এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • জরুরী অবস্থা

    সামরান হুদা
    আলোচনা | বিবিধ | ১৫ এপ্রিল ২০০৭ | ৭২৫ বার পঠিত
  • মা হজ্জ্বে যাবেন। মায়ের সাথে আমার দেখা করতে যাওয়ার কথা ছিলো নভেম্বরের শেষে। কিন্তু বাংলাদেশের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বাবা বারণ করলেন তখন যেতে, বললেন, এখন এলে আটকে পড়বে। প্রায় প্রতিদিনই হরতাল আর অবরোধ। এই সময়ে এসো না। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আসার দরকার নেই। আসার দরকার নেই, শব্দটা বেশ পীড়াদয়ক। বাপের কাছেও যেমন তেমন মেয়ের কাছেও। ডিসেম্বরের ১৫তারিখে মায়ের ফ্লাইট ছিল। সেটি ক্যানসেল হয়ে যাওয়ায় যাত্রাই অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। অবশেষে তারিখ পড়ে ২৯শে ডিসেম্বর। আগে থেকে ঠিক করা হজ্জ্ব প্রোগ্রামের সব কিছু ওলট পালট হয়ে যায়, বেশ ভোগান্তি হয় মায়ের। মায়ের ফেরার সময়ে আমি যেতে পারিনি নিজের কিছু অসুবিধে থাকায়। মার্চের প্রথম সপ্তাহে ভিসার জন্যে পাসপোর্ট জমা দিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন অফিসে গিয়ে দেখি তিন সারির লম্বা লাইন। ২ঘন্টারও বেশি লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অবশেষে তারের জাল দিয়ে ঢাকা জানালার ফোকরে হাত গলিয়ে পাসপোর্ট দিলাম । হঠাৎ করে এত লোক বাংলাদেশে যায় কেন! লাইনের পেছনে দাঁড়ানো ভদ্রলোক জবাব দিলেন, ইমার্জেন্সিতে এখন হরতাল অবরোধ কিসসু নেই, এখনি তো যাবার সময়।

    ২২শে জানুয়ারী ২০০৭ এ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়র কথা ছিল বাংলাদেশে। প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগ ও তার সাথী ও সমর্থক ১৪ দলের মহাজোট সেই নির্বাচন বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেয়। শাসক দল বি এন পি ও প্রধান জোটসঙ্গী জামাত নির্বাচন করতে মরিয়া ছিল। প্রেসিডেন্ট ইয়াজউদ্দিন আহমেদের তত্বাবধানে নির্বাচনে যেতে অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ সহ ১৪দলের মহাজোট। তারা লাগাতার আন্দোলন শুরু করে, মিটিং, মিছিল, অবরোধ ও হরতাল দিয়ে। দেশ কার্যত অচল হয়ে যায় এই আন্দোলনে। পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে তিনি জরুরী অবস্থা ঘোষনা করেন। তত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয় যার প্রধান থাকেন ইয়াজউদ্দিন আহমেদ নিজেই। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষেরই তিনি অপছন্দ ছিলেন, খালেদা ঘেষা বলে, প্রবল চাপের মুখে পদ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। নির্বাচনের জন্যে অনুকুল পরিস্থিতি তৈরী না হওয়া পর্যন্ত দেশ চালানোর দায়ভার কাঁধে তুলে নেন বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্ণর ফখরুদ্দীন আহমেদ। সেনাবাহিনী সঙ্গে থাকে আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্যে। এর মধ্যে ফোড়নের মত নোবেল বিজয়ী ড:ইউনুস ঘোষনা করলেন তার রাজনীতিতে আসার কথা, সুতরাং দেশ ঘিরে নানা জল্পনা কল্পনা আর ফিসফাস কানে আসছিল। আর সাথে ছিল সামহোয়ার ইন ব্লগবন্ধুদের কটাক্ষ, ফলে বাংলাদেশ এখন অন্যদেশ এমনটাই মনে হচ্ছিল। কিন্তু কোথায়?

    নোনা ইলিশ কিনতে শান্তিনগর বাজারের এমাথা ওমাথা চষেও না পেয়ে মন খারাপ করে এগিয়ে যাই মাছের বাজারের দিকে, ভাবি, নোনা না হোক, ইলিশ যদি পাই! একজন বিক্রেতা কয়েকটি নধর সাইজের ইলিশ নিয়ে চুপচাপ বসেছিলেন, তার আশে পাশে কোন ক্রেতা এমনকি দামও জিজ্ঞেস করছে না। ভাইকে সাথে নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ি ইলিশের ঝাঁকার সামনে, দাম জিজ্ঞেস করায় সোৎসাহে বলে উঠলেন দোকানী, "জোড়া আঠাইশশো ট্যাহা আফা'। খুব জোর এক কিলো সাইজের একজোড়া ইলিশের দাম শুনে আমি বাকশূণ্য। ধমকে ওঠে ভাই, কি হো মিঞা, আমারে দেইখা কী আপনের দুর্নীতিবাজ সরকারী কর্মচারী বইলা মনে হয় যে এমন একটা দাম কইলেন ? গোবেচারা চেহারার ইলিশ বিক্রেতা বলেন, ভাইজান, কি করুম, তেনারা তো আর বাজারে আহে না, নইলে এই মাছ কী এমনে পইড়া থাকে! বহু দর কষাকষির পর হাজার চারশ টাকায় একজোড়া মাছ কিনে অন্য কোন বাজার না করেই বাড়ি ফিরি ভাই বোনে। ভাইয়ের মুখে হাসি, বুঝলে আপু, বড়লোকেদের সময় খারাপ বলে এই মাছ পাওয়া গেল নইলে ইলিশ তো চোখেই দেখা যায় না!

    ঢাকার অদূরে দেড়শোটি বাগানবাড়ির খোঁজ পাওয়া গেছে যাদের মালিক মূলত সরকারী কর্মচারী, রাজনৈতিক নেতা, লেখক, পত্রিকার সম্পাদক। এইসব বাগানবাড়ির বাগানে ঘুরে বেড়ায় হরিণ, ময়ূর আর দূÖপ্রাপ্য বন্যপ্রাণীরা। কোন কোন বাড়িতে হরিণের সংখ্যা দশ থেকে পনেরটি। কেউ কেউ পোষেন অজগরও। এইসব ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড়ে মালিকেরা কেউ সপ্তাহান্তের ছুটির দিনটি কাটিয়ে যান সঙ্গী নিয়ে কেউ বা দলবল নিয়ে। কেউ বা আসেন মাসান্তে। মোটা মাইনেতে কর্মচারীরা বহাল আছেন বাগানের শোভা বর্ধনকারী বন্যপ্রাণীদের দেখাশোনায়। ব্লগারবন্ধু এস এম মহবুব মুর্শেদের একটি লেখায় আছে,সরকারী কর্মকর্তা বজলু সাহেব দেদারসে ঘুষ খেতেন। বাড়ি, গাড়ি কি নেই করেন নি। তবু তার ছায়ায় ছিল জনা ত্রিশেক কর্মচারী, তিনজন ড্রাইভার। ধান ছড়িয়ে থাকলে অনেকেই খেয়ে যায়। খারাপ খুব খারাপ। (তারপর) উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে গেল (দেশ)। আজ সে রাম ও নেই সেই অযোধ্যাও নেই শুধু রয়ে গেছে ত্রিশটি ক্ষুধার্ত পেট।

    সন্ধ্যেবেলায় বন্ধুরা সব নিতে এসেছে গাড়ি করে। যাব এক বন্ধুর বাড়ি, আড্ডায়। শাজাহানপুর থেকে বনানী, আমি শুধু নামেই চিনি, একা চিনে গিয়ে আবার ফিরে আসতে পারবো না বলে নিয়ে যাওয়া আর পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বও বন্ধুদের। সন্ধ্যের ব্যস্ত শহরের ব্যস্ত সড়ক দিয়ে গাড়ি চলছে তো চলছেই। এক ট্র্যাফিক সিগন্যালে সবুজ বাতি দেখে গাড়ি এগিয়ে যেতে রাস্তার পাশে দাঁড়ানো এক জীপ থেকে হাতের ছড়ি দেখালেন এক পুলিশের অফিসার। গাড়ি আবার দাঁড়িয়ে পড়ল। সামনের সিটে বসে থাকা বন্ধুটিকে হাত ইশারায় নামতে বললেন অফিসার, আর উঁকি দিয়ে দেখলেন ভেতরে কারা বসে আছে, গম্ভীর স্বরে হুকুম দিলেন, ডিকি খুলুন। ড্রাইভার নেমে গিয়ে ডিকি খুলে দেখিয়ে দিলেন, অফিসার এগিয়ে এসে টর্চ মেরে গাড়ির ভেতরটা আবার দেখলেন, আর হাতের ছড়ির ইশারায় এগোতে বললেন। গাড়ি ছাড়তে জিজ্ঞেস করে জানলাম, র‌্যাবের রুটিন চেকিং ছিল। যেকোন সময়ে যেকোন জায়গায় যে কোন গাড়ি থামিয়ে এইরকম চেকিং চলে এখন।

    "তিনটার সময় আমি অফিস থেকে বের হইতে পারুম না, গতকাল তিনজন সাসপেন্ড হইসে বিনা নোটিশের ইনস্পেকশনে, যে কোন সময় আবার ওরা হাজির হইতে পারে, ফুল টাইম অফিস না কইরা কারোর কোন উপায় নাই' ফোন করে জানান এক বন্ধু। ডিভিডি খুঁজতে সাহায্য করতে আমার সাথে কয়েকটা জায়গায় যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। মুর্শেদভায়ের লেখায় আছে, কবির সাহেব বিমানে চাকুরি করেন। সারাজীবন সৎভাবে থেকেছেন। কিংবা বলা যায় অসৎ হওয়ার সুযোগ পননি। ছোট্ট চাকুরি । দু বাচ্চার সংসারে অর্থের যোগান তাই তাকে ওভারটাইম সহ হাড়ভাঙ্গা খাটুনি দিতে হয়। খুব খারাপ, কি বলেন? তত্ত্বাবধায়ক সরকার (এখন) লাভ দেখতে চায় বিমানের কাছে। দুর্নীতিকারি সব কর্মকর্তাকে ছাটাই করা হয়েছে। এখন আলোচনা করা হচ্ছে ছাটাই হবে ৫০% ( কেননা তাদেরও সৎ থাকতে হবে তো!)। গভীর চিন্তায় আছেন কবির সাহেবের মত কর্মচারীরা। সারাজীবন সৎ থেকেও আজকে মাঝ বয়েসে এসে আবার চাকুরির (হারানোর) টেনশনে পড়তে হয়।

    "তারেককে নাকি খুব মাইর দিসে' আলতো প্রশ্ন শুনে প্রচন্ড উত্তেজিত হয়ে পড়েন এক তরুণ বন্ধু, "শুধু মাইর? ওরে তো চাইরশো বার ফাঁসি দেওয়া উচিত। তাতেও হের পাপের শাস্তি পুরা হবে না। আমাদের জানে বাতাস লাগসে তারেকরে ধরাতে, হেয় (সে) যে কী কী করসে জানো না তো! সাড়ে চার হাজার কোটি কারে কয় জানো? সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করসে হেতেয় একলাই।' তারেক রহমান প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র। যিনি বি ন পির যুগ্ম মহাসচিবও বটেন। এক কোটি টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন কিছুদিন আগে, সম্ভবত মার্চের প্রথম সপ্তাহে। সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। "কোন দরকার নেই ইলেকশনের। যেই দলই জিতুক, এসেই শুরু করবে স্বেচ্ছাচারিতা, নিজেদের আখের গোছানো আর বিদেশী ব্যাঙ্কে বেনামে টাকা জমানো, তার থেকে থাকুক দেশ এই তদারকী সরকারের হাতেই, হারামজাদা রাজনীতিকরা বুঝুক, দেশটা তাদের বাপের সম্পত্তি নয়' বলেন এককালে জিয়াউর রহমানের সমর্থক ষাটোর্ধ এক প্রবীণ। "পঞ্চাশ হাজার টাকার বেশি টাকা তোলা যাচ্ছে না ব্যাঙ্ক থেকে, চেক দিলে চেক আটকে দিয়ে শুরু হয়ে যায় খানাতল্লাশী, ব্যবসা করা অসম্ভব হয়ে উঠেছে,এভাবে চললে লালবাত্তি জ্বলবে ব্যবসায়' বলেন ঢাকার এক ব্যবসায়ী। ঝাঁ চকচকে শপিং মলের এক দোকানে জিনিস দেখাচ্ছেন এক সেলসম্যান, দোকানে ভীড় চোখে পড়ার মত পাতলা, আর নিজের চেয়ারে বসে আলাপে মগ্ন দোকানমালিক পাশের দোকানমালিকের সাথে। কানে আসে, জরুরী অবস্থা দিয়া এইরকম আইনের শাসন বেশিদিন তো চালাইতে পারবো না। ইলেকশন তো দিতেই হইব। সব ব্যাটায় একেবারে টাইট খাইয়া গ্যাসেগা।

    জরুরী অবস্থা চলছে বাংলাদেশে। চট করে কিছু বোঝা যায় না তবে পরিবর্তন যে একটা ঘটেছে সেটা প্রতিটি মানুষের চোখে মুখে। কারো চোখে ভয় আবার সাধারণ মানুষ নিশ্চিন্ত । এবং খুশি তদারকি সরকারের দুর্নীতি দমন অভিযানে। নগরজীবন যেন অনেকটাই নিরাপদ এই তদারকি সরকারের হাতে। ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে সরকারী আমলারা, রাজনৈতীক কর্মকান্ডে জড়িত মানুষেরা। ছোট থেকে বড় সর্ব স্তরের সরকারী চাকুরেরা একটি একটি দিন গুনে গুনে কাটাচ্ছেন, কখন কে ধরা পড়ে, কোন অভিযোগে, কেউ জানে না। শহরের রাস্তায় পড়ে থাকছে কোটি কোটি টাকা দামের গাড়ি, মালিকবিহীন, কাগজপত্রবিহীন। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিদেশ থেকে আনা এই সব গাড়ির খোঁজ দুর্নিতি দমন কমিশন, সংক্ষেপে "দুদক'এর এর হাতে গেলে দিতে হবে আয়ের হিসেব। টান পড়বে নামে-বেনামে অর্জিত সমস্ত সম্পত্তি নিয়ে। র‌্যাব, ৭দিনের রিম্যান্ড অত:পর আদালতে বিচার, সম্পত্তি ক্রোক। শহর- শহরতলীর নীরব রাস্তায় প্রায়ই দাঁড়িয়ে থাকছে এখন এইসব বিলাসবহুল গাড়িরা। মালিকবিহীন,কাগজপত্রবিহীন। মালিকবিহীন,অচেনা বাংলাদেশ।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৫ এপ্রিল ২০০৭ | ৭২৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন