নিঃশব্দ চরণপাতশব্দ মাতাল ভাঙন পাশে,সন্তাপহীন সে পরবাসে,অভিমানী সম্প্রপাতেরুদ্র মাতেতৃষিত আঁখিপাত। ... ...
অসহনীয় দ্বন্দ্ব বাঁধাতীব্র হৃদয়-বিষাদ গাথাঅহর্নিশশোক-পত্র-পদ্মরাগেনিভৃত স্বর-নিনাদ জাগেঅনিমিখ। ... ...
প্রত্যেক দিনের শেষে বইয়ের শেষ পাতার মত একটা ভালোলাগা মিশে থাকে। অদ্ভুত কষ্টে সেই ভালোলাগার অনুভূতি কোনোদিন যদি ধুয়ে যায় তবে কালপুরুষ, দেখো তার সাথে ক্যানভাসের গায়ে ভুল করে পড়ে যাওয়া রঙ যেন ক্ষত হয়ে আসার আগেই ঝাপসা হয়ে যায়। এই প্রার্থনায় অনেক কোমল স্বরের যন্ত্রণা লুকিয়ে পড়ে। তুমি জানো কাকে বলে দুঃখ? আমি জানি। ভৈরবী যখন কোমল ঋষভ-কে বুকে টেনে নেয় তখন শুনতে পাও, কী গভীর ভালোবাসায় এক সাধনার সমাপ্তি হয়? জানতে পারো ঈশ্বর-স্বপ্ন-স্ফটিক ভাঙে? শুনতে চাও, কী পরম শৈত্যে শীতঘুম নামে বইয়ের শেষপাতার প্রতি অক্ষরে। সব শব্দের নাম দিতে দিতে ক্লান্ত তুমি সেদিন আশ্রয় নেবে পুনরাবৃত্তির। স্থৈর্যের শীতলগ্লানি ... ...
অনুবাদ : যে রাতের কাছে তুমি দৃষ্টি রেখে এলেসে অতল চেনে দূর থেকে দূরতর, তারও বেশী দূর।বিলম্বিতসুদূর অতীত থেকে প্রতিপদে আশাফিরে গেল অতন্দ্র প্রহরীর হাত ধরে।আরও কিছুদিন, বাকী আছে, বাকী আছেআমার কাছে ; জড়ো করিহৃদয়ের পাদদেশে।করতলব্যাপী হয়ে শূন্যতা বিস্তারী।অনর্গল পূর্ণতায় গতি রুদ্ধ করেআমার দুহাত জুড়ে তোমার মুখচ্ছবি।শুধু তোমায় সাথে নিয়ে এ উজানি দেহ বাওয়া,মুখোমুখি হতে হবে জেনেছিন্ন মূল হয়ে,দীঘল বাতাসে ভেসে যাওয়াবালুময় মুঠো থেকে তিতিক্ষা সয়ে যায়।শুধু যে সময় ঝরে গেলতপ্ত ধুসূর বালি।ধু-ধু করা গহীন আঘাতএক পশলা বৃষ্টিদিনেআজ হঠাৎ জীবন নামে ঝরে। মূল লেখা: As high as the nightfar from your eyeslatelike an ancient guard of hopeI gather the days remaining to meand ... ...
প্রবল আঘাত আমায় নৈঃশব্দ্য দিয়েছে চিরকাল। উঠে চলে যেতে ইচ্ছে হয় খুব। নতুন চাদর পেতে, সব ঝেড়ে পরিপাটি দেখে চলে যেতে ইচ্ছে হয়। বসে থাকার দাগটুকু মুছে দিয়ে জানলার ফাঁক দিয়ে পিছলে আসা আলোয় যে ধুলোবালি ওড়ে ওদের সাথে আমি উড়ে যেতে চাই। ওদের মত আমায়ও কেউ মনে রাখেনি। তাই কী ভীষণ অনায়াসে উঠে যাওয়া যায়। তারপর লোভ হয়, বড় লোভ হয় থেকে যেতে, পরিপাটি বিছানায় বসে, আমার থেকে যাওয়াগুলো রেখে যেতে। তারপর? ধুলোবালি চোখে পড়ে। জল ঝরে ক্রমাগত। একসময় দেখি ছাই রঙ আমায় বুকে টেনে নেয়। জানলার গরাদ ডিঙিয়ে ধুলো-বালি-ছাই উড়ে যায়। অবিকল আমার মত ক'রে!কবেকার পুরানো অনুতাপ আমায় ... ...
পরম আকাঙ্খিত।ছুঁতে চাও তাকে?শীতল হও,শীতল হও।আগুন ছুঁতে হলে।ধরো, তোমার শরীর জুড়ে ডুবে যায়আপতিক সংরাগে রামধনুর অনুকম্পা;হয়তো প্রস্তরীভূত তোমার দুহাতেঅবনমিত ক্ষয়,মসৃণ আবেশে সিক্ত।যদি কিছু স্বীকারোক্তির দায়নেমে আসে তোমার দু'চোখ ধরে ?যার তুলির টানেউঠে এসেছিল প্রত্যেক পেশীতন্তু ;এক এক করে,তার প্রত্যেক অস্থি-র বঙ্কিমতায়তোমার স্তিমিত অক্ষর সাধনা;আজন্মলালিত।শীতঘুম থেকে কবি উঠে আসে।শূন্য চিত্রপটে বিতাড়িত রক্তাভ অনুভব,তমোময় রক্তের আস্বাদ।অমৃতসমা।শিল্পীর আয়ুধে ইতিহাস লেখেনিসূক্ষ্মতর বিভাজন।কল্পিত শ্রাবণ।কোন জলে ধুয়ে যায় নিঃশব্দ অধিকার?সেই জলে নামো তুমি, প্রিয়তমা।অক্ষত আকল্প জুড়ে জুড়েএক শরীর জন্ম নিক।যে চিত্রকল্প জুড়ে প্রেয়সীর নগ্নতা,তাই হোক তবে আজ : উদ্বায়ী।আগুন ছুঁতে চাও?দগ্ধ হও,দগ্ধ হও।শীতলস্পর্শী হলে।প্রেয়সীর পরিবর্তিত অভিমুখেরস্থানান্তরিত প্রেক্ষাপট, দাঁড়িয়েছিলে কি তুমি?তোমার আরব্ধ দু'চোখ, ভেসে আসেপ্রেয়সীর বাহুডোর।শ্রাবণের শেষ ... ...
যে রাতের কাছে তুমি দৃষ্টি রেখে এলেসে অতল চেনে দূর থেকে দূরতর, তারও বেশী দূর।বিলম্বিতসুদূর অতীত থেকে প্রতিপদে আশাফিরে যায় অতন্দ্র প্রহরীর হাত ধরে।আরও কিছুদিন, বাকী আছে, বাকী আছেআমার কাছে ; একসাথে জড়ো করি,হৃদয়ের পাদদেশে।করতলব্যাপী হয়ে শূন্যতা বিস্তারী।অনর্গল পূর্ণতায় গতি রুদ্ধ করেআমার দুহাত জুড়ে তোমার মুখচ্ছবি।শুধু তোমায় সাথে নিয়ে এ উজানি দেহ বাওয়া,মুখোমুখি হতে হবে জেনেছিন্ন মূল হয়ে,দীঘল বাতাসে ভেসে আসাবালুময় মুঠো থেকে তিতিক্ষা সয়ে যায়।শুধু যে সময় ঝরে গেলধুসূর বালি।ধু-ধু করা গহীন আঘাতএক পশলা বৃষ্টি দিনেআজ হঠাৎ জীবন নামে ঝরে। As high as the nightfar from your eyeslatelike an ancient guard of hopeI gather the days remaining to meand I ... ...
সময় পেরিয়ে গেলে তবে, ক্ষমা, দিতে চেয়ে নিয়ে আসা শেখা। শেখা দিতে চাওয়া। ভালোবাসি, বলেছিলে, শূন্য অনুভব। চেয়েছিলে কিছু তাই, চাওয়া, যেন বন্ধু হতে চায়। সমাধিস্পর্শী এসব, অর্থহীন। ব্যর্থ নামে ডাক তাকে। শুধু হায়, সময় ফুরিয়ে গেলে তবে।"Over time you will learn to forgive or ask for forgiveness, say you love, say you miss, say you need, say you want to be friends, since before a grave, it will no longer make sense. But unfortunately, only over time…”~Jorge Lui Borges ... ...
তখনও চেননি অনমনীয়তার স্বর। তুমি, খোঁজনি তখনও দৃঢ়তার স্পর্শ। খুঁজতে গেলে যেদিন, মনে হয়েছিল পৃথিবীর সব সেতু একসাথে ভেঙে পড়েছে, তারপর তুমি তিস্তার জলে ভেসে, পাথরের স্পর্শে, তার প্রত্যেক চুম্বনে ক্ষতবিক্ষত হয়েও বেঁচে যাবে। ভুলে যাবে সেতু ভাঙায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে, একদিন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে চিৎকার ক'রে বলেছিলে, "আমি ভাঙিনি, আমি ভাঙিনি..."। তোমাকে তখনও শেখানো যায়নি কঠিনের অর্থ। এরপর একদিন তিস্তার কাছে দাঁড়িয়ে তুমি তাকে প্রশ্ন করবে। সে বলে,"দেখো দেখো রে চিত্তকমলে চরণপদ্ম রাজে-- হায়!"সেদিন ওপরে তাকাতে তুমি দেখতে পেয়েছিলে, তিস্তার দুপাড় জুড়ে সেতুবন্ধন। অক্ষত। তুমি জানতে পেরেছিলে, সেতু নয়। মানুষ ভেঙেছিল সেদিন। এমন করে তুমিই ভেঙেছিলে। প্রতিদিন। একটু একটু ক'রে... আজ তার ওপর ... ...
ধারণা ভাঙলে শব্দ হয়? তার কি যন্ত্রণা হয়? কাঁদে সে ব্যথা পেলে? হয়তো হয়, হয়তো কাঁদে। সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়ে, কার্নিশে তখন জমতে থাকা শ্যাওলায় চোখের জল পিছলে নীচে পড়তে থাকে। তিনতলার ঝুলবারান্দা, দোতলার লাইব্রেরী, একতলার সিঁড়ির ঘর কেউ তাকে ডাকেনা, কেউ বলেনি, "দাঁড়া, কি হয়েছে?""বিপরীত মুখে চলে যাওয়া রাজপথ কতোটা সময় রেখে যায়---আয়ুহীন মাপকাঠি?"অল্পেতে কষ্ট পায়, অল্পেতে হাসে। আর কষ্ট পেলে? হাসে। ধুলো উড়িয়ে, পাথর কুড়িয়ে নিয়ে হেসে ওঠে। পাথর জমানো যে তার শখ। সেই ছোট্টবেলার শখ। পরশপাথর? ধারণা ভেঙে পড়েছে। টুকরো টুকরো পাথর হয়ে। মাটির সোঁদা গন্ধে, বকুল কুড়াতে এসে কেউ পাথর তুলতে থাকে, বিন্দু বিন্দু শিশিরে তার ... ...