এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kk | 2607:fb90:ea91:cb70:8a96:31d1:4b20:2b43 | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:৪৩519784
  • অরিত্র'র পোস্টের দ্বিতীয় প্যারাগ্রাফটায় অনেক কিছু ভাবার অবকাশ আছে। বিশেষ করে এই লাইনটা -- "আর আমরা, যেন বিগ বসের টাস্ক কমপ্লিট করার মতন, সদা উত্তেজিত ব্যতিব্যস্ত হয়ে ফি-হপ্তা চারটে জিনিস নিয়ে মাথা ঘামিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়ে ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি।" এটা আমিও খুব সত্যি মনে করি। এর পরিপ্রেক্ষিতেই বলছি, এই জিনিষটা আমার অবজার্ভেশন যে আজকাল মানুষ প্রতিক্রিয়া দেনও খুব বেশি। সোশ্যাল মিডিয়ার নানান প্ল্যাটফর্ম পাবার পরে হয়তো এটা আরো বেড়েছে। এবার আমার মনে প্রশ্ন আসে, সবেতেই প্রতিক্রিয়া দেখানো, মতামত দেওয়াটা কি সত্যিই এত জরুরী? যেমন অরিত্র বলেছেন, জিনিষটা নিজের মনের মধ্যে প্রসেস করার সময় বা স্পেসই পাওয়া হয়ে উঠছেনা বেশির ভাগ সময়ে। তো, প্রতিক্রিয়া দেওয়া থেকে বিরত থেকে নিজের মধ্যে এটা প্রসেস করলে কী ক্ষতি আছে? আমি একটা কিছু পড়লাম, শুনলাম, দেখলাম। চিন্তার খোরাক পেলে, ইন্টারেস্টিং লাগলে আমি বসে ভালো করে সেটা কন্টেমপ্লেট করলাম। পুরোটা মাথার মধ্যে আনফোল্ড করতে দিলাম। আশপাশ ফিরিয়ে দেখতে বুঝতে চেষ্টা করলাম। সেই ফাঁকে পাঁচটা জিনিষে আমার মতামত দেওয়া হলোনা, সেগুলো এসে চলে গেলো। সো হোয়াট? আমার মতামত কী এমন জরুরী জিনিষ? আমরা সবাই ক্যালোরব্যালোর করে সবসময় চেঁচিয়ে চলেছি। নিজের গলার আওয়াজে অনেক সময়েই অন্যের গলার আওয়াজ ডুবেও যাচ্ছে। এইসব দিয়ে কোথায় পৌঁছনো যাচ্ছে? আমার নিজের ক্ষেত্রে একটা জিনিষ বলতে পারি, আমার কৌতুহল অনেক। সে তুলনায় মতামত কম। অনেকের ক্ষেত্রে তার উল্টোটাও দেখতে পাই। নিজের সাথে যেটা মেলেনা সেটা অনেক সময় বুঝতে একটু অসুবিধা হয়। তবু বোঝার চেষ্টা করছি। কেন নিজের মতামত প্রতিষ্ঠা করাটা এত বেশি আর্জেন্ট হয়ে গেছে লোকের কাছে?
  • বকলম -এ অরিত্র | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:১৯519783
  • এবি – ""সামাজিক মাধ্যম" বলে তো কিছু হবার কথা নয়, পুরোটাই কর্পোরেট মিডিয়ার বিকৃতিকরণ, ছলে বলে আপনার তথ্য চুরি করে আপনাকে পণ্য হিসেবে বাজারে বেচার ছক। আগে শোনা যেত, "আপনি পয়সা না দিলে আপনিই পণ্য", আজকাল পয়সা দিয়ে সাবস্ক্রাইব করেও সেই পণ্যই থেকে গেলেন।"

    প্রাক্তন গ্রিক অর্থমন্ত্রী Yanis Varoufakis এর নাম হয়তো শোনাই আছে এখানে সবার, তিনি চিন্তাবিদ হিসেবে কোন উচ্চতার তা আমি জানি না তবে তার technofeudalism এর কথাগুলো আমার ভালো লেগেছে। সেটা পরিণত একটি তত্ত্ব না হতে পারে, কিন্তু চিন্তার খোরাক আছে। তিনি ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম গুলোকে এক একটা টেকনো ফিউডাল বলছেন – যারা ফ্রি (বা সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিক) কিন্তু আমাদের উপস্থিতি (থেকে বিনামূল্যে অর্জিত তথ্য) তাদের সাম্রাজ্যকে পুষ্টি যোগায়।
  • বকলম -এ অরিত্র | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:০৮519782
  • "ইনফরমেশন ওভারলোড" এর আরেকটা রূপ যদি "ওভারলোড অফ চয়েসেস" হয় তাহলে আমার প্রথম এটা অনুভব হয়েছিল প্যান্টালুনস/শপার্স স্টপে। কয়েকবার গিয়েই মনে হতে শুরু করে এই overwhelmling number of choices (information) টাই ঠিকঠাক কেনাকাটার পথে অন্যতম অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অবশ্য যারা প্রায়ই যান তাদের হয়তো এরকমটা মনে হবে না, কিন্তু আমার মতন যারা বছরে একবার যায় তাদের পক্ষে ওই ব্যাপকতাকে কয়েক এক আধ ঘন্টার মধ্যে process করে তার মধ্যে থেকে ঠিকঠাক বেছে পছন্দ করে বেঁচে বেরোনো এক অসাধ্য কাজ। আমার good purchase আর wasted purchase রেশিও দাঁড়ায় ১:২।

    তেমনই রাজনীতি নিয়ে এই সময়ে দেখছি প্রতিদিন একগুচ্ছ করে টপিক মিডিয়া ও রাজনীতির কলাকুশলীরা মিলে তৈরী করে যাচ্ছে, করেই যাচ্ছে। আর আমরা, যেন বিগ বসের টাস্ক কমপ্লিট করার মতন, সদা উত্তেজিত ব্যতিব্যস্ত হয়ে ফি-হপ্তা চারটে জিনিস নিয়ে মাথা ঘামিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়ে ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি। কিন্তু কিছুই কোনো প্রভাব ফেলছে না, তার আগেই নতুন টপিক। একটি টপিক নিয়ে বেশিক্ষন ভাবার আগেই আরেকটি উত্তেজক জিনিস বাজারে হাজির, আগেরটি প্রচার আলোচনা থেকে খুব দ্রুত মিলিয়ে যাচ্ছে। হয়তো সত্যি যে জিনিসগুলো নিয়ে ভাবার প্রয়োজন তা নিয়ে আমাদের ভাবার সময় থাকছে না। গভীরে ভাবনা চিন্তার ফুরসৎ মিলছে না, আমাদের প্রতিক্রিয়ায় মতামতে তার ছাপ পড়ছে। ব্যক্তিগত ভাবে দেখেছি একটা সময় খুব বেশি হলে দুটো গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের বেশি সামলানো যায়না, তারপরে তৃতীয় কিছু থাকলে সেটার জন্যে মাথা আর পরিশ্রম করতে পারে না, কম্পিউটারের মতোই আমাদেরও প্রসেসিং ক্যাপাসিটি লিমিটেড নিশ্চয়। এই সীমাবদ্ধতাকে ব্যবহার করা একটা স্ট্রাটেজি হতে পারে, আমাদের চিন্তা করার ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আমাদের ঘেঁটে এবং মানসিক দিক দিয়ে শ্রান্ত ক্লান্ত করে ফেলা। হয়তো এই ব্যাপকতার সামনেই নিজেদের ক্ষুদ্র মনে হচ্ছে, মনে মনে হেরে যাচ্ছি। 
  • Arindam Basu | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০:৩৭519781
  • যোষিতা, "এরা বেঁধে ফেলেছে আষ্টে পৃষ্ঠে"
     
    এরা বেঁঁধে ফেলার চেষ্টা করতে পারে, ধরা দেবার বা না দেবার দায় আমাদের | 
     
    বিভিন্ন স্তরে বিবিধ রকমের উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে এদের করপোরেট জাল কেটে বেরোনর। যেমন অপারেটিং সিস্টেম লেভেলে লিনাক্স ব্যবহার করা যেতে পারে, অজস্র রকমের লিনাক্স ফ্লেভার ব্যবহার করতে পারেন, (https://distrowatch.com দেখুন ) |
     
    লিনাক্স যে ব্যবহার করতে হবে তাও নয় | 
    লিনাকসের সবচেয়ে ভাল দিক আপনি দিব্য পুরনো সস্তার যে কোন ল্যাপটপ ব্যবহার করতে পারেন,  নতুন মডেলের ল্যাপটপ কেনার প্রয়োজনই নেই | শুধু প্রয়োজনমত হার্ড ড্রাইভ আর RAM নিজে চেঞ্জ করে নিন। 
     
    যে পয়সা খরচা করে লোকে অ্যাপল স্যামসুং বা চীনা কোম্পানীর ফোন কেনেন, তার থেকে সস্তায় Fairphone কিনে ব্যবহার করতে পারেন, (https://www.fairphone.com/en/), ও সে ফোনে stock android অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করুন (https://en.wikipedia.org/wiki/List_of_custom_Android_distributions)\
    এই ফোন কিনলে আপনাকে দুতিন বছর অন্তর ফোন পরিবর্তন করারও দরকার পড়বে না। 
    X, facebook, instagram এর থেকে ঢের ভাল যে কোন ফেডারেটেড মাধ্যম, ম্যাসটোডন, পছন্দ না হলে অজস্র চয়েস (দেখুন, https://www.fediverse.to ), ৬৫ লাখের ওপর লোক ব্যবহার করেন। 
     
    কাজেই, নানারকমের উপায় আছে |
  • যোষিতা | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৬:৪১519780
  • এরা বেঁধে ফেলেছে আষ্টে পৃষ্ঠে
  • Arindam Basu | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৪:৫৮519779
  • যোষিতা, "ইনফরমেশন ওভারলোডে মানুষ পাগল হয়ে যেতে পারে কিনা জানি না, তবে আমার একসময়ে মনে হয়েছিল এসব কিছুর থেকে ছুটে পালাই।"
     
    খুবই স্বাভাবিক, এবং তথাকথিত "সামাজিক মাধ্যম" এবং অত্যধিক তথ্যের অত্যাচারে বহু মানুষ বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এক ধরণের overwhelm তো প্রায় অনেকের হয়। 
     
    "সামাজিক মাধ্যম" বলে তো কিছু হবার কথা নয়, পুরোটাই কর্পোরেট মিডিয়ার বিকৃতিকরণ, ছলে বলে আপনার তথ্য চুরি করে আপনাকে পণ্য হিসেবে বাজারে বেচার ছক। আগে শোনা যেত, "আপনি পয়সা না দিলে আপনিই পণ্য", আজকাল পয়সা দিয়ে সাবস্ক্রাইব করেও সেই পণ্যই থেকে গেলেন। 
     
    এদের হাত থেকে পালাতে তো পারবেন না, বরং বর্জন করাই শ্রেয়। 
     
  • যোষিতা | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৩:১০519778
  • ইনফরমেশন ওভারলোডে মানুষ পাগল হয়ে যেতে পারে কিনা জানি না, তবে আমার একসময়ে মনে হয়েছিল এসব কিছুর থেকে ছুটে পালাই।
    সেসব ঘটনা নিয়ে পরে লিখব। ঐ এল ডোরাডোতেই।
  • Arindam Basu | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ০২:১১519777
  • kk, "ইনফর্মেশন ওভারলোডও অনেক সময় অনেক ক্ষতি করে, সেটা বুঝতে পারি।"
     
    কেকে, বহুদিন আগে ক্লে জনসন নামে জনৈক লেখক/গবেষক ইনফরমেশন ডায়েট নাম দিয়ে একটি বই লেখেন, তো সে বইয়ের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল কিভাবে ইনফরমেশন ওভারলোড ক্রমাগত আমাদের ক্ষতি করে চলেছে  এবং এই ক্ষতিকর অবস্থা থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে  রাখার কি উপায় এ নিয়ে সে বইতে তিনি আলোচনা করেছিলেন । সে বইয়ের এক জায়গায় ক্লে লিখেছিলেন,
     
    > Just as food companies learned that if they want to sell a lot of cheap calories, they should pack them with salt, fat, and sugar — the stuff that people crave — media companies learned that affirmation sells a lot better than information. Who wants to hear the truth when they can hear that they’re right?”
     
    এবং এটা এখন এক মাত্রাছাড়া অবস্থায় পৌঁছেচে -- বহু মানুষ এদের এই বিষাক্ত খপ্পর থেকে হয় নিজের ইচ্ছায় বেরোতে চান না, বা বেরোতে পারেন না, এবং নানান রকম অজুহাত দেন -- স্ব-ইচ্ছায় দাসত্ব বন্ধনে জড়িয়ে পড়তে ভালবাসেন,  এবং এই ইন্ডাসট্রি সেটা চায়ও | 
  • এলেবেলে | 202.142.71.17 | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৩:১৬519776
  • দ-দি, ডিসিজনাব ও অন্যান্যদের ধন্যবাদ। আসলে রঞ্জনবাবু বইটাকে এমন কাটাছেঁড়া করেছিলেন যে, বইটার দ্বিতীয় সংস্করণ খুবই জরুরি হয়ে উঠেছিল। বাংলা বইয়ের বাজারে সচরাচর প্রবন্ধের বইয়ের দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হওয়া খুবই দুর্লভ ব্যাপার। আমি ভাগ্যবান, প্রকাশক আমাকে সে প্রশ্রয়টুকু দিয়েছেন। ফলে এবারে বইটাকে আপাদমস্তক নতুন করে সাজিয়েছি। বিভিন্ন জন তাঁদের রিভিউতে যেসব ত্রুটিবিচ্যুতির উল্লেখ করেছিলেন, আমার সীমিত সামর্থ্যে সেসব যথাসাধ্য সংশোধনের চেষ্টা করেছি। ফলে বইয়ের আয়তন বেড়েছে, প্রচুর নতুন তথ্যসূত্র যুক্ত হয়েছে।
     
    ডিসিজনাব, আমি আপাতত বাংলা ভাগের অর্থনীতি নিয়ে কাজ করছি। উনিশ থেকে কুড়িতে আসার চেষ্টা করছি আর কি! খুব সময়সাপেক্ষ ও শ্রমসাধ্য কাজ। ১৯০৫ থেকে ১৯৪৭ এই কাজটার স্প্যান। ইচ্ছে আছে এরপর বঙ্কিম ও বিবেকানন্দকে নিয়ে বড় করে কাজ করার। নবজাগরণীদের ইসলামোফোবিয়া নিয়ে মেনস্ট্রিম লেখালিখিতে তেমনভাবে আলোচনা হয় না। সেটাকে ধরার ইচ্ছে আছে।
     
    দ-দি, নেহাত আপনি রামমোহনটা কিনে ফেলেছেন। নাহলে বইমেলার পরে ওই বইটাকে একদম নতুন করে সাজানো হয়েছে। এর ফলে রয়্যাল সাইজের বইটা আগের তুলনায় প্রায় ৮০ পাতা কলেবরে কমেছে। তবে বিষয়বস্তু একই আছে।
     
    আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য আপনাদের সব্বাইকে আবারও ধন্যবাদ জানাই। 
  • kk | 2607:fb90:ea91:cb70:8a96:31d1:4b20:2b43 | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:৫৫519775
  • অরিনবাবুর বলা ডিজিটাল মিনিমালিজম (বা ইন জেনেরাল মিনিমালিজম) এর কথাটা খুব ভালো লাগলো। এর গুরুত্ব এখন নিজে খুব উপলব্ধি করি। ইনফর্মেশন ওভারলোডও অনেক সময় অনেক ক্ষতি করে, সেটা বুঝতে পারি।

    অন্য প্রসঙ্গে -- গুরুকে (নিকধারী ব্যক্তি, পত্রিকা নয়) বিলম্বিত ধন্যবাদ।
  • dc | 122.164.82.199 | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:৪৬519774
  • এলেবেলের বইএর দ্বিতীয় সংস্করন বেরিয়েছে দেখে ভালো লাগলো। আমাদের দেশে রামমোহন, বিদ্যাসাগর ইত্যাদি আইনকনদের ডিকন্স্ট্রাকশন খুব জরুরি। আশা করি আপনি এদের নিয়ে আরও বই লিখবেন, এসব নিয়ে আলোচনা হবে। 
  • | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:১৭519773
  • শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন এলেবেলে। 
     
     ২৩ এর বইমেলায় ৩ দিনের চেষ্টায় রামমোহন তুলতে পেরেছিলাম। রোজই যেতাম আর খোয়াবনামা বলে আজ তও আসে নি কাল দেখুন।   প্রায়  শেষের দিকে গিয়ে পাই। 
  • Arindam Basu | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:২৩519772
  • প্রোডাক্টিভিটির সমস্যা, "
    তার উপর দ যা বল্লেন, শুধু তো বই নয়, আরও কত কত বিষয়ের ওপর কত ইন্টারঅ্যাক্টিভ তথ্য ফেসবুকে। বহু বছর বাদে নিয়মিত ঢুকে, একটি বিশেষ বিষয়ের তথ্যের জন্যে, একেবারে যাকে বলে হুব্বা হয়ে গেলাম। ভাবছি, আগেই যদি বুদ্ধি করে আসা শুরু করতাম, তবে এই সব সামান্য তথ্যের জন্যে এর ওর পা ধরতে হত না! এও কি কম ব্যাপার? 
     
    বলুন অরিন, এর সমাধান! "
     
    প্রো_স, আপনি এবাবদে একা নন, এমন বহু মানুষ আছেন যারা বলেন অফিস বা অন্যান্য লেখালিখির জন্য মাইক্রোসফট বা গুগল ডকস ধরণের সফটওয়্যার ব্যবহার না করলে দৈনন্দিন কাজ চালানো যায় না। হয়ত বযবসায়িক কাজের জন্য, চিঠিপত্র লেখার জন্য মাইক্রোসফট অফিস কাজে দেয়, তাহলেও আজকাল ডেস্কটপ বলুন বা ক্লাউড বেসড বলুন, প্রচুর ফ্রি ওপেন সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন। libreoffice এর পুরো অফিস সুইট বেশ ভাল। বা সেসব কিছুই ব্যবহার না করে শুধু মারকডাউন দিয়েই দিব্য কাজ চালানো যায় । 
     
    আমার  ব্যক্তিগত জীবনদর্শন, যতটা কমের ওপর জীবন কাটানো যায়। যেমন ধরুন ডিজিটাল মিনিমালিজম, যতটা কম ডিজিটাল অ্যাসেট নিয়ে কাজটুকু করা যায়, ততটুকু। তার বেশী তো নেই, কম হলে বরং ভাল। এতে করে অন্তত আমার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় কাজের ফোকাস বাড়ে, কারণ নিজে ইচ্ছাকৃতভাবে যতটা কম রিসোর্স নিয়ে কাজ করতে শিখবেন বা জীবন কাটাতে শুরু করবেন (জীবনের সর্বক্ষেত্রে), ততটা জীবনের অন্য জটিলতা গুলো কমতে থাকে । দৈনন্দিন জীবন থেকে ফেসবুক, এক্স উড়িয়ে দিন, আপনার তথাকথিত প্রোডাকটিভিটি বাড়বে বই কমবে না। 
  • হে হে | 2405:8100:8000:5ca1::194:6e65 | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:৫৬519771
  • কি আর করবি শুকরশাবক তোর লেখায় মাছিটাও বসে না ওই উঞ্চবিত্তিই করে যা
  • দীপ | 42.110.146.90 | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:৪৬519770
  • বিদ্যাসাগরের শ্রাদ্ধ চলছে, চলবে! 
     
    এরকম নিষ্ঠা সহকারে শ্রাদ্ধ দেখা ভাগ্যের ব্যাপার!
  • এলেবেলে | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০:৫০519769
  • রঞ্জনবাবু, অবশেষে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারলাম বলে ভালো লাগছে। আগামী বইমেলায় প্রকাশিত হচ্ছে বিদ্যাসাগরের দ্বিতীয় সংস্করণ। পরিমার্জনার পরে সব মিলিয়ে বইটার আয়তন হচ্ছে ৫৭৫ পৃষ্ঠা। প্রচুর নতুন তথ্য থাকছে, বাদ যাচ্ছে কিছু কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু। আপনার উপদেশ মেনে ভাষাপ্রয়োগেও সূক্ষ্ম বদল ঘটেছে। শ্রীশচন্দ্র সংক্রান্ত তথ্যবিভ্রাটের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানাই।
     
  • π | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:১৭519768
  • থ্যানকু কেকে :)
  • প্রোডাক্টিভিটির সমস্যা | 173.49.254.96 | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ০০:৪৯519767
  • তাও বটে। 
  • Arindam Basu | ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ০০:৩১519766
  • "ওদিকে, অরিন কিনা একটা গোটাগুটি ইকোসিস্টেম বানিয়ে ধনতন্ত্রের জাল আটকাচ্ছেন।"
     
    ঐরকম কোন ব্যাপার নয়। 
     
    আমাকেও কাজের সূত্রে মাইক্রোসফটের সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হয়। আমাকেও কাজের জন্য গুগল ব্যবহার করতে হয়। তাহলেও কাজের জায়গার ফেসবুক আর আগেকার টুইটার, এখনকার X আমি আর ব্যবহার করি না। এবং যে কোন কারণেই হোক, আমার বহু সহকর্মীও ব্য্যবহার করেন না।
    সকলের জীবন যাপনের পরিস্থিতি তো এক রকম নয়। আমি যে দেশে বসবাস করি, সে দেশে যত মানুষ থাকেন, তার থেকে বেশী সংখ্যার মানুষ  কলকাতার শ্যামবাজার থেকে গড়িয়াহাটের মধ্যে থাকেন। এবং এর মধ্যেও আমি থাকি এদের শহর থেকে অনেক দূরে। যার জন্য স্রেফ নিজের জীবনযাপনের প্রয়োজনেই আমরা "প্রায়" অফ গ্রিড জীবন কাটাই। 
    এই ফ্রি ওপেন সোর্স সফটওয়ার ব্যবহার করার অনুপ্রেরণা সেই জীবন থেকেই এসেছে।
    সেটা যে সকলের ক্ষেত্রে একরকম হবে তা তো নয়। হলে ভাল, না হলে ঠিক আছে।
  • প্রোডাক্টিভিটির সমস্যা এবং অরিনের ইকোসিস্টেম  | 173.49.254.96 | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:২০519765
  • দেখুন, আমি সেলফোন নিইনি যদ্দিন না বৌ হারায়! যদিও বা নিলাম, স্মার্টফোনও নিইনি ইমেলের মধ্যে ছবিছাপা আসার আগে। তদ্দিনে কিনা অর্কুট পেড়িয়ে ফেসবুক হয়ে গেছে, সেখানেও পা কদাচিৎ দিই! 
     
    কিন্তু কাজ করি কর্পোরেটে, প্রোডাক্টিভিটি মূলমন্ত্র। আপিসের গুগল স্যুইট, বাচ্ছাদের স্কুলেও তাই। ব্যক্তিগতভাবে সেসব ব্যবহার করে স্যাটাস্যাট ঝকাঝক করা যাচ্ছে যে কাজগুলো যা আমি আসলে করতে চাই। ইদিকে গুগল আর মাইক্রোসফ্ট আমার গাঁট কেটে চারপয়সা বানিয়ে নিচ্ছে, কিন্তু তাদেরো ও তো ব্যবসা করতে হবে! 
     
    ওদিকে, অরিন কিনা একটা গোটাগুটি ইকোসিস্টেম বানিয়ে ধনতন্ত্রের জাল আটকাচ্ছেন। সেও তো চেষ্টা করেছি, অতীতে। সাদা মেঘের দল ওড়ে সে পথে, তবু, বড় পাথর বিছানো। একটু করে এগোতেই কত সময় লাগে! পরিবার আপিস শখ সামলে পাই কই সে সময়? 
     
    তার উপর দ যা বল্লেন, শুধু তো বই নয়, আরও কত কত বিষয়ের ওপর কত ইন্টারঅ্যাক্টিভ তথ্য ফেসবুকে। বহু বছর বাদে নিয়মিত ঢুকে, একটি বিশেষ বিষয়ের তথ্যের জন্যে, একেবারে যাকে বলে হুব্বা হয়ে গেলাম। ভাবছি, আগেই যদি বুদ্ধি করে আসা শুরু করতাম, তবে এই সব সামান্য তথ্যের জন্যে এর ওর পা ধরতে হত না! এও কি কম ব্যাপার? 
     
    বলুন অরিন, এর সমাধান! হয়ত সমস্যা আরো গভীরে - কেন এত প্রোডাক্টিভিটি লাগবে? কি জানি, আমার তো বেশ লাগে, অন্তত বিশুদ্ধ জ্ঞানের জন্যেও প্রোডাক্টিভ হতে! (এমনকি, এলেবেলেরও তো কলকাতাকেই লাগে কত কত বইয়ের জন্যে! )! 
     
    যীশুদিবসে এই সব চাট্টি ভাট দিয়ে গেলুম আপনাদিগকে! 
  • Guru | 2401:4900:733a:d772:44d0:a3f5:2bc6:af07 | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:১৬519764
  • @কেকে                                                                                        জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা l
  • দীপ | 42.110.147.110 | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:০১519763
  • Again a shameless and nameless scoundrel has started personal attack without any reason and logical proceeding! But at this moment the admini is totally dumb! 
    But when some documents have been provided, at this very moment these documents have been removed !
     
    Really nice example and environment of freedom of speech!
     
  • Ceasefire | 117.194.79.214 | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:৫৭519762
  • যুদ্ধবিরতি .
  • kk | 2607:fb90:ea91:cb70:30fb:406:3ce1:604a | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:০৭519761
  • দ'দি, দীমু, যদুবাবু, রমিত, অনেক অনেক থ্যাংকু! দ'দি কেমন করে জানলো আমি রেড ভেলভেট কেক ভালোবাসি?!
  • অতিথি | 2409:4060:2d8b:19b5:6c13:8029:91be:a389 | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:৩৪519760
  • Ceasefire এর বাংলা কি হবে ?
  • Utpal Debnath | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:১৬519758
  • Utpal Debnath | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:০০519757
  • Utpal Debnath | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:৫৮519756
  • Utpal Debnath | ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:৫৮519755
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত