এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • লোকগুলো কোথায়?

    চার্বাক লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ | ৫৩০ বার পঠিত
  • 'যে ব্যক্তি প্রত্যাদেশের জায়গা করে দেওয়ার জন্য যুক্তিকে সরিয়ে নেয়, সে ঐ দুই বস্তু থেকেই আলো নিবিয়ে ফেলে; এবং এক অদৃশ্য তারকার দূরাগত আলো টেলিস্কোপে গ্রহণ করা নিমিত্ত কোনো মানুষকে তার নিজের চোখ তুলে ফেলতে রাজী করানোর মতো প্রায় একই ধরনের কাজ সে করে।' (জন লক, এসে অন দ্য হিউম্যান আন্ডারস্ট্যান্ডিং, ১৬৯০)

    ফাল্গুনের পাগল করা বাতাস। নতুন বইয়ের তীব্র সুবাস। আর মানুষ, বইয়ের খোঁজে আসা মানুষ, বইকে ভালবেসে বইয়ের গন্ধ শুঁকে বেড়ায় স্টলে স্টলে, সেইসব মানুষ, যাদের থেকে ঠিকরে ঠিকরে বেরোয় জোনাকির আলো! এমন অসাধারণ একটি সন্ধ্যা, আমি তবু অধৈর্য হচ্ছিলাম, তিনি কোথায়? কতদিন থেকে অপেক্ষা করে আছি বাংলার ডকিন্সকে কাছে থেকে দেখব বলে!

    সময়টা ২০১২ সালের। একুশের বইমেলায় ঢোকার আগে ভেবে ভেবে আকুল হচ্ছিলাম কি দিয়ে বরণ করি আমার প্রিয় লেখককে? ফুল, ঠিক আছে তো? বা, ছোট্র কোন শোপিস, বিশ্বখ্যাত কোন চিত্রকর্মের আদলে বানানো?

    সেই সময়টা সত্যি সত্যি তীব্র প্রেমে পড়েছিলাম তার! প্রথম পড়েছিলাম 'আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী'। এত সুন্দর লিখেন, কে তিনি? তিনি কি বাংলাদেশী? নাকি ওপার বাংলার? এত সহজ করে বিজ্ঞান তো জাফর ইকবাল স্যারও লেখেননি! জাফর স্যার যে আইনস্টাইনের রিলেটিভিটি থিয়োরি বা কোয়ান্টাম নিয়ে লিখলেন, অনেক শখ করে কিনে এবং ধৈর্যের চূড়ান্ত পরীক্ষা দিয়েও তো খুব বেশী বুঝিনি! অথচ গল্পের মত করে বিজ্ঞান লেখেন অভিজিৎ রায় নামক একজন বাঙালি, যিনি বাংলাদেশের জানতে পেরে গর্বে বুকটা ভীষণ ফুলে উঠেছিল! তাহলে অভিজিৎদা আমাদের ঢাকার ছেলে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বজন-শ্রদ্ধেয় শিক্ষক অজয় রায় স্যারের ছেলে?

    এরপর বছর খানেক ধরে মুক্তমনা থেকে পড়ে নিয়েছিলাম তার সব লেখা! বিবর্তনের জীব-বৈজ্ঞানিক উপাখ্যানগুলি পড়ে শিহরিত হই, সমকামিতার উপর লেখা পড়ে চিরাচরিত ধ্যানধারণা পালটে যায়, ধর্মের অধর্মগুলি জানতে পেরে নতুন করে জন্ম নেই। শুধু আমি না, আরও অনেকেই নতুন করে জন্ম নিতে থাকে, অনেকেই তারও আগে নিয়েছে। সেই জন্মের একটি দর্শন আছে, তার নাম, যুক্তিবাদী দর্শন। মাদার তেরেসা, রবীন্দ্রনাথ, মুজিব, বিবেকানন্দ, চৈতন্যদেব, বুদ্ধ, আব্রাহামিক প্রফেট - কেউই পূজিত হবে না যেখানে। যুক্তি এবং যুক্তিই হবে যেখানে শেষ কথা। আর যুক্তি ছাড়া বিজ্ঞানমনস্ক সমাজের জন্ম হবে কেন? আর অভিজিৎদা তো তেমন সমাজই গড়তে চেয়েছেন!

    অভিজিৎদার ব্লগ তাই শুধু নাস্তিকদের ছিল না, কোন একটি বিশেষ আদর্শবাদীদের ছিল না, এখানে ছিল সব পক্ষের, সব মতের উন্মুক্ত চলাচল। তাই জাফর স্যারের সমালোচনা করে লেখা যেত, রবীন্দ্রনাথের চুরি বা গান্ধির সমালোচনা, বা আধুনিক ধ্যান-ধারণা বলে যা ব্যাপক নন্দিত ও পূজিত হয়, তাকেও চ্যালেঞ্জ করে লেখা সম্ভব ছিল মুক্তমনায়। যেকোনো নতুন লেখকের চিন্তা-ভাবনাগুলি থাকে কাদামাটির মত, একান্তই নিজস্ব চিন্তার সেই স্রোতকে প্রথমেই টার্গেট করা হলে ভেতরের লেখকটিকে অঙ্কুরেই মেরে ফেলা হয়! কিন্তু অভিজিৎদা বাংলা ব্লগের জগতে সেই অগ্রগণ্যদের একজন ছিলেন, যারা নতুন লেখকের অপরিপক্ক লেখাকেও সীমাহীন উৎসাহ দিতেন! ধরা যাক, আপনি ভি এস নাইপলের গুণমুগ্ধ পাঠক, কোনমতে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে তার সাথে একদিন আলাপের সুযোগ পেলেন, আর নাইপল আপনাকে লেখার প্রস্তাব দিয়ে বসলেন!!

    সেই অভিজিৎদার সামনে গিয়ে যখন দাঁড়ালাম, সেই ফাগুন সন্ধ্যায়, আমাকে জড়িয়ে ধরলেন! আমি তার আগে ঠিকমত দাঁড়াতেও পারছিলাম না, এতটাই কুঁকড়ে গিয়েছিলাম! সেই ফাগুন সন্ধ্যায় অনেক কথা হয়েছিল অভিজিৎদার সাথে, এত আপন করে নিলেন এত অল্প সময়ের মধ্যে, নায়ক থেকে বড়দায় রূপান্তর ঘটল যেন! যেকোনো সমস্যা, যেকোনো প্রশ্ন বা যেকোনো দুঃখ তাকে ইনবক্স করতাম, অভিজিৎদা এত বড় লেখক হয়েও সেগুলির জবাব দিতেন!

    অভিজিৎদা, আগেই বলেছি, কখনো ধর্মকে নিয়ে বিদ্বেষমূলক লেখা লিখতেন না, কিন্তু ধর্মকে নিয়ে লেখার কারণে যখন কোন ব্লগার বা লেখকের উপর নেমে আসত আক্রমণ, তা নিয়ে বিরতিহীন লিখে যেতেন! অন্য সব প্রগতিশীল ব্লগার/লেখক/চিন্তাবিদ যখন ইস্তফা দিয়ে দিতেন, তখনো চলত তার কলম; অফিস, পরিবার, নিজের লেখালেখি- সব বাদ দিয়ে চলত তার এই যুদ্ধ!!! সবাই থেমে গেলেও তিনি থামতেন না! কারণ তিনি তো ভয় পাওয়ার মানুষ ছিলেন না, না হলে মৌলবাদীদের মুহুর্মুহু থ্রেট পাওয়ার পরও কি আসতে পারতেন দেশে???

    অভিজিৎদা পিএইচডির বিষয়বস্তু হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন মানুষের মস্তিষ্ক-কে। মানুষের মস্তিষ্কের কি সীমাহীন ক্ষমতা রয়েছে, তা গবেষণা করে জেনেছিলেন তিনি। সেই ক্ষমতার প্রয়োগ তিনি নিজের লেখা দিয়েই শুরু করেছিলেন, কিন্তু চেয়েছিলেন তার দেশের মানুষও সেই ক্ষমতার প্রয়োগ করুক, সব সংস্কার, মোহ ও গোঁড়ামির ঊর্ধ্বে উঠে যুক্তির আলোয় দেখুক পৃথিবীকে! তার সেই চাওয়া পূরণও হচ্ছিল, অসংখ্য তরুণ যুক্তিবাদকে আত্মস্থ ও ধারণ করতে শুরু করেছিল, মস্তিষ্কের মরচে পড়া অংশগুলোকে নতুন করে জাগিয়েই! কিন্তু মস্তিষ্কের এই ব্যাপক ব্যবহার অস্তিত্ব সংকটে ফেলতে শুরু করল মৌলবাদী আবাদিদের!

    তাই আরও এক ফাগুন সন্ধ্যায় চাপাতির আঘাতে বাংলাদেশের জ্ঞান-বিজ্ঞানের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়র খুব কাছেই ছিন্ন পড়ে থাকল অভিজিৎদার মস্তিষ্ক, যে আঙ্গুল দিয়ে লিখতেন, তার খণ্ডিত অংশ, আর জ্ঞানের রাজ্যে ডুব দিতেন যেই চশমাটি দিয়ে, সেটিও। পাশে বন্যা আপা রক্তাক্ত দেহ নিয়েই ডাকছিলেন সামনে গোল হয়ে নির্বাক দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলিকে, কিন্তু সেই মানুষগুলি মস্তিষ্কের খুব ব্যবহারই করে, আর এমন মানুষদের চারণভূমি করাই তো লক্ষ্য ছিল হামলাকারীদের!

    তাই অভিজিৎদার খন্ডিত মস্তক বাংলাদেশের খন্ডিত মস্তকেরই সার্থক রূপায়ন যেন! গোল হয়ে নির্বাক দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলিও বাংলাদেশের মানুষের প্রতিচ্ছবি বটে! আর বন্যা আপার চিৎকার সেইসব সংখ্যালঘিষ্ঠ মানুষের চিৎকার যারা প্রাণের মায়া ভুলে যেন বলছে, 'এখনো সময় আছে, হার মেনো না আদিম মানুষদের কাছে, যুক্তিবাদী হও, না হলে তোমরা কেউ বাঁচবে না, বাঁচবে না বাংলাদেশও।'

    ''সকালে অফিস ডাকছে-সব লোক, সমস্ত লোক
    চান করছে খেতে বসে ন'টায় দশটায়
    নিশ্চিন্ত প্রথায়/নিশ্চিন্ত প্রথায়/
    রাতে বাড়ি ফিরে এসে কেউ দেখবে না
    পর্বতপ্রমাণ মাটি, বিষমাটি, উঠে গেছে তাদের থাকার জায়গায়/
    লোকগুলো কোথায়?/ লোকগুলো কোথায়?/ লোকগুলো কোথায়?'' (জয় গোস্বামী, মহানগর, ২০০৩)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ | ৫৩০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ফরিদা | 192.68.146.111 (*) | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৫:৫৪69006
  • জানলা খুললে আলো আসছে হাওয়া আসছে কত
    মুক্তমনা ভাবনা চিন্তা আসছে ইচ্ছেমতো
    বিপদ খুবই - ভয় পাচ্ছিল ধর্মের তরবারি
    বাংলাদেশে বলির বাজনা আবার ফেব্রুয়ারি

    কোন ধর্ম ঘেন্না শেখায় – কোন ধর্ম খুন
    কোন ধর্ম লিখে দিয়েছে – ওই সে মানুষ, মারুন ?
    আমার দেশেও রক্ত ঝরায় ধর্মের তরবারি
    এই ফাগুনেও রক্ত পলাশ আরেক ফেব্রুয়ারি।

    ও ধর্মান্ধ, চোখ খুলে দেখ জানলা থাকছে খোলা
    মানুষ হলে এই জন্মেই জন্নত একথালা
    নয়ত বড়ই বিপদ তোদের – ধর্মের তরবারি
    আরো একবার ফেরত আনব একুশে ফেব্রুয়ারি।
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৭:০৮69007
  • চার্বাক লিখেছেন , 'পাশে বন্যা আপা রক্তাক্ত দেহ নিয়েই ডাকছিলেন সামনে গোল হয়ে নির্বাক দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলিকে, কিন্তু সেই মানুষগুলি মস্তিষ্কের খুব ব্যবহারই করে, আর এমন মানুষদের চারণভূমি করাই তো লক্ষ্য ছিল হামলাকারীদের!'

    আরিফ জেবতিকের লেখাতেও এই জায়গাটায় এসে থমকে গেলাম।
    'অভিজিৎকে ধরাধরি করে তুলে দিয়ে আসা গুটিকয় লোকের একজন। আমি তখন কাকে যেন রক্তের জন্য ফোন করছি। একপাশে টেনে নেয় আমাকে। তারপর ফিসফিস করে বলে, "এত রক্ত লাগবে না ভাই। মাথায় কোপ মেরেছে, মগজ বেরিয়ে গেছে।' আমি তার দিকে অবিশ্বাসের চোখে তাকিয়ে থাকি। সে ক্লান্ত গলায় বলে, "জানেন আরিফ ভাই। একটা লোকও এগিয়ে আসেনি। সবাই গোল হয়ে দাঁড়িয়ে মোবাইলে ছবি তুলছিল।"

    আমি ধপ করে ফুটপাতে বসে পড়ি। ল্যাম্পপোস্টে গা এলিয়ে দেই। আমার সামনে সব ঝাপসা হয়ে আসে। ঐ দূরে তখনও মাসুম ভাই, জয়ন্ত দা, আকরাম ভাই মিছিলের জন্য লোক জড় করছে।
    আমরা কাছে এর সবকিছুই অকারন মনে হয়।

    আমরা এমন এক জনপদে বাস করছি যেখানে দুয়েকজন ঘাতক নয়, সবাই ঘাতক হয়ে উঠেছি।
    এখানে প্রতিবাদ প্রতিরোধের কোনো মূল্য নেই। ঘাতকের কথা ভাবি না, তারা আর কয়জন?
    কিন্তু আমার জনপদে ঘিরে ধরা একদঙ্গল পশু। মোবাইলে খিচখিচ করে ছবি তুলছে।
    এই জঙ্গলে আমি তাদের ভাষা আর তারা আমার ভাষা বুঝবে না কোনোদিন।

    আমার বসে থাকা আর অভিজিৎ এর আহত হওয়ার মাঝখানে কয়েক গজ দূরত্ব মাত্র। সেই দূরত্বটুকুতেও গিজগিজ করছে বোধহীন, চিন্তাশক্তিহীন স্থবির পশুর পাল। এই গহন গহীন আঁধারে এসব ঝাঁকঝাঁক মোবাইল ফোনের আলো এড়িয়ে অন্য কোনো আলো জ্বেলে আমি কোনদিনই কোনো গন্তব্যে পৌঁছাব না।
    এই চিন্তাশক্তিহীন পশুদের জঙ্গলে এই অন্ধকারে আমাকে এভাবেই বসে থাকতে হবে.
    --

    থমকে তো কালই গেছিলাম, খবরটা পেয়ে।কিন্তু এই থমকানোটা একটু অন্য। এগুলো কিছু ধর্মান্ধ, মৌলবাদীর কাজ , যারা কিনা রাজনৈতিক, আর্থিকভাবেও প্রচণ্ড মদতপুষ্ট , এরকম ভেবে নিয়ে সেই লোকজগুলোর উপর অসম্ভব এক রাগ, নিষ্ফল আক্রোশ ফলিয়ে চলছিলাম, এই লোকগুলোকে শাস্তি পেলে একটু জ্বালা জুড়োয় , এরকমই কিছু মনে হচ্ছিল।
    এই লোকগুলো, এই ভিলেনগুলো। যারা কোনোমতেই আমরা নই।

    কিন্তু এরা কারা ? এই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কোন প্রতিবাদ না করে দেখে যাওয়া লোকজন ? এই ঘটনার পরেও কোন হেলদোল না ওঠা লোকজন ? এই ঘটনার পরে যারা প্রকাশ্যে সমর্থন করছে, তাদের নাহয় সহজেই ভিলেনের দলে পুরে দেব, কিন্তু এই বাকি এরা ? এদেরকেও যদি ওরা বানিয়ে দিতে হয় তাহলে তো আমরা বলে আর কিছু অবশিষ্টই থাকেনা !
    আর এরা কেনই বা এরকম করল ?ঐ আরিফ যা লিখেছেন, 'চিন্তাশক্তি'হীনতা, নাকি, মনে মনে কোথাও ধর্মবিশ্বাস বা ধর্মভীরুতার জায়গা থেকে নাস্তিকদের উপর জন্মানো ক্রোধ আর সেখান থেকে নীরব সমর্থন নয় তো সেটা ? সেটা হলে কোথাও বোধহয় ধর্মভীরুদেরও ভয় করতেই শুরু করতে হয় !
  • a x | 138.249.1.202 (*) | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৭:১৮69008
  • দাঁড়িয়ে যারা ছিলেন, তারা সবাই অভিজিৎ আর বন্যাকে আগে থেকেই চিনত? তারা নাস্তিক যে জানত?
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৭:২৭69009
  • নাঃ, কোথাও কোথাও এরকমই পড়লাম। সবাই জানতো এমন নয়, কিন্তু সবাই জানতো না এমনও না। এও পড়লাম, সরকার প্রশাসন থেকে এখন সেরকম আততায়ী ধরার তোড়জোড় বা আগেও সেরকম প্রোটেকশনের না নেওয়ার উদ্যোগের পিছনে কারণ হল নাস্তিকদের হত্যাকারী বা নাস্তিকদের থ্রেট দানকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে দেশের বড় অংশের ভাবাবেগে নাকি আঘাত হবে ! এই নাস্তিকদের নাকি কোনোই 'জন'সমর্থন' নেই, এঁরা মানুষকে আরো বেশি এলিয়েনেট করেছেন ইত্যাদি ইত্যাদি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন