এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • হলেও হতে পারতো প্রেম

    M
    অন্যান্য | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯ | ১১২২৫ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Tim | 198.82.25.6 | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০১:১৬422554
  • এমন সময় সর্বনাশ এলো। সর্বনাশ সরখেল খুচরার পাইকারি ব্যবসাদার। জলে স্থলে রণে বনে সর্বত্র খুচরো দরকার হলেই হাজির হন। কুমুদিকে সর্বনাশ দরকারমত খুচরো দিয়ে বাঁচালেন। অত:পর একশোটাকা ফি দিয়ে সর্বনাশকে বিদেয় করা হলো। বাস ছেড়ে দেয় দেয়, কোনমতে কুমুদি বাস থেকে নামলেন।

    নেমেই দেখলেন....
  • pi | 128.231.22.249 | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০৮:৪৮422555
  • ধুর ধুর ! এ পোড়া বাসে রবে কে বলতে বলতে নেমে যাচ্ছে কুমুদি ....
  • কুমুদির হয়ে ব্যাং | 132.167.215.139 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৯:৫১422556
  • name: kumu mail: country:

    IP Address : 132.160.159.184 (*) Date:10 Sep 2012 -- 06:36 PM

    একটা ভীষণ কেবলী মেয়ে ছিল,রোগা,মুখচোরা আর প্র্যাকটিকালে ভয়।কেমিস্ট্রী ছাড়া সবকিছু পড়তে ভালবাসে,বেলগাছিয়া থেকে ট্রামে করে কলেজ যায়।
    আর এক ডাক্তারীর ছাত্র ছিল,বেজায় গম্ভীর,কথাটথা কয় না,কাজ ছাড়া আর কিছু বোঝে না।
    সেদিন ডিসেম্বর মাস,অসময়ে প্রবল বৃষ্টি।
    হাঁচতে হাঁচতে কেবলী কলেজে চলেচে,বগলে তিনটে প্র্যাকটিকাল খাতা,এক হাতে তোয়ালে-রুমাল,অন্য হাতে বাসের রড, কাঁধে ঝোলা বেগ ।
    এমন সময়ে সর্বনাশকে দেখা গেল।সর্বনাশ মানিকতলার দিকে কোথায় একটা থাকত,কিন্তু শ্যামবাজার অব্দি উজিয়ে এসে ট্রামে করে মেডিকেল কলেজ যেত।সরকারী রাস্তা যে যেভাবে খুশি যাওয়া আসা কর্বে,কারো কিছু কওনের থাকতে পারে না।
    ভয়ঙ্কর ভীড়,হাঁচি,এতগুলো জিনিস হাতে,তার ওপর ঐ মূর্ত্তির হাঁড়িমুখ দেখে কেবলীর মাথা কেমন গরম হয়ে গেল।সে স্টপ আসার একটু আগে থেকেই ভীড় ঠেলতে ঠেলতে দরজার কাছে চলে এলো ,আর নিজের স্টপে টুক করে নেমে পড়ল,নেমে কফি হাউসের রাস্তাটা ধরে এগোল।একটা কাজ ছিল ঐদিকে,বৃষ্টিও ধরেচে এট্টু,ভাবল সেরে যাই কাজটা।
    হনহন করে কিছুদূর এগিয়ে গেছে,হেনকালে পেছনে ভীষণ চিৎকার শোনা গেল-বাজখাঁই গলায় কে যেন চ্যাঁচাচ্ছে,ধরুন,ধরুন ঐ মেয়েটাকে ধরুন।
    কেবলী কারো সাতে পাঁচে নাই,সে যেমন যাচ্চিল,যেতে লাগল।
    কিন্তু পেছনের সেই চিৎকার ক্রমে ভয়াবহ চেহারা নিতে লাগল,-ঐ যে সবুজ ছাপছাপ শাড়ি পরা মেয়েটা,আমার স্টেথো নিয়ে গেল।
    সবুজ শাড়ী? সামান্য বিচলিত কেবলী চারপাশে দেখল-সবুজ কেন,কোনরকম শাড়ী পরা মেয়েই নাই।ততক্ষণে সেই ইয়ে দৌড়ে এসে কেবলীকে ধরে ফেলেচে,চাদ্দিকে দুতিন জন জড়ো হয়ে গেছে,আজকাল কতরকম পকেটমার দেখা যায়,সে বিষয়ে বাক্য রচনাও শুরু হয়েচে।
    যত নিরীহ হোক,একটা সময় সকলেই রুখে ওঠে-

    কেবলী প্রচণ্ড চটে বল্ল-কী চান,বলুন তো,আমার পেছনে দৌড়োচ্চেন কেন?
    -তোমার (??)কাছে আমার স্টেথো চলে গেছে,দৌড়ব না?
    -এক্কেবারে বাজে কথা বলবেন না,বুঝেছেন!
    -তোমার(আবার তুমি তুমি কচ্চে,কী সাহস) পেছনেই ছিলাম তো,আমার স্টেথো কোথায় গেল তবে?
    -আপনার তো মেডিকেল কলেজ(যাঃ,মহাভুল হয়ে গেল),এখানে নামলেন কেন?আর নিজের জিনিস সামলাতে পারেন না,অন্যকে দোষ দেন!!
    -অত হাঁচি দিচ্চিলে,হাতে এত খাতাটাতা-
    রীতিমত ভীড় হয়ে গেছে ততক্ষণে।
    -উনি হাঁচছিলেন আর আপনি পেছন পেছন যাচ্ছিলেন?
    -স্টেথো নিয়ে যাচ্চিলেন?
    -ট্রামের মধ্যেই ডাক্তারি?

    মনে রাখতে হবে সেটি সত্তরের দশকের শেষ,এরকম ঘটনা তখন খুব সুলভ ছিল না।তার ওপর ঐ অঞ্চলে চাদ্দিকে বাবার চেনা লোক ।দুঃখে রাগে কেবলীর আবার ভীষণবেগে হাঁচি শুরু হল,আর সেই হাঁদারাম ও অন্য সবাই হাসিহাসি মুখে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে লাগল।

    চার নম্বর হাঁচিটা সবসময়েই সবচেয়ে জোর,সেটি সামলাতে গিয়ে কেবলীর কাঁধের ব্যাগ রাস্তায় আর তার ভেতর থেকে বেরিয়ে এল সেই ইসে-

    ঐসময় কাণ্ডজ্ঞানশূন্য কেবলী সেটি যতজোরে পারে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে গটগট করে কলেজের দিকে হাঁটা দিল।
    ল্যাবে খাতা জমা দিয়ে,কমনরুমে গিয়ে একটু জল খেয়ে ওষুধ খেতে গিয়ে কেবলীর খ্যাল হোলো ওষুধের পাউচটা কই?রাস্তায় পড়ে গেছে ঠিক,সব ঐ হনুমানটার জন্য।গজগজ করতে করতে কেবলী থিওরী ক্লাশে চল্ল।
    দরজার সামনে ক্লাসের সৌমিত্রর সাথে দাঁত বের করে সেই শাখামৃগ-হাতে কেবলীর পার্স,কলম,ওষুধের পাউচ।

    "রাস্তায় পড়ে গেছিলে?"সৌমিত্র উবাচ"ভাগ্যিস এই ------- ছিল।দেখো কী সুন্দর সব কুড়িয়ে এনে দাঁড়িয়ে রয়েছে"।

    হাঁচি ও প্রচ্ণ্ড ক্রোধে কথা বন্ধ হওন।

    ইতি প্রথম এপিসোড সমাপ্ত।
  • ranjan roy | 24.99.118.90 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২০:২৬422557
  • একি? ব্যাং= পরশুরামের নব অবতার?
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২০:৩৪422558
  • এক। উমা মেয়েটি কথাবার্তায় খুব চৌকশ, দেখতে সুন্দর ও হাসিখুশী। যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে, সে সময় উমা একটি লিটল ম্যাগাজিন চালাতেন। সেই সুবাদে পরিচয়, বন্ধুত্ব। এখন লিটল ম্যাগটির নাম আর মনে নেই।

    একদিন ঢাকেশ্বরী মন্দিরে দূর্গা পুজার মেলায় উমাকে দেখা যায় এক যুবকের হাত ধরে ঘুরতে। সে যুবকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়, আমার বন্ধু, পেশায় লেখক।

    উমার লেখক বন্ধু চাপ দাড়িতে সুদর্শন। মনে হয়, দুজনেরই যখন লেখালেখির প্রতি এতো ঝোঁক, তাহলে ওদের হয়তো ভালোই মানাবে।

    আটের দশকে ছাত্রাবস্থায় শাহবাগের পিজি হাসপাতাল (এখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল) ঘেঁষে ‘সিনোরিটা’ নামক ডুপ্লেক্স দোকানে
    চায়ের নিয়মিত আড্ডা ছিলো। পেশাগত জীবনে সেই স্মৃতি রোমন্থনে এক পড়ন্ত বিকালে সিনোরিটায় ঢুকতেই উমা আর তার লেখক বন্ধুর সঙ্গে আবারো দেখা। দুজনকেই খুব বিষন্ন, ঝড়ো বিদ্ধস্ত মনে হয়।

    কথা না বাড়িয়ে দ্রুত চা শেষ করে উঠে পড়া হয়। এখন ওদের বোধহয় একান্ত কিছু সময় চাই।

    উমার লিটল ম্যাগ-এরই কেউ হয়তো বলে থাকবেন পুরনো ঢাকায় একটি কলেজে বাংলার শিক্ষক হিসেবে যোগ হিসেবে ওর যোগদানের খবর। পরিবারের অমতে সেই লেখক বন্ধুকে বিয়ে করে ভাড়া বাসায় উঠে যাওয়ার খবরও জানা হয়। এবং নিশ্চিতভাবেই ওর লিটল ম্যাগটি একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে, সে খবরও মিলে যায়।

    দুই। এর কয়েক বছর পরে বসুন্ধরা সিটির শপিং মলের সামনে হঠাৎ আবার উমার সঙ্গে দেখা। ওকে কেমন যেন ম্লান আর বিষন্ন বলে মনে হয়। মনে পড়ে যায়, একটি বাসি গোলাপের উপমা। কোনো এক গল্পকথায় উপমাটি উমাই একসময় ব্যবহার করেছিলেন। কুশল জিজ্ঞাসায় ওর চোখের কোনে বুঝি জ্বলে ওঠে এক বিন্দু অশ্রু কণা।

    কিছুটা অনুনয়ের পর অল্প সময়ের জন্য উমা বসুন্ধরা সিটির টপ ফ্লোরের কফি শপে বসতে রাজি হয়। ধূমায়িত কাপ শীতল থেকে শীতলতর হতে থাকে। উমা একদম নিশ্চুপ। তার মুখে বাক্য সরে না। …

    এক সময় নিরবতা ভেঙে নিজেই অনর্গল বলতে শুরু করেন তার প্রেম, বিয়ে, সংসারের কথা। আরেক কাপ হট কফির অর্ডার দিলে উমা বলে চলেন, বাবা – মার অমতে বিয়ে করে নিজের সংসারে এসে বুঝলাম, আমার লেখক স্বামীর নির্দিষ্ট আয় নেই। পত্র – পত্রিকায় লেখালেখি করে দু’চার হাজার টাকার অনিয়মিত রোজগারই ওর ভরসা। অথচ বিয়ের আগে আমাকে বলেছিলো, সে নাকি একটি বিখ্যাত দৈনিকে চাকরী করে! চক্ষুলজ্জায় সে সময় আমি ওর বেতনও জানতে চাই নি। এখন সব জেনেও আমি সব কিছু মেনে নিয়েছি, কারণ আমার তো একটি চাকরী আছে। বেতনও খুব খারাপ নয়। … কিন্তু বিয়ের পর পরই শুরু হয় লেখক স্বামীর নির্যাতন। ও কোনো রকম নিরোধক ছাড়াই আমাকে আদর করতো। গর্ভবতী হলে আমার বাচ্চাকে নষ্ট করতে চাপ দিতে শুরু করে। খুব মানসিক চাপের মধ্যে প্রথম বাচ্চাটিকে নষ্ট করে ফেলতে বাধ্য হই। পরের বার আবারো একই রকম চাপ আসলে আমি রুখে দাঁড়াই। আর নয়, এবার আমি বাচ্চাটাকে বাঁচাবোই।…

    তো এর পর আমার লেখক স্বামী শুরু করে আরেক অত্যাচার। কথায় কথায় যখন তখন আমাকে শুনিয়ে দেয়, তোমাকে বিয়ে করে কী পেলাম বলতো? পারিবারিকভাবে বিয়ে হলে আমি কতো টাকা যৌতুক পেতাম! আর কিছু না হোক, কিছু না কিছু সম্পত্তি তো পেতামই। …

    অত্যাচারের মাত্রা আরো বাড়াতেই যেনো আমাকে গর্ভবতী অবস্থায় একা বাসায় ফেলে রেখে ও বাইরে রাত কাটাতে শুরু করলো। প্রায়ই মোবাইলে ফোন করলে দেখি ফোন বন্ধ। আবার হঠাৎ হঠাৎ নিজেই ফোন করে হয়তো বলবে, এই শোনো, আমি এখন ফরিদপুর। হঠাৎ একটা সাহিত্য সম্মেলনে চলে এসেছি। এরা আমায় এমন করে ধরেছে যে…। আমার ফিরতে একটু দেরী হতে পারে।…

    তিন। বসুন্ধরা সিটি পশ কফি শপ, চারপাশের ঝাঁ চকচকে পরিবেশ, সব কিছু ভুলে গিয়ে উমা এসব কথা বলতে বলতে চাপা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এক সময় ওড়না চাপা দিয়ে নিজেই কান্না সামলে নেন।

    খানিক বিরতির পর ‌’বাবা-মার কাছে ফিরলে হয় না?’ এমন প্রশ্নে উমা বলেন, এখন পুরনো ঢাকায় বাবা-মা’র বাড়িতেই উঠেছি। কারণ বাচ্চাটার জন্যই আমাকে বেঁচে থাকতে হবে; এ সময় আমারও বেশ খানিকটা বাড়তি যত্ন প্রয়োজন।

    বাড়ির সবাই সবকিছু মেনে নিয়েছে কি না জানতে চাইলে উমার অকপট জবাব, দেখুন বিপ্লব, বাবা-মা আসলে কখনোই ছেলেমেয়েদের ফেলে দেন না। আমি মা হতে চলেছি, তাই এখন আমি এই সব খুব ভাল বুঝি। শুধু আমার সব কথা শুনে বুড়ি ঠাকুমা একটাই কথা বলেছেন, উমা রে, তুই দেহি অখন গর্তে পড়ছোস!….

    চার। আরো বেশ কিছুদিন পরে সাবেক কর্মস্থল শীর্ষ স্থানীয় দৈনিকটির অফিস লাগোয়া ঝুপড়ি দোকানে চা খেতে খেতে আলাপ হয় পত্রিকাটির সাহিত্য পাতার কয়েকজন সাংবাদিক-লেখকের সঙ্গে। এক সময় তাদের আলাপচারিতায় নিছকই শ্রোতার ভূমিকা নিতে হয়। কারণ বিষয়টি একান্তই তাদেরই।

    একজন বললেন, তার সদ্যজাত শিশুর নাম রাখবেন, চর্যা। আরেকজন বলে উঠলেন, আরে! এই নাম তো রাখা হয়ে গেছে। অমুক লেখক (উমার স্বামী) তার মেয়ের নাম রেখেছে, চর্যা।

    এইভাবে অকস্মাৎ জানা হয়ে যায় উমার কন্যা সন্তানের কাহিনী। এমনকি শিশুটির নামও।

    পাঁচ। এরপর অনেকদিন উমার আর কোনো খবর নেই। এখনো যেন চোখ বুজলেই দেখা যায়, লিটল ম্যাগ করা আগের সেই হাসিখুশী মেয়েটির মুখ। এখনই হয়তো কাছে এসে বেশ খানিকটা অধিকার নিয়েই বলে বসবেন, এই বিপ্লব, এই…চটপট কিছু চাঁদা ছাড়ুন তো! আমাদের পত্রিকা বেরুবে শিগগিরই।…

    লেখাটির ইতি এখানেই শেষ করা যেতো। কারণ উমা কাহিনীর মোদ্দা অংশ বলা হয়ে গেছে। কিন্তু হঠাৎ আবারো একদিন বাসের ভেতর উমার সঙ্গে দেখা। এক সকালে ধানমণ্ডিগামী বাসে উঠতেই একেবারে পেছনের সারি থেকে উমা সব বাস যাত্রীর মনোযোগ কেড়ে, সব কিছু উপেক্ষা করে আমাকে ডেকে বসেন, বিপ্লব, এই বিপ্লব, এই যে, এ দিকে…।

    ওর পাশের ফাঁকা সিটে বসে পড়ে মনে মনে চমকে যেতে হয়। একি চেহারা হয়েছে ওর! হাড্ডিসার, গর্তের কোটরে ঢুকে যাওয়া চোখ। চোখের দৃষ্টি প্রায় নিভন্ত ও ম্লান। পরনের সস্তা সালোয়ার-কামিজটিও ইস্ত্রি করা হয়নি বহুকাল। সব মিলিয়ে ঠিক যেনো একটি ঝরা গোলাপ। এর শুকিয়ে যাওয়া ফিকে সবুজ পাপড়ি বিহীন কুসুমটি এখন জানান দিচ্ছে, একদা সত্যিই অস্তিত্ব ছিলো হে সৌরভমাখা একটি ঐশ্বর্যময় ফুল।

    ভীরু গলায় এক নিঃশ্বাসে উমা নিজের খবর জানিয়ে বলেন, বিপ্লব, আমি এখনো মা – বাবার সঙ্গে আছি। আমার মেয়ের বয়স এবার তিন বছর হলো। সামনের বছর ওকে স্কুলের প্লে গ্রুপে দেবো ভাবছি। আমার মা-ই ওর সব দেখাশোনা করেন। আমি মন দিয়ে কলেজ মাস্টারি করছি। আমার বন্ধু – বান্ধবের সম্পাদনায় এবার বই মেলায় একটি সম্পাদিত ছোটগল্পের বই বেরুচ্ছে। সেখানে তারা আমার একটি গল্পও রেখেছে। বইটি হাতে পেলে আপনাকে এক কপি পাঠাবো। অবশ্যই আমার লেখাটি পড়ে মতামত জানাবেন কিন্তু। …

    উমা তার মোবাইল ফোন থেকে বেছে বেছে চর্যা নামের কন্যা শিশুটির নানান ভঙ্গিমার আদুরে সব ছবি দেখান।

    ‘আর লেখক স্বামী প্রবর?’ আকস্মিক এই বেয়াড়া প্রশ্নেও উমা বিব্রত হন না। ‘ও আগের মতোই আছে, লিখে প্রচুর নাম কামাচ্ছে; বোধহয় ভালোই আছে’ এইটুকু বলে সে পাল্টা প্রশ্ন করেন, কেনো, আপনার সঙ্গে দেখা হয় না? একই তো অফিস!

    স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, মাঝে মাঝে সুদর্শন লেখকের সঙ্গে দেখা হয় বৈকি, কথা বলার আগ্রহ না থাকলেও এটা-সেটা কুশল জানতে হয়, সমাজ বলে কথা।…দাড়ি-গোঁফে তার যীশু খ্রিষ্টের মতো নিস্পাপ, জ্যোতির্ময় চেহারা ও সেই ভুবন ভোলানো বিখ্যাত হাসি প্রতিবারই একটি প্রেম, একটি ভ্রুণ এবং একটি নারী মনের নীরব খুনের উপাখ্যান মনে করিয়ে দেয়। …লেখকের সামনে সহজে সহজ হওয়া যায় না। তখন এটা-সেটা বলে সামনে থেকে সরে পড়তে হয়।
    _____

    পুনশ্চ: ক। এই লেখার সমস্ত ঘটনা ও চরিত্র বাস্তব। বোধগম্য কারণে বন্ধু মেয়েটির আসল নামের বদলে ‘উমা’ ছদ্মনাম ব্যবহার করা হয়েছে। খ।
    এটি একটি পুনর্লিখিত লেখা; এর আগে খসড়া লেখাটি অনত্র প্রকাশিত হয়েছিলো। গ। বছর দশেক আগে শাহবাগের স্মৃতিময় ‘সিনোরিটা’ নামক ডুপ্লেক্স চায়ের দোকানটি উঠে গেছে। এখন সেখানে আলো ঝলমলে একটি বিশালাকৃতির ফার্মেসী।
    ______
    http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=28041
  • ব্যাং | 132.178.240.216 | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২২:৪৫422559
  • এই হলেও হতে পারে প্রেম এর নায়ক হল এক হলেও হয়ে উঠতে পারে খেলোয়াড়। তার নাম নেওয়া মানা।
    এই ভাটের পাতাতেই বছর খানেক বা বছর দেড়েক আগে সেই নায়কের প্রথম আলাপের কথা লিখেছিলাম। আপনাদের হয়তো মনে নেই। তাই আরেকবার লিখে দিই। এই প্রথম আলাপটি খুব-ই ইন্টারেস্টিং।

    হলেও হতে পারে প্রেমিকের খেলে বাড়ি ফিরতে রোজই সন্ধ্যে রাত গড়িয়ে যেত সেইসময়, তাই ওনার মা রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে প্রায়শই সন্ধ্যেবেলায় ওনাকে খুঁজতে বেরোতেন। এমনিতে আমাদের হলেও হতে পারে প্রেমিক একটু ভীতুটাইপের আর মায়ের রুদ্ররূপ দেখলে তো উনি কথাই হারিয়ে ফেলতেন সেই সময়ে। মাকে দেখে উনি সুড়সুড় করে বাড়ি ফিরছিলেন ব্যাট বগলে। এমন সময়ে ..............

    এমন সময়ে দুই কন্যের আবির্ভাব। আপনারা কল্পনা করার চেষ্টা করুন বাড়ির সদর দরজায় আমাদের হলেও হতে পারে প্রেমিক এবং দুই কন্যে মুখোমুখি। কন্যেরা করল কী, তারা আমাদের হলেও হতে পারে প্রেমিকটিকে দেখে হিহি করে হাসতে হাসতে হাত তুলে "হাই মাঙ্কি! বাই মাঙ্কি" বলে উইশ করে আরো বেশি হিহি করতে করতে অদৃশ্য হয়ে গেলেন। আমাদের তিনি তো ঘটনার আকস্মিকতায় হাঁ। ওনার এক বন্ধু, তার নামটা নেওয়াই যায়, তার নাম বিধেয়, দোতলার বারান্দা দেখে দৃশ্যটা দেখে বন্ধুর এমন অপমান সইতে না পেরে বন্ধুকে চেঁচিয়ে উপদেশ দিল কন্যেদের গালে ঠাসিয়ে বড় বড় চড় বসিয়ে দিতে। আর হবু প্রেমিকের মা ছেলের অমন তোম্বা মুখ দেখে হ্যা হ্যা করে হেসে গড়াতে লাগল।

    এই ছিল তাদের প্রথম সাক্ষাৎ।

    তো তারপরে বছর গড়িয়ে গেছে। তাদের আর দেখাসাক্ষাৎ হয়েছে কিনা, সেকথা নায়কের মায়ের জানা ছিল না।

    তো এবছর কিছুদিন আগে অব্দিও আমাদের নায়কমশাইয়ের খেলাধুলা বন্ধ ছিল অসুস্থতার কারণে। তিনি আবার কিছুদিন হল নীচে যেতে আরম্ভ করেছেন খেলতে। তো এই কয়েকদিন আগে ওনার মা ওখান দিয়ে ফিরছিলেন একটু তাড়াতাড়ি। এমন সময়ে দেখেন সেই দুই কন্যের এক কন্যে আর আমাদের নায়কমশাই। নায়কমশাই একটা ফুটবল হাতে ধরে সামনের পাঁচিলে চুঁড়ছেন আবার লুফে নিচ্ছেন আর সেই কন্যে স্কেটিং প্র্যাকটিস করছেন। আর দুজনেই কথা বলছেন। নায়কমশাইয়ের মা এমন অবস্থায় আড়িপাতার লোভ সামলাতে পারে না। ইংরাজি কথোপকথনটুকুর বাংলা অনুবাদ নীচে দেওয়া হল।

    অ্যাদ্দিন কোথায় ছিলে? তোমাকে দেখি নি কেন এতদিন?
    বাড়িতে ছিলাম।
    কেন?
    কিছু না। এমনি।
    তোমরা কি বাইরে বেড়াতে গেছিলে?
    না।
    এখানেই ছিলে?
    হ্যাঁ।
    তাহলে আস নি কেন?
    আমাকে ডাক্তার বাড়িতে বিশ্রাম নিতে বলেছিল।
    কেন?
    এমনি।
    এমনি কেন?
    আমার চোট লেগেছিল পিঠে।
    ও, তাহলে এটা আগে বললে না কেন?
    (নীরবতা)
    খুব বেশি চোট লেগেছিল?
    না। একটু।
    আমারও চোট লেগেছিল।
    ও।
    আমার নাকে চোট লেগেছিল।
    ওকে।
    কেমন করে লেগেছিল জানো?
    না।
    তোমরা একদিন এখানে ক্রিকেট খেলে স্ট্রীটলাইট ভেঙ্গে দিয়েছিলে মনে আছে?
    (নীরবতা)
    লাইটে লাগার পরে বলটা আমার নাকে এসে লেগেছিল।
    (তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে) মিথ্যে কথা বলবে না।
    মিথ্যে না সত্যি। খুব রক্ত পড়েছিল। ঐ শটটা তুমিই মেরেছিলে।
    (তোতলাতে তোতলাতে) কত বড় মিথ্যেবাদী রে!
    আমি মিথ্যেবাদী না। তুমি একটা ক্রিমিনাল।
    অ্যাই আরিয়ান, শুনে যা। কী বলছে শোন। আমি নাকি শট মেরে ওর নাকে বল লাগিয়েছি। কী মিথ্যেবাদী!
    আরিয়ানবাবু গিয়ে কন্যেকে বলেন "আজ আমরা হার্ড বল দিয়ে খেলব। এখান থেকে না গেলে, তোর মাথায় বল মারব। যা বলছি"
    না যাব না।
    ঠিকাছে। তুই থাক, আমরা যাচ্ছি। আরিয়ানবাবু আর নায়কমশাই অন্য দিকে চলে যান বল নিয়ে। নায়কমশাইয়ের মা যে আড়ি পাতছিলেন সেটা লক্ষ্য না করেই।

    এর দুই দিন পরে নায়কবাবু দাঁত কিড়মিড় করতে করতে , রাগে দাউদাউ করে জ্বলতে জ্বলতে বাড়ি ফেরেন। সাথে দুই বন্ধু। তারা এসে বলে "আন্টি, ও আজ খুব রেগে গেছে। ওর নামে নীচে বাজে কথা লেখা আছে" । কী বাজে কথা? তার আর কোনো উত্তর নেই। রাগ রাগ মুখ। ছলছল চোখ। নীচে গিয়ে দেখা যায়, সেই যে দেওয়ালটিতে নায়কবাবু বল ছুঁড়ে ছুঁড়ে মারছিলেন সেই দেওয়ালটিতে চক দিয়ে লেখা আছে, না, হেমলতা আপনাকে বিবাহ করিবে, লেখা নেই, লেখা আছে - আমাদের নায়কমশাইয়ের নাম দিয়ে ড্যাশ ড্যাশ ওয়াজ বর্ন ইন গাটার। ড্যাশ ড্যাশের বদলে নায়কমশাইয়ের ভালো নাম।

    নায়কমশাইয়ের মা হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়তে গিয়েও ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে সামলিয়ে নিয়ে বলেন, "কাল ও খেলতে এলে আমাকে বলবি, আমি ওর সাথে কথা বলব, ও কেন এরকম লিখল?" নায়কমশাই বললেন "দ্যাখো না, আমি কী করি এবার! স্টুপিড একটা। কোন ভদ্রতাসভ্যতা জানে না।" নায়কের বন্ধু শরণ বলে "ওদের (পড়ুন, মেয়েদের) কাজই হচ্ছে, অন্যদেরকে ট্রাবল করা"। নায়কের মা পুত্রস্নেহে এরকম একটা বাজে শভিনিস্টিক মন্তব্যের জন্য মোটেই বকে দেন না। কারণ ওনার তখন খুব হাসি পাচ্ছিল।

    পরের দিন ভারি উৎসাহ নিয়ে বিকেলেবেলায় ঐ দেওয়ালের সামনে গিয়ে নায়কের মা দেখেন সেখানে লেখা "সুরভি ইজ দি আগ্লিয়েস্ট ফিমেল গোরিলা এভার বর্ন ইন কঙ্গো"

    নায়িকার নামও লিখে দেওয়া হল, নায়িকা বা নায়িকার পরিচিত কেউ বাংলা পড়তে জানে না, জানারও অদূর ভবিষ্যতে কোনো সম্ভবনা সেই ভরসায়। নায়কের নাম জানতে চেয়ে লজ্জা দেবেন না।
    নায়কের সামনে সেই নাম উচ্চারণ করলেই নায়ক প্রচন্ড রেগে হাতপা ছুঁড়ছেন, আর বলছেন "আমার সামনে ওর নাম আর একবার বললে, আমি আর স্কুলেই যাব না, খাবও না, কিচ্ছুই করব না"
    এবার আপনরাই বলুন এসবই "হলেও হতে পারে প্রেম"এর লক্ষণ কিনা??
  • এককের হয়ে ব্যাং | 132.178.240.162 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৭:৪৬422560
  • নমেঃ একক মইলঃ ৌন্ত্র্যঃ

    ঈ আদ্দ্রেস্স ঃ ৬৯।৯৭।৪০।১৭৮ (*) ডতেঃ১০ এপ ২০১২ -- ০৮ঃ৪১

    হহপাপ্রে ১
    --------------
    কি পড়ছ ?
    কুদ্রেমুখ (না তাকিয়ে )
    মানে ?
    কুদ্রেমুখ ( ভ্রু কুঁচকে, না তাকিয়ে )
    তুমি প্রচুর বই পড় , না ?
    মামা তুমি কী খাও ?(মুখ তুলে )
    মানে ?
    মানে এই যে আমি মানেবই না !
    ওহ , আসছি ।

    ( চোখ দুটো মনে আছে । সবেদার বীজের মত । কামড়ে দেখতে ইচ্ছে করে )

    হহপাপ্রে ২
    --------------
    এটা রাখ ।
    এটা কী ? ভর্তির ফর্ম ?
    মানে ?? , ফেরত দে । থাক ,পড়ে দিস ।
    (পরদিন )
    তোর কাগজ টা।
    কাগজ ?
    হ্যা ,সেই যে ।
    অঃ , আমারি ভুল ।

    ( ব্যাচ চেন্জ করে নিল )

    হহপাপ্রে ৩
    ------------

    তুমি এখানে ?
    তুমিও তো এখানে । খুঁজছিলে ?
    নাহ । মানে হ্যা । ব্যস্ত আছ ?
    স্ক্রিপ্ট লিখছি । কেন কিছু বলবে ?
    সময় হলে , বলব ।
    বেশ ।
    আমার নয় । তোমার সময় হলে ।
    কিকরে বুঝব যে আমার সময় হয়েছে ?
    আর বুঝে কাজ নেই ! ( পা দাপিয়ে প্রস্থান , রিহার্সাল এর পর খুলে রাকতে ভুলে যাওয়া তোরা র আওয়াজ । ১৫ বছর পেরিয়ে ফেবু তে কমন ফ্রেন্ড লিস্টে দেখে সেই বন্ধু কে মেসেজ --ওর হাসিটা দেখলে আমার আজ ও গা জ্বলে । অথচ আমি কত নিরীহ ইত্যাদি )

    হহপাপ্রে ৪
    --------------
    যাক দেখা হলো
    হমম
    বার এ যাবে ?
    কেন বল তো ?
    নাহ , মানে বিকেলে দ্রিন্ক কর তো ।
    সেটা সময় কাটা তে ।
    তুমি কলকাতা ফিরবে না ? মানে প্ল্যান নেই কোনো ।
    প্রচুর প্ল্যান আছে । এবছর একটা লং ট্রেইল করব ।
    [ এরপর টানা ৬ ঘন্টা তুমুল আড্ডা এবং বেসামাল নিস্তব্ধতা ]
    আমাকে কেমন লাগলো ?
    বোন্ধুত্ব থাক ।
    কেন জানতে পারি ?
    আমরা একরকম । বাজেরকমের একরকম ।

    ( না লেখা কবিতার পাঠকের ভয় নেই )

    হহপাপ্রে ৫
    --------------

    এইযে আমরা এত মাল খাই ।
    হ্যা আমরা এত মাল খাই ।

    ( ৫ মিনিট এর বিরতি )
    আমরা কী এরকমই ?
    চিরকাল পাশে বসে মাল খেয়ে যাব ?

    (২ মিনিট এর বিরতি )
    নাহ , ড্রাই ডে গুলো বাদ যাবে ।

    উফফফফ

    ( কাল রাতে খুব হাই হয়ে গেসলুম , না না ঠিকাছে । আমিও তো । ইত্যাদি )
  • kumu | 132.160.159.184 | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১১:১৯422561
  • কে বল্ল কুমু=কেবলী?????
  • | 236712.158.8990012.147 | ২৭ আগস্ট ২০১৯ ১৪:৩৫422562
  • ফিরে এসো অনুরাধা ( সরি কুমু দি)
  • nibedon | 237812.69.3467.38 | ২৯ আগস্ট ২০১৯ ১৯:৪৪422565
  • একে কিন্তু ডুবতে দেবেন না।
    একদিন হয়ত আমিও লিখে ফেলব একটা হ্হ্পাপ্রে। তারপর হয়ত আবার তুলব সেইসব প্রশ্ন যা নিয়ে পাতার পর পাতা উত্তর আগেই এসেছ। হয়ত আবার ফিরে দেখতে হবে অঘ্রানের অনুভূতিমালা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন