এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  কাব্য

  • সুকুমার রায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে

    Arindam Basu লেখকের গ্রাহক হোন
    কাব্য | ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ | ৯৯৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৩ জন)
  • (সুকুমার রায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে)
    কেউ কি জান সদাই কেন জম্বুদীপের প্রজা
    টিভির ফ্রেমে তারিয়ে দেখে রামরাজ্যের ধ্বজা?
    তেনার মাথায় অষ্টপ্রহর কেন বালিশ বাঁধা?
    গণতন্ত্রে পেরেক ঠোকেন কেন ওনার দাদা?
    কেন সেথায় কোভিড হলে চিল্লিয়ে লোক মরে?
    জোছনা রাতে সবাই কেন থালা বাজায় জোরে ?
    ওস্তাদেরা লেপ মুড়ি দেয় কেন মগজটিরে?
    টাকের পরে পণ্ডিতেরা ভক্ত টিকিট মারে!
    রাত্রে কেন মোবাইলটা ডুবিয়ে রাখে ঘিয়ে?
    কেন ওনার বিছনা পাতে গেরুয়া কাপড় দিয়ে?
    সভায় কেন চেঁচান উনি ‘জ্যায় জ্যায় রাম’ বলে ?
    সান্ত্রী কেন কলসি বাজায় বসে ওনার কোলে ? 
    কেন সেথায় নিত্য হাঁকে রাষ্ট্রবাদের নিশি ?
    রাজ্য নিয়ে ক্রিকেট খেলে কেন মোদের পিসি?
    মিডিয়া খুড়াে নাচেন কেন হুঁকোর মালা পরে?
    এমন কেন ঘটছে তা কেউ বলতে পারাে মােরে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Arindam Basu | ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:৫৩742092
  • "আমি ধর্মের সৃষ্টির জায়গাটা ধরতে চেয়েছি, যেখানে ধরে নিয়েছি ব্যক্তিগত ঈশ্বর বোধের প্রসার হয়ে সেটি সমষ্টিগত বিষয় হয়ে দাঁড়ায়"
    "ঈশ্বর বোধের প্রসার" সমষ্টিগত হয়ে ধর্ম, বিশেষ করে প্রথাগত ধর্মের ব্যাপারটা আমারও মনে হয়। 
  • Arindam Basu | ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:২৯742093
  • অরিত্র, এইখানে একটা empiricism এর ব্যাপার আসছে। 
     
    বিজ্ঞান আর "বৈজ্ঞানিক বস্তুবাদ" কে আমরা প্রায়শই একই ব্যাপার বলে ধরে নিই, এবং যে কারণে আপাত ভাবে ধর্ম আর আধ্যাত্মিকতাকে অনেকে এক করে দেখেন | আধ্যাত্মিকতার মধ্যে (এবং কিয়দংশে কিছু "ধর্মের" মধ্যেও, যেমন ধরুন ব্রাহ্ম বা বৌদ্ধ ধর্মে), এক ধরণের নিজের গভীরে "দেখা"র একটা ব্যাপার থাকে, contemplation এর একটা ব্যাপার রয়েছে। এবার এটাকে অনেকে dogma বলে ভাবতে পারেন যে এত রকম আচারের দরকার কি (অমুক ভাবে বসতে হবে, বা দাঁড়াতে হবে, বা হাঁটতে হবে পা মেলে ধীরে ধীরে), কিন্তু এই বহিরঙ্গের ব্যাপারগুলোকে সরিয়ে রাখলে অন্য রকমের একটা প্রেক্ষিত পাওয়া যায়, যেখানে যেন মনের গভীরে একটা টেলিস্কোপ দিয়ে জীবনকে দেখা  | 
    এই জায়গাটায় আধ্যাত্মিকতার empiricism, :-), মন একটা আতস কাঁচ, যাচাই করে নেওয়া,
     
     বুদ্ধদেবের কলামাদের উদ্দেশ্যে অনুশাসন যেমন, এখানে বিশেষ করে তাৎপর্যপূর্ণ, দেখুন,
     
    "It is proper for you, Kalamas, to doubt, to be uncertain;uncertainty has arisen in you about what is doubtful. Come, Kalamas. Do not go upon what has been acquired by repeated hearing; nor upon tradition; nor upon rumor; nor upon what is in a scripture; nor upon surmise; nor upon an axiom; nor upon specious reasoning; nor upon a bias towards a notion that has been pondered over; nor upon another's seeming ability; nor upon the consideration, 'The monk is our teacher.' Kalamas, when you yourselves know: 'These things are bad; these things are blamable; these things are censured by the wise; undertaken and observed, these things lead to harm and ill,' abandon them."
     
     
     নিজের গভীরে যাবার একটি আহ্বান রয়েছে। যেমন মহাপরিনির্বাণ সূত্রে বলছেন,
     
    "Therefore, Ananda, be islands unto yourselves, refuges unto yourselves, seeking no external refuge; with the Dhamma as your island, the Dhamma as your refuge, seeking no other refuge.
    "And how, Ananda, is a bhikkhu an island unto himself, a refuge unto himself, seeking no external refuge; with the Dhamma as his island, the Dhamma as his refuge, seeking no other refuge?
    "When he dwells contemplating the body in the body, earnestly, clearly comprehending, and mindfully, after having overcome desire and sorrow in regard to the world; when he dwells contemplating feelings in feelings, the mind in the mind, and mental objects in mental objects, earnestly, clearly comprehending, and mindfully, after having overcome desire and sorrow in regard to the world, then, truly, he is an island unto himself, a refuge unto himself, seeking no external refuge; having the Dhamma as his island, the Dhamma as his refuge, seeking no other refuge.
    "Those bhikkhus of mine, Ananda, who now or after I am gone, abide as an island unto themselves, as a refuge unto themselves, seeking no other refuge; having the Dhamma as their island and refuge, seeking no other refuge: it is they who will become the highest, if they have the desire to learn."
     
    (https://www.accesstoinsight.org/tipitaka/dn/dn.16.1-6.vaji.html )
     
    যেখানে  অপ্রচ্ছন্ন ভক্তি ও অন্ধ অনুসরণের ব্যাপার , সেখানেও ধর্ম হয়ত রয়েছে, আধ্যাত্মিকতা নেই | 
     
  • বকলম -এ অরিত্র | ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:৫০742095
  • আচ্ছা, আমি এগুলো পড়িনি। কোনো বাঁধাধরা পরম্পরা রীতি অনুসরণ না করার পরামর্শ রয়েছে এবং একটা আত্মানুসন্ধানের নির্দেশ। বেশ ভালো তো নিশ্চয়ই, আশ্চর্যজনকও বটে! প্রত্যেকে নিজস্ব চিন্তাশক্তি বোধবুদ্ধির প্রয়োগে অন্তরের দিকে তাকালে পৃথক যাত্রা অর্থাৎ "যত মত তত পথ" অবশ্যম্ভাবী। সেক্ষেত্রে সমষ্টিগত সত্তা ধরে রাখা মুশকিল, অথচ বৌদ্ধ ধর্ম যথেষ্ট ব্যাপ্ত এখনো। যাই হোক, আপনার ছড়া থেকে অনেকদূর চলে এসেছি, আপনার চিন্তাভাবনা ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
     
    "অপ্রচ্ছন্ন ভক্তি ও অন্ধ অনুসরণের ব্যাপার, সেখানেও ধর্ম হয়ত রয়েছে, আধ্যাত্মিকতা নেই" – আপনি মনে হয় বলছেন আধ্যাত্মিকতার emperical nature কাউকে অন্ধ হতে বাধা দেয়। yes
  • Arindam Basu | ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ ০১:২৭742104
  • – আপনি মনে হয় বলছেন আধ্যাত্মিকতার emperical nature কাউকে অন্ধ হতে বাধা দেয়
     
    অবশ্যই।
    তাই তো লিখলাম, অন্ধ ভক্তিকে, আচার আচরণকে ধর্ম বলে দাগিয়ে দিতে পারেন, তবে সে আধ্যাত্মিকতা নয় । ধর্মান্ধ অন্তরের গভীরে আর 'দেখবেন' কি করে, সে দৃষ্টি তো নেই। 
    রবীন্দ্রনাথ স্মরণ করুন, 
    "চোখের আলোয় দেখেছিলেম চোখের বাহিরে, 
    অন্তরে আজ দেখব যখন আলোক নাহি রে।"
    ঐ ব্যাপার। 
  • Prabhas Sen | ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:৩১742113
  • অত জানিনে।শুধু দাগ কেটেছিল চারটি ছত্র :
    "ব্রহ্ম হতে কীট পরমাণু সর্বভূতে সেই প্রেমময়, 
    মন প্রাণ শরীর অর্পণ করো সখে এ সবার পায়। 
    বহুরূপে সম্মুখে তোমার  ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর? 
    জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।"
  • Ranjan Roy | ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:৫৮742131
  • ডিসি
       সুপ্রীম কোর্টের পরবর্তী রায়ে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের জন্য যাঁরা অভিযুক্ত তাঁরা সবাই ছাড়া পেয়ে গেছেন। কারণ ওই কাজটি ঘৃণ্য এবং বেআইনি তথা অপরাধ হলেও অভিযুক্তদের সঙ্গে ওই ঘটনার সংযোগ প্রমাণিত হয় নি। জয় শ্রীরাম!
      -----
     যিনি বলছেন পুরাতাত্ত্বিক প্রমাণের ফলে বিবাদিত জমি সুপ্রীম কোর্ট হিন্দুদের দিয়েছে--তিনি বোধহয় ১০০২ পাতার ওই রায়টি পড়েন নি।
      পিডিএফ পাওয়া যায়। 
     ওই রায় থেকে কিছু পয়েন্ট তুলে দিচ্ছি।
     তার আগে এই বিতর্কের ঘটনা পরম্পরা সাজিয়ে দিচ্ছি। 
  • Ranjan Roy | ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:২৮742132
  • প্রেক্ষিতঃ
    ১৫২৮
      বাবরের নির্দেশে সেনাপতি মীর বাকি মসজিদের নির্মাণ করেন।
     
    ১৮৫৬--৫৭
     
    বাবরি মসজিদ এবং নিকটস্থ হনুমানগড়ী মন্দিরের এলাকায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়। কারণ হিন্দুদের বিশ্বাস অনুযায়ী ওই স্থান রামজন্মভূমি।  ফলে মসজিদের চারদিকে ইঁটের দেওয়াল  ও লোহার রেলিং তুলে দেওয়া হয়।  বাইরে রাম চবুতরা হিন্দুদের উপাসনাস্থল হয়। 
     
    ১৮৮৫ঃ মামলা মোকদ্দমার দিন
    জানুয়ারি  ১৮৮৫তে রাম চবুতরার প্রধান পুরোহিত রঘুবর দাস  মাসজিদের বহিরাঙ্গণে একটি মন্দির নির্মাণের অনুমতি চেয়ে কয়েকটি মামলা করেন। সব খারিজ হয়ে যায়। সরকারের মতে ওই জমির  রেকর্ডে কোথাও  বাদীর মালিকানার প্রমাণ নেই।
     
    ১৯৩৪ঃ দাঙ্গা
    ২৭ মার্চ ১৯৩৪শে অযোধ্যায় ভয়াবহ দাঙ্গা হয়। মসজিদের গম্বুজগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সরকার সেগুলো মেরামত করিয়ে দেয়। তারপর রামানন্দী মঠের সাধুদের ফাইন করে সরকার মেরামতের খরচা তোলে।
     
    ১৯৪৯ ডিসেম্বরঃ  মসজিদের গর্ভগৃহে রামললার আবির্ভাব
    ২২ ডিসেম্বর মধ্যরাতে জনা ষাটেক লোক তালা ভেঙে পাঁচিল টপকে মসজিদের ভেতর ঢুকে মূল গম্বুজের নীচের হলে একটি নয় ইঞ্চি পিতলের মূর্তি (রামললার ) রেখে দেয়।
    মুখ্য অভিযুক্ত সাধু অভিরাম দাস। 
      নেহেরুর নির্দেশে তৎকালীন গৃহমন্ত্রী গোবিন্দবল্লভ পন্থ ফৈজাবাদের ম্যাজিস্ট্রেট কে ওই অবৈধ মূর্তি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন। কিন্তু সে নির্দেশ অগ্রাহ্য করা হয়। বরং রামললার মূর্তিকে লোহার আবরণে ঘিরে দিয়ে মসজিদের গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয় এবং ওই জায়গায় শান্তিভঙ্গের আশংকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
    এর ফলে, মুসলমানদের ওই মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়া বাস্তবিক অসম্ভব হয়ে যায়। 
     সেই সময়এর হিন্দু সিকিউরিটির রিপোর্ট, এফ আই আর এবং লিব্রাহান কমিশনের তদন্ত রিপোর্ট।
    উল্লেখযোগ্য, এলাহাবাদ হাইকোর্ট এবং সুপ্রীম কোর্ট তাদের রায়ে রেকর্ড দেখে ওই জোর করে  রামললার মূর্তিকে স্থাপিত করার ঘটনাটিকে সত্য বলে গ্রহণ করেছে। 
     
     বাকিটা লিখছি।
     
     
     
     
    ১ পুরাতত্ত্ব বিভাগের রিপোর্টে বলা হয়েছে ঃ খনন করে মসজিদের নীচে শিব মূর্তি, ঘন্টা এবং কিছু হিন্দু স্থাপত্যের চিহ্ন পাওয়া গেছে। সেগুলো দশম শতাব্দীর মনে হয়। কিন্তু সেগুলো কোন মন্দিরের বা রাম মন্দিরের অবশেষ কিনা সে বিষয়ে রিপোর্ট নীরব। 
    ২ মসজিদ কোন মন্দির  ভেঙে তৈরি হয়েছিল কিনা সে বিষয়ে রিপোর্ট নীরব। 
    (৩ অন্য পক্ষের উকিল বলেছেন --লর্ডশিপ, কিছু বৌদ্ধ ও জৈন স্থাপত্যের নিদর্শনও পাওয়া গেছে যা এই রিপোর্টে উল্লিখিত হয় নি।
      আদালত বললেন-- ও তো কিছু ঐতিহাসিকের এবং পুরাতত্ত্ববিদের অভিমত মাত্র।
    বিরোধী উকিল -- ধর্মাবতার, এই রিপোর্টটিও তো সরকারি পুরাতত্ত্ববিদের অভিমত মাত্র। 
    ্মাননীয়  আদালত বৌদ্ধ এবং জৈন নিদর্শন গুলোকে সাক্ষ্যপ্রমাণ হিসেবে স্বীকার করেন নি। )
    ৪ তাহলে কিসের ভিত্তিতে রায় দেওয়া হল?
      হিন্দুপক্ষ বেড়ার বাইরে উনবিংশ শতাব্দীর শেষ থেকে এখন পর্য্যন্ত নিরন্তর পূজার্চনা করার প্রমাণ দিতে পেরেছে।
       মুসলিম পক্ষ 
      
    ১ উনবিংশ  শতাব্দীর শেষে  বাবরি মসজিদের দখলদারি নিয়ে রামানন্দী সাধুদের সঙ্গে ওয়াকফ কমিটির সমর্থকদের মধ্যে  দাঙ্গা হওয়ায় বৃটিশ সরকার ওই মসজিদের চারপাশে লোহার গেট আর তালা লাগিয়ে দেয়। হিন্দু পক্ষ বাইরের  চবুতরায় দখল নিয়ে পূজার্চনা চালিয়ে যায়। 
     মুসলমান পক্ষ নির্ধারিত সরু গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকে  নমাজ পড়ে বেরিয়ে আসে। এই ব্যবস্থা বেশ কয়েক দশক চলে। 
      স্বাধীনতার পরে ১৯৪৯
  • Ranjan Roy | ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:২২742133
  • একটু ঘেঁটে গেল।
    ১৯৫০ঃ হিন্দুদের আদালতে যাওয়া
    ফৈজাবাদ আদালতে গোপাল সিং বিশারদ এবং মহন্ত পরমহংস দাস দুটো পিটিশন দিলেনঃ পুলিশ ক্যান তাঁদের মসজিদের ভেতরে ঢুকে রামললার পুজো করতে দেবে না? 
    আবেদন খারিজ হয়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়ে ইঞ্জাংশন জারি হল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে সব আপিল ২৬ মে ১৯৫৫ তারিখে এলাহাবাদ হাইকোর্ট ্ডিসমিস করে দিল। 
     
    ১৯৫৯ঃ নির্মোহী আখড়ার পিটিশন
    এবার আখড়া ফৈজাবাদ কোর্টে  গিয়ে বলল যে রামজন্মভূমির সেবা-অর্চনার এবং ব্যবস্থাপনার  অধিকার শুধু ওদের ওরাই সেবাইত। 
     
    ১৯৬১ঃ সুন্নী  সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের পিটিশন
    অযোধ্যার নয়জন অধিবাসী এবং সুন্নী ওয়াকফ বোর্ডের  ফৈজাবাদ কোর্টে সংযুক্ত পিটিশনে প্রার্থনা করা হলঃ
    ১ সমগ্র বিবাদিত ক্ষেত্রকে পাবলিক মস্ক ঘোষণা করা হোক।
    ২ ওই ক্ষেত্রকে  ওয়াকফ কমিটিকে হস্তান্তর করা হোক।
    ৩ মসজিদের ভেতর থেকে মূর্তিটি সরিয়ে ফেলা হোক। 
     
    ১৯৮৪ঃ  রাম জন্মভূমি আন্দোলন শুরু হল
    বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বিজেপি নেতা এল কে আডবাণীর নেতৃত্বে বিবাদিত জমিতে রামমন্দির নির্মাণের লক্ষ্যে আন্দোলন শুরু করল। প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী ভি এইচ পি কে বিবাদিত এলাকার কাছে  শিল্যান্যাসের অনুমতি দিলেন।
     
    ১৯৮৬ঃ বাবরি মসজিদের ভেতরের দরজা উন্মুক্ত হল
    ২৫ জানুয়ারি ১৯৮৬তে  জনৈক উকিল উমেশ চন্দ্র পাণ্ডে ফৈজাবাদ আদালতে মসজিদের দরজা খুলে দেওয়ার আবেদন দিলেন। এদিকে একটা রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি হল।
     শাহবানো মামলায় মুসলিম তুষ্টিকরণের অভিযোগে বেকায়দায় পড়ে রাজীব গান্ধী হিন্দুদের খুশি করতে  মসজিদের গেট পূজার জন্য খুলে দেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন।  ১ ফেব্রুয়ারি জেলা জজ খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন। মুসলিম পক্ষ হাইকোর্টে রিট লাগাল। হাইকোর্ট ৩ তারিখে অন্তর্বতীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করে সম্পত্তির প্রকৃতি আগামী আদেশ অবধি অপরিবর্তিত রাখতে বলল। তার আগে তালা খোলা হয়ে গেছল।
     এবার মুসলিম পক্ষ প্রতিবাদে বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি গঠন করল।
     
    ১৯৮৯ঃ বিবাদিত জমির মালিকানা নিয়ে সমস্ত মামলা এবার এলাহাবাদ হাইকোর্টে গেল।
    এবার এক তৃতীয় পক্ষ আবেদন করল-- "রামললা বিরাজমান এবং আস্থা শ্রীরাম জন্মভূমি। 
    এঁদের যুক্তিঃ আইনে বিগ্রহ এবং জন্মস্থান--দুটোই আইন্সম্মত লিগ্যাল এনটিটি। 
    হাইকোর্ট ১৪ অগাস্ট  এক আদেশে মামলার ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলল।  রাজ্য সরকার ১০ অক্টোবর ১৯৯১ তারিখে  এক আদেশ জারি করে বিবাদিত এলাকার ২.৭৭ একর জমি অধিগ্রহণ করে নিল।  
    একটু পরে বাকিটা।
    ​​​​​
  • Ranjan Roy | ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:৩৯742134
  • ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৯০ঃ আদবাণীর রথযাত্রা
    মসজিদের জায়গায় মন্দির নির্মাণের দাবির সমর্থনে আডবাণী দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত রথযাত্রা শুরু করলেন। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ তাঁকে গ্রেফতার করলেন। 
     বিভিন্ন জায়গায় দাঙ্গা শুরু হল। 
     
    ৬ ডিসেম্বর, ১৯৯২ঃ বাবরি মসজিদ বিধ্বস্ত
    করসেবকদের হামলায় মসজিদ, চারদিকের পাঁচিল, রাম চবুতরা ধ্বংস হল। ওরা একটি প্রতীকাত্মক নকল মন্দির ওখানে ছেড়ে গেল।
    ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৯২ঃ লিবেরহান কমিশন গঠিত হল
    কমিশন তার রিপোর্ট  ৩০ জুন, ২০০৯ তারিখে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে সঁপে দিল।
    ৭ জানুয়ারি, ১৯৯৩ তারিখে নরসিংহ রাও সরকার অর্ডিনান্স জারি করে 
      বিবাদিত এলাকার ৬.৭৭ একর জমি আধিগ্রহণ করল।
     
    ১৯৯৪ ঃ ইসমাইল ফারুকি জাজমেন্ট
     সুপ্রীম কোর্টের পাঁচ সদস্যীয় বেঞ্চ ৩ঃ২ মেজরিটিতে রায় দিয়ে বলল--সরকারের সমস্ত ধর্মস্থান অধিগ্রহণের অধিকার আছে। আর মুসলিমদের নামাজ পড়ার জন্য কোন মসজিদে যাওয়া ইসলাম ধর্মের আবশ্যিক অঙ্গ নয়। সে মসজিদের কোন বিশেষ ধার্মিক গুরুত্ব থাকলে আলাদা কথা।
     
    ২০০২ এলাহাবাদ কোর্ট খননের নির্দেশ দিল।
     
    বাকিটা আজ রাত্তিরে।
  • dc | 2401:4900:6349:baa1:259c:bfb4:7325:559b | ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:৫৭742135
  • রঞ্জনদা, আপনার পোস্ট পড়ে গুগল করে দেখলাম সত্যিই আদবানী সহ সবাই বেকসুর খালাস হয়ে গেছে! আমার কেমন একটা ধারনা ছিল কেসটা এখনও জারি আছে, তবে ধামাচাপা পড়ে গেছে। এ তো সত্যিই জয় শ্রী রাম! 
     
    আর অযোধ্যার ইতিহাসও জানলাম, এতো ডিটেলসে জানতাম না। ভাবুন, ইতিহাসের বাটারফ্লাই এফেক্ট - ১৯৪৯ বা ১৯৫০ এ যদি ফৈজাবাদের ম্যাজিস্ট্রেট ঐ মূর্তি সরিয়ে দিতো তাহলে এসব কিছুই হতো না। কিন্তু ফৈজাবাদের ম্যাজিস্ট্রেট হোম মিনিস্টারের অর্ডার অগ্রাহ্য করতে পারলো কিভাবে? অবাক কান্ড! 
  • Ranjan Roy | ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ ০২:০৮742136
  • ডিসি
    কংগ্রেসের মধ্যেই বড় হিন্দুধর্মের পক্ষপাতি লবি ছিল। হোম মিনিস্টার স্বয়ং । ওরা  সবাই সাম্প্রদায়িক অশান্তির চেয়ে চারদিক ঘিরে 144 ধারা লাগিয়ে স্থিতাবস্থার পরামর্শ দিল।
    দেখাশোনার দায়িত্ব দিল মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যানকে।
     
    এর ফলে 2019 সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে কীভাবে মুসলিম  পক্ষ পিছিয়ে পড়ল তা একটু  পরে দেখাচ্ছি।
  • Ranjan Roy | ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:০৪742141
  • ২০০২ এলাহাবাদ কোর্ট  পুরাতত্ব বিভাগকে খননের নির্দেশ দিল
    বিগত ২৪ জুলাই ১৯৯৬ তারিখে ওই হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ শুনানি শুরু করে ২৩ অক্টোবর, ২০০২ সালে নির্দেশ জারি করল যে ওরা গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং টেকনলজি বা জিও-রেডিওলজি পদ্ধতিতে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান করে রিপোর্ট দিক।
     
     মার্চ-অগাস্ট ২০০৩ঃ  এ এস আই সার্ভে 
    মসজিদের ভগ্নাবশেষের নীচে এবং চারপাশে খোঁড়াখুড়ি করে ওরা দাবি করল যে মনে হচ্ছে দশম শতাব্দীর কোন মন্দিরের ভগ্নাবশেষ পাওয়া গেছে।
     অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করলেন।*
     
     ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১০ঃ এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়
     
    তিন সদস্যের বেঞ্চ এই রায় ২ঃ১ ভিত্তিতে দিল। অর্থাৎ একজনের সম্মতি ছিল না। এই রায়ে তিন পার্টিকে বিবাদিত জমির সমান তিনভাগ করে ১/৩ মালিকানা দেওয়া হল।
    তিন পার্টি হলেন-- ভগবান শ্রীরামললা বিরাজমান, সুন্নী ওয়াকফ বোর্ড এবং নির্মোহী আখড়া। 
     
    ৯ মে, ২০১১ঃ সুপ্রীম কোর্টের স্থগিতাদেশ
    সুপ্রীম কোর্টের দুই সদস্যের বেঞ্চ এলাহাবাদ বেঞ্চের ফয়সালায় স্থগিতাদেশ জারী করল। জাস্টিস লোধা বললেন--পার্টিশন ডিক্রি একটু অদ্ভুত, কারণ কোন পক্ষই পার্টিশন চায় নি। 
     
    ২১ মার্চ, ২০১৭ঃ কোর্টের বাইরে মিটমাট?
    সুপ্রীম কোর্টের তরফ থেকে আউট অফ কোর্ট সেটলমেন্টের পরামর্শ ( প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি যে এস কেহর) দেওয়া হল, কিন্তু চিঁড়ে ভিজল না। সবপক্ষই পুরো ফয়সালা চেয়ে সুপ্রীম কোর্টে আপিল করেছিল।
    ১১ অগাস্ট, ২০১৭ঃ তিন সদস্যের বেঞ্চ
    প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি  অশোক ভান এবং বিচারপতি আব্দুল নজীর আপিলের শুনানি শুরু করলেন এবং ৫ ডিসেম্বর পাঁচজনের বেঞ্চ গঠনের পিটিশন খারিজ করলেন।
     ২৭ সেপ্টেম্বর এই বেঞ্চ ইসমাইল ফারুকীর ১৯৯৪ সালের রায় পুনর্বিবেচনা করার আবেদন খারিজ করল। এই রায়ে জাস্টিস নজীর অসহমত ছিলেন।
    সেই রায়ে ফারুকী বলেছিলেন যে মসজিদগুলো ইসলাম ধর্মের এসেনশিয়াল ফীচার নয়। কাজেই এই মামলাকে তিন বিচারপতির বেঞ্চ কেবল জমির মালিকানার মামলা হিসেবেই বিচার করুক। 
     
    ৮ জানুয়ারি ২০১৯ঃ পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ গঠন
    নতুন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করলেন।
     
    ৮ মার্চ, ২০১৯ তারিখে সুপ্রীম কোর্ট মধ্যস্থতা করার জন্য একটি তিন সদস্যীয় প্যানেল গঠন করে সমস্ত পক্ষকে তাদের কাছে যেতে বলল।
    ওই প্যানেলে ছিলেন শ্রী শ্রী রবিশংকর, প্রাক্তন বিচারপতি কলিফুল্লা ও অ্যাডভোকেট শ্রীরাম পঞ্চু। 
     এই প্রয়াস ব্যর্থ হওয়ায় সুপ্রীম কোর্ট ৬ অগাস্ট ২০১৯ তারিখে নিয়মিত শুনানি শুরু করল। 
     
    ৯ নভেম্বর ২০১৯ঃ  সুপ্রীম কোর্টের রায়
    এই রায় দেওয়ার সময় নির্মোহী আখড়াকে পক্ষ বলে স্বীকার করা হয় নি। পুরো বিবাদিত জমি দেওয়া হল বিগ্রহ শ্রীরাম বিরাজমানকে।
     সুন্নী ওয়াকফ বোর্ডকে সান্ত্বনা পুরস্কার দেওয়া হল অযোধ্যায় কোন বিশিষ্ট স্থানে মসজিদ নির্মাণের জন্য ৫ একর জমি।
    আর আলাদা করে বলা হল যে ওই রামললার ১৯৪৯ সালে বিগ্রহটি মসজিদে জোর করে ঢোকানো হয়েছিল। এবং মসজিদ ভাঙা একটি আইনি অপরাধ। সংশ্লিষ্ট লোকদের কড়া শাস্তি হওয়া উচিত। 
     
    পুনঃ 
    রায়ের ভিত্তি এবং পুরাতত্ত্বের খনন নিয়ে আপত্তি ইত্যাদি নিয়ে পরে লিখছি।
     
     
     
  • Ranjan Roy | ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:৩২742143
  • * আগে পুরাতাত্ত্বিক খনন নিয়ে আপত্তির কথাগুলো বলে নিই। কারণ ওই খননের রিপোর্ট এলাহাবাদ হাইকোর্ট গ্রহণ করায় এবং আপত্তিগুলো জাস্টিস সুধীর আগরওয়াল নাকচ করায় সুপ্রীম কোর্টের রায়ের ভিত্তি স্থাপন তখনই হয়ে গেছল। 
    জয়া মেনন এবং সুপ্রিয়া বর্মা নামে দুজন পেশাদার পুরাতত্ত্ববিদকে ওয়াকফ কমিটি তাদের তরফ থেকে  আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইণ্ডিয়ার ২০০৩ সালে বাবরি মসজিদের নীচে খনন কার্য চালানোর সময় উপস্থিত থাকার জন্যে নিযুক্ত করেছিল।
      তাঁরা প্রত্যেকদিন, হয় দুজনেই নয়ত অন্তত একজন, ওই সাইটে সারাদিন উপস্থিত ছিলেন। 
    উৎসাহীরা তাঁদের বক্তব্য এবং বিস্তারিত  আপত্তি ডায়াগ্রাম সমেত ইকনমিক অ্যাণ্ড পলিটিক্যাল উইকলি'র   vol. 45, issue No. 50, dated 11 Dec. 2010  ( Updated 7 Feb. 2018 )সংখ্যায় দেখতে পারেন।
     সংক্ষেপে ওঁদের আপত্তিগুলো হলঃ
    ১ আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া একটি আপাদমস্তক কেন্দ্রীয় সরকারী সংস্থা। 
    এখানে সংস্থার খননকর্মী  এবং অন্যরা পেশাদার পুরাতত্ত্ববিদের ডিসিপ্লিন অনুয়ায়ী কাজ করার বদলে সরকারী আধিকারিকদের মত ডিউটি করেছেন।  এঁরা খনন চালিয়েছেন যেন তেন প্রকারেণ নীচে হিন্দু মন্দির ছিল প্রমাণ করতে হবে ধরে নিয়ে।
    ২ খননের সময় প্রতিটি ট্রেঞ্চে রোজ কত গভীরে কোন জায়গায় (স্থানাংক) খোঁড়া হচ্ছে এবং কী পদ্ধতিতে খোঁড়া হচ্ছে সেটা ফিল্ড লগবুকে লিখতে হবে।
    এরা শুধু ক'টার সময় শুরু এবং কটায় শেষ সেটুকু লিখেছে, কিন্তু পদ্ধতি নিয়ে লেখেনি।
    ৩ পুরাতত্ত্বের ডিসিপ্লিন খোঁড়ার সময় যা পাওয়া যাবে ( হাড়গোড়, থালাবাটি, মানুষ বা পশুর কংকাল) সব কিছুকে গণ্য করতে হবে।
    এরা সিলেক্টিভ আইটেমকে রিপোর্টে নিয়েছে।
    ৪ মসজিদ ভাঙার পর তিনদিন মাৎসন্যায় চলেছিল। তারপর করসেবকেরা ভগ্নস্তুপের ইঁট পাথর সব সরিয়ে একজায়গায় করল এবং সেখানে  কেউ আরেকটা রামসীতার বিগ্রহ রেখে দিইয়েছিল।
    নিয়ম অনুয়ায়ী মাটির ওপরের টুকরো, ইঁট অন্যান্য আর্টিফ্যাক্টস এই খননের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কথা নয়। কিন্তু এঁরা সেসবও কিছু কিছু রিপোর্টে ঢুকিয়েছেন।
     
    (বাকি কালকে) 
     
     
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন