বিমানবাবুরা জামায়েত উলেমায়ে হিন্দের পদাধিকারী বলে সিদ্দিকুল্লাকে সাম্প্রদায়িক ব্যক্তি মনে করেন। পড়াশোনা করার জন্য বিখ্যাত কমরেডরা ‘জামায়েত উলেমায়ে হিন্দ’ শব্দবন্ধের মানে জানে না, সংস্থাটির ইতিহাস জানে না। চাড্ডিমান্য সংজ্ঞা অনুযায়ী দাড়ি আর টুপি ছাড়া সিদ্দিকুল্লার কোন নেড়েগুণ নাই। অধুনা রাজনৈতিকোচিত হার্মাদপনা, বাটপাড়ি অবশ্যই আছে। তবু, বিমানদা যখন বলেছেন, তখন সিদ্দিকুল্লা জামাতে উলেমায়ে হিন্দের পদাধিকার বলেই সাম্প্রদায়িক। তাই বিমানদার এককাঠি সরেস, নিরেট, একেবারে একটা আস্ত জ্যান্ত পীরজাদা চাই! উলেমায়ে হিন্দ বনাম স্বয়ং শ্রীমান পীরজাদা! ইহা ধ্রুপদী প্রতিযোগিতামূলক সাম্প্রদায়িক রাজনীতি। ... ...
কমিউনিস্ট বলতে জনমানসে এক বিচিত্র স্টিরিওটাইপ রয়েছে। তারা দুর্নীতিমুক্ত সৎ হবে, তারা বহুজনহিতায় জীবন উৎসর্গ করবে, তারা সর্ববিষয়ে আদর্শ হবে, তারা প্রতিস্রোত হবে, নীরব সেবাব্রতী হবে ইত্যাদি প্রভৃতি। সমস্যা হল সর্বগুণে গুণান্বিত সিপিএমের এই নব্যপ্রজন্ম আন্দোলনের মধ্য দিয়ে উঠে আসে নি। ফলে এই বিচিত্র স্টিরিওটাইপ তাদের অধিগতও নয়, আকাঙ্ক্ষিতও নয়। তারা অনেক বেশি বাস্তববাদী। ... ...
শুরু অনেক আগেই হয়েছে। সে কারণেই সম্ভবত গুজরাট দাঙ্গার সময়ে যিনি দেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন, সেই কে আর নারায়ণন অবসরের পর বলেছিলেন, তিনি সব থেকে বেশি পীড়িত হয়েছিলেন এটা দেখে যে, এত বড় একটা গণহত্যা ঘটে গেল, সারা দেশ ছিল প্রায় নীরব। সেই সাক্ষাৎকারে ইউটিউবে যে কেউ দেখে নিতে পারেন। ... ...
এই যে বিভিন্ন দল এলজিবিটিকিউদের নিয়ে কথা বলে, তারা নিজেরা কতটা আন্তরিক? আপনি বলতেই পারেন, খেতে পেলে শুতে চায়। রাজনৈতিক সমাবেশে খান দুই রামধনু পতাকা ওড়াতে দিয়েছি, একজন বক্তা এলজিবিটিকিউদের জন্য একটা বাক্য বলেছেন, এই না কত। এটুকুই বা কে করে? ... ...
মানসিক প্রতিবন্ধকতাসম্পন্ন ছেলেমেয়েদের যৌন হয়রানির ক্ষেত্রে পুলিশ প্রথমত অভিযোগ নিতে গড়িমসি করে, দ্বিতীয়ত অনেক সময় আদৌ নেওয়াই হয় না। পুলিশ চায় আপোষ মীমাংসা করে নেওয়া হোক, ক্ষতিপূরণ দিয়ে মিটিয়ে ফেলা হোক। সুতরাং পুলিশি চিন্তা ভাবনারও বদল চাইছেন ওঁরা। চাইছেন ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট। ... ...
শুধু বলি, স্পষ্টভাবে বলুন - যা বলতে চাইছেন, দায়িত্ব নিন। উত্তরটি গ্রহণযোগ্য না-ই হতে পারে - সর্বজনগ্রাহ্য তো কখনোই হবে না - তবুও, স্পষ্ট অবস্থান ও উচ্চারণ জরুরি। শুধুই নেতি নেতি করে আধ্যাত্মিক সত্যে পৌঁছানোর সম্ভাবনা থাকলেও, রাজনৈতিক লক্ষ অর্জন মুশকিল। বিরোধিতা করার মুহূর্তে বিরুদ্ধ কোনো একটি দলের পক্ষে বোতাম টেপা জরুরি। আমার পক্ষে সেই বোতাম বামেদের - আপনি সিদ্ধান্ত নিন, সেই বোতাম কাদের। ... ...
টোটোদের না-পাওয়ার তালিকা দীর্ঘ। খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থানের সমস্যা খানিক সামাল টোটোরা দিতে পেরেছেন নিজেদের চেষ্টায়। কিন্তু আজও বর্ষার দিনে হাউরি, বাংরি, তিতি নদীতে পাহাড়ি স্রোতের ঢল নামে। নদীগুলির উপর সেতু না থাকায় বর্ষার দুর্যোগে টোটোরা বিচ্ছিন্ন থাকেন সংলগ্ন শহরাঞ্চল থেকে। ভোটের আগে আর্থসামাজিক ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির একাধিক প্রতিশ্রুতির কথা শুনে আসছেন টোটোপাড়ার বাসিন্দারা। ... ...
আমাদের ডোমকলের জনকল্যাণ মাঠে একবার বামফ্রন্টের মিটিং হয়েছিল… তাতে রেজ্জাক মোল্লা বলেছিলেন, ‘ভারতবর্ষে কি মুসলিমের যোগ্যতা নাই মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার? কেন হতে পারে না?’ তারপর থেকেই কিন্তু রেজ্জাক মোল্লা রাগ করে নেমে গেছেন। ... ...
বেড়াবেড়ি অঞ্চল থেকে এসেছিলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব নূর বক্স মণ্ডল। আবার দিঘরা থেকে বছর বিশের আমিনুল মোল্লা। এই জমায়েতের উদ্দেশ্য তাঁদের কাছে স্পষ্ট। তাঁরা মনে করেন ভাইজান বঙ্গ রাজনীতিতে নিয়ামক শক্তি হয়ে উঠবে। অশোকনগর বিধানসভায় জয়ের ব্যাপারে তাঁদের মুখের কথায়, শরীরের ভাষায় আত্মবিশ্বাস স্পষ্ট। কিন্তু ভোটের গতিতত্ত্বের কোন নিয়মে এমন ঘটবে, তা তাঁরা জানেন না। ... ...
আব্দুস সাত্তার, আমডাঙার সিপিএম নেতা, প্রাক্তন এমএলএ এবং মন্ত্রী। কিন্তু তিনি দল বদলে কংগ্রেসে চলে গেলেন, কেন? আর সিপিএম থেকে তো বিজেপিতে যাওয়ার কোন বিরামই নেই। এর পরেও কি নীতি-আদর্শের বাগাড়ম্বর চলে? রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী কতবার দল বদলেছেন? নকশাল থেকে সিপিএম হয়ে আরএসপি এবং অবশেষে কংগ্রেস। তাঁর রাজনৈতিক জীবন কি যথেষ্ট আদর্শ মেনে চলেছে? সুতরাং, দল ভাঙানোর অভিযোগ তুলে তৃণমূলকে ব্রাত্য করে রেখে বিজেপিকে তোল্লা দেওয়া বর্তমান রাজনীতিতে হবে এক অমার্জনীয় অপরাধ। ... ...
“জনতা মানে যেন মানুষ নয়! ভোটার। মিডিয়া থেকে নেতা সবাই বলছে 'ভোটব্যাংক'। মুসলমান ভোটব্যাংক, উদবাস্তু ভোটব্যাংক, রাজবংশী ভোটব্যাংক, দলিত ভোটব্যাংক, আদিবাসী ভোটব্যাংক। এতে যে মানুষকে অপমান করা হয়, এই বোধটা চলে গেছে! অথচ অন্য সব পক্ষেরও আগে গণতন্ত্রের আসল শক্তি হিসেবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পক্ষ হবার কথা ছিল এই সাধারণ জনগণের। জনতাপক্ষের।” ... ...