এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মালালা - আফগান মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের খন্ডচিত্র

    কল্লোল
    অন্যান্য | ২৪ অক্টোবর ২০১২ | ১৯৯৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dd | 120.234.159.216 | ০২ নভেম্বর ২০১২ ০৯:৪৭574809
  • অ্যাটম বোম নিয়ে আমার গিনি মোহোর

    এই টাইম লাইনটি পড়ুন । সবই ১৯৪৫

    ৭-৮ মে জার্মানী সারেন্ডার করে।
    ১৬ জুলাই মেক্সিকো র আলমাগর্ডোতে প্রথম অ্যাটমিক বোমার প্রোটোটাইপ সাকসেসফুলি ফাটানো হয়।
    ২১ জুলাই - পটসডাম কনফেরেন্স চলা কালীন ট্রুম্যান চার্চিলকে এই কথা জানান। বলেন জপানে এটা ফেলা হবে।
    ২৫ জুলাই। স্ট্যালিন কেও জানানো হয়। A new weapon of unusually destructive forece" এই কথা বলে।
    ২৬ জুলাই এই মর্মে জাপান কে হুঁসিয়ারী দেওয়া হয় যে আত্ম সমর্পন না করলে (ঠিক টার্মটা ভুলে গেছি) uttar/total destruction ফেস করতে হবে।

    সুইজার্ল্যান্ডের মাধ্যমে জাপানকে অ্যাপ্রোচ করা হয় কিন্তু তারা আনরেসপন্সিভ থাকে।

    ৬ অগাস্ট হিরোশিমায় বোম ফেলা হয়
    ৮ অগাস্ট রাশা জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে ও মাঞ্চুরিয়া অ্যাটাক করে
    ৯ অগাস্ট নাগাসাকি
    ১৩ অগাস্ট মান্চুরিয়ার পতন হয়

    পরের পোস্টে জানাচ্ছি জাপানে তখন কি হচ্ছিলো - ঐ পোস্ট নাগাসাকি পিরিয়ডে।

    শুধু ওপরের টাইমলাইনটা পড়লেই বুঝতে পারবেন কল্লোলের "কেনো জার্মানীতে অ্যাটম বোম ফেল্লো না", এর কারন জার্মানীর সাথে যুদ্ধ চলা কাল উটি তৈরীই হয় নি। প্পনের খবরেও ভুল। আংশিক ভুল। কেনো না আনুষ্ঠানিক ভাবে হিরোশিমায় বোমা ফেলার পরেই রাশা যুদ্ধে নামলেও খবরটা আম্রিকা জানতই।

    এট্টু ওয়েট করুন।
  • Demba Ba | 131.241.218.132 | ০২ নভেম্বর ২০১২ ০৯:৫৯574810
  • সেই সেই পুরনো বইখানার কথা কয়ে ফেলি - ফিস্কের সেই বইটা। সেটা শুরুই হচ্ছে আফগানিস্তানে ব্রিটিশদের কীর্তি নিয়ে...
  • dd | 120.234.159.216 | ০২ নভেম্বর ২০১২ ১০:০২574811
  • "বিটিডব্লিউ, যেটাকে ডিডি কন্স্পিরেসি থিওরি বলে চালালেন, অর্থাৎ জাপানীরা যে আত্মসম্পর্ণ করতে রেডি এই খবর পাবার পরেই বোমা ফেলা হয়, সেটি স্মিথসোনিয়ানের সাথে যুক্ত রিসার্চারদের কাজের থেকে উঠে আসা তথ্য"... এটা অক্ষের পোস্ট

    আমি একটা কনস্পিরাসি থিওরীর কথা বলেছিলাম,as if আম্রিকা খবর পেয়েছিলো জাপান সারেন্ডারে রাজী তাতেই আম্রিকা being america তড়িঘড়ি বোম টপকে আসলো।

    প্রথমত ঃ ঐ স্মিথসোনিয়ান এক্ষিবিশনের কথা বলি। ১৯৯৫ সালে একটি প্রদর্শনী হয় এনোলা গে নামে তাতে প্রদর্শিত নানান তথ্য নিয়ে আমেরিকার নাম ডাক করা জনা পঁচিশেক হিস্টোরিয়ান একটি প্রতিবাদপত্র লেখেন।
    http://www.doug-long.com/letter.htm । এইখানে পড়ুন।

    কোথাও,কোথাও লেখা নেই জাপান সারেন্দারে রাজী জেনেই আমেরিকা অ্যাটম বোম ফেলে। এই তথ্য অক্ষ কোথায় পেলে? আমি গীতাপাঠের মতন WW2 নিয়ে পড়ি, এরকম খবর কোথাও কখনো শুনি নি। মানে কোনো সিরিয়াস লেখায়। জানলে বাধিত হবো।

    (আরেট্টু লিখছি)
  • Demba Ba | 131.241.218.132 | ০২ নভেম্বর ২০১২ ১০:০৪574812
  • আর হ্যাঁ, সাদ্দাম, লাদেন ইত্যাদিরা "সাপোর্টেড" নয়। "ক্রিয়েশন"-ই। আবারো সেই রেফারেন্সটাই আসবে। আফ্রিকাতেও শুধু সাপোর্টেড নয়। বিবিসির কিউবা-আফ্রিকা নিয়ে ডকুটা যদি দেখেন, দেখতে পাবেন কীভাবে বিভিন্ন গোষ্ঠীকে নিয়ে আমেরিকা আমেরিকার মাটিতে বসে মিটিন করে স্ট্র্যাটেজী তৈরী করেছে আর কোন গোষ্ঠীকে অব্লিভিয়ন থেকে তুলে কোথায় নিয়ে গেছে।
  • dd | 120.234.159.216 | ০২ নভেম্বর ২০১২ ১০:২২574813
  • আমি যেটুকু জানি পোস্ট নাগাসাকি জাপানের কথা, কয়েকটি সোনা দানা

    নাগাসাকির ডেস্ট্রাকশনের পর জাপানের যুদ্ধ কমিটি জরুর্রী মিটিং বসান। সুপ্রীম কাউন্সিলের ছয় জন সদস্যের মধ্যে তিন জন পক্ষে ও তিন জন বিপক্ষে ছিলো, সারেন্ডারের ব্যাপারে। স্টেলমেট।

    তোগো ও সুজুকি ছিলেন সারেন্ডারের পক্ষে। তারা গোপনে সম্রাট হিরোহিতোর সাথে কথা বলেন। ১১ অগাস্ট মধ্যরাতে তার উপস্থিতিতে আবার ডিবেট শুরু হয়। কিন্তু স্টেলমেট চলতেই থাকে।
    অবশেষ হিরোহিতো ইন্টারভেইন করেন ও রায় দেন সারেন্ডারের পক্ষে।
    ১৫ অগাস্ট হিরোহিতো রেডিও বক্তৃতায় জানান এই কথা। coming of peace। তিনি বলেন।

    সুইজারল্যান্ডের থ্রু দিয়ে দুই দেশের কথা বার্ত্তা শুরু হয়।
    ২৮ অগাস্ট ম্যাকার্থার ইয়োকোহামায় আসেন
    ২ সেপ্টেম্বর জাপান ফর্মালি সারেন্ডার করে।

    তো, অক্ষর কাছে জানতে চাই কোথায় তথ্য পেলে যে (১)অ্যাটম বোম ফেলার আগেই জাপান সারেন্ডারে রাজী ছিলো এবং (২) স্মিথসোনিয়ানের সাথে যুক্ত রিসারচররা এই তথ্য উল্লেখ করেছেন?

    আমার জানা তথ্যে জানি যে জাপানী মিলিটারিস্ট সেন্টিমেন্ট প্রচন্ড প্রবল ছিলো। ১৯৪৫ সালে প্রায় চারশো জাপানী আমলা, সুশীল,সেনাকে বন্দী করা হয় ডিফিটিস্ট বলে। এরা সন্ধির পক্ষে কথা বলছিলেন।

    জাপানী যুদ্ধবাদীরা এক ভয়ংকর গোঁড়া লবী ছিলো। যুদ্ধ আর ধর্ম ওদের কাছে এক কথা। সে তো সবাই জানে, তাই আর খামোখা কিছু অ্যানেকডোট রিপিট করলাম না।
  • প্পন | 126.202.154.108 | ০২ নভেম্বর ২০১২ ১০:৪২574814
  • ডিডিদাকে। হ্যাঁ। আমার পোস্টে টাইমলাইনের গোলমাল ছিল (আংশিক)। খতিয়ে দেখলাম আবার।

    কিন্তু অ্যাটম বোমা ফেলে যুদ্ধ তড়িঘড়ি শেষ করে দেওয়ার পেছনে জাপানে সোভিয়েতের পোটেনশিয়াল বাড়বাড়ন্ত ঠেকানো অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল এইটা নিয়ে কোথাও কিছু দেখোনি?
  • dd | 120.234.159.216 | ০২ নভেম্বর ২০১২ ১০:৫৫574815
  • হ্যাঁ। সেটা তো অন্যতম কারন হতেই পারে।

    অ্যাটম বোম নিয়ে আমেরিকায় প্রচুর ডিবেট ছিলো। বোমা ফেলার বিপক্ষে ছিলেন অনেকেই। সেরকম তো জার্মানীর শহর পুড়িয়ে দেওয়া(কনভনশনাল বোম মেরে) ফেলার বিরুদ্ধেও অনেক মতামত ছিলো। যুদ্ধ চলাকালীনই।

    ডিবেট,মতান্তর এক জিনিস। ইন্টার্প্রেটেশন এক জিনিস। সে তো হামেশাই হয়।

    আর স্রেফ বলে দেওয়া যে জাপান সারেন্ডারে রাজী ছিলো জানা স্বত্তেও আমেরিকা বোমা ফেলেছিলো সেটা আরেক ব্যাপার।
  • lcm | 34.4.162.218 | ০২ নভেম্বর ২০১২ ১১:৪৪574816
  • অরিজিৎ,
    রবার্ট ফিস্ক-এর লেখা বা তুমি যে ডকু-র কথা বলছ, সেগুলো যেমন একটা দিক, অন্য দিকও আছে। ওগুলো কিন্তু এক অ্যাঙ্গেল থেকে লেখা। সেটা ঐ তেলের অ্যাঙ্গল থেকে ঠিক আছে। কিন্তু কয়েনের অন্য সাইডও আছে।

    সাদ্দামের কথাই ধরা যাক। বাথ পার্টি ছিল সোস্যালিস্ট পার্টি, আরব সোস্যালিস্ট বাথ পার্টি। স্লোগান ছিল - unity, liberty, socialism । সাদ্দাম তার কাকাকে গুরু মেনে ইয়াং বয়েসেই বাথ পার্টিতে ঢুকে পরে। চল্লিশের দশকে প্রতিষ্ঠা হলেও আভ্যন্তরীন বিরোধে বাথ পার্টি বার বার ভাঙে এবং বিভিন্ন গোষ্ঠী তৈরী হয়। সাদ্দাম ষাটের দশকে শেষের দিকে ইরাকি বাথ পার্টি সংগঠিত করে তোলে। ৬৮তে বিনা রক্তপাতে আল-বকর আর সাদ্দাম মিলে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আরিফকে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতা দখল করে। অল্‌বকর হয় প্রেসিডেন্ট, এবং সাদ্দম সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। অল্‌বকর ছিলেন বয়জ্যেষ্ঠ এবং সেই সুত্রে প্রেসিডেন্ট, কিন্তু পার্টির মূল পরিচালক হয়ে ওঠেন সাদ্দাম। ষাটে-সত্তরের দশকে ইরাকে অনেক রিফর্ম করে সাদ্দাম, এই জায়গাটায় গদ্দাফির সঙ্গে মিল আছে (গদ্দাফি-ও তেলের পাওয়ার কাজে লাগিয়ে লিবিয়ায় কিছু কাজ করেছিল)। ৭৯-এ অল্‌বকর-কে সরিয়ে দিয়ে সাদ্দাম ইরাকের প্রেসিডেন্টের পদ গ্রহণ করে।
    ষাটের দশকে সোভিয়েত রাশিয়া বাথ পার্টিকে অস্ত্র/ট্রেনিং দিয়ে সাহায্য করে। সাদ্দাম বন্ধু এবং ইরাকি জেনারেল-এর কথায় ... the Soviet Union covertly assisted the Iraqi Baathists in gaining and holding onto power in the sixties. The KGB and FSB trained Iraqi secret police...। ১৯৭২ এ সাদ্দামের সাথে সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে 15-year Treaty of Friendship and Cooperation চুক্তি সই হয়।

    সাদ্দাম ক্ষমতায় আসার পরে, এবং, ফুল কন্ট্রোল নেবার পরে অবশ্য ঘটনা অন্য মোড় নেয়। তেল নিয়ে ইউএস-সাদ্দামের মধ্যে ক্রেতা-বিক্রেতা সম্পর্ক তৈরী হয়, ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় সেই সম্পর্ক আরো ঘন হয়ে ওঠে, সোভিয়েত দূরে চলে যায়, কুয়েত যুদ্ধে আবার পাল্টি খায়... এসেট্রা।

    কিন্তু, সাদ্দাম-কে ইউএস-এর ক্রিয়েশন কি বলা যায়? টেকনিক্যালি বোধহয় বলা যায় না। ইউএস হ্যাজ ইউজ্‌ড সাদ্দাম।
  • lcm | 34.4.162.218 | ০২ নভেম্বর ২০১২ ১১:৫১574817
  • ইউএস হ্যাজ ইউজ্‌ড সাদ্দাম - সাদ্দামের জায়্গায় যেই থাকত একই হত।

    লাদেন-ও কিন্তু ইউএস-এর তৈরী নয়। লাদেন ওয়াজ রিজেক্টেড বাই সৌদি রয়াল্‌স - যারা কিনা ইউএস ঘনিষ্ঠ। ক্রিয়েশন বলা মুশকিল।
  • Demba Ba | 131.241.218.132 | ০২ নভেম্বর ২০১২ ১১:৫৯574702
  • যে সাদ্দামকে আমরা পরে দেখেছি, সেই সাদ্দাম তৈরী হত না ইরাক-ইরান যুদ্ধের সময় বা কুর্দদের মারার সময় আমেরিকা (রাদার ওয়েস্টার্ন সিভিলাইজেশন) চোখ বন্ধ করে না থাকলে। সেদিক থেকে এই সাদ্দাম অবশ্যই পশ্চিমী দুনিয়ার ক্রিয়েশন।

    লাদেন তো আরোই পরিষ্কারভাবে।
  • lcm | 34.4.162.218 | ০২ নভেম্বর ২০১২ ১২:১৯574703
  • প্যান-আরব ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট ফলো করলে দেখা যাবে, কনফ্লিক্ট ছিল স্তরে স্তরে, উইদাউট দ্য ইন্টারভেনশন অফ্‌ ওয়েস্ট। সাদ্দামের যা উদ্দেশ্য ছিল -আভ্যন্তরীন খেয়োখেয়ির আরব দুনিয়াকে সংগঠিত করে এক প্যান-আরব ছাতার তলায় আনার (দশবছর ধরে এদিকে ইরান যুদ্ধ, পরে কুয়েত যুদ্ধ, নিজের দেশে কার্ড-দের খুন) - এগুলোর জন্যে পুরো দায়টা কি ওয়েস্টের ঘাড়ে চাপানো যায়। হ্যাঁ, যুদ্ধের বাজারের পুরো সুযোগ ওয়েস্ট নিয়েছে, এবং যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়াতেও মদত দিয়েছে - কারণ, আরব দেশগুলো এক ছাতার তলায় চলে এলে মুশকিল, এত প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে আরব-রা বজার ডিক্‌টেট করবে।

    লাদেন -- ইরাক যখন কুয়েত অ্যাটাক করল, সৌদি ভয়ে কাঁপছে, বন্ধু ইউএস গর্মেন্ট-কে ফোর্স পাঠাতে বলল। ইউএস মিলিটারি নেমে পড়ল, দাপিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে মদ্দা/মদিনার দেশে, লাদেন ক্ষোভে ফেটে পড়ল - এ জিনিস অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলিম মানুষই মেনে নিতে পারে নি। এই, এইখানে লাদেন লড়াইয়ের জমি পেল, সাপোর্ট ও পেল। তারপর থেকে তো ...
  • Demba Ba | 131.241.218.132 | ০২ নভেম্বর ২০১২ ১২:২৩574704
  • উঁহু, লাদেনের শুরু আরো আগে।
  • lcm | 34.4.162.218 | ০২ নভেম্বর ২০১২ ১২:২৭574705
  • আগের শুরুটা - মুজাহাদিন-কে ইউএস মদত দিল আফগানিস্তান থেকে রাশিয়া হঠানোর জন্যে। রাশিয়া ভাঙল, আফগান থেকে পাততাড়ি গোটালো, ইউএস-ও কেটে পড়ল।
  • Demba Ba | 131.241.218.132 | ০২ নভেম্বর ২০১২ ১২:২৭574706
  • ও, প্রথম গাল্ফ ওয়ার। হ্যাঁ - সেই রকম সময়েই। ৯৩ সালে ফিস্কের নেওয়া ইন্টারভিউয়ের অ্যাকাউন্ট আছে।
  • lcm | 34.4.162.218 | ০২ নভেম্বর ২০১২ ১২:৩৫574707
  • হ্যাঁ, ফার্স্ট গাল্ফ ওয়ারের সময়ই তো। সাদ্দাম তো স্কাড মিসাইল তাক করে দিয়েছিল সৌদি আর ইস্রায়েল-এর দিকে। আর যায় কোথায়, হৈ হৈ করে সৌদিতে ইউএস ফোর্স নামল। লাদেন ক্ষোভে ফেটে পড়ল।
  • কৃশানু | 226.113.128.239 | ০২ নভেম্বর ২০১২ ১২:৪৭574708
  • চার্লি উইলসন। কেউ আলোকপাত করবেন?
  • lcm | 34.4.162.218 | ০২ নভেম্বর ২০১২ ১২:৫৪574710
  • হ্যাঁ, এটা পড়েছি, এই ইন্ডিপেন্ডেন্টেই পড়েছি। এটাতে ইউএস-এর বিরুদ্ধে মেইন অভিযোগ হল যে, রাশিয়া চলে যাবার পর ইউএস ডাম্প্‌ড লাদেন। কিন্তু, তৈরী তো নয়। রাশিয়ান ফৌজের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মদত দিয়েছে ইউএস।
  • lcm | 34.4.162.218 | ০২ নভেম্বর ২০১২ ১৩:০৫574711
  • সোভিয়েত জমানায় একটা জিনিস খুব হত। অনেক দেশের অন্তর্বর্তী কম্যুনিষ্ট পার্টিগুলো, যারা সোভিয়েত-কম্যুনিজ্ম ফলো করত, এবং মস্কোর মুখ চেয়ে বসে থাকত, তাদেরকে সোভিয়েত খুব কনফিউজ করত। প্রথম দিকে সাদ্দাম যখন ইরাকের কম্যুনিষ্ট পার্টির মেম্বারদের মারছিল, তখন তারা রাশিয়ার হেল্প চায়। কিন্তু, ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশন রাখার জন্যে কোনো হেল্প সোভিয়েত তো করেই নি, উল্টে সাদ্দামের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখত। ... While persecuting communists, the Baathists in power maintained excellent relations with the USSR...
  • ranjan roy | 24.96.169.198 | ০২ নভেম্বর ২০১২ ১৩:২৮574713
  • ইন্দোনেশিয়ায় সুকর্ণো সরকারের বিরুদ্ধে ক্যু-দেতা করে ক্ষমতা দখল করে জেনারেল সুহার্তো- নাসুশিয়েন গোষ্ঠি। দীপ নুসন্তর আইদিৎ সহ গোটা পলিট ব্যুরো মারা যায়। দ্বীপে দ্বীপে কম্যুনিস্টদের ঝাড়ে বংশে কচুকাটা করা হচ্ছে। সেই সময় বা একদশক পরে এদের নিয়ে রাশিয়ার কী ভূমিকা ছিল কেউ একটু আলোকপাত করবেন। আমার স্মৃতিতে কিছু বায়াসড্‌ কমেন্ট ঘর বেঁধেছে। ক্রস চেক করতে চাই।
  • lcm | 34.4.162.218 | ০২ নভেম্বর ২০১২ ১৪:২৯574714
  • রঞ্জন-দা,
    ইন্দোনেশিয়ার কম্যুনিস্টদের মতন দুর্ভাগ্য খুব কম দেশের কম্যুনিস্টদের হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার কম্যুনিস্ট পার্টি ছিল বিশাল - মেম্বারশিপের সংখ্যায় সোভিয়েত আর চায়না-র পরেই, পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম।
    সুহার্তো রা যখন লক্ষ লক্ষ মেম্বারদের লিস্ট ধরে ধরে খুন করছে, তখন মস্কো/বেজিং থেকে নির্দেশ এসেছে, শান্তি বজায় রাখো। সিআইএ এখানে ডাবল গেম খেলেছে। সুহার্তোকে লাগিয়ে দিয়েছে কম্যুনিস্ট নিধনের জন্য, আর, মুসলিম লোকজনকে প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে যে কম্যুনিজ্ম হল ইসলামের শত্রু।
    এখানে দেখতে পারেন - ... lessons of the 1965 Indonesian coup - http://www.wsws.org/exhibits/1965coup/coup-1.htm - দ্বিতীয় চ্যাপ্টার দেখুন - Stalinists betray the mass movement
  • ranjan roy | 24.97.156.235 | ০৩ নভেম্বর ২০১২ ১২:৪৫574715
  • ধন্যবাদ এলসিএম! তখন খুব দুঃখ হয়েছিল। পরে বুঝেছি মানুষ কি ভাবে বৃহৎ শক্তির দাবাখেলায় ঘুঁটি হয়।
  • aranya | 154.160.98.31 | ০৫ নভেম্বর ২০১২ ০৭:৫৩574716
  • ' হিউম্যান রাইটস ওয়াচের হিসেব অনুযায়ী, গত বছর পাকিস্তানে জঙ্গিরা আক্রমণ চালিয়েছিল দেড়শোটি স্কুলে। এ বছর সংখ্যাটা একশো ছুঁইছুঁই। পাকিস্তানেরই শিশু অধিকার রক্ষা সংস্থার হিসেব, উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানে অন্তত ৬ লক্ষ শিশু এক বছর বা তার বেশি স্কুলে যেতে পারেনি জঙ্গিদের হুমকিতে। মালালার সাফ কথাঃ ‘‘নতুন প্রজন্মের হাতে পেন দেওয়া না হলে জঙ্গিরা তাদের হাতে বন্দুক তুলে দেবে।’ - আজকের আবাপ-য় ঈশানী দত্ত রায়-এর লেখা থেকে।
    http://www.anandabazar.com/archive/1121104/4edit2.html
  • a x | 138.249.1.202 | ০৫ নভেম্বর ২০১২ ২১:৩৪574718
  • ডিডি, এখানে এত কথা হয়ে গেছে, খেয়াল করিনি, আপনার প্রশ্নও এখন দেখলাম। কিন্তু আপনার প্রশ্নটা আগে বুঝি। আপনি কি বলছেন আত্মসমর্পণ করার খবর পেয়েও বোমা ফেলেছিল এইটা ঠিক আছে, কিন্তু আত্মসমপর্ণ করার খবর পেয়েই বোমা ফেলেছিল, এইটা ঠিক নেই? মানে যদি তাই হয়, তাহলে আর খাটবনা।

    না হলে আবার বসে পট্টবর্ধনের ডকু দেখে বলতে হবে কত মিনিটের মাথায় আছে এবং স্মিথসোনিয়ানের রিসার্চারের নাম।

    কিন্তু - "...the Japanese were ready to surrender and it wasn't necessary to hit them with that awful thing." আইজেনহাওয়ারের এই বক্তব্যও কি কনস্পিরেসি থিওরি?

    কিম্বা ইউএস স্ট্র্যাটেজিক বম্বিং সার্ভের বক্তব্য অনুযায়ী বোমা ফেলা না হলেও, জাপান আত্মসমর্পণ করতে তৈরি ছিল - এই বক্তব্য? এটা বার্নস্টেইনের একটা লেখা থেকে - JSTOR অ্যাক্সেস পেলে খুঁজে দেব।
  • dd | 120.234.159.216 | ০৬ নভেম্বর ২০১২ ০৯:৩৫574719
  • বাব্বা।
    অক্ষের দ্বিতীয় লাইনটা বার ছয়েক পড়ে বুঝতে পারলাম "খবর পেয়েও" আর "খবর পেয়েই', এই ও আর ইএর মধ্যে ও পুরো তর্কোটা ঝুলিয়ে দিয়েছে।

    নাঃ।ই আর ও নয়। ব্যাপারটা "খবর" নিয়ে। এখন পর্যন্ত্য (অন্তত; আমি যা পড়েছি তাতে ঐ কনস্পিরাসী থিওরী ছাড়া) কোথাও পড়ি নি এরকম কোনো "খবর" আদৌ কেউ শুনেছিলো। এটম বোম না ফেললেও আত্মসমর্পন জাপান করবে - এটা একটা মতামত, আর "খবর পেয়েছি জাপান আত্মসমর্পনের প্রস্তাব দিয়েছে' এটা একটা "খবর"। এই তফাৎ তুমি বোঝো নি এটা বিশ্বাস হয় না।

    আইজেনহাওয়ারের বক্তব্য "",first on the basis of my belief that Japan was already defeated and that dropping the bomb was completely unnecessary,and secondly because I thought that our country should avoid shocking world opinion by the use of a weapon whose employment was, I thought, no longer mandatory as a measure to save American lives. এইটা আইজেনহাওয়ারের ই কথা। "আমার বিশ্বাস জাপান হেরেই বসে আছে আর বোম পটকে বিশ্ব মতকে ঘেঁটে দেবার দরকারটা কি?' ইস নট ইকুয়ালটু জাপান তো সারেন্ডার করবে বলে প্রস্তাব দিয়েছে।

    এরকম 'খবর'এর সুলুক সন্ধান থাকলে জানিও। বাধিত হবো। আবার লিখছি "খবর।'

    আর এটম বোম ফেলা নিয়ে দ্বিমত ছিলো খোদ
    আম্রিকায় । এ তো সবাই জানে। এমন কি আমি ও জানি। লিখেওছি সেই কথা এই টইতেই।
  • dd | 120.234.159.216 | ০৬ নভেম্বর ২০১২ ০৯:৫১574720
  • অক্ষ আমার এই পোস্টটা নিশ্চয়ই পড়ে নি। তিন দিনে আগে লেখা।

    কোট......
    অ্যাটম বোম নিয়ে আমেরিকায় প্রচুর ডিবেট ছিলো। বোমা ফেলার বিপক্ষে ছিলেন অনেকেই। সেরকম তো জার্মানীর শহর পুড়িয়ে দেওয়া(কনভনশনাল বোম মেরে) ফেলার বিরুদ্ধেও অনেক মতামত ছিলো। যুদ্ধ চলাকালীনই।

    ডিবেট,মতান্তর এক জিনিস। ইন্টার্প্রেটেশন এক জিনিস। সে তো হামেশাই হয়।

    আর স্রেফ বলে দেওয়া যে জাপান সারেন্ডারে রাজী ছিলো জানা স্বত্তেও আমেরিকা বোমা ফেলেছিলো সেটা আরেক ব্যাপার।" আনকোট.....
  • dd | 120.234.159.216 | ০৯ নভেম্বর ২০১২ ১০:৩৮574721
  • হ্যাঁ। তাইতো।

    অক্ষ যেটা বলছিলো - অর্থাৎ জাপান নানান ভাবে আত্মসমর্পনের চেষ্টা করছিলো, আর ওদের সিক্রেট কেবল "পড়ে" ফেলার জন্য আমেরিকা এটা আগেই টের পেয়েছিলো। এই প্রামান্য লেখাটা পড়ে সেরকমই তো মনে হচ্ছে।

    http://www.ihr.org/jhr/v16/v16n3p-4_Weber.htm বা যারা সরাসরি পড়তে পারেন আমেরিকান ম্যাগাজিন The Journal of Historical Review, May-June 1997 (Vol. 16, No. 3), pages 4-11.]

    নতুন শিখলাম।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে প্রতিক্রিয়া দিন