লক্ষ্য করে দেখেছেন কি যে ইংরাজীতে এর বানান ‘Whiskey’ এবং ‘Whisky’ এই দুই ভাবেই লেখা হয় – মানে একটা ‘ই’ এর তফাত! টাইপো ভাবছেন বা ভাবছেন আমেরিকান ইংলিশ? না, আদপে ব্যাপারটা তা নয়। মনে রাখবেন এটা কোন আইন নয়, কিন্তু হুইস্কির ইতিহাসে আগে একটা কাষ্টম ছিল যে, ‘Whisky’ লেখা হত স্কচ্, কানাডিয়ান এবং জাপানীজ হুইস্কির জন্য। আর ‘Whiskey’ লেখা হত আইরিশ এবং আমেরিকার হুইস্কির ক্ষেত্রে। কিন্তু আজকাল অবশ্য সেই কনভেনশন আর মেনে চলা হয় না – ... ...
কোভিডের পর থেকে শুধু আমেরিকায় ‘ওয়েল ফিল্ড সার্ভিস’ এর সাথে যুক্ত চাকুরী হারা হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ লোক। শুনেছি আমেরিকায় আগে মেটাল-মাইনিং ইন্ডাষ্ট্রিতে ইউনিয়ান ইত্যাদি কিছু ছিল, হালকা টাকা কড়ি দিয়েছে। কিন্তু ওয়েল ফিল্ড সার্ভিসের লোকগুলোর কি হয়েছে? সব পিচবোর্ডের বক্সে করে সার্টিফিকেট আর ছবি প্যাক করে বাড়ি গেছে। দুঃখজনক? নিশ্চয়ই! কিন্তু কিছু করার আছে? না – নেই, এটাই বাস্তব। তবে এই নিয়ে তেল ব্যবসার সাথে যুক্ত যাদের চাকুরী গেছে তারা বিশাল আন্দোলন ইত্যাদি কিছু করার কথা ভাবে নি। কারণ তারা চাকুরী করতেই ঢুকেছিল এই অনিশ্চয়তা জেনে। যেকোন দিন চাকুরী চলে যেতে পারে – ৩০ বিলিয়ন ডলারের প্রোজেক্ট রাতারাতি বন্ধ হয়েগেছে ৩৫০০ কনট্রাক্টর রাতারাতি নোটিশ পেতে পারে বিল্ডিং, এবং এক্সপ্যাত হলে শহর ছাড়ার জন্য। অনেকে রোটেশন বেসিস এ কাজ করে – মানে ২৮ দিন টানা কাজ, ২৮ দিন বাড়িতে ছুটি। কোভিডের সময় অনেকে ওই ২৮ দিনের ছুটিতে বাড়িতে এসে মেল/কল পেয়েছে যে আর আসতে হবে না! ... ...
ইংল্যান্ডের কর্ণওয়েল এর কাছে একটা গ্রাম – সেই ১৭৯০ সালের কথা। উইলিয়াম গ্রেগর অভ্যাসমত ভোরবেলা হাঁটতে বেড়িয়ে সেদিন গ্রামের থেকে একটু দূরেই চলে এসেছেন – আগে এদিকটাই তেমন আসা হয় নি। একটা কর্ণ মিলের পাশে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ এক অদ্ভূত ধরণের কালো রঙের বালি চোখে পড়ল। এমন নয় যে আগে কোনদিন কালো বালি দেখেননি গ্রেগর, কিন্তু সেই সব ক্ষেত্রে কালো বালি মিশে থাকে এমনি বালির সাথে – আর এই বালির টেক্সচারটাও কেমন যে আলাদা মনে হল একটু। বেড়াতে বেরিয়ে এটা ওটা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করার অভ্যাস গ্রেগরের অনেক দিনের। তাই সাথে করে একটা ব্যাগ নিয়েই বেরোন। সেদিন কাঁধের ব্যাগে ভরে নিলেন কিছু বালি বাড়িতে ফিরে নিজের গবেষণাগারে আরো ভালো করে পরীক্ষা করবেন। বাড়ির গবেষণাগারে দেখতে পেলেন সেই বালিতে আবার চৌম্বক শক্তি রয়েছে। ইন্টারেষ্ট বেড়ে গেল গ্রেগরের। রোজ বেড়াতে বেরিয়ে সেই কালো বালি নিয়ে এসে আরো ভালো করে বিশ্লেষণ করা শুরু করলেন। এইভাবেই তিনি বের করে ফেললেন যে সেই কালো বালিতে সিলিকা, আয়রন ছাড়াও আদপে মিশে আছে এক অজানা পদার্থ – যার নাম তিনি দিয়েছিলেন ‘মানাকানাইট’। কিন্তু তখনো গ্রেগর জানতেন না তিনি তখন যা আবিষ্কার করছেন ১৫০ বছর পর সেই জিনিস পৃথিবীর ইতিহাস অনেকটা বদলে দেবে! ... ...
পটলওলা ফিলসফিক্যাল পটলতোলা বুঝতে পারে নি বলে সক্রেটিস ঈষৎ খাপ্পা হয়ে গেছেন – আশাপাশে তখন তাঁর প্রিয় ছাত্র – গোলগাপ্পাস, হোগাসপোগাস, ফাষ্টোকেলাস, হলুদঅমলতাস, গপগপখাস ও একদমঝাক্কাস। ফাষ্টোকেলাস এমনিতে খাই খাই করলেও সে বেশী খেতে পারত না, তার আহিঙ্কেটাই ছিল ষোলআনা। খেত বেশী গপগপখাস – নিঃশব্দে খেত, যা পেত খেত। উত্থাপম খেয়ে সক্রেটিসের মতই তারও ঠিক জমে নি। তাই পটলের পাশের ঝুড়িতে কচি শসা দেখতে পেয়েই তুলে নিয়ে দিয়েছে কামড়। সব্জীওলা কমপ্লেন করলে সাথে সাথে, “স্যার দেখুন, কেমন কামড় দিচ্ছে আমার শসায়!” ... ...
ভোর হয়ে গেছে অনেকক্ষণ। সক্রেটিস ঘরের দরজা খুলে বেরিয়ে এসে জোব্বার ফাঁক দিয়ে হাতদুটো বের করে একটু গা-টা ছাড়িয়ে নিতে লাগলেন। সকালের দিকে এমন জোব্বা গায়ে চাপাতে ভালো লাগে না, কিন্তু একেবারে উদোম গায়ে যাওয়া ঠিক নয়। বউ অনেক করে শিখিয়েছে শুধু জ্ঞান ছড়ালেই হয় না, ইমেজ গড়ে তুলতে হবে একটা। সকালে দিকে গোটা পাঁচেক শিষ্য আসে, তারা অলরেডি চলে এসেছে দেখলেন। সকালে দিকে উঠোন ইত্যাদি ঝাঁট-টাঁট এরাই দেয় – হালকা প্রাতরাশ এরাই নিয়ে আসে। ... ...
রয়টার্স নাকি ২০১২ সালে ইংল্যান্ডের পর্যটকদের মধ্যে একটা সার্ভে করেছিল, যেখানে তাদের বেছে নিতে বলা হয়েছিল স্ট্রিট ফুডের জন্য পৃথিবীরে বিখ্যাত শহরগুলিকে। তার মধ্যে মালয়েশিয়ার পেনাং আসে তৃতীয় স্থানে – এবং ইন্টারেষ্টিংলি প্রথম দুটি জায়গাও এই এশিয়ার শহরই দখল করেছে – প্রথম স্থানে থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্কক এবং দ্বিতীয় স্থানে সিঙ্গাপুর। ষষ্ঠ স্থানে আছে ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটি। সত্যি কথা বলতে কি এই র্যাঙ্কিং নিয়ে বিশেষ দ্বিমত হবার চান্স নেই – এশিয়ার যে শহরগুলির নাম করা হয়েছে, তাদের স্ট্রীট ফুড সত্যিই অসাধারণ। তবে আমাকে বললে, আমি হয়ত সিঙ্গাপুরের জায়গায় মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরকে রাখতাম। আর প্রথম দশটি স্থানে যেখানে ঠাঁই নিতে পেরেছে এশিয়ার চারটি শহর, তাই এই কথা মেনে নিতে কোন বাধা নেই যে, স্ট্রীট ফুডের স্বর্গ হল এই এশিয়ার নানা শহর। ... ...
বেশী দিন যৌবন ধরে রাখার মধ্যে খারাপ কিছু নেই – ওই যাকে আমরা ‘হেলথি লাইফস্টাইল’ বলি তা মূলে তো ভালো ভাবে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকাটাই আছে। সেক্ষেত্রে আমরা যেটা খুব সহজেই নিয়ন্ত্রন করতে পারি তা হল আমাদের দৈনন্দিন জীবন যাপন এবং আমাদের খাওয়া দাওয়া। এ পর্যন্ত ঠিক আছে, কিন্তু এর বাইরে যে জিনিসগুলো আরোপিত হয়েছে আমাদের বার্ধক্য রোধ করার জন্য সেগুলোর রাজনীতি এবং অর্থনীতি খুব জটিল। বিজ্ঞানের চোখে এবং প্রমাণাদির উপর ভিত্তি করে আমরা ঠিক এই মুহুর্তে কোথায় দাঁড়িয়ে? পুষ্টিকর খাবার এবং সাধারণ স্বাস্থ্য ছাড়া এমন কি কোন প্রমাণ পাওয়া গেছে যে আমরা কিছু আবিষ্কার করতে পেরেছি যাতে করে বার্ধক্য আটাকানো যায়? সঠিক উত্তর হল – না। কোন ম্যাজিক বার্ধক্য বিরোধী বুলেট আবিষ্কার হয় নি, না হয়েছে কোন বার্ধক্য বিরোধী খাবার বড়ি, না কোন ইঞ্জেকশন, না কোন ম্যাজিক ক্রীম বা স্প্রে – তা এ সব বিশাল দামী বা সস্তা যাই হোক না কেন! কিন্তু তার মানে কি এই বিষয়ে কোন গবেষণা চলছে না? চলছে বৈকী! বিশাল সব গবেষণা চলছে, এমনকি বিগত দুই দশকে এই নিয়ে নাড়াঘাঁটা আরো বেড়েছে! বার্ধক্য বিরোধী রিসার্চ খুব বেড়েছে বায়োলজিক্যাল গবেষণায় - যে সব জিনিসগুলো সাহায্য নেওয়া হচ্ছে তার রেঞ্জ বিশাল – ন্যানো-মেডিসিন, টিস্যু-ইঞ্জিনিয়ারিং, স্টেম-সেল রিসার্চ চলছে জোর কদমে, যারা নাকি শুধু বার্ধক্য ঠেকাবে না, আমাদের বয়স কমিয়েও দিতে পারবে ভবিষ্যতে! এগুলোর বেশীর একটু দূরে এখন, কিন্তু বুড়ো হওয়া ঠেকাতে আমরা বেশ কিছু জিনিস সহজে হাতের কাছে পেয়ে খুব ব্যবহার করি। এই সহজে লভ্য দুই ধরণের জিনিস হচ্ছে – নানা ধরণের খাবার/সাপ্লিমেন্ট/মেডিসিন আর কসমেটিক্স (মুখে/গায়ে মাখার ক্রিম ইত্যাদি)। ... ...
মানুষের ভীতি এবং যৌন উত্তেজনার মধ্যে কোন সম্পর্ক আদৌ আছে কিনা ডোনাল্ড ডাটন এবং আর্থার আরন নামে দুই গবেষক তা তলিয়ে দেখার চেষ্টা করছিলেন! তাঁরা অনুমান খাড়া করেছিলেন এই মর্ম যে ভীতি বা উদ্বেগ জনিত অবস্থা যৌন উত্তেজনা বাড়াবে কারণ সেই অবস্থায় আমাদের মস্তিষ্ক ভুলভাবে সনাক্ত করবে যৌন উত্তেজনা জাগরণের মূল কারণ (“মিস-অ্যাট্রিবিউশন অফ আর্যাউজাল”)। এই থিওরী অনুযায়ী, যদি আমরা এমন কোন অবস্থার মধ্যে থাকি যা আমাদের মধ্যে খুব বেশী আবেগ জাগিয়ে তোলে, তাহলে আমরা বেশীর ভাগ সময় ভুল ভাবে আবেগের কারণ হিসাবে চিহ্নিত করি আমাদের সাথে থাকা মানুষটার সাথে – আসলে যেখানে আমাদের চালিত করছে সেই মুহুর্তে কোন পরিস্থিতিতে আছি মূলত সেটাই। এ তো গেল হাইপোথিসিস – কিন্তু এটা প্রমাণ করা যাবে কিভাবে? ভ্যাঙ্কুভার শহরের কাছে মানুষ পারাপারের ক্যাপিলানো ঝুলন্ত ব্রীজ। যাঁরা কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার দিকে গেছেন তাঁরা জানেন যে ওখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য খুব সুন্দর। আর এই ব্রীজটা ঠিক বাণিজ্যিক ব্রীজ নয় বরং খুব সুন্দর প্রাকৃতিক জায়গার মধ্যে বেড়াতে গিয়ে ব্যবহার করার জুলন্ত সেতুর মত – প্রায় ৪৫০ ফুট মত লম্বা – পুরোটাই কাঠ এবং দড়ি দিয়ে তৈরী, এবং খুব সরু। বুঝতেই পারছেন কাঠের পাটাতনের উপর দিয়ে এই ব্রীজ পেরোবার সময় বেশ ক্যাঁচ ক্যাঁচ শব্দ হত – আর পায়ের নীচে দেখা যেত প্রায় ২৫ তলা বাড়ির সমান গভীর পাথুরে খাদ। হাওয়া দিলে বা জোরে চলার চেষ্টা করলে সেই কাঠের সেতু দুলত – এবং কিছু এদিক ওদিক হয়ে গেলে নীচে পাথরের উপর পরে গেলেই ব্যাস গল্প খতম! ১৯৭৪ সালের কোন এক দিন - এক খুব সুন্দরী মহিলা সেই ঝুলন্ত সেতুর উপর যে সমস্ত একাকী যুবক পারাপার করছিল তাদের কাছে (এক সময়ে একজনের কাছে) এগিয়ে, একহাত দিয়ে সেই ঝুলন্ত দুলতে থাকা ব্রীজের ধারের দড়ি ধরে নিজের ব্যালেন্স রাখার চেষ্টা করতে করতে মিষ্টি তাকালো - ... ...
মেয়েদের হেঁসেল ঠ্যালার গল্প কি সারা পৃথিবী জুড়েই এক, এমন কি আজকের দিনেও? পাপুয়া নিউ গিনি-র কাছে একটা দ্বীপ আছে যার নাম ‘ভানাটিনাই’ – তো এই দ্বীপটা অনেক অ্যান্থ্রোপলজিষ্ট-দের আগ্রহের বিষয় হয়েছে ইদানিং কালে কারণ এদের সমাজে মেয়েদের যে সম্মান তা নাকি পৃথিবীতে বিরল – এমনকি চরম আধুনিক পশ্চিমা সমাজেও। এদের সমাজে এমন কোন ধারণার বহিঃপ্রকাশ পাওয়া যায় নি যেখান থেকে পুরুষেরা মেয়েদের থেকে শ্রেষ্ঠ তার ইঙ্গিত পায়। মেয়ে এবং ছেলেরা সমভাবেই সব কর্যকলাপে অংশগ্রহণ করতে পারে – তা সে উৎসবের আয়োজনই হোক, বা নৌকা নিয়ে শিকারে বেরোনোই হোক – বা পশুপালন, চাষআবাদ, যুদ্ধ, জমির উত্তরাধিকার, কোথায় বাড়ি বসতি গড়ে তোলা হবে তার সিদ্ধান্ত, কি বাণিজ্য হবে তা ঠিক করা – সবেতেই। মহিলা এবং পুরুষ যে কেউ নিজেদের দক্ষতায় সমাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদমর্যাদা লাভ করতে পারত। গার্হস্থ্য হিংসা এবং মারপিট প্রায় নেই বললেই চলে – নিজেদের কাজের ব্যালেন্স নিয়েও খুব বোঝাপড়া সেখানকার ছেলে-মেয়েদের মধ্যে। কে কেমন ভাবে সময় কাটাবে তা ঠিক করার স্বাধীনতা আছে সবার – মানে যাকে বলে এক স্বর্গরাজ্য লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে। যদি জানতে চাই এবার - আপনার কি মনে হয় সেই ভানাটিনাই সমাজে বাড়ির রান্না কে করত! ... ...
আমি কেন আই-ফোন কিনলাম? এই প্রশ্নের উত্তর খুবই সোজা, অমৃতার চাপে পড়ে! প্রশ্ন উঠতে পারে, অমৃতা তাহলে আই-ফোন কিনল কেন? পরিপার্শ্বের চাপে পরে? পিয়ার প্রেসার? স্টেটাস সিম্বল? – হতে পারে এর অনেকগুলোই কিছু কিছু সত্যি। শুধু অমৃতা নয়, একটু ভেবে দেখেছেন কি আই-ফোনে কি ভাবে ‘দ্যা মোবাইল’ হয়ে উঠল বা আজকাল আমজনতা কেন যে দামেই আই-ফোন বেরুচ্ছে সেই দামেই কেনার জন্য অগ্রীম অর্ডার দিচ্ছে বা রাত জেগে লাইন লাগাচ্ছে? তাই আসল প্রশ্ন অমৃতা কেন আই-ফোন কিনল সেটা নয় – প্রশ্ন হল, কিভাবে অসংখ্য অমৃতা-দের মনে হতে শুরু করল যে আই-ফোন-ই সেই মোবাইল যা তাদের চাই? আর এই যে আমি গুচ্ছ আঁতেল - এতো কিছু জেনেও তাহলে আমি আই-ফোন কিনলাম সত্যিই কি শুধু অমৃতার চাপে পড়ে? নাকি তার বাইরেও কিছু আছে? এই সব নিয়ে গভীরে ঢোকার আগে একটা গল্প শুনে নেওয়া যাক - কালো মুক্ত-র (ব্ল্যাক পার্ল) গল্প। ১৯৭৩ সাল নাগাদ একবার দক্ষিণ ফ্রান্সের কাছে সমুদ্রে নিজের ইয়াট-এ করে ছুটি কাটাতে গিয়ে সালভাদর এর সাথে আলাপ হয়ে গেল বরুইলে নামের এক স্টাইলিশ ফ্রেঞ্চ ব্যবসায়ীর সাথে। মুক্ত প্রসঙ্গে উঠতে বরুইলে জানালেন তিনি এক অদ্ভূত জিনিসে সন্ধান পেয়েছেন – এমনিতে তিনি এক তাহিতি কন্যার প্রেমে পড়ে তাকে বিয়ে করে শ্বশুর বাড়ি ওদিকে ঘোরার সময় লক্ষ্য করেছেন যে দক্ষিন প্রশান্ত মহাসগারে তাহিতির কাছেকাছি ওদিকেটা একধরণের কালো-মুখো ঝিনুকে ভর্তি – আর সেই সেই ঝিনুক থেকে নাকি বেরিয়ে আসে এক বিষ্ময়কর বস্তু ‘কালো মুক্তো’ ... ...