এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • যুদ্ধ পরিস্থিতি

    সৈকত চট্টোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০৯ মে ২০১০ | ১২০৬ বার পঠিত
  • These Hills Called Home : Stories From A War Zone
    লেখক : Temsula Ao.
    প্রকাশক : Penguin Books India in association with Zubaan Books, 2006)
    দাম : Rs.195 ; Pp. xi + 147 , ISBN 81-89013-71-8

    নাগাল্যান্ডের এক গ্রামের মেয়ে আপেনিয়ো। গ্রামের লোকেরা উৎসবের দিনে গান গাইলে মেয়েটিও সেই ছোটবেলাতেই নিজের মত করে চেঁচিয়ে গান গাওয়ার চেষ্টা করত। বছরখানেক বয়স হওয়ার পরে বোঝা গেল আপেনিয়ো গান গাওয়ার বিশেষ প্রতিভা নিয়ে জন্মেছে যা হয়ত সে পেয়েছে তার মৃত বাবার কাছ থেকে। সেই মেয়ে বড় হয়, সুন্দরী এবং সুগায়িকা হয়। এক রবিবার গ্রামের পুরোনো চার্চের উদ্বোধন হবে, যে চার্চ তৈরি হয়েছে গ্রামের লোকেদেরই টাকায়। সেই অনুষ্ঠানে আপেনিয়োর গান গাওয়ার কথা, সোলো গানটা সে-ই গাইবে। কিন্তু ১৯৫০-এর দশকের ঐ সময় নাগাদের জীবনে এক অস্থির কালপর্ব যখন তারা ভারত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার যুদ্ধ চালাচ্ছে। অন্য অনেক গ্রামের মতই আপেনিয়োর গ্রাম থেকেও আন্ডারগ্র্রাউন্ডে থাকা বিদ্রোহী নাগা সরকারকে ট্যাক্স দেয়া হয়, ফলত: ভারতীয় মিলিটারি চার্চ উদ্বোধনের দিনেই ঐ গ্রামে আসে সেখানকার অধিবাসীদের শিক্ষা দিতে। পাদ্রী এবং অন্যান্যদের ধরপাকড় করা হয়, গানের দলের লোকেরা যে যেদিকে পারে পালায়, কিন্তু আপেনিয়ো চারিদিকের ঐ বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যেই গান ধরে, একক কন্ঠে, থামতে বললেও থামে না। সেনা ক্যাপ্টেনের নির্দেশে তাকে পুরোন চার্চের মধ্যে, ঈশ্বর আরাধনার জায়গায় টেনে নিয়ে এসে ধর্ষণ করা হয়। মেয়েকে বাঁচাতে মা এলে সেও ধর্ষিতা হয়। চার্চের মধ্যে পালিয়ে আসা গ্রামের অনেক অধিবাসীদের গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়, তারপর পুড়িয়ে দেয়া হয় চার্চটি। নির্মম ঘটনাটি ঘটে যাওয়ার পরে যারা ফিরে আসে তারা মা ও মেয়ের মৃতদেহের অবশেষ খুঁজে পেয়ে কবর দেয়। অনেক দিন পরে নাগাল্যান্ডের এক প্রত্যন্ত গ্রামে, রাত্রিতে, এক গল্পবুড়ি শহর থেকে আসা ছেলেমেয়েদের কবরখানার দিক থেকে ভেসে আসা গান শোনায়, যে গান, গল্পবুড়ি বলে - আপেনিয়োর শেষ গান। সেই দিনটিও এক রবিবার,অতীতের ঐ নৃশংস রবিবারের অ্যানিভার্সারি।

    The Last Song নামে এই গল্পটা আছে নাগাল্যান্ডের লেখিকা টেমসুলা আও-আলোচ্য গল্পসঙ্কলনে। মোট দশটি গল্প স্থান পেয়েছে এই গ্রন্থটিতে। ১৯৫০ থেকে ১৯৬০-এর মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ভারত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নাগাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের যে তুঙ্গ সময়, বইটির গল্পগুলি লেখা হয়েছে ঐ সময়কেই পটভূমিকা হিসেবে ব্যবহার করে। The Last Song গল্পটিকে বইটির কেন্দ্রীয় গল্প বলা যায়, যার মধ্যে এসে মিশেছে ঐ অস্থির সময়ে নাগাদের দৈনন্দিন অভিজ্ঞতার বিভিন্ন দিক - রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, মিলিটারির অত্যাচার, ভায়োলেন্স ও যন্ত্রণা, এবং স্মৃতি। বইটির একাধিক গল্পে এই সত্যটাই ঘুরে ফিরে আসে যে সাধারণ মানুষের মধ্যে কেউই - ছাত্র, যুবক, যুবতী, গৃহবধূ, স্বামী-স্ত্রী - ঐ সন্ত্রস্ত সময়ের থেকে নিজেদের স্পর্শহীন রাখতে পারে না। কনভয়, কার্ফু, সিচুয়েশন, গ্রুপিং, এই সকল শব্দগুলি (যা নাগাদের কাছে গুলির আঘাত সহ্য করার চেয়েও অসহনীয় কারণ, it meant that whole villages would be dislodged from their ancestral sites and herded into new ones, making it more convenient for the security forces to guard them day and night ) - তাদের জীবনের সাথে অবিচ্ছিন্ন ভাবে জড়িয়ে যায়।

    গল্পগুলির লিখনশৈলী সাদামাটা। চরিত্র/প্লটের ডেভেলপমেন্ট, মনস্তত্ব কিংবা প্রকৃতির বর্ণনা কিছুই এই সব গল্পগুলিতে নেই, সংলাপও নামমাত্র। শুধু মানুষের পরিণতি ও ঘটনার বিবরণ দিয়ে যাওয়া হয়েছে, কখনও বা প্রতিবেদনের মত করে। ভাষা অলঙ্কার কিংবা ইঙ্গিত বর্জিত। পড়ে মনে হতে পারে ন্যারেটিভ তৈরী করতে লেখিকার ক্রাফটের অভাব রয়েছে, কিন্তু আমার মতে লেখায় এই স্টাইল ব্যবহার করা হয়েছে ইচ্ছাকৃতভাবেই, যাতে কোন পক্ষ না নিয়ে শুধু ঘটনার বিবরণ দিয়ে যাওয়া যায়, যন্ত্রণার বিবরণ দিয়ে যাওয়া যায়, রক্তাক্ত ও হিংস্র সময়ের বিবরণ দিয়ে যাওয়া যায়। এইভাবে লেখার উদ্দেশ্য যেন গল্পগুলিকে মৌখিক সাহিত্যের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া যাতে সেগুলিকে মুখে মুখে বলে যাওয়া যায়, স্মৃতিতে ধরে রাখা যায় এবং বইয়ে দেয়া যায় ভবিষ্যতের দিকে। স্মৃতিতে ধরে রাখা অতীতের যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতার গল্প পরবর্তী প্রজন্মের কাছে মৌখিক ভাবে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে, বইয়ের অন্তত দুটি গল্পে এই ব্যাপারটি আছে। একটি আগে বলা The Last Song গল্পটি যার শেষে গল্পবুড়ি আগের সেই ঘটনা কমবয়সীদের "বলা' শুরু করে। আর একটি গল্প An Old Man Remembers যে গল্পে ইমতিসাশী নামে এক বৃদ্ধ তার নাতিকে তার ছোটবেলা ও যৌবনের অভিজ্ঞতা বলে যায়। তার মনে হয় the prime of their youth was a seemingly endless cycle of beatings, rapes, burnings of villages and grain-filled barns । মিলিটারি এসে গ্রাম পোড়ানোর ফলে স্কুল থেকে ফেরার পথেই ইমতিসাশী এবং তার বন্ধু ইমলিকোবাকে (বৃদ্ধ বয়সে ইমলিকোবার মৃত্যু দিয়েই এই গল্পের শুরু ) জঙ্গলে পালাতে হয়। সেখানে ধরা পড়ে নাগা ন্যাশনাল আর্মির হাতে, যোগ দিতে হয় তাদের দলে। জঙ্গল থেকে পালিয়ে গ্রামে ফিরে আসা, পরে কয়েকজন ভারতীয় সেনাকে হত্যা, আবার বিদ্রোহীদের দলে যোগদান, প্রতিদিনের ট্রমা সহ্য করা - এইসব করতে করতে তাদের যৌবন নষ্ট হয়। ষোল বছর বয়সেই তারা নির্মম ঘাতকে পরিণত হয়। ইমলিকোবা ভাবে যে এইসব কথা তাকে বলে যেতেই হবে যাতে ভবিষ্যত প্রজন্ম এবং সে নিজেও ইতিহাস ও সত্যের মুখোমুখি হতে পারে। সে এও ভাবে যে তাদের ছেলেবেলার এক গোপন ও স্বাদু স্মৃতির কথা - যখন সে এবং ইমলিকোবা জঙ্গলের রাস্তায় নগ্ন নারীকে হেঁটে যেতে দেখেছিল, হাঁটার ছন্দে যার স্তনদুটি দুলছে এবং দুই পায়ের ফাঁকে অন্ধকার - যা তার নাতিকে বলাই পৌরুষসুলভ হত, কিন্তু সেই কথা না বলে তাকে তার জীবনের অন্ধকার দিনগুলির কথাই বলে যেতে হয়। কারণ সে বাধ্য।

    বইটির শেষ গল্প - A New Chapter - এক "স্বাভাবিক' সময়ের কথা বলে যখন ক্রমশ যুদ্ধের জোর স্তিমিত হতে থাকে, নতুন রাজনৈতিক সমঝোতা গড়ে ওঠে, ১৯৬১ সালে নাগাল্যান্ড ভারত রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত হয়, নুনসাঙের মত একদল লোকের আবির্ভাব হয় যারা মিলিটারি আর বিদ্রোহীদের মধ্যে জায়গা করে নিতে থাকে, যারা সার্থক manipulator । চটপট টাকা করার জন্য আর্মিতে কন্টাক্টরি দিয়ে শুরু করে নুনসাঙ ক্রমশ মিলিটারি এবং নাগা বিদ্রোহী, দুই দলকেই নিজের স্বার্থে ব্যবহার করতে থাকে। একদিকে মিলিটারির কর্তাকে হাত করে সে পকেট ভর্তি করতে থাকে আর অন্যদিকে নাগাদের আন্ডারগ্রাউন্ড সরকারকে ট্যাক্স দেওয়া এড়াতে বিদ্রোহী কম্যান্ডারের ছেলেকে সরকারী চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়! নুনসাঙ ভোটে দাঁড়ায়,জেতে আর তার পুরোনো ব্যবসা গুটিয়ে ফেলে। ফলে মেরেনলা নামে তার এক আত্মীয়া যে নুনসাঙের কথামত প্রচুর কুমড়ো ফলাত আর্মিতে সরবরাহের জন্য, তার সব ফসল অবিক্রীত থেকে নষ্ট হতে থাকে। মেরেনলাকে তখন সব কুমড়ো ফেলে দিয়ে, গ্রামের লোকেদের পোষা শুয়োরকে খাইয়ে বাড়ি ফাঁকা করে নতুন করে শুরু করতে হয়। অনেক মলিন ও রক্তাক্ত সময় পেরিয়েও সাধারণ মানুষকে, নুয়ে পড়া মানুষকে অন্তহীন লড়াই চালিয়ে যেতেই হয়।

    ত্রিপুরা এবং আসামের বাংলা লেখা ছাড়া ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের সাহিত্য আমি পড়িনি, কিন্ত এই বইটির বিশেষ কথনভঙ্গী এবং বিষয়বস্তু, খবরের কাগজের রিপোর্টের বাইরে ঐ অঞ্চলের মানুষের কিছু ছবি আমাকে দেখিয়েছে। বইটি পড়তে গিয়ে আমি কল্পনা করেছি লেখিকাও হয়ত গল্পগুলিকে স্মৃতিসূত্রেই পেয়েছেন যা বইয়ের আকারে আমাদের জন্য রাখা থাকল, রাখা থাকল এই জন্যই যাতে আমরাও ভেবে নিতে পারি কাছের বা দূরের অনেকানেক যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে যাওয়া সাধারণ মানুষের সন্ত্রস্ত অবস্থার কথা।

    ৯ই মে, ২০১০
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৯ মে ২০১০ | ১২০৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন