এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  স্মৃতিচারণ  নস্টালজিয়া

  • যে ছবি ঝোলে না দেওয়া‌লে

    সমরেশ মুখার্জী লেখকের গ্রাহক হোন
    স্মৃতিচারণ | নস্টালজিয়া | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৩৫৫ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)

  •  
        জন্মদিনের কেক কাটার ছবি উঠবে বলে পোজ দিয়ে টেরিয়ে তাকিয়ে‌ছে সুমন। সুমনের বাঁদিকে ওর বৌদি। পিছনে দাদা। পাশে সুমনের বন্ধুরা। সুমনের ডানদিকে মা, বাবা, মিতালী‌দির পর ছবির প্রান্তে দাঁড়িয়ে স্বর্ণালী শাড়ী‌তে মুড়ে  উজ্জ্বল ব্রততী। পুষ্ট পুঁই লতার মতো‌ চিকন। নিঁখুত হিসেবে নিটোল সম্পদের  ওপর দিয়ে পাক মেরে শাড়ি‌টা কোমরের পিছনে চম্পকাঙ্গুলিতে ধরা। মনোরম বিভঙ্গ! ছবিটি তুলেছিল সুমনের বন্ধু উৎপল। আলোকচিত্রের দৌলতে মিষ্টি খণ্ডমুহূর্তটা শিলালিপি হয়ে রয়ে গেছে। 

      বন্ধুরা সুমনকে টিনা টার্ণারের একটা ক‍্যাসেট উপহার দিয়েছিল - ১৯৮৪ সালের এ্যালবাম Private Dancer. জন্মদিনে‌র কেক, মিষ্টি, নোনতা, চা খাওয়া‌র পর সুমনের দাদার প‍্যানাসোনিক স্টিরি‌ওতে সেই ক‍্যাসেটের‌ই একটা ঘ‍্যাম বীটের গান বাজছিল ধুম জোরে - What's Love got do with it. নাচতে না জেনেও বন্ধুদের সাথে গানের তালে পা মেলাচ্ছিল সুমন। একসময় মাকে‌ও টেনে এনে বলড‍্যান্স করার মতো নাচতে লাগলো। দুম্বো ছেলের খোদনপনায় মা হেসে‌ই আকুল। ব্রততী পাশে দাঁড়িয়ে তালি দিয়ে হাসছে, দারুণ নাচছেন মাসীমা! 


        
      হঠাৎ লোডশেডিং হয়ে গেল। বন্ধু‌রা গেলো বাইরে সিগারেট ফুঁকতে। খাটে আধশোয়া হয়ে ভাঁজ করা হাতের তালুতে মাথার ভর রেখে সুমনের সাথে গল্প করছি‌ল ব্রততী। কিছুক্ষণ ঘরে আর কেউ নেই। সিন্থেটিক শাড়ী পিছলে নেমে এলো খাটে। ছবিতে সামান্য দৃশ‍্যমান সম্পদ, হ‍্যারিকেনের আধো আলোতেও পূর্ণিমা‌র চাঁদ হয়ে মোহাচ্ছন্ন করে দিলো সুমনকে। 
     
        আলোর দিশায় ব্রততী। আলো পড়ছে ওর সুন্দর মুখে। মায়াময় মোলায়েম বুকে। বিপরীতে আধশোয়া সুমনের মুখে অন্ধকার।  তবে ওর মন যে অজান্তে বিলোনো মহার্ঘ্য উপহারের ছটায় আবিষ্ট, সে খেয়াল নেই দাত্রীর। হঠাৎ এসে যায় বেরসিক আলো। ব্রততী দেখলো ওর কিছুমিছু ছড়িয়ে গেছে, গুছিয়ে নিলো, সচকিত হয়ে নয়, সহজে। 
     
        ব্রততীর হালকা ডাবল চিন, মাখনের মতো মরালী গ্ৰীবায় কুন্তলচূর্ণ, কনুইয়ের টোল - সব‌ই সুমনের লাগতো ভারি মিষ্টি। এক রবিবার বিকেল চারটে নাগাদ ওদের বাড়িতে আড্ডা দিতে গেছে সুমন। ব্রততী বেলায় খেয়ে ভাতঘুম দিয়ে উঠেছিল। ঘুমভাঙা চিকন মুখে এসে বসলো সামনের বড় সোফায় পা তুলে বাবু হয়ে। কোলে কোলবালিশ। ডীপকাট ম‍্যাক্সির বোতামের সাথে সুমনের আগে কোনো কথা হয়নি। তবু একটা খোলা ছিল সুমনের প্রতি অসীম বদান‍্যতায়। আবার সেই অলৌকিক দৃশ‍্য। কোলবালিশে ভর রেখে বন্ধনহীন দুটি একাদশীর চাঁদ। মাঝে চন্দ্রালোকিত আশ্চর্য উপত‍্যকা। সুমনের চন্দ্রাহত অবস্থা।
     
         একবার বলেও ছিল সুমন, "তু‌ই তো সুন্দর‌ই তবে তোর কিছু‌মিছু খুব মিষ্টি।" খোলামেলা ব্রততী হেসে ফেলে বলেছিল, "দেখিস বাবা, খেয়ালী পোলাও রাঁধতে শুরু করে দিসনি যেন, বিপদে পড়ে যাবো। আমি কিন্তু এনগেজ‌ড।" 
     
       সুমন বলেছিল, "কেন? বিপদে পড়ে যাবি কেন?" ওর সততা মুগ্ধ করেছিল সুমনকে।
     
         ব্রততী বলেছিল, "আমার বিয়ে বাড়ি থেকে ঠিক হয়ে গেছে। কয়েকমাস বাদে হবে। তবে তুই হাশিখুশী প্রাণবন্ত‍ খোলামেলা। তাই তোর সাথে গল্প করতে ভালো লাগে। সেদিন তুই আমায় জোব চার্ণকের সমাধিস্থল সেন্ট জনস চার্চে নিয়ে গেলি। আমার কাজের জায়গা‌র এতো কাছে যে এমন একটা নির্জন ওয়েসিস আছে, জানতাম‌ই না। তোর দৌলতে জানলাম। সেদিন তোর সাথে ওখানে ঘুরে বেড়িয়ে, বেঞ্চে বসে কিছুক্ষণ গল্প করে বেশ লেগেছিল। আমি নিঃসঙ্কোচে গেছি। কেন জানিস?  কারণ তোর মধ্যে মুগ্ধতা দেখে‌ছি কিন্তু হ‍্যাংলামি দেখিনি। মেয়েরা এসব ঠিক বোঝে"।
     
       সুমন বলে, "সব ফুল কী আর ফুলদানিতে সাজানো যায়? উচিত‌ও নয়। সূর্য‌মুখী দুর থেকে দেখতেই ভালো লাগে"।
      
      ব্রততী সেদিন স্বগতোক্তির স্বরে বলেছিল, "তুই সেদিন টেলিফোন ভবন থেকে আমায় অনেকটা হাঁটিয়ে লাইটহাউসের সামনে ফ্রেন্ডস হোমে স্পেশাল সিঙাড়া খাওয়াতে নিয়ে গেলি। আমি বুঝেছি আমার সাথে হাঁটতে তোর ভালো লাগে। সিঙ্গাড়া নিছক বাহানা। তবে স্বীকার করতে লজ্জা নেই, আমার‌ও লাগে। তাই যাই। সেদিন তোর জন্মদিনে তোদের বাড়িতে কতো মজা হোলো। এগুলো আমি‌ খুব এনজয় করি। কিন্তু তোর সাথে সহজ‌ভাবে মেলামেশা‌র জন‍্য তুই যদি আমায় নিয়ে অন‍্য কিছু ভাবতে শুরু করিস, খারাপ লাগবে। আমি তো তার মর্যাদা রাখতে পারবো না।"
     
        বিয়েতে সুমনকে নেমতন্ন করে ব্রততী বলেছিল, "তুই অবশ‍্য‌ই আসবি। স্টুডিও ফটোগ্ৰাফার‌ বলা আছে। তবে তুই‌ ভালো ছবি তুলিস। আমার কিছু ছবি তুলিস তুই"। 
     
       নেমন্তন্ন রাখতে গেছি‌ল সুমন। তুলে‌ওছিল ছবি। একবার পাশ ফিরে তাকালো ব্রততী। মূহুর্তটা ধরা পড়ে গেল, তবে শুধু‌ই ক‍্যামেরায় নয়। ব্রততীকে এমনি‌ই দেখতে সুন্দর। বিয়ের সাজে ওর সেই প্রোফাইল ছবিটা আরো সুন্দর উঠেছিল। অষ্টমঙ্গলায় বাপের বাড়ি আসতে সেটা‌ই এনলার্জ করে বিয়ের উপহার হিসেবে প্রেজেন্ট করেছিল সুমন। 
     
        মোড়ক খুলে কিছুক্ষণ ছবিটা দেখে ব্রততী তাকালো সুমনের দিকে। মেয়েরা নাকি অনেক কিছু বুঝতে পারে। সেদিন কী বুঝেছি‌ল ব্রততী? নেগেটিভটা সুমনের কাছেই রয়ে গেছি‌ল। ভেবেছি‌ল আর একটা এনলার্জ করবে। নিজের জন‍্য। পরে আর করা হয়নি। যে ছবি দেওয়ালে টাঙানোর নয় তা এনলার্জ করার উৎসাহ  হারিয়ে ফেললো সুমন। ও ছবি দেওয়া‌লে পেরেক ছাড়াই থেকে যাবে অন‍্য কোথাও। অলক্ষ্যে।
     
         ব্রততী P&T তে সরকারি চাকরি করতো। বিয়ের বছর তিনেক পর একবার‌ হঠাৎই দেখা হয়েছিল ওর সাথে লেক মার্কেট পোষ্ট অফিসে। সুমন গেছি‌ল রেভিনিউ স্ট‍্যাম্প কিনতে। হালকা প্রসাধন‌ও নেই। বরং মুখে চোখে যেন ক্লান্তির হালকা প্রলেপ। কাঁধে ব্লাউজের পাশ দিয়ে ব্রায়ের স্ট্র‍্যাপ বেরিয়ে পড়েছে। কেমন আলুথালু ভাব। তিন বছর আগে জন্মদিনের সন্ধ্যায় স্বর্ণালী শাড়িতে ব্রততীকে খুঁজে পায়না সুমন। বিয়ের বছর কয়েক বাদে ছেলেপুলে হয়ে ঘোর সংসারী হয়ে যাওয়া কলেজ বান্ধবী‌কে যেমন অচেনা লাগে - একদা ঝকঝকে ব্রততী‌কে সেদিন তেমন‌ই লেগেছিল সুমনের। 
     
      সেদিনের পর সুমনের সাথে আর কখনো ব্রততী‌র দেখা হয়নি। সুমন‌ও চায়‌ নি খোঁজ রাখতে। যে ব্রততীকে সুমন জানতো, যে কারণেই হোক তাকে আর ঠিক চিনতে পারলো না। তবে ওর কিছু সুন্দর স্মৃতি মুক্তো হয়ে রয়ে গেছে মনে। সেই ছবিটা‌ও থেকে যাবে, যা কখনো রাখা হয়নি এ্যালবামে। বা ঝোলানো হয়নি দেওয়ালে।
     
    থাক সেই গানটাও, যেটা সেদিন চলছি‌ল জন্মদিনে‌র আসরে: 
     

     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • স্মৃতিচারণ | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৩৫৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • হীরেন সিংহরায় | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:৩৯527306
  • লেখা পড়ে যা মনে হলো সেটা ব্রাউনিং আমার চেয়ে ঢের ভালো বলেছেন 
     
    What if we still ride on, we two 
    With life for ever old yet new ,
    Changed not in kind but in degree, 
    The instant made eternity 
    And heaven just prove that I and she 
    Ride,ride together, for ever ride ? 
     
     
    The Last Ride togther 
    Robert Browning (1855 ) 
     
  • সমরেশ মুখার্জী | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:২৭527310
  • হুমমম…. হীরেনদা‌র মনে হ‌ওয়া‌টা প্রথিতযশার মাধমে প্রকাশ পেয়েছে খাসা। এমন অনুরণন‌ই পুরষ্কার।

    একটি সুন্দর খণ্ডমুহূর্ত সুমনের ক্ষেত্রে আলোকচিত্রের বদান্যতা ব‍্যতীত মানসিক শিলাচিত্র‌ও হয়ে উঠলো না। বিখ্যাত কবি‌র অনুভব অন‍্য মার্গের - তাই instant rolled into eternity. 
     
    বেচারা সুমন couldn't ride with ব্রততী too - ওকে টেলিফোন ভবন থেকে লাইটহাউস অবধি পাশাপাশি হেঁটে‌ই সন্তুষ্ট থাকতে হোলো - তাও প্রয়োজন হোলো বাহানার - (সম্ভবত তখন) দু টাকা পিসের স্পেশাল সিঙ্গাড়ার। 
  • ওব্বাওয়া | 2405:8100:8000:5ca1::1e9:ff50 | ০১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:৪৮527331
  • এই বয়সেও দাদুর দুদুফেটিশ  টশটশ কচ্চে
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন