আজ থেকে বছর পাঁচেক আগে, মহারাষ্ট্রের ভীমা-কোরেগাঁও নামক একটা ছোট্টো জায়গায় কিছু দলিত সংগঠন বনাম হিন্দুত্ববাদীদের একটা গোলমাল হয়। অভিযোগ, দলিতদের মিছিলে হিন্দুত্ববাদীরা আক্রমণ করেছিল। প্রতিবাদ ছড়ায় রাজ্য জুড়ে। হিন্দুত্ববাদী একজন নেতাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তারপর ধাপে-ধাপে আসরে নামে বিশেষ-তদন্তকারী-দল এবং এনআইএ, যে কেন্দ্রীয় সংস্থা ভারতবর্ষের নিরাপত্তারক্ষার মহান দায়িত্বে। না, হিন্দুত্ববাদীদের আর কিছু হয়নি। এক এক করে গ্রেপ্তার করা হয় ... ...
এখন দুয়ারে সব্জিযারা প্রায় রোজই বাজারে যায় বিশেষ করে আমার মতো অবসরপ্রাপ্ত মানুষেরা তাদের কাছে বিভিন্ন ঋতুভেদে সবজির দামের ওঠাপড়া এক দারুণ দেখার বস্তু। অর্থনীতির সাপ্লাই ও ডিমান্ডের তত্ব যে কত নির্ভুল তা চোখে না দেখলে প্রত্যয় হয় না। যেমন ফুলকপি আমি গত অগাস্ট মাসে বাড়ির একটি ভোজ উপলক্ষে ৬টি কিনেছিলাম কড়কড়ে নগদ ৩০০ টাকা দিয়ে।অর্থাৎ এক একটি কপির খুচরো মুল্য ছিল একবারে ৫০ টাকা। এই 'হাফ সেঞ্চুরি' দাম দোকানীকে কিছু কম করতে বলাতে সে এমন মুখটা করেছিল যেন বলতে চাইল 'ও কথা আর বলবেন না।' কড়াইশুঁটি মরসুমের শুরুতে ছিল ৩০০ টাকার মতো। পাতি লেবুও হঠাৎ দামি হয়ে গেছিল। ২০ ... ...
'যবনিকা'Work for দর্জি,dorji.shantiniketan. মডেল পরেছেন ১৭ শতকের বাংলা অক্ষরের বাটিক নীল ডাইয়ের স্টোল ও মৌমাছি বাটিক মোচার ডাইয়ের স্টোল।. মডেল: স্রীজা ভট্টাচার্য্য Srija Bhattacharya ধন্যবাদান্তে: শেখ নাজীব,সুজাতা চৌহান #fashion #catalogue #fashionshoot #fashion #models #indianmen #indianwomen #exoticfashion #modelphotography #bengal #bengaliculture #kolkata #ecofriendly #dorji #dorjishantiniketan #artphotography #arcnvisuals #archanmukherjee
ঘোর লাগা চোখে তার কাছে যাই। / এবার থেমেছে বৃষ্টি- দূর জলা জঙ্গলে
এই লেখার মাইরি বলছি কোনও সারমর্ম নেই। থাকলে আমি জানতেম।
আজ আহ্লাদ ভরা নাম যে তার
ব্যস্ত বাতাসেরা / ছুটে চলে
ঝিমপাহাড় আর সবুজ বনের ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে গ্রামটা। দূর থেকে দেখলে 'হ্যামলেট' কথাটাই মনে আসে প্রথমে। গ্রামের এক প্রান্তে অতলস্পর্শী খাদ, সেখানে অতিকায় বৃক্ষরা জড়ামড়ি করে নেমে গেছে অরণ্যের বুকে। অন্যদিকে সবুজের সিড়ি ধাপে ধাপে উঠে গেছে বরফাচ্ছাদিত চুড়ার উদ্দেশে। ইজারায়েলের ব্যাকপ্যাকাররা বছর চল্লিশ আগে খুঁজে বের করেছিল এই রত্ন, চার দশকের শত হাঙ্গামাতেও তার ঔজ্জ্বল্য একফোঁটাও মলিন হয়নি। হয়নি যে, সেটা সত্যি আশ্চর্য! মাত্র ঘন্টা চারেকের দূরত্বে অবস্থিত পার্বতী নদীর ধারে একটা কংক্রিটের জঙ্গল গড়ে উঠেছে প্রায়। পার্টি ক্রাউডের জ্বালায় গ্রামের মানুষ তো বটেই, বনের পাখিরাও অস্থির। কিন্তু তা সত্ত্বেও অবিশ্বাস্যভাবে এই গোপন গ্রামটা বেঁচে গেছে। ভাগ্যিস! এই অচিনপুরের ডাকে ... ...
*।। ছটপরব ।।* দীপাবলির পরের কুন ভোরসকালেই জাইগ্যা ওঠে দীপ্তি। পিপরাটোলির ঘরের বাইরে পাও রাইখ্যা দ্যাখে কাল যে মাটির দিয়াগুলান বারবার অসীম যতনে জ্বালিয়ে তুলিছিল দীপ্তি না বিক্কিরি হওয়া বাঁচাবুঁচা করৌঞ্জ এর তেলে, শীতের শিরশিরিয়ে ওঠা বাতাসের ছোবল বাঁচিয়ে, সেই মাটির প্রদীপ গুলো পইড়্যা আছে তেল শেষ হওয়া পরাজিত সৈনিকের মতো, তেল চুঁইয়া পইড়্যা আছে এইদিক উইদিকে, রঙ্গোলির রং বিখরে আছে চৌদিকি; ঐ বড় বাড়িটোর ফেলি দিওয়া আতসবাজির কাগজগুলান, দীপুটা কুড়িয়ে বাড়িয়ে আনি ওর পটাকা শেষ হওয়ার পর জ্বালিয়ে বারে বারে হাততালি দিয়ে নাচে। বাপটা বলিছে, আওয়াজ ওলা পটাকা না জ্বালাতি, সরকারের মানা, বড়লোকিরা শোনে না কিছুই। ... ...
বৃষ্টি পড়ছিল। সারা আকাশ মেঘে ঢাকা ঘন অন্ধকার। এই দিনটি কে যেন বলা যায় 'এ কোন সকাল রাতের চেয়ে অন্ধকার'। নগেন কাকা চা খাচ্ছিল। কোল মাইনসে চাকরি করতেন, অনেক দিন হল অবসর নিয়েছেন। এমন বৃষ্টি বাদলা দিনে নগেন কাকার গল্প খুব আমরা উপভোগ করতাম।
কাল ছিল মেঘ-লেখা, আজ জলে লেখা হোক - যে জলটুকু কাঠফাটা কণ্ঠে তৃপ্তির অনুভুতির জন্মদান করে, আবার সেই জলই নটরাজের তাণ্ডব নৃত্যে ধ্বংসলীলায় মাতে। জল নিয়ে লিখতে গিয়ে এক পৃথিবী করে লিখেছেন সুকুমার থেকে জয় গোঁসাই থেকে কবীর সুমন।
ক্লাসরুম অভিজ্ঞতা অনেক সামাজিক সমস্যাকে তুলে ধরে। এমনি এক সামাজিক ব্যাধির অভিজ্ঞতা আমার ক্লাসরুমের মধ্যেই পাওয়া। ফি বছরের মত সেবারেও বিদ্যাসাগরের জন্মদিন স্কুলে পালন করা হচ্ছিল। বিদ্যাসাগরের দারিদ্রের সঙ্গে সংগ্রাম এবং তাঁর অপরিসীম মাতৃভক্তি ছিল নাটকের প্লট। স্কুলের যে ছেলেটি ভগবতী দেবীর চরিত্রে নির্বাচিত হল সে হল স্কুলের সবার কাছে “লেডিস” গোপাল পন্ডা (নাম পরিবর্তিত)। তার এই নামকরণের কারণ শুধুমাত্র তার শারীরিক গঠন বা বাচনভঙ্গি নয়, পাশের গার্লস স্কুলের কোন মেয়ের পরিবর্তে তার পাশে বসা ছেলেটির সঙ্গে অতি সখ্যতাও এর কারণ। ধীরে ধীরে শিক্ষকমহলেও তার পরিচয় হল "লেডিস" গোপাল। এহেন পরিচয়ে ছেলেটির কুণ্ঠাবোধ যে অপরিমেয়, তা তো অনুমেয়। বয়ঃসন্ধির এই ... ...
ভবেশ কলকাতায় হাতে টানা রিক্সা চালায়। দেশের বাড়ি বিহারের প্রত্যন্ত এক গ্রামে, বাড়িতে আছে বাবা, মা,ও ছোটবোন। যদিও একজন নতুন সদস্য এসেছে এখন, সে হলো ভবেশ কুমার যাদবের নতুন বৌ সুনিতা। বিয়ে করেই কলকাতায় ফিরে এসেছে ভবেশ পেটের তাগিদে। আসার আগে বৌকে বলে এসেছে পুজোয় গিয়ে কলকাতায় নিয়ে আসবে তাকে। তার জন্য দিনরাত এক করে পরিশ্রম করে সে। বৌকে নিয়ে আসার আগে একটা ঘর ভাড়া করতে হবে।বর্তমানে রাতটুকু রাস্তাতেই কোথাও গামছা পেতে ঘুমিয়ে থাকে, আর রঙিন স্বপ্ন দেখে সুনিতাকে নিয়ে নিজেদের একটা সংসার করবে কলকাতায়। ... ...
বাণী ব্যাপারটা গোলমেলে। সে খালি গুরুদের একচেটিয়া। মানে যারা নিজেদের গুরু মনে করে, আর বাকি পৃথিবীকে চন্ডালতুল্য, তাদের একচেটিয়া। কাজ অবশ্য খুব কঠিন না, কারণ একবার গুরু বনে গেলেই বেরিয়ে আসতে থাকে অমৃতভাষণ, যার বেশিরভাগই আসলে অনৃতভাষণ। সচেতনভাবে যদি ঢপ না-ও দিয়ে থাকে, তবুও। সেই কোন প্রাচীনকালে ভারতচন্দ্র বলে গেছেন "সে কহে বিস্তর মিছা, যে কহে বিস্তর"।কোন ভারতচন্দ্র? মানে? কেশনগরের ভারতচন্দ্র হে। রায়গুণাকর। বিদ্যাসুন্দরের ভারতচন্দ্র।বিদ্যাসুন্দর বললেই মনটা কেমন সিক্ত হয়ে উঠলো, না? আফটার অল বাঙালি তো। মানে, বলছি যে ভারতচন্দ্র আফটার অল বাঙালি। ফলে বাকি ভারত আগামিকাল ভেবে ফেলার আগে তিনি আজই চরম সত্যিটা লিখে রাখলেন। উত্তরকালের জন্য।তো কথা হচ্ছিলো ... ...