এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • যাদবপুর - আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি

    অভিষেক তুঙ্গা লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ | ১৩৪৩৭ বার পঠিত
  • যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট ছাত্র সংসদের থেকে আমরা একটি চিঠি পাই। সেটি খোলা চিঠি হিসেবে প্রকাশ করা হল। বলা বাহুল্য, লেখার বক্তব্য ও দৃষ্টিভঙ্গি লেখকের নিজস্ব।


    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


    ঠিক কী ঘটেছিল ?


      ঘটনার সূত্রপাত চতুর্থ বর্ষের ছাত্র PRINTING DEPT. এর মানিক হালদার এবং CONSTRUCTION DEPT. এর অনুপম ঘোষ ও IT DEPT. এর দ্বিতীয় বর্ষের একটি ছাত্রকে দিয়ে। সকলেই থাকত JADAVPUR UNIVERSITY-এর SALTLAKE CAMPUS-এর হস্টেলে। দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রটি এসেছিল দার্জিলিং থেকে, স্বাভাবিকভাবেই রয়ে গিয়েছিল ভাষা ও সংস্কৃতিগত ভিন্নতা। যদিও দার্জিলিং থেকে আসা বহু ছাত্র-ছাত্রীই ক্রমশ মিশে যায় যাদবপুরের সংস্কৃতির সাথে, এক্ষেত্রে তা হয়নি। প্রথম বর্ষেই যে কারণে ছাত্রটি কথা কাটাকাটির মধ্যে চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রের নাকে ঘুষি চালায়। তবে তখনকার মতো ঝামেলাটি নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নেওয়া হয়। ঘটনাপ্রবাহে ছাত্রটি নিজেকে আরও গুটিয়ে নিতে থাকে।


                         দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রটি অবৈধভাবে হস্টেলে নিজের রুমে দুজন প্রথম বর্ষের ছাত্রকে রাখতে শুরু করে। গত ২২এ অগাস্ট চতুর্থ বর্ষের প্রিন্টিং টেকনোলজির ছাত্র তথা হস্টেলের anti-ragging squad এর প্রাক্তন সদস্য মানিক হালদার তা হস্টেল সুপারের নজরে আনে, এতে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রটি প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এরই মধ্যে কেউ বা কারা দ্বিতীয় বর্ষের ছেলেটির ঘরের কাঁচ ভেঙ্গে দিয়ে যায়। কে বা কারা ঘটনাটি কেন ঘটাল নাকি ঘটনাটি নিছকই দুর্ঘটনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ২৩শে অগাস্ট ঘটনাটি নিজেদের মধ্যেই মিটিয়ে নিতে হস্টেলে একটি মিটিং বসে যেখানে মানিক, অনুপম ও অন্যান্য ছাত্ররাও উপস্থিত ছিল। মিটিং-এ দু-তরফেই উত্তপ্ত কথা কাটাকাটি চলে, ২য় বর্ষের ছাত্রটি সাহস থাকলে one to one লড়াই-এর চ্যালেঞ্জ জানাতে থাকে। এরই মধ্যে অনুপম মেজাজ হারিয়ে ২য় বর্ষের ছাত্রটিকে চড় মেরে বসে। যদিও মিটিংটি শেষ হয় সবাই-সবাই কে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে। এমনকি অনুপম ও সেই ছাত্রটি পরস্পরকে কোলাকুলিও করে।


                        পরের দিন কেউ ২য় বর্ষের ছাত্রটির দরজার বাইরে মলত্যাগ করে যায়। এরকম পশুচিত কাজ কোন জানোয়ার করে গেল কে জানে, কিন্তু ২য় বর্ষের ছাত্রটি UGC –এর ওয়েবসাইটে অভিযোগ দায়ের করে। (অভিযোগটি র‍্যাগিং এর অভিযোগ হিসেবে দায়ের করেনি)



    এর পরের ঘটনাপ্রবাহঃ


    ১) VC ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিন সদস্যের একটি FACT FINDING COMMITTEE তৈরি করে। যদিও কোন ছাত্র কোনোভাবেই এই তদন্ত কমিটির বিন্দুমাত্র অস্তিত্ব টের পায়নি।


    ২)এই কমিটি অনুপম ও মানিককে ডেকে পাঠায় ও সেদিনের চড় মারার ঘটনার স্বীকারোক্তি নানা ছলা-কৌশলে লিখিয়ে নেয়। যদিও এরা জানতই না এই কমিটি আসলে তথাকথিত র্যামগিং-এর তদন্ত কমিটি। এমনকি এই কমিটি ঘটনাস্থলে উপস্থিত সবাইকে জেরা করেনি।


    ৩) গত ১০ই  সেপ্টেম্বর anti-ragging committee-এর মিটিং ডাকা হয়, কোন agenda ছাড়াই। যেখানে on table agenda –য় এই প্রসঙ্গটির উত্থাপন করা হয়। যেহেতু প্রায় সব ছাত্রছাত্রীরাই র‍্যাগিং–এর বিরোধী, তাই ছাত্র-সদস্যরা ঘটনাটি র‍্যাগিং ধরে নিয়ে শাস্তির পক্ষে সম্মতি দিয়ে আসে, একমাত্র সল্টলেক ক্যাম্পাসের সদস্য মিঠুন ও সাধারণ সম্পাদক সৌভিক ছাড়া। এরা অল্পবিস্তর ঘটনাটি সম্পর্কে ওয়াকিবহল ছিল। শাস্তির পূর্বে নিয়ম অনুযায়ী অনুপম ও মানিককে শোকজ করা হয়।


    ৪) show-cause –এর জবাব পাওয়ার আগেই registrar মিডিয়াতে শাস্তির ঘোষণা করে দেয়।



    আমাদের বক্তব্য কী?


    ১) যে কেউ অভিযোগ করতেই পারে তাকে র‍্যাগিং করা হয়েছে,কিন্তু প্রকৃতই র‍্যাগিং হয়েছে কিনা,তার সঠিক অনুসন্ধান হওয়া উচিত।


    ২) গোটা ঘটনায় মানিক এর দোষ অবৈধভাবে রুম-এ ছাত্র রাখার ঘটনা সুপার-এর নজরে আনা! অনুপমের দোষ উত্যক্ত কথাকাটাকাটি মধ্যে চড় মেরে বসা,যেটা আবার নিজে মিটিয়েও ফেলে। বাকি ঘটনাগুলো কারা করেছে প্রমাণিত নয়, তাহলে কি করে এই দুজনকে র‍্যাগিং এর শাস্তি দেওয়া হচ্ছে?


    ৩) Fact Finding Committee এভাবে লুকিয়ে অনুসন্ধান চালানো কেন? এমনকি Anti Ragging Committee-এর মেম্বারও জানতে পারলো না!


    ৪) Anti Ragging Committee Meeting-এর আগেও agenda তে কেন সদস্যদের Ragging-এর অভিযোগ বা মিটিং এর বিষয়ে কিছু জানাল হল না?


    ৫) একটি বচসার ভিত্তিতে যদি Ragging-এর শাস্তি দেওয়া হয়, তাহলে কাল football মাঠে offside নিয়ে বচসা বা প্রেম নিয়ে senior-junior-এর মধ্যে গণ্ডগোলকেও Ragging বলে চালানো হবে।


    ৬) তবে চড় মারার ঘটনা অবশ্যই অনভিপ্রেত ও অপ্রীতিকর,তাই Hostel-এর Code of Conduct-এর নিয়ম অনুযায়ী অভিযুক্তের শাস্তি পাওয়া উচিত।


    ৭) কাচ ভাঙ্গা ও মলত্যাগ এর ঘটনা কঠোরভাবে নিন্দনীয়,অভিযুক্তদের অবিলম্বে খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া উচিত।



    আমাদের দাবী কী?


    ১) এত অবিচার ও অস্বছত্তার জন্য  Anti Ragging Committee Meeting পুনরায় ডেকে পুরো ঘটনাটির পুনরালোচনা করা হোক।


    ২) যতক্ষণ না পুরো ঘটনাটির পুনারালোচনা করা হচ্ছে, ততক্ষণ শাস্তি লাগু করা যাবে না।



    আরো কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তরঃ


    ১) ভিসি (উপাচার্য) কি আইনবিরোধী কিছু করেছেন?


    - র‍্যাগিং-এর শাস্তির আইন তো রয়েছেই, কিন্তু কর্তৃপক্ষ মিথ্যে অভিযোগে ব্যবস্থা নেবেন এরকম কোনও আইন নিশ্চয়ই নেই। কিন্তু এক্ষেত্রে সেটাই তো হয়েছে।


    ২) আমরা কেন আচার্য (রাজ্যপাল)-এর কাছে যাচ্ছি না?


    - ভিসি নিজে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী। তিনি যদি এখানকার ছাত্রদের রুচি এবং মূল্যবোধ গুলিকে মাথায় না রেখে শুধুমাত্র মিথ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে চান, তাহলে আমরা বাইরের কাউকে কীভাবে ভরসা করবো? আর, আচার্যের কাছে যাওয়া মানে তো পক্ষান্তরে মেনেই নেওয়া যে ভিসির ক্ষমতার আওতায় বিষয়টা মেটানো যাচ্ছে না।


    ৩) কর্তৃপক্ষ কি র‍্যাগিং-এর অভিযোগকে পুনর্মূল্যায়ণ করতে পারেন?


    - পারেন না এরকম কোনও আইন কিন্তু নেই। তার মানে নতুন করে তদন্ত ও বিচার করাই যায়।


    ৪) আমরা কেন আলোচনার বদলে আন্দোলনের (শান্তিপূর্ণ হলেও) রাস্তা বেছে নিলাম?


    -আমরা ভিসির সঙ্গে দেখা করেছিলাম, তিনি বললেন যে ইউজিসিকে রিপোর্ট পাঠানো হয়ে গেছে, ফলে সিদ্ধান্তগুলো আর পুনর্বিবেচনা করা যাবে না। সেক্ষেত্রে আলোচনার কোনও রাসতা তিনি খুলে রাখতে দিলেন না। ফলে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করতে হল।


    ৫) আমাদের আন্দোলনে কেন ভিসি, প্রোভিসি ও রেজিস্ট্রারকে অমানবিক ভাবে ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল?


    - আমরা কাউকেই ঘেরাও করিনি। তাঁরা চাইলেই বেরিয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু তাঁরা নিজেরাই থেকে গেছিলেন। তাঁদের কাছে খাবার জল বা ওষুধ ও পৌঁছোচ্ছিল। কিন্তু বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা মোটেও স্বাভাবিক ছিল না। স্বাভাবিক পড়াশোনার পরিবেশ বেশ কিছুদিন ধরেই ব্যাহত হচ্ছিল। সে নিয়ে তাঁদের খুব হেলদোল দেখা যায় নি।


    ৬) প্রো ভিসি অসুস্থ জানা স্বত্ত্বেও তাঁকে কেন আটকে রাখা হল?


    - আগেই বলা হল কাউকে আটকে রাখা হয় নি। মিডিয়ায় প্রো ভিসি-র অসুস্থতার খবর পাওয়ার সঙ্গেসঙ্গে তাঁর সঙ্গে আমরা দেখা করি। তিনি জানান যে ঠিক আছেন, কিন্তু আমরা তাঁকে আবারও বলি তিনি চাইলেই চলে যেতে পারেন। পুরো কথোপকথনটাই ভিডিও রেকর্ড করা আছে। মিডিয়া অন্যভাবে প্রচার করছে, কিন্তু মিডিয়া যেটা দেখাচ্ছে না যে তিনজন ছাত্র গুরুতর ভাবে অসুস্থ, তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


    ৭) ফেটসুর জিএস অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটির মিটিং-এ গিয়ে কেন ছাত্রদের শাস্তির পক্ষে মত দিয়েছিল?


    - ভুল তথ্য। অ্যান্টির‍্যাগিং কমিটির মিটিং-এর মিনিট দেখলেই সেটা পরিস্কার হয়ে যাবে। রেজিস্ট্রার নিজেও তা স্বীকার করেছেন?


    ৮) আমাদের আন্দোলনের কী কোনও রাজনৈতিক রং আছে?


    আমাদের আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি ও পদক্ষেপগুলি জেনারেল বডির মিটিং-এ ঠিক করা হয়। এর মধ্যে কোনও রাজনৈতিক ব্যানারের পার্টি যুক্ত নেই।


     ৯) আমরা কি র‍্যাগিং এর সমর্থক?


    - কখনোই না। আমরা মনে করি র‍্যাগিং একটি সামাজিক ব্যাধি। আর সিনিয়র জুনিয়র হিসেবের বাইরেও সমাজের সর্বত্র র‍্যাগিং হয়ে আসে। কোথাও অফিসার অধস্তন কর্মচারীকে র‍্যাগিং করে, কোথাও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অথরিটি ছাত্রদের র‍্যাগ করে। তাই র‍্যাগিং-এর বিরুদ্ধে সর্বস্তরের সচেতনতা এবং র‍্যাগিং করবো না এই আত্মসচেতনতাও দরকার। শুধুমাত্র শাস্তি দিয়ে র‍্যাগিং নির্মূল করা যাবেনা।



    ছাত্রছাত্রী ও বৃহত্তর সমাজের কাছে আমাদের আবেদন-


    টানা ৫২ ঘণ্টা অবস্থান বিক্ষোভের পর আমাদের রিলে অনশন প্রায় ৯০ ঘণ্টা অতিক্রম হতে চলল। এখন অব্দি পিতৃসম কর্তৃপক্ষ একবার জানারও প্রয়োজন মনে করল না, ছাত্রছাত্রীরা কেমন আছে! এর মধেই আমরা পাচ্ছি বিশাল সমর্থন- দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্ররা তাদের fest- U-Turn স্থগিত রেখেছে, Electronics-এর দুই ছাত্র VC-র হাত থেকে switzerland-এর একটি নামী scholarship নিতে অস্বীকার কারেছে, Production ও Computer Science-এর বিভিন্ন বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা অনির্দিষ্ট কালের জন্য নিজেদের ক্লাস বয়কট এর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এছাড়াও চলছে বিক্ষিপ্ত ক্লাস বয়কট। রয়েছে প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদেরও বিশাল সমর্থন- Virginia Tech থেকে Sector-V, IIT থেকে IIM চিঠি পাঠাচ্ছেন তারাও। JNU থেকে Presidency, আমরা পাচ্ছি বিভিন্ন কলেজের সমর্থন। আসলে সমর্থন ছাড়া আমাদের এই আন্দোলন কখনই টেনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। এই আন্দোলন আর শুধু ইঞ্জিনিয়ারীং ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনে আটকে নেই, Arts থেকে Science, সমস্ত Faculty-র ছাত্রছাত্রীরা এতে যোগদান করেছে। আগামী বুধবার বিকেল ৩টায় (সময় পরিবর্তিত হতে পারে) Union Room-এর সামনে থেকে একটি মিছিলের ডাক দেওয়া হচ্ছে- যেকোনো কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় নির্বিশেষে ,যেকোনো বয়স ও পেশার মানুষ এতে যোগদান করতে পারেন, অবশ্যই কোনোরকম রাজনৈতিক ব্যানার ছাড়া। উন্নততর ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে পাশে চাই সবাইকে।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ | ১৩৪৩৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • shankar | 121.93.178.74 (*) | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৭:৩২75733
  • রোবু,
    অর্ণব ফেটসুর মুখপাত্র কিনা জানিনা, যদি হয় তাহলে ওর এই গালি দেওয়াটা উচিত না। ফেটসুর উচিত, তাদের নির্দিস্ট দাবিটার সাথে যারা একমত তাদের সাথে নিয়েই আন্দোলনটার শক্তি বাড়ানো। তা না করে উলটো করছে কেন তা অর্নবই জানে।

    তবে এমনও হতে পারে যে ওই নেতৃত্বের প্রচারের ক্ষতিকারক/রি-অ্যাকশনারি দিকটার সমালোচনা আইসা করেছে বলেই এই আক্রমণ।

    একটা ফেবু পোষ্ট দেখেছিলাম জেইউ-আইসার পক্ষ থেকে একদম প্রথম দিকে, সেখানেও মোটামুটি একই কথাই বলা আছে বলে মনে পড়ছে।
  • রোবু | 213.147.88.10 (*) | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৭:৩৮75734
  • প্রথমদিন থেকেই মতিদা ই পাতায় এবং ফেবুতে লিখছেন। আমি যদি ভুল না করে থাকি, ওঁর প্রথম দিনের বক্তব্য পরবর্তীতে অনেক পালটে যায়।
    আমার ভুলও হতে পারে, এখন পোস্ট খুঁজে দেখার ইচ্ছে নেই।
  • shankar | 121.93.178.74 (*) | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৮:০৯75735
  • মতিদার পোষ্ট থেকেই তো আন্দোলনের অন্য দিকটা জানতে পারছিলাম। আন্দোলনকে ''র‌্যাগিং সমর্থক'' তকমা দেওয়ার বিরুদ্ধে। এই লিফলেটেও তো দেখলাম। ফার্মেসি কেসটার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত আর এই কেসটির পুনর্তদন্ত(এই গ্রাউন্ডে যে ছাত্রদের বিচ্ছিন্ন রেখেই অস্বচ্ছ পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত ঘোষিত হয়েছে)- এই লাইনেই আন্দোলনকে উর্ধ্বে তুলে ধরেছে দেখেছি প্রথম থেকেই। অ্যাডিশন যা দেখলাম তা হল প্রীতমের জন্যও জাস্টিস-এর প্রশ্নটা তোলা।
  • Riddhiman Layek | 117.217.133.184 (*) | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০১:০৩75736
  • ১) যারা বলছেন এনি টাইপ ওফ বাওয়াল= র‌্যাগিং, এবার থেকে ফেবু বা চায়ের ঠেকে যে চাটা চাটি , খুচরো কেলাকেলির গল্প ছাড়েন, সেগুলোর সাথে ক্ষমা চেয়ে নেবেন দশবার। নিজেদের ভালনারেবিলিটি এরকম নির্লজ্জ ভাবে প্রকাশ করবে না। এরি মধ্যে চরম হিপোক্রিসিসিঃ - কোন এক বালের রুলবুক থেকে র‌্যাগিংএর ডেফিনিশন ভার্বটিম আউড়ে যাওয়া। ঐখানে হাত দিয়ে বলুন তো, ঐ ঘটনার আগের রাতেও যদি জিগেস করা হত, র‌্যাগিং কি? টিসিং, প্র্যান্ক এসব বলতেন কি? আর এখন ঘটনার পর বাচ্চাদের কাছে রুলবুক চুদিয়ে রেলা নেয়া!

    ২) আর এই হাগার ঘটনাটা মা কালী
    আমাদের সাথে হয়েছে, "ভিক্টিম" দু একবার বিরক্তি দেখাল, তার্পর বন্ধ হয়ে গেল। আমার ধারনা অনেক জায়গায় হয়। সিনিয়র জুনিয়ার নির্বিশেষে। এখনো দেখা হলে দাঁত কেলিয়ে বলে, মাইরি বল না তুই ছিলিস ? তুই তুই? এই ঘটনাটা নিয়ে কলেজের গ্রুপে লিখ্লাম তো খিল্লির বন্য বয়ে গেল। তবে অবাক হব না, তাদের মধ্যে কেউ কেউ আজ আপনাদের মত স্টান্স নিলে।
  • Riddhiman Layek | 117.217.133.184 (*) | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০১:০৬75737
  • আর আমি এই বিবৃতিতে কোনরকাম পলিটিকালি ইনকারেক্ট কিছু দেখিনি। যাস্ট কিস্সু নেই। হ্যান একটা পক্ষ অবলম্বন করে লেখা তো বটেই । যেরকম যে কোন পলিটিকাল লেখায় থাকে। এই সাইটের র বাঘা বাঘা লোক থেকে চমস্কি থেকে ডকিন্স সবার আছে। ইয়ার্কি নাকি? পারলে তুলে তুলে দেখিয়ে দেব। খালি স্টুডেন্টদের ধরে চাপ দেয়া কেন? ঘাবড়ে যাবে বলে? ঐ বয়সে কি লিখতাম পষ্ট মনে আছে , তাই এতটা ফুটুনি পোষলো না । বাকিরা নিশ্চয়ী কলেজে উত্তাল ম্যাচিওর ছিলেন।

    অথোরিটি মারাত্মক লেভেলের ছড়াতে পারে এটা নিজের চোখে দেখা। তদন্ত হয়ে গেলেই, যদি সব ঠিক হত, আহলে পুনর্তদন্ত বা তার দাবীর কথা টা পৃথিবীর ডিকশানরিতে থাকত না। এখন ডিন বলছে, যদি ভিত্তিহীন দাবী হত, আলোচনাই হত না। ডিনকে গিয়ে কি বলবেন। আর, "র‌্যগার" "সেমি-র‌্যাগার" বা বাওয়ালবাজ সিনিয়ারদের চাটের থেকে মরালি আপটাইট জনতা ও "মসীহা" ফ্যাকল্টিদের মানসিক চাপ অনেক বেশী ডেনজারাস।
  • a | 93.111.212.208 (*) | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৪:১৮75738
  • এত বালের কথা মাইরি জীবনে দেখিনি। রিদ্ধিবাবুকে জিগ্গেস করছি, ঐ বালের রুলবুক বাদ্দিন, আপনি বলুন না ragging এর সঠিক ডেফিনিশন কি হওয়া উচিত। অনেক তো ফান্ডা দেন এখানে, এটা নিএও একটু ছাড়ুন
  • a | 93.111.212.208 (*) | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৪:২১75739
  • বলছিলাম যে সেই fact finding report তো এলো না মার্কেটে।
  • Subham Rath | 127.194.35.78 (*) | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৫:৪৯75740
  • Below is the copy of a letter from a professor of FET, JU addressed to the VC. I am re-posting this letter for my friends who are concerned about the recent happenings in JU on "Ragging".

    Respected Sir,

    This has reference to the recent meeting of the University Anti-ragging Committee held on 10.09.2013 regarding a reported case of ragging incident in the Salt Lake Campus Hostel (no agenda items were listed in the notice). Though I was unhappy with the decision taken in the said meeting, I did not record my note of dissent, the reason for which I explained to you when I met you last night in your office. I have not yet received the minutes of the said meeting. Also, only last night, I came to know from you that the victim, Pritam Subba, had submitted a letter requesting the review of the decision taken by the Anti-ragging Committee. As discussed last night in detail, it is my earnest appeal to your good self, that on the basis of the letter submitted by the victim, a meeting of the Anti-ragging Committee be convened to review the decision of the committee made on 10.09.2013. In this meeting, the victim and the accused students may kindly be invited to put forward their views. Looking forward to your considered decision and action in this regard.

    Yours faithfully,

    (CHANDAN MAZUMDAR) Member, Anti-ragging Committee Jadavpur University
  • !! | 121.93.178.74 (*) | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৭:১৬75741
  • প্রীতম সুব্বা নিজেই রিভিউয়ের আবেদন জানিয়েছে! সত্যি হলে খেদ ও লজ্জা প্রকাশ করতেই হয় যে এই ছেলেটিরই চরিত্র চিত্রণ করা হচ্ছিল কতটা বিপরীত ভাষায়!!
  • Blank | 69.93.241.219 (*) | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৮:০৮75742
  • জেনে ভাল্লাগলো যে যাদবপুরে ragging হয় নি। ওসব চায়ের ঠেকের চাটাচাটি মাত্র। ম্যানেজমেন্ট সারাক্ষন ছ্ক কসে বেড়ায় কি ভাবে স্টুডেন্টাদের পেছনে বাঁশ দেবে। তো ওরা তাই বাঁশ দিয়েছে। হাত্তালি এবং যবনিকা পতন।
  • a | 132.164.198.59 (*) | ০১ অক্টোবর ২০১৩ ০২:৪৮75743
  • প্রীতম সুব্বাকে দিয়ে রিভিউয়ের আবেদন করানোর জন্য কি কি লাঠি আর গাজর দেখানো হলো? আবেদ্ন না করলে আরো কিছু চড়থাপ্পর, আর আবেদন করলে আর্সালানে বিরিয়ানি?
  • a x | 86.31.217.192 (*) | ০১ অক্টোবর ২০১৩ ০৩:১০75744
  • না, এটা অনেকদিন আগেই তো পড়েছিলাম প্রীতম লিখেছিলেন আমি চাইনা এদের কেরিয়ারের ক্ষতি হোক বা এরকম কিছু একটা।
  • b | 135.20.82.164 (*) | ০১ অক্টোবর ২০১৩ ০৩:১৬75745
  • ক) ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার মতো ভালো ছাত্র ছিলাম না। এতোদিনে বুঝিলাম আমি কেন আনস্মার্ট হইয়া রহিলাম। প্রতিভাগুলিন সুপ্তই রহিয়া গেলো, হায়।

    খ) কারুর কারুর পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে সত্যযুগে জন্মালে ওনারা সতীদাহ, বালবিধবাদের ব্রহ্মচারী করে রাখা, মাছ না খেতে দেওয়া, এসব হুলিয়ে সাপোর্টাতেন। কেন? না ঐ যে থোত্তোবেলা থেকে দেখে আসছি, তাতেই বড় হয়েছি। ওল্ড হ্যাবিট্স ও সুমহান ট্র্যাডিশন, হুঁ হুঁ বাওয়া, ডাই হার্ড।

    গ) র‌্যাগিং স্রেফ হায়ারার্কি দেখানো। দ্যাখ শালা আমরা সিনিয়ার, তোদের কি করতে পারি। এই আর কি! অবশ্য সে পাওয়ার হায়ারার্কি তো সব জায়গাতেই চলে।

    ঘ) প্রীতম সুব্বা বা লালুর গোয়ালের সাথে এই পোস্টের কোনো সম্পর্ক নেই।জাস্ট জেনেরাল কমেন্ট।
  • ranjan roy | 24.96.24.197 (*) | ০১ অক্টোবর ২০১৩ ০৬:২৭75746
  • কিছু কথা মনে হল।
    ১) শাস্তিপ্রাপ্তদের পক্ষেঃ
    ঃ শো-কজ ইস্যু করে উত্তর পাওয়ার আগেই শাস্তি ঘোষণা ট্র্যাভেস্টি অফ জাস্টিস এবং apparently malicious prosecution and colourful exercise of power as well.তাই এঁরা কোর্টে গেলে মনে হয় আদালত অথরিটিকে কিছু ডায়রেকশন দেবে; অন্ততঃ সহানুভূতির সঙ্গে পুনর্বিচার করতে বলবে। আমার ব্যাংকের অভিজ্ঞতায় এমন দশটি কেস দেখেছি। অভিযুক্ত দোষী হলেও।

    ২) প্রীতম সুব্বার পক্ষেঃ

    ক) যাঁরা কাঁচ ভাঙাকে, মিটিং য়ে ডেকে সিনিয়রিটি ও মেজরিটির জোরে চড় থাপ্পর মারাকে আলদা আলাদা করে দেখে ট্রিভিয়াল বলছেন তাঁরা গাছ দেখছেন, জঙ্গল দেখছেন না।
    সত্যি কথা, আমাদের সময়ের হোস্টেল লাইফে এগুলো ফানি এবং আনকমন নয়।
    সেই ফ্রেম-ওয়ার্কে দেখলে এগুলো চায়ের পেয়ালায় তুফান, ছেলেদের মধ্যে হোস্টেলে কমন বাওয়াল , র‌্যাগিং বলার মতন না--- মনে হতেই পারে।
    খ) কিন্তু এটাও সত্যি, এই জন্যেই আজও র‌্যাগিং টিকে আছে।
    " র‌্যাগিং" এর পেছনে অন্তর্নিহিত রয়েছে একটি সমান্তরাল ক্ষমতার ( মাফিয়া সংস্কৃতি?) ভাবনা। হস্টেলে সিনিয়রদের বিশেষ অধিকার/স্ট্যাটাস মানতে হবে। কলেজে অধ্যক্ষ/শিক্ষকের সমান্তরাল হস্টেলে সিনিয়র।
    এই ক্ষমতার স্ট্রাকচার বা বর্ণাশ্রম রক্ষার পক্ষে সিনিয়ররা এককাট্টা। প্রতিবাদীদের শারীরিক নিগ্রহ, একঘরে করা, অন্যভাবে অপদস্থ করা স্বাভাবিক।
    কিন্তু সময় বদলেছে। আজকে যদি র‌্যাগিং নিয়ে কিছু আইন হয়ে থাকে তো সেটার হিসেবেই কোন কাজকে এবং তার শাস্তিকে মাপতে হবে। আগে কি হত তাই দিয়ে এটাকে ট্রিভিয়ালাইজ করা যায় না।

    গ) সেভাবে দেখলে অফিসে সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্টের বিরুদ্ধে যে কোড তৈরি হয়েছে ( বিশাখা জাজমেন্ট দেখুন) তাকেও তুড়ি মেরে উR্হিয়ে দেওয়া যায় এই বলে যে এসব তো সহকর্মীদের মধ্যে নির্দোষ পাস্টটাইম।
    একইভাবে মেয়েদের সম্পত্তির অধিকারের পরিবর্তন ও শাশুড়ি বৌয়ের ক্ষেত্রে কোনটা পণ বা অন্যভাবে নির্যাতন (IPC 498a) সেগুলোকেও এতদিনের ব্যবহার সিদ্ধ প্রথা বিরোধী বলে খারিজ করা যেতে পারে।
    ঘ) একটা ব্যাপার দেখুনঃ
    ছেলেটি নিজের কম্যুনিটির জুনিয়র ছেলেদের দীর্ঘদিন নিজের রুমে রেখেছে। সেটা নিয়ে চুগলি করা হয়েছে যদিও এটা কোন নিয়মাবলীর ধারা লংঘনের মধ্যে পড়ে না। অবশ্যই ব্যবহারিকতার বিরুদ্ধে , যদিও এগুলো সব হোস্টেলে, এমনকি এম এল এ হোস্টেলে অল্পবিস্তর দেখা যায়।
    তার চেয়েও বড় কথা এতে অন্য কোন স্টুডেন্ট এর ব্যক্তিগত শারীরিক মানসিক ক্ষতি প্রত্যক্ষভাবে হচ্ছে না।
    কিন্তু সিনিয়ররা যা করেছে-- প্রত্যক্ষ ভাবে দুবছর ধরে ওদের সঙ্গে না মিশে যেতে চাওয়া ছেলেটিকে সাহাস করে মাথা তুলে দাঁড়ানোর অপরাধে শস্তি দিয়েই চলেছে। ( ছেলেটির ওয়ান-টু-ওয়ান ফাইটের হুংকার দ্রষ্টব্য)।
    ঙ)
    আর আইন বা নিয়ম হলেই যদি "বাল" বলতে হয়, তাহলে পাশ/ফেল, জয়েন্টে চান্স পাওয়া/না পাওয়া ইত্যাদি সব নিয়মই কেন "বাল" নয়?
  • a x | 138.249.1.194 (*) | ০১ অক্টোবর ২০১৩ ০৬:৪৭75747
  • শুভম, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্ট স্ক্যান করে দেবেন বললেন যে?
  • riddhi | 117.217.133.184 (*) | ০২ অক্টোবর ২০১৩ ০১:১০75749
  • খেলার মাঠ বা মাল পার্টির বাওয়াল ধরছিই না। জুনিয়ার না, নিজেদের মধ্যেই যদি দেখি - ভাবী স্বশুরকে নকল করে গুরুগম্ভীর ফোন , ভূতের ভয় দেখানো, দোলের দিনে জলে চোবানো, চিঠি পড়ে নেয়া,- এই সব খিল্লিতে কিছুটা সময় জুড়ে পাবলিক চাপে থাকে, অন্তত বিরক্ত হয় । এই চাপগুলো আমরা দিয়েছি, নিজেরাও পেয়েছি। সেইটুকু সময়ের মধ্যে যদি "কম্প্লেন" এর কথা মাথায় আসত, সবাই চু* চম্পা হয়ে যেতাম।
  • শান্ত যুবক | 121.93.178.74 (*) | ০২ অক্টোবর ২০১৩ ০১:২৫75753
  • ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের রিপোর্টে প্রীতমকেও দোষির তালিকায় রাখা হয়েছে। তিনজনের অপরাধের ধরন অবশ্য আলাদা।
  • a | 132.166.139.146 (*) | ০২ অক্টোবর ২০১৩ ০৩:০৩75750
  • তা বল্লে কি করে হবে। সোজা কথার সোজা উত্তর দিন, আপনার মতে প্রপার ডেফিনিশন কি হওয়া উচিত। আর আপনি বার বার আমরা বলতে ঠিক কাদের বোঝাচ্ছেন একটু খুলে বলবেন কি? একি শুধুই গৌরবে বহুবচন নাকি আপনি ১০০% শিওর যে সেই "আমরা" র ভিতরে কেউ পাব্লিকের চাপেই কম্প্লেন করেননি, মাথায় আসা সত্বেও?
  • b | 135.20.82.166 (*) | ০২ অক্টোবর ২০১৩ ০৩:৩১75751
  • ১। ঐ রঞ্জনদা বলে দিয়েছেন। ব্যাপারটা শুধু টিজিং বা প্র্যাঙ্ক নয়। টিজিং/প্র্যাঙ্ক প্লাস শো অফ পাওয়ার হায়ারার্কি=র‌্যাগিং/বুলিয়িং। (ন্যান এ, আপনার ডেফিনিশন)

    ২। ভাট পড়ি না, তাই সিকি আর ঈশান "সেদিন" কি বলেছিলো, ঠিক জানি না।

    ৩। মাঝে মধ্যে মনে হয়, কিছু লোক চু*চম্পা হয়ে গেলে খারাপ হত ন।
  • ranjan roy | 24.96.53.233 (*) | ০২ অক্টোবর ২০১৩ ০৩:৫৩75754
  • অবশ্যই হোস্টেল লাইফে টিজিং বা প্র্যাংক থাকবে, নইলে লাইফ আলুনি হবে। এগুলো বাদ দিয়ে কোন কলেক্টিভ লাইফ হয় না, উচিতও নয়।
    কিন্তু এটা হয় সমানে সমানে, বন্ধু না হলেও সমান অধিকারের ভিত্তিতে।কিন্তু সেটা য্খন একমাত্রিক ও শুধু পুরনো বা সিনিয়রদের হেজিমনি টিকিয়ে রাখার জন্যে হয় তখন তা র‌্যাগিংয়ের মাত্রা পায়।
    বন্ধুদের মধ্যে একে অপরকে "কি রে বোকাচো-" বলাটা ব্যতিক্রম নয়, দোষ নয় যদি সেটা অপর বন্ধুটি হাসিমুখে স্বীকার করে। এবং সে একই সম্বোধন পালটে প্রথমজনকে বললে সেও যদি হাসিমুখে মেনে নেয়। নইলে লক্ষণরেখা টানতে হবে।
    তা না হলে একজন আমাকে শালা বললেও আমি আপত্তি করব, বলব-- গাল দেবে না!

    আসুন, এই প্রোপোজিশনটি আমরা যদুপুরের ঘটনায় প্রয়োগ করে দেখি।
    ধরুন, প্রীতম সুব্বা ও তার জুনিয়র ব্যাচের নেপালী বন্ধুরা সিনিয়রদের ঘরের কাঁচ ভাঙছে বা সিনিয়রদের ঘরের সামনে হাগু করছে তখন সিনিয়ররা কী করবে?
    এটাকে টিজিং/প্র্যাংক বলে স্পোর্টিংলি নেবে? না জুনিয়রদের পেঁদিয়ে বিন্দাবন দেখাবে?
    বর্বর ও জদুপুরের সিনিয়রভজনার সংস্কৃতির বিরুদ্ধাচরণের অপরাধে?
    উত্তরের জন্যে কোন প্রাইজ নেই। তাই এগুলো র‌্যাগিং।

    এগুলো সর্বত্র আছে। প্রফেশনাল কলেজে বেশি।
    সত্তরের দশকে দেখেছি দুর্গ-ভিলাইয়ের সরকারি ডিগ্রি কলেজে (হোস্টেলে নয়) র‌্যাগিং এর নামে জুনিয়রদের (বেশির ভাগ গাঁ থেকে প্রথম জেনারেশনে কলেজে পড়তে আসা) বাগানে নিয়ে গিয়ে সিনিয়রদের সামনে এসি-ডিসি ( হস্তমৈথুন) করতে বলা।
    বছর তিনেক আগে বিলাসপুর বাসস্ট্যান্ডে দেখেছি কিছু সিনিয়রদের আসা মাত্র জুনিয়রদের অ্যাটেনশান হয়ে চোখ নামিয়ে মুখ ৪৫ ডিগ্রি(!) কোণে নীচু করে রাখতে। কিছু সিনিয়র আবার কয়েকজনের কাছে গিয়ে মুখ ধরে ধরে নীচে নামিয়ে দিচ্ছে। এমনি ভাবে থাকতে হবে বাস না আসা পর্য্যন্ত।
    আমার ব্যক্তিগত মত হল এগুলোর কনটেন্ট ফ্যাশিস্ত। কারণ এরা জুনিয়রদের সমান অস্তিত্ব বা মর্য্যাদা স্বীকার করে না।

    সহমতিতে আনন্দদায়ক যৌনক্রিয়া আর ধর্ষণের মধ্যে যতটুকু তফাৎ, টিজিং/প্র্যাংক আর র‌্যাগিংয়ের মধ্যে ঠিক ততটুকুই তফাৎ, আমার মতে।

    আর এগুলোর ফলে গত কয়েক দশকে গোটা দশকে কতজন পড়া ছেড়ে দিয়েছে, আত্মহত্যা করেছে, চোখ বা শ্রবণশক্তি খুইয়েছে সেটা প্র্যাংকের প্রবক্তারা ভেবে দেখেছেন কি?

    কাজেই শুরুতে কিছু কড়া আইন হবেই এবং কিছু কোল্যাটারাল ড্যামেজ। তাই র‌্যাগিং বিরোধী আইন স্বাগত; সংশোধনের কথা উঠতেই পারে।
  • riddhi | 146.165.223.194 (*) | ০২ অক্টোবর ২০১৩ ০৪:৫১75755
  • রন্জনদা, সিনিয়ররা প্র্যান্ক করলে সিনিয়রের হেজিমনি লাগিয়েই করেছে সেটা বোঝা যাবে কি করে? অবশ্যই কন্টেক্স্ট দেখে। একটা দুটো ঘটনা, না একটা ইস্স্যু নিয়ে লাফরা, না লাগাতার পেছনে লাগা। কন্টেক্স্ট বাদ দিয়ে দেখলে তো চাপ। ঐ সব বাল্বে চুমু, কার্নিসে হাঁটা এখানে প্রাসঙ্গিক নয়। রেপ রুখতে সব "সেক্সিস্ট" বা (পার্সিভড টো ই সেক্সিস্ট) জোক ব্যান করার প্রস্তাবের মত। ভাবুন, একজন এম্প্লোয়ার একটা সামান্য বডি ল্যাঙ্গুএজে দিয়ে আপনাকে চাপে ফেলতে পারে। এগুলো যে খাচ্ছে, তার সেন্সিটিভিটি ইঃর ওপর নির্ভর করে। লাইনটা কোথায় টানব? সেদিন কেউ ইন্টার্নেটে চাপ খেয়ে সুইসাইডের লিন্ক দিল। এবারে ইনটারনেটে খিস্তি নিয়ে রুল আনলে?

    @এ, 'আমরা' মানে আমার কলেজের পাবলিক। এখানকার হোস্টেলের জনতার জন্য প্লেসহোল্ডার ভাবলেও ক্ষতি নেই। আপনার দাবীটা কি বুঝছি না, আমি একটা রুলবুক বানিয়ে ইউ জি সি কে ইমেল করব? আমি চাই, এই কারেন্ট রুল ব্লাইন্ডলি ফলো করা চলবে না। এই টাইপের ঘটনায় সবার সাথে কথা বলা, ওয়র্নিং দেয়া, কিছুদিন মনিটর করা, ব্যাস। বাল্বে চুমু হলে টিসি, এইরকম।
  • riddhi | 146.165.223.196 (*) | ০২ অক্টোবর ২০১৩ ০৪:৫৫75756
  • আর ইন্ডিয়াতে বিশেষ করে , অথোরিটি যে লেভেলের দাপট দেখায়, চরম! এই হায়রার্কির কালচার তৈরীতে ওদের অবদান খুব বেশী। সেটা নিয়ে কিছু করতে পারলে ভাল হয়।
  • b | 135.20.82.166 (*) | ০২ অক্টোবর ২০১৩ ০৫:১৭75757
  • হুম। ৪৯৮ (এ) নিয়েও লোকজনের এরকম অসোয়াস্তি আছে। বউ যদি "বদ" হয়, তবে শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে কেস খাইয়ে দিতে পারে।

    আর ইয়ে, যে দু চাট্টে কেস একেবারে কাছ থেকে দেখেছি, তাতে রুলবুক ব্লাইন্ডলি ফলো করা হয় নি একদম-ই। শাস্তির গ্রেডেশন-ও অনেকরকম ছিলো অপরাধের গুরুত্ব বুঝে ও কন্টেক্স্ট দেখে (সেমেস্টার ড্রপ, ক্যাম্পাসিং বন্ধ, কিন্তু কাউকেই জেলে পাঠানো হয় নি)।
  • সিকি | 127.216.225.232 (*) | ০২ অক্টোবর ২০১৩ ০৫:৩৬75752
  • ভাটে নয়। এখানেই লিখেছিলাম। ২৫শে সেপ্টেম্বর।
  • r | 127.194.38.239 (*) | ০২ অক্টোবর ২০১৩ ০৫:৫০75758
  • This letter was addressed to the registrar ,Jadavpur University
    However the written statement of Anupam Ghosh , addressed to Fact Finding Committee could not be obtained as authority decided to keep it confidential . The letter is in Bengali Script. Sorry for the inconvenience .



  • r | 127.194.38.239 (*) | ০২ অক্টোবর ২০১৩ ০৫:৫২75759
  • Fact Finding Committee Report
    Frequently "boy from darjeeling" has been used ,whereas the locations of anupam ghosh , manik halder are not specified.
    Recommendations of 'punishment' and 'found to be guilty' on the basis of "he might have", "It seems " and a hell lot of assumptions..

    IT IS ALSO TO BE NOTED THAT STATEMENTS (VERBAL, WRITTEN) OF ANUPAM GHOSH , MANIK HALDER HAVE NOT BEEN STATED IN THIS REPORT AND INSTEAD HAVE BEEN DISTORTED.




  • ranjan roy | 24.96.53.233 (*) | ০২ অক্টোবর ২০১৩ ০৫:৫৭75760
  • ৪৯৮(এ) তে আমার নির্দোষ বন্ধুর ছেলে দুদিন যাদবপুর পুলিশ লক আপে ছিল, বন্ধু ভেতর হতে হতে বেঁচে গেছে। কেস চলছে।

    তবু বলব-- ৪৯৮(এ) জিন্দাবাদ!
    কারণ, এই আইনের মিসইউজ করে লোভীদের চক্রান্তে যত পুরুষ ভুগেছে তার চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যক মেয়ে এখনো প্রাণ হারাচ্ছে, সম্মান হারাচ্ছে, আত্মহত্যা করছে।

    একই ভাবে র‌্যাগিংর ক্ষেত্রেও একই বক্তব্য; ব্যালান্স রক্ষার জন্যে কমিটি ইত্যাদি তো আছেই।
    আসল কথা হল সমান্তরাল হায়ারার্কির ব্যাপারে ছেলেদের ক্ষমতার লালসা পাল্টানো, কিঁউকি শাস ভি কভি বহু থী।

    ,@ রিদ্ধি,
    অবশ্যই কর্তৃপক্ষ হায়ারার্কি সংস্কৃতিকে প্রোমোট করে। সমাজ ও রাজনীতিটাই ফিউডাল হায়রার্কির কালচারে আচ্ছন্ন। তাই মন্ত্রীরা বা জনপ্রতিনিধিরা বিশেষ সম্মান ও সুবিধে দাবি করেন।
    কিন্তু ছাত্ররা কেন তাঁদের নকল করবে?
    কেন সমান্তরাল হায়ারার্কি কে আদর্শ করবে?
    ওরা বেশি বেশি করে ডেমোক্র্যাটিক কালচার প্রোমোট করবে এটাই স্বাভাবিক নয় কি?
  • ranjan roy | 24.96.53.233 (*) | ০২ অক্টোবর ২০১৩ ০৬:২১75761
  • ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট যে সিনিয়রদের জুনিয়রদের ওপর একতরফা ডাইনিং হল ড্রেস কোড অবশ্যই হেজিমনিস্টিক, দাদাগিরি -- কাজেই র‌্যাগিং এর পদবাচ্য। যদি এই নিয়ম হোস্টেলের সব ছেলেদের জন্যে বানানো হত(ভুল ঠিক যাই হোক) তাহলে র‌্যাগিং না হয়ে টিজিং বা প্র্যাংক হত।

    রিদ্ধিকে বলছি--- ঘটনা আলাদা করে টিজিং বা র‌্যাগিং বলা যাবে না। যদি স্পোর্টিংলি সবার জন্যে হয়, তাহলে বেয়াড়া হলেও, প্র্যাংক বা টিজিং হবে।
    কিন্তু একতরফা ভাবে সিনিয়রদের হয়ে জুনিয়রদের ওপর চাপিয়ে দিলে সেটা র‌্যাগিং হবে।

    দ্বিতীয়বার যখন মানিক সুপারিন্টেন্ডেন্টকে না জানিয়ে রাত্তিরে সদলবলে প্রীতমের ঘরে গেছিলেন তখন অবশ্যই নিজের জিত দেখাতে ও ক্ষমতা দেখাতে গেছলেন । তাই নাম ধরে গালমন্দ, কাঁচভাঙা ও দরজায় গু লেপে দেয়া( কমিটির রিপোর্ট)।
    অনুপমের চিঠিতে সেই রাত্তিরে কাঁচভাঙা ও গু লেপার কথা বাদ দিয়ে নিজের চড় মারাকে জাস্টিফাই করতে প্রীতমের মানিকের সঙ্গে ব্যবহারকে একেবারে বদরাগী পাগলের ব্যবহারের মত দেখানো হয়েছে। প্রীতমই যে এজিএম ফেটসুর কাছে গেছিল যার ফলশ্রুতিতে ওই মিটিং সেটা পুরো চেপে যাওয়া হয়েছিল।
  • r | 127.194.38.239 (*) | ০২ অক্টোবর ২০১৩ ০৬:৩০75762
  • prothomoto bolar ei ghotonar sathe "dress code" er kono somporko nei... pritam er sathe manik ba anupam er j bochosa hoeche ta vinno ghotonar poriprekhhite...
    dwitiyoto, " some "dress code" imposed by the senior boarders and that the "scuffle" was at least a full year long!!"- kotha ti ekdom e vul.. eta thik hostel e kichu protocol ache tar modhhe ekti, khali dining e jwar somoy full jama pant (not formal) porte bola hoy ebong seta pujor age obdi... mainly sleeveless jate na pore seta maintain korar jonno, ebong eta 1st to 4th yr sobai follow korar try kore... eta kono imposed code noy, karor prblm thakle bepar ta mene neowa hoy..
  • ranjan roy | 24.96.53.233 (*) | ০২ অক্টোবর ২০১৩ ০৬:৪৯75763
  • r এর বক্তব্য কিন্তু ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্টে সমর্থিত হচ্ছে না।
    ক)উক্ত রিপোর্টের প্রথম প্যারা ও রেকমেন্ডেশনের তৃতীয় প্যারা থেকেই স্পষ্ট যে এই "ড্রেস কোড" কিছু সিনিয়র শুধু জুনিয়রদের জন্যে বানিয়েছে এবং সেটা না মানলে বাওয়াল হচ্ছে। সেটা গত বছর প্রীতমকে নিয়ে শুরু হয়েছিল এবং তার রেশ এ'বছর পর্য্যন্ত চলছে।

    খ) যদি এর সঙ্গে বর্তমান ঘটনার কোন সম্পর্কই না থাকত তাহলে তদন্তকারী কমিটির অধ্যাপক সদস্যরা রিপোর্টের প্রথম প্যারাটিই বা ড্রেস কোড দিয়ে শুরু করলেন কেন? আর রেকমেন্ডেশনের তিন নম্বরে "অপ্রাসংগিক" ভাবে ড্রেস কোড খারিজ করার কথা বললেন কেন?
    স্পষ্টতঃ এঁরা এটিকে র‌্যাগিং এর সঙ্গে যুক্ত এবং পর্যায়বাচী মনে করেছেন।
    স্লীভলেস পরায় আপত্তি? বুঝলাম না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন