এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  শিক্ষা

  • স্কুল শিক্ষার সংস্কার ও দশ দফা দাবি

    সীমান্ত গুহঠাকুরতা
    আলোচনা | শিক্ষা | ২৮ জুলাই ২০২৩ | ৩৪৫৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • ছবি: ঈপ্সিতা পাল ভৌমিক



    সমস্যাটা আগেও ছিল, কিন্তু কোভিড-অতিমারীর পর তা বহুগুণ বেড়ে গেছে। যেকোনো সরকারী স্কুলে সচরাচর দু-ধরনের ছাত্র পাওয়া যায়। একদল পড়াশুনায় আগ্রহী, তারা নিয়মিত স্কুলে আসে, ক্লাসে রেসপন্সিভ থাকে। এদের মধ্যে অনেকেই হয়তো তত ভাল রেজাল্ট করে না, কিন্তু প্রথাগত পড়াশুনার বাইরে নানা রকম অ্যাক্টিভিটিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে। কেউ খেলাধুলায়, কেউ সাংস্কৃতিক কাজকর্মে, কেউ বা নেতৃত্বদানের প্রশ্নে তার স্বভাবগত দক্ষতার পরিচয় দেয়। আর দ্বিতীয় দলটি পড়তে, বুঝতে অথবা অন্য কোনো রকম কাজেকর্মে নিতান্তই অনিচ্ছুক। এরা স্কুলে ভীষণই অনিয়মিত উপস্থিত থাকে। এই অনিচ্ছার পিছনে নিশ্চই কিছু আর্থ-সামাজিক কারণ অবশ্যই আছে, কিন্তু সেই কারণগুলো এতই বৃহৎ এবং জটিল যে তা নিয়ে তা নিয়ে ভাববার বা সেই সমস্যাগুলোর সমাধান করা শিক্ষক-শিক্ষিকার কর্ম নয়, তাদের তাই ওই প্রথম শ্রেণির ছাত্রদলকে নিয়েই কাজে-কর্মে বৃত থাকতে হয়।

    মুশকিল হল, অতিমারী-জনিত যে পরিবর্তনগুলো আমাদের চারপাশের সমাজে ঘটে গেছে, তার থেকে স্কুলও রেহাই পায়নি। নগর পুড়িলে দেবালয় এড়ায় না। ঠিক যেমন কর্পোরেট সেক্টরে অফিসের বদলে গুরুত্ব বেড়েছে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এর, অথবা অর্থনীতির জগতে নগদের বদলে অনলাইন লেনদেনের ওপর ভরসা বেড়েছে অনেকখানি, অথবা সিনেমা হলের জায়গা নিয়েছে মোবাইল নির্ভর ওটিটি প্লাটফর্ম, ঠিক তেমনি স্কুলের প্রথাগত শিক্ষাদান বা গ্রহণের পরিসর অনেকখানি দখল করে নিয়েছে অনলাইন এডুকেশন। এসে গেছে অসংখ্য অনলাইন টিচিং অ্যাপ। দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় আমাদের ছাত্রছাত্রীদের প্রাইভেট টিউশনের ওপর নির্ভরতা বরাবরই বেশি, অতিমারী এসে সেই নির্ভরশীলতাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আগে ছাত্রছাত্রীরা স্কুল শুরুর আগে, সকালে অথবা স্কুলের পর সন্ধ্যায় টিউশন পড়তে যেত, ইদানীং দেখছি প্রাইভেট কোচিং সেন্টারগুলো আর স্কুলের সময়টাকে বাদ দেবার সৌজন্যও দেখাচ্ছে না। দুপুর বারোটা, দুটো অথবা বিকেল তিনটের সময়ও ‘ব্যাচ’ বসানো হচ্ছে। ছাত্রছাত্রীরাও আজকাল স্কুলে অনুপস্থিতির জন্য জ্বর বা পেটখারাপের মত মত প্রচলিত অজুহাতগুলো দেখানোর বদলে পরিষ্কার বলে দিচ্ছে – ‘প্রাইভেট পড়া আছে স্যর’। শিক্ষার প্রশ্নে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানকে সরাসরি অস্বীকার করার এই স্পর্ধা কিন্তু অতিমারীরই অবদান। আজকাল তাই পড়াশুনায় ইচ্ছুক বা অনিচ্ছুক কোনো রকম ছাত্রছাত্রীকেই নিয়মিত স্কুলে পাওয়া যাচ্ছে না।

    কিন্তু দোষটা কি শুধুমাত্র অতিমারীই? অতিমারীর কাঁধে বন্দুক রেখে কোনো বৃহত্তর শক্তি তাঁর স্বার্থসিদ্ধির জন্য ময়দানে নেমে পড়েনি তো? প্রশ্নটা গুরুতর। এবং পাপী মনে প্রশ্নটা আসছে এই কারণেই যে, অতিমারী আগে-পরে বিগত পাঁচ বছরের রেকর্ড ঘাঁটলে দেখা যাবে, কমবেশী প্রতিবছরই গড়ে প্রায় দু-মাস করে গরমের ছুটি দেওয়া হয়েছে স্কুলগুলোতে। এর পাশাপাশি রয়েছে গড়ে প্রতি বছর একটি করে ভোট-উৎসব, যার জন্য কমবেশি পনেরো দিন থেকে এক মাস স্কুল-বাড়িগুলো অধিগ্রহণ করা হয়। যেদিন এই নিবন্ধটি লিখছি, সেদিনকার সংবাদপত্রেই এই মর্মে প্রতিবেদন রয়েছে যে, দুমাস গরমের ছুটি এবং একমাস পঞ্চায়েত জনিত ছুটির পর দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার একটি স্কুলে ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি দশ শতাংশের নীচে নেমে এসেছে, ফলে ছাত্রছাত্রীদের শ্রেণিকক্ষে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধান শিক্ষককেই মাইক হাতে গ্রামে গ্রামে ঘুরে প্রচারে নামতে হয়েছে।

    একটি শিশু বা কিশোরের সর্বাঙ্গীণ বিকাশের প্রশ্নে স্কুলের ভূমিকা অসীম। অধিকাংশ অভিভাবক এবং জননেতাদের একাংশ যেমন মনে করেন স্কুল হল সিলেবাস শেষ করা এবং পরীক্ষা নিয়ে মার্কশীট আর সার্টিফিকেট বিলি করার জায়গা, তা আদৌ নয়। সিলেবাস শেষ করা বা একটা ভাল রেজাল্ট করার জন্য কিন্তু সত্যিই ইদানীং আর স্কুলের খুব একটা দরকার নেই। অজস্র অনলাইন কোচিং বা প্রাইভেট টিউটর বাজারে সুলভ, তারাই কাজটা সেরে দিতে পারেন। আর ‘ভাল রেজাল্ট’ তৈরির প্রয়োজনীয় সস্তা মালমশলা স্কুলের বাইরের বাজারে সুলভ বলেই হয়তো আজকাল আর স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা বলার বা গান গাইবার মত ছাত্রছাত্রী পাওয়া যায় না, স্পোর্টসে বা ফুটবল ম্যাচে অংশগ্রহণ করার আগ্রহ নেই ওদের, সরস্বতী পুজোয় মণ্ডপ সাজানোর বা ফল কাটার লোক পাওয়া যায় না। এইভাবেই এই ‘নিউ নর্মাল’ শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের এক আত্মমগ্ন, স্বার্থপর এবং অবধারিতভাবে এক সমাজ-বিচ্ছিন্ন একক-যাপনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

    এর পাশাপাশি আর্থিক বা সামাজিকভাবে তুলনামূলক পিছিয়ে পড়া একদল ছাত্রছাত্রীকে শিক্ষার অঙ্গন থেকে বার করে দেবার একটা গভীরতর চক্রান্ত তো রয়েইছে। যাদের মোটা দক্ষিণা দিয়ে প্রাইভেট পড়ার বা অনলাইন এডুকেশন গ্রহণ করার সামর্থ্য নেই, তারা এখন অবধারিতভাবেই পড়াশুনা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে। তাদের জন্য তাই অপেক্ষায় রয়েছে তামিলনাড়ু, মুম্বই, গুজরাটের পরিযায়ী শ্রমিক-মহল্লাগুলো।

    মোটের ওপর ব্যাপারটা তাহলে দাঁড়াল এই যে, যাদের সামাজিক সচেতনতা এবং প্রয়োজনীয় আর্থিক সামর্থ্য আছে, তাদের আর স্কুলের দরকার নেই। আর যাদের স্কুল ছাড়া শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই, স্কুল তাদের ভুলে বসে থাকছে। আর এক মাঝখানে আছেন শিক্ষক নামধারী এক তৃতীয় পক্ষ, যাদের অধিকাংশই শেষের সেই ভয়ঙ্কর দিনগুলোকে দেখতে পাবার মত দূরদৃষ্টি-সম্পন্ন নন, তাঁদের যাবতীয় দাবি-দাওয়া তাই ডি এ-কে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হচ্ছে, এখনও।

    পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বললে কম বলা হবে, বরং এরকমই বলাই বোধহয় ঠিকঠাক হবে যে, আমাদের সরকারী শিক্ষাব্যবস্থা একেবারে খাদের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে। মুশকিল হল, এই পরিস্থিতিকে বদলানোর প্রশ্নে সরকার বা বিরোধী কোনো রাজনৈতিক দলকেই আর ভরসা করা যায় না। ইদানীং কিন্তু সরকার, বিরোধীপক্ষ এবং তাদের কারো-না-কারো তাঁবেদারী করা প্রাতিষ্ঠানিক গণমাধ্যমের বাইরে ফেসবুক-ট্যুইটার-হোয়াটসঅ্যাপ-আদি সমাজমাধ্যমকে অবলম্বন করে একটি স্বতন্ত্র এবং ভিন্ন স্বর উঠে আসছে । অনেক সময়ই সেই সমবেত ভিন্ন-স্বর বিভিন্ন স্পর্শকাতর ‘ইস্যু’-তে সরকারকে নড়েচড়ে বসতেও বাধ্য করছে। শিক্ষার প্রশ্নেও এমনই একটা তৃতীয় নিরপেক্ষ কণ্ঠ তৈরির প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হচ্ছিল বিগত কিছুদিন ধরে।
    সেই লক্ষেই এই সেদিন এক বৈঠক হল একটি অনলাইন প্লাটফর্মে। বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন অধ্যাপক সুকান্ত চৌধুরী, অধ্যাপক অচিন চক্রবর্তী, অনিতা অগ্নিহোত্রী, কুমার রানা, অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ কয়েকজন শিক্ষাবিদ, চিন্তাশীল মানুষ এবং সমাজকর্মী। হাজির ছিল শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত প্রায় একশো জন মানুষ, যারা সকলেই সেই বিপন্নতায় সামিল।

    প্রায় তিন ঘন্টার সেই ম্যারাথন বৈঠক শুনতে শুনতে মনে হচ্ছিল, সত্যিই, এখন বোধহয় শিক্ষার গুণমান, পেডাগজি, সিলেবাস, কারিকুলাম ইত্যাদি গৌণ হয়ে পড়েছে। তার থেকে অনেক বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে কিছু মোটা দাগের সংস্কার। যেমন,
    ১. পর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে,
    ২. শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন কিনা, নিলেও ব্ল্যাকবোর্ড, লেসন প্ল্যান ইত্যাদি যথাযথভাবে ব্যবহার করে বিজ্ঞানসম্মতভাবে পড়াচ্ছেন কিনা যা নিশ্চিত করতে হবে। তার জন্য ঘনঘন পরিদর্শনের ব্যবস্থা চাই,
    ৩. যেন-তেন-প্রকারেণ ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে হাজিরা নিশ্চিত করত হবে,
    ৪. প্রাইভেট টিউশনের রমরমা বন্ধ করার জন্য স্কুল স্তরে উন্নত মানের শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে,
    ৫. ছাত্রছাত্রীদের মত শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও কর্মদক্ষতার নিয়মিত মূল্যায়ন চালু করতে হবে এবং তার ভিত্তিতে তার চাকরির স্থায়িত্ব নির্ধারণের ব্যবস্থা করতে হবে,
    ৬. মিড ডে মিলের বরাদ্দ বাড়িয়ে তার গুণগত মানের উন্নয়ণের পাশাপাশি তাকে সুস্বাদু করে তুলতে হবে,
    ৭. স্কুলগুলোর পরিকাঠামোয় পর্যাপ্ত সংস্কার করে এবং পর্যাপ্ত অশিক্ষক কর্মী, মেথর-ঝাড়ুদার ইত্যাদি নিয়োগ করতে হবে। এবং রক্ষণাবেক্ষনের খরচের জন্য কম্পোজিট গ্রান্টের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
    ৮. নানাবিধ ‘ডোল’ বিলির জন্য হয় বিদ্যালয়ের বাইরে স্বতন্ত্র ব্যবস্থা করতে হবে, নইলে স্কুলের তার জন্য পৃথক দপ্তর এবং কর্মী নিয়োগ করতে হবে।
    ৯. ল্যবরেটারি ইত্যাদি পর্যাপ্ত পরিকাঠামো এবং শিক্ষকের অভাবে গ্রামের দিকে বিজ্ঞান-শিক্ষার হাল অত্যন্ত খারাপ। তাই বিজ্ঞান-শিক্ষার প্রসারে আলাদা অর্থ-বরাদ্দ জরুরি,
    ১০. সর্বোপরি, কারণে-অকারণে দীর্ঘ ছুটি দেবার প্রবণতা কমাতে হবে এবং নির্বাচন ইত্যাদি প্রয়োজনে স্কুলবাড়ি অধিগ্রহণের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে।

    জনজীবনে শিক্ষার গুরুত্ব যিনি বোঝেন, তার কাছে এই দশ দফা দাবি খুব একটা গুরুতর বা বিরাট ব্যয়বহুল কিছু নয়। প্রশ্নটা কেবলমাত্র সদিচ্ছার। দেখা যাক, শিক্ষা-নিয়ামকদের মনে সেই সদিচ্ছা জাগরিত করা যায় কি না।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৮ জুলাই ২০২৩ | ৩৪৫৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • স্কুলশিক্ষা | 115.187.40.82 | ২৮ জুলাই ২০২৩ ২০:০১521831
  • এই "তৃতীয় নিরপেক্ষ কণ্ঠস্বর"  দের কাছে আবেদন 
    সত্যিই পর্যাপ্ত টিচার নিয়োগের দিকে ফোকাস করুন। রাষ্ট্রকে এবং বর্তমান সরকারকে প্রতিটি শিশুর শিক্ষার আবশ্যিক দায়িত্ব নিতে বাধ্য করুন, সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থাকে সরকারীকরণের দাবি তুলুন, আর শিক্ষা শেষ করে প্রত্যেকে যেন বাধ্যতামূলকভাবে সুনিশ্চিত চাকরি পায়, তাঁর জন্য দাবি তুলুন। এই তিনটে দবি না করে অন্য একশোটা দাবি করলেও সেই দাবি অর্থহীন, সমস্যার গোড়া অক্ষুণ্ণ রেখে আগাকে সামান্য ছেঁটে দেওয়ার মত।
     
    (বাই দ্য ওয়ে, "তৃতীয় নিরপেক্ষ কণ্ঠস্বর" এর অধ্যাপকবৃন্দ আর শিক্ষকবৃন্দ নিজেরা নিজেদের কর্তব্যটুকু ঠিকমত করেন তো? নাকি নিজেরাই বাড়তি ইনকামের জন্য বাড়িতে চাটাই পেতে টিউশনি করে স্কুলে কলেজে কেবল ঠেকিয়ে দিয়ে চলে আসেন?)
  • Pameli Ghosh | ২৯ জুলাই ২০২৩ ১২:৫৫521853
  • ১০ দফা দাবি এক্দম সঠিক।yes
    আমার school life শেষ হয়েছে এই। তো নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি পড়াশোনা বেশিরভাগ সরকারী স্কুল গুলোতে একদমই নিম্নমানের। বেশীরভাগ Teachers - রা ছাত্র ছাত্রী দের ভালো বেসে পড়ান কই? নতুন কিছু শেখানো, motivate করা,  creative হতে শেখানো - এইসব কই? যে বিষয়টা পড়ানো হয়  class এ সে বিষয়ে স্টুডেন্টস দের মনে curiosity ই তৈরী হয় না। তবে ভালো teachers রা যে স্কুলে একেবারেই নেই তা না তবে খুবই কমজন ছাত্রছাত্রীদের পড়ানোর বিষয়টার গভীরে গিয়ে বিষয়টাকে ভালোবাসতে শেখান - এটাই তো চাই সবচেয়ে বেশি।
     
    বেশীরভাগ বিষয়ে পরীক্ষার আগে syllabus শেষ করানো হয় না।  আমি তো এমন teacher ও দেখেছি class এ এসে উনি না পড়িয়ে ফোন ঘাঁটছেন।
     
     আমি নিজের ক্ষেত্রে দেখেছি তার থেকে private tutor রা অনেক বেশি খেটে পড়ান। স্বাভাবিক ভাবেই যারা পড়াশোনা করতে চাইছে তারা school এর  উপর ভরসা পাচ্ছে কৈ? 
    কতজন teachers দের students দের খারাপ result এ ওনার যায় আসে, students দের না পারাটাকে নিজেরও ব্যর্থতা হিসেবে জানে? ওনারা শুধু মাসের শেষের মাইনে, বকেয়া ডিএ আর রাজনৈতিক মুখরোচোক আলোচনা নিয়ে স্টাফরুম এ চায়ের তুফান ওঠান। students দের school মুখী করতে চাইলে একটু ভেবে দেখুন দোষটা কি শুধুই students দের। 
    Students রাও মানুষ ওরা শ্রদ্ধা, সম্মান সবকিছুই করতে পারে কিন্তু শিক্ষকরা কি সবসময় সম্মানীয় হয়ে থাকেন!? কি জানি! 
  • মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায় | 2401:4900:3be0:5690:6730:9e1:1593:97b0 | ২৯ জুলাই ২০২৩ ১৬:৫৮521870
  • অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লেখা। শিক্ষা ব্যবস্থার সম্পূর্ণ ধ্বংসের আগে আর একটি প্রশ্ন ঘুরে ফিরেই আসছে, সেটা শিক্ষার উদ্দেশ্য নিয়ে। সেটা কী তার নিয়ে এখন শিক্ষক বা দপ্তর কেউ ভাবেন না। আপাতত বাজার সেটা ঠিক করছে। অতএব
  • Primary | 42.110.137.236 | ২৯ জুলাই ২০২৩ ১৭:৪৭521871
  • শিক্ষকদের খালি চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ হওয়াই উচিত। এতে ছাত্র পড়ানোয় শিক্ষক ও শিক্ষিকাগণ বেশি মনোযোগী হবেন। কারণ পার্ফমেন্স ভালো না হলে চুক্তি রিনিউ হবে না। ডি এ বৃদ্ধি, বদলি, আণ্দোলন - এ সবে সময় কম ব্যয় হবে। আখেরে লাভ হবে ছাত্রদের। উদ্বৃত্ব টাকা সরকার বিদ্যালয় এর পরিকাঠামো উন্নয়নে ব্যয় করতে পারবে। কয়েকদিন আগে টিভিতে দেখলাম একটি প্রাইমারি স্কুলের ছাদ ভেঙে গেছে। একটি রুমে ক্লাস ওয়ান থেকে ফোর অবধি একসঙ্গে ক্লাস হচ্ছে।
  • প্রজ্ঞাপারমিতা | 223.223.139.202 | ২৯ জুলাই ২০২৩ ১৮:২৪521872
  • এই লেখার মধ্যে দিয়ে যে উদ্যোগ ও সুচিন্তিত কার্যক্রমের কথা জানতে পারলাম সেটা বিমর্ষ শিক্ষা অবস্থায় কিছুটা খুশি হওয়ার পূর্বাভাস। লেখককে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
  • দীপক ঘোষ | 113.21.71.252 | ২৯ জুলাই ২০২৩ ২১:৪৯521876
  • স্কুলের শিক্ষক নিজের কোচিং ক্লাস          য যত নিষ্ঠার সঙ্গে পড়ান, স্কুলে তার চিহ্ন
    মাত্র পাওয়া যায় না। ইলেভন টুয়েলভের
    ছাত্রছাত্রীরা প্র্যাকটিক্যাল ছাড়া স্কুলে যাওয়ার প্রয়োজন বোধ করে না। 
    ছেলেমেয়েদের কাছেও পরীক্ষা দেওয়ার মাধ্যম ছাড়া স্কুলগুলোর  বিশেষ গুরুত্ব নেই।  সুতরাং স্কুলগুলোকে আগে ছাত্র
    ছাত্রী ও অভিভাবকদের কাছে অপরিহার্য
    বলে গণ্য করার ব্যবস্থা করতে হবে। 
  • সৌমেন রায় | 2409:40e1:100c:54f1:8000:: | ০১ আগস্ট ২০২৩ ১৪:৪২521989
  • গুরুত্বপূর্ণ ,সময়োপযোগী লেখা।লেখার প্রতি লাইন সঠিক।উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।দাবি গুলিকে সমর্থন করছি।লেখক/ লেখিকাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এমন একটি বিষয় তুলে ধরার জন্য ।
    তবে তিন নম্বর টি কিছুতেই পূরণ করতে পারবেন না।শিক্ষা বিষয়ক কিছু কথা হলেই শিক্ষকদের উপর দোষ চাপিয়ে সবাই হাত ধুয়ে নেয়।শিক্ষক নির্দোষ দাবি করছিনা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে তার কিছু করার থাকেনা।প্রথম যোগদানের সময় সবাই উৎসাহী থাকে।ক্রমাগত বিভিন্ন কারনে গুটিয়ে যায়। যায় মধ্যে অন্যতম ছাত্র ছাত্রীদের প্রবল অনীহা।তাই  তৃতীয় পয়েন্ট টি কিছুতেই পুরন হবেনা।বেশিরভাগ কোনো ভাবেই মোটিভেটেড হয়না। যারা বলেন শিক্ষা দানের ত্রুটি তারা যদি ফিল্ডে এসে দেখিয়ে দিতেন ( একদিন দেখালে হবেনা) অনেকেই শিখে নিতাম ।
    লেখা ও কমেন্ট মিলে সরকারী উদাসীনতা সহ বিভিন্ন দিক সবাই তুলে ধরেছেন ।তাই আমি একটি অন্য দিক বললাম।একমাত্র এটাই অসুবিধা সেটা কিন্তু বলছিনা।
     
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৩ আগস্ট ২০২৩ ০২:৪৯522028
  • "তৃতীয় পক্ষ" যদি নিজেদের সন্তান ও নাতিনাতনিদের এই স্কুলসিস্টেমে না ভর্তি করেন, তাহলে যত দফা দাবীই তাঁরা করে থাকুন, সবই বিলাসমাত্র।
  • r2h | 192.139.20.199 | ০৩ আগস্ট ২০২৩ ০২:৫৫522030
  • যারা মনে করে পদ্ধতিটা ভালো হওয়া উচিত কিন্তু নিজেদের ব্যক্তিগত স্টেক নেই তাদের কথা বিলাসিতা মাত্র?
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৩ আগস্ট ২০২৩ ০৩:০৫522033
  • নিজের গায়ে আঁচ না লাগিয়ে উঁচু প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা তো সো কলড নেতা টেতারাও দ্যান। প্রজাগণ শুনে আহা বাহা করেন।
  • r2h | 192.139.20.199 | ০৩ আগস্ট ২০২৩ ০৩:১৫522036
  • ধরা যাক আমি মনে করি প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে উন্নত ব্যাঙ্কের শাখা খোলা উচিত, সেটা নিয়ে পত্রপত্রিকায় লেখালিখি করি।

    সেই দাবীটায় যথেষ্ট সততা আনার জন্যে কি আমি গ্রামে গিয়ে বাসা করবো, না গ্রামের ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলে শহর থেকে আসা যাওয়া করবো?

    আমি একটা বড় কজের সঙ্গে একাত্মতা বোধ করি - তার জন্যে আমার ব্যক্তিগত স্টেক থাকতেই হবে? আমি মনে করি সরকারী স্কুল শিক্ষার উন্নতি হওয়া দরকার, কিন্তু আমি একটা প্রিভিলেজড অবস্থানে আছি - ঐ পরিষেবার আমার দরকার নেই, যাদের দরকার আছে তাদের জন্য আমার সহমর্মিতা থাকবে না?
    কোন মন্ত্রী বলেছিলেন আমি পেঁয়াজ খাই না তাই পেঁয়াজের দাম বাড়লে আমার কিছু আসে যায় না।
    মানে, সহমর্মিতা ব্যাপারটা তো ঐভাবেই কাজ করে, ব্যক্তিগত স্টেক নেই কিন্তু অন্যের অবস্থা ও অবস্থান বোঝা।

    এটা না হলে যা হয়, দায়টা সরকারের থেকে একক ব্যক্তি মানুষের ওপর এসে পড়ে।
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৩ আগস্ট ২০২৩ ০৩:২২522038
  • অনেক ব্যক্তি-মানুষ মিলেই সমাজটা। উপর থেকে উপদেশের নির্দেশের শান্তিজল ছিটিয়ে ছিটিয়ে প্রিভিলেজরা গা বাঁচানো ধরি মাছ না ছুঁই পানি ছাড়া আর কিছুই করতে পারেন বলে মনে হয় না। যাদের গায়ে আঁচ লাগছে, তারা সক্রিয় হলে তবেই হয় কিছু।
  • r2h | 192.139.20.199 | ০৩ আগস্ট ২০২৩ ০৩:৩২522041
  • দুটোর মধ্যে ছোট্ট ফারাক আছে - যারা ভুক্তভোগী তারা আওয়াজ না তুললে কিছু হবে না, আর যারা আওয়াজ তুলছে, তারা ভুক্তভোগী না হলে সেই আওয়াজ তোলা বিলাসিতা মাত্র।

    এবার আওয়াজ তোলা মানেই যদি তাদের ঘাড়ে ধরে স্টেক বহন করাতে চাওয়া হয়, সেটা আসলে যেকোন আওয়াজ থামিয়ে দেওয়ার প্রকারান্তর।

    এমনিতেও, শিক্ষার ব্যাপার নিয়ে শিক্ষিতদের থেকে বেশি আওয়াজ উঠবে এটা অস্বাভাবিক কিছু না, আবার শিক্ষিতরা একটু বেশি সুবিধাপ্রাপ্ত হবে সেটাও অস্বাভাবিক কিছু না। (এখানে শিক্ষা, শিক্ষিত বলতে আমি স্কুল কলেজ ডিগ্রি, যেসব করে চাকরি বাকরি পাওয়া যায়, রোজগার করা যায় সেসবই বোঝালাম।)

    অবশ্যই, ভুক্তভোগীরা নিজেরা দাবি করলে সেটা সবচে কাজের। কিন্তু অন্যরা বললে সেটা বিলাসিতা - এই অভিযোগটা ঠিক নাও হতে পারে।
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৩ আগস্ট ২০২৩ ০৩:৪০522043
  • ধরুন ইস্পাতকঠিন এক সরকার এসে প্রত্যেক সরকারী কর্মীর ( বহু বেসরকারীরও) ছেলেপিলে নাতিপুতনি সবাইকে সরকারি স্কুলে পাঠাতে বাধ্য করেছে, তখন স্কুলের মান ঠিক করার আন্দোলনটা কতখানি জোরালো হবে বলে মনে করেন?
  • r2h | 192.139.20.199 | ০৩ আগস্ট ২০২৩ ০৫:২৩522044
  • সর্বনাশ, এ কি গণতান্ত্রিক সরকারের কথা হচ্ছে, না গেস্টাপো বাহিনী? যে অভিভাবকের থেকে ছেলেমেয়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচনের অধিকার ছিনিয়ে নেবে?
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৩ আগস্ট ২০২৩ ০৫:২৭522045
  • সেই তো। কুমীরের কান্না।
  • r2h | 192.139.20.199 | ০৩ আগস্ট ২০২৩ ০৫:৪৫522046
  • না তো! ওটা ব্যক্তির অধিকার।

    সরকার যদি বলে শিক্ষাক্ষেত্রে বেসরকারী পুঁজির ওপর কঠিন নিয়ম কানুন চাপাবে, ঠিকঠাক খাতে ঠিকঠাক খরচ হচ্ছে কিনা দেখবে, মিড ডে মিলের বাজেট বাড়াবে, প্রথম প্রজন্মের বা অন্য অনগ্রসর পড়ুয়াদের শিক্ষাকে ইন্সেন্টিভাইজ করবে - তবে অবশ্যই সেগুলি সদর্থক ব্যাপার!

    এবার স্বপ্ন বা দাবীকে কুমীরের কান্না মনে হতে পারে, তাতে কিছু করার নেই।

    আসলে আমাদের একটা খুব প্রাথমিক জায়গায় দ্বিমত - আমি মনে করি প্রতিষ্ঠান ঠিক্ভাবে পরিচালনা করার দায়িত্ব প্রাথমিকভাবে কর্তৃপক্ষের। না হলে আর ত্যাক্স পত্র দিয়ে পোষা কেন। আর সেসব যেন হয়, অধিকার ইত্যাদি সুনিশ্চিত করা - এসবের দায় সচেতন নাগরিকদের। তাতে তাদের স্টেক আছে কি নেই সেটা অবান্তর।
    থাকলে ভালো, দাবিটা জোরদার হবে। থাকতেই হবে এমন মানসিকতা এলে কর্তৃপক্ষ ছলে বলে কৌশলে স্টেকগুলোকে নস্যাৎ করবে।
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৩ আগস্ট ২০২৩ ০৫:৫৪522047
  • আসল জায়্গায় যদি খোঁচা পড়ে, এই যেমন সবাই বাধ্য হবে সরকারি স্কুলে সন্তান পাঠাতে। তবেই দেখা যাবে কেমন সিংহবিক্রমে এই মধ্যবিত্তরাই ঝাঁপিয়ে পড়ে আন্দোলনে। কার কোথায় স্টেক সেটা তো ব্যাপার।
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৩ আগস্ট ২০২৩ ০৬:০১522048
  • সব স্তরের মক্কেলেরই নিজস্ব স্টেক আছে, স্টেকের ঊর্ধে তো কেউ না। সেগুলো খুঁজে বের করে সেইমতন নাচানোই দেশশাসকদের( আর তাদের স্পনসরদের) মূল কৌশল। কাদের কোথায় লাগাম দেবে আর কাদের কোথায় ছেড়ে রেখে নাচাবে, তেনারা সেসব খুব ভালো জানেন বলেই এই সার্কাস চালাচ্ছেন।
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৩ আগস্ট ২০২৩ ০৬:১০522049
  • সরকারি মাস্ট করা, ওটা কোনোদিনই করবে না, যদিও বিশাল সদর্থক স্টেপ। কিন্তু করবে না। ওরা ঘুষের টাকাও নেবে, নিয়ে সরকারি চাকরি সাপ্লাই করবে, আবার মিড্ডে মিল থেকে চাল আলু চুরিও চালিয়ে যাবে। স্পনসর বাবুরা নিজেদের প্রাইভেট স্কুল খুলে চুষে নেবে মধ্যবিত্তের টাকা। ওদের দিক থেকে একেবারে উইন উইন উইন সিচুয়েশন। জনগণের অলাতচক্র।
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:c6c5:3374:55e9:662d | ০৩ আগস্ট ২০২৩ ০৭:১৩522051
    • &/ | 151.141.85.8 | ০৩ আগস্ট ২০২৩ ০৩:৪০522043
    • ধরুন ইস্পাতকঠিন এক সরকার এসে প্রত্যেক সরকারী কর্মীর ( বহু বেসরকারীরও) ছেলেপিলে নাতিপুতনি সবাইকে সরকারি স্কুলে পাঠাতে বাধ্য করেছে, তখন স্কুলের মান ঠিক করার আন্দোলনটা কতখানি জোরালো হবে বলে মনে করেন
    কিছুই হবে না। ডিএ আন্দোলন দেখুন।
     
    তবে ওরকম হলে প্রাইভেট স্কুল মালিকরা খুব রেগে যাবে। তার জন্য সরকারী স্কুলের ম্যান্ডেট টিকবে না।
  • &/ | 107.77.234.37 | ০৩ আগস্ট ২০২৩ ০৭:৫৭522052
  • একদম তাই ।ওই প্রাইভেট মালিকরাই তো সরকার বসায় ,কলকাঠি নাড়ে, লাখবেলাখের বোতল বেচে  নীতা কে 
  • রানা মুখোপাধ্যায়। | 2405:201:8000:b072:b0d5:f804:6951:d1a | ০৫ আগস্ট ২০২৩ ২৩:১০522132
  • আলোচনা বেশ জমে উঠেছে। এটা খুব স্বাস্থ্যকর লক্ষণ কেননা আলোচনার অর্থ হলো ভাবনার, চিন্তার মন্থন। আজ এই মন্থনের খুব প্রয়োজন আছে। মাতৃভাষা মাধ্যমের সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা আজ সত্যিই বেশ গভীর সংকটের সম্মুখীন।এই সমস্যা একদিনের নয়। বলা বাহুল্য দীর্ঘ অবহেলা ফল ভুগতে হচ্ছে এই প্রজন্মের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের। আজ সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি হ‌ওয়ার অর্থই হলো গরীবের স্কুলে যাওয়া যেখানে বিণে পয়সায় খাবার মেলে , মাইনে দিতে প্রায় হয়না, উপরন্তু নানা উপঢৌকন পাওয়া যায় ।আর পড়াশোনা?? ওটা নামকে ওয়াস্তে।এই তকমা রাতারাতি পড়েনি।একটা ব্যবস্থা ক্ষয় পেতে পেতে আজ এই অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। যে দশদফা দাবির কথা মূল নিবন্ধে ঠাঁই পেয়েছে সেগুলো, নিছক তর্কের খাতিরেই বলছি, কালকেই পূরণ করা হলে, পরশুদিন থেকে সব ঠিকঠাক চলবে তো? 
    অলম অতি বিস্তরেন।
  • Sourav Maji | ০৬ আগস্ট ২০২৩ ১৩:২২522161
  • সরকার চায় না, স্কুল গুলো ভালো চলুক। আপনার মনে আছে কিনা জানিনা, ইদানিং কালের একটি পড়াশোনার অ্যাপ কে প্রমোট করতেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী, যিনি আজ গারোদের ওপারে আছেন। শিক্ষকরা হলেন সফট টার্গেট, খুব সহজেই অপরাধী বলে দাগিয়ে দেওয়া যায়। ডি এ একটি সঙ্গত অধিকার, তা চাইলেই আপনাদের মনে হয় তারা কিছুই করছেন না, শুধু আন্দোলন। কোনো ধারণা আছে লেখক মশাইয়ের প্রত্যন্ত গ্রাম গুলোতে সরকারি শিক্ষকরা কি পরিশ্রম করে পড়িয়ে থাকেন! এক এক শ্রেণীতে ১০০ জন পর্যন্ত ছাত্র ছাত্রী, শিক্ষক যতই চেষ্টা করুন না কেনো কোনো ভাবেই কোয়ালিটি শিক্ষা দেওয়া সম্ভব না। দূর থেকে বসে বসে যা খুশি বলা খুব সহজ। কিছু দিন আগেই শিক্ষার বেসরকারি করন করার একটি বিল প্রায় উঠতে যাচ্ছিল, কিন্তু শেষমেশ সেটি আর বাস্তবায়িত হয়নি। সরকার হাত ঝেড়ে ফেলতে পারলে বাঁচে। শিক্ষার বরাদ্দ টাকা দিয়ে ফ্রীর মাল তেলশ্রী, ভোটশ্রী, পোশাকশ্রী  সাইকেলশ্রী দিলে বোধহয় শাসকের থাকার পথ প্রশস্ত হয়।
  • hu | 172.58.30.183 | ০৬ আগস্ট ২০২৩ ২০:৫৯522170
  • সম্প্রতি একটি আধা সরকারী স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র স্কুলের সামনেই লরিচাপা পড়ল। স্কুলের হেড মাস্টার মশাই কাঁদতে কাঁদতে বলছেন বহুদিন ধরেই তাঁরা স্কুলের সামনে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশের কাছে আবেদন করছেন। তাঁদের কথা শোনা হয়নি। যদিও ওই এলাকারই দামী প্রাইভেট স্কুলগুলোর সামনে পুলিশ প্রহরা থাকে। 
    &/ এর  ০৩ আগস্ট ২০২৩ ০৫:৫৪ এর পোস্ট সম্পূর্ণ সমর্থন করি। ক্ষমতাবানই সরকারের থেকে আদায় করে নিতে পারে ভালো শিক্ষা, ভালো পরিষেবা। ক্ষমতা শুধুমাত্রই অর্থের হয় না। শিক্ষা ও সামাজিক সম্মানের একটা ক্ষমতা আছে। সেই ক্ষমতাশালীদের সন্তানেরা যতদিন সরকারী স্কুলে পড়েছে ততদিন ভালো শিক্ষা দিতে স্কুলগুলো বাধ্য ছিল। এখন সরকারী স্কুলে যাঁরা পড়ান তাঁরাও নিজের সন্তানকে প্রাইভেটে পাঠান। শিক্ষকেরই যে শিক্ষা ব্যবস্থায় আস্থা নেই সেখানে ছাত্রদের আস্থা থাকবে কি ভাবে! সরকারী শিক্ষা ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখার সব দায় শিক্ষকদের এমন বলছি না। তাঁদের নিশ্চয়ই অধিকার আছে অভিভাবক হিসেবে নিজের পছন্দের স্কুলে সন্তানকে পড়ানোর। তবে সরকারী শিক্ষাব্যবস্থা যেভাবে অতি বৃদ্ধ মজা নদী হয়ে গেল তার কারণ বিশ্লেষণ করতে গেলে এই অপেক্ষাকৃত ক্ষমতাবান শ্রেণীর অনাস্থা, অনাগ্রহ ও দূরে সরে থাকা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
  • সৌরভ সান্যাল | 2405:201:8000:b072:827:4773:170c:4794 | ০৭ আগস্ট ২০২৩ ০০:০২522174
  • শিক্ষকদের নরম শিকার হিসেবে গণ্য করাটা খুব কাজের কথা নয়। অনেক সমস্যার মধ্যেই শিক্ষকদের কাজ করতে হয়। তাই সমস্যাদীর্ণ ব্যবস্থা নতুন থেকে নতুনতর সমস্যার জন্ম দিচ্ছে।অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় হলো অনেক শিক্ষকই সমস্যার গভীরে যেতে চান না। অভিমন্যুর মতো যারা শিক্ষার্থীদের মুখের দিকে তাকিয়ে এখনও লড়াইটাকে আন্তরিক ভাবে চালানোর চেষ্টা করে চলেছেন তাঁরাও উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে হতোদ্যম হয়ে পড়ছেন। যে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বিশ্বাস,শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা অর্জন করতে পারেন তিনিই ভাঙনের মধ্যেও নির্মিতির কাজ জারি রাখতে পারেন নীরবে, নিভৃতে । আজ এমন শিক্ষকেরা ক্রমশঃ বিরল প্রজাতির মানুষ হিসেবে গণ্য হচ্ছেন। তাই সংকটের মেঘ আরও ঘনীভূত হচ্ছে।
     
  • aranya | 2601:84:4600:5410:f1ab:29d2:f04c:769c | ০৭ আগস্ট ২০২৩ ০০:৪৯522175
  • সরকারের, পুলিশের মানুষকে পরিষেবা  দেওয়ার কথা, তার প্রয়োজন অনুযায়ী, আর্থিক ক্ষমতা না দেখে।  স্কুলের সামনে ট্রাফিক পুলিশ থাকলে বাচ্চাটা বেঁচে যেত। বেহালার ঐ সরকারী স্কুলে ১০০০ ওপর ছাত্রছাত্রী। অথচ তার সামনে ট্রাফিক পুলিশ নেই, পাশের বেসরকারী দামী স্কুলগুলোর সামনে পুলিশ প্রহরা 
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৭ আগস্ট ২০২৩ ০৩:০৭522176
  • এক্দম তাই। hu এর ০৬ আগস্ট ২০২৩ ২০:৫৯ এর সঙ্গে একমত তো বটেই, আমি এর সঙ্গে জুড়ে দিতে চাই যে সরকারি স্কুলের এমনই অবস্থা যে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সেখানে সন্তান পাঠান না, প্রাইভেট স্কুলে পাঠাতে বাধ্য হন। প্রাইভেট স্কুলের শিক্ষার অবস্থাও যে ভালো তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। হ্যাঁ, চাকচিক্য আছে, ব্র‌্যান্ডনেম আছে, এরকম একটা ইলিউশনও আছে যে এইসব স্কুল থেকে পাশ করে বেরোনোরা চাকরির বাজারে সুবিধে পাবে। এই। কিন্তু সত্যি করে কতদূর শিক্ষা দীক্ষা ওসব স্কুলে হয়, সেটাও প্রশ্নযোগ্য। মাঝখান থেকে ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে তরুণ প্রজন্মের। সরকরি স্কুল লঙ্গরখানা বনে গেছে, প্রাইভেট স্কুল টাকা চোষা আর ট্যাঁশগরু বানানোর কল, কোথায় তারা যাবে? কোথাও তো তাদের লেখাপড়াটা শিখতে হবে, ন্যায়নীতি বিবেচনাবুদ্ধি শিখতে হবে, দলবদ্ধ হয়ে কাজ করা শিখতে হবে, জোরালো আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলতে হবে? এসব জিনিস তো মোটামুটি স্বাধীন ও স্বাভিমানযুক্ত পরিবেশ ছাড়া হয় না!
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:acb4:7cf3:7373:a497 | ০৭ আগস্ট ২০২৩ ০৩:৫৩522177
  • লেখাপড়া না হলেই বা ক্ষতি কিসের? মানে আপনি আমি বললাম ক্ষতি হয়, তাহলেই তো হবে না। একটা খুব বড় অংশকে বলতে হবে। নাহলে সরকারই বা গরজ দেখাবে কেন? সরকার নির্বাচনী প্রভাব নেই এমন কিছু নিয়ে মাথা নাই ঘামাতে পারে।
     
    শিক্ষার বদলে ফ্রি ট্যাবলেট বা টিভি সেট দিলে ভোটের সুবিধা হয়। একটা সময়ে মেনে নেওয়া হত যে লোকে নিজেদের ভাল সবসময় বোঝেনা। লোকে দুধের চেয়ে মদ খেতে পছন্দ করলেও সরকার দুধের সাপ্লাইয়ের ব্যবস্থা করবে। এখন লোকে ভুল করছে বললে এখানেই তেড়ে ওঠার লোক অনেক আছে, লোকের ভাল তারা বোঝেনা তুমি বোঝ!! 
     
    অতএব লোকে শিক্ষা না চাইলে হবে না।
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৭ আগস্ট ২০২৩ ০৪:১৮522179
  • সেটাই। ৯০% লঙ্গরে যাবে, ১০% ট্যাঁশগরু হবে। চমৎকার ব্যবস্থা। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের চেয়েও চমৎকার। নিখুঁত অলাতচক্র। বহুস্তরীয় স্লেভ সাপ্লাইয়ের কল, সেই স্লেভরাই আবার অর্থও উৎপাদন করে দেয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন