এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • উন্নয়নের সাফল্য রুখতেই দুর্নীতির ন্যারেটিভ তৈরি করতে হলো

    kalyan sengupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৮ জুন ২০২৩ | ২৭৪৪ বার পঠিত | রেটিং ৩ (২ জন)
  • রাজনীতি সচেতন ও নিরপেক্ষ মানুষেরা সবাই মানেন যে, এরাজ্যে ২০২১এর ভোটে বিজেপি এমন গোহারা না হারলে এসব ইডি/সিবিআই এর এত তদন্ত করার প্রয়োজনই হতোনা। বিজেপি দিব্যি সুখে রাজ্যপাট চালাতো। বিনা প্রয়োজনে কে আর এসব ঝামেলায় জড়াতে চায়? আর মমতা ক্ষমতাচ্যুত হলে সিপিএমেরও গায়ের জ্বালা জুড়তো এবং দিব্যি শান্তিতে শীতঘুমে যেতে পারতো। বাংলায় রামরাজত্ব চালু হতো যোগী রাজ্যের মডেলেই। রাজ্যজুড়ে সর্বত্র শোনা যেত জয় শ্রীরাম ধ্বনি। আর বড়বাজারী ছেলে ছোকরাদের তাণ্ডবে ক্রমশ অভ্যস্ত হয়ে উঠতো বাঙালি ভদ্রসমাজ। বিজেপি শাসিত রাম রাজত্বে বাঙালিরা আর কি কি সুখ বা অসুখের সম্মুখীন হতে পারতো, এনিয়ে বিস্তৃত আলোচনার সুযোগ থাকলেও সেটি কল্পনার ভার তাঁদের বাস্তব চিন্তা বা বিদ্যাবুদ্ধির উপরেই ছেড়ে দিলাম।

    মমতা কর্তৃক উন্নয়নের সঙ্গে সিপিএমের দীর্ঘ শাসনকালে হওয়া উন্নয়নের কোন তুলনাই হয়না। খোদ সিপিএম নেতারাও এই বিষয়টিকে অস্বীকার না করে বদনামের লক্ষ্যে বলে থাকেন, হ্যাঁ উন্নয়ন যা হয়েছে তার চেয়ে চুরি হয়েছে বেশি। অর্থাৎ উন্নয়নকে অস্বীকার করার কোন উপায়ই নেই। মমতা প্রথম থেকেই জানতেন, তাঁর দলের ধাঁচ সিপিএমের মতো নয়। ফলে সিপিএম দলের মতো  নিখুঁত ক্যালকুলেটেড রিগিং বা কারসাজি, যা দীর্ঘ প্র্যাকটিসে প্রায় শিল্পের পর্যায়ে পৌঁছে গেছিল, তেমনটা যে তাঁর দলের দ্বারা সম্ভব নয়, তা খুব ভাল ভাবেই জানতেন মমতা। সেকারণেই ক্ষমতায় টিকে থাকতে তাঁর সামনে একটাই অপশন ছিল – ‘উন্নয়ন’। ফলে তাঁর মূলমন্ত্র হয়ে উঠলো - উন্নয়ন, বেশি উন্নয়ন এবং আরও বেশি উন্নয়ন। যার প্রধান লক্ষ্য হয়ে উঠলো রাজ্যের গরীব মানুষ, যার একটা বড় অংশ সংখ্যালঘু মানুষ এবং রাজ্যের মহিলারা, যাঁরা সংখ্যায় প্রায় অর্ধেক। তৃণমূল স্তর থেকে রাজনীতি করে উপরে উঠে আসা মমতার এহেন কৌশলের কাছে বিরোধীরা কুপোকাত হতে থাকলো পরের পর নির্বাচনে। তাদের এই পরাজয় বা অসহায়তার কারণেই বিরোধী শক্তি সমূহের অনৈতিক বোঝাপড়া বা সাঁটগাঁট বন্ধন।

    মমতা প্রথমেই জোর দিলেন নারী শিক্ষার উপর, চালু করলেন সবুজসাথী প্রকল্প। অভাবনীয় সাফল্য পেল এই প্রকল্প, গ্রাম বাংলার শিক্ষার চালচিত্রই বদলে গেল। ধীরে ধীরে চালু হতে লাগলো একের পর এক জনমুখী প্রকল্প। দীর্ঘবঞ্চিত মানুষ উন্নয়নের স্বাদ পেয়ে অভিভূত হয়ে পড়লো। তাদের মনে প্রশ্ন দেখা দিল; যে সিপিএম নেতারা বলতেন যে কেন্দ্রের সরকারকে তারা কান ধরে ওঠায় বসায়, তাদের প্রতি তো কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ টেকে না। তবে কেন এসব প্রকল্প তারা সেসময় চালু করতে পারেনি? এর সদুত্তর সিপিএম নেতারা দিতে না পারলেও, অনেক মানুষই বোঝে যে, সিপিএমের কৌশল ছিল মানুষের দারিদ্র্যকে হাতিয়ার করে তাদের আরাধ্য ও কাঙ্খিত জনগণতান্ত্রিক বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত রাখা। এদের নিজেদের বোধবুদ্ধির উপর এত বেশি আস্থা ছিল যে তারা মনে করতেন, তারা সঠিক, তারাই শ্রেষ্ঠ।

    রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতে চিরন্তন সত্য হচ্ছে, অ্যাবসলিউট পাওয়ার কোরাপ্টস অ্যাবসলিউটলি। সেই অমোঘ সূত্রেই দীর্ঘদিনের শাসনে ভেতরে ভেতরে ক্ষয়রোগ বাসা বেঁধেছিল দলের অন্দরে। মলম লাগিয়ে বা নানাবিধ চিকিৎসা করেও সে রোগের নিরাময় সম্ভব হয়নি, বরং উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে লাগলো তার প্রকোপ। ২০০৬-এর ভোটে বিপুল জয়লাভের ফলে সম্পূর্ণ মাথা ঘুরে গেল নেতৃত্বের। বুদ্ধবাবু কাব্য ও সাহিত্যের খানিকটা সমঝদার হলেও বাস্তব রাজনীতির ক্ষেত্রে নেহাতই অপরিণত ছিলেন, অভিজ্ঞ জ্যোতিবাবুর তুলনায়। আর বাকি নেতৃত্ব বুদ্ধবাবুর ইচ্ছাকে দলগত ভাবে মদত দিতে গিয়ে নিজেদের শিক্ষা, অভিজ্ঞতা ও বোধবুদ্ধিকে ব্যবহার না করে দলের সব পদক্ষেপ ও জনগণের প্রত্যুত্তরকে অসহায় ভাবে প্রত্যক্ষ করে গেছেন মাত্র। কারও মনে হয়নি, যে কৃষকরা গ্রামাঞ্চলে একদা দলের সংগঠন শক্তির ভিত্তি ছিল তারা কেন আজ দলের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে? এবং এর সুরাহা প্রয়োজন, নইলে দলের ভরাডুবি হতে পারে। কথায় আছে, ‘পতন আসন্ন হলে বোধবুদ্ধি লোপ পাওয়া স্বাভাবিক’ এবং সেটাই ঘটেছে।

    ২০১৯-এ মোদীর পুনর্বার জয় কোন স্বাভাবিক ঘটনা নয়। অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে কৌশল ও তার চিত্রনাট্য তৈরি করা হল অতি গোপনে। এবং তার বাস্তবায়নে আমরা দেখলাম, অতি যোগ্য ও অভিজ্ঞ সুরক্ষা কর্তা অজিত ডোভালের অজ্ঞাতসারে(!) এক বিশাল পরিমাণ বিস্ফোরক সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকলো এবং ঘটনার দিন বিনা বাধায় পৌঁছে গেল অকুস্থল পুলোয়ামায়। বিস্ফোরণ ঘটলো, ৪০-এর অধিক সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হলেন নির্মমভাবে। স্বাভাবিক ভাবেই দেশের মানুষের মনে ঝটকা লাগলো, প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হলো। এরপর চিত্রনাট্যের দ্বিতীয় পর্বে আমাদের যুদ্ধবিমান সীমান্ত পেরিয়ে বালাকোটে গিয়ে বোমাবর্ষণ করলো। বলা হলো, শত্রুর ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। কিন্তু খ্যাতিমান আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা বিবিসি এই দাবির সত্যতা অস্বীকার করে এবং নেহাতই এক মামুলি ক্ষয়-ক্ষতির বিবরণ পেশ করে। বিমান আক্রমণ করে ফেরৎ আসার কালে এক বৈমানিক ধরা পড়ে, কিন্তু পাকিস্তান কোন কারণে অধিক জলঘোলা না করে সেই বৈমানিককে দ্রুত মুক্তি দেয়। গোটা ঘটনায় মোদীর জয়-জয়কার শুরু করে দেয় দল ও দল প্রভাবান্বিত অধিকাংশ মিডিয়া। ফলে হঠাৎ-ই গোটা দেশের রাজনৈতিক চালচিত্র বদলে গেল এবং ২০১৯-এর ভোটে বিপুল জয় পেল মোদী তথা বিজেপি।

    ৪০-এর অধিক সিআরপিএফ এর মৃত্যু জনজীবনে প্রচণ্ড আবেগ তৈরি করেছিল। কিন্তু কিছুদিন আগেই তৎকালীন জম্বু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল সৎপাল মালিক এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ঐ পথে বিপুল সংখ্যক কে. বাহিনীকে স্থলপথে পাঠানো খুবই ঝুঁকির বলেই বিমান ব্যবহারের আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করা হয়। এই বিষয়ে তিনি মোদীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে, তাঁকে এই বিষয়ে কথা বলতে বারণ করা হয়। এসব কারণেই এই রহস্যের উন্মোচন মোদী শাসনে যে সম্ভব নয়, তা স্পষ্ট। কিন্তু যেভাবেই হোক মোদীর পুনর্বার জয় এরাজ্যের রাজনীতিকে চূড়ান্ত রূপে প্রভাবান্বিত করলো। রাজ্যে এই প্রথম বিজেপি ১৮টি লোকসভার আসন জিতলো। ফলত, শুধু বিজেপি নয় চাঙ্গা হয়ে উঠলো সিপিএম-ও। তাদের সামনে সুযোগ এসে গেল গোপনে বিজেপিকে মদত দিয়ে মমতাকে ক্ষমতা থেকে সরাবার। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়া হোল এবং মমতার থেকে মুসলমান ভোট ভাঙাতে তৈরি করা হলো আইএসএফ, চরম সাম্প্রদায়িক আব্বাস সিদ্দিকীর মদতে। এসবের ফলে ২০২১-এর ভোটে বঙ্গদখল নিয়ে বিজেপির মরিয়া মনোভাব দেখা গেল। কৈলাস বিজয়বর্গী সহ বহু উচ্চস্তরীয় নেতা এসে ভোট জেতার খেলায় নেমে পড়লেন। রাস্তাঘাটে সর্বত্র সেসব অবাঙালি নেতাদের ছবিতে চারিদিক ছয়লাপ হয়ে গেল। শুরু হয়ে গেল দল ভাঙ্গানোর খেলা। দিল্লির ক্ষমতা বনাম নবান্নের ক্ষমতার এক অভূতপূর্ব যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। মোদী - শাহ - নাড্ডা প্রায় পালা করে নিত্য-যাতায়াত শুরু করে দিলেন। প্রচার তুঙ্গে উঠলো। কিন্তু জলের মতো অর্থ খরচ, মাসল পাওয়ারের দাপাদাপি এবং মিডিয়ার একতরফা প্রচার সত্ত্বেও বিজেপির জয় করায়ত্ব হলোনা।

    লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, '১৯ থেকে '২১ কিন্তু ইডি / সিবিআই এর কোন বিশেষ তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। কারণ হয়তো আশা ছিল, বঙ্গদখল সম্ভব হবে। কিন্তু তা সম্ভব না হবার ফলেই দুর্নীতি বিরোধী তৎপরতা শুরু হলো ইডি/সিবিআই-এর। বর্তমানে এই তৎপরতার লক্ষ্য ২০২৪-এর লোকসভা ভোট এবং বাংলা থেকে ২৫টা আসন লাভ, যেমনটা বলেছেন অমিত শাহ। সেকারণেই এবার শুরু হোল তেড়ে-ফুঁড়ে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান। ভাব এমন যেন দুর্নীতি শুধু এরাজ্যেই হচ্ছে। সিপিএমের মদতে প্রথমেই শুরু হলো শিক্ষক-নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির তদন্ত। অথচ মধ্যপ্রদেশের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপক কেলেঙ্কারি কাহিনীর খোঁজ খবর করতে গিয়ে ৪০ জনের উপর মানুষের যে বেঘোরে মৃত্যু হয়েছে, সেই রহস্যেরও কোন সমাধান কিন্তু হয়নি। মিডিয়ার সেদিকে কোন আগ্রহ নেই। রাজনৈতিক চাপ ও আর্থিক লাভের কারণে প্রায় সব মিডিয়া হাউস-ই এখন অত্যন্ত নিন্দনীয় ও একপেশে ভূমিকা নিয়েছে। গণতন্ত্রে চতুর্থ স্তম্ভের ভূমিকা যে এমন কলঙ্কজনক হতে পরে, অতীতে তার কোন নজির নেই। এরই সঙ্গে বিচার-ব্যবস্থাকে যে কিভাবে দলীয় রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা যায়, তার এক জ্বলন্ত উদাহরণ হচ্ছে কতিপয় বিচারপতির নির্লজ্জ্ব একপেশে আচরণ, যা প্রায় রাজনৈতিক নেতাদের পর্যায়ে তাঁদেরকে নামিয়ে এনেছে। কয়েকজন তো এমনভাবে নিজেদেরকে চিহ্নিত করেছেন যে নূন্যতম নিরপেক্ষতাও তাঁদের থেকে আশা করা যায়না। পুলিশ, আমলাদের অধিকাংশকেই মানুষ দলদাস বলে থাকে। এখন দেখা যাচ্ছে বিচারপতিরাও অনেকেই দলদাসে পরিণত হয়েছেন।

    ইডি, সিবিআই যে কর্তাদের অঙ্গুলি হেলনে চলবে, এটা আশ্চর্যের নয়। কিন্তু তাদের কার্যকলাপের ধারা এখন বিশেষ নিয়ম কানুনের ধার ধারেনা, যথেচ্ছ গা জোয়ারি চলছে। এসব সংস্থার ভূমিকা এখন মূলতঃ দুর্নীতি দমন নয়, বিরোধী শক্তিকে দমন করা। আর এরাজ্যের শাসক মমতার সাথে ভোটে কোনভাবেই পেরে না উঠে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি একযোগে শুরু করেছে চুরি বৃত্তান্তের কোরাস। চাকরি-চুরি, বালি-চুরি, কয়লা-চুরি, গরু-চুরি(পাচার) ইত্যাদি নানাবিধ চুরির অভিযোগ, সবই কি মমতা জমানাতেই শুরু হয়েছে? অতীতে এসব চুরির গল্প কি আমরা শুনিনি? তখন কোথায় যেত সেসব অর্থ? কবি লিখেছিলেন, ‘তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ, আমি আজ চোর বটে...’। 

    বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস, মিডিয়া, বিচার ব্যবস্থার একাংশ আজ মরিয়া হয়ে একযোগে মমতাকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামাতে চায় এবং সেকারণেই মমতার বিরুদ্ধে জনমানসে এক দুর্নীতির ন্যারেটিভ তৈরি করতে চাইছে যাতে বহু মানুষকে বিভ্রান্ত করা যায়। আজকাল যে কোন অবস্থাপন্ন ও মধ্যবিত্ত সামাজিক অনুষ্ঠানের জমায়েতে এটা এখন বেশ মুখরোচক বিষয় এবং তা নিয়ে অনেকেই সোচ্চার ও বহুমানুষ উৎসাহের সঙ্গে তাতে যোগও দেন। কিন্তু কেউ কি খেয়াল করেন যে, এসব জায়গায় বহুমানুষ শুধুই চুপ করে শোনেন, বিশেষ কিছুই বলেন না। তারা কি সবাই সহমত? হয়তো বা তাদের সংখ্যাটাই বেশি। নইলে মমতা এত ভোট পায় কি করে? অতীতেও বোফর্স নিয়ে দীর্ঘদিন রাজীব গান্ধিকে চোর বলে প্রচার করা হয়েছে, কিন্তু আজ সবাই জানে যে, ওটা ছিল এক মিথ্যা রাজনৈতিক প্রচার। ফলে সবাই মিলে যতই চোর চোর বলে হাওয়া তোলার চেষ্টা করুক না কেন সাধারণ মানুষ, বিশেষত গরীব ও মহিলারাই হয়তো ভোটের ভাগ্য গড়ে দেবেন সবশেষে।
     
    কল্যাণ সেনগুপ্ত

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • hehe | 139.99.209.67 | ২৮ জুন ২০২৩ ১৮:৪৮520785
  • ক'পয়সা দেয় এটা লেখার জন্যি? চটিচাটারা মিলে একটা সাইট বানিয়েছে বটে! খোরাক খোরাক।
  • সৃষ্টিছাড়া | 2405:201:8003:9f5a:e087:c326:39d4:af29 | ২৮ জুন ২০২৩ ২৩:৩১520799
  • চটি দিয়ে বিরিয়ানি কুৎসিত লিখন
  • pradip ghatak | 2409:4088:be12:32bd:91e9:e336:83af:2b6d | ২৯ জুন ২০২৩ ১৫:২৬520813
  • দারুণ বিশ্লেষণ করেছো দাদা।
  • a | 110.175.36.96 | ২৯ জুন ২০২৩ ১৬:০৪520814
  • যাক গুরু এদ্দিনে জাতে উঠল। এটারই অভাব ছিল 
  • kk | 2601:14a:502:e060:b5f5:78de:c3b4:5ae9 | ২৯ জুন ২০২৩ ১৯:৪৭520816
  • কোনো লেখার নীচে মূল লেখার বদলে পাঠকদের কমেন্ট্স নিয়ে লেখা কতটা ঠিক কাজ তা জানিনা, তাও লিখছি। বলে রাখা ভালো যে মূল লেখাটা আমি আদৌ পড়িনি। কমেন্টস দেখে একটা প্রশ্ন মনে আসছে। 'খেরোর খাতা' অংশটা তো অসম্পাদিত বিভাগের মধ্যে পড়ে, নাকি? যে খুশি এখানে যা খুশি লিখতে পারেন তো দেখি। মহাপ্রসাদের মহিমা থেকে শুরু করে চুল পড়া বন্ধ করার সুউপায়, সবই লেখা হয়। তো এই বিভাগের কোনো লেখার দায় লেখকেরই নয়? সাইটেরও কি কোনো দায় আছে?
    আরেকটা ডিসক্লেমারও দিয়ে রাখি -- প্রশ্নটা শুধুমাত্র কৌতুহল থেকেই করা। গুরুর পলিটিক্যাল ভিউ সম্পর্কে আমার কোনো সমর্থন বা অসমর্থন বা আগ্রহ নেই।
  • র২হ | 96.230.209.161 | ২৯ জুন ২০২৩ ২০:৫০520818
  • হ্যাঁ, খেরো তো ওই। লেখাটা পড়ে আমার মনে হল - ইহা লইয়া আমরা কিতা করতাম? 
     
    আর গুরুতে রাগত কমেন্ট দেখলেই আমার মনে হয় দেয় না কেহ গুরুগঞ্জনা সে দেশে বুঝি...
  • মদন | 46.22.223.178 | ২৯ জুন ২০২৩ ২৩:১৮520820
  • হুতোভাই, সেই যে দগ্ধ ছাপালে, সেও কি অসম্পাদিত? 
    সেই যে নোভোট্টু বিজেপি ক্যাম্পেন?
    সিইওর পবন্দগুলি?
    হলদি নদীর কুমিরের কথা বাদই দিলাম।
     
    চটিপিসির কৃপা পেতে গুরুর সাইটে আরও আরও লোক আসছে ভাই।
    বেঁচে থাকুক তোমাদের এই চটিমন্দির।
  • র২হ | 2607:fb90:ac93:ad74:a095:3100:fd9e:980b | ২৯ জুন ২০২৩ ২৩:২২520821
  • এটার উত্তর দেওয়ার কোন মানে হয় না। ছাপা বই আর খেরো এক কোন দিকেই না। দগ্ধ, নিজের বিরুদ্ধে অবশ্যই দায়িত্ব নিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে।
  • :-)) | 2001:67c:6ec:203:192:42:116:201 | ২৯ জুন ২০২৩ ২৩:৩৬520822
  • ছিহপিএম থুহপিএম পুর্ণ মডারেশানে বিশ্বাস করে। ওদের চান্নং পাঁচফোড়ন সব পরিপুর্ণ মডারেটেড। অইজন্যি আনমডারেটেড আর মডারেটেড অংশের তফাত না বোঝার ভান করে। তাদের ত মন্তব্য পজ্জন্ত মডারেশানের থ্রু দিয়ে যায়। আর তারপরে এখেনে এসে ল্যাওড়া নাচায়।
  • খুকখুক | 151.11.52.171 | ২৯ জুন ২০২৩ ২৩:৪২520823
  • গুচুর পুরনো লোকেরা সব চটিচাটার বহর দেখে পাইলেচে নাকি গা? গুচুর সেন্টার ব্যাক কি শ্যাষকালে হুতোবাবু?
     
    এ সেই আবাপর "বাংলা সিনিমার ভার বহন করচেন পোসানজিৎ" টাইপের ব্যাপার। হেব্বি মজা পেলুম।
  • মদন | 46.22.223.178 | ২৯ জুন ২০২৩ ২৩:৪৯520824
  • তোমাদের মুলোবিরোধী বিভাগ কোনটে হুতোভাই? খেরো-বুবুভা-ছাপাবই সর্বত্র ত মুলোয় ভুবন ভরা। চান্নং গুরুর চেয়ে ঢের ভাল সাইট।
  • র২হ | 2607:fb90:ac93:ad74:a095:3100:fd9e:980b | ২৯ জুন ২০২৩ ২৩:৫৩520825
  • আচ্ছা আচ্ছা বেশ সবাই ঝল খান। আমি খেলাধুলো ভালো বুঝিনা তাই সেন্টার ব্যাক ব্যাপারটা ধরতে পারলাম না। এবার চলি। সামনে ছুটিছাটা (ইশ চটিচাটার সঙ্গে কেমন ধ্বনিসাযুজ্য - বানানটা ঠিক হল কিনা কে জানে), বেড়াতে যাবো।
  • নিরীহ প্রশ্ন | 46.22.223.178 | ২৯ জুন ২০২৩ ২৩:৫৯520826
  • ব্যাংকক যাচ্ছেন বুঝি?
  • র২হ | 2607:fb90:ac93:ad74:a095:3100:fd9e:980b | ৩০ জুন ২০২৩ ০০:০৩520827
  • না না, এই ধারে কাছে। ব্যাংকক তো অনেক দূর।
  • :(( | 110.224.109.222 | ৩০ জুন ২০২৩ ০০:৪১520829
  • এরা নিয্যস ছুপা চাড্ডি বাম। কিম্বা মুলোদের ফেক।  বামেদের খোরাক প্রতিপন্ন করতে নেমেছে। অথবা ওই আর কিসব সাইটের নাম করেছে, তাদের কেউ হয়ত, পাতি সাইট প্রোমোট কর‍তে গিয়ে বাম সেজে কাঁচা খেলে ছড়াচ্ছে।
    নইলে অ-সম্পাদিত বিভাগের মানে বোঝেনা, সাইটের টই ভাটের মত খেরোর খাতায়  যেকেউ যা ইচ্ছে লিখতে পারে, সেটা বোঝেনা ( সাইট খুললেই তো বোঝা যায়)   এতটা আইকিউ লেভেল কম বামেদের হবে,  তাও আবার গুরুর সাইটে বামেদের, বিশ্বাস করতে চাপ লাগে।
    নোভোট্টুফোট্টূ ক্যাম্পেনও গুরুর সম্পাদিত বিভাগে হয়েছিল বুঝি?  
    লেখাটা নিয়ে অবশ্য যত কম কথা বলা যায়, ভাল।  এরকম লেখা লিখতে চটি চেটে চেটে জিভে চটা পড়ে যাওয়ার কথা
  • সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় | ৩০ জুন ২০২৩ ০১:২০520834
  • মন্তব্য দেখে অনেকেই আশ্চর্য হচ্ছেন। কিন্তু হবার কিছু নেই। রাজনীতির আলোচনা বস্তুটাকেই এখন 'চটিচাটা' আর 'কীরে কত টাকা পেলি'তে নামিয়ে আনা গেছে। থ্যাংকস টু দা 'প্রগতিশীল'স। পৃথিবীতে লেজিটিমেট তৃণমূল সমর্থক থাকতে পারে, এবং তাঁরা এসে খোলা পাতায় মতামত দিতে পারেন, এইটা এখনও এঁরা মেনে নিতে পারেননি। বিজেপির ব্যাপারটা মেনে নেওয়া গেছে। কিন্তু তাতেও 'কীরে দুটাকা পেলি?' আর তার উত্তরে 'কীরে লেনিন বোঝালি?' দেখে দেখে বিরক্ত লাগে একসময়।
     
    না, আকাশ থেকে এইসব মন্তব্য আসছেনা। চাদ্দিকে দেখছি তো, এঁরাই 'ভাবা প্র‌্যাকটিস করুন' বলে লেকচার দেন। এখানে বেনামে লিখছেন, কিন্তু স্বনামেও এইসব পড়েছি। প্রশ্নটা সমালোচনা করার না। সমালোচনা করা যেতেই পারে। কিন্তু পৃথিবীতে কোনো বক্তব্য পছন্দ না হলেই চালচোর আর চটিচাটা লাইন নামিয়ে দিলাম, একে ট্রোল করা বলে। বঙ্গবাজারে কাদের এতে সুনাম আছে, যদি আপনারা না জেনে থাকেন, তো জেনে নিন। 
  • মদন | 46.22.223.178 | ৩০ জুন ২০২৩ ০১:৩৩520835
  • এ কি খোদ সিইও একেবারে! আজকের পবন্দমালায় কী থাকছে? মুলোদের সিবিআই কেলেঙ্কারি নিয়ে পরের এপলোজেটিকটা নামিয়ে ফেলুন। কিংবা শিক্ষায় দুর্নীতি নিয়ে। কিংবা নিদেনপক্ষে গরুচুরি নিয়ে। কাজ কি কম? এতগুলো মুলোর এত দুর্নীতি। ভল্যুম ভল্যুম এপোলোজেটিক্স লিখতে হবা।
  • সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় | ৩০ জুন ২০২৩ ০১:৩৪520836
  • এই আজই দেখুন। তৃণমূলের সায়নী ঘোষকে সিবিআই না ইডি ডেকে পাঠিয়েছে। এবার এর রাজনৈতিক প্রভাব কী, সায়নী দুর্নীতিতে যুক্ত, নাকি আসলে সিবিআই ফাঁসাচ্ছে, নাকি দুইই, এ নিয়ে তর্ক, চাপান-উতোর দুইই চলতে পারে। কিন্তু ফেবুর রাজনীতির কমিউনিটিগুলোতে দেখুন, কী হচ্ছে? সায়নীর একটা নতুন নাম কয়েন করা হয়েছে, সেক্সায়নি। শেখও ও হল, সেক্সও হল, রাজনীতির আলোচনাও হয়ে গেল। কারা করছে? ভাবছেন আকাশ থেকে পড়ে কেউ করছে? না। চেনা লোকেই করছে। পরশুদিন যার সঙ্গে গপ্পো করেছেন, সাতদিন আগে যে বক্তৃতা দিয়ে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেছে, সেই করেছে। দিনকাল এরকমই। ফুটপাথ দ্রুত বদলাচ্ছে। ছিল বিজেপি হয়ে গেল বাবুল, ছিল ডিএর আন্দোলন, হয়ে গেল পঞ্চায়েত-ভোট নিয়ে মামলাকারী। এবং যেহেতু এটাই রাজনীতি, তাই পুরো পরিসরটাকে এখানেই টেনে নামাবে। সেখানে নামাবে, যেখানে খোলা আলোচনা, মুক্ত পরিসর - এসবের কোনো ব্যাপার নেই। 
  • ইয়ে | 51.159.211.164 | ৩০ জুন ২০২৩ ০২:০৬520838
  • একচুয়ালি মামু ট্রোল জিনিসটা একরকমের সাবভার্সন বলে ধরে নিতে হবে। এই গণতান্ত্রিক পরিসরটা আগে নষ্ট করেছে তৃণমূল। ক্রনোলজি ভুলে গেলে চলবে না। মেরেধরে সিপিএমকে পুরো হটিয়ে দিয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটে তৃণরা এমনিই জিতবে, কিন্তু এগ্রেশন দেখে মনে হয় এরা রাজ্যটাকে বিরোধীশূন্য রাখতে চায়। তো এই অবস্থায় সিপিএম সাবভার্সনের লাইনে খেলছে। সেটা কার্যকরী বলে মনে হয়না। কিন্তু পরিস্থিতির নিরপেক্ষ এনালিসিস করলে গণতান্ত্রিক পরিসরের অবনতির দায়টা সিপিএমের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যায়না।
  • lcm | ৩০ জুন ২০২৩ ০২:৪০520839
  • আমার এক বন্ধু সিপিএম পার্টি করে, পার্টি মেম্বার, মাসীমা-মোসোমশাইও করতেন, ওর কাকাও, বাবা-কাকা একসময় হোলটাইমার ছিলেন। কাকা বোধহয় এখনও আছেন।
    করোনার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ইলেকশনের সময় একদিন আমাদের কজনের জুম আড্ডা হচ্ছিল। বলল এই মুহুর্তে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আগে তৃণমূলকে সরাতে হবে, তাতে বিজেপি আসুক, বিজেপিকে আমরা দেখে নেব।
    একদম সোজাসুজি ভূমিকাহীণ ভণিতাহীন বক্তব্য।
  • Amit | 163.116.203.80 | ৩০ জুন ২০২৩ ০৩:০২520840
  • যদি কয়েক বছর আগে "যে আসে আসুক বামেরা যাক" স্ট্যান্ড ঠিক হয়ে থাকে বলে দাবি করা হয়, তাহলে আজকে অন্য কারোর "যে আসে আসুক মমতা যাক" স্ট্যান্ড ভূল কেন হবে ? যে যে যার স্টান্ডপয়েন্ট থেকে ঠিকই আছে। যা হয় হোক। 
  • lcm | ৩০ জুন ২০২৩ ০৩:০৯520841
  • যে আসে আসুক - ওটা এমনি কথার কথা।
    তখন মেজরিটি চেয়েছিল মমতা আসুক।
    এখন যদি ভোটে মেজরিটি চায় বিজেপি আসুক তা হলে আসবে।
  • Amit | 163.116.203.80 | ৩০ জুন ২০২৩ ০৩:২০520842
  • হ্যা। সেটা তো ঠিকই। দেখাই যাক নেক্সট কয়েক বছর। কোনো তাড়া নেই। উন্নয়ন তো রাস্তায় দাঁড়িয়েই আছে। :) 
  • &/ | 151.141.85.8 | ৩০ জুন ২০২৩ ০৩:২৭520843
  • "যে আসে আসুক" পন্থীরা এখন কী বলেন ? 
  • Amit | 163.116.203.80 | ৩০ জুন ২০২৩ ০৩:৪১520844
  • এখন তেনারা ভোট এলে নো ভোট্টু এর সুরে সুর বাঁধেন। যেনাকে আসার ছিল তিনি তো এসেই গেছেন - এখন তেনাকে ধরে রাখাটা জরুরি। 
  • সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় | ৩০ জুন ২০২৩ ০৩:৫৩520845
  • আর সাবভার্সান। যা দিনকাল, লোকে লোকের বাড়িতে হিসি করে দিয়ে এসে বলবে, সাবভার্ট করলাম। বলতে ইচ্ছে হয়, সে বেশ করেছ, কিন্তু দুনিয়ায় কেউ কি বুঝতে পারছে, এটা রাজনীতি? নবারুণ যে সাবভার্সানের বদহজম করিয়ে গেলেন, এর থেকে বাঙালিকে কে উদ্ধার করবে কে জানে। আর শুধু সিপিএমকে কে দোষ দিয়েছে, 'প্রগতিশীল' বললাম তো। তৃণমূল জেতার আগে থেকেই এইসব প্র‌্যাকটিস চলছে। চোখের সামনে দেখলাম তো। 
  • সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় | ৩০ জুন ২০২৩ ০৪:০০520846
  • আর এই হয়েছেন এক অমিতবাবু। রাজনীতি বিষয়ক যেকোনো লেখাতে এসেই দুটো কথা বলবেন। ধরুন আপনি গরু-পাচার নিয়ে একটা লেখা লিখেছেন, উনি এসে বলবেন, এক, "যে আসে আসুক"এর কী হল, আর দুই, আমি এখন পাঁচিলে বসে চানাচুর খাচ্ছি।
    যে-আসে-আসুক কার অবস্থান ছিল, ঈশ্বরই জানেন, জানতে চাইলে একটা থ্রেড খুলতেই পারেন. কিন্তু তা করবেননা, সব থ্রেডের নিচে এসে একই কথা লিখে যাবেন। হোয়াট্যাবিউটারি, বাংলায় তারবেলাপনা বলে একটা কথা হয়েছিল, এটা তার ঠাকুদ্দা। একে কাব্য করে ভ্যাঁ-পনা বলা যেতে পারে। পাঁচিলে বসে আচার খাওয়া-টাওয়া না, আসলে হেবি দুঃখ, যে, অমুক-পার্টি কেন ক্ষমতায় নেই, ভ্যাঁ। আরে, ভ্যাঁ করলে কীকরে হবে, দুঃখটা পাঁচজনের সঙ্গে শান্তভাবে ভাগ করে নিন, দেখুন না কে কী বলে।    
  • Amit | 163.116.203.80 | ৩০ জুন ২০২৩ ০৪:০৪520847
  • সেটাই তো করছি রে ভাই। আর অপেক্ষায় আছি কবে পব র শাপমুক্তি হবে। 
    :) :) 
  • r2h | 208.127.71.8 | ৩০ জুন ২০২৩ ১৮:৪৩520868
  • হুঁ, এই যে আসে আসুক আর পাঁচিলে বাদামভাজা আর হলদি নদীর কুমীরে অনেক সিপিআইএম সমর্থকদের পিন আটকে গেছে। তৃণমূল আসার পর যখন গ্রামে মফস্বলে শহরের নিম্নবিত্ত বস্তি এলাকায় সাধারন সিপিআইএম সমর্থকরা বেদম মার খাচ্ছেন, তখন এলিট সিপিআইএম সমর্থকরা দেখ কেমন লাগে এখন আমরা পাঁচিলে বসে বাদামভাজা খাই বলে বানী দিয়েছেন - এই গুরুর সাইটেই। ধীরে ধীরে একটা বিপুল অংশ শিফ্ট হয়ে গেছে তৃণমূলে, তাতে দায় কার বা কাদের ছিল সে নিয়ে তর্কের অবকাশ থাকাটাই আশ্চর্য।
    ওদিকে যে আসে আসুক পন্থীরা এখন কী বলেন - এই শুনতে শুনতে কানের অগ্নিমান্দ্য হয়ে গেল। অ্যান্ডরই তো কতবার যে এই কথা জিজ্ঞেস করেছেন - আমি নিজেই দুয়েকবার উত্তর দিয়েছি। এই পুণরাবৃত্তি কি স্মৃতিবিভ্রম না কঠিন অভ্যাস কে জানে!
    আর অমিতবাবু তো, নাকি আশার ছলনে ভুলি, নরেনবাবুকে ভোট দিয়েছিলেন, গুরুতেই তো বলেছিলেন। তো, ওঁর ব্যাপারটা ঠিক আছে। কবি বলেছেন “হায় বুদ্ধিহীন মানবহৃদয়! ভ্রান্তি কিছুতেই ঘোচে না, যুক্তিশাস্ত্রের বিধান বহুবিলম্বে মাথায় প্রবেশ করে, প্রবল প্রমাণকেও অবিশ্বাস করিয়া মিথ্যা আশাকে দুই বাহুপাশে বাঁধিয়া বুকের ভিতরে প্রাণপণে জড়াইয়া ধরা যায়, অবশেষে একদিন সমস্ত নাড়ী কাটিয়া হৃদয়ের রক্ত শুষিয়া সে পলায়ন করে, তখন চেতনা হয় এবং দ্বিতীয় ভ্রান্তিপাশে পড়িবার জন্য চিত্ত ব্যাকুল হইয়া উঠে।”
    তবে বলা যায় না, সহি হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডাও হতে পারে।

    মজা হল নো ভোট্টু বিজেপি নিয়ে সবার এত রাগ। নো ভোট্টুর ছাতার তলায় অনেক ধান্দাবাজীও ছিল - এমন আমি বিশ্বাস করি। তৃণমূল ফান্ডিং থাকলেও অবাক হবো না। কিন্তু নো ভোটটু বিজেপি, বয়কট সবরকম চাড্ডি মিডিয়া চ্যানেল - এইগুলি  তো এই সময়ের সবচে বড় প্রায়োরিটি। সেই ডাকটা সহি বামেদের বড়দা দিলে আরো আনন্দিত হতাম।

    এসব বলে অবশ্য লাভ নেই। সিপুএমের মত একটা শৃঙ্খলাবদ্ধ বলে পরিচিত দলে আজকাল দেখি নেতারা যা বলেন সমর্থকেরা তার কোন কিছুর সঙ্গেই একমত হন না। দগ্ধ নিয়ে মোহম্মদ সেলিম বিবৃতি দিলেন তাও গুরুতে কেবলি দখিন হাওয়া কাঁদিয়া বেড়ায়। বিজেমূল তত্ত্ব নিয়ে মানিক সরকার সতর্ক করলেন, কলকাতাকেন্দ্রিক সমর্থক তাতে কান দেওয়ার প্রয়োজনই মনে করেন না। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য জমি অধিগ্রহন বিষয়ে প্রশাসনের হাই হ্যান্ডেড অ্যাপ্রোচকে আর এন্ডর্স করলেন না, কিন্তু সমর্থকদের যত রাগ হল্দি নদীর কুমীরের ওপরঃ)

    (বেড়াতে? যাবো তো, আজ সবে শুক্রবার। উইকএন্ডটা আসুক আগে।)
  • হুরিবাবা | 172.107.208.21 | ৩০ জুন ২০২৩ ১৯:২০520869
  • চটিচাটাদের সিপিএম নিয়ে ভাবনা দেকে বাঁচিনে! হুতো কি সিপিএমের মেম্বার? ক্ষমতায় আছে মুলোরা আর গুরুর ফুটোপন্ডিতগণ নিদান হাঁকছেন সিপিএমের উদ্দেশ্যে। মাইরি মুলোদের দুর্নীতি নিয়ে কটা পোবন্দ বেরিয়েচে গুরুতে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন