আমাকে একটু রাত্রি দাও, আমাকে একটা রাত্রি দাও ... ...
১৯০১ সালের ২৪ শে অক্টোবর – নায়াগ্রা জলপ্রপাতে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকেরা এক জিনিস অবাক হয়ে দেখতে লাগলেন যে আগে কোনদিন দেখেন নি! মানে কেউ ভাবেনও নি! এক ভদ্রমহিলা নৌকার একপাশে রাখা এক কাঠের ব্যারেলের ভিতর ঢুকছেন – সেই ব্যারেলটা নাকি নৌকা করে মাঝে নদীতে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে। স্রোতের টানে ব্যারেল জলে ভেসে নায়াগ্রা জলপ্রপাতের পুরো উচ্চতা থেকে ধপাস করে পড়বে! কিন্তু যারা দেখছিলেন তাঁরা কেউই বুঝতে পারছিলেন না, আত্মহত্যার ইচ্ছে না থাকলে ঘটা করে এই ভাবে ব্যারেলের ভিতর ঢুকে নায়াগ্রায় ঝাঁপ মারার দরকারটা কি! ... ...
এইখানে লিপিবদ্ধ করা রইল ফেসবুকিয় কিছু টুকিটাকি যেগুলোতে পাবলিক মারহাব্বা দেয় ... ...
আমষ্টারডামে শহরে রাজ করে কারা জানেন? যদি ভেবে থাকেন কপি শপের গাঁজাখোররা – তাহলে ভুল ভাবছেন। এই শহরে জুড়ে দাদাগিরি করে বেড়ায় সাইক্লিষ্ট-রা। এদের জন্য রাস্তায় হাঁটা দুষ্কর হয়ে হয়ে ওঠে – ইন্দোনেশীয়ার জাকার্তা শহর যেমন বাইক বা মোপেডের শহর, তেমনই আমষ্টারডাম শহর ভ্যান গগ, রেমব্রান্ট বা আনা ফ্রাঙ্কের নয় – এই শহর সাইকেলের। ... ...
সেদিন খাওয়া দাওয়া সেরে ফেরার সময় শেফ-কে বিদায় জানাতে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম – এই রেষ্টুরান্টের তেমন বিজ্ঞাপন দেখি না কেন! আবারো সেই টিপিক্যাল উত্তর পেলাম – “দরকার পড়ে না”! রোজই সব টেবিল বুক থাকে, বেশীর ভাগ কাষ্টমারই রিপিট কাষ্টমার। টুরিষ্ট তেমন কেউ আসেই না এখানে – প্রায় চোখের আড়ালে তাদের। টেবিল রিজার্ভ না করে গেলে চান্স কম। তবুও কোন কোন টুরিষ্ট ঘুরতে ঘুরতে এখানে খেতে ঢুকে পরে এবং টেবিল খালি থাকলে তাদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন ধরে নিতে হবে। রিজার্ভ করলে পুরো সন্ধ্যেটাই সেই টেবিলে অতিথি কাটাবে ধরে নেওয়া হয় – ফলে টেবিল টার্ন-রাউন্ড এর কোন কনসেপ্ট নেই এদের। ধীরে ধীরে খাওয়া এবং পান চলতেই থাকে। এত বেশী সময় নিয়ে চলতে থাকে খাওয়া দাওয়া যে এর ফাঁকে একটা পলাশীর যুদ্ধ টাইপের ছোটখাট ইভেন্ট কিছু ঢুকে যেতেই পারে! ... ...
ঝটিকা দার্জিলিং সফরের টুকিটাকি ... ...
সেদিনের অনুষ্ঠানে শচীন দেব গান গাইতে উঠলেন। রবি বাবুর ততক্ষণে চলে যাবার কথা, আর শচীন দেব সরাসরি গ্রীন রুম থেকে এলেন বলে তিনি আর খেয়াল করেন নি শ্রোতাদের মধ্যে রবি ঠাকুর বসে আছেন। গান শুরু হল – শচীন দেব সেদিন গাইলেন ঠুমরি। সেই কি গাইলেন – পুরো অনুষ্ঠান শেষ হলে শচীন দেব পেয়েছিলেন গোল্ড মেডেল। রবি বাবু খুব মন দিয়ে গান শুনছিলেন – মজে গিয়েছিলেন, একসময় জিজ্ঞেস করলেন, " হ্যাঁরে, দিনু, ছেলেটা কে রে? ভারী সুন্দর গাইছে তো।" ... ...
সেই হিসেবে দেখলে সুভাষ শেষ দিন পর্যন্ত মোটামুটি ফিট ছিলেন গড়পড়তা বাঙালির থেকে। তার পিছনেও ছিল বিধান রায়ের তৈরী করে দেওয়া ডায়াট চার্ট। বিধান রায় বুঝিয়েছিলেন যে সুভাষ যদি ওই সেনার পোষাক পরে ইমেজ গড়ে তুলতে চান, তাহলে নিজের ভুঁড়ির ব্যাপারটা কন্ট্রোলে রাখতে হবে। কারণ ভুঁড়িওলা যুদ্ধ সেনা প্রধান খুব এক দৃশ্য সুখকর নয়। বিধে-দার সেই পরামর্শ মেনে চলেছিলেন আজীবন সুভাষ। কেবল সেবারে এমিলি-র সাথে বিয়ের পর অষ্ট্রিয়াতে যে দুই মাস ছুটি কাটিয়ে এলেন তখন বেশ খানিকটা ওজন বেড়ে গিয়েছিল। ... ...
সত্যেন বোসের এস্রাজ শুনে বাবা খুব খুব খুশী। বললেন, “তুমি আমার সাথে মাইহার চলে আইসো। শিখাবো যত্ন করে”। সত্যেন বোস বললেন, একটু ভেবে জানাবেন। এবার এই খবর কি করে যে রবীন্দ্রনাথের কানে চলে যায়। সত্যেন বোসের মতন ছেলে বিজ্ঞান চর্চা ছেড়ে সংগীত চলে যাবে পুরোপুরি, এটা তাঁর কেমন যেন লাগলো। জগদীশের কাছে তিনি শুনেছিলেন যে সত্যেনের ভিতরে পোটেনশিয়াল কি রকম। আর সত্যেন যত ভালোই এস্রাজ বাজান না কেন, তার থেকেও বেশী ভালো অঙ্ক আর ফিজিক্স করতেন। রবি ঠাকুর তাই সরাসরি বাবা আলাউদ্দিনের সাথে দেখা করে সব খুলে বললেন, "দেখুন আপনি হয়ত সত্যেনের থেকে আরো ভালো সংগীতের ছাত্র খুঁজে পাবেন, কিন্তু ওর থেকে ভালো বিজ্ঞানী এই বাংলা হয়ত পাবে না" ... ...
১৯১২ সালে তৃতীয় বারের জন্য ইংল্যান্ড যান প্রফুল্ল রায়। এডিনবাবা ইউনিভার্সিটি-তে কি সব সেমিনার এবং আলোচনা ছিল। সেদিন কাজ শেষ করে বেরিয়ে খুব চা তেষ্টা পেয়ে গেল প্রফুল্ল রায়ের। এডিনবারাতে শুধু চায়ের দোকান পাওয়া খুব চাপের – সামনের এক বার-এ ঢুকে জিজ্ঞেস করলেন সেখানে কফি সার্ভ করে কিনা ওরা। হ্যাঁ বললে, তিনি তখন জিজ্ঞেস করলেন কফি পাওয়া গেলে, চা-ও পাওয়া যাবে কিনা? ইংল্যান্ডে তখন চা পান বেশ বেশ জনপ্রিয় হয়ে গেছে। প্রফুল্ল রায়কে অবাক করে এই পাব মালিক বলল চা পাওয়া যাবে। পাবে বসে প্রফুল্ল রায় তাঁর ব্যাগ থেকে বের করলেন ড্যানিয়্যাল অলিভারের ১৮৬৯ সালে লেখা বই “ফার্ষ্ট বুক অফ ইন্ডিয়ান বোটানি” – কারণ তিনি তখন হাত দিয়েছেন ভারতীয় ভেষজ ইত্যাদি নিয়ে কিছু গবেষণায়। একমনে পড়তে পড়তে চা-য়ে চুমুক দিচ্ছেন, এমন সময় শুনলেন এক সাহেব জিজ্ঞেস করছে, “উড ইউ মাইন্ড ইফ আই জয়েন ইউ”। ... ...