এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  ইতিহাস  খাই দাই ঘুরি ফিরি

  • বাংলার নবাবি কেল্লা ও কেল্লাবাসীর কিসসা - ৯

    ফারুক আব্দুল্লাহ
    ধারাবাহিক | ইতিহাস | ১৬ জুন ২০২২ | ২৬৮৭ বার পঠিত

  • কেল্লার ভেতরে নবাবের দরবারের আলো নিভে গেছে, বহু বছর হল নবাবী গৌরবও অস্ত গিয়েছে। শ্বেত পাথরের ফোয়ারায় আর রঙধনু রং ধরেনা, এখন আর নবাবের ভাঙ্গা প্রাসাদ থেকে দরবারী কানাড়া, দাদরা ঠুংরির আওয়াজ ভেসে আসেনা, প্রতি সন্ধ্যায় সারেঙ্গীর সুরও আর বাজেনা। নবাবের সাধের ফুলের বাগান আজ গভীর জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। আজ আর কেল্লার রাস্তায় নবাবের ফিটন গাড়ি চলেনা, প্রাসাদের সামনে হাতি এসে বেগম সাহেবদের জন্য অপেক্ষা করে না, দক্ষিণ দরওয়াজা, রৌনক আফজা দরওয়াজার উপরে নহবতখানায় আজ আর সানাই বাজেনা।

    তবুও থেকে যায় সোনালী স্মৃতি, থেকে যায় রেশ,তবুও কেল্লার ভেতরে অতীতের স্মৃতি বুকে নিয়ে আজও রয়ে গেছেন নবাবদের উত্তরসূরিরা। না পুরনো দিনের গৌরবময় স্মৃতি আজ আর তাদের আনন্দ দেয়না বরং তাদের বেদনা বাড়িয়ে দেয়।

    দেশ ভাগের সময় কেল্লায় বসবাসকারী পরিবারের বাকি সদস্যরা ইংল্যান্ড, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া,পাকিস্তান, বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়লেও তাদের অনেকেই কিন্তু মুর্শিদাবাদ শহরকে ভালবেসে এই শহরেই রয়ে গেছেন। বর্তমানে নিজামত পরিবারের প্রায় ৪৫০ থেকে ৫০০ জন সদস্য কেল্লা নিজামতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবাস করছেন।



    একসময় নিজামত পরিবারের সদস্যরা কেল্লার ভেতরে অবস্থিত বিভিন্ন প্রাসাদে বসবাস করতেন কিন্তু একটা সময় প্রাসাদ গুলি অধিগ্রহণ করা শুরু হলে প্রাসাদে বসবাসকারী নবাব পরিবারের মানুষগুলির অবস্থা দুর্বিসহ হয়ে পড়ে। তখন তাঁরা কেল্লার ভেতরেই বিভিন্ন পরিত্যক্ত ভঙ্গুর নানান স্থাপত্যে বসবাস করতে শুরু করেন। যেমন একসময় কেল্লার পাহারা দেওয়ার জন্য কেল্লার বাইরের দিকে নবাবী সেনাদের বসবাস করার ব্যারাক ছিল,সেই সব ব্যারাকে আজ নিজামত পরিবারের মানুষরা বসবাস করেন, এছাড়াও কেল্লার এক সময়ের ব্যান্ড মাস্টার কোয়ার্টার, পুরনো প্রিন্সেস কোয়ার্টার সহ পুরনো আমলের বেশ কয়েকটি বাড়িতেও নিজামত পরিবারের বহু মানুষ বসবাস করছেন। কেল্লার ভেতরে নিজামত পরিবারের অনেকে আবার কেল্লার ভেতরে নতুন বাড়ি নির্মাণ করেও তাতে বসবাস করছেন।

    একসময় নিজামত পরিবারের সদস্যরা রাজকীয় ভাতা পেতেন, কোনো ভাতা ভোগী মৃত্যুবরণ করলে সেই ভাতা মৃত ব্যক্তির পরিবারের মানুষদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হতো কিন্তু ইন্দিরা গান্ধীর আমলে এই নিয়ম বাতিল হয়ে যায়, এবং নতুন নিয়ম অনুযায়ী ভাতা-ভোগী ব্যক্তির মৃত্যুর পর তাঁর ভাতা বন্ধ হয়ে যায়। এই নতুন নিয়মের ফলে নিজামত পরিবারের সদস্যরা অর্থনৈতিক ভাবে ভীষণ দুর্বল হয়ে পড়েন এবং সরকারের অধিগ্রহণ করা নবাবী প্রাসাদে তাঁরা বিভিন্ন ছোট খাটো পদে চাকরী করে কোনো রকমে জীবিকা নির্বাহ করে চলেছেন। বর্তমানে সরকারের প্রতি তাদের অনেক অভিমান রয়েছে, কিন্তু আজ তাদের সমস্ত অভিমান, অভাব-অভিযোগ শুনে মানবিকতার সাথে সেগুলি প্রতিকার করার মতো কেউ নেই। নিজামত পরিবারের সব সদস্যরই যে এমন অবস্থা তা কিন্তু নয়, নিজামত পরিবারের কিছু এমন সদস্যও রয়েছে যারা পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরকারি উচ্চপদে নিযুক্ত আছেন। কেল্লায় বসবাসকারী নিজামত পরিবারের অনেকে শিক্ষক সদস্য রয়েছেন, এছাড়াও রয়েছে অনেক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ সহ আরও অনেক পেশার মানুষ। নিজামত পরিবার গুলি আজও তাদের পুরনো তেহজিব ধরে রেখেছে। হোক বয়সে ছোট কিম্বা বড় সবাইকে তাঁরা "আপ" সম্বোধন করেই কথা বলেন।নবাব যদি বয়সে ছোটোও হতেন তবুও তাঁর চেয়ে বয়সে বড় আত্মীয়স্বজনরা তাকে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানিয়ে কথা বলতেন।খেতে বসার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম চালু ছিল, নবাব খাওয়া শুরু করলে তবেই বাকিরা মুখে খাবার তুলতেন। খেতে বসে কোনো কথা বলা যেত না, খাবার খাওয়ার সময় মুখে কোনো আওয়াজ করা যেত না, খেতে বসারও নির্দিষ্ট পদ্ধতি ছিল, কারো খাওয়া হয়ে গেলেও নবাবের আগে খাওয়া ছেড়ে উঠে যাওয়ার কোনো নিয়ম ছিলনা, হঠাৎ করে কারো ওঠার প্রয়োজন হলে নবাবের অনুমতি নিয়ে তবেই ওঠা যেত। নবাবী আমল না থাকেলও এই নিয়ম গুলি আজও নিজামত পরিবারে প্রচলিত রয়েছে।



    আজকাল নিজামত পরিবারের খাওয়া দাওয়াতেও বহু পরিবর্তন হয়েছে। নবাবী আমলের সেই সব শাহী খাবার আজ আগের মতো নিয়মিত রান্না হয়না তাদের রসুইখানায়। এর পেছনে অবশ্যই অর্থনৈতিক কারণ রয়েছে তবে শুধু অর্থনৈতিক কারণই নয় স্বাস্থ্যগত কারণও এর জন্য দায়ী, কারণ নবাবী শাহী খানায় যে পরিমাণ মসলা ও ঘি ব্যবহার করা হয় তা খেলে শরীর বহু রোগের আঁতুড়ঘরে পরিণত হবে।একবার ছোট নবাব কথা প্রসঙ্গে আমাকে বলেছিলেন যে তাদের শাহী বিরিয়ানি হজম করা সবার পক্ষে সম্ভব নয়, শাহী বিরিয়ানি খাওয়ার অভ্যাস না থাকলে এই বিরিয়ানি খেয়ে হসপিটালে ভর্তি হতে হবে।নিজামত পরিবারে বর্তমানে প্রতিদিনের খাওয়া-দাওয়া প্রায় সাধারণ বাঙালিদের মতোই হয়ে গিয়েছে তবুও বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে কিম্বা বাড়িতে কোনো মেহমান এলে তার জন্য আজও শাহী খানার আয়োজন করা হয়।



    নিজামত পরিবারের প্রবীণ সদস্যদের মুখে শোনা যায় তাদের শৈশব জীবন কেটেছে খুব কড়া নিয়ম কানুনের মধ্যে। তাদের স্বাধীনতা খুব কম ছিল সব সময় তাদের পেছনে ভৃত্য নিযুক্ত থাকতো, তাঁরা কখনোই কেল্লার বাইরে একা একা যেতে পারতেন না, নিজামত পরিবারের বাইরের কোনো বাচ্চাদের সাথেও তাদের খেলাধুলো করার আদেশ ছিলনা কারণ তাদের অভিভাবকদের ধারণা ছিল নিজামত পরিবারের বাইরের বাচ্চাদের সাথে তাদের বাচ্চারা মেলামেশা করলে তারা খারাপ সংস্কৃতি শিখবে নবাবী তেহজিব ভুলে যাবে। নিজামত পরিবারের বাচ্চারা স্কুলে গেলেও তাদের সাথে চারজন করে ভৃত্য থাকতো। জানা যায় যদি বাচ্চাদের একটা মশায় কামড়ালেও তাদের সাথে থাকা ভৃত্যদের জরিমানা করা হতো। নিজামত পরিবারের মহিলা সদস্যদের ক্ষেত্রে বাধানিষেধ অনেক বেশী ছিল, তাঁরা বাইরে কোথাও বের হলে পালকি করে কিম্বা চারিদিক ঘেরা ঘোড়ার গাড়ি কিম্বা উটের গাড়িতে করে বেরত। সব সময় যে কাজের উদ্দেশ্যই তাঁরা বেরতেন এমন নয় কিন্তু অনেক সময় শহর পরিভ্রমণেও তাঁরা বেরতেন।কাজ বা ভ্রমণ শেষে তারা যখন পালকি কিম্বা ঘোড়ার গাড়ি করে ফিরতেন কেল্লার ভেতরে প্রাসাদে তখন গাড়ি থেকে নামার সময় একদল ভৃত্য বড় বড় কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে রাস্তা তৈরি করে দিত। সেই রাস্তার মধ্যে দিয়ে নিজামত পরিবারের মহিলারা গাড়ি থেকে নেমে প্রাসাদের ভেতরে চলে যেতেন।আবার বাইরের কোনো পুরুষ সদস্য প্রাসাদের ভেতরে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই ভৃত্যরা উচ্চ গলায় পর্দা করার কথা ঘোষণা করতেন, প্রসাদের ভেতরে যেসব মহিলারা অপ্রস্তুত অবস্থায় থাকতেন তারাও এই নির্দেশ শুনে পর্দা করে নিতেন। নিজামত পরিবারের মহিলাদের কেল্লার ভেতরেই আলাদা জগৎ ছিল সেই জগতেই তাঁরা বিচরণ করতেন।



    নিজামত পরিবারের সদস্যদের বিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিজ বংশেই হয়ে থাকে। তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে মুর্শিদাবাদের নিজামত পরিবারের সাথে অওধের শাসক পরিবারের বিবাহ হতো। মুর্শিদাবাদ শহরের রাজাবাজারে বসবাসকারী নিজামত পরিবারের এক প্রবীণ সদস্য ওয়াসিফ বাহাদুর ছিলেন এমন একজন মানুষ যার বাবা ছিলেন অওধের নবাব অসফ উদ দৌলার বংশধর এবং তাঁর মা ছিলেন বাংলার নবাব মুবারক উদ দৌলার বংশধর। ফলে ভদ্রলোকের শরীরে বইছে দুই শাসক বংশের রক্ত।

    দেশভাগ ও তার পরবর্তীকালে বিশেষ করে নিজামত পেনশন বন্ধ হয়ে গেলে নিজামত পরিবার গুলিতে যে আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছিল সেই সময়তে হাজার আর্থিক কষ্ট সহ্য করেও নিজামত পরিবারের সদস্যরা তাদের আত্মমর্যাদা বিনষ্ট করেননি। আমি নিজামত পরিবারের এক সদস্যের কাছে শুনেছিলাম যে, তীব্র আর্থিক কষ্টের সময় নবাব পরিবারের কিছু সদস্য তাদের পৈতৃক সূত্রে পাওয়া গয়না বিক্রি করেও সংসার চালিয়েছেন। কিন্তু মজার বিষয় হল তাঁরা সেই গয়না বিক্রি করতেন সবার অলক্ষ্যে যাতে কেউ বুঝতে না পারেন নিজামত পরিবারের দৈন্যদশার কথা। বহুবার অবস্থা এমনও হতো যে গয়না বিক্রি করতে গিয়ে সেখানে তৃতীয়পক্ষ কেউ চলে এলে তখন সেই গয়না ক্রেতাকে বিনামূল্যেই দিয়ে চলে আসতেন যাতে তৃতীয় পক্ষের টের না পায় যে নিজামত পরিবারের সদস্যরা গয়না বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছে। এতে তাদের বংশের মর্যাদাহানি হবে কারণ এই বংশের পূর্বপুরুষরাই এক সময় সমগ্র বাংলা বিহার উড়িষ্যার শাসক ছিলেন।

    নিজামত পরিবারের এক প্রবীণ সদস্যকে একবার বলতে শুনেছিলাম যে তিনি মুর্শিদাবাদের কোনো চায়ের দোকানে বসে চা খেতে পারবেন না, এতে তাঁর আত্মসম্মানে বাধে, কিন্তু মুর্শিদাবাদ শহরের বাইরে অবশ্য কোনো সমস্যা নেই।আবার এমনও অনেক প্রবীণ সদস্য রয়েছেন যারা আজও সাইকেলে করেই সমগ্র মুর্শিদাবাদ শহর ঘুরে বেড়ান, ব্যাগ হাতে বাজারে যান।



    বর্তমান সময়ে মুর্শিদাবাদের নিজামত পরিবার বলতে কিন্তু নাজাফি বংশের বা মীরজাফরের উত্তরসূরিদেরকেই বোঝানো হয়ে থাকে।তারাই আজ কেল্লায় বসবাস করেন। মীরজাফরকে ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষ বিশ্বাসঘাতক বলে চিনলেও মুর্শিদাবাদের শহরবাসীদের কিন্তু মীরজাফর ও তাঁর বংশধরদের নিয়ে তেমন কোনো তিক্ততা নেই। এলাকাবাসী তাদের যথেষ্ট সমীহ করেন। আর করবে নাই বা কেন? মুর্শিদাবাদ শহরের অধিকাংশ নবাবী স্থাপত্য যে মীরজাফরের বংশধরদেরই তৈরি। শুধু তাই নয় মুর্শিদাবাদ যে একটা সময় সংস্কৃতির অন্যতম কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল তাতেও এই মীরজাফর বংশীয়দের বিরাট অবদান রয়েছে। মীরজাফরকে বিশ্বাসঘাতক বলা হলেও তাঁর বংশধরদের কাছে অবশ্য মীরজাফর কোনো ভাবেই বিশ্বাসঘাতক ছিলেন না, কেনো ছিলেন না সে বিষয়ে তাদের কাছে অনেক যুক্তি প্রমাণও রয়েছে।সেই সব যুক্তি গুলিও পরের কোনো পর্বে জানাবো।

    বর্তমানে কেল্লা নিজামতে শুধুমাত্র নিজামত পরিবারের মানুষরাই নন সেই সাথে নিজামত পরিবারে কর্মরত বেশ কিছু ভৃত্যদেরও নবাবী আমল চলে যাওয়ার পর খুব সম্ভবত বিংশ শতকের প্রায় ছয় কিম্বা সাত দশকের কোনো এক সময়ে কেল্লার ভেতর বসবাসের জন্য জায়গা দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও কেল্লার চক গেটের সন্নিকটে কেল্লার ভেতরে ইরানি সম্প্রদায়ের বহু মানুষও বসবাস করে। অন্যদিকে ভাগীরথীর সন্নিকটে বালাখানা প্রাসাদের নীচের তলাতেও বেশ কিছু গৃহহীন অসহায় মানুষের বসবাস রয়েছে। বালাখানার উপর তলাতেও এক ব্রাহ্মণ তার পত্নী নিয়ে একাকী বসবাস করেন। কেল্লায় বসবাসকারী নিজামত পরিবারের বাইরের এই সমস্ত মানুষগুলিকে কেল্লায় বসবাস করার অনুমতি অবশ্য নিজামত পরিবার থেকেই দেওয়া হয়েছে।



    কেল্লায় বসবাসকারীরা প্রতি বছর নওরোজ, বেরা, মহরম শবেবরাত, রমজান ও দুই ঈদ সহ আরও বেশ কিছু উৎসব ও অনুষ্ঠান উপলক্ষে মেতে ওঠেন। পরের পর্বে এই সব নানান উৎসব অনুষ্ঠানের কথা আপনাদের জানাবো।




    ছবি - লেখক



    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ১৬ জুন ২০২২ | ২৬৮৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ১৬ জুন ২০২২ ১৮:০৯509072
  • এবারে অনেকদিন পরে এলো এই লেখাটা।  
     
    ইন্দিরা গান্ধী  এই একটা ভাল কাজ করেছিলেন। বংশানুক্রমে ভাতা পেয়ে যাওয়া আবার কি রকম আবদার! 
     
    পরেরটা যেন একটু তাড়াতাড়ি আসে।
  • আয়েশা সিদ্দিকা | 2409:4061:2d80:b191:be50:304d:eeab:c5a9 | ১৬ জুন ২০২২ ১৯:০৯509073
  • খুব সুন্দর লেখা হয়েছে , নবাবদের বিষয়ে অনেককিছু জানতে পারলাম : 
  • Dipak Das | ১৭ জুন ২০২২ ১৬:৪৭509101
  • ফারুক, অনেক কিছু জানলাম। 
  • Prabhas Sen | ১৮ জুন ২০২২ ১৩:৪৮509136
  • আপনার লেখা খুবই স্বাদু। ইতিহাস মূর্ত হয়ে উঠেছে। আরো পড়ার আগ্রহ রইল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন