এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • উন্নয়নের সাফল্য রুখতেই দুর্নীতির ন্যারেটিভ তৈরি করতে হলো

    kalyan sengupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৮ জুন ২০২৩ | ২৭৫৭ বার পঠিত | রেটিং ৩ (২ জন)
  • রাজনীতি সচেতন ও নিরপেক্ষ মানুষেরা সবাই মানেন যে, এরাজ্যে ২০২১এর ভোটে বিজেপি এমন গোহারা না হারলে এসব ইডি/সিবিআই এর এত তদন্ত করার প্রয়োজনই হতোনা। বিজেপি দিব্যি সুখে রাজ্যপাট চালাতো। বিনা প্রয়োজনে কে আর এসব ঝামেলায় জড়াতে চায়? আর মমতা ক্ষমতাচ্যুত হলে সিপিএমেরও গায়ের জ্বালা জুড়তো এবং দিব্যি শান্তিতে শীতঘুমে যেতে পারতো। বাংলায় রামরাজত্ব চালু হতো যোগী রাজ্যের মডেলেই। রাজ্যজুড়ে সর্বত্র শোনা যেত জয় শ্রীরাম ধ্বনি। আর বড়বাজারী ছেলে ছোকরাদের তাণ্ডবে ক্রমশ অভ্যস্ত হয়ে উঠতো বাঙালি ভদ্রসমাজ। বিজেপি শাসিত রাম রাজত্বে বাঙালিরা আর কি কি সুখ বা অসুখের সম্মুখীন হতে পারতো, এনিয়ে বিস্তৃত আলোচনার সুযোগ থাকলেও সেটি কল্পনার ভার তাঁদের বাস্তব চিন্তা বা বিদ্যাবুদ্ধির উপরেই ছেড়ে দিলাম।

    মমতা কর্তৃক উন্নয়নের সঙ্গে সিপিএমের দীর্ঘ শাসনকালে হওয়া উন্নয়নের কোন তুলনাই হয়না। খোদ সিপিএম নেতারাও এই বিষয়টিকে অস্বীকার না করে বদনামের লক্ষ্যে বলে থাকেন, হ্যাঁ উন্নয়ন যা হয়েছে তার চেয়ে চুরি হয়েছে বেশি। অর্থাৎ উন্নয়নকে অস্বীকার করার কোন উপায়ই নেই। মমতা প্রথম থেকেই জানতেন, তাঁর দলের ধাঁচ সিপিএমের মতো নয়। ফলে সিপিএম দলের মতো  নিখুঁত ক্যালকুলেটেড রিগিং বা কারসাজি, যা দীর্ঘ প্র্যাকটিসে প্রায় শিল্পের পর্যায়ে পৌঁছে গেছিল, তেমনটা যে তাঁর দলের দ্বারা সম্ভব নয়, তা খুব ভাল ভাবেই জানতেন মমতা। সেকারণেই ক্ষমতায় টিকে থাকতে তাঁর সামনে একটাই অপশন ছিল – ‘উন্নয়ন’। ফলে তাঁর মূলমন্ত্র হয়ে উঠলো - উন্নয়ন, বেশি উন্নয়ন এবং আরও বেশি উন্নয়ন। যার প্রধান লক্ষ্য হয়ে উঠলো রাজ্যের গরীব মানুষ, যার একটা বড় অংশ সংখ্যালঘু মানুষ এবং রাজ্যের মহিলারা, যাঁরা সংখ্যায় প্রায় অর্ধেক। তৃণমূল স্তর থেকে রাজনীতি করে উপরে উঠে আসা মমতার এহেন কৌশলের কাছে বিরোধীরা কুপোকাত হতে থাকলো পরের পর নির্বাচনে। তাদের এই পরাজয় বা অসহায়তার কারণেই বিরোধী শক্তি সমূহের অনৈতিক বোঝাপড়া বা সাঁটগাঁট বন্ধন।

    মমতা প্রথমেই জোর দিলেন নারী শিক্ষার উপর, চালু করলেন সবুজসাথী প্রকল্প। অভাবনীয় সাফল্য পেল এই প্রকল্প, গ্রাম বাংলার শিক্ষার চালচিত্রই বদলে গেল। ধীরে ধীরে চালু হতে লাগলো একের পর এক জনমুখী প্রকল্প। দীর্ঘবঞ্চিত মানুষ উন্নয়নের স্বাদ পেয়ে অভিভূত হয়ে পড়লো। তাদের মনে প্রশ্ন দেখা দিল; যে সিপিএম নেতারা বলতেন যে কেন্দ্রের সরকারকে তারা কান ধরে ওঠায় বসায়, তাদের প্রতি তো কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ টেকে না। তবে কেন এসব প্রকল্প তারা সেসময় চালু করতে পারেনি? এর সদুত্তর সিপিএম নেতারা দিতে না পারলেও, অনেক মানুষই বোঝে যে, সিপিএমের কৌশল ছিল মানুষের দারিদ্র্যকে হাতিয়ার করে তাদের আরাধ্য ও কাঙ্খিত জনগণতান্ত্রিক বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত রাখা। এদের নিজেদের বোধবুদ্ধির উপর এত বেশি আস্থা ছিল যে তারা মনে করতেন, তারা সঠিক, তারাই শ্রেষ্ঠ।

    রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতে চিরন্তন সত্য হচ্ছে, অ্যাবসলিউট পাওয়ার কোরাপ্টস অ্যাবসলিউটলি। সেই অমোঘ সূত্রেই দীর্ঘদিনের শাসনে ভেতরে ভেতরে ক্ষয়রোগ বাসা বেঁধেছিল দলের অন্দরে। মলম লাগিয়ে বা নানাবিধ চিকিৎসা করেও সে রোগের নিরাময় সম্ভব হয়নি, বরং উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে লাগলো তার প্রকোপ। ২০০৬-এর ভোটে বিপুল জয়লাভের ফলে সম্পূর্ণ মাথা ঘুরে গেল নেতৃত্বের। বুদ্ধবাবু কাব্য ও সাহিত্যের খানিকটা সমঝদার হলেও বাস্তব রাজনীতির ক্ষেত্রে নেহাতই অপরিণত ছিলেন, অভিজ্ঞ জ্যোতিবাবুর তুলনায়। আর বাকি নেতৃত্ব বুদ্ধবাবুর ইচ্ছাকে দলগত ভাবে মদত দিতে গিয়ে নিজেদের শিক্ষা, অভিজ্ঞতা ও বোধবুদ্ধিকে ব্যবহার না করে দলের সব পদক্ষেপ ও জনগণের প্রত্যুত্তরকে অসহায় ভাবে প্রত্যক্ষ করে গেছেন মাত্র। কারও মনে হয়নি, যে কৃষকরা গ্রামাঞ্চলে একদা দলের সংগঠন শক্তির ভিত্তি ছিল তারা কেন আজ দলের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে? এবং এর সুরাহা প্রয়োজন, নইলে দলের ভরাডুবি হতে পারে। কথায় আছে, ‘পতন আসন্ন হলে বোধবুদ্ধি লোপ পাওয়া স্বাভাবিক’ এবং সেটাই ঘটেছে।

    ২০১৯-এ মোদীর পুনর্বার জয় কোন স্বাভাবিক ঘটনা নয়। অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে কৌশল ও তার চিত্রনাট্য তৈরি করা হল অতি গোপনে। এবং তার বাস্তবায়নে আমরা দেখলাম, অতি যোগ্য ও অভিজ্ঞ সুরক্ষা কর্তা অজিত ডোভালের অজ্ঞাতসারে(!) এক বিশাল পরিমাণ বিস্ফোরক সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকলো এবং ঘটনার দিন বিনা বাধায় পৌঁছে গেল অকুস্থল পুলোয়ামায়। বিস্ফোরণ ঘটলো, ৪০-এর অধিক সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হলেন নির্মমভাবে। স্বাভাবিক ভাবেই দেশের মানুষের মনে ঝটকা লাগলো, প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হলো। এরপর চিত্রনাট্যের দ্বিতীয় পর্বে আমাদের যুদ্ধবিমান সীমান্ত পেরিয়ে বালাকোটে গিয়ে বোমাবর্ষণ করলো। বলা হলো, শত্রুর ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। কিন্তু খ্যাতিমান আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা বিবিসি এই দাবির সত্যতা অস্বীকার করে এবং নেহাতই এক মামুলি ক্ষয়-ক্ষতির বিবরণ পেশ করে। বিমান আক্রমণ করে ফেরৎ আসার কালে এক বৈমানিক ধরা পড়ে, কিন্তু পাকিস্তান কোন কারণে অধিক জলঘোলা না করে সেই বৈমানিককে দ্রুত মুক্তি দেয়। গোটা ঘটনায় মোদীর জয়-জয়কার শুরু করে দেয় দল ও দল প্রভাবান্বিত অধিকাংশ মিডিয়া। ফলে হঠাৎ-ই গোটা দেশের রাজনৈতিক চালচিত্র বদলে গেল এবং ২০১৯-এর ভোটে বিপুল জয় পেল মোদী তথা বিজেপি।

    ৪০-এর অধিক সিআরপিএফ এর মৃত্যু জনজীবনে প্রচণ্ড আবেগ তৈরি করেছিল। কিন্তু কিছুদিন আগেই তৎকালীন জম্বু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল সৎপাল মালিক এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ঐ পথে বিপুল সংখ্যক কে. বাহিনীকে স্থলপথে পাঠানো খুবই ঝুঁকির বলেই বিমান ব্যবহারের আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করা হয়। এই বিষয়ে তিনি মোদীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে, তাঁকে এই বিষয়ে কথা বলতে বারণ করা হয়। এসব কারণেই এই রহস্যের উন্মোচন মোদী শাসনে যে সম্ভব নয়, তা স্পষ্ট। কিন্তু যেভাবেই হোক মোদীর পুনর্বার জয় এরাজ্যের রাজনীতিকে চূড়ান্ত রূপে প্রভাবান্বিত করলো। রাজ্যে এই প্রথম বিজেপি ১৮টি লোকসভার আসন জিতলো। ফলত, শুধু বিজেপি নয় চাঙ্গা হয়ে উঠলো সিপিএম-ও। তাদের সামনে সুযোগ এসে গেল গোপনে বিজেপিকে মদত দিয়ে মমতাকে ক্ষমতা থেকে সরাবার। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়া হোল এবং মমতার থেকে মুসলমান ভোট ভাঙাতে তৈরি করা হলো আইএসএফ, চরম সাম্প্রদায়িক আব্বাস সিদ্দিকীর মদতে। এসবের ফলে ২০২১-এর ভোটে বঙ্গদখল নিয়ে বিজেপির মরিয়া মনোভাব দেখা গেল। কৈলাস বিজয়বর্গী সহ বহু উচ্চস্তরীয় নেতা এসে ভোট জেতার খেলায় নেমে পড়লেন। রাস্তাঘাটে সর্বত্র সেসব অবাঙালি নেতাদের ছবিতে চারিদিক ছয়লাপ হয়ে গেল। শুরু হয়ে গেল দল ভাঙ্গানোর খেলা। দিল্লির ক্ষমতা বনাম নবান্নের ক্ষমতার এক অভূতপূর্ব যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। মোদী - শাহ - নাড্ডা প্রায় পালা করে নিত্য-যাতায়াত শুরু করে দিলেন। প্রচার তুঙ্গে উঠলো। কিন্তু জলের মতো অর্থ খরচ, মাসল পাওয়ারের দাপাদাপি এবং মিডিয়ার একতরফা প্রচার সত্ত্বেও বিজেপির জয় করায়ত্ব হলোনা।

    লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, '১৯ থেকে '২১ কিন্তু ইডি / সিবিআই এর কোন বিশেষ তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। কারণ হয়তো আশা ছিল, বঙ্গদখল সম্ভব হবে। কিন্তু তা সম্ভব না হবার ফলেই দুর্নীতি বিরোধী তৎপরতা শুরু হলো ইডি/সিবিআই-এর। বর্তমানে এই তৎপরতার লক্ষ্য ২০২৪-এর লোকসভা ভোট এবং বাংলা থেকে ২৫টা আসন লাভ, যেমনটা বলেছেন অমিত শাহ। সেকারণেই এবার শুরু হোল তেড়ে-ফুঁড়ে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান। ভাব এমন যেন দুর্নীতি শুধু এরাজ্যেই হচ্ছে। সিপিএমের মদতে প্রথমেই শুরু হলো শিক্ষক-নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির তদন্ত। অথচ মধ্যপ্রদেশের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপক কেলেঙ্কারি কাহিনীর খোঁজ খবর করতে গিয়ে ৪০ জনের উপর মানুষের যে বেঘোরে মৃত্যু হয়েছে, সেই রহস্যেরও কোন সমাধান কিন্তু হয়নি। মিডিয়ার সেদিকে কোন আগ্রহ নেই। রাজনৈতিক চাপ ও আর্থিক লাভের কারণে প্রায় সব মিডিয়া হাউস-ই এখন অত্যন্ত নিন্দনীয় ও একপেশে ভূমিকা নিয়েছে। গণতন্ত্রে চতুর্থ স্তম্ভের ভূমিকা যে এমন কলঙ্কজনক হতে পরে, অতীতে তার কোন নজির নেই। এরই সঙ্গে বিচার-ব্যবস্থাকে যে কিভাবে দলীয় রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা যায়, তার এক জ্বলন্ত উদাহরণ হচ্ছে কতিপয় বিচারপতির নির্লজ্জ্ব একপেশে আচরণ, যা প্রায় রাজনৈতিক নেতাদের পর্যায়ে তাঁদেরকে নামিয়ে এনেছে। কয়েকজন তো এমনভাবে নিজেদেরকে চিহ্নিত করেছেন যে নূন্যতম নিরপেক্ষতাও তাঁদের থেকে আশা করা যায়না। পুলিশ, আমলাদের অধিকাংশকেই মানুষ দলদাস বলে থাকে। এখন দেখা যাচ্ছে বিচারপতিরাও অনেকেই দলদাসে পরিণত হয়েছেন।

    ইডি, সিবিআই যে কর্তাদের অঙ্গুলি হেলনে চলবে, এটা আশ্চর্যের নয়। কিন্তু তাদের কার্যকলাপের ধারা এখন বিশেষ নিয়ম কানুনের ধার ধারেনা, যথেচ্ছ গা জোয়ারি চলছে। এসব সংস্থার ভূমিকা এখন মূলতঃ দুর্নীতি দমন নয়, বিরোধী শক্তিকে দমন করা। আর এরাজ্যের শাসক মমতার সাথে ভোটে কোনভাবেই পেরে না উঠে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি একযোগে শুরু করেছে চুরি বৃত্তান্তের কোরাস। চাকরি-চুরি, বালি-চুরি, কয়লা-চুরি, গরু-চুরি(পাচার) ইত্যাদি নানাবিধ চুরির অভিযোগ, সবই কি মমতা জমানাতেই শুরু হয়েছে? অতীতে এসব চুরির গল্প কি আমরা শুনিনি? তখন কোথায় যেত সেসব অর্থ? কবি লিখেছিলেন, ‘তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ, আমি আজ চোর বটে...’। 

    বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস, মিডিয়া, বিচার ব্যবস্থার একাংশ আজ মরিয়া হয়ে একযোগে মমতাকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামাতে চায় এবং সেকারণেই মমতার বিরুদ্ধে জনমানসে এক দুর্নীতির ন্যারেটিভ তৈরি করতে চাইছে যাতে বহু মানুষকে বিভ্রান্ত করা যায়। আজকাল যে কোন অবস্থাপন্ন ও মধ্যবিত্ত সামাজিক অনুষ্ঠানের জমায়েতে এটা এখন বেশ মুখরোচক বিষয় এবং তা নিয়ে অনেকেই সোচ্চার ও বহুমানুষ উৎসাহের সঙ্গে তাতে যোগও দেন। কিন্তু কেউ কি খেয়াল করেন যে, এসব জায়গায় বহুমানুষ শুধুই চুপ করে শোনেন, বিশেষ কিছুই বলেন না। তারা কি সবাই সহমত? হয়তো বা তাদের সংখ্যাটাই বেশি। নইলে মমতা এত ভোট পায় কি করে? অতীতেও বোফর্স নিয়ে দীর্ঘদিন রাজীব গান্ধিকে চোর বলে প্রচার করা হয়েছে, কিন্তু আজ সবাই জানে যে, ওটা ছিল এক মিথ্যা রাজনৈতিক প্রচার। ফলে সবাই মিলে যতই চোর চোর বলে হাওয়া তোলার চেষ্টা করুক না কেন সাধারণ মানুষ, বিশেষত গরীব ও মহিলারাই হয়তো ভোটের ভাগ্য গড়ে দেবেন সবশেষে।
     
    কল্যাণ সেনগুপ্ত

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • lcm | ৩০ জুন ২০২৩ ১৯:৩৭520871
  • আরে বাবা, এই ক্যালোরব্যালোর নতুন কিছু না, এরকম হয়।

    আগে বলত, যে সিপিএম আর কংগ্রেসের বোঝাপড়া আছে, যাকে এখন সেটিং বলা হয়, সুব্রত মুখার্জিকে বলা হত তরমুজ... ইত্যাদি।

    শহরের লোকেরা তেড়ে গাল পাড়ত ... রাজ্যের অবনতি হচ্ছে, ইন্ডাস্ট্রি সব ছেড়ে চলে যাচ্ছে... ... ব্লা ব্লা... এসব বলে বলে হেদিয়ে মরত লোকে... আনন্দবাজার তাই নিয়ে হুলিয়ে লিখে কাগজ বেচত... .... মমতাকে অগ্নিকন্যা বলত... কিন্তু ভোটে হাসতে হাসতে জিতত সিপিএম... তারা এসবে একদম পাত্তা দিত না...
  • Amit | 203.221.140.6 | ৩০ জুন ২০২৩ ১৯:৪৬520874
  • কি আশ্চয্য। হুতো বাবুর তোলা এই কবির লাইন গুলোই আমি  আবার চটি ভক্ত দের সম্পর্কে ভাবছিলাম। গ্রেট মাইন্ডস ​​​​​​​থিঙ্ক এলাইক। 
     
    তবে ​​​​​​​পরের লাইনেই সহি ​​​​​​​হিন্দুত্ব ​​​​​​​নিয়ে সন্দেহ ​​​​​​​করে ​​​​​​​প্রাণে ​​​​​​​বড়ো ​​​​​​​দাগা ​​​​​​​দিলেন। ​​​​​​​এখানে ​​​​​​​মার্কা মারা চটিভক্তদের ​​​​​​​মতো ​​​​​​​আমার মোদিভক্তিও কিন্তু ​​​​​​​একদম ১০০% সহি। 
     
    এলিট সিপিএম কারা কে জানে। তাদের আসন তো শুন্য।তবে কিনা সেই ঠাকুর বলে গেসলেন -" ওরে পোদো -দেখবি একদিন বামেদের দুঃখে শেয়াল কুকুর ও কাঁদবে." অন্তর্যামী র কথা যে সত্যি দেখা যাচ্ছে। 
  • r2h | 2601:c6:d200:2600:f037:e18e:a97a:52cb | ৩০ জুন ২০২৩ ১৯:৫১520875
  • বেশ বেশ, চটিচাটা শেয়াল কুকুর - এর থেকে বেশি প্রত্যাশা আর কী :)
  • lcm | ৩০ জুন ২০২৩ ১৯:৫৯520877
  • হুরিবাবা,

    অ্যাকচুয়ালি, মমতা তথা তৃণমূল পার্টিকে একদম তুলোধোনা সমালোচনা করে লেখা গুরুতে অনেক বেরিয়েছে। তার মধ্যে কিছু তো সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাল শেয়ারও হয়েছে। বিষাণ বসু এবং আরও কয়েকজনের লেখা মনে পড়ছে।

    রাজনৈতিক সমালোচনামূলক লেখা বেশি, সেটা অবশ্য স্বাভাবিকও, মানে ধরুন - কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূল, বিজেপি প্রভৃতি মেইনস্ট্রিম পার্টিগুলোর সমালোচনা করে লেখা। নকশাল বা অন্যান্য পার্টির সমালোচনা করেও বেরিয়েছে।

    এবার এটা তো ওপেন ফোরাম। বুলবুলভাজা ছাড়া অন্য সেক্শনগুলোতে (হরিদাস পাল, খেরোর খাতা, টইপত্তর) ডাইরেক্ট লেখা দেওয়া যায়। সুতরাং, এই সাইটে অমুক লেখা বেরোয় কথাটার বিশেষ মানে নেই। এখানে পুরীর প্রসাদের মাহাত্ম্য থেকে শুরু করে সাদাত হোসেন মান্টো নিয়ে লেখা বেরোয়, যে যা লেখে তাই বেরোয়।

    তো এই হল ব্যাপার।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:59b:b227:f94:207 | ৩০ জুন ২০২৩ ২০:৫৫520878
  • এলসিএম, আমি চাই তৃণমূলের দূর্নীতি, বিশেষতঃ শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দূর্নীতি নিয়ে গুরুতে লোকজন লিখুন। বাঙালীর গর্ব করার মত কিছু আর অবশিষ্ট নেই - শিল্প, সাহিত্য, সঙ্গীত, সিনেমা সব ই ভোগে গেছে । ব্যবসা- বাণিজ্য তো ​​​​​​​বহুদিন ​​​​​​​ধরেই ​​​​​​​নেই। 
    শিক্ষায় একটা সুনাম ছিল। বাঙালী বাবা মা কষ্ট করে হলেও ছেলেমেয়েকে পড়াত। সেই শিক্ষার গুণে, অন্ততঃ রাজ্যের বাইরে কর্মসংস্স্থান হত । এখন সেই শিক্ষা ব্যবস্থার মেরুদন্ড ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। কিছুদিন আগে একটা ভিডিও ক্লিপ দেখছিলাম, গ্রামের স্কুলে অঙ্কের শিক্ষক একটা সাধারণ যোগ ও করতে পারছেন না। 
    প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক, কলেজ সব সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টাকার বিনিময়ে চাকরী বিক্রি হয়েছে বর্তমান সরকারের আমলে। 
    এ প্রসঙ্গে গুরুতে রেডিও সাইলেন্স । অবশ্যই আমিও প্রবন্ধ লিখছি না, আমার আড্ডা মারতেই ভাল লাগে smiley। তবে প্রবন্ধ লিখতে ভাল বাসেন, এমন মানুষ কি আর কম পড়িয়াছে 
    বিজেপি নিজের স্বার্থে সিবিআই, ইডি দিয়ে তদন্ত করাচ্ছে। এবং কোন কনভিকশন হবে না, এ ও বোধহয় বলেই  দেওয়া যায়। কোর্টে অপরাধ প্রমাণ হবে, বিচারক শাস্তি দেবেন - এ গুলো সিবিআই, ইডি -র প্রায়োরিটি নয়, তাদের ট্র‌্যাক রেকর্ড তাই বলে। 
    কিন্তু পারিপার্শ্বিক প্রমাণ যা পাওয়া যাচ্ছে, তাতে খুল্লামখুল্লা দুর্নীতি যে হয়েছে, তা নিয়ে কি কোন সন্দেহ আছে? 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:59b:b227:f94:207 | ৩০ জুন ২০২৩ ২১:০৭520879
  • মূল লেখাটা শঙ্খ ঘোষ-কে পড়ানো গেলে ভাল হত। উন্নয়ন যে আর খড়গ হাতে পথের ধারে দাঁড়িয়ে নেই, বাংলার মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে, তা জেনে মৃত্যুর আগে শান্তি পেতেন :-)
    সবুজসাথী, কন্যাশ্রী, লক্ষীশ্রী এই প্রকল্প গুলো সম্বন্ধে আরও বিস্তারিত জানা যায় ? মানুষের হাতে সরাসরি টাকা দেওয়া ভাল, কিন্তু টাকাটা আসছে কোথা থেকে? বাংলায় কি বহু ইন্ডাস্ট্রি হচ্ছে, তাদের থেকে রাজ্য সরকার ট্যাক্স পাচ্ছে, সেই টাকায় চলছে এসব জনমুখী প্রকল্প? ইকনমিক মডেল টা কি এবং তা কতটা সাস্টেনেবল? 
    আর একটা প্রশ্ন হল কর্মসংস্থান নিয়ে। মানুষের হাতে টাকা তুলে দিলেও তো তার কাজের প্রয়োজন টা থাকবে। 
    প্রচন্ড উন্নয়ন যে হচ্ছে, তার প্রমাণ কোথায় - বাংলার মানুষকে এখনও কাজের খোঁজে রাজ্যের বাইরে যেতে হয় কেন?  
  • lcm | ৩০ জুন ২০২৩ ২১:২৮520880
  • অরণ্য,

    শুধু শিক্ষাক্ষেত্র নয়। ওভারঅল, তৃণমূল আমলে সাংঘাতিক দুর্নীতির খবর পাওয়া যাচ্ছে, মানে যাতে তৃণমূল পার্টির লোকজন সরাসরিভাবে যুক্ত, পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক আবহে এই লেভেলের দুর্নীতি আগে দেখা যায় নি।

    পশ্চিমবঙ্গের টিভি/মিডিয়ায় (যেগুলো দেখতে পাই, বা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিংক পাই) ছয়লাপ এই নিয়ে, খুব স্বাভাবিক কারণেই। এখানে সন্দেহ-অসন্দেহর কোনো জায়গাই নেই। এবং, গুরুতেও তার প্রতিফলন তো আছেই। এই যে এই লেখায় আমরা কমেন্ট করছি, বা, গুরুতে অন্য জায়গায় এসব নিয়ে লোকজন লিখছেন, এই সব শব্দবন্ধ - চালচোর, গরুচোর, চটিচাটা - এ সবই এই কারণেই।

    কিন্তু, আমার প্রশ্ন অন্য - গুরুতে বেরোয় না - এই কথাটার কোনো মানে নেই। লিখলেই বেরোবে। বেরোচ্ছেও। সেটা ব্লগ আকারে হতে পারে, খেরো বা টই।

    আর -- সার্বিক শিক্ষা, শিল্প, সংস্কৃতি, বাণিজ্য -- অবনতি - বেসিক্যালি বাঙালির সব ভোগে গেছে, জাতটাই ভোগে গেছে, ভিখিরির জাত -- ব্লা ব্লা - এতো সারাজীবন ধরেই শুনে আসছি।

    আর - এ সবকিছুর জন্য দায়ী রাজনৈতিক দলগুলো। কিন্তু আমি নিজে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেব না, এমনকি অন্যদের উপদেশ দেব না করতে।

    অমিতাভ চৌধুরী লিখেছিলেন, বাঙালির এই সহজাত হীনমন্যতার কারণ হল, জন্ম থেকেই ধরে নেওয়া যে শিক্ষা সংস্কৃতি ইত্যাদি ব্যাপারে আমরা অন্যদের থেকে এগিয়ে।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:59b:b227:f94:207 | ৩০ জুন ২০২৩ ২১:৩৪520881
  • লিখলেই বেরোবে তো বটেই। এ ব্যাপারে গুরু কর্তৃপক্ষেরও কোন দায় নেই। যে কেউ চাইলেই টই খুলে লিখতে পারে। 
     
    কিন্তু তৃণমূলের দূর্নীতি নিয়ে কি গুরুতে আলাদা করে কোন টই এখনও পর্যন্ত খোলা হয়েছে? আমার ধারণা হয় নি। 
     
    যদি আমার চোখ এড়িয়ে গিয়ে থাকে, কেউ তেমন টই-এর লিঙ্ক দিলে খুশী হব 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:59b:b227:f94:207 | ৩০ জুন ২০২৩ ২১:৩৮520882
  • 'শুধু শিক্ষাক্ষেত্র নয়। ওভারঅল, তৃণমূল আমলে সাংঘাতিক দুর্নীতির খবর পাওয়া যাচ্ছে, মানে যাতে তৃণমূল পার্টির লোকজন সরাসরিভাবে যুক্ত, পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক আবহে এই লেভেলের দুর্নীতি আগে দেখা যায় নি' 
     
    - ঠিক কথা। মূল ধারার মিডিয়ায় আসছে। সোশাল মিডিয়ায় আসছে। 
     
    কিন্তু গুরুতে আসছে না। যদি না আমি মিস করে থাকি। 
     
    কমেন্টের কথা বলছি না। ব্লগ, খেরো, টই - এসবের কথা বলছি। 
  • lcm | ৩০ জুন ২০২৩ ২১:৩৯520883
  • এই তো, খুলে ফেল টই, শুরু করে দাও আলোচনা।

    দীপবাবুকে দেখো, ওনার একটাই টপিক - বাংলাদেশ থেকে হিন্দু বিতারণ - এ নিয়ে উনি পোস্ট করে যান। কোনো অসুবিধে নেই।
  • lcm | ৩০ জুন ২০২৩ ২১:৪৮520884
  • একটা কারণ আছে সেটা অন্য। এখন লেখালেখি, আলোচনা, মন্তব্য - এসবের নেটে অনেক স্পেস হয়েছে। ফেসবুক নিঃসন্দেহে একটা বিশাল জায়গা নিয়েছে, যে জায়গাটা আগে গুরুর মতন বিভিন্ন সাইটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:59b:b227:f94:207 | ৩০ জুন ২০২৩ ২১:৪৮520885
  • আমি খুলব না। আমার জেবনের ​​​​​​​মটো ​​​​​​​হল ​​​​​​​পারতপক্ষে ​​​​​​​টই ​​​​​​​না ​​​​​​​খোলা , শুধু ​​​​​​​আড্ডা ​​​​​​​মারা :-)
    তবে ​​​​​​​গত ​​​​​​​১৫ ​​​​​​​-১৬ ​​​​​​​বছরে ​​​​​​​আমি ​​​​​​​না খুললেও,  ​​​​​​​আমার ​​​​​​​চেয়ে সুলেখক, ​​​​​​​এবং ​​​​​​​সুচিন্তক ​​​​​​অনেকেই ​​​​​​​বিবিধ ​​​​​​​জরুরী ​​​​​​​বিষয়ে ​​​​​​​প্রবন্ধ ​​​​​​​লিখেছেন, ​​​​​​​আলোচনা ​​​​​​​করেছেন। 
    তৃণমূলের ​​​​​​​দূর্নীতি নিয়েও ​​​​​​​কেউ ​​​​​​​বা ​​​​​​​কাহারা ​​​​​​​প্রবন্ধ ​​​​​​​লিখবেন, ​​​​​​​সেই ​​​​​​​আশায় ​​​​​​​থাকব :-)
  • aranya | 2601:84:4600:5410:59b:b227:f94:207 | ৩০ জুন ২০২৩ ২১:৫০520886
  • 'এখন লেখালেখি, আলোচনা, মন্তব্য - এসবের নেটে অনেক স্পেস হয়েছে। ফেসবুক নিঃসন্দেহে একটা বিশাল জায়গা নিয়েছে, যে জায়গাটা আগে গুরুর মতন বিভিন্ন সাইটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল'
    - একমত। 
  • r2h | 165.1.172.196 | ৩০ জুন ২০২৩ ২২:৫৮520887
  • অরণ্যদা, সহি বামরা গুরুকে ত্যাগ করেছেন বোধয়, তাই এখানে ঐ লাইনে লেখা দেখা যায় নাঃ)
    পড়ে আছেন হুরিবাবা বা অমিতবাবুর মত লোকজন, যাঁদের যুক্তিজাল চটিচাটা, শেয়াল কুকুর, বাদামভাজা, যে আসে পন্থীরা কী বলে - এর বেশি আর এগোয় না। তা, তাঁদের তো আর প্রবন্ধ লিখতে বলা যায় নাঃ)

    তবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রেডিও সাইলেন্সের ব্যাপারটা ঠিক বললে বলে মনে হয় না। বিষাণদা, প্রতিভাদি, রৌহিন এঁরা তো বুবুভা, ব্লগ লিখেছেন অনতি অতীতেও। খুঁজে বের করে লিংক দেবো, দাঁড়াও।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:59b:b227:f94:207 | ৩০ জুন ২০২৩ ২৩:১৮520888
  • তৃণমূলের বিরুদ্ধে রেডিও সাইলেন্সের কথা বলিনি , তৃণমূলের দূর্নীতি নিয়ে রেডিও সাইলেন্সের কথা বলেছি 
  • r2h | 165.1.172.196 | ৩০ জুন ২০২৩ ২৩:২৪520889
  • ঐ হলো, তৃণমূল আর দুর্নীতি, ওরা কী আর আলাদা কিছুঃ)
  • aranya | 2601:84:4600:5410:59b:b227:f94:207 | ৩০ জুন ২০২৩ ২৩:৩৭520890
  • দূর্নীতির তদন্তের ব্যাপারে সৈকতের একটা লেখা পড়েছিলাম কিছুদিন আগে। তাতে বিজেপি-র নিজ স্বার্থে  সিবিআই, ইডি-কে ব্যবহার করা, বিরোধীদের চাপে রাখার জন্য - এই প্রবণতার সমালোচনা করা হয়েছে। করাই উচিত। 
     
    কিন্তু তৃণমূল-এর দূর্নীতির স্কেল, এ জিনিস যে বাংলার মানুষ আগে দেখে নি, শিক্ষা ক্ষেত্রে এটা কতটা বিপজ্জনক - এসব নিয়ে কোন আলোচনা ছিল না , যদ্দুর মনে পড়ছে। 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:59b:b227:f94:207 | ৩০ জুন ২০২৩ ২৩:৪৪520891
  • পার্থ বাবু, কুন্তল আরও কারা সব যেন জেলে, তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ এখনও আদালতে প্রমাণিত নয়। হয়ত কোন দিন প্রমাণ হবেও না। 
     
    সৈকতের লেখায় ​​​​​​​পার্থ  'হয়ত' অপরাধী, ​​​​​​​এমন ​​​​​​​কিছু একটা ​​​​​​​ছিল :-)
     
    সে অবশ্য মোদীর বিরুদ্ধেও গুজরাত দাঙ্গায় জড়িত থাকার কোন অভিযোগ প্রমাণ করা যায় নি। সুপ্রিম কোর্ট ক্লিন চিট দিয়েছে, ভক্ত বন্ধুদের মুখে প্রায়ই শুনতে পাই 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:59b:b227:f94:207 | ৩০ জুন ২০২৩ ২৩:৪৭520892
  • তো, সৈকতের ঐ লেখা ছাড়া, তৃণমূলের দূর্নীতি নিয়ে আর কোন প্রবন্ধ আমার চোখে পড়ে নি। যদিও গুরুর বাইরে প্রচুর লেখালেখি। 
    গুরুতে রেডিও সাইলেন্স
  • aranya | 2601:84:4600:5410:59b:b227:f94:207 | ০১ জুলাই ২০২৩ ০০:৩২520894
  • এলসিএম, হ্যাঁ, চোখে ব্যাপক ন্যাবা :-) 
     
    একটু রিসেন্ট লেখাপত্তর পেলে ভাল হত। ধর, এই বছরের। খুঁজে পেলে লিংক দিও। পড়ব 
  • r2h | 165.1.172.196 | ০১ জুলাই ২০২৩ ০২:১২520897
  • শিক্ষানীতির সমালোচনা চলবে কী? https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=26952
    অথবা একটু অপ্রত্যক্ষ, যেমন https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=27488
    "বিপুল দুর্নীতির পাঁকে নিমজ্জমান শিক্ষা-দপ্তর তথা রাজ্য সরকারের এখন আর নাবালিকা-বিবাহ নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। ...বহু নাবালিকার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, অথচ আঠারো পেরুলে তাদের ব্যাঙ্ক-অ্যাকাউন্টে নগদ পঁচিশ হাজার টাকা ঢুকেও যাচ্ছে সময়মত। স্থানীয় রাজনৈতিক মাতব্বরদের চাপে প্রধান শিক্ষক তাকে নাবালিকা হিসেবে ‘সার্টিফাই’ করতে বাধ্য হচ্ছেন আর মেয়েটির প্রাপ্য নগদ পঁচিশ হাজার টাকা ভাগাভাগি হয়ে যাচ্ছে মেয়েটির শ্বশুরবাড়ি আর উক্ত নেতাদের মধ্যে।"

    সরকারের সমালোচনা, সম্পাদিত বিভাগ, সাম্প্রতিক - আর স্পেকস বাড়ালে হবে না কিন্তুঃ)
  • হুরিবাবা | 177.54.157.16 | ০১ জুলাই ২০২৩ ০২:১৪520898
  • শাক্যজিৎ তো মুলোদের পাবলিকেশন বলে আর লেখেনা। বাকি লিস্টি যা পাওয়া গেল, তাতে দেখা যাচ্ছে গুরু এখনো জাগো বাংলা হয়ে যায়নি। সেটা আদৌ শিক্ষিত চটিচাটাদের চক্ষুলজ্জার জন্যি নয়। consent manufacture করতে ওই বিশ্বাসযোগ্যতাটুকু কাজে লাগে। ওই জন্যিই সৈকতবাবুর পোবন্দে আগে খানিকটা বিজেপিবিরোধিতা ছিটিয়ে তারপর ইনিয়েবিনিয়ে মুলোদের দুর্নীতি ঢাকা হয়। আমাদেরও একেবারে বাল ভাববেন না, চমস্কিটমস্কি আমরাও পড়িচি।
     
    যাই হোক, এর পাশে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আমলের লেখাগুলি রাখলেই বুঝে যাবেন লোকে কেন আপনাদের চটিচাটা বলছে। উদিকে সিপিএমের বিরুদ্ধে ফেক নিউজ পজ্জন্ত ছড়িয়েছিলেন মনে রাখবেন। এখনো কেউ বাংলার breitbart বলছে না এই ভাগ্যি।
  • lcm | ০১ জুলাই ২০২৩ ০৩:১৭520899
  • কিন্তু এটাতো শুধুমাত্র রাজনৈতিক লেখালেখির সাইট নয়। এত যে বিভাগ - কাব্য, গান, রান্নাবান্না, ছবি, সিনেমা, গপ্পো, নাটক, রিভিউ, ধারাবাহিক, ভ্রমণকাহিনী, স্মৃতিচারণ, সমাজ, বিজ্ঞান, পরিবেশ, কৃষি .... - এত কিছু সব করা হল, সব জলে গেল। দিনের শেষে পড়ে রইল সিপিএম আর তৃণমূল !

    যাগ্গে! সবই প্রভুর অবদান। প্রভু হে।
  • হুরিবাবা | 189.1.173.19 | ০১ জুলাই ২০২৩ ০৩:২৯520900
  • কাব্য? বিদগ্ধ কবি জয় গোঁসাইয়ের দগ্ধ কাব্য? রক্ষে করুন মশাই!
     
    সুদু সাইত্য চর্চা করলে তো অসুবিদে ছেল না, কিন্তু আপনারা কিনা রাজনীতিসচেতন। ছত্রে ছত্রে মুলোপ্ৰীতি আপনাদের একাউন্টেবিলিটিতে বড়সড় ছ্যাঁদা তৈরী করে দিয়েচে।
     
    যাউক গা! চটিপিসির জয় হউক।
  • Amit | 203.221.140.6 | ০১ জুলাই ২০২৩ ০৩:৩৩520901
  • হুতোবাবু কেন বারবার আমাকে হতাশ বামেদের মধ্যে ফ্যালেন কিসুই বুঝি না। এখানে পড়ে থাকা নিয়েও ওনার কষ্টটা বুঝি। আন্তরিক সমবেদনা। কিন্তু  আমি সহি মোদী ভক্ত। মমতার রাজত্ব চুলোয় গিয়ে রামরাজত্ব এলেই আমি খুশি। যারা চটি পিসিকে ভক্তি করেন তাদের অচলা ভক্তি নিয়ে কখনো কোথাও কোশ্নো তুলেছি ? :) 
     
    তবে সত্যি বলছি আজকের পব র হাল দেখে নিজেই নিজের পিঠ চাপড়াই- একদুবার হাত ও মচকে গেলো। ২০০৯ এ কিছুদিন থাকার পর কলকাতায় পিসিভক্তদের দাপাদাপি দেখার পরে শহর ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। তখন অবশ্যি জানতাম না সেটা চিরস্থায়ী কিনা। এইটা একটু আন্দাজ ছিল তেনার আমলে কি কি বিগড়াতে পারে- আফটার অল ওনার বিরোধী অতীত টা ভালোই ডেস্ট্রাক্টিভ কিনা। তবে এতটা ? ওসব আশা  ছাড়িয়ে আজকে পিসি পব কে অনেক উঁচু আসনে নিয়ে গেছেন। ওনার ধন্যবাদ অবশ্যি প্রাপ্য। আজকে বিহার ইউপির লোকজন আর পব র নেতাদের গরিব বা ভীতু বলতে সাহস পায়না। চাদ্দিকে পিসির  ভাইদের পঞ্চ ম কার এ রমরম কোচ্চে এক্কেরে। 
     
    আর কিছু বলতে গেলেই বিজেপি এসে যাবে :)
  • lcm | ০১ জুলাই ২০২৩ ০৩:৪২520902
  • অ, বুয়েচি।
    সাহিত্য ঠিক আছে, কিন্তু জয় গোস্বামী চলবে না।
    গান ঠিক আছে, কিন্তু কবীর সুমন চলবে না।
    পেইন্টিং ঠিক আছে, কিন্তু যোগেন চৌধুরী চলবে না।

    প্রভুর শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া উপায় নেই। প্রভু এই রাজনৈতিক রং এর গোলাগুলি থেকে উদ্ধার করো প্রভু। প্রভু হে।
  • :|: | 174.251.162.136 | ০১ জুলাই ২০২৩ ০৩:৫৬520903
  • দেখুন আমাদের রেসিডেন পীড় থাকতে বারবার প্রভুকে ডাকাটা তেমন সুবিধের লাগছেনা। 
  • Amit | 163.116.203.80 | ০১ জুলাই ২০২৩ ০৩:৫৯520904
  • আচ্ছা- তিনুদের এগেনস্ট এ লিখলে আপত্তি কোথায় ? বা যে যার মতো রাজনৈতিক ওপিনিয়ন লিখলেই বা সমস্যা কোথায় ? কেউ তো মারামারি করছে না - মানে করার মতো দূরত্বেও নেই। একজন রেগুলার বিজেপির বিপদ নিয়ে হ্যাজ নামালে আর  ঘুরিয়ে নাক দেখিয়ে একটু অচলা পিসিভক্তি দেখালে তাতে অন্যরা তাকে পিসিভক্ত বললে আপত্তি কেন ? আজকাল তো ​​​​​​​দু জন ​​​​​​​জামাতি ​​​​​​​ও রেগুলার ​​​​​​​ঢুঁ ​​​​​​​মেরে ​​​​​​​যান ​​​​​​​নানা ​​​​​​​পাতায় ​​​​​​​বা ​​​​​​​খেরো ​​​​​​​তে। খোলা ​​​​​​​পাতায় ​​​​​​​হতেই ​​​​​​​পারে। ​​​​​​​
     
    ভালো লেখা তো অনেক আসে পাশাপাশি। হিরেন বাবু , প্রতিভা দি , রঞ্জনদা সুকি ইত্যাদি অনেকেই তো অনেক কিছু নিয়ে লেখেন। সেগুলো নিয়ে তো কেউ কোথাও আপত্তি করেনি। বরং আরো বেশি ওই ধরণের লেখা আসুক সবাই চায়। ওগুলো পড়ার জন্যেই বেশির ভাগ লোকজন গুরুতে আসেন। 
     
    কিন্তু যেসব মূল লেখাগুলোই রাজনৈতিক  এবং বিশেষ বিশেষ দলের গন্ধমাখা - সেখানে মন্তব্য গুলো কি অন্য কিছু হবে ? 
  • &/ | 151.141.85.8 | ০১ জুলাই ২০২৩ ০৪:৫৪520905
  • দেখুন সাহিত্য টাহিত্য যে নেহাৎই ড্যাশ ড্যাশ ড্যাশ সেটা প্রায় প্রতিষ্ঠিত। ওটা হল নলচে। রাজনীতি হল আসল ব্যাপার। এক একটা রাজনীতির থ্রেডে কী পরিমাণ যোগদান সে গুণে দেখুন শুধু। অতীতে তো বটেই, এখনও।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন