এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  অপার বাংলা

  • ৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে কোন নারীর সম্মান নষ্ট হয়নি ...

    ফড়িং ক্যামেলিয়া লেখকের গ্রাহক হোন
    অপার বাংলা | ১০ মার্চ ২০১৭ | ৭৩৮ বার পঠিত
  • ৭১ থেকে ২০১৫, গত ৪৪ বছর ধরে আমরা শিখেছি, শুনেছি, জেনে আসছি যে মহান মুক্তিযুদ্ধে ২ লক্ষ নারীর ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা আমাদের স্বাধীনতা পেয়েছি। আমরা ভুল জেনে আসছি, যা শিখেছি ভুল শিখেছি। সত্যিটা হল, একাত্তরে কোন নারী তার সম্মান হারায় নি, কোন নারী তার ইজ্জৎ হারায় নি। 

    হ্যাঁ এ ইতিহাস ষোল আনা সত্যি যে, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানী বর্বর বাহিনি এবং আমাদের এদেশীয় দালালরা বাঙালি নারীদের ধর্ষণ করেছিল। মুক্তিযুদ্ধের সংরক্ষিত দলিল ও বিদেশী বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ২ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ নারী যুদ্ধের ৯ মাসে নির্যাতিত হয়েছিল যাদের বয়স হবে ১৩ থেকে ৫৫।

    সুজান ব্রাউনমিলার 'এগেইনস্ট আওয়ার উইলঃ মেন-উইমেন অ্যান্ড রেপ' গ্রন্থে দাবি করেছেন,

    '১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে বাংলাদেশে ৪ লাখের মতো নারী পাকিস্তানি সৈন্যদের দ্বারা ধর্ষিত হয়েছেন। সুজান লিখেছেন, 'অস্ত্রেশস্ত্রে বলীয়ানথাকায় পাকবাহিনির পক্ষে তাদের অধিকৃত অঞ্চলে যখন-তখন যে কোনো ঘরবাড়িতে ঢুকে তাদের অধিকৃত অঞ্চলে ধর্ষণ চালানো খুবই সহজ ছিল।' তিনি লিখেছেন, 'বাংলাদেশের এই ধর্ষণ ঘটনাগুলো এমনই পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে ৮ বছরের শিশু থেকে ৭৫ বছরের বৃদ্ধাকে পর্যন্ত বর্বরপন্থায় নিপীড়ন করা হয়েছে।' তিনি আরও লিখেছেন, 'এমন উদাহরণও পাওয়া গেছে যে, কোনো কোনো মেয়েকে উন্মত্ত পাকিস্তানি সৈন্যরা একরাতে দলগতভাবে ৮০ বার পর্যন্ত পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে। সেই হিসেব করছে ধর্ষণের সংখ্যাটা  অনেকগুণ বেশি হবে।

    প্রশ্ন হল কোন নারী ধর্ষিত হলে তার সম্মান কেন যাবে? পাকিস্তানি বাহিনি ধর্ষণ করছে, তাই ধর্ষিতা নারীদের সম্মান চলে গেছে? তাদের ইজ্জৎ নষ্টহয়ে গেছে? তারা সব হারিয়েছে? ধর্ষিত হলে নারী কেন সম্মান হারাবে? সম্মান যাবে ধর্ষকদের, ইজ্জত গেলে, সেটা ঐ ধর্ষক পাকিস্তানীদেরইজ্জত গেছে । ওরা মানুষ থেকে অমানুষে পরিণত হয়েছে, এখানে নারীদের ইজ্জত কিভাবে গেল?

    অনেকেই বলবেন, আসলে এটা তো রূপক অর্থে ব্যাবহার করা হয়। আপনাদের জ্ঞাতার্থে বলছি রূপক অর্থে ভুল শিক্ষা দেয়া হয়। একটা  বাচ্চা যখন তার স্কুলে শেখে, ৭১ এ দুই লক্ষ নারীর সম্মানের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছিল তখন সে আরও একটা ভুল শিক্ষা নেয়, সে শেখে ধর্ষিতহলেই মেয়েদের ইজ্জৎ চলে যায়। ঐ বাচ্চাটি যখন বড় হয়ে কোন মেয়েকে ধর্ষিত হতে দেখে সে ধরেই নেয়, মেয়েটার সম্মান চলে  গেল। সে বড়হয় প্রচণ্ড ভুল ধারণা নিয়ে।

    দিল্লির মেয়ে সোহায়লা আব্দুলালি ধর্ষণের পরও ভাগ্যের জোরে বেঁচে ফিরেছিল। সে তার জীবন সম্পর্কে লিখেছে, 

    আমি ব্যথা পেয়েছিলাম, আমার শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল কিন্তু আমার সম্মান হারায়নি । আমার সম্মান আমার যোনিতে – এই ধারণা আমি প্রত্যাখ্যান করি। যেমন আমি প্রত্যাখ্যান করি পুরুষের বুদ্ধি তার অণ্ডকোষে/  কোন ধর্ষিতার কাছ থেকে এর চেয়ে চমৎকার কথা আর কিছুই হতে পারে না ।

    ধর্ষণে নারীর শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়েছে অবশ্যই তার সম্মান নয় । ধর্ষিতাদের এই সমাজ করুণা করে, দোষারোপ করে, তাদের কে নষ্টা ভ্রষ্টা হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু আসলে কি বিষয়টা তাই? ধর্ষিতা মেয়েটার তো কোন অপরাধ নেই, বরং ধর্ষকটা অপরাধী। তাহলে  ঘৃণা কার পাবার কথা? কাকে সমাজের নষ্ট বলা উচিৎ?

    লি ওক-সিয়ন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ধর্ষিত এক নারী। ১৯১০ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত কোরীয় উপদ্বীপের একটা অংশ ছিল জাপানের আওতায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় চীনের একটি পতিতালয়ে ১৪ বছর বয়সি লি ওক-সিয়নকে ইচ্ছের বিরুদ্ধে আটকে রেখেছিল জাপানি সেনারা। দীর্ঘ তিন বছর তাঁর উপর চলে পাশবিক নির্যাতন। সেই নারীই এখন প্রতিবাদের অনন্য রূপ হয়ে উঠেছেন। তাকে সাহসী নারীর সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে।

    এটা তো শুধু একটা নাম, দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে ধর্ষিত নারীদের পরবর্তীতে বীর হিসেবে সম্মানিত করা হয়েছে। তাদের সম্মান গেছে, এমন ভ্রান্ত ধারণা দিয়ে অপমান করা হয়নি।

    তবে আমাদের নারীদের কেন এ অপমানের বোঝা বহন করতে হচ্ছে?

    ৭১ এ যে নারীরা ধর্ষিত হয়েছিল তারা তো সম্মান হারায় নি বরং তারাই সম্মানিত, তারাই আমাদের গর্বের প্রতীক। তারা বীর। এই বীরদের ইজ্জৎ হারানো নারী উপস্থাপন করে তাদের কি অসম্মানিত করা হচ্ছে না? ইজ্জৎ তৈরি হয়, মেধায় শ্রমে, মানুষের কর্মে। শরীরে কিংবা মনে আঘাত লাগলে কারও ইজ্জৎ যায় না । বরং ইজ্জৎ যাবে আঘাতকারীর । তার জঘন্য কর্মের জন্য সে সমাজে বেইজ্জত হবে। তাই প্রতিটা পাকি ধর্ষকদের ইজ্জৎ গেছে। এইগুলাই ইজ্জৎ হারানো নষ্ট, ভ্রষ্ট অমানুষ।

    ধর্ষিত হয়েছিল বলে অসংখ্য নারীরা ৭১ এ আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল। মালতী দাস, সীমা কর্মকার, আমিনা খাতুন এমন অসংখ্য নারীকে সমাজ প্রত্যাখ্যান করেছিল বলে তারা আত্মহত্যার পথ বেঁছে নিয়েছিল। ধর্ষণের মত অমানুষিক নির্যাতনের পরে এই নারীরা বেঁচে থাকতে চেয়েছিল কিন্তু সম্মান চলে গেছে এই ধারণা থেকে তাদের আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হয়েছে।

    একজন নারী ধর্ষিত হয়েছে, যে বা যারা তাকে ধর্ষণ করেছে তাদের সম্মান যায়নি , সম্মান গেল ধর্ষিতা মেয়েটার?

    ইতিহাসের বইগুলোতে সংশোধন হওয়া জরুরী । সেখানে নারীদের সম্মান এর বিনিময়ে নয় বরং তাদের উপর অত্যাচার হয়েছে, নির্যাতন হয়েছে এবং এই নির্যাতনকারীদের সম্মান গেছে লেখা উচিৎ।

    গত ৪৪ বছর ধরে যে ভ্রান্ত ধারণা আমাদের পাঠ্য পুস্তকে রয়েছে তার কুফল আজও নির্যাতিত নারীরা ভোগ করছে। 

    যে নারীদের ত্যাগ এর বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা এসেছে, তারা অসম্মানিত নয়, তারা এই দেশের  স্বাধীনতার বলি হয়েছে, তারা  নির্যাতন সহ্যকরেছে, মৃত্যুর চেয়েও ভয়ঙ্কর যন্ত্রণা সহ্য করেছে  তাই তারা বীর,  তারাই এই সমাজের সব চেয়ে সম্মানিত নারী। আমাদের পাঠ্যপুস্তক, ইতিহাসের সমস্ত  দলিল থেকে সম্ভ্রম, সম্মান হারানো টাইপের ভ্রান্ত কথাবার্তাগুলো বাদ দেওয়ার  দাবি জানাচ্ছি ।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • অপার বাংলা | ১০ মার্চ ২০১৭ | ৭৩৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রুদ্রদীপ চন্দ | 52.110.184.4 (*) | ১১ মার্চ ২০১৭ ০১:৫০82657
  • একদম, ইচ্ছের বিরুদ্ধে যে কোন কাজই 'কাজ' হিসেবে অসন্মানের। সেখানে যার দ্বারা কার্য সম্পাদিত হচ্ছে সে অসন্মান জনক কাজ করাবার জন্য বেহায়া, ইজ্জতহীন। যৌনাঙ্গ অবশ্য ই মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু এতটাও গুরুত্বপূর্ণ নয় যে সেখানে সন্মান বা ইজ্জত আটকে থাকবে।
  • গৌতম | 52.110.144.179 (*) | ১১ মার্চ ২০১৭ ০২:৩৬82658
  • শারিরীক নিগৃহীতার অসম্মানের ধারনাটাই এক বড় বৈষম্য। এটার বিনাশ চাই।
  • স্বপ্না চৌধুরী। গুরুচণ্ডালী | 127.214.100.22 (*) | ১১ মার্চ ২০১৭ ১০:০৯82655
  • খুব সত্যি কথা একটা সাপ যদি কাউকে কামড়ে দেয়,তাইলে কি যাকে কামড়ায় তার দোষ?ঠিক এইভাবে অসহায়তার সুযোগ নিয়ে যে পশুর চেয়ে অধম কুকুর কোন মেয়ের অপমান করে সেই মেয়ের কেন ইজ্জৎ যাবে?দোষীকে ই তো ঘৃণা করা উচিৎ।
  • Animitra Chakraborty | 113.42.127.100 (*) | ১১ মার্চ ২০১৭ ১১:১৬82656
  • অত্যন্ত সঠিক বক্তব্য। নারী ধর্ষণ এ সন্মান হারায় যদি কারো তা হল ওই জানোয়ার পুরুষ দের আর তাদের স্বজনপোষণকারী রাষ্ট্রের। নোয়াখালী, ১৯৪৬ বা পাঞ্জাব, ১৯৪৭ ও একই প্রসঙ্গ আছে। আমরা উর্বশী বুটালিয়া র 'The Other Side of Slience" এ এর পুঙ্খনাপুঙ্খ বিবরণ পাই।
  • বিপ্লব রহমান | 129.30.45.167 (*) | ১৪ মার্চ ২০১৭ ০৫:০৪82659
  • সতীত্বের ধারণা থেকেই ধর্ষণকে বিচার করা হয়, অপমানবোধটিও একই উৎসজাত-- পুরুষতান্ত্রিক।

    ১৯৭১ এ ধর্ষিতাদের একই অপমাণের ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে, অনেকের সংসার ভেংগেছে, কেউ একঘরে হয়েছেন, কেউ আত্নহত্যা পর্যন্ত করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে নারীর অবদান বিষয়ক বিবিসিতে প্রচারিত ধারাবাহিক প্রতিবেদনে আফসান চৌধুরী বিশদে বিষয়টি বলেছেন। সুলেখক শাহীন আখতারের গবেষণাতেও অনেক অজানা তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

    '৭১ এর ধর্ষিতাদের "বীরাঙ্গনা" খেতাব দিয়ে সবচেয়ে বড় অসন্মান করেছিলেন শেখ মুজিব সরকার, তখন আসলে রাষ্টীয়ভাবে তাদের "ধর্ষিতা" হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। অথচ উচিৎ ছিল মুক্তিযোদ্ধা খেতাব দিয়ে নির্যাতিতদের পুনর্বাসন করে রাষ্ট্রীয় সন্মান জানানো।

    অনেক বছর পরে হলেও শুধুমাত্র ভাস্কর ফেরদৌসি প্রিয়ভাষীনিকে "বীরাঙ্গনা" থেকে "মুক্তিযোদ্ধা" খেতাবে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে, সবেধন নীলমণি বা নাকের বদলে নরুনই বা কম কি!

    #

    ভাবনাটিকে উস্কে দেয়ায় ক্যামেলিয়াকে ধন্যবাদ। অভি দা বেচে থাকলে নিশ্চয়ই মুক্তমনায় আবার আপনাকে নিয়মিত লিখতে বলতেন। তার ছাত্র হয়ে একই বিনীত অনুরোধ জানাই। শুভেচ্ছা
  • Ekak | 53.224.129.42 (*) | ১৪ মার্চ ২০১৭ ০৫:৫৫82660
  • এনারা কি সবাই ভলান্টারলি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ? হ্যাঁ /না তে উত্তর চাই ।

    যদি ভলান্টারিলি যুদ্ধে অংশ নিয়ে যৌন নির্যাতনের শিকার হন তবে তাঁরা মুক্তিযোদ্ধা এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই ।

    কিন্তু , যদি তা না হয় ; মানে একজন সাধারণ মহিলা যিনি সেদিন হয়তো ঘরের কাজে ব্যস্ত , হঠাৎ যুদ্দ্ধের সময় হামলাকারীরা ঢুকলো এবং ধর্ষণ করলো , তিনি তো সিম্পলি অত্যাচারিত এবং তার বিচার প্রাপ্য ।

    এবার তাঁকে একদল লোক বলছে "ইজ্জত গেছে " , আর একদল লোক বলছে বীরাঙ্গনা /মুক্তিযোদ্ধা ইত্যাদি .......দুদিকটাই ভীষণ গোলমেলে লাগছে । মানে একজন নিজের অনিচ্ছায় যুদ্ধপরিস্থিতির শিকার হয়ে অত্যাচারিত হয়েছেন তার "ইজ্জত " অবসসই যায় নি , কিন্তু ওই আরেকদলের দেওয়া সম্মানের অশ্বডিম্ব নিয়েই বা তিনি কি করবেন ?

    আমার কীরকম মনে হচ্ছে , দুটো বিপরীত পক্ষের লোক যাঁরা নিজেদের মডেলে "ইজ্জত " কে ডিফাইন করেছেন , একটা শরীরে বাঁধা , আরেকটা দেশভক্তিতে , মাঝখান এ একজন নারী কে নিয়ে গেণ্ডুয়া খেলছে । পুরো ভাগের মা কেস ।

    ব্যাপারটা , স্পষ্ট ভাষায় উত্তর আশা করি ।
  • | 116.210.199.198 (*) | ১৪ মার্চ ২০১৭ ০৭:৫৪82661
  • নাহ সবাই ভলান্টারিলি নেন নি। অন্তত কাহিনিগুলো পড়লে সেরকমই মনে হয়। অনেকেই পরিস্থিতি বিপাকে খান সেনার মুখে পড়ে গেছিলেন।
  • Ekak | 52.109.129.250 (*) | ১৫ মার্চ ২০১৭ ০১:১৬82663
  • ফৌজদারি অপরাধকে "যুদ্ধাপরাধ" ওভিধা দিলে তো যুদ্ধবন্দী-যুদ্ধাপরাধি এরাও আলাদা স্টেটাস দাবি কর্বে।তারা পলিটিকাল এসাইলাম চাইতে পারে ওন্য রাষ্ট্রের কাছে। দেশের মধ্যেও কোনো দল জায়েজ আন্দোলন কোর্তে পারে যুদ্ধাপরাধি দের নিহ্শর্তে মুক্তির জোন্যে। অপরাধ এর সঙ্গে যুদ্ধ যুর্লেই একটা রাজ্নৈতিক রঙ্গ লেগে জায়। তার আলাদা স্টেটাস।

    তাহোলে রাজাকার ও তাদের সমর্থনকারী দের মুক্তির দাবিতে মিছিল কর্তেই বা ক্ষতি কী ?

    এসব শব্দের জাগ্লারি হলো শান্খের করাত,দুদিকেই কাটে। সিভিলিয়ান কে ধর্ষন করা হোয়েছে না হয় নি ? যদি হোয়ে থাকে তাহোলে ধর্ষক জঘন্যো অপরাধী। যুদ্ধাপরাধির ইমিউনিটি তার প্রাপ্য কী ? না। একিভাবে ধর্ষন এর শিকার যিনি তার বিচার প্রাপ্য। তিনি ভলন্টরি যোদ্ধা নন, পরিস্থিতির শিকার । রস্ট্রের দেওয়া যোদ্ধার সম্মান তিনি নেবেন কেনো জেখানে তিনি ভোলান্টরিলি যুদ্ধ যোগ দেয়া দুরে থাক, যুদ্ধ চেয়েছিলেন কিনা তাই জানা জাচ্চে না।
  • বিপ্লব রহমান | 53.243.207.145 (*) | ১৫ মার্চ ২০১৭ ০৭:১৬82662
  • @Ekak,

    মান্যবর, বিনীত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঘটনা পরম্পরাকে বোঝার আহ্বান জানাই।

    ১৯৭১ সালের গণহত্যা, খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুঠতরাজ, হিন্দু নিধন, ভাংচুর-- সব খুব পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে, এটি ছিল পাকিস্তানি সেনা বাহিনীর যুদ্ধনীতির অংশ। সবই জঘন্ন "যুদ্ধাপরাধ"। একে নিছক "ফৌজদারী অপরাধ" ভাবা মহাভুল হবে।

    এখন ১৯৭১ এর ধর্ষিতাদের কি অভিধা দেওয়া হবে, কোন অভিধা তাদের জন্য সন্মানজনক হবে, সেটিও ইতিহাসের আলোকেই বিচার করতে বলি।

    শুভ।
  • বিপ্লব রহমান | 129.30.32.176 (*) | ১৬ মার্চ ২০১৭ ১২:২৩82664
  • ১৯৭১ এ যুদ্ধই হয়েছিল, সেটা রাজনীতিই। এই অ আ ক খ মানবেন? আর না হয় তালগাছটি আপনারই থাক।

    আপনার ইতিহাস বিচার সত্যিই আমাকে হতবাক করেছে। ব্লগের ভাষায় যাকে বলে, টাশকিত!! :পি
  • PP | 141.179.58.91 (*) | ১৭ মার্চ ২০১৭ ০১:০১82665
  • @ বিপ্লব,
    যুদ্দ্ধের সময় কোনো ফৌজদারি অপরাধকে যুদ্ধাপরাধ বল যায় নাকি? আর যে সব মহিলা যৌন নির্যাতনের শিকার হন ,তারা নিজের অনিচ্ছায় যুদ্ধপরিস্থিতির শিকার হয়ে অত্যাচারিত হয়েছেন । তাই তারা মুক্তিযোদ্ধা নন। আবেগ না দিয়ে যুক্তি দিন।
  • Ekak | 53.224.129.41 (*) | ১৭ মার্চ ২০১৭ ০১:৩৭82666
  • বিপ্লববাবু আপনি সিভিলিয়ান ধর্ষণকে যুদ্ধাপরাধ বলে ধর্ষক কে রাজনৈতিক ইমিউনিটি দিচ্ছেন । এই সরল ব্যাপারটা বুঝতে এতো ব্লগের ভাষা হাবিজাবি কিচ্ছু দরকার হয়না । যুদ্ধাপরাধ কাকে বলে সম্যকরূপে অবহিত আছি । আপনি ট্যাংক নিয়ে শত্রুপক্ষের এসেম্বলি উড়িয়ে দিলেন , সৈন্য ধ্বংস করলেন এগুলো যুদ্ধাপরাধ । এমনকি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যে মহিলা গুপ্তচররা শত্রুপক্ষের হাতে প্রাণ দিয়েছেন বা যৌন অত্যাচারিত হয়েছেন তাঁদের ও মরণোত্তর বীরের সম্মান দেওয়া হয়েছে ।

    কিন্তু এক্ষেত্রে সিভিলিয়ান , আবার ভালো করে পড়ুন , সিভিলিয়ান রা ধর্ষিত হয়েছে । কোনো রাষ্ট্রের সৈনিক না । ধর্ষক কে যুদ্ধাপরাধী বলে রাজনৈতিক ইমিউনিটি দিলে , ধর্ষকের মুক্তির দাবিতে বন্দী মুক্তি আন্দোলন করতে বাধা কোথায় ? এই তো আমার সরল-সোজা প্রশ্ন । এর উত্তর দিতে এতো রেটোরিক এর প্রয়োজন পড়ছে ক্যানো ?
  • Ekak | 53.224.129.41 (*) | ১৭ মার্চ ২০১৭ ০২:২৬82667
  • আরেকটা জাস্ট এস ইনফরমেশন । রোয়ান্ডার কুখ্যাত ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধর্ষণ কে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে দেখা হয় । সেটা ৯৮ -২০০০ সালের ঘটনা । এখন এই স্বীকৃতি আদৌ ধর্ষণের স্বীকার ব্যক্তিকে সুবিচার পেতে সাহায্য করেছে কিনা তাই নিয়ে বিতর্ক আছে । বিপ্লববাবুরা হয়তো এই রোয়ান্ডা জেনোসাইড এর সমকক্ষ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশের ঘটনাকে । কিন্তু ২০০০ সালের আইন দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ধর্ষণকে দেখে তখনি লাভ হতো যদি রোয়ান্ডা জেনোসাইড এর মতো ট্রায়াল করা যেত । এখরতে তো সেরকম কিছু দেখছিনা । যিনি অত্যাচারিত তিনি শুধু একটি তথাকথিত "সম্মান " পাচ্ছেন । রোয়ান্ডা ট্রায়াল কিন্তু এরকম কোনো "সম্মান " দেওয়ার জন্যে করা হয়নি । হাতে -কলমে শাস্তি দেওয়ার জন্যে করা হয়েছিল ।
  • বিপ্লব রহমান | 129.30.35.11 (*) | ১৭ মার্চ ২০১৭ ০৩:০১82668
  • আপনাদের যুক্তি মানলে গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুঠপাঠ (ফৌজদারি?) ইত্যাদি যুদ্ধাপরাধের জন্য এ পর্যন্ত যত নাজিবাহিনীর বিচার হয়েছে, সে সব তাহলে ভুল ছিল! আন্তর্জাতিক আদালতে তাদের যুদ্ধাপরাধের বিচার না করে উচিৎ ছিল পুলিশি তদন্তে ফৌজদারি অভিযোগ এনে সাধারণ আদালতে বিচার করা!!

    আর বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামাতের যে সব নেতাদের ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের সময় আলবদর, আল শামস, রাজাকার ইত্যাদি আধা সামরিক বাহিনীর ব্যানারে
    একই রকম অপরাধে (সিভিলিয়ান ধর্ষণসহ) ফাসি ও জেল দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও পুরো বিচার প্রক্রিয়াটিই ভুল ছিল, ফৌজদারি অপরাধের কোনো পুলিশী তদন্তও তো হলো না!! আসামীদের সিএমএম আদালতেও তো তোলা হলো না!

    আর শেখ হাসিনা সরকারের উচিৎ হবে পাকিস্তানি সেনা বাহিনীর গণধর্ষনের শিকার, ভাস্কর ফেরদৌসি প্রিয়ভাষীনিকে দেওয়া মুক্তিযোদ্ধা খেতাবটি কেড়ে নেওয়া!

    কতো অজানা রে!! :পি
  • Ekak | 52.109.200.72 (*) | ১৭ মার্চ ২০১৭ ০৩:২৫82669
  • আবার মূল প্রশ্ন এরিয়ে জাচ্চেন। সিভিলিঅন ধর্ষিত তার বিচার চাই। যে নিজের ইচ্ছেয় যুদ্ধ কোরেনি, পরিস্থিতির শিকার সে খেতাব নিয়ে কী কর্বে ?

    প্রিথিবির ওন্যোত্রো ওয়োর ক্রাইম এর ট্রায়ল হোয়েছে ওপোরাধিকে শাশ্তি দেওআর জোন্যে, আপনরা শাশ্তি দিতে ওপারগ হোয়ে খেতাব দিচ্চেন । এটা মমতার ধর্শোনের খোতিপুরন দেওআর সোঙ্গ্যে সোমতুল্যো। যে আইন হোয়েছে ইন্টর্ন্যশনাল ক্রাইম আট্কানোর জোন্যে। তাকে ব্যবোহার কোর্ছেন না কিন্তু সেই প্রিমাইস ইউস কোরে , ধোর্শোনের শিকার সিভিলিআন কে "খেতাব" দিচ্চেন । এর্চে বড় দৈন্যতা আর কী হতে পারে ?
  • Ekak | 52.109.200.72 (*) | ১৭ মার্চ ২০১৭ ০৩:২৬82670
  • মোবাইল থেকে অশুদ্ধ বাননের জোন্যে দুহ্খিত।
  • বিপ্লব রহমান | 129.30.39.120 (*) | ১৭ মার্চ ২০১৭ ০৩:৫৭82671
  • আজ সকালে টিভি নিউজের হেড লাইন। দুই নম্বরটি লক্ষণীয়//
    <<< সকালের সময়ের সংবাদ শিরোনাম >>>

    ১. আজ ১৭ই মার্চ। জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৭তম জন্মবার্ষিকী। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে আলোর পথে এগোবে দেশ, অভিমত বিশেষজ্ঞদের।

    ২. স্বাধীনতার ৪৫ বছরেও বদলায়নি বীরাঙ্গনা নারীদের জীবনযাত্রা। মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি মিললেও সামাজিক দৃষ্টিতে এখনো তারা অবহেলার শিকার। দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ।

    ৩. চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে দ্বিতীয় জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে নব্য জেএমবির ৪ সদস্য ও এক শিশু নিহত। সোয়াতের দুই সদস্য আহত, ২০ জন উদ্ধার।

    ৪. ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছে রাজধানীর কড়াইল বস্তির আগুনে ক্ষতিগ্রস্তরা। সহায়তার আশ্বাস মেয়রের।

    ৫. কুমিল্লায় নগরবাসীর চাহিদা আর উন্নয়নকে গুরুত্ব দিয়ে নির্বাচনী ইশতেহারের পরিকল্পনা প্রধান দুই দলের মেয়র প্রার্থীর। বাস্তবসম্মত ইশতেহার দেয়ার আহ্বান সুশীল সমাজের।

    এবং

    ৬. আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও সরকারি নানা তৎপরতার পরও বন্ধ হচ্ছে না সিলেটে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন। অসাধু চক্রের কাছে জিম্মি সবাই। অসহায় প্রশাসন ও পুলিশ।

    বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন

    ----
    এড়ে তর্কে রুচি নাই, সময়ও নাই। ভাল থাকুন সবাই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে প্রতিক্রিয়া দিন