চৌমাথায় একটি নড়বড়ে প্যাকিঙ বাক্সের ওপর কোনোমতে দাঁড়িয়ে নিজেকে ব্যালান্স করতে করতে বক্তৃতা দিচ্ছেন জরি ননি। সামনে পাহারারত নির্বাচন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক। নিয়মমত এই বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটপ্রচারের সাত দিনের মধ্যে কমপক্ষে পাঁচটি স্ট্রীটকর্ণার মিটিং করতেই হবে বিরোধী প্রার্থীকে। প্রথম পাঁচদিন জরি ননি কাটালেন খেলাধুলো করে খেয়ে দেয়ে আয়েশ করে। আর মাঝে মাঝে হা হুতাশ করছেন
– আর ক-দিন বাকি – ওরে বাবা পাঁচ পাঁচটা মিটিং – কবে করব – আমার কী হবে। কী কুক্ষণে যে সেবার নৈহাটি বেড়াতে গিয়ে তিনমাসের জায়গা ... ...
দেশপ্রেম বটিকা হু হু করে বিকোয় – তুষারঝড়ে চাপা পড়ে শক্ত হয়ে যাওয়া জওয়ানদের শরীরের আড়ালে একজনের প্রাণ ধুকপুক করলে সারা দেশ একসঙ্গে প্রার্থনা করে। তখন আর আমাদের মাথায় থাকে না - কেন দুটো পাশাপাশি ঊনিশ-বিশ নিম্নবিত্ত দেশ তাদের জাতীয় আয়ের সিংহভাগ খরচা করে ফেলে ঘেন্নার আগুনটা জিইয়ে রাখতে – কেন সেই আগুনে বলি দিতে হয় তরতাজা যুবকদের?
প্রেম টেম বাজে কথা, আসলে এই ঘেন্নাটার বেঁচে থাকা খুব দরকার – তাতে প্রতি বছর প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বরাদ্দ বাড়ে। শতাংশের হিসেব সমানুপাতে বাড়ে। এই ঘেন্নাটা যতদিন জ্যন ... ...
কিছুদিন ধরেই একটা আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। কী যেন একটা নেই, মানে ছিল, এখন হারিয়ে যেতে বসেছে এমন একটা কিছু বোধ আসছিল বারবার। একটা ক্ষোভ। ঠিক ধরা পড়ছিল না, সামনে আসতে পারছিল না – কী যেন একটা হারাতে বসেছে সে। সে মানে অনুরূপ বিশ্বাস।
একটা রাগ হচ্ছিল তার। হারিয়েছে, হারিয়ে যাচ্ছে কিছু একটা – ঠাহর করা যাচ্ছে সেটা কিন্তু ঠিক সেটা কী তা বোঝা যাচ্ছে না। এ এক অদ্ভুত অস্বস্তি। আকাশের অনেক উঁচু থেকে বিন্দু বিন্দু শূন্যতা নেমে আসছে তার চারধারে – অন্ধকারের মতো। ঠিক অন্ধকার নয়, অন্ধকার কখনো আকাশ থেকে নামে না। ... ...
1
সাফাইঃ
প্রথমেই সাফাই গেয়ে রাখি রাজনীতি কখনোই আমার কাপের চা ছিল না। আজও নেই। আজ ১০ই ফেব্রুয়ারী ২০১৫ তে আম আদমী পার্টি ধরাশায়ী করেছে কাগজে কলমে তাদের প্রবলতর প্রতিপক্ষকে তখন কিছু বিষয়ের ওপর আলোকপাত করার তাড়না অনুভব করি, সেখান থেকেই এই প্রবন্ধ শুরু।
রাজনীতি আমার কাপের চা নয় বলতে আমি বোঝাতে চেয়েছি যে আমি রাজনৈতিক দলের মিছিলে হাঁটিনি, ভোট চাইতে আসা দলের সবাইকেই দেঁতো হাসি দিয়ে আশ্বাস দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যারা রাজনীতিতে প্রত্যক্ষ ভাবে আছেন বা থাকতে চাইছেন এই লেখার লক্ষ্য তাঁরাই। তাদের বল ... ...
এক ছিল রাণী, তার মালখানায় মাল ছিল, ঘেউখানায় ভুকুল ছিল। তার শিক্ষামন্ত্রী ছিল ব্যর্থ। রাণীমাকে তার ভাইপোরা দিদি বলে ডাকতো।
রাণী একদিন খেয়াল করলেন তার অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও কিছু স্কুল কলেজে পড়াশোনা হচ্ছে। রাণী দেখলেন বিপদ – কত চেষ্টা করে জেলায় জেলায় প্রচুর চেষ্টায় ডকে তুলে দিলেন লাখ লাখ কলেজ আর তারই নাকের ডগায় এ হেন বিষফোঁড়া? অ্যাঁ - লোকে বলবে কি? তার অকুতোভয় সৈনিক আরাষণ্ড – জলের জগ নিয়ে রুখে দাঁড়িয়েছেন প্রতিবাদী শিক্ষিকার দিকে। তার প্রিয় যুব সেনাপতি বঙ্কুদেশ একা অসীমসাহসে মাত্র পঞ্চ ... ...
১
যখন দেখি সারাগায়ে মাঝরাত্তির জন্মে গেছে
অলীক বেভুল ঘটনাহীন জন্মতিথি
টৈ টম্বুর উপচে গেছে মজা দিঘী ঝাঁঝি পানায়
অসম্পূর্ণ বাজার হল, সন্ধেবেলা ভাঙা বাজার
কেউ এল কি কেউ এলো না দোকানদারের কী এসে যায়
বাক্যবাণেও মরচে হল – সাধ কি ছিল এমন সাজার
আকন্ঠ রাত সারাগায়ের নামাবলী জন্ম দিচ্ছে চিল চিৎকার।
২
সে অপরূপ, দোষ কিছু নেই
সেই অসীমের একফালি মুখ চাঁদের মতো
তাই দেখতেই হাঘরের দল ছুটে আসছে
আন্ডা বাচ্চা ডেঁয়ো ঢাকনা গেরস্থালি সঙ্গে নিয়ে
বসছে বাজার ... ...
২ - - “ফুল বলে”
“ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া” উনি আসেন নি কখনো নিজে ফুল কিনতে। তাঁর বাড়ি থেকে সোজা রাস্তায় দক্ষিণ দিকে মিনিট দশেক হাঁটলেই তো সার দেওয়া ফুলের দোকান সব। তাই ফুলের দোকানেরা বুঝি বড় আবর্জনাময়। কিন্তু হাওড়া হাটের পাইকারি বাজারের তুলনায় তা নস্যি। সে এক নরককুণ্ড, গোড়ালি অবধি কাদায় মাখামাখি হয়ে আছে রজনীগন্ধার ডাঁটি, এক গোছা গোলাপফুলের নিচের ডালগুলো পাতা কাঁটা সমেত যা কিনা এখনো সুতো দিয়ে বাঁধা অকারণ। পচে যাওয়া কুঁচোফুল বেশিরভাগই যারা দোপাটি কাদামাটি মেখে একশা হয়ে শুয়ে আছে। আর সে ... ...
১
আমি চারপাশ থেকে জড়ো করি চুল দড়িদাড়া ভিটভিটে আলো জ্বলা সন্ধে লাল ঝুটি চাওয়া পাখিরূপ দীর্ঘসুত্রতা। নিজের কাছ থেকে নিভে যেতে চাই আমি অনেক দূর থেকে মেল ট্রেনখানি আসে মাঝে মাঝে আমাদের কাছে, জানো?
এমনিতে ঘাসফড়িং দেখি আমি ওড়াউড়ি করে। কখনো কখনো অন্য পোকামাকড় দেখে ভাবি এরাও ঘাসফড়িং হতে পারত। আমি দেখি সরু সরু নীল সুতো কখনো আড়াআড়ি কখনো বা লম্বালম্বি ভাবে সরে সরে যায়। বাক্স বাক্স ঘরে বাক্স জমা হতে হতে মানুষজন মহানন্দে বাক্স রহস্যের সিনেমা দেখে ফেলে। আমি সিনেমাটা দেখি না তবে নিজের বাক্স নজরে ... ...