১
যখন দেখি সারাগায়ে মাঝরাত্তির জন্মে গেছে
অলীক বেভুল ঘটনাহীন জন্মতিথি
টৈ টম্বুর উপচে গেছে মজা দিঘী ঝাঁঝি পানায়
অসম্পূর্ণ বাজার হল, সন্ধেবেলা ভাঙা বাজার
কেউ এল কি কেউ এলো না দোকানদারের কী এসে যায়
বাক্যবাণেও মরচে হল – সাধ কি ছিল এমন সাজার
আকন্ঠ রাত সারাগায়ের নামাবলী জন্ম দিচ্ছে চিল চিৎকার।
২
সে অপরূপ, দোষ কিছু নেই
সেই অসীমের একফালি মুখ চাঁদের মতো
তাই দেখতেই হাঘরের দল ছুটে আসছে
আন্ডা বাচ্চা ডেঁয়ো ঢাকনা গেরস্থালি সঙ্গে নিয়ে
বসছে বাজার ... ...
২ - - “ফুল বলে”
“ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া” উনি আসেন নি কখনো নিজে ফুল কিনতে। তাঁর বাড়ি থেকে সোজা রাস্তায় দক্ষিণ দিকে মিনিট দশেক হাঁটলেই তো সার দেওয়া ফুলের দোকান সব। তাই ফুলের দোকানেরা বুঝি বড় আবর্জনাময়। কিন্তু হাওড়া হাটের পাইকারি বাজারের তুলনায় তা নস্যি। সে এক নরককুণ্ড, গোড়ালি অবধি কাদায় মাখামাখি হয়ে আছে রজনীগন্ধার ডাঁটি, এক গোছা গোলাপফুলের নিচের ডালগুলো পাতা কাঁটা সমেত যা কিনা এখনো সুতো দিয়ে বাঁধা অকারণ। পচে যাওয়া কুঁচোফুল বেশিরভাগই যারা দোপাটি কাদামাটি মেখে একশা হয়ে শুয়ে আছে। আর সে ... ...
১
আমি চারপাশ থেকে জড়ো করি চুল দড়িদাড়া ভিটভিটে আলো জ্বলা সন্ধে লাল ঝুটি চাওয়া পাখিরূপ দীর্ঘসুত্রতা। নিজের কাছ থেকে নিভে যেতে চাই আমি অনেক দূর থেকে মেল ট্রেনখানি আসে মাঝে মাঝে আমাদের কাছে, জানো?
এমনিতে ঘাসফড়িং দেখি আমি ওড়াউড়ি করে। কখনো কখনো অন্য পোকামাকড় দেখে ভাবি এরাও ঘাসফড়িং হতে পারত। আমি দেখি সরু সরু নীল সুতো কখনো আড়াআড়ি কখনো বা লম্বালম্বি ভাবে সরে সরে যায়। বাক্স বাক্স ঘরে বাক্স জমা হতে হতে মানুষজন মহানন্দে বাক্স রহস্যের সিনেমা দেখে ফেলে। আমি সিনেমাটা দেখি না তবে নিজের বাক্স নজরে ... ...