এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • যদুনাথ বসু

    ন্যাড়া লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ০৯ জানুয়ারি ২০২০ | ৪২৯২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ন্যাড়া | ০৯ জানুয়ারি ২০২০ ১১:২১728989
  • রাধারমণ মিত্র-মশাই তাঁর কলিকাতা-দর্পণ বইয়ের প্রথম খন্ডে "পথ-পরিক্রমা : একটি অঞ্চল" শিরোনামের লেখায় কর্নওয়ালিস স্ট্রিট (মানে এখনকার বিধান সরণী) আর তার আশে-পাশের রাস্তা নিয়ে এবং সেই রাস্তার ওপরকার বাড়িগুলো নিয়ে লিখেছেন। এর মধ্যে গুরুপ্রসাদ চৌধুরী লেনও আছে। সেখানে ১১৩ পাতায় ২৩।১।১ গুরুপ্রসাদ চৌধুরী লেনের বাড়ি সম্পর্কে লিখছেন -

    "২৩।১।১নং বাড়ি : যদুনাথ বসুর বাড়ি। যদুনাথ ছিলেন রাজনারায়ণ বসুর জ্ঞাতিভাই। এঁরা দু'জন একই বংশের সন্তান। পৈতৃক নিবাস বৈরাগীপুকুর, ২৪-পরগনা। কলকাতায় এসে ১৮৪৯ সালে হিন্দু স্কুলে ভর্তি হন। ১৮৫৪ সনে ৮ টাকার একটি বৃত্তি পান। পরের বছরও ঐ বৃত্তি পান। প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৮৫৬ সনে সিনিয়র স্কলারশিপ পরীক্ষা পাশ করেন ও দু'বছরের জন্য ২৫ টাকার একটি বৃত্তি পান।

    কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম এনট্রান্স পরীক্ষা ১৮৫৭ সনে নেওয়া হয়। তিরিশটি স্কুল থেকে মোট ২৪৪ জন ছাত্র এই পরীক্ষা দেয়। ১১৫ জন প্রথম বিভাগে ও ৪৭ জন দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করেন। কেউ তৃতীয় বিভাগে পাশ করেন নি। মোত ১৬২ জন পাশ করেন। যদুনাথ পাশ করেন প্রথম বিভাগে। পরের বছর ১৮৫৮ সনের এপ্রিলের গোড়ায় প্রথম বি. এ. পরীক্ষা নেওয়া হয়। ১৩ জন পরীক্ষায় বসতে অনুমতি পান। মাত্র ১০ জন পরীক্ষা দেন। তাঁদের মধ্যে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও যদুনাথ বসুও ছিলেন। ১০ জনই ফেল করেন। ছ'টা বিষয়ের মধ্যে শেষ দু'জন পাঁচটা বিষয়ে খুব বেশি নম্বর পান, কিন্তু একটা বিষয় পাশ নম্বরের চেয়ে কিছু কম নম্বর পান। সিণ্ডিকেট তাঁদের অন্যান্য বিষয় থেকে নম্বর কেটে নিয়ে ঐ একটা বিষয়ে ৭ নম্বর বাড়িয়ে দিয়ে পাশ করিয়ে দেন। বঙ্কিমচন্দ্র হন দ্বিতীয় বিভাগে প্রথম ও যদুনাথ ঐ বিভাগে দ্বিতীয়। সুতরাং বঙ্কিমচন্দ্র ও যদুনাথ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দুই গ্রাজুয়েট।

    পরীক্ষার ফল প্রকাশ হওয়া মাত্র ছোটলাট স্যার ফ্রেডারিক হ্যালিডে দু'জনকে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদে নিয়োগ করেন। বঙ্কিমচন্দ্রের কথা তো সকলেই জানেন, এখানে বলা নিষ্প্রয়োজন। যদুনাথের কথা বিশেষ কেউ জানেন না। তাই সংক্ষেপে তাঁর সম্পর্কে বলছি। যদুনাথ ২৩-৯-১৮৫৮ তারিখে ফরিদপুরে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের কাজে যোগ দেন। ৩৩ বছর চাকুরির পর ১৮৯১ সনে নদীয়ার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টার হয়ে অবসর নেন। তারপর নিজের গ্রামে গিয়ে কয়েক বছর চাষবাস করেন। ২-৫-১৯০২ তারিখে গুরুপ্রসাদ চৌধুরী লেনের এই বাড়িতে মারা যান।"

    যদুনাথ বসু সম্বন্ধে কলিকাতা-দর্পণে রাধারমণ মিত্র যা লিখেছেন তা যাকে বলে মোটামুটি গোল্ডেন। যোগ করার ব্যাপার এই যে রাধারমণ মিত্র লিখেছেন যদুনাথদের আদিবাড়ি চব্বিশ পরগণার বৈরাগীপুকুর। সে জায়গাটাকে বলা হয় বোড়াল-মাহিনগর। কলকাতার প্রায় সব কায়েত বসু পরিবারই আদতে হয় মাহিনগরের বসু আর নয় মাজুর বসু। রাজনারায়াণ বসু, সুভাষচন্দ্র বসু - এনারা সকলেই মাহিনগরের বসু। রাধারমণ মিত্রও লিখেছেন যদুনাথ আর রাজনারায়ণ বসু জ্ঞাতি ছিলেন। আমার মা-র পিসিরা, যাঁরা পরে পন্ডিতিয়ায় বাড়ি করেন, তাঁরা হলেন মাজুর বসু।

    কিন্তু খটকা যেখানে, সেটা হল - যদুনাথ কলকাতায় আসেন ১৮৪৯ সালে। এটায় কোন খটকা এমনিতে ছিলনা। কিন্তু আমাদের পরিবারের বংশলতিকা, যাকে নাকি একদেশকারিকা বলা হয় আর যার একটি কপি আমি শেষবার দেশ থেকে নিয়ে এসেছি, তাতে দেখা যাচ্ছে যদুনাথের প্রপ্রপিতামহ (মানে ঠাকুর্দার ঠাকুর্দা) আত্মারাম "পলাশীর যুদ্ধের পরে ১৭৫৮ হইতে ৫৯ সালের মধ্যে গড়গোবিন্দপুর থেকে কলিকাতা সিমুলিয়া বর্ত্তমান গুরুপ্রসাদ চৌধুরী লেনে বাস করেন"। আমাদের পারিবারিক গল্পকথাতেও আছে যে আমাদের পরিবারের কলকাতায় জঙ্গল কেটে বাস, মানে কলকাতায় বাস অনেক আগে থেকে। তার সঙ্গে এটা মিলে যাচ্ছে। মনে হয় রাধারমণবাবু অন্য কোন সূত্রে ভুল খবর পেয়েছিলেন। আবার হুতোম লিখছেন (সটীক হুতোম প্যাঁচার নক্সা, দ্বিতীয় পরিমার্জিত সংস্করণ - পৃঃ ৯৫), "পূর্ব্বে এই সহরে বেণেটোলার দ্বিপচাঁদ গোস্বামীর অনেকগুলি বড় মানুষ শিষ্য ছিল। বার্‌সিমলের বোস বাবুরা প্রভুর প্রধান শিষ্য ছিলেন।" বারসিমলে যে ঠিক কোথায়, সে নিয়ে ধন্দ আছে। অরুণ নাগ এই প্রসঙ্গে তাঁর টীকায় জানাচ্ছেন, "পি. এম. বাগচির... ডাইরেক্টরিতে মানিকতলা এলাকার ওয়ার্ডস ইনস্টিটিউশন লেনকে যেমন 'বাহির শিমলা বলা হয়েছে, তেমনি সেই একই নামে অভিহিত করা হয়েছে গুরুপ্রসাদ চৌধুরী লেন, শিবনারায়ণ দাস লেনকেও।" ওই বইতেই পুরনো কলকাতার যে ম্যাপ দেখছি, তাতে গুরুপ্রসাদ চৌধুরী লেন পড়ছে সিমলা আর বারসিমলার মাঝে। সুবিধেমতন গুরুপ্রসাদ চৌধুরী লেনকে সিমলা বা বারসিমলা বলা যায়।

    বসুরা দুই ভাই ছিলেন। যদুনাথ আর বিধুনাথ। যদুনাথ ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হয়ে বাইরে-বাইরে থেকে অর্থ রোজগার করেছেন। সেই অর্থে সংসারের দেখভাল করতেন বিধুনাথ। দাদার টাকাতে যৌথ পরিবারের জন্যে ২৩।১।১ গুরুপ্রসাদ চৌধুরী লেনের বাড়ি করেন বিধুনাথ। বিধুনাথের অন্য কোন পেশা ছিল না। সোজা বাংলায় কিছু করতেন না। কিঞ্চিৎ উদাসী, যোগী ধরণের পুরুষ ছিলেন। ২৩।১।১ গুরুপ্রসাদ চৌধুরী লেনের বাড়ির নাম ছিল 'যোগাশ্রম'।

    যদুনাথের বংশ এখনও গুরুপ্রসাদ চৌধুরী লেনের বাড়িতে বসবাস করেন। অন্যতম শেষ উত্তরসুরী শংকর বসু, আমাদের শংকরকাকা বছর দুয়েক আগে মারা গেলেন। সঙ্গে নিয়ে গেলেন অনেক পারিবারিক তথ্য ও গল্প। বসুদের পারিবারিক একদেশদর্শিকা এখনও ওনাদের বাড়িতেই গচ্ছিত আছে। যদুনাথ ছিলেন ওনার প্রপিতামহ।

    বিধুনাথের দুই ছেলে। শৈলেন্দ্রনাথ ছোট ছেলে। বড় ছেলের নাম ভুলে গেছি। মাত্র ছত্রিশ বছর বয়েসে শৈলেন্দ্রনাথ গ্লকোমায় দৃষ্টিশক্তি হারান। সেই সঙ্গে মানসিক ভারসাম্যও কিছুটা। সরকারি কোন কাজ করতেন, আর নাকি চমৎকার ইংরিজি জানতেন। শৈলেন্দ্রনাথের স্ত্রী বিজলিপ্রভা ছিলেন কলকাতার সানকিভাঙার সেনদের বাড়ির কন্যা। রাধারমণ মিত্র-মশাইয়ের লেখাতেই জেনেছি সানকিভাঙা কলকাতার কলুটোলা অঞ্চল - প্রেসিডেন্সি কলেজ-কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়-মেডিক্যাল কলেজের পেছনদিকটা। কোন একসময়ে স্ত্রীর পৈতৃক সম্পত্তির বিশিষ্ট অংশের ভাগীদার হওয়ার কথা ওঠে শৈলেন্দ্রনাথের পরিবারের। সেই সুবাদে নিজের পৈতৃক সম্পত্তি থেকে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে চ্যুত করেন শৈলেন্দ্রনাথের দাদা, যিনি পেশায় ছিলেন সাবজজ বা ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। অন্যদিকে সলিসিটরের দোষে শৈলেন্দ্রনাথের স্ত্রীর সম্পত্তির অংশও ফস্কে যায় হাত থেকে। এমতাবস্থায় পাড়ার লোকের মধ্যস্থতায়, বিশেষতঃ শৈলেন্দ্রনাথের এক দূর-সম্পর্কিত উকিল ভাই ও পড়শীর হস্তক্ষেপে, গুরুপ্রসাদ চৌধুরী লেনের বাড়ির একটা ছোট অংশের মালিকানা ফেরত পান শৈলেন্দ্রনাথের পরিবার - যা তাঁদের মতে প্রাপ্যের চেয়ে অনেক কম। অন্য অংশটাকে আমি বাবা-কাকা-পিসিদের বড় বাড়ি বলে উল্লেখ করতে শুনেছি। সেই বংশের উত্তরাধিকারদের সঙ্গে সদ্ভাবের অভাব দেখিনি। কাজেকম্মে আসা-যাওয়া আগে অনেক ঘনঘন হত, এখন কমে গেলেও, হয়। শশাঙ্কজ্যাঠা বিদায় নিয়েছেন। সুশান্তকাকা এখনও আছেন।

    শৈলেন্দ্রনাথের দুই পুত্র - সিদ্ধেশ্বর বড়, কালিচরণ ছোট। কালিচরণ আমার ঠাকুর্দাদা। সিদ্ধেশ্বর বাবার মতন স্ত্রীর সম্পত্তির মালিকানা পান। এখানে গল্পটা মিলনাত্মক। সিদ্ধেশ্বরের পরিবার - আমার বড়দাজ্যাঠা, মেজদাজ্যাঠা, বুদানকাকারা মিনার্ভার পাশে তেরচা গলি - রামদুলাল সরকার স্ট্রিটের বাড়িতে উঠে যান। আমরা বলতাম রামবাগানের বাড়ি। গেলেই দেখতাম ওখানে বাঁশের কঞ্চির কাজ হয় ডেকরেটরদের জন্যে।

    অন্যদিকে স্থান-অসংকুলান হওয়ার জন্যে আমার ঠাকুর্দাদার পরিবার - মানে বাবা-কাকা-পিসি-সুদ্ধু দাদা-ওম্মা ২৩।১।১ গুরুপ্রসাদ চৌধুরী লেনের বাড়ি এক মারওয়াড়ির পরিবারের কাছে বেচে দিয়ে আমহার্স্ট স্ট্রিটের ভাড়া বাড়িতে উঠে আসেন ১৯৫৯ সালে।
  • ন্যাড়া | ০৯ জানুয়ারি ২০২০ ১১:২১728988
  • কলকাতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দুজন গ্র্যাজুয়েটের একজন তো বিখ্যাত বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। অন্যজনের নাম যদুনাথ বসু। তাঁর নাম জেনেরাল নলজের বইয়ের বাইরে শোনা যায়না। যদুবাবু সম্পর্কে আমার দাদুর-দাদু। আমার দাদুর বাবার জ্যাঠামশাই। ওনাকে নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছিলাম। খুব কিছু পাইনি। যা পেয়েছি, তা নীচে দিলাম। কেউ যদি এর বাড়তি কিছু জানেন তা জানালে বাধিত হব। হিয়ারসে হলেও চলবে।
  • অরিন | ০৯ জানুয়ারি ২০২০ ১১:৪০728990
  • দারুণ হয়েছে। এত সাবলীল লেখার স্টাইল, ভারি সুন্দর পড়তে লাগে।
  • অর্জুন | 237812.68.674512.169 | ০৯ জানুয়ারি ২০২০ ১১:৪২728991
  • কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দুই গ্রাজুয়েটের একজন, সেই যদুনাথ বসু? বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সহপাঠী।

    'দেশ' এ 'বীজমন্ত্র' র লেখক দেবাশিষ গঙ্গোপাধ্যায়কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, বলতে পারেননি।

    আমারও খুব জানতে ইচ্ছে করে ভদ্রলোক পরে কি করলেন?
  • b | 236712.158.786712.163 | ০৯ জানুয়ারি ২০২০ ১১:৪৪728992
  • ন্যাড়াবাবু একটু বুড়ো আঙুল চোবানো জল পার্শেল করে পাঠাবেন?
  • de | 236712.158.9005612.33 | ০৯ জানুয়ারি ২০২০ ১১:৫৬728993
  • এই টইতে বুড়ো আঙুলের একটা ছবি দিলেও হবে - ঃ)) - আবার পার্সেলের খরচ!

    খুব ভালো -
  • অর্জুন | 236712.158.676712.104 | ১০ জানুয়ারি ২০২০ ১০:৩২728994
  • কাল লিখতে ভুলে গেলাম, গুরুদাস চৌধুরী লেনে থাকতেন প্রথম মহিলা চিকিৎসক ডাঃ কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়। ওঁর চ্যাম্বারও ওখানেই ছিল।
  • | 124512.101.900900.172 | ১০ জানুয়ারি ২০২০ ১৩:১৪728995
  • কলকাতার সব বসুরাই আদিতে মাহিনগর বা মাজুর বাসিন্দা ছিলেন না। যেমন অনেকে এসেছেন ছোট জাগুলিয়া থেকে।
    সংক্ষেপে বলি, বর্তমানের বসুরা তাঁদের আদিপুরুষ দশরথ বসুর থেকে ২৭/২৮ বা ২৯ পুরুষ হবেন। বসুরা দুটি প্রধান শাখায় বিভক্ত, দক্ষিণরাঢ়ী ও পূর্ববঙ্গীয়। শেষোক্তর উদাহরণ জ্যোতি বসু। দক্ষিণরাঢ়ীদের আদি বাস দুটি জায়গায়, হুগলি জাঙ্গিপাড়ার কাছে বাগণ্ডা ও দঃ চব্বিশ পরগনার মাহিনগরে। বসুরা নানাবিধ কারণে পাঠান রাজাদের প্রিয়পাত্র ছিলেন ও বিভিন্ন উচ্চপদাধিকারী হয়েছিলেন। বসুদেরই এক শাখা পাঠান সুলতান প্রদত্ত উপাধি ধারণ করে বসুমল্লিক। মুঘলরা যখন বাংলা দখল করতে শুরু করে, বিশেষত প্রতাপাদিত্যের পরাজয়ের পর তাঁরা বিপদ আশঙ্কা করে নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়তে থাকেন। মাজু, এমনই একটি বসতি, মাহিনগর থেকে খুব দূরে নয়।
    একদেশকারিকা, নামটি শুনে অনুমান করছি বাণীমন্দির প্রকাশিত বংশলতিকা। যদি তাই হয় তবে তার তথ্য কিন্তু সর্বত্র নির্ভুল নয়। বৈরাগীপুকুর, আপনি ঠিকই বলেছেন, মাহিনগরের অন্তর্গত। আত্মারামের সেখান থেকে আসার সম্ভাবনাই অধিক, গোবিন্দপুর নয়। গুরুপ্রসাদ চৌধুরী লেনে আত্মারামের বাড়ি কোথায় ছিল? ২৩/১/১ নিশ্চয় নয়, সে বাড়ি যদুনাথের তৈরি। আত্মারাম সিমুলিয়ায় বাড়ি তৈরি করতেই পারেন, তবে গুরুপ্রসাদ চৌধুরী লেনে বোধহয় নয়। প্রসঙ্গত, ১৯১৫-র ডাইরেক্টরি বলছে ২৩/১/১ ও ২৩/১/২ দুটি বাড়ির মালিক সুরথচন্দ্র বসু। ১৯২৯ বলছে, ২৩/১/১ এর মালিক কে. সি. গাঙ্গুলি ও ২৩/১/২ এর মালিক শেখর কুমার বসু। রাধারমণবাবুর সার্ভে ১৯৬০-৭০এর দশকে, তিনি বলছেন ২৩/১/১ যদুনাথ বসুর বাড়ি। আপনি বলছেন ২৩/১/১ এখনও ওঁর বংশধরদের দখলে। কোথাও একটা জট আছে।
    পূর্বপুরুষ সম্পর্ক কৌতূহল এখন দুর্লভ, আপনাকে অশেষ শুভেচ্ছা। ইচ্ছা করলে যোগাযোগ [email protected]
  • | 124512.101.900900.172 | ১০ জানুয়ারি ২০২০ ১৩:৫৯728996
  • দুঃখিত, হবে [email protected]
  • দেবকুমার ভদ্র | 2409:4060:393:7b0::2633:d0a1 | ২৮ জুন ২০২০ ২৩:৪৫732298
  • যদি কেউ দয়া করে যদুনাথ বোসের বাবার নাম এবং জন্মতারিখ জানাতে পারেন তো খুবই উপকার হয় 

  • সম্বিৎ | ২৯ জুন ২০২০ ০০:২৭732299
  • নন্দলাল বসু। জন্মতারিখ জানা নেই।

    ছাতুরাম তৎপুত্র প্রাণকৃষ্ণ তৎপুত্র নন্দলাল তৎপুত্র গোবিন্দ, যদুনাথ, বিধুনাথ।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন