটমঞ্জরীতে 'আমি পথ মঞ্জরী', কর্ণাটী তে ' কাবেরী নদীজলে কে গো বালিকা ', মালগুঞ্জতে 'গুঞ্জমালা গলে কুঞ্জে এসো হে কালা' ...

    ঐ একটি করে গানের বাইরে রাগ গুলোর বোধহয় আর কোনো অস্তিত্ব ই নেই। পরে কোনো রাগপ্রধানে এই রাগগুলো এসেছে কি ? জানিনা।
  • kallol | 115.242.184.87 | ১৭ নভেম্বর ২০১০ ০৭:৩৭458469
  • শুনেছিলাম নীলাম্বরী শড়ী পড়ে - গানটাও নাকি ওনার সৃষ্ট রাগে - নীলাম্বরী।
  • lcm | 69.236.169.74 | ১৭ নভেম্বর ২০১০ ১০:৪১458470
  • আরডি কে ন্যাড়া মস্তান সুরকার বলায় ভারী পুলকিত হয়েছি। আরডি-র জবাব নেই।
  • nyara | 122.172.31.66 | ১৭ নভেম্বর ২০১০ ১১:৫৬458471
  • আমি মালগুঞ্জি জানিনা, তবে শুনেছি জ্ঞান গোঁসাইয়ের 'উজল কাজল দুটি নয়ন তারা' মালগুঞ্জিতে। 'গুঞ্জামালাগলে কুঞ্জে এস হে কালা'র সঙ্গে চলনে মিলেও যায়।
  • nyara | 122.172.31.66 | ১৭ নভেম্বর ২০১০ ১১:৫৯458472
  • নজরুল আরেকটা মজা করতেন যে রাগের নামটা বা তার কিছুটা অংশ গানের কথায় ব্যবহার করতেন। পাইয়ের দেওয়া পটমঞ্জরী আর মালগুঞ্জির উদাহরণ আর কল্লোলদার দেওয়া নীলাম্বরীর উদাহরণ সামনে রয়েছে। এছাড়া দুর্গায় 'দুর্গা দুখহারিণী'-র কথা এক্ষুনি মনে পড়ছে।
  • Shibanshu | 59.93.87.154 | ২৪ নভেম্বর ২০১০ ১৮:১৯458473
  • নজরুলকে আমার বাংলা গানের একলব্যের মতো লাগে। তিরন্দাজিতে একনম্বর, কিন্তু 'প্রতিযোগিতা' যাঁর সঙ্গে তিনি তো আকাশের দেবতা। একজন দুপুরুষ আগে হাজিপুরের গ্রামীন বিহারি কাজির বংশধর আর এক জনের জন্য আছেন মহারাণী ভিক্টোরিয়ার প্রীতিমুগ্‌ধ প্রিন্স।

    বড়ই অসম তুলনার ভার বয়ে বেড়াতে হয়েছে তাঁকে। বাংলার ইতরযানী কবিদের মধ্যে বোধ হয় চন্ডীদাসের পরই নজরুল। প্রতিভায়, মৌলিকত্বে, সৃজনশীলতায়।

    একবার নজরুলের গান নিয়ে একটা বড়ো অনুষ্ঠান করার কথা ভাবলাম। একজন উঁচু ভুরুর বাঙালি রুচিশালিনী, বিদ্যার অহম আছে, তিনি বললেন, সে কী, তুমিও নজরুল পড়ো না কি? আমি বলি, কেন ? আমি তো অনেক কিছু শিখি ওনার স্পিরিট থেকে.... ঘাসমাটি থেকে বেড়ে ওঠা একজন অদম্য আদ্যন্ত শিল্পী... একটা নিজস্ব স্তর তৈরি করতে পেরেছিলেন মাত্র আঠেরো বছরের সৃষ্টিশীল জীবনে... উত্তর এলো, সুরগুলো বেশ ভালো, কিন্তু কবিতাগুলো যা তা....

    সাধারণ বাঙালি শ্রোতাদের মধ্যে দেখেছি নজরুলের গানের প্রতি আকর্ষণ রবি বাবুর গানের থেকে বেশি। সেটা কি তাঁর ইতরযানী শিকড়ের পুণ্য? নজরুল প্রতি শ্বাসপ্রশ্বাসে ঈশ্বরের মতো তদগত ছিলেন রবীন্দ্রনাথে, কিন্তু আমাদের মতো বাজারি অনুরাগীরা দুজনকে মুর্গিলড়াইয়ের মতো মুখোমুখি ফেলে বাজির দর তুলি...

    তাঁরা তো সুখেই আছেন। আমাদের জন্য নরকে এক ঋতু...
  • nyara | 122.167.253.174 | ২৪ নভেম্বর ২০১০ ২৩:৩৮458474
  • মুর্গির লড়াইয়ের পেছনে একটা তত-প্রচ্ছন্ন-নয় সাম্প্রদায়িক খোঁচা আছে। নইলে দ্বিজেন্দ্রলাল, অতুলপ্রসাদ, রজনীকান্তর সঙ্গেও রবীন্দ্র বা নজরুলের আপাত-রেশারেশি থাকতে পারত। তবে এনারা কেউই, রবীন্দ্রনাথ তো ছেড়েই দিলাম, নজরুলের মতন বহুপ্রসূ ছিলেন না বলেও রেশরেশির ক্ষেত্র রবীন্দ্র-নজরুলে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে বলে আমার ধারণা।
  • pi | 72.83.86.88 | ২৫ নভেম্বর ২০১০ ০০:০৭458475
  • এরকম কোনো মুর্গির লড়াই লিখিতভাবে ডকুমেন্টেড আছে ? পড়তে চাই।

    আর ন্যাড়াদা, সাম্প্রদায়িকতার চেয়ে ঐ বহুপ্রসূ না হবার কারণ টাই বেশি ভ্যালিড মনে হয়।
    নজরুলকে মুসলমান হিসেবে খুব বেশি দেখা হয়েছে কি ?

    আচ্ছ, উনি যে এত শ্যামা, কৃষ্ণ , কালী এনাদের নিয়ে গান বাঁধতেন, এ নিয়ে মুসলিম সমাজের কোনো আপত্তি ছিল ? ঐ কে মল্লিকের 'আমার মাথা নত করে ' র মত রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়া নিয়ে মুসলিম সমাজে বিক্ষোভ ও কাইজার ( নাকি কাশেম) থেকে 'কে ' হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে মনে হল ।
  • Shibanshu | 117.195.134.81 | ০৭ ডিসেম্বর ২০১০ ০০:৩৮458476
  • সঙ্গীত মানুষকে কী দেয়? সঙ্গীত প্রীতি কি মানুষকে আর পাঁচজনের থেকে পৃথক করে? সঙ্গীত কি মানুষকে দিতে পারে একটু উঁচু দাঁড়াবার জায়গা? তীব্রতর পরাবর্ত বা সূক্ষ্মতর মুগ্‌ধতা। অন্তর্লীন সৃজনশীলতাকে উস্কে দিতে পারে কি সুরের বিমূর্ত জগত? কোনও উত্তম সঙ্গীত অভিজ্ঞতা কি মানুষকে অধিকতর মানবিক করে? না গোটা বিষয়টিই একটি বিশেষ গোষ্ঠীর মানুষের নিজস্ব আত্মকন্ডূয়ন ও অহমবাচী মূঢ়তা?

    যেহেতু ব্যক্তিগতভাবে এবং পারিবারিক পরিবেশের অভিঘাতে সঙ্গীতকে ঐহিক অস্তিত্বের বাইরের কোনও অনুভূতি হিসেবে ভাবতে পারিনা, তাই হয়তো এ ব্যাপারটি নিয়ে আমার পূর্বাগ্রহ আছে এবং কোনও নির্লিপ্ত অবস্থান নিতে আমি অপারগ। যাঁরা অধিকারী এ নিয়ে তাঁদের কাছে আর্জি করতে পারি বড়ো জোর।

    সম্প্রতি এখানে পন্ডিত মণিরাম মোতিরাম সঙ্গীত সমারোহ হয়ে গেলো। তিন দিন ব্যাপী অনুষ্ঠান ছিলো। এই সমারোহটির একটা ইতিহাস আছে। ১৯৩৪ সালে পন্ডিত মোতিরাম হায়দরাবাদ এসেছিলেন নিজামের সভাগায়কের পদে যোগ দিতে। সেই বছর ৩০শে নভেমবর দিন ধার্য হয়েছিলো চৌমহল্লা প্রাসাদের রাজদরবারে সভাগায়কের পদে তাঁর বিধিবদ্ধ অভিষেকের। নিজামের চৌঘুড়ী জুড়িগাড়ি তাঁকে তাঁর বাসগৃহ থেকে দরবারে নিয়ে আসে। কিন্তু রাজদরবারে প্রবেশ করার সময়ই হৃদরোগে তাঁর জীবনাবসান হয়। সেই সময় তাঁর কাছে ছিলেন জ্যেষ্ঠ্য পুত্র পন্ডিত মণিরাম এবং কনিষ্ঠ পুত্র যশরাজ, যাঁর বয়স ছিলো মাত্র চার বছর।

    পন্ডিত যশরাজের তঙ্কÄ¡বধানে এই সমারোহটি অনুষ্ঠিত হয় হায়দরাবাদে দীর্ঘদিন ধরে। গত কয়েক বছর ধরে সেই ঐতিহাসিক চৌমহল্লা প্রাসাদেই আয়োজিত হয় তিন দিনের এই উদ্‌যাপন।

    অনুষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন দেবো সময় পেলেই, কিন্তু একটি ঘটনা আমাকে আকৃষ্ট করেছে এবারের অনুষ্ঠানে, যার প্রাসঙ্গিকতা আছে আমার প্রথম তোলা প্রশ্নগুলির পরিপ্রেক্ষিতে।

    আজ এতোটাই।

  • achintyarup | 121.241.214.34 | ১১ ডিসেম্বর ২০১০ ২৩:২৭458478
  • Patrick Moutal নামের এক ফরাসী ভদ্দরলোকের একটি অতি চমৎকার সাইট ছিল, যেখেন থেকে পুরোন সব গান এবং বাজনা ডাউনলোড করা যেত। আজ দেখলুম সাইট-টি তার জায়গায় নেই। কেউ যদি সন্ধান জানেন, জানাবেন?
  • nyara | 122.172.195.224 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১০ ২৩:৩৩458479
  • রবীন্দ্রগানের পরীক্ষা-নিরীক্ষা মানে ঠিক কী? শুধু কি অ্যারেঞ্জমেন্টে রবীন্দ্রসঙ্গতে ট্র্যাডিশনালি চালু-নয় এমন বাজনা আনা? সে তো বহুদিন ধরেই হচ্ছে। যেদিন রবীন্দ্রসঙ্গতে এস্রাজ, অর্গান, হারমোনিয়াম, তবলা, পাখোয়াজের বদলে অন্য কিছু এসেছে - সেদিন থেকেই এই পরীক্ষা?

    তবে কি তার সঙ্গে বিজাতীয় কিছু এলিমেন্টও থাকতে হবে? কি সেই এলিমেন্ট? এখন খুব 'রকিশ অ্যারেঞ্জমেন্ট'-এর কথা শুনি। কিন্তু সেখানেও পরীক্ষা তো সেরকম শুনিনা। স্রেফ লীড গিটার আর ধাঁইধপাধপ ড্রামস? নতুন কোন কর্ড প্রোগ্রেশন নিয়ে তো পরীক্ষা নেই! সাইকাডেলিক রকের মতন সাউন্ডস্কেপও তৈরি হয় না।

    কিন্তু শুধু রক কেন? ব্লুজ নয় কেন? জ্যাজ নয় কেন? কর্ড প্রোগ্রেশন ছেড়ে শুধু ব্রাস, জ্যাজ পিয়ানো আর হাই হ্যাট-বহুল ড্রামস দিয়ে অ্যারেঞ্জমেন্ট তো একটাও শুনলাম না।

    তবে কি শুধু গায়নে পরীক্ষা? সেও তো অধিকাংশ ট্যাঁশ উচ্চারণেই আটকে রইল।

    এখনও অব্দি আমার শোনা রবীন্দ্রসঙ্গীতের সেরা পরীক্ষা অশোকতরু বন্দোপাধ্যায়ের গাওয়া, "আমার যদিই বেলা যায় গো'। চলন বদলে গেছে গানের, অথচ কোথাও কোন উচ্চকিত ব্যাপার নেই, বরং গান যেন আরও ভেতরে এসে লাগে।

    শুনি না এরকম আরও কিছু পরীক্ষা। সব উৎরোবে না। সব কেন, অধিকাংশই হয়তো ফেল মারবে আজকের রসের বিচারে। কিন্তু একশোয় যদি একটাও লেগে যায় ...
  • i | 137.157.8.253 | ৩০ মার্চ ২০১১ ০৭:৫৪458480
  • শিবাংশু ও পাই য়ের ২৪-২৫ শে নভেম্বরের নজরুল আলোচনার প্রেক্ষিতে একটি প্রবন্ধ মনে এলো। পরে কোনো গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে কি না আমার জানা নেই।
    পড়ুন
    সুধীর চক্রবর্তীর 'গানের ভিতর দিয়ে' । প্রকাশিত: কৃত্তিবাস নবপর্যায় , প্রথম সংখ্যা, জানুয়ারি, ১৯৯৯।
  • suddhasatya | 117.194.224.253 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ০৩:৩০458481
  • প্রেমকে আমার মালা করে...

    'আমার' কিছু কথা আছে রবিবাবুর গানে আর কবিতায়। আজ দুটো সেই কথা বলতে ইচ্ছে হল। আমারই চেতনার রঙ-এ যখন পান্না সবুজ হয়, চুনী রাঙা হয়ে ওঠে, তখনি আবার মনে হয় 'আমি বহু বেদনায় প্রাণপণে চাই/ বঞ্চিত করে বাঁচালে মোরে'। তখন মনে হয় আমির দোষেই তো সর্বজগতদুষ্ট, যেমন পুষ্ট তেমনই। সে দোষ থেকে বাঁচার উপায় কি? বাঁচতে গেলে ' আরো প্রেমে, আরো প্রেমে মোর আমি ডুবে যাক নেমে'। নেমে গেলে কি হবে? তখন আসবে 'আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার চরণধুলার পরে/ সকল অহঙ্কার হে আমার ডুবাও চোখের জলে'। যেই চোখের জলে ডোবার সময় হবে তখনই আবার 'ও চাঁদ চোখের জলের লাগলো জোয়ার দুখের পারাবারে'।

    শেষ হয়নি কিন্তু। এই পারে এলেই আবার অন্য কথা।

    "এ পার হতে ও পার ছেয়ে

    ঘন মেঘের সারি ,

    শ্রাবণ - দিনে ভরা গাঙে

    দু - কূল - হারা পাড়ি ।

    অনেক খেলা , অনেক মেলা

    সকলি শেষ ক'রে

    চল্লিশেরই ঘাটের থেকে

    বিদায় দিনু তোরে ।

    ওগো তরুণ তরী ,

    যৌবনেরই শেষ কটি গান দিনু বোঝাই করি ।

    সে - সব দিনের কান্না হাসি ,

    সত্য মিথ্যা ফাঁকি ,

    নি:শেষিয়ে যাস রে নিয়ে

    রাখিস নে আর বাকি ।"

    - যৌবনবিদায়

    বাকি না রাখার কথায় ভুলবেন না কিন্তু! কারণ তখনো,

    "ও চাঁদ, চোখের জলের লাগল জোয়ার দুখের পারাবারে,

    হল কানায় কানায় কানাকানি এই পারে ঐ পারে

    আমার তরী ছিল চেনার কূলে, বাঁধন যে তার গেল খুলে;

    তারে হাওয়ায় হাওয়ায় নিয়ে গেল কোন অচেনার ধারে

    পথিক সবাই পেরিয়ে গেল ঘাটের কিনারাতে,

    আমি সে কোন আকুল আলোয় দিশাহারা রাতে।

    সেই পথ-হারানোর অধীর টানে অকূলে পথ আপনি টানে,

    দিক ভোলাবার পাগল আমার হাসে অন্ধকারে"

    আর অন্ধকারে পাগল যখন হাসে তার নিত্য খেয়ালে তখন হয় সর্বনাশ। "আমার সকল নিয়ে বসে আছি সর্বনাশের আশায়"। সর্বনাশ হলে কি হবে? হবে এই যে তখন পাগল জানে অন্য কথা। সেও আমির কথাই, কিন্তু সে আমি ডুবে যাওয়া আমি, নেমে যাওয়া আমি, সব হারানো বিদায় দেওয়া আমি। সে আমি-র গান শুনবেন?

    "আমি রূপে তোমায় ভোলাব না, ভালোবাসায় ভোলাব।

    আমি হাত দিয়ে দ্বার খুলব না গো, গান দিয়ে দ্বার খোলাব

    ভরাব না ভূষণভারে, সাজাব না ফুলের হারে--

    প্রেমকে আমার মালা করে গলায় তোমার দোলাব

    জানবে না কেউ কোন তুফানে তরঙ্গদল নাচবে প্রাণে,

    চাঁদের মতো অলখ টানে জোয়ারে ঢেউ তোলাব"

    ঐ ঢেউ-এর টানে টানেই জীবন চলবে। আমিকে নিয়ে, আমিকে ছেড়ে। কিছু কি বোঝাতে পারলাম? কি জানি? আমি তো নিজেই কিছু বুঝে উঠলাম না এখনো।

    --

    শুদ্ধসঙ্কÄ ঘোষ
  • nyara | 122.172.28.92 | ০৭ নভেম্বর ২০১১ ২১:১৫458482
  • বিভিন্ন কারণে বাংলা বেসিক গান অকালে বেশ কজন এমন শিল্পী হারিয়েছেন যে মনে হয় এগুলো অপূরণীয় ক্ষতি। এর মধ্যে অধিকাংশই অকাল মৃত্যু - উমা বসু, হিমাংশু দত্ত, শৈল দেবী, মলয় মুখোপাধ্যয় প্রমুখ। ভীষ্মদেব চট্টোপধ্যয়কে হারিয়েছি অন্য কারণে। এগুলো মানুষের হাতের বাইরে।

    কিন্তু বাংলা বেসিক গানের জগত থেকে মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ে্‌ক নজরুলগীতিতে হারানটা আমি ব্যক্তিগতভাবে কিছুতেই মানতে পারিনা। মানবেন্দ্র বেসিক গানে নিজের যে জায়গাটা তৈরি করেছিলেন, সে জায়গায় এমনকী সেই জঁরাটাতেই আর কেউ এলেন না। কম্পোজার হিসেবেও মানবেন্দ্র কিছু অনবদ্য সুর করে গেছেন।

    বিমান মুখুজ্জে যে এ কী সর্বনাশ করলেন বাংলা বেসিক গানের!
  • maximin | 69.93.247.217 | ২১ আগস্ট ২০১২ ০৯:৪৪458483
  • বা এই থ্রেডটা তো বেশ! পড়ব বলে ওপরে রাখলাম।
  • maximin | 69.93.247.217 | ২১ আগস্ট ২০১২ ১২:৫৭458484
  • ফিরে দেখা। প্রথম পাতা -- রঞ্জন রবীন্দ্রসঙ্গীতে মীড়ের প্রয়োগ নিয়ে অনেকগুলো উদাহরণ দিয়েছেন। সেগুলো ঠিকই আছে। কিন্তু এও বলেছেন, 'কীর্তনে আবার তানের ছড়াছড়ি', কন্ট্রাস্ট হিসেবেই কথাটা বলেছেন। আমার বক্তব্য হল রবীন্দ্রসঙ্গীতে অন্য এক ধরনের মীড় বহুলভাবে ব্যবহৃত। উদাহরণ মম দুঃখের সাধন_ও_ও। এবারে দেখুন 'আজ সজনি'তে গীতা দত্ত এই জিনিস আরেকটু বেশি করে লাগিয়েছেন জীবন সফল হো জা_আ_আ-য়ে। বেশি করে লাগিয়েছেন তার কারণ হল আজ সজনী 'কীর্তন'। অতুলপ্রসাদের 'কাঙাল বলিয়া করিয়ো না হেলা' গানে ছবি বন্দ্যোপাধ্যায় 'কাঙাল'কে মীড় দিয়ে নি থেকে সা তে যেভাবে নিয়ে গেছেন, কীর্তন গাইতেন বলেই পেরেছেন।

    এই প্রসঙ্গে ন্যাড়াবাবুর উক্তি স্মরণ করি। মীড়ের প্রয়োগ গাইয়ে-টু-গাইয়ে ভ্যারি করবে। প্রথমত: তো চাইলেই তো সবাই সব নোট লাগাতেই পারবে না। দ্বিতীয়ত: ঠিক কী ভাবে মীড় যাবে সেটা, সচেতনভাবে না হলেও, ঠিক করতে হবে গাইয়েকেই। প্রথমটা তালিম, তৈয়ারী আর প্রয়োগক্ষমতার ব্যাপার। দ্বিতীয়টা এসথেটিক্সের।
  • maximin | 69.93.247.217 | ২১ আগস্ট ২০১২ ১৩:৩২458485
  • মম দুঃখের সাধন গানের 'সাধন' গাওয়ার সময় ধীরে মা তে পৌঁছনো, অনেকে এটাকে মীড়ই বলবেন না আদৌ। 'ধানের খেতে খেলিয়ে গেল ঢেউ'য়ের মত নয়, 'জোয়ারে ঢেউ তোলাব'-র মত নয়। তবে রবীন্দ্রনাথের অনেক গানেই কিছু কিছু জায়গাতে একটু টেনে গাওয়া যায়, মাত্রার সংখ্যা সমান রেখেও। না টানলেও চলে। কেউ কেউ টানলে দোষ ধরেন।
  • Mano Bar | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ২০:৪১458486
  • ক্যাকটাসের সঙ্গীত পরিবেশনের উপর কিছু মতামত পড়লাম। কথা প্রসঙ্গে ভূমি এবং চন্দ্রবিন্দুর প্রসঙ্গও এসেছে। আমার এক বন্ধুর ক্যাসেটের দোকান ছিল। তখনও অনেকেই টেপ রেকর্ডারে ক্যাসেট চালিয়ে গান শুনত। তা বন্ধু আমাকে দুটো ক্যাসেট দিয়ে বলল শুনে পছন্দ হলে পরে দাম দিয়ে দিস। এর মধ্যে একটা ছিল ভূমির ইস্পেশ্যাল। গানগুলো খুব ভালো লেগে গেল। তারপর বাংলা ব্যান্ড নিয়ে খোঁজ খবর করে চন্দ্রবিন্দু ক্যাকটাস -এদের গানও শোনা হল। আর একটি বাংলা ব্যান্ড যার নাম দোহার তাদের কিছু গান খুবই ভালো লাগল। ক্যাকটাসের কিন্তু সেই যে হলুদ পাখী ছাড়া আর কোন গান ভালো লাগেনি। অমন একটা দারুণ গান গাইবার পরেও ওরা যে সেভাবে দাগ কাটতে পারলো না সেজন্য বোধহয় দায়ী ওদের দৃষ্টিভঙ্গী। ওই যে পা দিয়ে সাউন্ড বক্সে আঘাত করা এই ওঁচা ব্যাপারটাই ওদের বারোটা বাজিয়েছে। ভাবতে কষ্ট হয় যে হলুদ পাখী ওরাই গেয়েছিল।

    চন্দ্রবিন্দুর রচনাগুলি খুব ভালো। কতকগুলি গান হৃদয়স্পর্শী বলে মনে হয়েছে। তবে প্রথম দিকে ত্বকের যত্ন নিন প্রভৃতিগুলি তেমন ভালো নয়। একটা বিশেষ বয়সের মনোভাব, প্রেম বিরহ হতাশা প্রায় চিরকালীন সত্যের ছোঁয়া নিয়ে ওদের গানে মূর্ত হয়ে উঠেছে। ভুমির উত্থান আবার অন্য পথে। খুব আনন্দে নেচে নেচে ওরা পরিবেশনা করত। লোকগীতির সুর একটু চটুলভাবে পরিবেশন করেই ওরা মানুষের মন জয় করেছে। বেশীর ভাগ গানই চটুল ছন্দে গাওয়াও এর একটা কারণ। রচনায় অবশ্য চন্দ্রবিন্দুর গভীরতা নেই কিন্তু গায়কি ভালো। আমার যদিও সবচেয়ে সুরেলা লাগে দোহার ব্যান্ডের গান। ওদের গানের সংখ্যা কম হলেও কয়েকটি গান খুবই প্রসংসনীয়। দোহারের কথা কিন্তু কেউ উল্লেখ করেনি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন