এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • এভাবেও ফিরে আসা যায়

    শিঞ্জিনী দাশগুপ্ত লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ৩০ জুন ২০২০ | ৩০২৭ বার পঠিত
  • আমার বাবা গুরুতর দীর্ঘস্থায়ী কিডনির অসুখে (CKD) আক্রান্ত। সোজা কথায় বললে বাবার দু'টো কিডনিই খারাপ। গত ৫ ই মে ILS হাসপাতাল থেকে ওখানে ডায়ালিসিস হওয়া সব রোগীদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হয়। গত ৬ ই মে জানা যায় আমার বাবা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত। সত্যি বলছি সব থেমে গেছিলো সেদিন। চোখে অন্ধকার ছাড়া আর কিছু দেখিনি। যখন আমার বাবা কে স্বাস্থ্য দপ্তরের বিশেষ অ্যাম্বুলেন্স এসে নিয়ে যায় আর বাবা আমার হাতটা ছেড়ে অ্যাম্বুলেন্সে ওঠেন, আমি ভাবিনি আর কোনোদিন বাবাকে দেখতে পাবো। বাবার যে আগে থেকেই কিডনি ফেইলিওরের মতো এক দুরারোগ্য অসুখ। কী করে জয় করবে আমার সত্তর বছরের বাবা এই মহামারীকে?

    উত্তরটা জানা ছিল না তখন। রোজ শুনছিলাম এক এক করে ডায়ালিসিসের রোগীরারা ভেন্টিলেশনে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে আমি আর আমার মাও গৃহবন্দী। আমাদের দু'জনকেও আলাদা থাকতে বলা হয়। একে অপরকে যে সাহস দেব তাও সম্ভব হচ্ছিলনা। এরই মধ্যে এক প্রতিবেশীর ব্যাবহারে খুব কষ্ট পাই। ভগবানে বিশ্বাস আর ছিল না আমার। সবসময় মনে হতো - আমরাই কেন?

    জীবনটা একদিনে পুরো ওলটপালট হয়ে গিয়েছিল। হাজারটা ফোন আসত রোজ। ভাল লাগতনা এক কথা সবাইকে বলতে। থানা, মিউনিসিপালিটি, স্বাস্থ্য দপ্তর - এই ফোনগুলো ধরতেই হত। তবে সারাদিন একটাই ফোনের অপেক্ষা করতাম,বাবার! যখনই কথা হত বলত "অনেক অসুবিধা ঠিকই এখানে কিন্তু আমি ঠিক সামলে নেব"। অবাক লাগত খুব। মনে হত কত মনের জোর আমার বাবার। বাবার বুকে ডায়ালিসিসের চ্যানেল, তাই স্নানটুকুও নিজে করতে পারেনা। আমি আর মা সারদিন ভাবতাম কি করে পারছে বাবা? ওখানে তো বাবাকে ছোঁওয়াও বারণ৷ আমি আর মা রাতের পর রাত ঘুমোতে পারিনি। কিডনি-এর সমস্যার কারনে বাবার ৮০% সবজি ও ফল খাওয়া বারণ। এমন অনেক দিন গেছে হাসপাতালে শুধু ওই সবজিই রান্না হয়েছে,ঔ ফলই দেওয়া হয়েছে। সেদিন বাবার আর পেট ভরে খাওয়া হয়নি। সেই শুনে আমি আর মাও খেতে পারিনি। একদিন ফল পাঠানোর চেষ্টা করি কিন্তুু সিভিক ভলেন্টিয়াররা বারণ করে। এদিকে হাসপাতালকেই বা দোষ দিই কি করে? এত রোগী। চরম খারাপ পরিস্হিতি, এই অবস্হায় কিডনির রোগীদের আলাদা যত্ন নেওয়া হয়তো সত্যিই সম্ভব নয়। ডাক্তারের সাথে কথা বলার কোনও উপায়ও ছিলনা। কিন্তু আমরাই বা কী করব? খুব কাছের মানুষটার এত কষ্টে তার কাছে না যেতে পারার চেয়ে অসহায়তা কি কিছু হয়? হয়না বোধ হয়।

    বাবার একের পর এক পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসতে থাকে। মা খুব ভেঙে পড়েন। একটাই আশা ছিল, আমাদের-বাবার কোভিডের কোনো উপসর্গ ছিলনা। এবং বাবা মানসিকভাবে একটুও ভেঙে পড়েনি। এই পঁচিশ দিন কিভাবে কাটে তা আমি লিখে বোঝাতে পারবনা।

    হঠাৎ এক দিন বাবা জানায় বাবার নতুন রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। বাবা বলল "মনে হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে আসব"। আরও একবার আমার মনে হল স্বপ্ন দেখছি। কিন্তু এবার দারুণ একটা স্বপ্ন।

    পঁচিশ দিন পর আমার বাবা বাড়ি ফিরলেন। অ্যাম্বুলেন্স থেকে নেমে আমায় দেখেই বললেন "কিরে? মিষ্টি রেখেছিস আমার জন্য?" কেদে ফেলেছিলাম বাবাকে দেখে। এ তো বিশাল এক যুদ্ধ জয়। কিডনি ফেইলিওর এবং করোনা নিয়ে বেঁচে ফেরা, কোনো মিরাকলের চেয়ে কম কি?

    যুদ্ধটা জিতিনি হয়তো এখনও। আবার বাবাকে যেতে হচ্ছে ডায়ালিসিসে। আর ১০০% নিরাপত্তার অঙ্গীকারপত্র তো এখন স্বয়ং ঈশ্বরও দিতে পারবেননা। তবে হ্যাঁ, এবার আর এই অধ্যায়টা পুরোপুরি সিলেবাসের বাইরে হবেনা।

    ছোট থেকেই পড়ছি "মানুষ সমাজবদ্ধ জীব"। তবে এই "সমাজ" শব্দের আক্ষরিক অর্থ আমি এই পঁচিশ দিনে বুঝেছি। প্রথমে ভেবেছিলাম লড়াইটা আমাদের একার। ভুল ভেঙে যায়, যখন দেখি কত মানুষ আমার বাবার জন্য প্রার্থনা করছে। অনেককে তো আমি চিনতামও না।

    সবার প্রথমে ধন্যবাদ জানাব সেই সকল ডাক্তারবাবুদের, যারা বাবাকে সুস্হ করে তুলেছেন। বাবার কাছে শুনলাম অনেক নার্স দিদি দু'মাস বাড়ি যেতে পারেননি। নিজের পরিবারকে এক ঝলক না দেখে যারা দীর্ঘদিন ধরে আমার বাবার মত রোগীদের সেবা করছেন তাদের কুর্নিশ জানাই। আমাদের কাউন্সিলর স্যার এবং তার পুরো টিমকে অনেক ধন্যবাদ নিয়মিত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পৌছোনো ও পাড়া স্যানিটাইজ করার জন্য। সবচেয়ে বড় ধন্যবাদ সেই সকল পরিবারকে যারা আমাদের জন্য একুশ দিন স্বেচ্ছাবন্দী ছিলেন। অনেকের অনেক অসুবিধা হয়েছে জানি, তবু সবাই সহমর্মিতা দেখিয়ে আমাদের পাশে ছিলেন ও নিয়মিত বাবার খোজ নিয়েছেন।

    আমার বস এবং সহকর্মীরা এভাবে আমার পাশে না থাকলে লড়াইটা খুব কঠিন হত৷ আমার পরম সোভাগ্য যে এরকম অফিস পেয়েছি। এছাড়া আমাদের সকল আত্মীয়, মায়ের সহকর্মীরা, আমার স্কুলের বন্ধুরা, মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রির শুভাকাঙ্ক্ষীরা, আমার আগের অফিসের সহকর্মীরা, আমার শিক্ষক-শিক্ষিকারা, কলেজের বন্ধুরা, যারা যারা পাশে থেকেছো তাদের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।

    কাছের বন্ধুদের আমি 'ধন্যবাদ' বলিনা। কেউ নিজের পরোয়া না করে হাস্পাতালে বাবাকে ফল পৌছে দিতে গেছে তো কেউ আমাদের ফ্ল্যাট unsealed হওয়ার দিনই এসে বাড়ির নিচে মাংস পৌছে দিয়ে বলেছে " তুই আর কাকিমা খাস ,তোদের এখন প্রোটিন দরকার"। 'ধন্যবাদ' টা বড় কম হয়ে যাবে।

    তাহলে? এতগুলো মানুষ মিলে আমাদের জেতালো তো। কৃতিত্বটা একা কি করে নিই বলুন তো?

    যারা আগামী দিনে আমার মত অবস্থায় পড়বে তাদের বলি ,সবসময় শক্ত থাকার উপদেশ আমি কখনও দেবনা। মানুুষ শক্ত হয়েই যায় যখন আর কোনো বিকল্প থাকেনা। সব অনুভূতি প্রকাশ কোরো। যখন কান্না পাবে কেঁদে নিও৷ এতে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়ে বৈ কমেনা।

    বাবার এখনও ডায়ালিসিস চলছে আগের মতোই। করোনাকে টেক্কা দেওয়ার লড়াই ও চলছে। দু'বার পরীক্ষা করানো হয়েছে এবং দু'বার ই রিপোর্ট নেগেটিভ এসছে। ফলে ডায়ালিসিস করাতে বিশেষ কোনও অসুবিধা হয়নি৷ খাওয়া দাওয়ায় যেগুলো বারণ ছিল তাও আগের মতই রয়েছে। শুধু মনের জোরটা অনেক বেড়ে গেছে।

    সবশেষে একটা ছোট্ট গল্প বলি। আমার বাবা মার বেশি বয়সে বিয়ে হয়। বাবার সব চুল পাকা দেখে ছোটো থেকেই অনেকে আমার বাবাকে দাদু বলে আমায় খ্যাপাত। ছোট্ট আমি তখন লজ্জা পেতাম, বাবাকে বলতাম চুলে রং করতে। বাবা আমায় বলতেন যা প্রাকৃতিক তাই সুন্দর, আর চুলের রঙে কিছু যায় আসেনা। মনের শক্তিটাই আসল।

    তুমি ঠিক ছিলে বাবা, তোমার সব চুল পেকে গেলেও লড়াই করার শক্তিটা একই আছে। তাই তুমি কিডনি খারাপ নিয়েও করোনাকে ক্লিন বোল্ড করে দিলে |
    তুমি 'চ্যাম্পিয়ন'!


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ৩০ জুন ২০২০ | ৩০২৭ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    উৎসব - Sobuj Chatterjee
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অমর মিত্র | 45.250.245.111 | ৩০ জুন ২০২০ ১২:০৯94753
  • তোমার বাবা কেন, আমরাই যেন যুদ্ধ জয় করে এসেছি। তিনি সুস্থ থাকুন। হ্যা,  তিনি প্রায় আমার বয়স।  আমিও চুলে রং করিনি।  দাদুর মতো বাবা। মঙ্গল হোক তোমার ও আর সকলের।   

  • শিবাংশু | ৩০ জুন ২০২০ ১৩:১১94754
  • অমরদা একেবারে ঠিক বলেছেন। এ যেন আমাদের সবার জয়। শুভেচ্ছার জয়। শুভবোধের জয়। খুব ভালো থাকুন আপনারা সকলে ...
  • স্বাতী রায় | 117.194.39.100 | ৩০ জুন ২০২০ ১৪:৩৪94759
  • খুব ভালো লাগল পড়ে। আপনার বাবা  ও আপনারা সবাই ভালো ্থাকুন। 

  • মণিরূপা | 2409:4060:208f:f3c:7ce7:19b3:31c2:344d | ৩০ জুন ২০২০ ১৫:৪৮94764
  • আমার বাবার COPD তার সঙ্গে হার্টের সমস্যা এবং পেসমেকার বসানো। চারপাশে করোনাক্রান্ত প্রতিবেশী। অ্যাসিম্পটম্যাটিক কতজানি না। অফিস যেতে বাধ্য। অদ্ভুত আতংক পিছু ধাওয়া করছে সারাক্ষন। তার মধ্যে এই লেখাটা ....ভীষণ একটা শক্তি  যোগালো ...!

  • ps | 157.40.109.2 | ৩০ জুন ২০২০ ১৫:৫৭94765
  • অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো ..... আগামীতে অনেকের প্রেরণা।

  • কুশান | 103.87.141.15 | ৩০ জুন ২০২০ ১৬:৩৩94766
  • আপনার এই লেখা অনেককেই প্রেরণা জোগাবে এই দুঃসময়ে। আপনারা সবাই ভালো থাকুন। শুভেচছা।
  • অতনু চক্রবর্তী | 117.204.241.30 | ৩০ জুন ২০২০ ১৭:৩৪94768
  • মানুষই পারে সব প্রতিকূলতা জয় করতে আপনার বাবা ও আপনারা প্রমাণ করলেন, সেলাম আপনাদের।
  • অতনু চক্রবর্তী | 117.204.241.30 | ৩০ জুন ২০২০ ১৭:৩৪94769
  • মানুষই পারে সব প্রতিকূলতা জয় করতে আপনার বাবা ও আপনারা প্রমাণ করলেন, সেলাম আপনাদের।
  • সুতপা। | 2402:3a80:a9b:151b:36c1:da:2cc5:f92a | ৩০ জুন ২০২০ ২২:৪৩94779
  • পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনারা সবাই ভালো থাকুন। 

  • সুতপা। | 2402:3a80:a9b:151b:36c1:da:2cc5:f92a | ৩০ জুন ২০২০ ২২:৪৩94780
  • পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনারা সবাই ভালো থাকুন। 

  • Jay | 86.9.189.68 | ০১ জুলাই ২০২০ ০২:৩৯94782
  • মেসোমশাইকে প্রনাম। আরো বহু বহুদিন আমাদের মাথার ওপরে থাকুন।
    আজ হাসপাতালে আমার ক্যান্সার ক্লিনিক ছিল। রিসেপ্শনিস্ট বললেন আমার এক পেশেন্ট ফেরেত চলে গেছেন- প্যানিক আটাক- গত হপ্তায় মেয়ে মারা গেছে কোভিডে। ফোন করলাম- ওর সব টেস্ট ভালো, ক্যান্সার নেই। পরে দেখলাম তিনি ক্লিনিকে ফেরত এসেছেন, বল্লেন- ফিরে এলাম দুটো কারণে- প্রথমে ধন্যবাদ জানাতে, আপনারা যারা প্রান ভয় তুচ্ছ করে রুগীর সেবা করছেন, আরেকটা কারন হলোঃ আপনাদের বলতে কোভিডকে হারাতেই হবে! বুকের মধ্যে সমস্ত আবেগ লুকিয়ে যতটা সম্ভব বললামঃ ক্থা দিচ্ছি- কোভিডকে হারাবই, সবাই মিলে। অচিরেই। মানুষ আগেও পেরেছে, এবারেও পারবে।
  • aranya | 2601:84:4600:9ea0:154a:4547:c3d0:84f3 | ০১ জুলাই ২০২০ ০৭:৪১94783
  • ভাল লাগল। শুভেচ্ছা
  • মৈত্রী দাস | 157.40.7.9 | ০১ জুলাই ২০২০ ১০:১১94787
  • মনে জোর পেলাম তোমার কথা শুনে ।ভালো থেকো ।

  • শেখর সেনগুপ্ত | 115.97.130.14 | ০১ জুলাই ২০২০ ১৩:৫৪94791
  • ডাক্তারবাবু ও নার্সদের চিকিৎসা ও সেবায় সাথে নিজের মনের জোরে আপনার বাবা সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছেন। ওনাদের সবাইকে কুর্ণিশ জানাই। আর এই সংকটের সময় যারা আপনাদের পাশে ছিলেন তাঁদেরও কুর্ণিশ।  

  • / | 103.124.124.150 | ০২ জুলাই ২০২০ ১৭:০৭94814
  • একটা অপ্রিয় সত্য, আমাদের নিজেদের আরও স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া উচিত। ৬০এই লোকে প্রেসার সুগারের রোগের ডিপো হয়ে বসে আছেন।
    আপনার বাবার মনোবলকে কুর্ণিশ জানাই। ভালো থাকুন। CKDএর রোগীকে সাবধানে রাখতে পারাই এক বড় চ্যালেঞ্জ।
  • সুশান্ত কর | 106.203.158.224 | ০২ জুলাই ২০২০ ২০:১৭94817
  • সুন্দর! ভালো থাকুন! 

  • মহঃ বাবুল | 2409:4061:2d95:edf0:2ae7:8fba:b4:c454 | ০৫ জুলাই ২০২০ ১৭:২৯94874
  • আপনার বাবা দীর্ঘ জীবি হক

  • Du | 47.184.21.53 | ০৫ জুলাই ২০২০ ২০:১৮94879
  • এই লেখা র লিংক ওয়াট্সয়াপে ঘুরে আসছে এমন লোকেদেরকে অনুপ্রাণিত করছে যারা কমেন্ট করতে পারবে না, তাদের হয়ে অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাই লেখককে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন