এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা   বিবিধ

  • বইমেলা পর্যালোচনা সমীক্ষা প্রস্তাব ইত্যাদি

    র২হ
    আলোচনা | বিবিধ | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ৬৫৯ বার পঠিত
  • গুরুচণ্ডা৯র একটা (বা একাধিক) হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে। সেসব বিশেষ দেখা হয়না নানা কারনে। এই গ্রুপটায় সেদিন চোখ পড়লো - https://chat.whatsapp.com/IpZ9R1x78944oSG2fmhSSh
     
    দেখলাম গ্রুপের সদস্য ডক্টর কুণাল চট্টোপাধ্যায় সেখানে বইমেলা নিয়ে বিস্তারিত মত দিয়েছেন। ভাবলাম টইয়ে থাকলে এতে আলোচনার রসদ আছে। 
    অনুমতি নিয়ে কপি পেস্ট করলাম।
    (এটি একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের এক সঙ্গে কপি)

     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • র২হ | 96.230.215.15 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৬:৩৯742198
  • ডক্টর কুণাল চট্টোপাধ্যায়
     

    ***
    ৪৭ তম বই মেলা শেষ হল। ১৯৭৭ সালে প্রথম এই মেলার উদ্বোধন করেছিলেন তদানীন্তন রাজ্যপাল এ এল ডায়াস। তার পর মুলকরাজ আনন্দ থেকে অমর্ত্য সেন বা দেরিদা থেকে ভবতোষ দত্ত নানান বিদ্দ্বজন উদ্বোধন করেছেন বাংলার এই গর্বের পার্বনটির। কেবল গত দশ বছর এক জন ই হাতুড়ি বাজাচ্ছেন এই মেলার উদ্বোধন করতে। গত বছর ঘটেছিল হাতুড়ি ভেঙে যাওয়ার ঘটনা। এই বছরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সৌভাগ্য হয়েছিল।
    ***

    ***
    এবারের থিম কান্ট্রি ছিল ইউ কে। উদ্বোধনের জন্য দুজনকে বিদেশ থেকে আসার জন্য আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। একজন ও আসেননি।তাই জনৈক ব্রিটিশ ভদ্রমহিলাকে দর্শকাসন থেকে ডেকে উদ্বোধনে অংশ নিতে বলা হয়। তিনি তো অবাক। এটা অনেকটা আলী সাহেবের গল্পে আফগান চাষিটির মতো, যে সকালে প্রাতকৃত্য করে সবে ফিরছিল হঠাৎ জেলখানা থেকে পেয়াদা এসে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। কারণ সকালে অপরাধী গোনার সময় একজন কম পড়ছিল।
    ***

    ***
    রক্তদান শিবির যেমন বর্তমানে রক্তদান উৎসবে পরিণত হয়েছে বই মেলাও এখন পক্ষকালের উৎসব। পৌষ মেলা, কেঁদুলির মেলা বা সাগর মেলায় অংশ নেয় যারা তারা বই মেলায় তেমন একটা আগ্রহী নয়। এখানে মূলত শিক্ষিতজনের ই সমাবেশ ঘটে। 

    এটা ঠিক ফ্র্যাঙ্কফর্টএর বই মেলার সাথে তুলনা করা হলেও গুনমানে বা মর্যাদার বিচারে কলকাতা তুলনীয় নয়। ফ্র্যাঙ্কফর্ট মূলত প্রকাশকদের মিলন ক্ষেত্র। কিন্তু foot falls এর বিচারে কলকাতা বই মেলা বিশ্বে বৃহত্তম।

    এবছর এই মেলা চলাকালীন যে তথ্যটা বিচলিত করল সেটা হল এবছর আমাদের রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ৯২১  টা কমে গেছে। তার কারণ আট হাজার স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়া ও চার লক্ষ পরীক্ষার্থী কমে যাওয়া। এ হেন বাস্তবে বই মেলায় বাংলা বই এর বিক্রি বৃদ্ধি নিয়ে serious statistical গবেষণার যথেষ্ট অবকাশ আছে। বাজারে ইলিশ মাছের চাহিদার সাথে পথ দুর্ঘটনার সম্পর্ককে mongrel বা zero correlation বলা হয়। তেমন ই ছাত্র সংখ্যা বা দু প্রজন্ম বাঙালির বাংলা পড়তে না পারার সাথে বাংলা বই বিক্রির সম্পর্ক আছে কি না তা নিয়ে ভাবা যেতেই পারে। বিশেষ করে যে শহরে সরকারি অর্থে Indian Statistical Institute এর মত একটি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কেন্দ্র আছে। অতীতে তাত্ত্বিক গবেষণার পাশাপাশি যখন ফলিত গবেষনার চর্চা এখানে হতো তখন অধ্যাপক সুরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা বই মেলা নিয়ে এমন ই একটি চেষ্টা করেছিলেন। এখন নব্বই
    সেকেন্ড রাজনৈতিক ভাষ্য দেওয়ার জন্য এক ঘন্টা দূরদর্শনের সান্ধ্যবাসরে সময় দিতে কিংবা বড় বাজারে বাংলায় সাইনবোর্ড বা বাইপাশের ধাবায় বাংলায় মেনু লেখা হচ্ছে কিনা তা নিয়ে সারা দিন ব্যস্ত থাকতে এখানকার বিজ্ঞানীদের দেখা যায়।
    ***

    ***
    এ-বছর বই মেলাতে এক হাজারের বেশি স্টল হয়। কিছু পত্রিকা গোষ্ঠি, প্যাভেলিয়ানের লিটলম্যাগ সংস্থারাও স্টল দিয়েছে। আর আছে রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, ধর্মীয় ও, রাজনৈতিক  সংগঠন, নানা ধরণের নাগরিক অধিকার সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান, রাজ্য সরকারের নানান দপ্তর প্রভৃতি। এ ছাড়া অন্যান্য বছরের মত জায়গা নিয়েছে অসংখ্য খাবারের স্টল।

    যত দিন গেছে এই মেলা ক্রমশ বঙ্গ সংস্কৃতি সম্মেলনের রূপ নিয়েছে। স্থায়ী প্রাঙ্গন হওয়ার জন্য ধুলো আগের মত না থাকলেও কামড় দিয়েছে মানুষ ফিস ফ্রাইতে। হ্যান্ডলুমের ব্যাগ, ছবি, অজস্র কিউরিয়ো কী নেই? কোথাও মুক্ত মঞ্চে নাটক, নানা ধরণের পোষাকের ও গানের ব্যান্ড, কোথাও কবি সম্মেলন, রাজ্য মহিলা কমিশনের খোলা মঞ্চে অনুষ্ঠিত অকাল বসন্ত উৎসব, লাউড স্পিকারে গিল্ড এর ঘোষণা, উচ্চ কন্ঠে বাউল সঙ্গীত প্রভৃতি। এ সবের মধ্যে আসল বিষয়টাই নেই। সেটা হল বই।

    ১৮০০০ টাকায় দুসপ্তাহর জন্য ১০০ বর্গফুটের সাজানো আসর অস্থায়ী হলেও অনেক গোষ্ঠী সারা বছর অপেক্ষায় থাকে এই মহা মেলার দিকে।

    এবছর (২০২৪) বোধ হয় সবচেয়ে বেশী দিন (ছয় দিন) আমি মেলায় গেলাম। দিন পিছু গড়ে পাঁচ ঘন্টার অবস্থানে একটা cursory study করে আমার যা মনে হয়েছে সেটা বলার চেষ্টা করছি।

    কোন বিশেষ statistical technique বা sample design অনুশরন করা হয়নি। যেটা বিশেষ করে বলার তা হল প্রতিদিন ই ন-টির মধ্যে চারটি গেটে  প্রস্থানরত ভিজিটরদের কয়েকটি প্রশ্ন করেছি। যেমন কোথা থেকে আসছেন? কত টাকার বই কিনলেন,  কিনলে কী ধরনের বই কিনেছেন এবং পেশাগত পরিচয। বয়সের বিষয়টা নিজের অনুমানের ওপর ছেড়ে দিয়েছি। আর যেটা বলার তা হল পাত্র/পাত্রী নির্বাচন এর ক্ষেত্রে প্রতি চার জনের একজনকে নির্বাচিত করেছি। অসহযোগিতা থাকলে পরের জনকে নিয়েছি। এই সমীক্ষাটি করেছি শেষ তিন দিন। প্রথম তিন দিনে purposive sampling মেনে  ২২টি নির্বাচিত stall visit করেছি, স্টলগুলো হল আনন্দ, অনুষ্টুপ , দেব সাহিত্য কুটির, দে'জ, গাঙচিল, গুরুচন্ডালি, মিত্র-ঘোষ, প্যাপিরাস, পত্র ভারতী, পরম্পরা, পারুল প্রকাশনী, প্রকৃতি ভালোপাহাড়, পুনশ্চ, রূপা, তথাগত, Travel Writer'Forum, Oxford Book Stores, Jaica, Malayala Manorama, Nyogi Books, Orient Blackswan, Penguin. 

    এই ধরণের floating population কে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে সমীক্ষায় ধরা খুব সহজ নয়। যেমন কোন পর্যটন কেন্দ্রে যদি কাউকে প্রশ্ন করা হয় মশায়ের আসা হচ্ছে কোথা থেকে, ক দিন থাকছেন, লাগল কেমন,  উত্তর মিলবে। কিন্তু যেইআর একটু এগিয়ে জিজ্ঞেস করা হবে বাজেট কতো,রোজগার কেমন, শপিং কী করলেন, সব খরচ হল কি না, খুশি হবার মাত্রা কতো, জায়গাটা বাছলেন কেন, তখন ই ভদ্র লোক বিরক্ত হবেন। এখানেও মেলায় আসা মানুষটির যান ধরার উদ্বেগ আছে তাই বেশি প্রশ্ন করা বাতুলতা। তবে মেলা সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ হওয়ায় প্রবেশ ছেড়ে প্রস্থানের গেটকেই বেছে নেওয়া হয়েছে।
    ***

    ***
    মেলার শেষে দেখা গেল কিছু বেশি ২৫০ জনের সাক্ষাতকার নেওয়া গেছে। তা থেকে মিডিয়ান এজ (বয়স) সহজেই পাওয়া যায়। যদিও মোট জনসমাগমের তুলনায় ২৫০ সংখ্যাটা মোটেই কোন সঠিক সিদ্ধান্তে আসার পক্ষে যথেষ্ট নয় তবুও journalistic observation অপেক্ষা এ হেন সমীক্ষা ভিত্তিক উপসংহার কিছুটা বেশি নির্ভুল চিত্র তুলে ধরতে সাহায্য করবে।

    এই সমীক্ষা থেকে যে ছবিটা মোটামুটি উঠে আসে তা হল বই মেলায় আসা লোকজন প্রধানত metropolitan কলকাতার। উত্তরে নৈহাটি থেকে দক্ষিনে বজবজ এর বিস্তার। সবচেয়ে বেশী এসেছে বিধান নগর ও তৎসংলগ্ন এলাকা থেকে। অংশ নেওয়া মানুষজনের মধ্যে অবাঙালির সংখ্যা খুব ই কম পাওয়া গেছে। বয়সগত অংশগ্রহনের প্রশ্নে যুবক ও প্রৌঢ় প্রায় সমান সমান বলা যায়। বই ব্যতিত অন্য বিষয়ে আগ্রহে প্রত্যাশিত ভাবেই যৌবন এগিয়ে থাকবে। অন্য দিকে বই কেনা এবং পত্রিকাকে ঘিরে লেখক ও উৎসাহী র সংখ্যাযর প্রশ্নে এগিয়ে বয়সে প্রবীনরা। এই তথ্যটি গোড়ায় উল্লিখিত এই রাজ্যে ছাত্র ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা হ্রাসের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।

    আমার প্রয়াসে প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ যে দুটি বিষয়ে কোন তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি সেগুলি হল বই এর ক্রেতার আয় এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা। এটা ভাবাই যায় যে এই দুই স্বাধীন উপাদানের উপর বই কেনাটা সব চেয়ে বেশি নির্ভর করে। এ ক্ষেত্রে বই কেনার মত বিষয়টিকে dependent variable এবং বয়স, আয়, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা, মেলায় অংশগ্রহনকারী ক্রেতার বাসস্থান থেকে মেলার দূরত্বর মত বিষয়গুলোকে independent variable বিবেচনা করে বহুস্তরীয় প্রত্যাবৃত্তি (multiple regression) কষাই যায়। সেটা করতে পারলে আগ্রহোদ্দীপক ও তাৎপর্যপূর্ণ তথ্য উঠে আসার সম্ভাবনা প্রবল। তবে সেক্ষেত্রে  আমার এই ২৫০ sample size মোটেই যথেষ্ট নয়।

    এই পাঁচ দিনের অভিজ্ঞতা আমাকে দুটো ধারণা দিয়েছে, জানিনা পাঠক এক মত হবেন কি না। এক, বই বিক্রয়ের সিংহ ভাগ এবারেও বড় সংস্থাগুলো ধরে রেখেছে। দুই, পাঠক রুচি গড্ডালিকার বাইরে যায়নি। অন্য ভাবে বলা যায় কি লেখক নির্বাচনে কি বিষয় নির্বাচনে পাঠক রুচির তেমন বদল ঘটেনি। এছাড়া বই মেলা উপলক্ষ্যে যতো নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে তার বেশিরভাগ ই কবিতা ও গল্প। আর যে ছবিটা এই বই মেলায় স্পষ্ট চোখে পড়েছে সেটা হল ইংরেজি বই এর তুলনায় বাংলা বই অনেক বেশি বিক্রি হয়েছে। এর কারণ কলকাতার cosmopolitan তথা বহুজাতিক বা আন্তর্জাতিক চেহারার ক্ষয়িষ্ণুতা নাকি ক্রমবর্ধমান ইংরেজি মিডিয়ামে গিয়েও ছেলেমেয়েদের বই কেনায় অনাগ্রহ সেটা sociologist বা psychologist রাই ভাল বলতে পারবেন।
    ***

    ***
    অবিলম্বে বই মেলায় দশ টাকা প্রবেশ মূল্য চালু করতে হবে।
    জলের পাউচ বিনা মূল্যে দেওয়া বন্ধ করতে  হবে।
    স্টল নাম্বার ও নাম সংক্রান্ত লিফলেট পাঁচ টাকায় বিক্রি করতে হবে।
    কেবল প্রকাশকদের জন্য এই মেলা করতে হবে।
    বঙ্গ সংস্কৃতি উৎসব করা চলবে না।
  • র২হ | 96.230.215.15 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৬:৪২742199
  • ৬নং পয়েন্টের উত্তর রমিত দিয়েছে যেটা আমার খুব মনমত হয়েছে। কিন্তু রমিতের পোস্ট আমি কপিপেস্ট করলাম না - রমিত নিজে লিখুক!
     
    এমন না যে কুণালবাবুর সঙ্গে আমি খুব একমত। কিন্তু এটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে বলে মনে করি।
  • kk | 2607:fb90:eab2:c595:b588:2f45:5560:4881 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৭:৫৮742200
  • বিস্তারিত আলোচনা হলে পড়তে আগ্রহী থাকবো।
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১০:০৩742202
  • বইমেলায় প্রবেশমূল্য রাখার সম্পূর্ণ বিরোধিতা করছি। আগে যখন ময়দানে বইমেলা হত তখন লোক অনেক কম ছিল এখন কার তুলনায়, তখনও পর্যন্ত প্রচুর লাইন পড়ত ঢোকার ও টিকিট কেনার। সিজন টিকিট কাটলে তবু টিকিট কেনার লাইনটা এড়ানো যেত অন্য  দিন গুলো। এখন অনেক অনেক বেশি ভিড় হয় বইমেলায়। উইক ডেজেও ভিড় থাকে, আর শনি রোববার তো ভয়ানক ভিড় হয়, রাস্তা অব্দি দেখা যায় না। তাহলে টিকিট কাটতে গেলে টিকিটের লাইনেই দু-তিন ঘন্টা কেটে যাবে শনি রোববার। তার থেকে ভিড় এড়ানোর ভালো উপায় হল, শনি রোববার ছাড়া অন্যদিন অফিস থেকে একটু আগে বেরিয়ে বা কলেজ কেটে টুক করে বইমেলা ঘুরে আসা। শান্তিতে সব স্টল ঘুরে দেখা যায়।

    নাম আর স্টল লেখা লিফলেট বলতে কুণাল বাবু নিশ্চই বইমেলার ম্যাপের কথা বলছেন। যে এই বছর ভীষন অপ্রতুল ছিল চাহিদার তুলনায়। এটা পাঁচ টাকা দিয়ে বিক্রি করলে খুব কম লোক কিনতে চাইবে। আর তাতে ক্ষতি হবে ছোট প্রকাশকদের। বড় প্রকাশকদের স্টলে লোকে ঠিক দেখে শুনে চলে যাবে, বড় বড় স্টল যেহেতু। কিন্তু ছোট স্টলে লোক ঘুরতে ঘুরতে এসে পড়লে আলাদা কথা, এমনিতে কষ্ট করে কতটা খুঁজবে জানা নেই। তার থেকে গিল্ড শেষ ক'বছর ধরে যে app বার করছে বইমেলার সেটা খুবই সুবিধা জনক। নাম লিখে স্টল সার্চ করা যায়, যে স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন সেখান থেকে আপনার কাঙ্খিত স্টলে কিভাবে যাবেন তাও লাইন টেনে দেখিয়ে দেয়। আর আরো সুবিধে হল এই app টা পুরোপুরি অফলাইন। মেলার ভিড়ে অনেকসময় ইন্টারনেট এর সমস্যা থাকে, তাই বেশ সুবিধাজনক।
     
     
    তবে শুধু প্রকাশকদের জন্য মেলা করার ব্যাপারে আমি একমত।

     তখন আবার বেসরকারি কলেজ ইউনিভার্সিটির আর টিভি চ্যানেলের স্টল গুলো নাম কে ওয়াস্তে একটা দুটো বই পাবলিশ করে নিজেদের স্টলে রেখে নিজেদের প্রকাশক বলে দাবি করবে আর প্রত্যেকবারের মতোই হাবিজাবি কুইজ, টিভি শো, লটারি  এসব চালিয়ে যাবে। ঘুরিয়ে নিয়মের ফাঁক বার করতে এরা ভালোই জানে। মাঝখান থেকে একমাত্র ক্ষতি হবে কিছু ছোটো বই ব্যবসায়ীর, যাদের নিজস্ব বই নেই, অন্যান্য পাব্লিকেশনের বই নিজের স্টলে ডিসকাউন্ট দিয়ে বিক্রি করেন।
     
    সুতরাং এগুলো আটকাতে শুধু নিয়ম নয়, গিল্ডের সদিচ্ছারও প্রয়োজন আছে।
  • lcm | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১০:০৩742203
  • ৬নং পয়েন্ট নিয়ে রমিতের মত কোথায়।

    আমি ৬নং পয়েন্টগুলো ঠিক ধরতে পারলাম না। মানে সার্ভের রেজাল্ট অ্যানালিসিস করেই এই সাজেশন লিস্ট তৈরি হল, নাকি এটা অন্য কোনো উইশ লিস্ট।
  • lcm | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১০:০৪742204
  • ওহ, বলতে বলতেই রমিতের লেখা এসেছে।
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১০:১৮742205
  • আরেকটা কথা এখানে বলে রাখি টিকিট প্রসঙ্গে, অনেকে বলতে পারেন, এত যদি ঝামেলা, তাহলে ডিজিটাল টিকিট করে দিলেই হয়, বাড়ি থেকে কেটে আসবে। ভালো কথা, কিন্তু এখানেও দুটো প্রশ্ন আছে, টিকিট কেটে আনলেও সেটা তো গেটে চেক করাতে হবে, আর যে কারণে এই টিকিটের প্রশ্ন বার বার উঠে আসে, শনি রবিবার এর ভিড়ের দিন সেই টিকিট চেক করারও প্রচুর লাইন পড়ে যাবে।  আর এখনো অনেক মানুষ এই ডিজিটাল ব্যবস্থার সাথে পুরোপুরি সরগড় হতে পারেন নি,  তাঁরা ডিজিটাল টিকিটে ভীষন বিপদে পড়বেন, আর নাহলে তাঁদের তো সেই আবার গেটেই টিকিট কাটতে হবে লাইন দিয়ে। এই পুরো ব্যবস্থা বানাতেই আরো অতিরিক্ত টাকা খরচ হবে গিল্ডের, যা শুধু দশ টাকার টিকিটে উঠবে না। 
  • দীমু | 182.69.180.234 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:১০742206
  • টিকিট করা উচিত নয়। তবে সেই খরচটা তুলতেই গিল্ড মনে হয় বেসরকারি কলেজ , টিভি চ্যানেল ইত্যাদিকে স্টল দিয়ে থাকে। 
     
    "এই সমীক্ষা থেকে যে ছবিটা মোটামুটি উঠে আসে তা হল বই মেলায় আসা লোকজন প্রধানত metropolitan কলকাতার।" - অন্য অঞ্চলে এর আগে ছোট ছোট বইমেলা হয় , সেজন্য অনেকেই আর কলকাতা বইমেলায় আসেন না। অনেকে অল্প ছাড়ের কারণে বই দেখে রাখেন , পরে অন্য জায়গা থেকে কেনেন। 
     
    "বই বিক্রয়ের সিংহ ভাগ এবারেও বড় সংস্থাগুলো ধরে রেখেছে" - এই জিনিসটা কি ক্রেতাদের হাতের প্যাকেট দেখে বোঝা গেল?
     
    "পাঠক রুচি গড্ডালিকার বাইরে যায়নি" - গত বছর দেখেছি এখন জনতা কোনো লেখকের চারপাশে ভিড় করে সবাই সই নিচ্ছে দেখলেই কিছু না জেনে সেলফি ইত্যাদি তোলার লোভে একটা বই তুলে লাইনে দাঁড়িয়ে যায়।
     
    অবশ্যই বইমেলায় ছোট প্রকাশকদের ওপরে গিল্ডের বেশি করে ফোকাস করা উচিত। সেটা করা হয় না। 
     
    আর বই চুরি নিয়ে কেউ লিখলে ভাল হয়। এই জিনিসটা নিয়েও কথা দেখি না।  
  • দীমু | 182.69.180.234 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:৪৩742207
  • ডিজিটাল খবরের পোর্টাল থেকে এই জিনিসগুলো পেলাম
    ------------------------------
    তবে গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক সুধাংশুশেখর দে বলছেন, ‘‘এ বার বইমেলায় অন্য বারের থেকে অনেক বেশি লোক ঢুকলেও সেই অনুপাতে কেনাকাটা কম হয়েছে।’’ বাস্তবিক, বইমেলায় এ দিনও চোখে পড়েছে, জনতার মধ্যে বইয়ের ব্যাগধারী বেশ কম। তবু সুধাংশুর দাবি, গত বারের ২৬ কোটি টাকার বিক্রিকে নিশ্চিত ভাবেই পিছনে ফেলেছে ২০২৪-এর বইমেলা। কিন্তু লোক ঢুকেছে ২৯ লক্ষ (২০২৩ সালে ছিল ২৫ লক্ষ)। গিল্ড কর্তাদের মতে, বইমেলা এগিয়ে আসায় অনেক চাকরিজীবীই পয়লা ফেব্রুয়ারি মাসের মাইনে পকেটে ঢোকার সুবিধা পেলেন না। ফলে অনেকেরই টান পড়েছে বই-বাজেটে। পরের বার এটা খেয়াল রাখতে হবে।

    পাবলিশার্স এবং বুকসেলার্স গিল্ডের প্রেসিডেন্ট ত্রিদিব কুমার চ্যাটার্জির মতে, ‘এবারে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ বইমেলায় এসেছেন। এইবারে প্রথম ব্যবসার অংক ছুঁয়েছে ২৮ কোটি টাকা। কাগজের দাম বৃদ্ধি এবং সরকারি ছুটির দিনে ও সপ্তাহান্তে বইমেলায় মানুষের ঢল, এই দুইয়ের সমন্বয়েই ব্যবসা ছুঁয়েছে আঠাশ কোটি টাকার অঙ্ক।’

    প্রকাশকদের মতে পুরস্কার প্রাপ্ত এবং বিতর্কিত শিরোনামযুক্ত বইগুলো বেশি সংখ্যক মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবারের বইমেলায়। 
  • কুণাল চট্টোপাধ্যায় | 157.40.116.228 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:০৭742219
  • হোয়াট বেঙ্গল থিঙ্কস টুডে
     
    ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুমরো। বাঙালি মাত্র ই এই বিশ্বাস নিয়ে আত্মশ্লাঘা বোধ করে। অনেকে আবার মহামতি গোখলে বলেছেন বলে প্রচার করে। তিনি কবে কোথায় কী প্রসঙ্গে এমনটা বলেছেন আমি তার হদিস পাইনি।
     
    আমরা জানি আগস্ট ১৮৯৩ থেকে ফেব্রুয়ারি ১৮৯৪ পর্যন্ত ইন্দুপ্রকাশ পত্রিকায় শ্রী অরবিন্দ লিখতেন। সেই সময় বঙ্কিমচন্দ্র সম্পর্কে এক ধারাবাহিক লেখায় তিনি লিখেছিলেন, What Bengal thinks tomorrow India thinks tomorrow week. গোখলে কোথাও সে প্রসঙ্গের উল্লেখ করলেও করতে পারেন।
     
    নীরদ চৌধুরী মশাই বলেছেন এটা সকলেই জানে কিপলিং কাদের কথা মাথায় রেখেছিলেন যখন তিনি তাঁর বিখ্যাত The Jungle Book এ লিখলেন What the Bundarlog think today the jungle thinks tomorrow.. মজার কথা হল কিপলিং এর আগেই বঙ্কিমচন্দ্র বাঙালিকে এক পাল বানরের সাথে তুলনা করেছিলেন।
     
    এটা কে না জানে ভিন রাজ্যের মান্য অতিথিরা এখানে এলে বাংলার আতিথ্য থেকে ইতিহাস, ঐতিহ্য থেকে উন্নয়নের প্রশংসা করে। সকলেই তো আর কিপলিং, মেকলে, নৈপল, নীরদ সি নন। সংস্কৃতির বাহবা দিলে আমরা আহ্লাদিত হই। কিন্তু উৎসবের যে আধিক্য বা মাত্রা ছাড়া সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা সেই হোপ ৮৬ থেকে শুরু হয়েছে সেটাকে রবীন্দ্রনাথের ভাষায় তৈলহীন প্রদীপের অন্তিম চাঞ্চল্য ভাবতে অনেকেই নারাজ। তারা প্লেটোর স্মরনীয় উক্তি, Uncriticised or unexamined life is not worth living মানতে চায় না।
     
    আজ আমরা কেবল ই অনুকরণকারী। এমন কোনো নজির আমরা দেখাচ্ছি না যা বাকি ভারত অনুসরন করছে। জ্ঞানপাপী বাঙালি এতটাই miopic যে নিজের ই পরিশ্রমের ফসল কম্পিউটারের সফল প্রয়োগ ও প্রযুক্তিকে কুলোর বাতাস দিয়ে দক্ষিন ভারতে পাঠায়। তসলিমাকে এক কাপড়ে বাংলা ছাড়া করে। তাঁর স্থান হয় জয়পুরের লিটারারি ফিস্টে। বিষ্ণুপুর উৎসব আমরা খাজুরাহো কোনারকের পর শুরু করেছি। আমরা খবর রাখি না খাজুরাহো উৎসব একজন বাঙালির ই মস্তিষ্কপ্রসূত।  তাঁর নাম তরুণ ভাদুড়ি।
  • π | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৪:৪৮742222
  • রমিতের সঙ্গে একমত।
    টিকেট চালু হলে মূল সমস্যা হবে লাইন আর সময় নষ্টের।
     
    স্টলগুলোর যা ভাড়া ( অঙ্ক তো বেশ ভালই), তা দিয়ে কি খরচা ওঠেনা যে এই চ্যানেল বা খাবার দোকানকে এত জায়গা ছাড়তে হবে?  কতজন বড় স্টল চান, ছোট স্টলে খুবই চাপ হয় লোকজনের ভীড়ে, বড় স্টল দিলে সে বাবদও বেশি ভাড়া আসবে গিল্ডের।   আর সেরকমই হলে গেটে মেলা তহবিল করে নানা জায়গায় বাক্স রেখে দিলেও হয়। কারুর ইচ্ছা হলে দেবেন। 
  • upal mukhopadhyay | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:৩৫742223
  • ভদ্রলোক কী সব  সার্ভে  টার্বে করে  স্টাটিস্টিক্যাল মানদণ্ডে  বইমেলা ঘুরেছেন।লিটিল  ম্যাগাজিন  প্যাভেলিয়ন  তার মধ্যে  পড়ে  না। আমার মনে  হল বাংলার মেলা টেলার বিষয়ে  ওনার  অভিজ্ঞতা  কম ।মেলা এ  রকমই  কাছাখোলা ব্যাপার যারা  সরকার  চালান  এ  ব্যাপারে তাঁরা বেশিই  বোঝেন।বাঙালি  ওখানে  আড্ডা  মারতে  যায়  তাতে  রাজনীতি  আর ব্যবসার  সংগে  লেখা  আর  বই  ছাপানোর  বাতিকও   আছে ( গোপনে  গাঁজা  আর বাংলাও )।গুরুচন্ডালির  স্টল  টা  বরং  চাঁদা  তুলে  পাঁচশো ফুট  করা  হোক  তালে  আড্ডা  মারতে সুবিধে  হবে।
  • র২হ | 2601:c6:d200:2600:ec54:c941:452a:a97c | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:১৬742226
  • একদম, ৫০০ স্কো.ফি স্টল হোক, কাছাখোলা আড্ডা হোক, চাঁছাছোলা তর্ক হোক।
  • Arindam Basu | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:৪৮742227
  • "ভদ্রলোক কী সব সার্ভে টার্বে করে স্টাটিস্টিক্যাল মানদণ্ডে বইমেলা ঘুরেছেন।"
     
    এই সার্ভে টার কোন স্ট্যাটিসটিকাল জাসটিফিকেশন বা validity নেই, ভদ্রলোক কেন অকারণে অতটা সময় ব্যয় করেছেন উনিই বলতে পারবেন। এগুলো ঠিক সংখ্যাত্বের ব্যাপার নয় তো, exit survey না করে বরং qualitative study বা participant observation গোছের কিছু করলে কাজে দিত।
     
    ফোকটের মেলা, দেদার খাওয়া দাওয়া, গানবাজনা, জনতা বই কিনুক না কিনুক, যাবেই। একেই যদি চড়া দামের টিকিট আর শুধু পাবলিশারদের নিয়ে ডেডিকেটেড প্যাভিলিয়ন করে করা হয়, footfall কমবে, তবে সে আর 'বইমেলা' থাকবে না। 
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:১৭742233
  • বই যখন এমনিতেই অডিও ভিজুয়াল মাধ্যমের সাথে লড়াই করে করে সমানে পিছিয়ে পড়ছে, সেখানে আগে আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে বইয়ের এক্সপোজারে আনতে হবে। তবেই বই পড়া, বই কেনা, বই বোঝা এগুলো তৈরি হবে। সেখানে টিকিট করে ফুটফল নিয়ন্ত্রণ করতে যাওয়া আরো ভুল হবে। হয়তো প্রথমে কিছু লোক তন্ত্র, মন্ত্র, ভুত প্রেত, রহস্য এই সব বই কিনলো প্রথমে, তাতেও ক্ষতি নেই, বই পড়ার অভ্যেসটাতো তৈরি হচ্ছে। পরে সেইই বিভিন্ন বইয়ের গ্রুপে যুক্ত হয়ে অন্যান্য জনারের বইয়ের সংস্পর্শে আসবে, বুঝে শুনে বই পড়বে। @কুণাল বাবু, যদি আজকে একটু ভিড় কমাতে গিয়ে টিকিট রাখা শুরু করেন, তাহলে এই গোটা প্রসেসটাই ধাক্কা খেয়ে যাবে।
  • | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:১৭742234
  • সে বইমেলায় লোক যাওয়া ঠ্যাকাতে গেলে ১০০-২০০ টাকা ফী রাখতে হবে। সেটা ভাল  হবে না মোটেই। আর ১০-২০ ফী রাখলে তা সামলানোর ওভারহেড নিয়ে অন্যরা বলেছেন। 
     
    এমনিতে আমার মনে হয় গড়পড়তা বাঙালির পাঠাভ্যাস বেশ কম আর সেটা দিনে দিনে কমছে উপযুক্ত পরিবেশের অভাবে। বাংলা (বা ভারতেই বোধহয়) শিশু থেকে রিডিং ক্লাস বা সেশানের চল নেই প্রায় কোন স্কুল প্রিস্কুলে। লাইব্রেরি ছিল আগে এখন  তাও IUCN list এ তুলে দেওয়া যায়। আমার একদম ছোটবেলার স্কুলে আমাদের পাঠ্যের বাইরে বই পড়ে তার গল্প সংক্ষেপে বলতে হত। লাইব্রেরি ছিল। কিন্তু পরের স্কুলে এসব কিছুই ছিল না। আমার বই পড়া শুরু  বাড়ির লোকজনকে দেখে। যে সব বাড়িতে বই পড়ার তেমন চল নেই  অথবা প্রথম জেনারেশানের পড়ুয়া যারা তাদের বই পড়ার অভ্যেস কোনোমতেই হচ্ছে না এর ফলে। 
     
    এবারের বইমেলার সময়  আরেকটা জিনিস খুব দৃষ্টিকটু লাগল। পত্রভারতীর ফেসবুক পেজ থেকে বিভিন্নরকম পাঠকদের টিটকিরি দিয়ে  ব্যঙ্গ করে নানা মিম শেয়ার করা হত। একজন ব্যক্তি পাঠক ধরুন আমি ক'কে ব্যঙ্গ করতেও পারি। কিন্তু একটা প্রকাশনা সংস্থা যার মালিক আবার গিল্ডএর সভাপতি সেলহান থেকে পাঠকের প্রতি তাচ্ছিল্য খুব চোখে লেগেছে। পাঠক নানা রকমের হয়। একটি প্রকাশনার ভিশন অনুযায়ী নির্দিষ্ট পাঠকগোষ্ঠীকে টার্গেট করে থাকতেই পারে। কিন্তু অন্য পাঠকদের তাচ্ছিল্য করতে পারে না। 
     
    এছাড়া গিল্ড সভাপতির হুইল চেয়ারের জন্য র‍্যাম্প বেশী করে বানানোর দাবীর উত্তরে বলা কথা ত চরম ইনসেন্সিটিভ। 
  • | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:১৮742235
  • *সেখান
  • | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:৩৫742253
  • ওই র‍্যাম্পের সংখ্যা খুব কম ছিল। অল্প কয়েকটা স্টলে তার মধ্যেও দু একটা ঠিক নয় এবড়ো  খেবড়ো ফলে হুইল চেয়ার নিয়ে যাওয়া যায় নি। তো কয়েকজন নাকি দেখা করে সব দোকানে র‍্যাম্পের দাবি জানান, স্মারকলিপিও দেন বোধহয়।  ত্রিদিববাবু নাকি বেশ উদ্ধতভাবে বলেন বইমেলায় 'সুস্থ মানুষ' সংখ্যায় অনেক বেশী আসেন আর 'সুস্থ মানুষ'এর র‍্যাম্পে অসুবিধে হয় তাই আর বেশী বাড়ানো যাবে না। 
    এইটা একজন যিনি ওই দেখা করিয়েদের দলে ছিলেন তিনি ফেবুতে লিখেছেন। গিল্ডের তরফে কোন প্রতিবাদ বা আপত্তি দেখি নি। 
  • Arindam Basu | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০০:০২742254
  • "বলেন বইমেলায় 'সুস্থ মানুষ' সংখ্যায় অনেক বেশী আসেন আর 'সুস্থ মানুষ'এর র‍্যাম্পে অসুবিধে হয় তাই আর বেশী বাড়ানো যাবে না। " 
     
    এদের ঔদ্ধত্য আর মূর্খতার কোন পরিসীমা নেই। যাদের হুইলচেয়ার নিয়ে যাতায়াত করতে হয়, তারা অসুস্থ? 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন