এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • যাদবপুর - আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি

    অভিষেক তুঙ্গা লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ | ১৩৫৩১ বার পঠিত
  • যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট ছাত্র সংসদের থেকে আমরা একটি চিঠি পাই। সেটি খোলা চিঠি হিসেবে প্রকাশ করা হল। বলা বাহুল্য, লেখার বক্তব্য ও দৃষ্টিভঙ্গি লেখকের নিজস্ব।


    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


    ঠিক কী ঘটেছিল ?


      ঘটনার সূত্রপাত চতুর্থ বর্ষের ছাত্র PRINTING DEPT. এর মানিক হালদার এবং CONSTRUCTION DEPT. এর অনুপম ঘোষ ও IT DEPT. এর দ্বিতীয় বর্ষের একটি ছাত্রকে দিয়ে। সকলেই থাকত JADAVPUR UNIVERSITY-এর SALTLAKE CAMPUS-এর হস্টেলে। দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রটি এসেছিল দার্জিলিং থেকে, স্বাভাবিকভাবেই রয়ে গিয়েছিল ভাষা ও সংস্কৃতিগত ভিন্নতা। যদিও দার্জিলিং থেকে আসা বহু ছাত্র-ছাত্রীই ক্রমশ মিশে যায় যাদবপুরের সংস্কৃতির সাথে, এক্ষেত্রে তা হয়নি। প্রথম বর্ষেই যে কারণে ছাত্রটি কথা কাটাকাটির মধ্যে চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রের নাকে ঘুষি চালায়। তবে তখনকার মতো ঝামেলাটি নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নেওয়া হয়। ঘটনাপ্রবাহে ছাত্রটি নিজেকে আরও গুটিয়ে নিতে থাকে।


                         দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রটি অবৈধভাবে হস্টেলে নিজের রুমে দুজন প্রথম বর্ষের ছাত্রকে রাখতে শুরু করে। গত ২২এ অগাস্ট চতুর্থ বর্ষের প্রিন্টিং টেকনোলজির ছাত্র তথা হস্টেলের anti-ragging squad এর প্রাক্তন সদস্য মানিক হালদার তা হস্টেল সুপারের নজরে আনে, এতে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রটি প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এরই মধ্যে কেউ বা কারা দ্বিতীয় বর্ষের ছেলেটির ঘরের কাঁচ ভেঙ্গে দিয়ে যায়। কে বা কারা ঘটনাটি কেন ঘটাল নাকি ঘটনাটি নিছকই দুর্ঘটনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ২৩শে অগাস্ট ঘটনাটি নিজেদের মধ্যেই মিটিয়ে নিতে হস্টেলে একটি মিটিং বসে যেখানে মানিক, অনুপম ও অন্যান্য ছাত্ররাও উপস্থিত ছিল। মিটিং-এ দু-তরফেই উত্তপ্ত কথা কাটাকাটি চলে, ২য় বর্ষের ছাত্রটি সাহস থাকলে one to one লড়াই-এর চ্যালেঞ্জ জানাতে থাকে। এরই মধ্যে অনুপম মেজাজ হারিয়ে ২য় বর্ষের ছাত্রটিকে চড় মেরে বসে। যদিও মিটিংটি শেষ হয় সবাই-সবাই কে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে। এমনকি অনুপম ও সেই ছাত্রটি পরস্পরকে কোলাকুলিও করে।


                        পরের দিন কেউ ২য় বর্ষের ছাত্রটির দরজার বাইরে মলত্যাগ করে যায়। এরকম পশুচিত কাজ কোন জানোয়ার করে গেল কে জানে, কিন্তু ২য় বর্ষের ছাত্রটি UGC –এর ওয়েবসাইটে অভিযোগ দায়ের করে। (অভিযোগটি র‍্যাগিং এর অভিযোগ হিসেবে দায়ের করেনি)



    এর পরের ঘটনাপ্রবাহঃ


    ১) VC ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিন সদস্যের একটি FACT FINDING COMMITTEE তৈরি করে। যদিও কোন ছাত্র কোনোভাবেই এই তদন্ত কমিটির বিন্দুমাত্র অস্তিত্ব টের পায়নি।


    ২)এই কমিটি অনুপম ও মানিককে ডেকে পাঠায় ও সেদিনের চড় মারার ঘটনার স্বীকারোক্তি নানা ছলা-কৌশলে লিখিয়ে নেয়। যদিও এরা জানতই না এই কমিটি আসলে তথাকথিত র্যামগিং-এর তদন্ত কমিটি। এমনকি এই কমিটি ঘটনাস্থলে উপস্থিত সবাইকে জেরা করেনি।


    ৩) গত ১০ই  সেপ্টেম্বর anti-ragging committee-এর মিটিং ডাকা হয়, কোন agenda ছাড়াই। যেখানে on table agenda –য় এই প্রসঙ্গটির উত্থাপন করা হয়। যেহেতু প্রায় সব ছাত্রছাত্রীরাই র‍্যাগিং–এর বিরোধী, তাই ছাত্র-সদস্যরা ঘটনাটি র‍্যাগিং ধরে নিয়ে শাস্তির পক্ষে সম্মতি দিয়ে আসে, একমাত্র সল্টলেক ক্যাম্পাসের সদস্য মিঠুন ও সাধারণ সম্পাদক সৌভিক ছাড়া। এরা অল্পবিস্তর ঘটনাটি সম্পর্কে ওয়াকিবহল ছিল। শাস্তির পূর্বে নিয়ম অনুযায়ী অনুপম ও মানিককে শোকজ করা হয়।


    ৪) show-cause –এর জবাব পাওয়ার আগেই registrar মিডিয়াতে শাস্তির ঘোষণা করে দেয়।



    আমাদের বক্তব্য কী?


    ১) যে কেউ অভিযোগ করতেই পারে তাকে র‍্যাগিং করা হয়েছে,কিন্তু প্রকৃতই র‍্যাগিং হয়েছে কিনা,তার সঠিক অনুসন্ধান হওয়া উচিত।


    ২) গোটা ঘটনায় মানিক এর দোষ অবৈধভাবে রুম-এ ছাত্র রাখার ঘটনা সুপার-এর নজরে আনা! অনুপমের দোষ উত্যক্ত কথাকাটাকাটি মধ্যে চড় মেরে বসা,যেটা আবার নিজে মিটিয়েও ফেলে। বাকি ঘটনাগুলো কারা করেছে প্রমাণিত নয়, তাহলে কি করে এই দুজনকে র‍্যাগিং এর শাস্তি দেওয়া হচ্ছে?


    ৩) Fact Finding Committee এভাবে লুকিয়ে অনুসন্ধান চালানো কেন? এমনকি Anti Ragging Committee-এর মেম্বারও জানতে পারলো না!


    ৪) Anti Ragging Committee Meeting-এর আগেও agenda তে কেন সদস্যদের Ragging-এর অভিযোগ বা মিটিং এর বিষয়ে কিছু জানাল হল না?


    ৫) একটি বচসার ভিত্তিতে যদি Ragging-এর শাস্তি দেওয়া হয়, তাহলে কাল football মাঠে offside নিয়ে বচসা বা প্রেম নিয়ে senior-junior-এর মধ্যে গণ্ডগোলকেও Ragging বলে চালানো হবে।


    ৬) তবে চড় মারার ঘটনা অবশ্যই অনভিপ্রেত ও অপ্রীতিকর,তাই Hostel-এর Code of Conduct-এর নিয়ম অনুযায়ী অভিযুক্তের শাস্তি পাওয়া উচিত।


    ৭) কাচ ভাঙ্গা ও মলত্যাগ এর ঘটনা কঠোরভাবে নিন্দনীয়,অভিযুক্তদের অবিলম্বে খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া উচিত।



    আমাদের দাবী কী?


    ১) এত অবিচার ও অস্বছত্তার জন্য  Anti Ragging Committee Meeting পুনরায় ডেকে পুরো ঘটনাটির পুনরালোচনা করা হোক।


    ২) যতক্ষণ না পুরো ঘটনাটির পুনারালোচনা করা হচ্ছে, ততক্ষণ শাস্তি লাগু করা যাবে না।



    আরো কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তরঃ


    ১) ভিসি (উপাচার্য) কি আইনবিরোধী কিছু করেছেন?


    - র‍্যাগিং-এর শাস্তির আইন তো রয়েছেই, কিন্তু কর্তৃপক্ষ মিথ্যে অভিযোগে ব্যবস্থা নেবেন এরকম কোনও আইন নিশ্চয়ই নেই। কিন্তু এক্ষেত্রে সেটাই তো হয়েছে।


    ২) আমরা কেন আচার্য (রাজ্যপাল)-এর কাছে যাচ্ছি না?


    - ভিসি নিজে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী। তিনি যদি এখানকার ছাত্রদের রুচি এবং মূল্যবোধ গুলিকে মাথায় না রেখে শুধুমাত্র মিথ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে চান, তাহলে আমরা বাইরের কাউকে কীভাবে ভরসা করবো? আর, আচার্যের কাছে যাওয়া মানে তো পক্ষান্তরে মেনেই নেওয়া যে ভিসির ক্ষমতার আওতায় বিষয়টা মেটানো যাচ্ছে না।


    ৩) কর্তৃপক্ষ কি র‍্যাগিং-এর অভিযোগকে পুনর্মূল্যায়ণ করতে পারেন?


    - পারেন না এরকম কোনও আইন কিন্তু নেই। তার মানে নতুন করে তদন্ত ও বিচার করাই যায়।


    ৪) আমরা কেন আলোচনার বদলে আন্দোলনের (শান্তিপূর্ণ হলেও) রাস্তা বেছে নিলাম?


    -আমরা ভিসির সঙ্গে দেখা করেছিলাম, তিনি বললেন যে ইউজিসিকে রিপোর্ট পাঠানো হয়ে গেছে, ফলে সিদ্ধান্তগুলো আর পুনর্বিবেচনা করা যাবে না। সেক্ষেত্রে আলোচনার কোনও রাসতা তিনি খুলে রাখতে দিলেন না। ফলে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করতে হল।


    ৫) আমাদের আন্দোলনে কেন ভিসি, প্রোভিসি ও রেজিস্ট্রারকে অমানবিক ভাবে ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল?


    - আমরা কাউকেই ঘেরাও করিনি। তাঁরা চাইলেই বেরিয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু তাঁরা নিজেরাই থেকে গেছিলেন। তাঁদের কাছে খাবার জল বা ওষুধ ও পৌঁছোচ্ছিল। কিন্তু বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা মোটেও স্বাভাবিক ছিল না। স্বাভাবিক পড়াশোনার পরিবেশ বেশ কিছুদিন ধরেই ব্যাহত হচ্ছিল। সে নিয়ে তাঁদের খুব হেলদোল দেখা যায় নি।


    ৬) প্রো ভিসি অসুস্থ জানা স্বত্ত্বেও তাঁকে কেন আটকে রাখা হল?


    - আগেই বলা হল কাউকে আটকে রাখা হয় নি। মিডিয়ায় প্রো ভিসি-র অসুস্থতার খবর পাওয়ার সঙ্গেসঙ্গে তাঁর সঙ্গে আমরা দেখা করি। তিনি জানান যে ঠিক আছেন, কিন্তু আমরা তাঁকে আবারও বলি তিনি চাইলেই চলে যেতে পারেন। পুরো কথোপকথনটাই ভিডিও রেকর্ড করা আছে। মিডিয়া অন্যভাবে প্রচার করছে, কিন্তু মিডিয়া যেটা দেখাচ্ছে না যে তিনজন ছাত্র গুরুতর ভাবে অসুস্থ, তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


    ৭) ফেটসুর জিএস অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটির মিটিং-এ গিয়ে কেন ছাত্রদের শাস্তির পক্ষে মত দিয়েছিল?


    - ভুল তথ্য। অ্যান্টির‍্যাগিং কমিটির মিটিং-এর মিনিট দেখলেই সেটা পরিস্কার হয়ে যাবে। রেজিস্ট্রার নিজেও তা স্বীকার করেছেন?


    ৮) আমাদের আন্দোলনের কী কোনও রাজনৈতিক রং আছে?


    আমাদের আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি ও পদক্ষেপগুলি জেনারেল বডির মিটিং-এ ঠিক করা হয়। এর মধ্যে কোনও রাজনৈতিক ব্যানারের পার্টি যুক্ত নেই।


     ৯) আমরা কি র‍্যাগিং এর সমর্থক?


    - কখনোই না। আমরা মনে করি র‍্যাগিং একটি সামাজিক ব্যাধি। আর সিনিয়র জুনিয়র হিসেবের বাইরেও সমাজের সর্বত্র র‍্যাগিং হয়ে আসে। কোথাও অফিসার অধস্তন কর্মচারীকে র‍্যাগিং করে, কোথাও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অথরিটি ছাত্রদের র‍্যাগ করে। তাই র‍্যাগিং-এর বিরুদ্ধে সর্বস্তরের সচেতনতা এবং র‍্যাগিং করবো না এই আত্মসচেতনতাও দরকার। শুধুমাত্র শাস্তি দিয়ে র‍্যাগিং নির্মূল করা যাবেনা।



    ছাত্রছাত্রী ও বৃহত্তর সমাজের কাছে আমাদের আবেদন-


    টানা ৫২ ঘণ্টা অবস্থান বিক্ষোভের পর আমাদের রিলে অনশন প্রায় ৯০ ঘণ্টা অতিক্রম হতে চলল। এখন অব্দি পিতৃসম কর্তৃপক্ষ একবার জানারও প্রয়োজন মনে করল না, ছাত্রছাত্রীরা কেমন আছে! এর মধেই আমরা পাচ্ছি বিশাল সমর্থন- দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্ররা তাদের fest- U-Turn স্থগিত রেখেছে, Electronics-এর দুই ছাত্র VC-র হাত থেকে switzerland-এর একটি নামী scholarship নিতে অস্বীকার কারেছে, Production ও Computer Science-এর বিভিন্ন বর্ষের ছাত্রছাত্রীরা অনির্দিষ্ট কালের জন্য নিজেদের ক্লাস বয়কট এর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এছাড়াও চলছে বিক্ষিপ্ত ক্লাস বয়কট। রয়েছে প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদেরও বিশাল সমর্থন- Virginia Tech থেকে Sector-V, IIT থেকে IIM চিঠি পাঠাচ্ছেন তারাও। JNU থেকে Presidency, আমরা পাচ্ছি বিভিন্ন কলেজের সমর্থন। আসলে সমর্থন ছাড়া আমাদের এই আন্দোলন কখনই টেনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। এই আন্দোলন আর শুধু ইঞ্জিনিয়ারীং ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনে আটকে নেই, Arts থেকে Science, সমস্ত Faculty-র ছাত্রছাত্রীরা এতে যোগদান করেছে। আগামী বুধবার বিকেল ৩টায় (সময় পরিবর্তিত হতে পারে) Union Room-এর সামনে থেকে একটি মিছিলের ডাক দেওয়া হচ্ছে- যেকোনো কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় নির্বিশেষে ,যেকোনো বয়স ও পেশার মানুষ এতে যোগদান করতে পারেন, অবশ্যই কোনোরকম রাজনৈতিক ব্যানার ছাড়া। উন্নততর ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে পাশে চাই সবাইকে।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ | ১৩৫৩১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • anirban | 146.152.7.51 (*) | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৪:৪৩75553
  • অভিষেক, অনেক ধন্যবাদ লেখাটির জন্য। আপনাদের বক্তব্য পরিস্কার করে জানানোর খুব দরকার ছিল। আমি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও হস্টেলের আবাসিক। আপনাদের দাবীগুলিকে সঠিক ও যুক্তিযুক্ত বলে মনে করি।
  • রোবু | 213.147.88.10 (*) | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৫:০৪75554
  • এই লেখাটা ভালো লাগলো। এই ভাবে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে আগেই বলা হলে বিষয়টি বুঝতে সুবিধে হত। একটা সময়ে আন্দোলনকারীদের কথা শুনে মনে হচ্ছিল দুনিয়াটা দুই ভাগে বিভক্ত, যারা আন্দোলন করছেন তারা এবং যারা আন্দোলনে নেই। এবং দুই পক্ষ যুযুধান। গত দিন দুয়েক ধরে বক্তব্যে অনেক সাবালকত্ব এসেছে। পুনরতদন্তের দাবী আর অতটা অস্বাভাবিক লাগছে না।
  • aranya | 154.160.226.53 (*) | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৫:৪৩75555
  • মানিকের শাস্তি হল কেন? এটা পড়ে তো তার কোন প্রমাণিত অপরাধ দেখলাম না। সেও কি লিখিত ভাবে কিছু স্বীকার করেছে?
    আমি যা বুঝলাম, তদন্ত ঠিক্ঠাক হয় নি। অথরিটি সেটা জানে, হয়ত জনান্তিকে স্বীকারও করে, কিন্তু এখন আবার পুনর্তদন্তের নির্দেশ দিলে ইউজিসি-র কাছে নিজেদের ছড়ানোটা প্রকট হয়, তাই সে পথে হাঁটতে চায় না।
    এই চিঠিটা, আর তার অনুবাদ মেন স্ট্রীম বাংলা ও ইংরিজি কাগজে বের করার চেষ্টা করা উচিত।
  • Subham Rath | 127.194.33.142 (*) | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৫:৪৫75556
  • 10th september er anti-ragging committee er meeting e kno souvik mukhopadhyay r mithun biswas chhara baki keu note of dissent dei ni???

    kono student member e ghatona ta janto na..meeting e gie pratham jante pare tao abar seta authority er toiri enquiry committee er report theke..tao abar report ta kauke dekhte dewa hyni..VC sir paath koren..jai hok..media soho sokoler dabi bodh hoy etai j biased ekta report sudhu kaane shunei sb student member der bujhe jawa uchit chhilo j adou ragging hoyechhe na hoyni..plan kore sb student member der j meeting er age samosto rokom enquiry theke dure rakhlo authority sei nie ki karur'e kichhui bolar nei????kono student k to jananoi hoyni j ragging er ekta complain lodge hoyechhe..jadavpur university ragging free ki sudhumatro authority er shasti er voye???naki student der ekta birat gurutwopurno bhumika achhe ragging curb korar khhetre..amra ki voye juju hoye thaki bole ragging kori na naki satyi'e mane kori j ragging ekti samajik asusthota????
    anti ragging committee te student member rekheo student der puro process ta(hardly any information,process to durer katha) theke planfully sorie rakha ki eta proman kore na j authority amader pratyek k by default ragger vabe???ragging er manosikota bodoler puro lorai ta lorbe student ra r ragging er complain hole seta nie lukie lukie enquiry korbe,report banabe r shasti debe authority!!!!!kno bolun to?????amra ki kholamkuchi????ragging na holeo saeta k ragging bole sundar kore rosie rosie report banabe authority r student ra sei report shunei sob bujhe jabe,tai to????asole oi meeting tate student member der vumikatuku chhilo sudhu shona..bolbe ki kore,take to jor kore andhokare rekhe mukhe kulup ete dewa hoyechhe!!!!nijer thik kora decision student der shunie dite dekechhilo authority..setao parle katie dito erpor theke
    athocho prohosoner oi meeting theke berie ragging nie socheton kono student er jodi puro ghatona ta janar por mane hoy j adou seta ragging noy tahle authority & media take chepe dhorbe j "meeting e bolte hoto re boka!!ekhon fot!!"r jodi keu keu authority er ei voyonkor choritro er sathe samanyo purboporichoy thakar subade note of dissent dieo ase tahle tar naame mithye prochar r kutsa rotie ekakar kore dewa hobe "tenader" torofe
  • Ishan | 202.43.65.245 (*) | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৫:৪৮75557
  • শুভমকে। যদিও লেখা প্রসঙ্গে নয়। একবার গুগল লেআউট টা চেষ্টা করে দেখুন না। আপনি যেভাবে লিখছেন, সেভাবে লিখলেই বাংলা অক্ষরে লেখা হয়ে যাবে। একটু আধটু ভুল হতে পারে, ও বুঝে নেওয়া যাবে।

    অনেকগুলো জায়গায় লিখছেন, এখানেই বললাম। অবশ্যই এটা এই লেখা বিষয়ে বা আপনার বক্তব্য বিষয়ে কিছু বলা নয়।
  • c | 212.142.93.205 (*) | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৫:৫৭75558
  • মিডিয়া কে পাঠানো হচ্ছে । কিন্তু মিডিয়া তা চাপাবে কিনা জানা নেই ।এতে তো র ওদের টি আর পি এর কোনো চেঞ্জ হবে না ।তবে মিডিয়া কে পাঠানো হচ্ছে ইটা।।চাপাবে কিনা সেটা ওদের বিসনেস পলিসি এর উপর নির্ভর করছে।।।।
  • aranya | 154.160.226.53 (*) | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৬:০২75559
  • @c, ভাল। আশা করি ছাপবে।
    মিটিং-এ ভিসি ছাত্রদের রিপোর্ট পড়তেও দিচ্ছে না, শুধু শুনতে দিচ্ছে - এ এক জিনিস বটে
  • s | 182.0.249.87 (*) | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৬:১০75560
  • এরই মধ্যে কেউ বা কারা দ্বিতীয় বর্ষের ছেলেটির ঘরের কাঁচ ভেঙ্গে দিয়ে যায়। কে বা কারা ঘটনাটি কেন ঘটাল নাকি ঘটনাটি নিছকই দুর্ঘটনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    - ন্যাকাচন্ডী
  • s | 182.0.249.87 (*) | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৬:২৬75561
  • 'দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রটি এসেছিল দার্জিলিং থেকে, স্বাভাবিকভাবেই রয়ে গিয়েছিল ভাষা ও সংস্কৃতিগত ভিন্নতা। যদিও দার্জিলিং থেকে আসা বহু ছাত্র-ছাত্রীই ক্রমশ মিশে যায় যাদবপুরের সংস্কৃতির সাথে, এক্ষেত্রে তা হয়নি। প্রথম বর্ষেই যে কারণে ছাত্রটি কথা কাটাকাটির মধ্যে চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রের নাকে ঘুষি চালায়। তবে তখনকার মতো ঝামেলাটি নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নেওয়া হয়। ঘটনাপ্রবাহে ছাত্রটি নিজেকে আরও গুটিয়ে নিতে থাকে।'
    ব্যাস প্রমান হয়ে গেল গন্ডোগোল্টা ছেলেটারই, তাই তো। কেন একটা বাইরের ছেলে মিশতে পারে না আমরা জানি না? নাকি ভাব দেখাব যে এটা তো হয়েই থাকে।
    এটা র‌্যাগিংএর ঘটনা নয়, তার থেকেও বেশী, এটা পাতি রেসিসিমের ঘটনা।
    আমি ভাবছি পুরো ফেটসু এখন ছেলেটার বিরুদ্ধে, তখন ছেলেটা কি চাপে আছে। তা সত্বেও যে সে এগিয়ে এসে ঘটনাটা জানিয়েছে তার জন্য কৃতিত্ব প্রাপ্য।
  • রোবু | 213.147.88.10 (*) | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৬:৩২75562
  • শুভম এর কথা অদ্ভুত লাগলো। পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে যখন বোঝাই যাচ্ছে অথোরিটির ক্রেডিবিলিটির অভাব আছে, তখন শুধু মাত্র কানে শুনে ঐ কজন ছাত্র প্রতিনিধি রাজী হয়ে গেলো কেন? বিশেষতঃ ঘটনাটা যখন কেউ জানেই না?
    আর ইয়ে, আমি তো তেমন ভালো স্টুডেন্ট নই, যাদবপুরে পড়িওনি। সেজন্য যেখানে যেখানে হিংসে, রাগ ইত্যাদি বসাবার, বসিয়ে নেওয়া যাক। তারপরে যে প্রশ্নটার উত্তর বাকী থেকে যায় তা হল, হস্টেলে এত সচেতন ছাত্ররা থাকতে কেউ বা কারা অন্য কারুর ঘরের কাঁচ ভেঙে দিয়ে যাচ্ছে, দরজার সামনে হেগে দিয়ে যাচ্ছে, এটা কেউ লক্ষ্য করলো না, এটা আমাদের মফস্বলের হস্টেলে একেবারেই সম্ভব হত না। কেউ না কেউ জানতই, এবং তার থেকে বাকী সবাই জেনে যেত। কাজেই দুষ্টু লোকেরা জিগ্যেস করতে পারে, এই ঘটনা গুলো লুকিয়ে রাখার পিছনে কোনও স্বার্থ কাজ করছে কিনা।
  • শ্রী সদা | 127.194.205.213 (*) | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৬:৪০75563
  • ^^ ক।
  • ঈগল | 212.142.91.233 (*) | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৬:৫০75565
  • র‍্যাগিং নিয়ে এর আগেও যাদবপুরে হৈ চৈ কম হয়নি। এর আগেও লঘু পাপে গুরুদন্ড অনেকের হয়েছে। এখনও হচ্ছে। তবে আমার মনে হয় হস্টেল টা মিলে মিশে থাকবার জায়গা। একটু আধটু মনোমালিন্য, ভুল বোঝাবুঝি, তর্ক-বিতর্ক হতেই পারে। তবে এক্ষেত্রে যা হয়েছে তা র‍্যাগিং নয়। এটা কয়েকটা ছেলের নিজেদের মধ্যে ঝামেলা। জুনিয়র ছেলেটি তাই র‍্যাগিং এর অভিযোগ করে সফল হয়েছে। কিন্তু এখানে যেসব কাজের কথা বলা হয়েছে তার জন্য জুনিয়র, সিনিয়র বিচার না করে সব অপরাধীদেরই হস্টেলের বাইরে বের করে দেওয়া উচিৎ। কারন এদের কার্যকলাপে এদের সুস্থমস্তিষ্কের ছাত্র বলে মনে হচ্ছে না। জুনিয়র ছাত্রটি যতটা অপরাধী সিনিয়ররাও ততটাই অপরাধী। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরপেক্ষ বিচার করে উভয়পক্ষকেই শাস্তি দেওয়া উচিৎ অথবা কাউকেই শাস্তি দেওয়া উচিৎ নয়। শুধুমাত্র ইউজিসি এর অনুদান বন্ধ হওয়ার ভয়ে এসব অন্ধবিচার করে ছাত্রদের ভবিষ্যত নষ্ট করার কোনো অধিকার নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের।
  • h | 127.194.235.148 (*) | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৬:৫০75564
  • চড় মারা টা অপরাধ নয়, কারণ অপরাধী ধরা পড়েছে, এবং 'মিটিয়ে' নিয়েছে। মলত্যাগ টা অপরাধ ইত্যাদি, কারণ অপরাধী পাওয়া যাচ্ছে না।

    আজব যুক্তি।
  • দেব | 212.54.176.14 (*) | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৭:১০75566
  • "অভিযোগটি র‌্যাগিঙ্গের অভিযোগ হিসেবে দায়ের করেনি" - ঠিক বুঝলাম না। অভিযোগের বয়ানটা জানা আছে?

    অথরিটি যে ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে এটা বোঝাই যাচ্ছে দ্বিতীয় বর্ষের ছেলেটি তার অভিযোগে স্পেসিফিক্যালি মানিক ও অনুপমের নাম উল্লেখ করেছে।

    'প্রকৃত র‌্যাগিং' হয়েছে কিনা আর ঠিক কারা করেছে সেটা খুজে বার করা উচিত। খুব ঠিক। তবে এইটুকুনি বলব। রাস্তায় ভাঙ্গচুর বা দাঙ্গার মত র‌্যাগিং জিনিশটাতেও জড়িত থাকে অনেকে। কিন্তু 'কেসটা খাবে' এক'দু জনই। সিস্টেমের লিমিটেশন বলতে পার।

    বাকি পয়েন্টগুলোতে অনেক অনেক আপত্তির স্কোপ আছে। দু'একটা বলি।

    'মিথ্যে অভিযোগ' শব্দটা বারবার আসছে। যুক্তিটা এই যে চড় মারাটা তো 'মিটিয়েই' নেওয়া হয়েছিল। আর কাচ ভাঙ্গা বা মলত্যাগ এর কাজটা কে করেছে সেটা তো জানা নেই। ব্যাস ইন্জিনিয়ারদের অন্ক মিলে গেল। মানিক আর অনুপম কিছু করেনি প্রমাণিত। অবশ্যই - "কাচ ভাঙ্গা ও মলত্যাগ এর ঘটনা কঠোরভাবে নিন্দনীয়,অভিযুক্তদের অবিলম্বে খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া উচিত।" উইন্ক উইন্ক। হষ্টেলে হষ্টেলে বার্তা রটে গেল 'কেউ মুখ খুলবি না'। এরপর 'আইন নিজের পথে চলবে', যেমন চলে।

    এখন মুশকিল এই যে আইনে সারকামস্ট্যানসিয়াল এভিডেন্স বলে একটা জিনিশ আছে। যা সিচুয়েশন ডেস্ক্রাইব করেছ, (বিশেষ করে গায়ে হাত তোলাটা) দেখ জল কোথায় গিয়ে দাড়ায়।
  • c | 212.142.93.205 (*) | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৭:১১75567
  • @h কোথাও কি বলা হলো যে চড় মারা টা অপরাধ নই ?? একটু কষ্ট করে পুরো লেখাটা পড়ে কমেন্ট করুন ।। তাহলে ভালো হয়।।।
  • subham rath | 127.194.33.61 (*) | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৭:১৭75568
  • A good news:
    A signed Deputation has been sent to VC by ex-students at Virginia Tech. Deputation clearly appeals for re investigation and not acquittal.

    A significant addition to the movement.
  • ঈগল | 212.142.91.233 (*) | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৭:৩৪75569
  • একজন শিক্ষক যদি ছাত্রকে চড় মারেন তাহলে কি সেটা র‍্যাগিং? এখানে সিনিয়র ছেলেটি রাগ সামলাতে না পেরে মিটিং এর মধ্যেই জুনিয়রটিকে চড় মেরেছে। যদি ধরে নেই চড় মারাটা অপরাধ তাহলে অপরাধী সিনিয়র আর অপরাধের শিকার জুনিয়র। এটাই কি ঘটনাটিকে র‍্যাগিং বলার কারন? জানিনা। কারন ওই পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেই বোঝা যেত প্রকৃত ঘটনা কি। র‍্যাগিং হঠাৎ করে শুরু হয়না। সেটা শুরু হলে হস্টেলে ঢোকার পর থেকেই শুরু হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে সেটা হয়নি। একটা অন্যায়ের বিরূদ্ধে(বেআইনি ভাবে হস্টেলে প্রথমবর্ষের ছাত্রদের জায়গা দেওয়া) প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে অন্য অপরাধের সৃষ্টি হয়েছে। এটাকে র‍্যাগিং এর মিথ্যে আখ্যা দিয়ে ইউজিসি এর কাছে অভিযোগ করে জুনিয়র ছেলেটি অন্যায় করেছে।
    জানিনা কবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিরপেক্ষ চোখে দেখতে শিখবে এবং পক্ষপাতহীন মতামত দেবে!
  • দেব | 212.54.176.14 (*) | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৭:৫১75570
  • ঈগল কি এই মুহূর্তে যাদবপুরে পড়ছ নাকি?

    আইন চড় মারার দার্শনিক বিশ্লেষণে আগ্রহী নয় ভাই/বনি। একটু কাটখোট্টা।

    র‌্যাগিং এর ডেফিনিশন সরকার যা ঠিক করে দিয়েছে তাতে এটা র‌্যাগিংএর মধ্যে পড়বে বলেই মনে হয়। অবশ্য কোর্ট তো আছেই লাস্ট রিসর্ট।
  • Sourav | 24.99.135.76 (*) | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৮:০৩75571
  • যারা বলছেন অপরাধ গুলো কে আড়াল করা হচ্ছে , তাদের বলি ; হয়ত কাচ ভাঙ্গা মল ত্যাগ করা ইত্যাদি কাজ গুলো ওই দুটি ছেলেই করেছে, তর্কের খাতিরে মেনে নিলাম। আপনারা তো অনেক বুদ্ধিমান, আপনারা বলুন এই 'হয়ত' এর ওপর ভরসা করে দুটি ছেলের জীবন নষ্ট করা টা নিশ্চই আপনারা তার মানে মেনে নিচ্ছেন। বরং এই চিন্তা ভাবনা নিয়ে আপনারা তবে Dictatorship ও মেনে নিতে থাকবেন । একবার নিজের কথা ভেবে দেখুন, কোনো অপরাধ এ আপনার ভাই-বোন-দাদা এদের নাম জড়িয়ে গেলে ও কি এভাবেই বলবেন? কোনো সঠিক অনুসন্ধান ছাড়া শাস্তি দিতে ?? নিজেদের মনুষ্যত্ব টা একবার ঝালিয়ে নিন বরং।
    কোনো তদন্ত হলো না কিছু না, শুধু অভিযোগ এর ভিত্তিতে শাস্তিপ্রদান কোন সুস্থ গণতান্ত্রিক কাঠামো তে হতে শুনেছেন আপনারা ?
    যারা racism এর গন্ধ পাচ্ছেন তাদের বলি, একবার দয়া করে যাদবপুর থেকে ঘুরে যাবেন (ও, হ্যা আমাদের ক্যাম্পাস এ বহিরাগত দের ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা নেই)।
    দেখে যেতে পারেন সুস্থ স্বাভাবিক সংহতি র অর্থ টা কি। দেখুন রাজনীতি জীবন এর অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তাই বলে জাত নিয়ে নোংরামো কোনদিন হয় ও নি এখানে এবং হবেও না । সুতরাং আপনাদের এই ধরনের চিন্তা ভাবনা এখানে দয়া করে প্রয়োগ করবেন না।
    যাদবপুর এর বর্তমান ছাত্র দের জন্য রইলো শুভেচ্ছা।।
    স্বাধীনতা এবং সংগ্রামী চেতনা চিরজীবী হোক।। পাস আউট হবার পরেও আশা করি তোমরা এক ই ভাবে নিজেদের অধিকার বোঝার লড়াই তে মাথা নত করে চলবে না ।।
  • Sourav | 24.99.135.76 (*) | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৮:১৬75572
  • দেব ভাই। বুঝছি আপনি গান্ধী জি র মার্গে চলেন। তথাস্তু।
    কিন্তু কি করবেন বলুন সবাই তো সেটা পাথেও করতে পারেন নি ।। তাদের দুর্বলতা ।।
    তাই যে ছেলেটি (তাকে দোষ দিচ্ছিনা) 1st year এ পড়তে কথা কাটা কাটি র সময় এক 4th year এর ছাত্র কে মেরে মুখ ফাটিয়ে দিতে পারে সে নিশ্চই গান্ধী জি র পথে চলছে না।।
    তো আপনার অহিংসা য় বিশ্বাস সর্ব ক্ষেত্রে তো কাজ করে না ।। এবং সবাই যখন মেনে চলছে না , তো সেই অনুযায়ী আইন তৈরী হয়েছে।
    আইনের ফাঁক ফোকর সবার এ জানা।। আশা করি আপনার মা বোন তুলে আপনার প্রতি কটুক্তি প্রয়োগ এর জন্য যখন একটি বাচ্চা কে আপনি চড় মারবেন (অহিংস তত্ত্ব ভুলে) সে যেন আপনার বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতন এর অভিযোগ আনে।। তখন আপনার মামলা তে জয়ী হবার অগ্রিম শুভেচ্ছা রইলো ।।
  • T | 24.139.128.15 (*) | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৮:৩৩75573
  • এই ঈগল চিল বাজপাখীরা আগে ঘটনাটা কি আদপে ঘটেছে সেই নিয়ে একমত হোক। একজন লিখছে ছেলেটি র‍্যাগিং এর অভিযোগ হিসেবে অভিযোগটি দায়ের করেনি, আরেকজন বলে যাচ্ছে "এটাকে র‍্যাগিং এর মিথ্যে আখ্যা দিয়ে ইউজিসি এর কাছে অভিযোগ করে জুনিয়র ছেলেটি অন্যায় করেছে"। দরজার সামনে হেগে রেখে যাচ্ছে, এই ধরণের ছ্যাঁচড়ামোর শাস্তি হওয়া উচিত। সে কেউ এটাকে র‍্যাগিং বলুক আর নাই বলুক। আর এতবার করে ঘটনার ফের তদন্তের দাবী উঠছে, অথচ এখনকার তদন্তের খামতিটা কি? মিটিং এর অ্যাজেন্ডায় ছিল না? সব্বার সাথে কথা বলা হয়নি! তদন্ত কিভাবে হবে সেটাকি জনতা ঠিক করে দেবে? আর ফোর্থ ইয়ারের ছেলে পুলে নাকি এতই সহজ সরল যে তাদেরকে ছলা কৌশল করে স্বীকারোক্তি লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে! লাভলি।
    আর এই সব কিছুর মধ্যে প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে সওয়ালের কি প্রয়োজন আছে বুঝছি না।
    কাঁচ কে ভেঙেছে আর ঘরের সামনে কে হেগেছে এসব হোস্টেলের জনতাকে ফেটসুর লোকজন নিজেরাই জিজ্ঞেস করে দেখুক না। খুঁজে বার করুক না।
  • cb | 127.194.73.208 (*) | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৮:৩৬75574
  • আমার মনে হয় ন, এখানে কেউ ই ম্যানেজমেন্টের ধুমধাড়াক্কা ডিসিশন নেওয়াকে দু হাত তুলে সমর্থন করছে । সবাই জানে ওগুলি বাল।

    কাঁচ ভাঙ্গা ইত্যাদি ইত্যাদি ওপেন সিক্রেট বলে সেখানে নাম টাম পাওয়া যাচ্ছে না :) সেইটা নিয়ে আলুচানা চলছে
  • ঈগল | 212.142.91.233 (*) | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৮:৪২75575
  • দেববাবু আমার পড়াশোনার জীবন সম্পর্কে আপনার অনুসন্ধিৎসা ব্যাপারটা খুব হাস্যকর। যাই হোক আমি চড় মারা প্রসঙ্গে কোনো দার্শনিক যুক্তি দিইনি আমার সজ্ঞানে বা অজ্ঞানে। যদিও বা সেটা হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে সেটা একান্তই কাকতালীয় ভাবে হয়ে গেছে। যে ছেলেটি অপরাধের শিকার তার স্বীকারোক্তি পড়ে এবং উপরের পোস্টটি পড়েই আমি আমার মত প্রকাশ করেছি মাত্র। এছাড়া আর কিছু নয়। র‍্যাগিং একটি সামাজিক অপরাধ ও ব্যাধি। এই ব্যাধি নির্মূল হোক তা সমস্ত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের একান্ত কাম্য। এক্ষেত্রে ঘটনাটিকে আমার র‍্যাগিং বলে মনে হয়নি বলেই আমি পূর্বের উক্তিটি করেছি। আশা করি বুঝবেন এবং নিরপেক্ষ চোখে ঘটনাটিকে বিশ্লেষণ করে মতামত দেবেন।
  • দেব | 212.54.176.14 (*) | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৮:৪৫75576
  • আমি/আপনি কি ভাবি সেটা বিচার্য নয়, আইন বড় কঠিন জিনিস। কোন বাচ্চাকে আমার মা বোনের নামে খিস্তি দিলেও আমি যদি ধরে পেটাই, কেস খেতে হবে আমায়। এটা অবশ্য সকলের না জানাও থাকতে পারে। কিন্তু র‌্যাগিং এর মত রেলেভ্যান্ট একটা ইস্যুর সম্বন্ধে ফোর্থ ইয়ারের স্টুডেন্টদের কোন ধারণা থাকবে না কেন?

    চতুর্থ বছরের এর সেই ছাত্রটি অভিযোগ জানালে এই ছেলেটির কপালেও দুঃখ ছিল। জানায় নি কেন কে জানে।

    যদ্দুর বুঝলাম দাবী এই, যে এটা র‌্যাগিং ছিল না, ছাত্রদের মধ্যে 'ঝামেলা' হয়েছিল। এখন এই দুটোর মধ্যে ডিস্টিঙ্গুইশ করাটা বেশ কঠিন, পার্টিকুলারলি ইন কনটেক্স্ট অব ল। আমি উকিল নই কিন্তু যা যা পড়লাম, আমার মতে কেস চাপের। এইটুকুই।
  • কল্লোল | 125.241.39.148 (*) | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০১:০৮75577
  • "দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রটি এসেছিল দার্জিলিং থেকে, স্বাভাবিকভাবেই রয়ে গিয়েছিল ভাষা ও সংস্কৃতিগত ভিন্নতা। যদিও দার্জিলিং থেকে আসা বহু ছাত্র-ছাত্রীই ক্রমশ মিশে যায় যাদবপুরের সংস্কৃতির সাথে, এক্ষেত্রে তা হয়নি।"
    একটা চূড়ান্ত হেজিমনিক স্টেটমেন্ট। ঠিক এভাবেই কথা বলে শাসকেরা, কাশ্মীর আর উত্তরপূর্ব ভারত নিয়ে।
    কে বা কারা কাঁচ ভেঙ্গেছে, কে বা কারা দরজার সামনে হেগেছে - এগুলো নিয়ে এতো দায়্সারা মনোভাব কেন?

    অন্য তরফের কথা কিছু জানা যায় কি? আমি কতৃপক্ষের কথা বলছি না। সেই "দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রটি", যে "এসেছিল দার্জিলিং থেকে" - তার কথা।
  • aka | 78.190.42.63 (*) | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০২:০৫75578
  • মূল ব্যপারটি হল যে 'ছলা কৌশলে' কাগজে লিখে লোকজন এখন ভুল বুঝতে পেরেছে। এখন সেই ভুল নালিফাই করার জন্য নতুন তদন্ত চাই। ধুস।
  • a x | 86.31.217.192 (*) | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০২:২৩75579
  • না, এটাও ঠিক না। শো'কজ করার কথা। শো'কজ হলনা, শাস্তি ডিক্লেয়ার হয়ে গেল কেন?
  • aka | 34.214.145.19 (*) | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০২:৩২75580
  • শো কজ আবার কি? তিন সদস্যের টিমের সামনেই তো চান্স ছিল। সেখানে কজ না দেখিয়ে কাগজে লিখে দিল কেন? কারণ সেখানে নিজেদের ডিফেণ্ড করার কিস্যু ছিল না। এখন কিছু সাপোর্ট পেয়ে ভুল বুঝেছে।

    কাঁচ ভাঙা হ্স্যেছে ঠিকই কিন্তু কে ভেঙেছে জানা নেই। হাগা হয়েছে ঠিকই কিন্তু কে হেগেছে জানা নেই। চড় কে মেরেছে জানা আছে কিন্তু চড় মারাটা আসলে অপরধ নয়।

    বুলি করেছে কিন্তু শাস্তি দিলে চলবে না।
  • a x | 86.31.217.192 (*) | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০২:৪৮75581
  • একটা প্রসেডিউর ইন প্লেস আছে। শো'কজ কল করাও হয়েছিল।
  • a x | 138.249.1.206 (*) | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০২:৫০75650
  • এই জিনিসটা কী ইচ্ছে করেই হচ্ছে? বারবার চড় মারা, হাতাহাতির ভিত্তিতে র‌্যাগিং এর অভিযোগ - এইটা বারবার বলে যাওয়া? কিন্তু এটা তো একেবারেই ঠিক না। ছেলেটিও ঐ মারামারির পরে ফেটসুর বয়ান অনুযায়ীই মানিয়ে নিয়েছিল। তখনও অবধি কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি। পরের দিন সকালে ঐ হাগা রেখে দেওয়ার পরেই সে র‌্যাগিংএর অভিযোগ করে। এটা ভুলে যাওয়া হচ্ছে কেন বারবার?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন