এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা  রাজনীতি

  • রাজপথ জোড়া কৃষক অবস্থানঃ স্থবির দেশে জন্মদেওয়া এক ইতিহাস।

    Saikat Mistry লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ৩০ নভেম্বর ২০২০ | ৩৮৪৮ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)

  • "তোমার আছে বন্ধুক, কারণ আমার আছে ক্ষুধা"- জনগণ ক্ষুদার্ত, তাই রাষ্ট্রের দরকার অস্ত্রের। কিন্তু অস্ত্র শেষ কথা বলেনা। এই তো কয়েকদিন আগে  মহামারী পরিস্থিতির সুযোগে মহামহিম রাষ্ট্রনেতারা পার্লামেন্টে পাশ করলেন নয়া কৃষি বিল। এই বিল কারস্বার্থে সকথা সবার কাছেই স্পষ্ট। ভক্ত হলে অন্যকথা। কৃষিব্যবস্থাকে বহুজাতিকের প্রতিযোগিতার অসম বাজারে আনার এই খেলায় ছোট থেকে বড় জোতের কৃষক যে সর্বস্বান্ত হবে তা তারা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন। শুরু থেকে তারা দাবি করেছেন পাশ হওয়া তিনটি কৃষিবিল প্রত্যাহার করার জন্য। না, বহুজাতিক কর্তাভজা সেকথা আমল দেয়নি। স্বপ্নের ফানুস উড়ছেন। সে ফানুসে ভাসতে এদেশের কৃষকেরা নারাজ। এদেশে প্রতিদিন  ৩৬ জন কৃষক ঋণের দায়ে আত্মহত্যা করে। নথিভুক্ত সংখ্যার থেকে বাস্তবটা আরও মারাত্মক। শেষ দু-দশকে চার লক্ষ কৃষক আত্মহত্যা এদেশে ঘটেছে।ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরায়। তাই বহুজাতিক কর্তাভজার স্বপ্নের পানসিতে তারা চড়েনি। শাসকের- শোষকের বিরুদ্ধে গলা তোলার শেষ দরবার রাজপথকে তারা বেছে নিয়েছে। কনকনে ঠান্ডাতেও অবরুদ্ধ করে রেখেছে রাজধানীতে ঢোকার সব রাস্তা। একুশ শতকে জন্মদিয়েছে ইতিহাসের। 


    গ্রাম স্বয়ংসম্পূর্ণ।  ১৭৯৩ সালের চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের হাত ধরে গ্রাম সমাজের, কৃষি সমাজের পরিবর্তন আসে। তবে এদেশের কৃষকেরা দীর্ঘ সময় সেসব মানে নি।সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহে এদেশের কৃষকরা সোচ্চার হয়েছে।১৯১৪ এর প্রজাস্বত্ব আইনকে ব্রিটিশ সরকারের পরিবর্তন করতে হয়েছে। স্বাধীনতার প্রাক সময় তেভাগা, তেলেঙ্গানার আঁচে উত্তপ্ত হয়েছে দেশ। তেলেঙ্গনায় ' ভেতি' আইন পরিবর্তন করতে হয়েছে শাসকদের।কৃষকের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। নকশাকবাড়ির কৃষক সংগ্রাম আজ কিংবদন্তি। সুদীর্ঘ লড়াই এদেশের অধিকারহীন কৃষকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে।


    এদেশে ৬ হাজার ৯০০ টি মান্ডি, বেঁধে দেওয়া এম এস পি সত্বেও ফসলের দাম না পাওয়ার অভিযোগ বিস্তর। লড়াইটা ছিল স্থানীয় ফড়ে- আড়তদারদের সাথে।ছোট জোতের কৃষকরা তাতে ডাহা  ফেল করেছে বার বার। বড় জোতের চাষিরা লড়াইটা লড়তেন। নয়াকৃষিবিল এবার লড়াইটা বহুজাতিক সাথে লড়িয়ে দিতে বদ্ধপরিকর ঢাল- তলোয়ার হীন কৃষকদের। এদেশের কৃষক শাসকের জুলুমকে মানেনি। এবারও মানছে না।


    হরিয়ানা থেকে দিল্লি ঢোকার টিকরী, সিংঘু সীমান্ত অবরুদ্ধ। ১ নং জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে আছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বুরারি ময়দানে কৃষকদের সাথে শর্তসাপেক্ষ আলোচনার প্রস্তাব কৃষকরা মানেনি। তাদের জলকামান, লাঠি,গুলিদিয়ে ঠেকিয়ে রাখতে রাষ্ট্র ব্যর্থ। হরিয়ানার খাপ পঞ্চায়েতও যোগ দিচ্ছে।কেউ প্রতিপ্রশ্ন করতে পারেন, কায়েমি স্বার্থ কি এদের নেই? অবশ্যই আছে। হয়ত। লড়াই হলে নানা লোক জমে।আবার চলার গতিতে একসময় স্বার্থের নির্মোক খসে যায়।এটাই ভরসা। কৃষক লড়াইতে প্রাণ হারিয়েছেন জনক রাজ। গুরুদ্বারা কৃষকদের জন্য খুলে গেছে। অন্ন- বস্র- আশ্রয় দিয়ে আমাদের অন্নদাতা কৃষকদের আশ্রয় জোগাচ্ছে এদেশের মানুষ।উত্তর ভারত।একুশ শতকের শাইনিং ইন্ডিয়ার জাঁকজমক আর পরষ্পর বিচ্ছিন্নতার করোনা হাতিয়ারকে ভোঁতা করে  এক এক দৃঢ় বন্ধন, মানবিক বন্ধনে জুড়ে গেছো দেশের অন্নদাতারা।সময়ের চাকা ঘুরছে। জলকামান, লাঠিগুলি, পুলিশি মিথ্যা মামলার বুনটে ঠাঁসা শোসক রাষ্ট্রের চোখে চোখ রেখে বুঝিয়ে দিলেন কৃষকেরা, রাজপথই কথা বলে।কনকনে ঠান্ডায় রাজপথ জুড়ে সহস্র কৃষকের আগুয়ান মিছিল  এই বার্তাই স্পষ্ট করে দিল শক্তিমান রাষ্ট্রের বন্দুক যত শানিত হোক না কেন, তার থেকেও শক্তিমান হাতিয়ার জনগণ এই লড়াকু কৃষাণেরা এদেশের ইতিহাসে আর একটি উজ্জ্বল পালক জুড়ে দিয়ে গেল।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অরিন | ০১ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:০৩733273
  • এটা দেখুন,


  • santosh banerjee | ০১ ডিসেম্বর ২০২০ ২০:১৭733279
  • অতি জঘন্য  ভাবে এই ফ্যাসিস্ট সরকার এই সব অন্নদাতা দের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে ।।..মাও বাদী ।..খালিস্তানি ..আরো কত কি অপবাদ ...এটা রাজনৈতিক দলের চক্রান্ত ..ইত্যাদি !!..হাঁ রাজনৈতিক তো বটেই ।..তোমরা দিল্লী তে এসি  রুমে বসে ।..হায়দরাবাদে গিয়ে ।...ত্রিপুরা তে ।..পশ্চিম বঙ্গে চুটিয়ে রাজনীতি করবে ।ওরা  কেন করবে না চাঁদু ??আম্বানি ।..আদানি...টাটা ।..আরো ১৫ - ২০ টা গন শত্রু কে দেশ নিলামে বিক্রি করছো ।..নির্লজ্জ্যের মতো তোমাদের মনের কথা বলছো ।..যেখানে ঈশপের গল্প বলে এক দাদু ।..মেরুদণ্ড হীন ।..বিবেক হীন কিছু প্রাগৈতিহাসিক জীব !!! দিল্লির ঘন কুয়াশায় ।..তীব্র শৈত্য প্রবাহে এনারা লড়ছেন ।..এদের প্রত্যেকের একটা করে মেরুদণ্ড আছে।..যেটা তোমাদের নেই।..তাই তোমরা হারছ ।..পুলিশ ।..মিলিটারি... করোনার অস্ত্র হাতে নিয়েও গো হারা হারছ ।..উলঙ্গ রাজারা !!!


    পুনশ্চ :- যখন রাত্রে মুখের সামনে খাবারের থালা টা ধরবে ।..মনেরেখো ।..ওই খাবার এনারা তৈরি করে তোমাদের মুখে তুলে দিচ্ছেন ।..গণশত্রু রা !!!

  • অরিন | ০২ ডিসেম্বর ২০২০ ০১:১৭733280
  • ২০০৬ সালে বিহারে APMC স্ক্র্যাপড হয়েছিল। তাতে করে যে বিহারের কৃষকদের ভাগ্য খুলেছে তার কোন প্রমাণ নেই | উলটে বিহার উত্তর প্রদেশ থেকে পাঞ্জাবে চাল গম পাচার করা হয় ভাল দাম পাবার জন্য |


    পাঞ্জাবী চাষীদের বক্তব্য হচ্ছে যে এদের ক্ষেত্রে APMC ভাল সার্ভিস দিচ্ছে, সেক্ষেত্রে এপিএমসি কে একেবারে কমপিটিটিভলি বাজার থেকে সরিয়ে দেবার উদ্যোগ না করে বরং তার দেশজোড়া সংস্কার করলে আখেরে লাভ হতে পারে | 


    কিন্তু সে কাজ কেন্দ্রীয় সরকার করতে রাজি নন, কারণ তাতে রাজ্যের রেভিনিউ বাড়লেও কেন্দ্রের হয়ত অর্থনৈতিক লাভ নেই | এখন কৃষির বিপণনের সব কিছু বাজারের হাতে ছেড়ে দিলে ছোট কৃষকের বা যারা খুব ডাইভারসিফাই করবেন তাঁদের যে লাভ হবে না, তা তো নয়। কিন্তু এ কাজ খুব ভেবেচিন্তে করা উচিৎ , বা হলেও সরকার বা সমাজের তরফে নানা রকমের চেকস ব্যালানসেস থাকা চাই |


    না হলে অনেক রকমের সমস্যা |


    এক, কৃষকদের মধ্যে (শুধু ভারত নয়, সর্বত্র), আত্মহত্যার সাংঘাতিক স্ট্যাটিসটিকস। এর অনেক কারণ, তার মধ্যে একটা ব্যাপার উষ্ণায়নের জন্য আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতি যে কৃষিকাজ কিন্তু বেশ রিস্কি ব্যাপার। সে ক্ষেত্রে সরকার বা সমাজের নিয়ন্ত্রণে কৃষি আউটপুট এক রকমের ব্যাপার, একটি সামাজিক সুরক্ষার প্রয়োজন আছে। করপোরেটের হাতে ছেড়ে দিলে সেটি হবে কি? হলেও যে পরিমাণ ইনসিওরেনস দিতে হবে, ছোট কৃষক পারবেন না, ছেড়ে দিতে হবে বা কনট্র্যাকট কৃষি করতে হবে। এতে করে কার ভাল কার খারাপ সেটি বিবেচনা করা উচিৎ। নীতি আয়োগের পেপার পড়লে এই ব্যাপারটি নিয়ে চিন্তা করে দেখা হয়েছে বলে মনে হয় না। যার ফলে খুব ড্রাসটিক পরিবরতন আনলে কৃষকদের মানসিক ও শারীরিক ব্যাপারটির দিকে নজর দেওয়ার একটা ব্যাপার আছে। এদের আন্দোলন কিন্তু অমূলক নয়, কারণ পাঞ্জাবের কৃষি ভারতের অন্যান্য জায়গার কৃষিকাজের থেকে অনেক ব্যাপারে আলাদা। 


    দুই, এমনিতেই ভারতে কিছু ক্রপ ওভার প্রোডিউসড | করপোরেট চাপে পড়ে এর আরো বারোটা বাজবে। এতে করে পরিবেশ, বিশেষ করে মাটি ও জলের ডিগ্রেডেশন হতে বাধ্য | অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা তাই বলে | তজ্জনিত অসুখ-বিসুখ ও জনস্বাস্থ্যজনিত সমস্যা কিন্তু মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে, বিশেষ করে ভারতের মতন জনবহুল দেশে।


    তিন, খাবার জিনিসের দাম অবধারিত ভাবে বাড়বে। এতে করে খাদ্যসংকট ও পুষ্টির সমস্যা দেখা দেওয়া, বিশেষ করে গরীব মানুষদের, কিন্তু খুব অমূলক নয়। 


    যা হোক, যেটা বলার, সেটা হচ্ছে যে কৃষকরা যখন এইরকম তীব্র আন্দোলন করছেন, তখন সেটির দিকে মন দিয়ে বোঝার একটা জায়গা আছে এঁরা কেন আন্দোলন করছেন | জোর জবরদস্তি করে জল কামান দিয়ে, অকারণ এঁদের কথা না শুনে চাপে রেখে অনড় অবস্থান পারতপক্ষে দেশের ক্ষতি না করে সে সম্বন্ধে সাবধান হবার সময় এসেছে। 

  • Amit | 121.200.237.26 | ০২ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:১৮733281
  • এখন ইন্ডিয়াতে কেও কিছু আন্দোলন করছে মানেই সে আন্টি ন্যাশনাল।  সিম্পল  সোজা ন্যারেটিভ। ট্রাইড এন্ড টেস্টেড নাত্সি মেথডোলজি। সোশ্যাল সিকিউরিটি , ফুড বা নিউট্রশন সিকিউরিটি এসব নিয়ে চিন্তা করা অনেক রিসার্চ আর খাটুনির বিষয়। ওসবে কী লাভ। তার থেকে কাশ্মীরে কয়েকজনকে গুলি করে মেরে ফেলে তারপর পাকিস্তান টেরোরিস্ট বলে সাজিয়ে ফটো অপ করলে বেটার ফুটেজ পাওয়া যায়। ভোটও আসে। 


    আর এদের প্রোপাগান্ডা মেশিনারি কাজেও আসছে বেশ। সত্যি বলতে আমি কৃষি বিল নিয়ে একদমই কিছু জানিনা। কিন্তু গত কদিনে দেখছি স্কুল কলেজের হোয়াটস্যাপ গ্রূপ গুলোতে আমার বন্ধুবান্ধব সবাই যারা কেও জীবনে চাষবাস দেখেনি (জানি , কারণ সবাই একসাথেই  বড়ো হয়েছি কলকাতায়) তারা সবাই হটাৎ করে কৃষি বিলের বেনিফিটস  নিয়ে এক্সপার্ট হয়ে গেছে আর এই আন্দোলন কতটা উসেলেস সেসব নিয়ে প্রবন্ধ নামাচ্ছে। 


    আর এতো বড়ো দেশ। কার সময় আছে এক নিউস নিয়ে পড়ে থাকার? কদিন পরেই এসবও পেছনের পাতায় চলে যাবে।যোগিরাজ্যে হাতরাসে দলিত মেয়েটার খুনের খবর এখন দেখা যায় কোথাও ? এতদিনে সেই ঠাকুর ছেলেগুলো ছাড়াও পেয়ে গেছে হয়তো। 

  • অরিন | ০২ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:২৯733282
  • "কিন্তু গত কদিনে দেখছি স্কুল কলেজের হোয়াটস্যাপ গ্রূপ গুলোতে আমার বন্ধুবান্ধব সবাই যারা কেও জীবনে চাষবাস দেখেনি (জানি , কারণ সবাই একসাথেই  বড়ো হয়েছি কলকাতায়) তারা সবাই হটাৎ করে কৃষি বিলের বেনিফিটস  নিয়ে এক্সপার্ট হয়ে গেছে আর এই আন্দোলন কতটা উসেলেস সেসব নিয়ে প্রবন্ধ নামাচ্ছে। "


     এইটাই তো হয়েছে  মুশকিল । 


    এমনকি নীতি আয়োগের রিপোর্ট টিও যাঁরা লিখেছেন তাঁরা কেউ কোনোদিন কৃষিকাজ করেছেন বলে মনে হয়  না,সবটাই তত্ত্বের । 


    সায়েব যখন শেখায় ইউজার ড্রিভেন হতে, তখন দেখবেন বড়  বড় কথার বন্যা বইয়ে দেবে (আমার নিজের ভারতে  ডিজাইন থিংকিং শেখানোর  অভিজ্ঞতা থেকে বলছি), অথচ দেখুন এখানে ইউজার রা নিজেরা সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করতে চাইছেন, তখন শুধু armchair  এক্সপার্ট  দের  কথাই শোনা হচ্ছে । 

  • Saikat Mistry | ০২ ডিসেম্বর ২০২০ ২৩:৪৭733296
  • নিজের হাতে ধান চাষ করেছি। সুতরাং মাঠের সবুজ কিভাবে সোনালী হয় তা চাষিই জানে। এপিএম সিরর ভূমিকা কোথাও খোলা বাজারের সমান্তরাল।  বিতর্ক চলুক।

  • অরিন | ০৩ ডিসেম্বর ২০২০ ০২:৩০733298
  • সৈকত, আপনার পরিপ্রেক্ষিত থেকে একটু APMC আর Msp নিয়ে একটু লিখুন। আমি এদেশের পরিপ্রেক্ষিতে লিখবো যে সরকারি এবং সামাজিক সুরক্ষার বিষয়টিকে উপেক্ষা করার কি মারাত্বক পরিণতি হতে পারে। এ কিন্তু সারা বিশ্ব জুড়ে চলছে। ভারতে এর প্রভাব ভয়ংকর হতে পারে! 


    পাঞ্জাবের কৃষকদের শতকোটি প্রণাম! দিল্লির এই শীত উপেক্ষা করে, সরকারের চোখ রঙানির চোখে চোখ রেখে এঁরা দেখছেন আন্দোলন কাকে বলে। 

  • Abhyu | 47.39.151.164 | ০৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০০:১৩733319
  • অল্ট নিউজে প্রতিবাদ পাঠানো উচিত যে লেখায় কোথাও বলা নেই এটা দিল্লীর ছবি। এটা কৃষক আন্দোলনের ছবি। ফেক নিউজ হতে যাবে কেন?

    আর ছবির তলায় ক্যাপশনও দিয়ে দেওয়া হোক এটা কোথাকার ছবি। ছবি কোথা থেকে নেওয়া তার সোর্সও স্বীকার করা উচিত।

  • from ScoopWhoop Unscripted | 198.137.20.25 | ০৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৯:২৫733320
  • debu | 75.80.183.99 | ০৭ ডিসেম্বর ২০২০ ১১:৪৮733321
  • ফার্মার্স বিল টা ভালো করে পড়ুন একপেশে গান্ডুদের মতো লিখবেননা , ইউরিয়া স্ক্যাম টা কিভাবে বন্ধও হয়েছে জানেন কি (নীম  কোটিং দিয়ে ) ? <APMC> টা নিযেও রিসার্চ করুন তারপর লিখুন .

  • | ০৭ ডিসেম্বর ২০২০ ১১:৫৫733322
  • অভ্যুর সাথে দ্বিমত। 


    লেখাটায় নির্দিষ্টভাবে এটাও বলা নেই যে এটা পুরানো ছবি। কাজেই  এটাকে বর্তমান বিক্ষোভের ছবি ভেবে প্রচার চলেছে, এখানেও যে সেটাই হয় নি সেটাও কিন্তু ক্লিয়রলি বলা নেই। 


    আর চাড্ডিরাও মোটামুটি এওরকম করে। ভোজপুরী ফিল্মের দৃশ্য কেটে একটা দাঙ্গার গল্পের সাথে জুড়ে দেয়। লোকে ধরে নেয় ঐ দাঙ্গারই ছবি এটা। সেটা অল্ট নিউজ  ধারাবাহিকভাবে হাইলাইট করে চলে। চাড্ডি মেসেজগুলোতেও অনেকসময়ই ক্লিয়ারলি বলা থাকে না যে এটা ঐ ঘটনারই ছবি।  সেক্ষেত্রে ওরাও ঐসব দাবী করবে। ইন ফ্যাক্ট করেও মাঝে মাঝে। 


    আমার মতে সৈকত মিস্ত্রির এখানে হয় ছবিটার সাথে এর স্থান কাল উল্লেখ করা উচিৎ পরিস্কারভাবে অথবা ছবিটা সরিয়ে নেওয়া উচিৎ। 

  • Abhyu | 47.39.151.164 | ০৭ ডিসেম্বর ২০২০ ১২:৩৫733323
  • হ্যাঁ আমিও তো দমুদির লাস্ট লাইনটা লিখেছি, একটু অন্য ভাষায়। তবে একটা জিনিস বুঝতে আমার ভুল হয়েছিল, এটা এডিটেড লেখা নয়। আসলে ভাটে হানুদাকে দোষ দেওয়া হচ্ছিল দেখে মনে হল যে এটা হয়তো ওর এডিট করা। অবশ্য যে লিখেছিল সে বেনামী সুতরাং আলফাল বকতেই পারে।

  • | ০৭ ডিসেম্বর ২০২০ ১২:৪৫733324
  • আচ্ছা। আমি ভাট দেখি নি। অল্ট নিউজে দেখে এখানে লিখতে এসে দেখলাম তুমি লিখেছ। 


    এডিটেড লেখা নয় তাই প্রাথমিক দায়িত্ব ইউজারের। ইউজারের উচিৎ ঐ যেমন যেমন বললাম। না করলে কর্তৃপক্ষ  তখন মুছে দিতে পারে।  ফেসবুক বা ট্যুইটারে  ফেক ছবি (মানে যে ঘটনার সাথে দেওয়া হয়েছে সেটার নয় অন্য ইভ্ভেন্টের হলেও ) রিপোর্টেড হলে ফেসবুক বা ট্যুইটার  সরিয়ে দেয়। সেখানেও সবই ব্যক্তিগত প্রোফাইল থেকেই হয় মূলতঃ। 

  • b | 14.139.196.16 | ০৭ ডিসেম্বর ২০২০ ১৫:০৩733325
  • @ দেবু, আপনিই না  লিখুন ভালো করে। 

  • debu | 75.80.183.99 | ০৮ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:৩৭733328
  • <

    >


    ইটা  দেখুন 

  • debu | 75.80.183.99 | ০৮ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:৪১733329
  • হ্যা পড়ে ফেল্লাম আপ্নার দৌড়  আবাপ পর্যন্ত , আপনারা খুবই বায়াসড 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন