এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • লজ্জা ও ঘৃণার কালো ইতিহাস

    ঝিনুক চক্রবর্তী লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৫ আগস্ট ২০১৪ | ১৬৩৮১ বার পঠিত
  •  কোলকাতা বইমেলার আয়োজক পাবলিশার্স ও বুকসেলার্স গিল্ড এর মুখপত্র ‘পুস্তক মেলা’য় প্রকাশিত এই লেখাটিকে লোপাট করা হয়েছিল।পৃষ্ঠা কেটে সেখানে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল অন্য বইয়ের সমালোচনা।‘পুস্তক মেলা’য় একই সংখ্যার (ষষ্ঠ বর্ষ, প্রথম সংখ্যা, বৈশাখ – আষাঢ় ১৪০৯ ) দুটি কপিই আমাদের হাতে আছে ঐতিহাসিক প্রমাণ হিসাবে। – তুষার ভট্টাচার্য সম্পাদিত ‘অপ্রকাশিত মরিচঝাঁপি’ থেকে। 


     ------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


    ‘এই উদ্বাস্তরা অন্য রাজ্য থেকে আসা অবাঙ্গালি অধিবাসীদের মতো কলকাতার রেলস্টেশন বা ফুটপাথ দখল করতে চান নি, তারা সত্যি সত্যিই পুনর্বাসনের পরিকল্পনা নিয়েই সুন্দরবনের মরিচঝাঁপি দ্বীপে যাচ্ছিলেন। কিন্তু হাসনাবাদে না যেতে দিয়ে, বর্ধমানের কাশীপুরে গুলি চালিয়ে ৬ জনকে মেরে, জোর করে অনেক উদ্বাস্তুকে দণ্ডকারণ্যে ফেরত পাঠান। বামফ্রন্ট নেতারা ভারত সেবাশ্রম সংঘ, রামকৃষ্ণ মিশন, মাদার টেরেসা, লুথারিয়ান চার্চ – কাউকে সেবাকাজ করতে দেয় নি। এমন কী শিশুদের বৃদ্ধদের দুধ দিতে দেয় নি। ফলে হাসনাবাদে প্রায় দেড় হাজার শিশু ও বৃদ্ধ বিনা চিকিৎসায় মারা যান।’– শক্তি সরকার (সুন্দরবনের প্রাক্তন সাংসদ)। সূত্রঃ নিরঞ্জন হালদার সম্পাদিত ‘মরিচঝাঁপি’,পৃষ্ঠা ৫২-৫৩।


    ‘পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় উদ্বাস্তুদের থামানো হয়েছে। তাঁদের অধিকাংশকে বেশ সফল ভাবে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেইরকম একটি দলকে আমি হাসনাবাদ স্টেশনে দেখি, যারা ফেরত ট্রেনে ওঠার জন্য সরকারি অফিসে লাইন দিয়েছে স্বেচ্ছায়। তারা প্রায় প্রত্যেকেই তিন-চার দিন খায়নি। তাদের মনোবল ভেঙ্গে দেওয়া গেছে স্রেফ ক্ষুধার অস্ত্রে। তারা গোটা পশ্চিমবাংলাকে অভিসম্পাত দিতে দিতে ফিরে গেল।’– সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। সূত্রঃ ‘মরিচঝাঁপি সম্পর্কে জরুরি কথা – আনন্দবাজার পত্রিকা, ১১.৯.১৯৭৮।


    ‘যে সমস্ত পরিবার আজ ওখানে (দণ্ডকারণ্যে) ফিরে আসছেন, তাঁদের প্রায় সকল পরিবার থেকে শিশু অথবা বৃদ্ধ অথবা দুই-ই তাঁরা পথে পথে চিরদিনের মতো হারিয়ে এসেছেন। তাঁদের শোক, দুঃখবোধও এই প্রচণ্ড আঘাতে ও প্রতারণায় বিফল। ফেরতগামী ট্রেনে পশ্চিমবঙ্গ সরকার থেকে ২-৩ জন করে অফিসার পাঠানো হচ্ছে শরণার্থীদের তদারকি করার জন্য। তাঁদের মুখেই শুনলাম, ফিরবার পথে মৃত শিশুদের তাঁরা ট্রেন থেকে ফেলে দিয়েছেন। পরবর্তী কোনো স্টেশনে তাদের সদগতির জন্য অপেক্ষা করেনি।’ পান্নালাল দাশগুপ্ত। সূত্র যুগান্তর, ২৫ শে জুলাই, ১৯৭৮।


    ইতিহাস দাগ রেখে যায়। সে-দাগ মোছে না কখনও। একদিন না একদিন তা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। করেই। আপাতভাবে আড়াল করে রাখলেও সময়ই তাকে টেনে খুঁড়ে বের করে আনে। মানুষই ইতিহাস সৃষ্টি করে, আঁচড় কাটে। চাপা পড়ে থাকা ক্ষত উঠে আসে যখন, শিউরে উঠতে হয়। এমনও হয় তাহলে। অস্বীকার করা যায় না কিছুতেই। হয়েছে তো এমনই।


    সময়ের পরিবর্তনে মানুষ হয়তো অবস্থান বদলায়, কিন্তু ইতিহাস বদলায় না। মানুষ লজ্জিত হয়। ইতিহাসই মানুষকে ধিক্কার দেয় কখনও কখনও। একটি করে পৃষ্ঠা উল্টেছি আর লজ্জায় ধিক্কারে ঘৃণায় ক্ষোভে শোকে অবনত করেছি মুখ। প্রগতিশীল বামপন্থার আড়ালে তবে এত অন্ধকার।


    ‘সমস্ত সরকারি বাধা অতিক্রম করে ১৯৭৮ সালের এপ্রিলে ৩০ হাজারের মতো নরনারী, শিশু, বৃদ্ধ মরিচঝাঁপি দ্বীপে পৌঁছান। নিজেদের শ্রম ও সামর্থ্যে তারা ১৯৭৯ সালের মে মাস পর্যন্ত থাকতে পারেন। – দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় জার্মান কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে যে-ভাবে বন্দীদের না খেতে দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল, সেইভাবে মরিচঝাঁপির মানুষদের মেরে ফেলার চক্রান্ত শুরু হয়। ১৯৭৮ সালের সেপ্টেম্বরে ঝড় বন্যার মধ্যেও ৬, ৭, ৮ সেপ্টেম্বর জ্যোতি বসুর সরকার পুলিশ লঞ্চের সাহায্যে উদ্বাস্তুদের নৌকাগুলি ডুবিয়ে দেয়। … ১৯৭৯ সালের ২৪ শে জানুয়ারি ব্লকেড করে পাশের দ্বীপ থেকে আসা খাদ্য ও পানীয় জল আনা বন্ধ করা হয়। পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট রাজত্বে ৩১শে জানুয়ারী (১৯৭৯) প্রথম গুলি চলে। মরিচঝাঁপির লোকদের ছাপানো এই অক্ষরমালাকে ‘মিথ্যে বানানো পরিকল্পিত কুৎসা’ বুলে উড়িয়ে দিতে পারলে কোনো কষ্ট হত না। কিন্তু ওই যে ইতিহাস। অমোঘ শক্তি তার। নির্মম সত্যের ওপর দাঁড়িয়ে সে। গায়ের জোরে অস্বীকার করার চেষ্টা করলেও মনে মনে সত্যের কাছে মাথা নোয়াতেই হয়।


    আমরা তাহলে পেরেছিলাম।


    আবাল্য স্বপ্নভূমি-বীজভূমি নিজস্ব উঠোনটুকু কেড়ে নিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে ‘উদ্বাস্তু করেছিল’ যে স্বাধীনতা, তার সব দায় তাহলে ঐ হতভাগ্য মানুষগুলোর। সাতজন্মের পাপের ফল, নাকি দুর্ভাগ্য ওঁদের। আমরা যারা স্বাধীনতার ক্ষীরটুকু চাটতে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম, স্বাধীন গদিতে আপ্লুত হলাম, তাদের কাছে ওই সবহারানো নেই – মানুষগুলো রাতারাতি শরণার্থী হয়ে গেল।


    দাঙ্গা-কাটাকাটি সে না হয় হয়েছে, কিন্তু রাষ্ট্র তো পুনর্বাসনের চেষ্টা করেছে যথাসাধ্য। সুজলা-সুফলা-সবুজ নদীমাতৃক ভূমিপুত্রদের খুলনা যশোর ফরিদপুর জেলার নমঃশূদ্র-পৌণ্ড্রক্ষত্রিয় কৃষকদের পুনর্বাসন দেওয়া তো হল পাথর-কাঁকর-টিলা-অধ্যুষিত দণ্ডকারণ্যে।


    অহো, সরকার যে করেনি তা-তো নয়।


    কিন্তু দণ্ডকারণ্যের এই পুনর্বাসন বাঙালি কৃষক উদ্বাস্তুদের কাছে হয়ে উঠেছিল ‘নির্বাসন’। পশ্চিমবঙ্গের শিবিরবাসী এইসব উদ্বাস্তুদের ১৯৬১ সালে দণ্ডকারণ্যে পাঠানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ডোল বন্ধ করে দিলে তাঁরা পশ্চিমবঙ্গে পুনর্বাসনের দাবিতে অনশন করে। ১৯৬১ সালের ১৩ই জুলাই উদ্বাস্তুদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে জ্যোতি বসু অনিচ্ছুক উদ্বাস্তুদের দণ্ডকারণ্যে পাঠানো বন্ধ করার জন্য পশ্চিমবঙ্গের তদানীন্তন রাজ্য পুনর্বাসন মন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেনকে একটি চিঠিতে লিখেছিলেনঃ “…although it was stated by the Government the West Bengal has reached a saturation point. I feel, therefore, that the rest may be found rehabilitation here provided there is willingness on the part of the Govt.”(যদিও পশ্চিমবঙ্গ সরকার বারবার বলছেন যে, এই রাজ্যে উদ্বাস্তু পুনর্বাসনের জন্য একতিল জমি নেই, তথাপি মনে করি সরকারের অভিপ্রায় থাকলে অবশিষ্ট উদ্বাস্তুরা এ রাজ্যে পুনর্বাসন পেতে পারে।)


    সে সময় পশ্চিমবঙ্গে উদ্বাস্তু শিবিরগুলি বন্ধ করে দিতে কেন্দ্রীয় সরকারও বদ্ধপরিকর। ১৯৫৯ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু কলকাতায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে বলেছিলেনঃ ‘যদি মাথায় আকাশ ভাঙ্গিয়া পড়ে এবং কলকাতার পথে পথে দাঙ্গাও শুরু হয়, তাহা হইলেও আমরা উদ্বাস্তু ক্যাম্পগুলি বন্ধ করে দিব বলিয়া স্থির করিয়াছি।’ (সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা, ২২.১০.১৯৫৯)।


    কেন্দ্রীয় সরকারের অনমনীয় মনোভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সেদিন জ্যোতি বসু উদ্বাস্তুদের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালের ২১ শে জুন কলকাতায় জ্যোতি বসুর সভাপতিত্বে বামপন্থী দলগুলি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলঃ ‘তাদের (উদ্বাস্তুদের) পুনর্বাসনের সব দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নিতে হবে।’ (সূত্রঃ মরিচঝাঁপি – নিরঞ্জন হালদার, পৃ-৩৩)।


    জ্যোতি বসুর এই দরদ(!)এর কথা মাথায় রেখেই বোধহয় ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে ১৯৭৮ সালের প্রথমদিকে দণ্ডকারণ্যে নির্বাসিত উদ্বাস্তু মানুষজন পুনর্বাসিত হওয়ার আকাঙ্খায় পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনের দিকে রওনা দেন।


    হায় রে আশা! গদিতে বসলে নেতাকে যে রাজার মতোই আচরণ করতে হয়। এই বুঝি গণতন্ত্রের নিয়ম।


    ১৯৭৮ সালের ১৮ই এপ্রিল দশ হাজার উদ্বাস্তু পরিবার সুন্দরবনের কুমিরমারি পার হয়ে মরিচঝাঁপিতে আশ্রয় নেন। তাঁরা পুনর্বাসনের জন্য সরকারের কাছে কোনো সাহায্য চান নি। তাঁদের দাবি ছিল ‘আমাদের শুধু মরিচঝাঁপিতে ভারতবর্ষের নাগরিক হিসাবে থাকতে দাও।’ তাঁদের ভরসা ছিল, এখানে পাঁচ ফুটের বেশি উঁচু জোয়ার আসে না। এখানকার কাছাকাছি গ্রামের লোকজন যদি পাঁচ ফুট বাঁধ দিয়ে নোনাজল ঠেকিয়ে একশো বছর ধরে চাষ করতে পারেন, তাহলে তাঁরা পারবেন না কেন? তাছাড়া মাছ ধরার সুযোগ তো আছে।


    পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্ট সরকার কী সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন, তাঁরা তখন জানতেন না, হায়।


    সিপিআই(এম) এর রাজ্য কমিটি তখন রাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন ‘দণ্ডকারণ্যের যে-সব উদ্বাস্তু পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন, প্রয়োজন হলে,তাদের বল প্রয়োগ করে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সরিয়ে দিন।’ কমিটির তিন দিনের অধিবেশনের পর দলের সম্পাদক প্রমোদ দাশগুপ্ত সাংবাদিকদের বলেছিলেন “এইসব উদ্বাস্তুদের নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে”। (সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা, ২.৭.১৯৭৮)।


    এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়িত হতে দেরি হল না। ১৯৭৮ সালের ১৯ অগস্ট বহু পুলিশ ও কুড়িটির লঞ্চের সাহায্যে সামরিক কায়দায় নদীপথ অবরোধ করা হল এবং উদ্বাস্তুরা তাতেও দমে না দেখে ৬ই সেপ্টেম্বর সেইসব লঞ্চ নিয়ে উদ্বাস্তুদের রসদ জ্বালানি কাঠ ও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বোঝাই করা ২০০টি নৌকা ডুবিয়ে দেওয়া হল। (সূত্রঃ মরিচঝাঁপি কি মরীচিকা? শৈবাল গুপ্ত। নিরঞ্জন হালদার সম্পাদিত ‘মরিচঝাঁপি, পৃ। ২৬-২৭ )।


    নৃশংসতার ছবি পাওয়া যায় সমসাময়িক সংবাদপত্রেও “উদ্বাস্তুরা যে ঘরগুলি তৈরি করেছিলেন তার সংখ্যা কোনোক্রমে এক হাজারের কম নয়। ঘরগুলির অধিকাংশই দৈর্ঘ্যে ১০০-১৫০ হাত, প্রস্থে ১২-১৪ হাত। ঘরগুলি শুধু ভেঙ্গে দেওয়া হয় নি, পুড়িয়েও দেওয়া হয়েছে। পুলিশ অকথ্য অমানুষিক অত্যাচার, লাঠিপেটা, নারীধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুঠতরাজের মাধ্যমে ১০-১৫ দিন ধরে অনবরত সন্ত্রাস ও ভীতি প্রদর্শন করেও উদ্বাস্তুদের সম্পূর্ণ উৎখাত করতে সক্ষম হয়নি। (যুগান্তর, ২০ ফাল্গুন, ১৩৮৪)।


    ‘যেন যুদ্ধক্ষেত্রে এসে উপস্থিত হয়েছি।অথবা শত্রুদেশের সীমানায়। মাঠে মাঠে সশস্ত্র পুলিশের ছাউনি, পুলিশ চাইলেই আপনাকে হাত উঁচু করে হাঁটতে হবে। খানাতল্লাসি করবে। ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে আটক করবে। জেরা করবে। অথচ জায়গাটি সরকার ঘোষিত বনাঞ্চল নয়। এই জায়গাটার নাম কুমিরমারি। মরিচঝাঁপির লাগোয়া এক জনবহুল দ্বীপ। বামপন্থী সি পি আই এর মুখপত্র ‘কালান্তর’ পত্রিকায় ‘চার ভাঁটার পথঃ নিষিদ্ধ দ্বীপ’ শিরোনামে দিলীপ চক্রবর্তী ধারাবাহিক সংবাদ পরিবেশন করতে গিয়ে যে বর্ণনা দেন তা না পড়লে শিউরে উঠতে হয়।


    “...ওখানকার মানুষরা চৌদ্দ দিন এপারে আসেনি। ভাত খেতে পারেনি। জলও পায়নি। পুলিশ ঘিরে রেখেছে দ্বীপ। প্রথম প্রথম ২-৩ দিন বেশি শব্দ হয় নি।এরূপ কান্না শোনা যেত রোজ।কু মীর আর কামট-ভরা নদী পার হয়ে কিছু লোক লুকিয়ে আসত রাতে-চাল ইত্যাদির খোঁজে। জলের খোঁজে।এরপর তাও বন্ধ হল। জালিপাতা আর যদু পালং খেয়ে থেকেছে ওরা,মরেছেও অনেক। ওদের কান্না এখান থেকে রোজই শুনতে পাই।


    “... ২৪ শে জানুয়ারি থেকে সরকার দ্বীপ অবরোধ করে। ৩১ শে জানুয়ারি গুলি চলে। ৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের ইনজংশন অনুযায়ী জল-অন্ন আনার উপর থেকে বাধা প্রত্যাহৃত হয়।কিন্তু এর পরেও কড়াকড়ি চলছে। ...একমাত্র ১৬ ফেব্রুয়ারি তারিখেই চাল আনতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন অনন্ত মণ্ডল, অরবিন্দ রায়, নিরঞ্জন বাড়ৈ, কার্তিক সরকার, রণজিৎ মণ্ডল, কৃষ্ণদুলাল বিশ্বাস। ...২৪ জানুয়ারি সরকারের পক্ষ থেকে দ্বীপ অবরোধ করার পর ওখানে অনাহারে মারা গিয়েছেন ৪৩ জন।‘ (সূত্রঃ কালান্তর,২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯)। 


    ‘ব্লকেডের সময় ওরা তখন কী খেত শুনবে? এক ধরনের ঘাস সেদ্ধ করে তাই দিয়ে সবাই পেট ভরায়।ঘাসের নামটা মনে পড়ছে না – ওখানে ওটা নাকি অপর্যাপ্ত জন্মায়। তখন কাশীকান্ত মৈত্র পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতা ছিলেন,তাঁকে ঘাসটা দেখাতে পেরেছিলাম।’ (সূত্রঃ সাংবাদিক নিরঞ্জন হালদারকে লিখিত কমলা বসুর চিঠি)।


    ২৪শে জানুয়ারি ১৯৭৯ থেকে মরিচঝাঁপির নেতাজীনগরে অনাহারে মৃত ব্যক্তিদের নামের তালিকায় রয়েছেন ১৩৬ জন।অখাদ্য কুখাদ্য খেয়ে বিনা চিকিৎসায় মৃত ব্যক্তির তালিকায় ২৩৯ জন।ধর্ষিতা মহিলাদের তালিকায় ২৩ জন।নিখোঁজ ব্যক্তিদের তালিকায় ১২৮ জন। ৩১শে জানুয়ারি ১৯৭৯ গ্রেফতার হয়ে বসিরহাট ও আলিপুর জেলে আটক ব্যক্তিদের তালিকায় ৫২ জন। পরবর্তী সময় জেলে আটক ১৩০ জন। ২৪ শে জানুয়ারি ১৯৭৯ জল সংগ্রহ করতে গিয়ে আটক ৩০ জন। ২৪ শে জানুয়ারি থেকে ১১ই ফেব্রুয়ারি (১৯৭৯) পর্যন্ত পুলিশ-কর্তৃক ছিনতাই হওয়া নৌকার সংখ্যা ১৬৩। – এজাতীয় অসংখ্য প্রামাণ্য তথ্য।


    লজ্জায়, অবরুদ্ধ কান্নায় একের পর এক পৃষ্ঠা ওল্টাই, আর কেবলই মনে হয়, কেউ এসে চিৎকার করে বলুক – এ মিথ্যে মিথ্যে মিথ্যে।


    মানুষের অমানবিক প্রবৃত্তিতেই সংঘটিত হয় গণহত্যা। সেই কালো ইতিহাস একদিন উঠে আসে সাদা আলোয়। চব্বিশ বছর পরে এভাবে সমস্ত প্রামাণ্য বিশ্বাস্য নথি-সহ উঠে এল মরিচঝাঁপি।


    এ লজ্জা কোথায় লুকোব! ইস! আমি যে ভারতীয়, এই বাংলারই একজন। আর কী আশ্চর্য, মরিচঝাঁপি এই বাংলাতেই। প্রগতিশীল বাংলায় ‘মরিচঝাঁপি’ নিয়ে একটা ঝড় উঠবে না!


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৫ আগস্ট ২০১৪ | ১৬৩৮১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ranjan roy | 132.176.225.25 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৩:৪৮88375
  • রাজনৈতিক অবস্থান, তাও গুরুতে আড্ডা মারতে গিয়ে! তাতেও "সাধু-অসাধু"?
    আরে মোয়াই, এই অব্স্থান A, B or C কোন একটা হতে পারে। আপনার আমার সঙ্গে মতে না মিলতে পারে, গা জ্বালানো গোছের হতে পারে,-- কিন্তু "অসাধু"?
    এতবড় ভ্যালু জাজমেন্ট? একটু ভেবে দেখুন ভাই।

    পিএম এর বক্তব্য অত্যন্ত স্পষ্ট এবং আড্ডাজনোচিত। ভাল লাগল।
  • তাপস | 126.203.183.228 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৩:৫৩88376
  • না - ভোটের অধিকারের জন্যে অধিকার আন্দোলনের লোকজন যখন দাবি তুলেছিল তখন এই সব তিনু-মিনু কয় ছিল? অবিশ্যি আধ বুড়ো নই - ফুল বুড়ো, তাই সেসব মনে রেখেচি । আরেকটু বয়স বাড়লে, বাহাত্তুরে এলে, হয়ত ভুলে যাব ! কিন
  • সিকি | 132.177.15.223 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৩:৫৫88377
  • পিএমকে একটা ইয়াব্বড়ো থামস আপ। :)
  • সিকি | 132.177.144.96 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:২৩88356
  • সর্বাবস্থায় নোটাতেই ভোট দিতে কেউ বলে নি। ক্কেউ না। গোলপোস্ট সরে যাচ্ছে।
  • জটাশঙ্কর ওঝা | 99.0.151.92 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:৩৫88357
  • কল্লোলদা নোটা ছাড়া অন্য কাকে ভোট দিতে বলছেন? সেটা বোধহয় কল্লোলদাই বলতে পারবেন অন্য কেউ নয়।
  • PT | 213.110.246.25 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:৩৯88378
  • "তাতেও "সাধু-অসাধু"?"
    অবশ্যই। এটা শুধুমাত্র অন্য মত পোষণের ব্যাপার নয়।
    মমতাকে যারা কৃষক নেত্রী বলে তোল্লাই দিয়েছে তারা অবশ্যই অসাধু রাজনীতির চর্চা করেছে।
    যারা জরুরী অবস্থার অন্যতম স্থানীয় পুরুত সুব্রত মুখার্জীর সঙ্গে একাসনে বসে এক সুরে বামেদের নিন্দে-মন্দ করেছিল তারা অবশ্যই অসাধু রাজনীতির চর্চা করে।
    যারা তিনোর জয়ধ্বনি দিয়ে টাকা-কড়ি, সম্মাননা, মোটা মাইনের চাকরী গুছিয়ে নিয়েছে তারা অবশ্যই অসাধু রাজনীতির সম্প্রসারণে সাহায্য করেছে।
    যারা সিঙ্গুরের চাষীদের মিথ্যে কথা বলে ভুল বুঝিয়েছিল তারা অবশ্যই অসাধু রাজনীতির চর্চা করে।
    [তিনোদের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক উবাচ (এখন ২৪ ঘন্টায় স্ক্রল করছে)ঃ "অধিগৃহীত জমি ফেরত দেওয়া যায় না। সিঙ্গুর, অন্ডালের জমি ফেরতযোগ্য নয়"!!!!]
    .....
    ......
    ইত্যাদি, ইত্যাদি।
  • সিকি | 132.177.144.96 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:০০88358
  • এবার আমার বুঝতে অসুবিধে হচ্ছে আপনার বাংলা বোঝায় সমস্যা নাকি অর্ধেক পড়ে মন্তব্য করছেন?

    নোটা নিয়ে আলোচনা কেবল এই সুতোয় নেই, অনেক অনেক জায়গায় ছড়িয়ে আছে। আপনাকে সামারি করে দিই - যদি আপনার মনে হয়, আপনার কেন্দ্রে নির্বাচনে লড়া প্রার্থী বা দলগুলির মধ্যে আপনার কাউকেও পছন্দ নয়, তা হলে নোটায় ভোট দিন। যদি আপনার কাউকে পছন্দ হয়, বা লেসার ইভিল তত্ত্বে বিশ্বস করেন, তা হলে যাকে অপেক্ষাকৃত পছন্দ হচ্ছে তাকে ভোট দিন। নোটার এটাই উদ্দেশ্য, এটাই নোটার ফ্লেভার। এক বা একাধিক লোক নোটতে ভোট দিলেও জয়ী প্রার্থীর জিততে অসুবিধে হবে না, কেন তা আগেই বলেছি, একটি ভোট পেলেও সেই প্রার্থী জিতে জেতে পারেন ও সংসদ গমন করতে পারেন। কিন্তু প্রর্থী জেনে যাবেন যে এলাকার নির্দিষ্ট ভাগ লোকই তাঁকে পছন্দ করেন নি। পার্সেন্টেজটা পেয়ে যাবেন।

    ভোটে দাঁড়াবার আগেও অনেক - প্রায় সমস্ত প্রার্থীরই রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড থাকে। প্রাক্তন সাংসদ, প্রাক্তন বিধায়ক, সমাজকর্মী, নেতার ডানহাত, রূপোলী পর্দার অভিনেতা অভিনেত্রী - অনেক রকমের পরিচয় থাকে। লোকে সেই পরিচয় এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বিচার করে ভোট দিতে যায়।

    উদাহরণস্বরূপ, আমাদের পাড়ায় এবারে প্রার্থী ছিলেন ভি কে সিং, শাজিয়া ইলমি এবং রাজ বব্বর। সপা-বসপাদের কে ছিল জানি না, তাদের চিনি-ও না। তো, আমি এদের কাউকেই ভোট পাবার যোগ্য মনে করি নি, অতএব আমার নোটাতেই বোতাম টেপার কথা ছিল। এবার আমার ফ্যামিলির লোক বা আমার প্রতিবেশির বিচারবুদ্ধি আমার থেকে আলাদা হতেই পরে, তারা এদের মধ্যে কাউকে যোগ্য মনে করলে তাকে ভোট দেবে, না করলে নোটায় দেবে।

    একটা সোজাসাপটা জিনিসকে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে কমপ্লেক্স করে কী লাভ হচ্ছে? "কল্লোলদা নোটা ছাড়া অন্য কাকে ভোট দিতে বলছেন?" - কল্লোলদা বলবেন কেন? কল্লোলদা অন্য কাউকে ভোট দিতে বলবেন আর আপনি সেটা শুনে ভোট দেবেন নাকি? কল্লোলদা কাকে ভোট দেবেন সেটা কল্লোলদার ব্যাপার, আপনি কাকে ভোট দেবেন সেটা আপনার ব্যাপার।
  • জটাশঙ্কর ওঝা | 99.0.151.92 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:১০88359
  • আপনার সাথে তর্ক করছিনা প্রশ্ন কল্লোলদাকে। বোঝা গেল।
  • d | 144.159.168.72 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:১৮88360
  • সিএমের বক্তব্য বুঝতে আমার অসুবিধে হচ্ছে না তো। সিকি খামোখা ঝাঁপাচ্ছে কেন??
  • d | 144.159.168.72 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:২৪88361
  • অপ্ছন্দ না হলে নোটা তিপলাম, এমনিতে ভালই। অপশান হিসেবে ভাল, কিছু ক্ষেত্রে কার্য্যকরীও নিশ্চয়।
    কিন্তু এক একটা নির্বাচন করতে তো প্রচুর পয়সাকড়ি লাগে। বারেবারে নোটা করে ক্যানসেল হয়ে যেতে থাকলে অত ভোট করানোর পয়সা কে দেবে?
  • ranjan roy | 132.176.225.25 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:৩৭88379
  • "যারা জরুরী অবস্থার অন্যতম স্থানীয় পুরুত সুব্রত মুখার্জীর সঙ্গে একাসনে বসে এক সুরে বামেদের নিন্দে-মন্দ করেছিল তারা অবশ্যই অসাধু রাজনীতির চর্চা করে"
    -ব্রেশ ব্রেশ!
    আর যারা জরুরী অব্স্থার আসল খলনায়ক সেই কংগ্রেসের সঙ্গে হাতমেলানোর রণকৌশল নেয় শুধু ক্ষমতায় আসার জন্যে-- তারা কোন রাজনীতির চর্চা করে? সাধু-সাধু রাজনীতি?
    ( সিপিএম এর সেন্ট্রাল কমিটির লাইন নিয়েও চ্যানেলে খবর আসছে, ধৈর্য্য ধরুন।)
  • কল্লোল | 125.242.69.101 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:০১88362
  • বারবার একই কথা বলতে ক্লান্ত লাগে।
    আপনারা (জশ ও বি) একটা চরম উদাহরণ টানেন যা বাস্তবে হয় না, কিন্তু তত্ত্বগতভাবে হয়। এটাকে যেন কি একটা বলে, মনে পড়ছে না।
    অনেকটা, কেউ বললো তার ঝাল খেতে ভালো লাগে। ওমনি তাকে বলা হলো তবে ৫০টা লংকা খেয়ে দেখান।

    এমনটা যদি হয় যে সকলেই নোটাতে ভোট দিয়েছে, সেটা হতে গেলেও একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া লাগে। হঠাৎ করে এক পূণ্য প্রভাতে ঘুম থেকে উঠে আপামর লোকজন স্থির করে নেবে না - আর কাউকে ভোট নয়। এই পর্যায়ে অনাস্থা তৈরী হতে গেলে তার আগে অনেক পাঁপড় বেলা থাকে।

    নোটাতে ভোট বাড়লে, আমার কাছে সেটা শুভ লক্ষন। এতে বোঝা যাবে - দলগুলোর উপর অনাস্থা বাড়ছে। ফলে দলগুলোও চাপে থাকবে - সে সরকারী বা বিরোধী যেই হোক।

    এমনটাই হবে এরকম কোন দাবী কোথাও করা হয় নি। এখনো পর্যন্ত নোটায় ভোট খুবই কম। আমার আশা ভবিষ্যতে বাড়বে।

    আমি ২০১৬র পবর নির্বাচনে নোটায় ভোট দেবো।
  • PM | 193.89.97.182 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:২২88380
  • "যারা তিনোর জয়ধ্বনি দিয়ে টাকা-কড়ি, সম্মাননা, মোটা মাইনের চাকরী গুছিয়ে নিয়েছে তারা অবশ্যই অসাধু রাজনীতির সম্প্রসারণে সাহায্য করেছে।"

    "যারা সিঙ্গুরের চাষীদের মিথ্যে কথা বলে ভুল বুঝিয়েছিল তারা অবশ্যই অসাধু রাজনীতির চর্চা করে।"

    পিটির ওপোরের লাইন দুটোর সাথে পুরোপুরি একমত। সত্যি কথা খারাপ লাগলে কিছু করার নেই।

    "মমতাকে যারা কৃষক নেত্রী বলে তোল্লাই দিয়েছে তারা অবশ্যই অসাধু রাজনীতির চর্চা করেছে।"

    পিটির এই লাইনের সাথে একমত শুধু উনি যদি "অসাধু" শব্দটাকে "বালখিল্য" দিয়ে রিপ্লেস করতে রাজি থাকেন ঃ)

    "যারা জরুরী অবস্থার অন্যতম স্থানীয় পুরুত সুব্রত মুখার্জীর সঙ্গে একাসনে বসে এক সুরে বামেদের নিন্দে-মন্দ করেছিল তারা অবশ্যই অসাধু রাজনীতির চর্চা করে।"-----এই লাইনটার সাথে একমত নই। রাজনীতিতে অছ্যুত বলে কিছু নেই। এই লাইনটা পিটির শক্ত বক্তব্যের দুর্বলতম অংশ , যেটাকে ভাঙা সহজ। রন্জনদা বক্তব্যের বাকি অংশ ছেড়ে তাই এই লাইনটাকেই ধরেছেন প্রতি আক্রমণের জন্য।ঃ)
  • Atoz | 161.141.84.164 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:২৪88381
  • পিএম,
    ঃ-)
  • কল্লোল | 125.242.69.101 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:৪৯88363
  • পিটি। তুমি যে নিয়মিত কর্ণাটকের মিডিয়ার খবর রাখো সেটা জান্তাম না।

    যাই হোক কর্ণাটকের খবর যখন রাখো, তখন নিশ্চিত জানো যে ভ্যালেন্টাইন ডে নিয়ে ম্যাঙ্গালোরের রামসেনা প্রধান মুতালিকের বাঁদরামোর প্রতিবাদে দারুন মিছিল হয়েছিলো ও সেই জমায়েৎ থেকে সিদ্ধান্ত হয় আমরা সবাই মুতালিককে একটা করে গোলাপী প্যান্টি পাঠাবো। পাঠানোও হয়েছিলো।
    http://www.foxnews.com/story/2009/02/10/pink-panty-women-target-extremist-right-wing-indian-leader/

    ইজিপুরার নাম শুনেছো? শোনোনি বোধহয়। বা শুনলেও এই গুরুর পাতাতেই দেখেছো। একটা বিশাল বস্তি যা ব্যাঙ্গালোর কর্পোরেশন থেকে গরীব মানুষদের বাসস্থানের জন্য চিহ্নত ছিলো, তাদের বিনা ক্ষতিপূরণে উচ্ছেদ করে সেখানে একটা মল হচ্ছে। তাই নিয়ে প্রচুর বিক্ষোভ ধর্ণা ইঃ হয়েছে। আপাততঃ মামলা চলছে।
    http://ejipuraevictions.wordpress.com/

    গত রবিরার ব্যাঙ্গালোরে বালাব্রুয়ি গেস্ট হাউস ভেঙ্গে এমএলএদের ক্লাব তৈরীর সরকারী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ছিলো - জানো নিশ্চই। এই বাড়িটায় রবীন্দ্রনাথ শেষের কবিতা-র বেশ কিছু অংশ লিখেছেন। সেটা বন্ধ করা গেছে।
    https://www.change.org/p/the-chief-minister-of-karanataka-stop-the-demolition-of-a-heritage-building

    এরকম আরও অজস্র ঘটনা ঘটে, তার প্রতিবাদও হয়। খুব আটকে না গেলে - থাকি তো তাদের সাথে।

    তুমি নিশ্চই খবর রাখো।
    এবার প্রশ্ন আমি এসবে থাকি কি না। প্রমান দিতে পারি, কিন্তু আমার আত্মমর্যাদায় আটকাচ্ছে। তাই দিলাম না। বিশ্বাস করা না করা তোমার ব্যাপার।
  • ranjan roy | 132.176.189.250 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৭:২৯88364
  • অনেকের মত টোকেনিজমকে পিটি ভন্ডামি মনে করেন --বোঝা গেল।
    এও বোঝা গেল পিটি, চিফ মিনিস্টার ও প্রাইম মিনিস্টার এই বঙ্গে বর্তমান সরকারের অপকীর্তির বিরুদ্ধে নিয়মিত ময়দানে নামেন, টোকেনিজম করেন না।
    এর জন্যে অন্য কোন প্রমাণের দরকার নেই। আমি বিশ্বাস করছি। লেখার ঝাঁঝেই প্রমাণ পেয়ে গেছি।
  • হামলা | 233.29.204.178 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৮:০১88365
  • দূর দূর সে হামলা বোল/ টোকেনিজম পর হামলা বোল/ গুরুকে পাত্তে পর হামলা বোল/ভোটার ছাগলো পর হামলা বোল/
  • dd | 132.172.61.14 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৮:১৭88366
  • বেশ বাজে লাগলো এই টোকেনিজমের ট্যাগ।

    টোকেনিজম হয় প্রফেশনাল ডু গুডার বা পেশাদার রাজনৈতিক নেতাদের। তাদেরকে নিয়ে প্রশ্নো করা যায়। করাও উচিৎ। মেধাপাটকার থেকে বিমান বসু - সবাকেই।

    নট উইথ কল্লোল। নিজের চাগরী বাগরী , ঝুঁটি বাঁধা চুলে জট পরা,সংসার সামলে যতোটুকু একটিভিজম দ্যাখায় - মতে না মিলুক - সেটাকে তাচ্ছিল্য করার কিছু নেই। স্পেশালি সারাটা সময় যারা শুধু লিংবাজী করেই সমাজ বিপ্লব করে নিলেন - তাদের।

    কিছু কিছু পোস্ট পড়ে আমার হাড় পিত্তি জ্বলে যায়, মনে হয়"জয় শ্রী রাম" বলে দি নাকে এক বেজায় ঘুঁষি। এজ,সেক্ষ,কাস্ট নো বার।

    তখুনি মনে হয়। এঁয়ারা ক্ষেতি কি করছেন? তাও ও তো ঘরের খে বনের মোষ তাড়াচ্ছেন বা মতান্তরে কুমীর ডাকছেন। কিছু করে দেখাচ্ছেন। বেসিক ভেলুটা আছে।

    এইসব ভেবে আমি রাগে গজ গজ করে ঘুমাতে চলে যাই কিন্তু ইনশাল্ট করি না।
  • হামলা | 233.29.204.178 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৪ ০৯:১১88367
  • মিদনাপুর সে হামলা বোল/বেঙ্গালুরু পর হামলা বোল/ ঝুঁটিওয়ালো পর হামলা বোল
    /টিআইএফার পর হামলা বোল/আইবিএম পর হামলা বোল/বোল জওয়ানও/ হামলা বোল

    সাথ মে কাউন হ্যায়/হামলা বোল - আলিমুদ্দিন আয়েগা - হামলা বোল/ এনারকি পর হামলা বোল/সব সালো পর হামলা বোল/
  • PT | 213.110.247.221 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৪ ১০:০৭88368
  • "এও বোঝা গেল পিটি, চিফ মিনিস্টার ও প্রাইম মিনিস্টার এই বঙ্গে বর্তমান সরকারের অপকীর্তির বিরুদ্ধে নিয়মিত ময়দানে নামেন, টোকেনিজম করেন না।"

    কোনটাই করিনা।
    কিন্তু জানলা দিয়ে কালো পতাকা নেড়ে আত্মশ্লাঘা বোধ করার চেষ্টা করিনা। তার চাইতেও বড় কথা বালখিল্য রাজনৈতিক তত্ব আওড়ে তিনোর মত ভন্ড দলকে ক্ষমতায় পাঠানোর পক্ষে সওয়াল করিনা।
  • হামলা | 233.29.204.178 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৪ ১০:৫১88369
  • আত্মশ্লাঘা পর হামলা বোল
  • PM | 120.168.229.241 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৪ ১১:০২88370
  • সত্যের খাতিরে----জানলা দিয়ে কালো পতাকা নাড়ানোটা আমার এক পোস্ট-এ ছিলো যেটা Exaggeration of Truth। তর্কের জন্য করা। তার পর থেকে এটার নানা উদ্ধৃতি হয়ে চলেছে।

    আসলে কল্লোলদা সত্যি স্পটে ছিলেন। কিন্তু ঘট্নাচক্রে দিদির গাড়ী ততক্ষনে চলে গেছিলো। তাই কল্লোলদার কালো পতাকা প্রদর্শন কিছুটা প্রতিকী হয়ে গেছিলো।

    "জানলা দিয়ে পতাকা নাড়া" উক্তিটা আর রিপিট না হওয়াই ভালো।
  • potke | 126.202.10.45 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৪ ১২:০৪88371
  • পিটিদার অনেক বক্তব্যের সাথে একমত হই নানান থ্রেডে। কিন্তু শেষ পোস্ত দুটো ভালো লাগল না!

    বিলো দ্য বেল্ট মনে হল।
  • b | 135.20.82.164 (*) | ২৯ অক্টোবর ২০১৪ ১২:০৫88372
  • কল্লোলদার অরিজিনাল সিন বাওয়া, আর য়েহোয়েহ কক্ষণো ক্ষমা করেন না। তাই পাশ থেকে , সুযোগ পেলে, এমনকি না পেলেও, খুচুৎ মুচুৎ করে চিমটি কেটে যান।
  • pinaki | 90.254.154.105 (*) | ৩০ অক্টোবর ২০১৪ ০১:২৫88431
  • সিপিএমের অন্যায়ের বেলায় কোর্টে প্রমাণ হওয়া অব্দি প্রতিবাদ স্থগিত রাখতে হবে। শুধু তাই নয়, তাদের অন্যায়ের বেলায় প্রতিবাদ না করে নীরব থেকে হাওয়া যোগানো কে 'অসাধুতার প্রশ্রয়' হিসেবে ধরা হবে না। আর তিনোমূলের অন্যায়ের বেলায় তক্ষুনি প্রতিবাদ হতে হবে। শুধু তাই নয়, তা যাতে টোকেনিজম না হয় সেটা এনসিওর করতে হবে। তাতেও হবে না। সেই প্রতিবাদ সত্যিসত্যি সেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে কার্যকরী হল কিনা তার প্রমাণ দিতে হবে। কিছু না হলে অন্ততঃ এটুকু নিশ্চিত করতে হবে যে সেই প্রতিবাদ মিডিয়ায় এমন লেভেলে প্রচার হবে যাতে তা পিটিদার চোখ বা কান না এড়ায়।

    খুবই যুক্তিসঙ্গত দাবী। সন্দেহ নেই। ঃ-)
  • cb | 213.0.215.1 (*) | ৩০ অক্টোবর ২০১৪ ০১:৪০88383
  • কল্লোলদা বাল্যখিল্য র মধ্যে পড়ছেন :)

    খানিকটা সিরিয়াসলি ই বললাম কিন্তু
  • PT | 213.110.243.21 (*) | ৩০ অক্টোবর ২০১৪ ০১:৫৫88432
  • "সিপিএমের অন্যায়ের বেলায় কোর্টে প্রমাণ হওয়া অব্দি প্রতিবাদ স্থগিত রাখতে হবে ....... আর তিনোমূলের অন্যায়ের বেলায় তক্ষুনি প্রতিবাদ হতে হবে"

    হুলো বেড়ালের গোঁফ কি দেখা যাচ্ছে?
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ৩০ অক্টোবর ২০১৪ ০২:০৮88433
  • 'আবার সিঙ্গুরের চাষীকে যারা টাকা না নিয়ে জমি ফেরতের জন্য আন্দোলন করার জন্য তাতিয়েছিল তারা অসাধু রাজনীতির চর্চা করেছে কেননা তারা চাষীদের বলেনি যে সরকার একবার জমি অধিগ্রহণ করলে তা ফেরত দেওয়া যায়না। '

    শিওর তো ?
    http://economictimes.indiatimes.com/news/politics-and-nation/tmc-seeks-labour-ministers-explanation-on-singur-land-remark/articleshow/44981068.cms

    আর 'সরকার একবার জমি অধিগ্রহণ করলে তা ফেরত দেওয়া যায়না।'.. এটা যদি আপনার জানা ছিল তো এতদিন বলেননি কেন? বিরোধিতার প্রথম পয়েন্ট তো সেটাই হওয়া ছিল না ?
  • PT | 213.110.243.21 (*) | ৩০ অক্টোবর ২০১৪ ০২:২৩88434
  • আমার বলার দরকার নেই।
    'সরকার একবার জমি অধিগ্রহণ করলে তা ফেরত দেওয়া যায়না' একথা বিকাশ ভট্টাচার্য (এবং সম্ভবতঃ অরুণাভ ঘোষও) প্রথম দিন থেকেই বলে আসছেন। মিথ্যাচারের ঘনঘটার উচ্চ ডেসিবেলের কারণে তাঁর কথা বোধহয় আপনার কানে ঢোকেনি।

    এই মায়াময় জগতে কোন কিছু নিয়েই কি শিওর হওয়া যায়? তবে আপনার সন্দ থাকলে এটা দেখে নেবেনঃ


    টাটাদের সঙ্গে মিটিনের পরে এই বক্তব্য প্রত্যাশিতই ছিল।
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ৩০ অক্টোবর ২০১৪ ০২:২৬88435
  • তা দাদা আপনার পোস্ট এর ঘনঘটাও তো কিছু কম হয়নি এদ্দিন, তার কোথাও তো এই নিয়ে উচ্চবাচ্যা দেখি নাই ! অন্যদের মিথ্যাচার প্রমাণ করার এমন লোপ্পাই সুযোগ পেয়ে এদ্দিন ধরে তা ছেড়ে দিয়েছিলেন !
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে প্রতিক্রিয়া দিন