এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আয়না সবুজ পরবাস

    Binary
    অন্যান্য | ২০ নভেম্বর ২০০৯ | ১০৪১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Binary | 198.169.6.50 | ২০ নভেম্বর ২০০৯ ০২:৪৯429580
  • 'আই ওয়াস বর্ন ইন ইন্ডিয়া, মাই টু গ্র্যান্ডমা'স লিভ ইন ইন্ডিয়া, ওয়ান মাই ড্যাড'স মম, ওয়ান মাই মম'স মম, দুর্গাপুজা ইস আওয়ার বিগ ফেস্টিভাল, লট'স অফ কুল থিংস হ্যাপেনন্স দ্যাট টাইম'।

    মাটিতে, একপা ভেতরে একপা উল্টানো প্যান্ট, জামা, ছড়িয়ে রাখা ব্যাগপ্যাক, লাঞ্চকীট, মোজা। লাঞ্চ বক্সে আধা খাওয়া অবশিষ্ট। স্কুল ফেরত প্রায় দু ঘন্টা হয়ে গেছে। এখন কানে আইপড, হাতে পেপার ব্যাক, বিছানায় আধাশোয়া। এরপরে কম্পিউটারে, আজগুবি ফ্যাশান সাইট, আজগুবি অ্যানিমেশন কার্টুন, আর বন্ধুদের সঙ্গে জিটক। রোজকার রুটিন। মাথা ঝাঁঝাঁ করছে সুমনার। রাগে। কান দিয়ে আগুন। রোজ-ই বেরোয়। আগুন। এরপর চলবে ম্‌দু বকাবকি। হাল্কা অশান্তি। হাল্কা অভিমান। পরের দিন আবার যে কে সেই। আজকের দ্‌শ্যপট অবশ্য একটু আলাদা। কারণ, মেয়ের ব্যাগপ্যাক ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে বেরিয়েছে একটা কাগজ। ক্লাশওয়ার্কের ফোল্ডার থেকে। তাতে ওপরের লেখাটা। মার্জিনের ওপরে শিরোনাম, 'মাই ফ্যামিলি, মাই কালচার'।
    -- এটা কি লিখেছিস?
    -- উঁ
    -- এদিকে দ্যাখ ....
    -- উঁ
    -- আমার কথা মন দিয়ে শোন ...
    -- কি হয়েছে ?
    -- কি লিখেছিস ?
    -- কোথায় ?
    -- এই যে এই পেপারে
    -- মি: ম্যাকর্চান লিখতে বলল তো, আমাদের প্রোজেক্ট করতে হবে, আবাউট 'ইওর ফ্যামিলি, ইওর কালচর'
    -- হ্যাঁ, কিন্তু ঠাম্মা আর সোনামা -কে নিয়ে মাত্র একটা লাইন ? তাও আবার নম্বর দিয়ে দুটো গ্রান্ডমা ? দ্যাট্‌স অল ?
    -- কেন ? কি হয়েছে ? উ: (অধৈর্য্য উত্তর)
    -- কেন, তুমি ওদের ভালবাস, ওরা তোমাকে ভালবাসে, তুমি ফোন করে ওদের সাথে গল্প কর, এসব লিখিসনি কেন ?
    -- হোয়াট এভার ... (আবার বই-এ ডুব)
    -- মামান, তুমি খুব অবাধ্য হয়ে যাচ্ছ, আমার কথা শোনো, আর অন্যদের কথা লেখোনি কেন ? রিয়া-র কথা, মৌমাসির কথা, জেঠুর কথা, পিকুদাদার কথা ......
    -- ঠিক আছে, ঠিক আছে, লিখবো ...
    -- লেখার সময় ওদের কথা মনে পড়লো না ?
    -- উঁ ?
    -- কিরে ? .. এদিকে দ্যাখ ...
    -- নো, সরি মাম, লেখার সময় মনে পড়েনি।
    -- কালকেই তো গল্প করলি ওদের সাথে ফোনে ...
    -- ও:
    ...
    -- কিরে ?
    -- সেতো, তুমি জোর করে ফোন দিলে বলে, কথা বলার জন্য ।।।।
    ...
    ...

    -- আর দুর্গাপুজো নিয়ে খালি লিখেছিস , 'কুল থিংস' ? মানে কি ?
    ...
    ...

    -- কিরে ?
    -- উ: মাম তুমি আমাকে খালি বিরক্ত করছ, দুর্গাপুজো নিয়ে কি জানি ? দেখেছি নাকি ?
    -- কেন ? এইতো সেদিন দেখালাম, নেট -এ .... কলকাতার প্যান্ডেল, লাইট, এসব ...
    ...
    ...

    -- কিরে ?
    -- উউউউ: মনে ছিলো না, লিখবো .... তুমি এখন যাও ....

    আরো গরম হওয়া কান আর সেই কবেকার বাস্পীভুত কষ্ট নিয়ে সরে আসে সুমনা। সচরাচর মেয়ের পড়াশোনা নিয়ে মাথা ঘামায় না ও। মেয়েটা নিজেই পড়ে। নিজেই লেখে। নিজেই অঙ্ক কষে। কি করে নিজেই জানে। সকাল সাড়ে আটটা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটে পর্যন্ত স্কুলেই থাকে। বাড়ীতে বাড়ীর কাজ নিয়ে আসে না কোনোদিন। এদেশে আনতে হয় না। মাঝে মাঝে পরীক্ষা করে দেখেছে, সুমনা, ভাষা, সাধারন বিজ্ঞান, অঙ্কে মেয়েটার পরিধি ঠিক-ই আছে, এই বয়সে যা থাকা দরকার। খুব একটা চিন্তিত নয় সুমনা, পড়াশোনা নিয়ে।

    সুমনা চিন্তিত, মেধা নিয়ে নয়, শিকড় নিয়ে। একটু একটু করে যে চিন্তাটা বেড়েই চলছে। সঙ্গে বেড়ে চলেছে কষ্টটা, সেই পুরোনো, সমকালীন। মেয়েটা কোনোদিন এক্কাদোক্কা বলেনি, বলেছে হপস্কচ। কোনোদিন ফুটবল বলেনা, বলে সকার। পায়েস করে করে, পায়েস খাওয়া নিয়ে জোর করে করে-ও ছাড়াতে পারেনি 'জেলও'। হাঁদা-ভোঁদা বা বাঁট্‌লো কিনে কিনেও, হেরে গিয়েছে ডিজনী চ্যানেল-এর কাছে। জোরকরে ঘাগরা-চোলি বা শাড়ী পরিয়ে, স্থানীয় মন্দির বা ভারতীয়-বাঙ্গালীদের অনুষ্ঠানে নিয়ে গেছে মেয়েকে। এরকম করেই মেয়েটার দুর্গাপুজো দেখা। আর তাই দুর্গাপুজো মানে ওর কাছে, কার্পেটের মন্দিরে শোলা বা পেপার পাল্পের-এর দুর্গা ঠাকুর, হঠাৎ করে ধুতি-শাড়ি পরা বাবা-মা রা, ফাইবারের টেবিলে বসে ইন্ডিয়ান খাবার। আর কিছু সমবয়সিদের সাথে একটু হুটোপাটি আর গল্প। আর সেসব গল্প-গুজব-ও ইংরাজীতে।

    সেদিন আরেকটু রাতে, বাবার সাথে বসে কিসব ছবিটবি প্রিন্ট করে মেয়ে। ওর ঐ প্রোজেক্টে নাকি লাগবে। 'ইওর ফ্যামিলি, ইওর কালচার'। তারপর, রাতের খাওয়ার শেষে, মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে, টেনে এনে, কোলে বসিয়ে ওর চুল বেঁধে দেয় সুমনা। একটু কষ্টটা কমে। চুল টেনে টেনে বিনুনি করতে করতে, পঁচিশ বছর আগের জবাকুসুম তেলের গন্ধ পায় সুমনা। নিজের চুল বাঁধার সময়, মায়ের হাত থেকে উঠে আসা।

    আরও রাতে, মেয়ে ঘুমিয়ে পরার পর, চুপিচুপি পরেরদিনের জন্য গুছিয়ে রাখা ব্যাগপ্যাক খুলে, আবার সেই কাগজটা বার করে সুমনা। 'ইওর ফ্যামিলি, ইওর কাল্‌চার'। আরো দুচার লাইন যোগ হয়েছে, আগের লেখাটার সাথে। নিচে, খুব ছোট্টোছোট্টো করে ক্রপ করা দুই ঠাকুমার ছবি। পুরোনো ছবি। আর পাশে, পাঁচ-বাই-সাত নিজের ছবি, বাবামা-র মাঝখানে দাঁড়ানো। ওরা তিনজনে। পেছনে নীল পাহাড়, এবারে সামারে তোলা, ছুটিতে বেড়াতে গিয়ে। ছবির নীচে লেখা 'মাই ফ্যামিলি'।
    ****

    পরেরদিন স্কুল থেকে এসে যথারীতি হুড়ুমতাল করে ঘরে ঢোকে মেয়ে। পনেরো মিনিটের মধ্যে দুপুরে গুছিয়ে রাখা ঘর লন্ডভন্ড। এদিকে জামা, ওদিকে প্যান্ট। বিছানায় চশমা। বেসিনের পাশে চুলের ব্যান্ড। ডাইনিং টেবিলের ওপর স্কুলের ব্যাগপ্যাক। সুমনা, লাউ-এর খোসা ভাজা, ঢেঁড়সভাজা, কড়লা ভাজা আর মুসুরডাল দিয়ে ভাত দেয় মেয়েকে। এগুলো, মানে, সেই শিকড়ে জলসেচ করার চেষ্টা। তারপর মেয়ের সাথে গপ্প করতে বসে। অল্প সময়, এরপর কানে আইপড উঠে যাবে।
    -- আজ স্কুলে কি হল রে ?
    -- স্টাফ (অন্যমনস্ক ভাবে)
    -- স্টাফ আবার কি ? ঠিক করে বল
    -- আজ চেলসির সাথে ছিলাম, হাং আউট উইথ হার দ্য হোল ডে
    -- চেলসি ?
    -- হ্যাঁ
    -- প্রোজেক্টটা জমা দিয়েছো ? 'ইওর ফ্যামিলি, ইওর কাল্‌চার' ?
    ...
    ...

    -- কিরে ?
    -- হ্যাঁ, দিয়েছি
    -- মি: ম্যাকর্চেন কি বলল ?
    ...
    ...

    -- চেলসির না, আমার প্রোজেক্টটা খুব ভাল লেগেছে
    -- তাই ? কেন ?
    -- আমাদের তিনজনের ফ্যামিলি পিকচারটা ওর খুব ভাল লেগেছে, ও বলল
    -- আর তুই ওর প্রোজেক্টটা দেখেছিস ?
    -- হ্যাঁ, ওর তো বাবামার সাথে পিকচার নেই, গ্র্যান্ডপা আর গ্র্যান্ডমার সাথে আছে, ওর মা'র বাবা-মা
    -- কেন ? বাবার সাথে নেই কেন ?
    -- ওর মা'তো ডিভোর্স, সিঙ্গিল মাদার, বাবা ফ্লোরিডাতে থাকে
    -- বাবার কাছে যায় না ?
    -- ইয়ার্লি ওয়ান্স, ওর অনেক বড় বড় স্টেপ ব্রাদার আর সিস্টার আছে, বাবা এখানে আসে না
    ...
    ...

    -- তাই বলল ওর বাবা-মার সাথে একস্‌ঙ্গে পিকচার নেই,ওতো গ্র্যান্ডপার কাছে থাকে, তাই
    চুপ করে থাকে সুমনা
    ...
    ...

    -- আমার প্রোজেক্টের ট্যাগ লাইন কি, জানো মাম্মি ?
    -- কি রে ?
    -- 'মাই ড্যাড অ্যান্ড মম টট মি, লাভ, কেয়ার অ্যান্ড ইকুয়্যালিটি'
    -- বা:, তুই নিজে এটা লিখলি ?
    -- হ্যাঁ, আর চেলসির ট্যাগ লাইন কি , জানো ?
    -- কি রে ?
    -- 'মাই গ্র্যান্ডপা হ্যাভ অ্যা বিগ বেলী, বাট ইভিন বিগার হার্ট', ড্যাড-এর কথা লিখতে পারেনি তো, তাই

    আবার কষ্টটা ফিরে আসে সুমনার, তবে নিজের জন্য নয়, চেলসি বলে দশ বছরের মেয়েটার, শেতাঙ্গিনী মায়ের জন্য। চেলসি-র তো শিকড় আছে, তবে আলগা।
    ***
    'এই পকেটে টুকরো ঝিনুক খাম খেয়াল, ঐ পকেটে ফুলের শরীর অল্প লাল'
  • Binary | 198.169.6.50 | ২০ নভেম্বর ২০০৯ ০২:৪৯429578
  • পুরোনো সুতোটা যোগ করে দেখলে, http://tinyurl.com/ycy8v7g

  • Du | 65.124.26.7 | ২০ নভেম্বর ২০০৯ ০৩:১১429581
  • ওফ, কি কলম! শিব্বুন, বরমিঠা, ভীষণ ভালো।
  • dipu | 207.179.11.216 | ২০ নভেম্বর ২০০৯ ০৮:২১429582
  • হেব্বি!

    মনে করে গন্যমিডিসটাও শেষ করেন :-)
  • tkn | 122.162.42.221 | ২০ নভেম্বর ২০০৯ ১১:২৭429583
  • খুব ভালো লাগল। এ বাস্তব, এ যন্ত্রনা, এ নিরাময়... সবই খুব সাবলীলতায় এসেছে। লিংকটা খুলে আগের লেখাদুটোও পড়লাম। ভালো লাগল।
  • aishik | 122.166.17.203 | ২৪ নভেম্বর ২০০৯ ১৮:৪৯429584
  • আমি আজ্‌কাল ভয়ে ভয়ে থাকি, কিচ্ছু লিখি না, কিন্তু এই লেখা টা পড়েনা লিখে পারলাম না।খুউউউউউউউউউউউউউউউব ভালো.....আগের গুলোর সাথে পড়ে মন খারাপ হল।
  • aka | 168.26.215.13 | ২৪ নভেম্বর ২০০৯ ১৯:০৫429585
  • আজই এক বিখ্যাত শেফের সাক্ষাতকার শুনছিলাম। ওনার জন্ম গ্রীসে কিন্তু বড় হয়েছেন লং আইল্যান্ডে। থ্যাংকস গিভিং ডিনারে ওনাদের বাড়িতে কি কি রান্না হত সেই নিয়ে কথা বলছিলেন। এইসব বলতে গিয়ে ফার্স্ট জেনারেশন ইমিগ্র্যান্ট ও তাদের শেকড় নিয়ে কিছু কথা বললেন উনি। বললেন বাব মা তাদের দেশের একটা ছবি নিয়ে বিদেশে আসে আর তাদের ছেলেমেয়ের মনে সেই ছবি আঁকার চেষ্টা করে। অন্যদিকে সেই ফেলা আসা দেশ ক্রমশ বদলে যায়। সেই ছেলে বা মেয়েটির মনে আঁকা ছবিটির থেকে তা অনেক আলাদা। তাই ফার্স্ট জেনারেশন ইমিগ্র্যান্টদের মনে শিকড় সম্বন্ধে যা ধারণা হয় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা এক জেনারেশন পুরোনো।

    বাইনারিদা লেখাটা ভালো লাগল।
  • . | 159.53.78.142 | ২৫ নভেম্বর ২০০৯ ০০:১২429586
  • গ্যাঙর গ্যাঙ
  • Nina | 68.45.145.174 | ১৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ১০:৩৯429587
  • তিনটে লেখাই দারুণ লাগল।
  • ranjan roy | 115.184.87.18 | ১৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:৫১429579
  • দারুণ বলে দারুণ! বাইনারি এত কম লেখেন কেন?
    আমার নিজের কষ্টটা জেগে ওঠে । আমার কাকা-কাকিমারা বলেন-- রঞ্জনের ছেলেমেয়েরা বাংলা পড়তে শিখলনা?
    বিল্ডারদুটোকে ধন্যবাদ। আমার মেয়েরা (যারা বাঙালী বিয়ে করবে না বলে কসম খেয়েছে) আমাকে ধরে বেঁধে কোলকাতা পাঠাচ্ছে। বাণপ্রস্থে গঙ্গার তীরে?

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু প্রতিক্রিয়া দিন