এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • লজ্জা ও ঘৃণার কালো ইতিহাস

    ঝিনুক চক্রবর্তী লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৫ আগস্ট ২০১৪ | ১৬০৪৬ বার পঠিত
  •  কোলকাতা বইমেলার আয়োজক পাবলিশার্স ও বুকসেলার্স গিল্ড এর মুখপত্র ‘পুস্তক মেলা’য় প্রকাশিত এই লেখাটিকে লোপাট করা হয়েছিল।পৃষ্ঠা কেটে সেখানে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল অন্য বইয়ের সমালোচনা।‘পুস্তক মেলা’য় একই সংখ্যার (ষষ্ঠ বর্ষ, প্রথম সংখ্যা, বৈশাখ – আষাঢ় ১৪০৯ ) দুটি কপিই আমাদের হাতে আছে ঐতিহাসিক প্রমাণ হিসাবে। – তুষার ভট্টাচার্য সম্পাদিত ‘অপ্রকাশিত মরিচঝাঁপি’ থেকে। 


     ------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


    ‘এই উদ্বাস্তরা অন্য রাজ্য থেকে আসা অবাঙ্গালি অধিবাসীদের মতো কলকাতার রেলস্টেশন বা ফুটপাথ দখল করতে চান নি, তারা সত্যি সত্যিই পুনর্বাসনের পরিকল্পনা নিয়েই সুন্দরবনের মরিচঝাঁপি দ্বীপে যাচ্ছিলেন। কিন্তু হাসনাবাদে না যেতে দিয়ে, বর্ধমানের কাশীপুরে গুলি চালিয়ে ৬ জনকে মেরে, জোর করে অনেক উদ্বাস্তুকে দণ্ডকারণ্যে ফেরত পাঠান। বামফ্রন্ট নেতারা ভারত সেবাশ্রম সংঘ, রামকৃষ্ণ মিশন, মাদার টেরেসা, লুথারিয়ান চার্চ – কাউকে সেবাকাজ করতে দেয় নি। এমন কী শিশুদের বৃদ্ধদের দুধ দিতে দেয় নি। ফলে হাসনাবাদে প্রায় দেড় হাজার শিশু ও বৃদ্ধ বিনা চিকিৎসায় মারা যান।’– শক্তি সরকার (সুন্দরবনের প্রাক্তন সাংসদ)। সূত্রঃ নিরঞ্জন হালদার সম্পাদিত ‘মরিচঝাঁপি’,পৃষ্ঠা ৫২-৫৩।


    ‘পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় উদ্বাস্তুদের থামানো হয়েছে। তাঁদের অধিকাংশকে বেশ সফল ভাবে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেইরকম একটি দলকে আমি হাসনাবাদ স্টেশনে দেখি, যারা ফেরত ট্রেনে ওঠার জন্য সরকারি অফিসে লাইন দিয়েছে স্বেচ্ছায়। তারা প্রায় প্রত্যেকেই তিন-চার দিন খায়নি। তাদের মনোবল ভেঙ্গে দেওয়া গেছে স্রেফ ক্ষুধার অস্ত্রে। তারা গোটা পশ্চিমবাংলাকে অভিসম্পাত দিতে দিতে ফিরে গেল।’– সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। সূত্রঃ ‘মরিচঝাঁপি সম্পর্কে জরুরি কথা – আনন্দবাজার পত্রিকা, ১১.৯.১৯৭৮।


    ‘যে সমস্ত পরিবার আজ ওখানে (দণ্ডকারণ্যে) ফিরে আসছেন, তাঁদের প্রায় সকল পরিবার থেকে শিশু অথবা বৃদ্ধ অথবা দুই-ই তাঁরা পথে পথে চিরদিনের মতো হারিয়ে এসেছেন। তাঁদের শোক, দুঃখবোধও এই প্রচণ্ড আঘাতে ও প্রতারণায় বিফল। ফেরতগামী ট্রেনে পশ্চিমবঙ্গ সরকার থেকে ২-৩ জন করে অফিসার পাঠানো হচ্ছে শরণার্থীদের তদারকি করার জন্য। তাঁদের মুখেই শুনলাম, ফিরবার পথে মৃত শিশুদের তাঁরা ট্রেন থেকে ফেলে দিয়েছেন। পরবর্তী কোনো স্টেশনে তাদের সদগতির জন্য অপেক্ষা করেনি।’ পান্নালাল দাশগুপ্ত। সূত্র যুগান্তর, ২৫ শে জুলাই, ১৯৭৮।


    ইতিহাস দাগ রেখে যায়। সে-দাগ মোছে না কখনও। একদিন না একদিন তা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। করেই। আপাতভাবে আড়াল করে রাখলেও সময়ই তাকে টেনে খুঁড়ে বের করে আনে। মানুষই ইতিহাস সৃষ্টি করে, আঁচড় কাটে। চাপা পড়ে থাকা ক্ষত উঠে আসে যখন, শিউরে উঠতে হয়। এমনও হয় তাহলে। অস্বীকার করা যায় না কিছুতেই। হয়েছে তো এমনই।


    সময়ের পরিবর্তনে মানুষ হয়তো অবস্থান বদলায়, কিন্তু ইতিহাস বদলায় না। মানুষ লজ্জিত হয়। ইতিহাসই মানুষকে ধিক্কার দেয় কখনও কখনও। একটি করে পৃষ্ঠা উল্টেছি আর লজ্জায় ধিক্কারে ঘৃণায় ক্ষোভে শোকে অবনত করেছি মুখ। প্রগতিশীল বামপন্থার আড়ালে তবে এত অন্ধকার।


    ‘সমস্ত সরকারি বাধা অতিক্রম করে ১৯৭৮ সালের এপ্রিলে ৩০ হাজারের মতো নরনারী, শিশু, বৃদ্ধ মরিচঝাঁপি দ্বীপে পৌঁছান। নিজেদের শ্রম ও সামর্থ্যে তারা ১৯৭৯ সালের মে মাস পর্যন্ত থাকতে পারেন। – দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় জার্মান কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে যে-ভাবে বন্দীদের না খেতে দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল, সেইভাবে মরিচঝাঁপির মানুষদের মেরে ফেলার চক্রান্ত শুরু হয়। ১৯৭৮ সালের সেপ্টেম্বরে ঝড় বন্যার মধ্যেও ৬, ৭, ৮ সেপ্টেম্বর জ্যোতি বসুর সরকার পুলিশ লঞ্চের সাহায্যে উদ্বাস্তুদের নৌকাগুলি ডুবিয়ে দেয়। … ১৯৭৯ সালের ২৪ শে জানুয়ারি ব্লকেড করে পাশের দ্বীপ থেকে আসা খাদ্য ও পানীয় জল আনা বন্ধ করা হয়। পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট রাজত্বে ৩১শে জানুয়ারী (১৯৭৯) প্রথম গুলি চলে। মরিচঝাঁপির লোকদের ছাপানো এই অক্ষরমালাকে ‘মিথ্যে বানানো পরিকল্পিত কুৎসা’ বুলে উড়িয়ে দিতে পারলে কোনো কষ্ট হত না। কিন্তু ওই যে ইতিহাস। অমোঘ শক্তি তার। নির্মম সত্যের ওপর দাঁড়িয়ে সে। গায়ের জোরে অস্বীকার করার চেষ্টা করলেও মনে মনে সত্যের কাছে মাথা নোয়াতেই হয়।


    আমরা তাহলে পেরেছিলাম।


    আবাল্য স্বপ্নভূমি-বীজভূমি নিজস্ব উঠোনটুকু কেড়ে নিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে ‘উদ্বাস্তু করেছিল’ যে স্বাধীনতা, তার সব দায় তাহলে ঐ হতভাগ্য মানুষগুলোর। সাতজন্মের পাপের ফল, নাকি দুর্ভাগ্য ওঁদের। আমরা যারা স্বাধীনতার ক্ষীরটুকু চাটতে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম, স্বাধীন গদিতে আপ্লুত হলাম, তাদের কাছে ওই সবহারানো নেই – মানুষগুলো রাতারাতি শরণার্থী হয়ে গেল।


    দাঙ্গা-কাটাকাটি সে না হয় হয়েছে, কিন্তু রাষ্ট্র তো পুনর্বাসনের চেষ্টা করেছে যথাসাধ্য। সুজলা-সুফলা-সবুজ নদীমাতৃক ভূমিপুত্রদের খুলনা যশোর ফরিদপুর জেলার নমঃশূদ্র-পৌণ্ড্রক্ষত্রিয় কৃষকদের পুনর্বাসন দেওয়া তো হল পাথর-কাঁকর-টিলা-অধ্যুষিত দণ্ডকারণ্যে।


    অহো, সরকার যে করেনি তা-তো নয়।


    কিন্তু দণ্ডকারণ্যের এই পুনর্বাসন বাঙালি কৃষক উদ্বাস্তুদের কাছে হয়ে উঠেছিল ‘নির্বাসন’। পশ্চিমবঙ্গের শিবিরবাসী এইসব উদ্বাস্তুদের ১৯৬১ সালে দণ্ডকারণ্যে পাঠানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ডোল বন্ধ করে দিলে তাঁরা পশ্চিমবঙ্গে পুনর্বাসনের দাবিতে অনশন করে। ১৯৬১ সালের ১৩ই জুলাই উদ্বাস্তুদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে জ্যোতি বসু অনিচ্ছুক উদ্বাস্তুদের দণ্ডকারণ্যে পাঠানো বন্ধ করার জন্য পশ্চিমবঙ্গের তদানীন্তন রাজ্য পুনর্বাসন মন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেনকে একটি চিঠিতে লিখেছিলেনঃ “…although it was stated by the Government the West Bengal has reached a saturation point. I feel, therefore, that the rest may be found rehabilitation here provided there is willingness on the part of the Govt.”(যদিও পশ্চিমবঙ্গ সরকার বারবার বলছেন যে, এই রাজ্যে উদ্বাস্তু পুনর্বাসনের জন্য একতিল জমি নেই, তথাপি মনে করি সরকারের অভিপ্রায় থাকলে অবশিষ্ট উদ্বাস্তুরা এ রাজ্যে পুনর্বাসন পেতে পারে।)


    সে সময় পশ্চিমবঙ্গে উদ্বাস্তু শিবিরগুলি বন্ধ করে দিতে কেন্দ্রীয় সরকারও বদ্ধপরিকর। ১৯৫৯ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু কলকাতায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে বলেছিলেনঃ ‘যদি মাথায় আকাশ ভাঙ্গিয়া পড়ে এবং কলকাতার পথে পথে দাঙ্গাও শুরু হয়, তাহা হইলেও আমরা উদ্বাস্তু ক্যাম্পগুলি বন্ধ করে দিব বলিয়া স্থির করিয়াছি।’ (সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা, ২২.১০.১৯৫৯)।


    কেন্দ্রীয় সরকারের অনমনীয় মনোভাবের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সেদিন জ্যোতি বসু উদ্বাস্তুদের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালের ২১ শে জুন কলকাতায় জ্যোতি বসুর সভাপতিত্বে বামপন্থী দলগুলি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলঃ ‘তাদের (উদ্বাস্তুদের) পুনর্বাসনের সব দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নিতে হবে।’ (সূত্রঃ মরিচঝাঁপি – নিরঞ্জন হালদার, পৃ-৩৩)।


    জ্যোতি বসুর এই দরদ(!)এর কথা মাথায় রেখেই বোধহয় ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে ১৯৭৮ সালের প্রথমদিকে দণ্ডকারণ্যে নির্বাসিত উদ্বাস্তু মানুষজন পুনর্বাসিত হওয়ার আকাঙ্খায় পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনের দিকে রওনা দেন।


    হায় রে আশা! গদিতে বসলে নেতাকে যে রাজার মতোই আচরণ করতে হয়। এই বুঝি গণতন্ত্রের নিয়ম।


    ১৯৭৮ সালের ১৮ই এপ্রিল দশ হাজার উদ্বাস্তু পরিবার সুন্দরবনের কুমিরমারি পার হয়ে মরিচঝাঁপিতে আশ্রয় নেন। তাঁরা পুনর্বাসনের জন্য সরকারের কাছে কোনো সাহায্য চান নি। তাঁদের দাবি ছিল ‘আমাদের শুধু মরিচঝাঁপিতে ভারতবর্ষের নাগরিক হিসাবে থাকতে দাও।’ তাঁদের ভরসা ছিল, এখানে পাঁচ ফুটের বেশি উঁচু জোয়ার আসে না। এখানকার কাছাকাছি গ্রামের লোকজন যদি পাঁচ ফুট বাঁধ দিয়ে নোনাজল ঠেকিয়ে একশো বছর ধরে চাষ করতে পারেন, তাহলে তাঁরা পারবেন না কেন? তাছাড়া মাছ ধরার সুযোগ তো আছে।


    পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্ট সরকার কী সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন, তাঁরা তখন জানতেন না, হায়।


    সিপিআই(এম) এর রাজ্য কমিটি তখন রাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন ‘দণ্ডকারণ্যের যে-সব উদ্বাস্তু পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন, প্রয়োজন হলে,তাদের বল প্রয়োগ করে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সরিয়ে দিন।’ কমিটির তিন দিনের অধিবেশনের পর দলের সম্পাদক প্রমোদ দাশগুপ্ত সাংবাদিকদের বলেছিলেন “এইসব উদ্বাস্তুদের নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে”। (সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা, ২.৭.১৯৭৮)।


    এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়িত হতে দেরি হল না। ১৯৭৮ সালের ১৯ অগস্ট বহু পুলিশ ও কুড়িটির লঞ্চের সাহায্যে সামরিক কায়দায় নদীপথ অবরোধ করা হল এবং উদ্বাস্তুরা তাতেও দমে না দেখে ৬ই সেপ্টেম্বর সেইসব লঞ্চ নিয়ে উদ্বাস্তুদের রসদ জ্বালানি কাঠ ও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বোঝাই করা ২০০টি নৌকা ডুবিয়ে দেওয়া হল। (সূত্রঃ মরিচঝাঁপি কি মরীচিকা? শৈবাল গুপ্ত। নিরঞ্জন হালদার সম্পাদিত ‘মরিচঝাঁপি, পৃ। ২৬-২৭ )।


    নৃশংসতার ছবি পাওয়া যায় সমসাময়িক সংবাদপত্রেও “উদ্বাস্তুরা যে ঘরগুলি তৈরি করেছিলেন তার সংখ্যা কোনোক্রমে এক হাজারের কম নয়। ঘরগুলির অধিকাংশই দৈর্ঘ্যে ১০০-১৫০ হাত, প্রস্থে ১২-১৪ হাত। ঘরগুলি শুধু ভেঙ্গে দেওয়া হয় নি, পুড়িয়েও দেওয়া হয়েছে। পুলিশ অকথ্য অমানুষিক অত্যাচার, লাঠিপেটা, নারীধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুঠতরাজের মাধ্যমে ১০-১৫ দিন ধরে অনবরত সন্ত্রাস ও ভীতি প্রদর্শন করেও উদ্বাস্তুদের সম্পূর্ণ উৎখাত করতে সক্ষম হয়নি। (যুগান্তর, ২০ ফাল্গুন, ১৩৮৪)।


    ‘যেন যুদ্ধক্ষেত্রে এসে উপস্থিত হয়েছি।অথবা শত্রুদেশের সীমানায়। মাঠে মাঠে সশস্ত্র পুলিশের ছাউনি, পুলিশ চাইলেই আপনাকে হাত উঁচু করে হাঁটতে হবে। খানাতল্লাসি করবে। ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে আটক করবে। জেরা করবে। অথচ জায়গাটি সরকার ঘোষিত বনাঞ্চল নয়। এই জায়গাটার নাম কুমিরমারি। মরিচঝাঁপির লাগোয়া এক জনবহুল দ্বীপ। বামপন্থী সি পি আই এর মুখপত্র ‘কালান্তর’ পত্রিকায় ‘চার ভাঁটার পথঃ নিষিদ্ধ দ্বীপ’ শিরোনামে দিলীপ চক্রবর্তী ধারাবাহিক সংবাদ পরিবেশন করতে গিয়ে যে বর্ণনা দেন তা না পড়লে শিউরে উঠতে হয়।


    “...ওখানকার মানুষরা চৌদ্দ দিন এপারে আসেনি। ভাত খেতে পারেনি। জলও পায়নি। পুলিশ ঘিরে রেখেছে দ্বীপ। প্রথম প্রথম ২-৩ দিন বেশি শব্দ হয় নি।এরূপ কান্না শোনা যেত রোজ।কু মীর আর কামট-ভরা নদী পার হয়ে কিছু লোক লুকিয়ে আসত রাতে-চাল ইত্যাদির খোঁজে। জলের খোঁজে।এরপর তাও বন্ধ হল। জালিপাতা আর যদু পালং খেয়ে থেকেছে ওরা,মরেছেও অনেক। ওদের কান্না এখান থেকে রোজই শুনতে পাই।


    “... ২৪ শে জানুয়ারি থেকে সরকার দ্বীপ অবরোধ করে। ৩১ শে জানুয়ারি গুলি চলে। ৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের ইনজংশন অনুযায়ী জল-অন্ন আনার উপর থেকে বাধা প্রত্যাহৃত হয়।কিন্তু এর পরেও কড়াকড়ি চলছে। ...একমাত্র ১৬ ফেব্রুয়ারি তারিখেই চাল আনতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন অনন্ত মণ্ডল, অরবিন্দ রায়, নিরঞ্জন বাড়ৈ, কার্তিক সরকার, রণজিৎ মণ্ডল, কৃষ্ণদুলাল বিশ্বাস। ...২৪ জানুয়ারি সরকারের পক্ষ থেকে দ্বীপ অবরোধ করার পর ওখানে অনাহারে মারা গিয়েছেন ৪৩ জন।‘ (সূত্রঃ কালান্তর,২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯)। 


    ‘ব্লকেডের সময় ওরা তখন কী খেত শুনবে? এক ধরনের ঘাস সেদ্ধ করে তাই দিয়ে সবাই পেট ভরায়।ঘাসের নামটা মনে পড়ছে না – ওখানে ওটা নাকি অপর্যাপ্ত জন্মায়। তখন কাশীকান্ত মৈত্র পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতা ছিলেন,তাঁকে ঘাসটা দেখাতে পেরেছিলাম।’ (সূত্রঃ সাংবাদিক নিরঞ্জন হালদারকে লিখিত কমলা বসুর চিঠি)।


    ২৪শে জানুয়ারি ১৯৭৯ থেকে মরিচঝাঁপির নেতাজীনগরে অনাহারে মৃত ব্যক্তিদের নামের তালিকায় রয়েছেন ১৩৬ জন।অখাদ্য কুখাদ্য খেয়ে বিনা চিকিৎসায় মৃত ব্যক্তির তালিকায় ২৩৯ জন।ধর্ষিতা মহিলাদের তালিকায় ২৩ জন।নিখোঁজ ব্যক্তিদের তালিকায় ১২৮ জন। ৩১শে জানুয়ারি ১৯৭৯ গ্রেফতার হয়ে বসিরহাট ও আলিপুর জেলে আটক ব্যক্তিদের তালিকায় ৫২ জন। পরবর্তী সময় জেলে আটক ১৩০ জন। ২৪ শে জানুয়ারি ১৯৭৯ জল সংগ্রহ করতে গিয়ে আটক ৩০ জন। ২৪ শে জানুয়ারি থেকে ১১ই ফেব্রুয়ারি (১৯৭৯) পর্যন্ত পুলিশ-কর্তৃক ছিনতাই হওয়া নৌকার সংখ্যা ১৬৩। – এজাতীয় অসংখ্য প্রামাণ্য তথ্য।


    লজ্জায়, অবরুদ্ধ কান্নায় একের পর এক পৃষ্ঠা ওল্টাই, আর কেবলই মনে হয়, কেউ এসে চিৎকার করে বলুক – এ মিথ্যে মিথ্যে মিথ্যে।


    মানুষের অমানবিক প্রবৃত্তিতেই সংঘটিত হয় গণহত্যা। সেই কালো ইতিহাস একদিন উঠে আসে সাদা আলোয়। চব্বিশ বছর পরে এভাবে সমস্ত প্রামাণ্য বিশ্বাস্য নথি-সহ উঠে এল মরিচঝাঁপি।


    এ লজ্জা কোথায় লুকোব! ইস! আমি যে ভারতীয়, এই বাংলারই একজন। আর কী আশ্চর্য, মরিচঝাঁপি এই বাংলাতেই। প্রগতিশীল বাংলায় ‘মরিচঝাঁপি’ নিয়ে একটা ঝড় উঠবে না!


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৫ আগস্ট ২০১৪ | ১৬০৪৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • PT | 213.110.246.23 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:৪৯88501
  • কল্লোলদা
    তোমার সুবিধে মত শব্দ সাজালে চলবে না। তোমার অভিযোগ ঐ PM যেমন লিখেছেন-অফ স্টাম্পের বাইরে ব্যাট বাড়িয়ে খামোকাই ক্যাচ তুলছ।
    তবে আমার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে তোমার কি অবস্থান তা নিয়ে আমার বিশেষ উৎসাহ নেই।
    যেটা জানা দরকার সেটা হচ্ছেঃ
    ১) শাঁওলীর হাজার হাজার মৃতদেহ
    ২) কসু-র শিশুবধ
    ৩) অপর্না সেনের স্তনবৃন্ত্কাটা
    -এই মিথ্যাপ্রচার সম্পর্কে তোমার অবস্থান কি? আর যখন এই সব প্রচার চলছিল তখন APDR আর সুজাত ভদ্রের এই বিষয়ে মৌনতা অবলম্বন করে থাকা প্রসঙ্গে তোমার অবস্থান কি?
  • ন্যাড়া | 172.233.205.42 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৪ ০৪:৫৮88502
  • জ্যোতিবাবু বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন প্রফুল্ল ঘোষ স্টিফেন হাউস কিনে নিয়েছেন।

    - এই মিথ্যাপ্রচার সম্বন্ধে পিটিবাবুর অবস্থান কী?
  • Du | 127.194.210.15 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:৪৬88562
  • ন্যাড়াবাউ, এতদিন ধরে এতবার চ্যালা সম্বোধনের মধ্যে যে এতখানি হার্দিক শ্রদ্ধা লুকিয়ে ছিল বুঝতে পারি নি।
  • Du | 230.225.0.38 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:৫৪88503
  • কেউ কি আপনাদের মধ্যে মহাভারত দেখেছেন? যেটা এই কিছুদিন আগে হল?
  • L | 24.99.187.112 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:৫৮88563
  • ন্যাড়া, সিকি এরা এত লাফাচ্ছে কেন? এরা কি নিজেদের ভীষণ জ্ঞানী আর যুক্তিপূর্ণ ভাবে না লবি বাজী না করলে ঘুম হচ্ছে না। কল্লোলে স্যাঙাতগিরির জন্য দেখছি অনেকের ঘুম হচ্ছে না।
  • Du | 230.225.0.38 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৪ ০৫:৫৯88504
  • পরিষ্কার করে বললে, সব অভিযোগ অশ্রদ্ধার থেকে করা হয়না। কিছু কিছু অভিযোগ শুধু শ্রদ্ধার থেকেই, শুধু বিশ্বাস ভেঙে যাবার থেকেই করা যায়।

    যাদের প্রতি কোন বিশ্বাস বা আশা ছিলনা তাদেরকে কেউ সেইসব অভিযোগ করেও না।
  • Arpan | 125.118.154.55 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:০২88564
  • হার্মাদের প্রতিশব্দ এসেছিল জল্লাদ।

    এইবার চ্যালার প্রতিশব্দ এসে গেল মার্কেটে। স্যাঙাৎ।

    জাস্ট যাতা। হীরা টই আপাতত ইতিহাস। নিয়মিত আপডেট পেতে গেলে চোখ রাখুন এখানে।
  • ন্যাড়া | 172.233.205.42 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:০৮88565
  • বাব্বাঃ, চ্যালাদের চ্যালা বলায় খুব গোঁসা হয়েছে দেখছি। ষাট, ষাট। লুম্পেন চলেগা? লুম্পেনে শুনতে খারাপ লাগলে বিপ্লবী লুম্পেনপ্রলেতারিয়েত, সংক্ষেপে বিলু?
  • সিকি | 132.177.39.14 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:১০88566
  • আরও এক চ্যালা এসে গেছে? বাঃ।
  • Atoz | 161.141.84.164 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:১১88567
  • সংক্ষেপ ভার্শনে প্র কোথায় গেল? ঃ-)
  • Bhagidaar | 216.208.217.6 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:২৮88569
  • অভ্যু কই? এসে এটার একটা টই খুলে দিক!
  • Bhagidaar | 216.208.217.6 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:২৮88568
  • এইখানে চোখ রাখার অসুবিধে আছে। মোবাইল ডিভাইস থেকে কে কি লিখছে বোঝা যায়না, তাছাড়া টই এর মত লাফিয়ে এ পাতা থেকে ও পাতা যাওয়া যায়না, পুরো স্ক্রোল করতে হয়, যা এই আলোচনা যদি হীরক রানীর আকার নেই তাহলে ক্রমে অসম্ভব হয়ে যাবে।
  • waiting | 53.252.142.10 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:২৯88570
  • জ্যোতিবাবু বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন প্রফুল্ল ঘোষ স্টিফেন হাউস কিনে নিয়েছেন।

    - এই মিথ্যাপ্রচার সম্বন্ধে পিটিবাবুর অবস্থান কী?
  • waiting | 53.252.142.10 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:৩০88571
  • জ্যোতিবাবু বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন প্রফুল্ল ঘোষ স্টিফেন হাউস কিনে নিয়েছেন।

    - এই মিথ্যাপ্রচার সম্বন্ধে পিটিবাবুর অবস্থান কী?
  • PT | 213.110.247.221 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:৩২88573
  • সুনন্দ সান্যালের বিভৎস রসের কারবারঃ http://development-dialogues.blogspot.in/2007_05_01_archive.html

    1. I later heard Dola Sen reporting, at the instance of Mamata Banerjee, to Governor Gopal Krishna Gandhi that the number of women thus maimed ran into hundreds.

    2. a child was seen falling to a cadre’s bullet......The cadres beheaded the child, dead or half dead, for the ease of transportation – or for the fun of it. Some they buried and covered with slabs of concrete.

    3. They disembowelled the rest, so that the corpses wouldn’t float, stuffed the severed heads and torsos into sacks, drove off in truckloads, and flung them into the canals.
  • waiting | 53.252.142.10 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:৩২88572
  • .
    ONCE AGAIN------

    জ্যোতিবাবু বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন প্রফুল্ল ঘোষ স্টিফেন হাউস কিনে নিয়েছেন।

    - এই মিথ্যাপ্রচার সম্বন্ধে পিটিবাবুর অবস্থান কী?
  • জটাশঙ্কর ওঝা | 99.0.101.110 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:৪০88574
  • তিনোমুলী অসহিষ্ণুতা হচ্ছে।
  • Atoz | 161.141.84.164 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:৪২88575
  • লিংক বা ডকু আছে? ঐ যে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলার?
  • জটাশঙ্কর ওঝা | 99.0.131.39 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৪ ০৬:৫৪88505
  • " দ্বিতীয়তঃ তুমি চুরি করলে কেন? তার উত্তরে যখন যুক্তি আসে "ওরা তো আরও বেশী চুরি করেছে", তখন অসহিষ্ণুতা প্রকট হয়ে যায়।"

    বেশ বেশ। তবে এ নীতি ঠিক কখন কখন প্রযোজ্য হবে? তিনোর প্রধান নিরপেক্ষ ঢালটুকু কল্লোলদা এভাবে নিয়ে নেবেননা।
  • pinaki | 90.254.154.99 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৪ ০৮:২৪88576
  • সুনন্দ স্যান্যালের লেখায় খুব পরিষ্কার তিনি কতটুকু নিজে দেখেছেন, কতটুকু অন্যের মুখে শুনেছেন এবং নিজে কি বিশ্বাস করেন। পিটিদার ভাবাবেগে আঘাত লাগবে ভেবে উনি যা যা শুনেছেন সেগুলো না লেখা উচিৎ ছিল। ;-)
  • Atoz | 161.141.84.164 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৪ ০৮:৩০88577
  • হিয়ারসে ?
  • PT | 213.110.247.221 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৪ ০৮:৩৯88506
  • Du on 31 October 2014 11:29:53
    ধন্যবাদ।
  • pinaki | 90.254.154.99 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৪ ০৮:৫০88578
  • পিটিদা সুনন্দ সান্যালকে মিথ্যেবাদী প্রমাণ করতে চালকির আশ্রয় নিচ্ছেন। ২ আর ৩ নং পয়েন্ট সুনন্দ সান্যাল reportedly বলে লিখেছেন। পিটিদা সেটা বাদ দিয়ে এমন ভাবেই কোট করলেন পড়ে মনে হবে সুনন্দ সান্যাল গুজবটা ছড়াচ্ছেন।

    জানা না থাকলেঃ reportedly শব্দের মানে -

    reportedly

    adverb
    according to what some say (used to express the speaker's belief that the information given is not necessarily true).
    "he was in El Salvador, reportedly on his way to Texas"

    এর আগে শাওলি মিত্রর বেলাতেও পড়লাম উনি লিখে্ছেন উনি ওখানে গিয়েই শুনলেন হাজার লাশের কথা।

    এখন ওনারা এই শোনা কথাগুলোয় বিশ্বাস করলেন কেন, সেটা যদি পয়েন্ট হয় তাও একটা মানে আছে। যেমন ডিডিদা বলছেন। কিন্তু ওনারা নিজের থেকে মিথ্যে গুজব ছড়িয়েছেন এমন কোনো প্রমাণ এখনও পিটিদা দেন নি।

    কাজেই এখনও অব্দি পিটিদর ঝুলি থেকে যা বেরোলো তাতে পিটিদা ওনাদের মিথ্যেবাদী বলে গুজব ছড়াচ্ছেন বলেই ধরে নিচ্ছি।
  • কল্লোল | 111.59.26.202 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৪ ০৮:৫০88507
  • জশও। এই ত্তো, বেশ বুঝতে পেরেছেন।
    তুমি চুরি করলে কেন? তার উত্তরে যখন যুক্তি আসে "ওরা তো আরও বেশী চুরি করেছে", তখন অসহিষ্ণুতা প্রকট হয়ে যায়।" - ঠিক ধরেছেন ভাই একেবারে তৃণমূলী অসহিষ্ণুতা।
    ধন্যবাদ, বিষয়টা পারিষ্কার করে দেবার জন্য।
  • pinaki | 90.254.154.105 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৪ ০৮:৫৭88508
  • পিটিদা শাঁওলির লেখা বা অপর্ণার বাইটের কোনো লিং পাওয়া যাবে। আমি 'হাজার হাজার' আর '৫০০' এই সংখ্যাদুটো ভেরিফাই করতে চাই। নইলে আপনি মিথ্যে বলছেন কিনা কিকরে বুঝবো? সংখ্যা তো অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কেউ যদি বলে ৫ আর আপনি সেটাকে ৫০০ বানান, তাহলে অতিরঞ্জনের দায় আপনারও। হলদি নদীতে লাশ ভাসানো হয়েছে - এটা অনেকের মুখেই শুনেছি। তার মধ্যে অতিরঞ্জন ছিল, এটা মানতেও কোনো অসুবিধে নেই। কিন্তু 'হাজার হাজার' - এই প্রথম শুনলাম। তাই জানতে চাইছি। ওদিকে যে রিপোর্টটা আমি দিয়েছি সেখানেই খুব সম্ভবতঃ একটি মেয়ের স্তন কামড়ে (বা চপার দিয়ে) খুবলে নেওয়ার অভিযোগ আছে। আরো কয়েকজন, যাঁরা ঘটনার এক দুদিনের মধ্যে নন্দীগ্রাম এবং তমলুক হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সাথে কথা বলেছিলেন, তাঁদের কারো কারো বয়ানে এরকম একটা-দুটো ঘটনার উল্লেখ পেয়েছি। কিন্তু '৫০০' - আমি এই প্রথম শুনলাম। কাজেই এই দুটো নিয়ে প্লিজ লিং টিং কিছু একটা দিন। শুধু মুখের কথায় পেত্যয় হচ্ছে না। শিশুদের হাত পা টেনে ছিঁড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে - এটা আমি সুমনকে বলতে শুনেছি। তার মধ্যেও অতিরঞ্জন আছে। কিন্তু আবার এটাও সত্যি ঘটনার পরে বেশ কিছু আহত শিশুকে হাসপাতালে পাওয়া গেছে যাদের হাতে পায়ে সিভিয়ার ফ্র্যাকচার। কাজেই আদৌ কিছুই হয়নি এরকম ভাবারই বা কারণ কি? বিশেষতঃ যেখানে ভাড়াটে গুন্ডারা অপারেশন চালাচ্ছে। মানে ভাড়াটে গুন্ডাদের ওপর এত ভরসাই বা কোত্থেকে আসে?
  • pinaki | 90.254.154.105 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৪ ০৯:০১88509
  • এখানে তো অনেক সিপিএমের সমর্থকই আছেন। কেউ একজন দিন ঐদুটো লিং। আমি দেখিনি কখনও। দেখতে চাই। অন্য কেউ দিলেও হবে।
  • cb | 24.202.2.139 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৪ ০৯:১৩88579
  • চ্যালা, লুম্পেন, স্যাঙ্গাত

    খুব ভালো লাগছে এই দাগানো গুলো। চলুক।
  • Atoz | 161.141.84.164 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৪ ০৯:২৪88580
  • তাহলে লিখলেন কেন তাঁরা? এতো আমার আপনার মতন চ্যাঙা ব্যাঙা এলু তেলু গেলু না, এঁরা লিখলে লাখে লাখে লোক সেই লেখা পড়বেন, আরো লাখে লাখে লোক সেই লেখা যারা পড়েছেন তাঁদের কাছে শুনবেন-বহুদূরের লোকও এগুলো শুনবেন ও প্রভাবিত হবেন। তার উপর বিষয়টা এরকম বীভৎস ধরণের ব্যাপার। এতো শখের ফেরারী কি পোর্শে কেনার খবর না, এমনকি টাকার গরমিলের ব্যাপারও না, খুন জখম হত্যা মৃত্যুর মতন সিরিয়াস ব্যাপার!
  • Du | 230.225.0.38 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৪ ০৯:৩৩88510
  • হ্যাঁ, অনেকদিন হয়ে গেছে।

    এক খাড়ি আর এক সমুদ্রতে কত লাশ ধরে আইডিয়া নেই আর এই লিং হয়তো উত্তর হিসেবে গ্রাহ্য হবে না কারন এতে কোন সংখ্যা নেই - তবে একদিন এটা আমাদের অনেকেরই ফেসবুকে ছিল - http://www.guruchandali.com/guruchandali.Controller?portletId=9&pid=content/bulbulbhaja/1192132179406.htm#.VFNWs_m1aAA
  • pinaki | 90.254.154.105 (*) | ৩১ অক্টোবর ২০১৪ ০৯:৪৬88511
  • ওটা পড়েছি। ওখানে মৃতের সংখ্যা ১০০+ বলে দাবী করা হয়েছে। অতিরঞ্জিত। কিন্তু খুবই স্পেসিফিক বক্তব্য। খাড়িতে লাশ ভাসানোর কথা গৌরাঙ্গ এবং সুব্রতর বয়ান হিসেবে কোটেশন মার্কের মধ্যে দেওয়া আছে। আর সেই গৌরাঙ্গই ১০০+ ফিগারটা দিয়েছেন। কাজেই এই লেখা অনুযায়ী লাশের সংখ্যা নিয়ে কোনো কনফিউশনের জায়গা নেই। পিটিদা যদি এই লেখার পরিপ্রেক্ষিতে 'হাজার হাজার' বানিয়ে থাকেন তাহলে উনি আর এক প্রস্থ অতিরঞ্জন করছেন, মাত্রায় যেটা গৌরাঙ্গ আর সুব্রতর চেয়েও বেশী। আর '৫০০' নিয়ে ওখানে কিছু বলা নেই। ইন ফ্যাক্ট স্তনবৃন্ত কাটা নিয়ে ওখানে কিছুই নেই।

    দেখা যাক, নিশ্চয়ই পিটিদা বা অন্য কেউ আরো কিছু তথ্য দেবেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন