এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  ইতিহাস

  • দাক্ষায়নী ভেলায়ুধান : এক লড়াকু দলিতকন্যার কৃতি কথা

    Suchetana Mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | ইতিহাস | ২৯ এপ্রিল ২০২৩ | ৩৭৭ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  •  "জানিস না, পুলায়া মেয়েদের এসব নাম রাখা নিষেধ! আঝাকি, চাক্কি, পুমালা, কালি, কুরুম্বা, কিলিপাক্কা…এমন নামের নিয়ম মেনে নিয়েই তো বড় হয়েছি আমরা! ব্রাহ্মণ 'নামবুদ্রি'দের জন্য বরাদ্দ নামটা তোকে দেওয়ার কোপটা যখন গোটা গাঁয়ে এসে পড়বে, তখন তোর বাপ-মা-কাকা-দাদারা সামলাবে তো…?"
    …….
    জ্ঞান হওয়া ইস্তক এমন সব কথা শোনা অভ্যেস হয়ে গেছিল দাক্ষায়ণীর। বাবা কুঞ্জন আর মা থাইথারা মানি সাধ করে নয়, জাতিভেদ প্রথার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবেই আদরের ছোটো মেয়েটির জন্মের পর নাম রেখেছিলেন দাক্ষায়ণী অর্থাৎ দক্ষের কন্যা দুর্গা। এই শ্রুতিমধুর নামটি যুগ যুগ ধরে কোচিন-ত্রিবাঙ্কুরের জাতে-বর্ণে শতধা বিভক্ত সমাজে কেবল উঁচু বর্ণের সম্পত্তি হয়েই রয়ে গেছিল! উচ্চবর্ণের জন্য নির্দিষ্ট নাম নিজের সন্তানকে দেওয়ার সাহসই পুলায়াদের হয়নি কখনো। প্রতিবাদী নামটিকে আক্ষরিক অর্থে সার্থক করে তোলার জন্যই যেন জন্ম হয়েছিল দাক্ষায়ণীর।

    ……..
    সেই কোন ১৮৪১-এ দাসপ্রথাকে খাতায় কলমে নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল ব্রিটিশ সরকার। অথচ পুলায়ারা যে জন্মদাস! বংশপরম্পরায় ব্রাহ্মণ, বা নায়ার তো বটেই, এমনকি বর্ণভেদের খাড়াই সিঁড়িতে তাদের চেয়ে একধাপ উঁচুতে দাঁড়ানো এজাভাদের কাছেও আজীবন-আমৃত্যু নিঃশর্ত সেবাদান করাই নাকি ছিল তাদের ভবিতব্য! 

    পুলায়া দাসের আবার দেহকষ্ট- মনোযাতনা  -লাজলজ্জা আছে না কি? পড়ালেখা শেখা প্রশ্নাতীত; উঁচু বর্ণের গাঁ- মন্দির- পুকুর-ক্ষেত- রাস্তা-হাটে- হাসপাতালে ঢোকাও দুরস্ত; নিছক চুলদাড়ি কেটে সাফসুতরো হওয়ার বা জনসমক্ষে উর্ধাঙ্গ ঢাকার, নৌকো বা গাড়ি চড়ে কোথাও যাওয়ার মানবাধিকারটুকুও যে পায়না তারা? তবে পুঁতির একগোছা মালা গলায় দিয়ে পুলায়া মেয়েরা সবে সবে উর্ধাঙ্গের লজ্জা ঢাকার অনুমতি পেলেও পুরুষদের সে অধিকার এখনো দেওয়া হয়নি! 

    কখনো চুল দাড়ি কাটলে বা দৈবাৎ উচ্চবর্ণ মানুষের সামনাসামনি হলে ৬৪পা দূরত্ব রেখে মাথাখানা হাঁটু অবধি ঝুঁকিয়ে আড়ালে সরে না গেলেই তাদের ওপর নেমে আসতো পাশবিক সব শাস্তি। আসলে 'অচ্ছুৎ' হলেও না হয় কিছু অধিকার থাকতো-টাকতো, কিন্তু পুলায়ারা যে ঘৃণ্য 'অপশ্য'। তাদের দেখলে, এমনকি তাদের ছায়াটুকু মাড়ালেও নাকি 'জাত যেতো' বলেই কোচিন-ত্রিবাঙ্কুরের মহারাজা থেকে এজাভা প্রজা পর্যন্ত কেউই পুলায়াদের কঠিন শাস্তি দিতে দুবার ভাবত না।
    …..
    তবু বদল আসছিল। অনক্ষর-সর্বহারা-চিরদুখী পুলায়া সমাজে ১৯ শতকের শেষদিক থেকে বদল আনছিলেন দাপুটে সংস্কারক আয়ানকলি। তাঁর নেতৃত্বে উনিশ শতকের শেষভাগে কোচিনের শোষিত-বঞ্চিত দলিত জনতা একজোট হচ্ছিলেন নিজেদের দিনবদলের সংগ্রামে। দাক্ষায়ণীর গোটা পরিবার ছিলেন সেই লড়াইয়ের পুরোভাগে।

    দাক্ষায়ণীর দাদারা উচ্চবর্ণের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও যেমন প্রথম ঊর্ধ্বাঙ্গ ঢেকে বাইরে পড়তে যাওয়ার সাহস দেখিয়েছিলেন, তেমনি কয়াল সম্মেলনেরও অগ্রভাগে ছিলেন তাঁরা। 

    দীর্ঘদিন ধরে কোচিনের উচ্চবর্ণ রাজা 'রামবর্মা' পুলায়াদের অভাব-অভিযোগ-দাবি-দাওয়া আলোচনার উদ্দেশ্যে জমায়েত হওয়ার জন্য গোটা অঞ্চলের স্থলভূমিতে একফোঁটা জায়গাও দিতে রাজি ছিলেন না। তাই ১৯১৩ থেকে বিস্তীর্ণ ভেম্বানাদ কয়ালের খাড়িগুলির বুকে আশপাশের পুলায়া জনগণ নিজেদের ছোট ছোট নৌকায় করে এসে শান্তিপূর্ণভাবে জমায়েত হতেন আর পুলায়া অধিকার আন্দোলনের বর্তমান ও আগামী গতিপ্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করতেন। এদেশের দলিত আন্দোলনের ইতিহাসে এই জমায়েতগুলি 'কয়াল সম্মেলনম' নামে সুবিদিত হয়ে রয়েছে। কোচিন-ত্রিবাঙ্কুরের বৃহত্তর দলিত অধিকার আন্দোলনের ভিত্তি তৈরি হয়েছিল এই সম্মেলনগুলি থেকেই। 

    দাদাদের গড়ে দেওয়া উজ্জ্বল পথেই পথ হাঁটা শুরু করেছিলেন ছোট্ট দাক্ষায়ণী। তাঁর মা আর দিদি গাঁয়ের পুলায়া নারীদের মধ্যে প্রথম উর্ধ্বাঙ্গ আবরণী ব্যবহার করলেও, উর্ধাঙ্গ আবরণী পরে স্কুল যাওয়া প্ৰথমতম পুলায়া মেয়ে ছিলেন তিনি। উচ্চবর্ণের সর্বতো বাধার মুখে দাঁড়ানো, ছোট্ট দাক্ষায়ণীর মনোবল চিরকালের মতো কেবল পোশাকের ক্ষেত্রেই নয়, পুলায়া নারীদের সামগ্রিক জীবনবোধকেই বদলে দিয়েছিল। ব্যাগ-বই কাঁধে নৌকা আর পায়ে হাঁটা দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে প্রথমতম পুলায়া মেয়ে হিসেবে সরকারি স্কুলে আর কলেজে গেলেন দাক্ষায়ণী। প্রত্যেক পরীক্ষায় দুর্দান্ত ফল করে কোচিনের প্রথমতম ছাত্রী হিসেবে একের পর এক সরকারি বৃত্তি পেলেন আর সবশেষে প্রথমতম দলিত শিক্ষিকা হিসেবে পড়াতেও শুরু করলেন ত্রিশূরের সরকারি স্কুলে। 

    ততদিনে অবশ্য সংস্কার আন্দোলন আর গণদাবীর ব্যাপকতায় কোচিন সহ সমগ্র কেরালায় দলিতদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সরকারি শিক্ষা, স্বাস্থ্য বা চাকরির সুযোগ। তাঁরা আদায় করেছেন সড়ক, বাজার আর মন্দিরে প্রবেশের অধিকার। কিন্তু বাইরের রীতি রেওয়াজ আইনি চাপে বদলালেও সমাজের উচ্চবর্ণের মনের ঘরে  জাতিভেদের অন্ধকার রয়ে গেছিল আগের মতোই। শহর হোক বা গ্রাম, উচ্চশিক্ষিত-নিরক্ষর; এ বিষয়ে বর্ণহিন্দুদের মনোভাবের মধ্যে প্রায় কোনই তফাৎ ছিলনা। দাক্ষায়ণীকেও স্বভাবিকভাবেই তাই মুখোমুখি হতে হয়েছিল একের পর এক তীব্র বৈষম্যমূলক অভিজ্ঞতার। কখনো কলেজে বিজ্ঞানের অধ্যাপক তাঁকে ল্যাবরেটরির যন্ত্রপাতি ছুুঁতে দিতে অস্বীকার করেছেন, কখনো ক্লাসরুমের ভিতরে উচ্চবর্ণের ছাত্রদের সাথে একাসনে বসার অধিকার না পেয়ে ঘরের বাইরে বসে তাঁকে জানালা দিয়ে শিক্ষকের 'লেকচার' শুনতে হয়েছে। চাকরিক্ষেত্রেও তাঁকে নিয়োগ করা হয়েছে দলিত এজাভা ও পুলায়া শিক্ষার্থী অধ্যুষিত স্কুলে, এমনকি সেখানেও শিক্ষিকা দাক্ষায়ণী স্কুলের পথে আসতে গিয়ে বা পড়শীর কুয়ো থেকে জল নিতে গিয়ে এলাকার উচ্চবর্ণীয় মহিলাদের কাছে প্রকাশ্যে হেনস্থা হয়েছেন বারবার।

    এমনই সমস্ত অবিশ্বাস্য অপমান জুড়ে রয়েছে দাক্ষায়ণীর প্রথম জীবনের তিনটি দীর্ঘ দশক। কিন্তু জাতিবিদ্বেষের নখদাঁত তাঁকে যতই রক্তাক্ত করেছে, ততই তিনি দৃঢ়চিত্ত হয়েছেন জাতিভেদ- বর্ণবৈষম্যের বাইরে এক সমতাবাদী ভারতবর্ষ প্রতিষ্ঠার সংকল্পে। সেই লক্ষ্য থেকেই দাক্ষায়ণী একদিকে তামাম দক্ষিণভারতের দলিত অধিকার আন্দোলনগুলি আর অন্যদিকে মহাত্মা গান্ধীর হরিজন আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হতে শুরু করেন।আন্দোলনের পথেই এসময় তাঁর বন্ধুত্ব হয় দক্ষিণী দলিত আন্দোলনের আরেক যোদ্ধা রমন ভেলায়ুধনের সঙ্গে। গান্ধীজির উপস্থিতিতে ওয়ার্ধা সেবাগ্রামে এক কুষ্ঠরোগীর পৌরহিত্যে ১৯৪০ সালে বিয়ে সারেন তরুণ এই দুই সমাজকর্মী।  

    দীর্ঘদিন ধরে ব্যক্তিগত উদ্যোগে পুলায়া সমাজে যেসব সেবামূলক কাজ দাক্ষায়ণী করছিলেন, সেগুলিকে স্থায়ীভাবে সংগঠিত করার স্বপ্ন নিয়ে ১৯৪০এর দশকের গোড়ায় সরাসরি ভারতের জাতীয় রাজনীতির সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সংসার-চাকরি-সন্তান সামলে ১৯৪৫এ কোচিনের আইনপরিষদে নিম্নবর্ণের জন্য সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিতও
    হয়েছিলেন তিনি। এতদিন সর্বত্র দলিত সমাজকর্মী হিসেবে পরিচিত হলেও, এবার নবীনা এক বাগ্মী নেত্রী রূপেও সর্বভারতীয় স্তরে সুপরিচিত হয়ে উঠছিলেন দাক্ষায়ণী।  

    ১৯৪৬ সালে দেশের স্বাধীনতা লাভের প্রাক্কালে স্বাধীন ভারতের জন্য এক আদর্শ সংবিধান রচনার জন্য রাজধানী দিল্লিতে 'গণপরিষদ' নামক এক সভা গঠিত হয়েছিল। দেশের সমস্ত প্রান্ত থেকে সংবিধান রচনার জন্য গণপরিষদে যোগ দিয়েছিলেন ৩৮৯ জন বিশিষ্ট প্রতিনিধি। এঁদের মধ্যে মাত্র ১৫ জন ছিলেন মহিলা আর মাত্র ৩৪বছর বয়সী দাক্ষায়ণী ভেলায়ুধন ছিলেন তাঁদের অন্যতমা এবং গণপরিষদের কনিষ্ঠতমা প্রতিনিধি। ভারতের বিপুলাকায় দলিত সম্প্রদায়ের একমাত্র মহিলা প্রতিনিধিও ছিলেন দাক্ষায়ণী। ব্যক্তিগত জীবনে মহাত্মা গান্ধীর জীবনাদর্শ ও ভীমরাও আম্বেদকরের সমাজভাবনার গভীরভাবে প্রভাবিত হলেও তাঁর চিন্তাধারা ছিল পুরোপুরি মৌলিক।

    গণপরিষদের নতুন ভারত গঠন সংক্রান্ত আলোচনাগুলিতে  দাক্ষায়ণী সবসময়েই শান্ত অথচ দৃপ্তভাবে তাঁর স্বাধীন ও বাস্তবোচিত মতামত পেশ করতেন। ভারতীয় সংবিধানে অস্পৃশ্যতা ও জাতিভেদকে বেআইনি এবং দণ্ডনীয় অপরাধ রূপে বিধিবদ্ধকরণের ক্ষেত্রে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। যদিও সংসদে ক্ষমতার অভিজাত অলিন্দের থেকে আটপৌড়ে এই মানুষটি অনেক বেশি সাবলীল ছিলেন মুনিরকার বস্তিতে বসবাসকারী দরিদ্র দেহাতি মহিলাদের সঙ্গে আলাপচারিতা ও তাঁদের স্বনির্ভর করার কাজে। ১৯৫২ সালের পর  সংসদীয় রাজনীতি থেকে কিছুটা সরে এসে দাক্ষায়ণী আর সমাজসেবায় সম্পূর্ণভাবে আত্মনিয়োগ করেন। ১৯৪০এর দশকের জনপ্রিয় 'কমনম্যান' পত্রিকার এই সম্পাদিকা ১৯৭৮ এ মৃত্যুর আগে পর্যন্ত বিখ্যাত দলিতমহিলা সংগঠন 'মহিলা জাগৃতি পরিষদের' প্রতিষ্ঠাত্রী তথা সভানেত্রী ছিলেন।

    সামাজিক ক্ষেত্রে সদাব্যস্ত দাক্ষায়ণীর ব্যক্তিগত জীবনও ছিল একইরকম পরিপূর্ণ। ৫ সন্তানের মা হিসেবে তিনি ছিলেন ব্যতিক্রমীরকমের আধুনিকমনস্ক আর খোলামেলা। নিজের কঠোর জীবন সংগ্রাম আর পুলায়াদের যন্ত্রণাময় অতীতকে নিজের সফলতম দিনেও এক মুহূর্তের জন্য বিস্মৃত হননি দাক্ষায়ণী। সন্তানদের বড় করার সময়ে তাই তিনি সাম্য আর যুক্তিবাদের মূল্যবোধকে তাঁদের গভীরে গেঁথে দিয়েছিলেন চিরকালের মতো। তাইতো কখনো বছর নয়েকের কন্যা মীরা প্রথম ঋতুমতী হলে, তাঁকে ছবি এঁকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ঋতুচক্রের বিজ্ঞান। আবার কখনো সামনে পড়ালেখা করার সময় মীরা সামনে ঝুঁকে বসলে, মেয়েকে সবসময় মাথাউচুঁ করে সোজা হয়ে বসা বা হাঁটার কথা বলেছেন, আর সেই সঙ্গে বালিকাকে মনে করিয়ে দিয়েছেন উচ্চবর্ণের সামনে মাথা থেকে কোমর অব্দি ঝুঁকিয়ে বহুযুগ ধরে হাঁটতে বাধ্য হওয়া অগণিত নিরীহ পুলায়া মানুষের সীমাহীন কষ্টের কথা। 

    সংসদীয় রাজনীতি থেকে সরে এলেও সারাজীবন ধরে কখনো মাদ্রাজের নারীশ্রমিকদের, কখনো কেরালার কৃষিজীবী মহিলাদের, আবার কখনো মধ্যভারতের দলিত মজুরানীদের শিক্ষা, সামাজিক ন্যায়বিচার আর অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার গুরুত্ব শিখিয়ে চলেছিলেন দাক্ষায়ণী ভেলায়ুধন। দক্ষিণ ভারতের অগণিত দলিত পুলায়া খেটে খাওয়া শ্রমিক মহিলার জীবনের পথকে দাক্ষায়ণী তাঁর অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতাকেন্দ্রিক সামাজিক কাজগুলির মাধ্যমে বদলে দিয়েছিলেন। নিজের সন্তানরা হোন বা হোন শ্রমিক মহিলারা কিংবা দলিত জনতার আগামী সকল প্রজন্ম, প্রত্যেককে নিজের গর্বের মাটি-শিকড়ের ওপর নিজের শর্তে মাথা উঁচু করে বাঁচার দিশা দেখিয়ে যাওয়াই ছিল অনন্যা দাক্ষায়ণী ভেলায়ুধনের মহত্তম অবদান। 
    …….

    উৎস সূত্র:
    ১) Linking Radical Traditions And The Contemporary Dalit Women's Movement Through An Intergenerational Lense -  Meera Velayudhan: researchgate.org
    ২) Dalit Movement in India and Its Leaders : 1857-1956 - R.K. Kshirsagar
    ৩) Remembering Dakshayani : A Remarkable Dalit Life - Meera Velayudhan / Indian Express
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৯ এপ্রিল ২০২৩ | ৩৭৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন