শুরুতেই বলেছি, আমি অর্থনীতি বুঝি না। তাই কত টাকা কোথায় গেল বুঝতে আমার ভরসা গুগুল। কোন ঋণখেলাপি আমার কত টাকা খেয়ে গেল সেটা গুগুল করতে গিয়ে আরেকটা মজার জিনিষ পেলাম। জানলাম, রাজ্যসভায় এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রকের ছোটমন্ত্রী শিবপ্রসাদ শুক্লা গত বছর জুলাই মাসে জানিয়েছেন, রিজার্ভ ব্যাংকের হিসেব অনুযায়ী ভারতবর্ষের ব্যাংকিং সেক্টরে মোট এনপিএ-র পরিমান যা মার্চ ২০১৪তে ছিল আড়াই লক্ষ কোটি, তা ৩১শে মার্চ ২০১৮-তে বেড়ে হয়ে দাঁড়িয়েছে নয় লক্ষ বাষট্টি হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ ভারতের শিক্ষা বাজেটের দশগুন ও ... ...
মোটা মাথার বোকা প্রশ্ন (১)
আমি অর্থনীতিবিদ নই। অর্থনীতির কিছু বুঝিও না। আর বুঝি না বলেই বোকা মাথায় কিছু সোজাসাপ্টা প্রশ্ন আসে। সেইসব প্রশ্নদের এক জায়গায় করার জন্যই এই লেখা।
আজকের লেখার বিষয় ব্যাংক কর্মী। ব্যাঙ্কে যখন প্রথম কম্পিউটার এল তখন বলা হয়েছিল যে এর ফলে দশজন লোকের কাজ একটা মেশিন করবে। ফলে, কর্মীদের ওপর কাজের চাপ কমবে। ভাল কথা। কিন্তু আদতে সেটা হল কি? ব্যংকিং সেক্টরের সঙ্গে যুক্ত লোকজনের ওপর কাজের চাপ কমল কি?
আজকের দিনে যে কোনও ব্যাংক কর্মীকে জিজ্ঞেস করলেই উ ... ...
সন্মুখে সম্ভাব্য মৃত্যুসমুদ্র দেখিয়া অর্জুন কম্পিতকন্ঠে কহিলেন, “হে কেশব। আমার হস্ত শিথিল হচ্ছে, আমি গান্ডীব ধরে রাখতে পারছি না। আমার শরীরে কম্পন অনুভব হচ্ছে, সর্বাঙ্গে স্বেদনি:সরণ হচ্ছে। এ যুদ্ধ আমার পক্ষে সম্ভব নয়, মধুসূদন। তুমি আমায় পথ দেখাও।”
অর্জুনের বিচলিত অবস্থা দেখিয়া বাসুদেব স্থিরকন্ঠে কহিলেন, “হে সখা, শান্ত হও। তোমার মত স্থিতধী পুরুষের এমন নার্ভাস ব্রেকডাউন সাজে না। যদি তুমি এই যুদ্ধে জয়লাভ কর তবে সসাগরা ধরিত্রীর অধীশ্বর হবে। আর যদি বীরগতি লাভ কর, তবে লোকে তোমার ছবি নিয়ে ভোট ... ...
একতার দৌড়: রান ফর ইউনিটি
রাজপথে প্রকান্ড কলরব শুনিয়া বাতায়ন হইতে মুন্ড বাহির করিয়া দেখিলাম অগণিত যুবক যুবতী শিশু কিশোর দৌড়াইতেছে। কোনও বিপদ উৎপন্ন হইয়াছে অনুমান করিয়া ত্বড়িৎগতিতে নীচে আসিলাম। দেখিলাম একদল মানুষ দৌড়াইতেছে। উহাদের চোখেমুখে ভীতি, চেহারায় শঙ্কার ছাপ প্রবল। উহাদের কাহারও মাথায় টুপি, কাহারও গলায় যোগচিহ্ণ। এই প্রানপণ দৌড়ের কারণ জিজ্ঞাসা করিতে কহিল, একতার জন্য দৌড়াইতেছি।
যখন ভাবিতেছি কে এই একতা (কাপুর না কি?) তক্ষণি দেখিলাম উহাদের পশ্চাতে আরও এক লোক দৌড়াইতেছে। তাহাদে ... ...
ঘুগনীটা শেষ করে শালপাতাটা আমার দিকে এগিয়ে টেনিদা বললে, "বলতো, রামায়ণ কাকে নিয়ে লেখা?"
আমি অনেকক্ষণ ধরে দেখছিলাম শালপাতায় কোণায় এককুচি মাংস লেগে আছে। টেনিদা পাতাটা এগোতেই তাড়াতাড়ি করে কোণে লেগে থাকা মাংসের কুচিটা মুখে চালান করে দিয়ে বললুম, "কেন, রামচন্দ্রকে নিয়ে।"
টেনিদা একটা পিলে চমকানো হাসি হেসে বললে, "ফুংসুক ওয়াংড়ুর সঙ্গে দেখা হওয়ার আগে আমিও তাই ভাবতাম।"
ফুংসুক ওয়াংড়ুর নাম শুনে দেখলাম সবজান্তা ক্যাবলাও চোখ পিটপিট করে ঘুরে বসল।
-মতলব, বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক ফুং ... ...
রামায়ন ও ইন্টারনেট (পর্ব ১)
টেনিদা একটু গলাটা ঝেড়ে নিয়ে বলল, বুঝলি সেকালেও ফেসবুক, ইন্টারনেট ছিল।
ক্যাবলা চাপাস্বরে বলল, ওই শুরু হল ঢপের চপ।
টেনিদা হুংকার ছেড়ে বলল, "এ্যাই ক্যাবলা কি বললি রা?"
ক্যাবলা তাড়াতাড়ি সামলে নিয়ে বলল, "আমি না, প্যালা বলছিল, আসার সময় দেখে এসেছে কালিকায় চপ ভাজছে। তাই বলছিলাম, একটু চপ টপ হলে এই বৃষ্টিতে ভালো হত।"
আমি সবে প্রতিবাদ করতে যাব, এমন সময় টেনিদা উদাস গলায় বলল, "নাহ্ চপ আর খাবো না। বরং নগেনের দোকান থেকে একটু পকোড়া নি ... ...
কয়েকটি পলিটিক্যাল প্যারডি
1.
কখনো বদল আসে, সময় মুচকি হাসে,
চারিদিকে সব কিছু সাজানো ঘটনা,
দেখব না ভুলগুলো, কানেতে অহং তুলো,
শুনব না আমি কোনও সম-আলোচনা।
পার্ক স্ট্রীট-কামদুনি, গুন্ডা-মাফিয়া-খুনি,
ছাড়া পায়, ধরা পড়ে শিলা-মৌসুমি,
চোপ! চোপ! চিৎকার, বেয়াদব কোথাকার,
প্রশ্ন করলে জানি মাওবাদী তুমি।
সন্ধ্যে নিবিড় হতে, বারোভুতে লুটেপুটে
ছিঁড়ে খাক, তা হলেও মুখ খোলা মানা,
পুলিশ আজ্ঞাবহ, জীবন যে দুঃসহ,
ফেসবুকে পোস্টালে হবে জরিমানা,
চারিদিক ... ...
বাণী বসু অলকানন্দা রায়রা খুব চিন্তিত। তার সাথে আনন্দবাজার। এবং আমরা।
গৃহশ্রমিক (মানে কাজের লোকেরা) ইউনিয়ন বানিয়েছে। এইবার শুরু হবে গৃহস্থদের হয়রানি।
এই কাজের লোকগুলো মাসে চার দিন ছুটি দাবী করেছে। অর্থাৎ প্রতি সপ্তাহে একদিন। যেমন আমার আপনার থাকে আর কি।
বাণী বসু তাতে খুব চিন্তিত। কেন না এই কাজের লোকগুলো না বলে কামাই করে খুব ফ্যাসাদে ফেলে।
হক কথা।
না বলে কামাই করবে কেন? বলেই তো ছুটি নিতে পারে। সি এল, ই এল, মেডিক্যাল লীভ তো আছেই। শরীর খারাপের অজুহাত ... ...
বর্ষাকাল। তিনদিন ধরে ঝমঝম করে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। আমাদেরও ইস্কুল টিস্কুল বন্ধ। রাস্তায় এক হাঁটু জল। মায়েরও আজ অফিস যাওয়ার উপায় নেই। কি মজা। যদিও পুরোনো বাড়ির ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ছে, ঘরের মেঝেতে ড্যাম্প, জামাকাপড় না শুকিয়ে স্যাঁতস্যাঁত করছে, কিন্তু তাতে আমাদের কি? ওইসব বাবা-মাদের চিন্তা। আমরা জানলার ধারে বসে ভাইবোনে মনের আনন্দে কাগজের নৌকো বানাচ্ছি আর রাস্তায় ফেলছি। মা বারদুয়েক বারণ করে গেছে। বৃষ্টির ছাঁট গায়ে লাগলে জ্বর আসতে পারে। কিন্তু হু কেয়ারস? এমন বৃষ্টি কি আর রোজ রোজ হয়? এমন দিনেই তো চাই কাগজের ... ...
আমগো সব আছিল। খ্যাতের মাছ, পুকুরের দুধ, গরুর গোবর, ঘোড়ার ডিম..সব। আমগো ইন্টারনেট আছিল, জিও ফুন আছিল, এরোপ্লেন, পারমানবিক অস্তর ইত্যাদি ইত্যাদি সব আছিল। আর আছিল মাথা নষ্ট অপারেশন। শুরু শুরুতে মাথায় গোলমাল হইলেই মাথা কাইট্যা ফালাইয়া নুতন মাথা লাগাইয়া দিত। এই যেমন গণশার করসিল। যন্তু...জানোয়ার.... ওই মানে হাতের কাসে যা পাওয়া যায় আর কি। তারপর হইল কি, লোকজন ইস্যামত মাথা কাটতে আরম্ভ কইর্র্যা দিল। কারুর লাল মাথা কাটি সবুজ কইর্র্যা দিল, তো কাউরে মুকুলেই কাইট্যা করি দিল ... ...